তোমায় প্রয়োজন পর্ব-০৪

0
331

#তোমায়_প্রয়োজন
#মেঘাদ্রিতা_মেঘা
#পর্ব_৪
আর তখনই হঠাৎ কে যেন পেছন থেকে আমার হাত টেনে ধরে,
_অর্পন ছাড়ো বলছি,ছাড়ো আমায়।এবার কিন্তু খুব বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে,
পেছনে তাকাতেই আমার বুক কেঁপে উঠে।
_আমি অর্পন না জারা,আমি প্রত্যয়।
_না আসলে,
_তোমার কেন মনে হলো আমি অর্পন?
ঠিক বুঝলাম না আমি।
আর এভাবে ছাদের দিকে আগাচ্ছিলে আর একটু হলেই তো পড়ে যেতে।
খেয়াল নেই নাকি,ছাদে যে রেলিং নেই?
_না আসলে হয়েছে কি,
_কি হয়েছে?
_কিরে তোরা এখানে?প্রত্যয়,তোকেই তো খুঁজছিলাম আমি।
আর জারা তুমি এখনো এখানেই আছো?
তখন না বলে গেলাম,রাত করে ছাদে থাকতে হয়না।ভূত আসে ভূত।

_ওহ এই কথা তাহলে,কিছু ক্ষণ আগে তুই আমার বউকে ভূতের ভয় দেখিয়ে গিয়েছিস,আর এখন আমি আসায় ও ভেবেছে তুই এসেছিস।
তাই তো বলি,ও তোর নাম ধরে ধমকের সুরে কথা কেন বলছে।

_চল এবার নিচে যাই।
_চলো জারা।

এবারের মত অর্পন আমাকে বাঁচিয়ে নেয়।
কিন্তু আবার এমন হলে..
আমি চাইনা আমার আর অর্পনের বিষয় টা এ বাসার কেউ জানুক।
আমাকে যে করেই হোক আমাদের বাসায় চলে যেতে হবে।

সকাল হলে মাকে বলি আমি কয়েক দিনের জন্য বাবার বাড়ী গিয়ে ঘুরে আসতে চাই।
মন টা খারাপ লাগছে সবার জন্য।
মা বলেন,

_অর্পন আসলো,আর তুমি চলে যাবে?
ও মন খারাপ করবেতো।
তাছাড়া প্রত্যয় তো সারাদিন ই ওর বিজনেসের কাজেই ব্যস্ত থাকে।
ও একা একা কি করবে,ওর কি ভালো লাগবে?
তুমি থাকলে তবুও একটু কথা বার্তা বলতে পারে।

_কোন সমস্যা নেই খালামণি,আমিও জারাদের বাসায় বেড়াতে চলে যাই।প্রত্যয় ও চলে যাবেনে রাতে ওর কাজ শেষ করে।
আমারো বেড়ানো হলো,আর জারারও ওর বাবা মাকে দেখে আসা হলো।

কি জারা নিবেনা আমাকে তোমাদের বাসায়?

_যার জন্য পালাতে চাচ্ছি,সেই তো সাথে যেতে চাচ্ছে।
কি করবো আমি এখন?(মনে মনে)

_নিবেনা কেন?বউমা অর্পন তোমার সাথে বেড়াতে গেলে কোন সমস্যা আছে?
_কিসের সমস্যা চল আমরা সবাই মিলে ঘুরে আসি।(প্রত্যয়)

_না না সমস্যা কিসের।চলুন সবাই যাই।
মা আপনি আর বাবাও তাহলে চলুন।
_না মা তোমরা ঘুরে আসো।
তাড়াতাড়ি চলে এসো কিন্তু।
_আচ্ছা মা,আপনারাও সাবধানে থাকবেন।
বাবার খেয়াল রাখবেন।

এরপর প্রত্যয় আমি আর অর্পন আমাদের বাসায় চলে আসি।

আম্মু,বোন,আমার কাজিনরা সবাই খুশি আমাদের দেখে।

আমার ছোট বোন রাফা তো সবার সামনে অর্পনকে দেখে আমাকে ইশারায় বলা শুরু করে,আপু, অর্পন?

আমি ওর মুখ চেপে ধরি।
আর বলি,চুপ চুপ।

_আসসালামু আলাইকুম আমি অর্পন,প্রত্যয়ের কাজিন।
না বলেই চলে আসলাম বেড়াতে।

_খুব ভালো করেছো বাবা।
আমরা খুব খুশি হয়েছি।
_আসসালামু আলাইকুম ভালো আছেন আম্মু?
_ভালো আছি বাবা,তুমি কেমন আছো?
_এইতো ভালো।
আব্বু কোথায়?হাই রাফা মণি কি অবস্থা?
_তোমার আব্বু একটু বাজারে গেছেন।
_এইতো দুলাভাই ভালো আছি।আপনি কেমন আছেন?
_আলহামদুলিল্লাহ ভালো।
_জারা যা মা ওদেরকে ভেতরে নিয়ে যা।

রাফা তোর আব্বুকে ফোন দিয়ে বল জারা এসেছে।
আর আয় আমার সাথে নাস্তা দিবি ওদের।

আমি প্রত্যয় আর অর্পনকে নিয়ে ভেতরে যাই।
কিছু ক্ষণ পর রাফা সবার জন্য নাস্তা নিয়ে আসে।
আব্বুও রাফার ফোন পেয়ে আমাদের জন্য বাজার সদাই করে আনেন।
আমাদের দেখে আব্বু খুশি হন।
আর বলেন এক সপ্তাহের আগে আমাদের কোথাও যাওয়া চলবেনা।
কম পক্ষে এক সপ্তাহ যেন আমরা থেকে যাই।

দুপুরে খাওদা দাওয়া শেষে অর্পন আমাকে বলে,চলো তোমাদের গ্রাম ঘুরে দেখাবা আমায়।
_যাও জারা তুমি একটু ঘুরিয়ে দেখিয়ে আসো।
আমি একটু রেস্ট নেই।
ঘুমাই একটু।

_আমারো শরীর টা তেমন ভালো লাগছেনা।

রাফা এই রাফা এদিকে আয় তো,
_হ্যাঁ আপু বলো।
_তোর অর্পন ভাইয়াকে আমাদের এলাকা টা একটু ঘুরে দেখিয়ে নিয়ে আয়।
_আচ্ছা আপু যাচ্ছি।
অর্পন প্রত্যয়ের সামনে আর কিছু বলতে পারেনা।

রাফা অর্পনকে নিয়ে ঘুরতে বের হয়।

এদিকে প্রত্যয় আমাকে বলে,

_তুমিও যেতে।
একটু ঘুরে আসতে ওদের সাথে।ভালো লাগতো তোমার।
_আমার কি ভালো লাগতো আর কি ভালো লাগতোনা তা নিয়ে আপনার না ভাবলেও চলবে।
আর আপনি এমন ভাব কেন সবার সামনে ধরে থাকেন হুম?
বুঝান যে খুব ভালো স্বামী আপনি।
খুব ভালো রেখেছেন আমায়।
এত অভিনয় কেন চালিয়ে যাচ্ছেন সবার সামনে?

আমার বাবা মা বোন চাচা চাচি সবাই ভাবেন আপনি খুব ভালো রেখেছেন তাদের মেয়েকে।
আপনার তাদের সাথে করা এমন সহজ সরল আন্তরিক ব্যবহারের আড়ালে যে লুকিয়ে আছে অন্য কিছু।
তা কে জানে বলুন?

কি নিখুঁত অভিনয় আপনার,মেয়ের জামাই, দুলাভাই এর অভিনয়ে খুব ভালো অভিনয় করতে পারেন আপনি।

আপনাকে দেখে কে বুঝবে বলুন?
আপনি এসব অভিনয় করছেন।
আসলে সত্যি তো এটাই,আমাদের মাঝে সম্পর্ক টা আছেই মাত্র ক”দিনের জন্য।আর এটাকে আদৌ কোন সম্পর্ক বলা যায় কিনা তা আমার জানাও নেই।
এরপর তো আপনি আর তমা, আপনাদের সুখী পরিবার।

_চুপ করে আছেন যে?
আজ এত গুলো কথা বললাম,একটা কথারও যে জবাব দিলেন না?
_সময় হলেই পেয়ে যাবে আমার জবাব।
অপেক্ষা করো।

এই বলে প্রত্যয় ঘুমানোর জন্য শুয়ে পড়ে।

অপর দিকে অর্পন আর রাফা ঘুরতে ঘুরতে আমাদের বাড়ী থেকে একটু দূরে একটা বাগান আছে সেখানে যায়।
যেখানে আমি আর অর্পন প্রায় ই যেতাম।
বসে বসে গল্প করতাম।

_আপনাকে আর কি ঘুরে দেখাবো আমি?
আপনি তো সব ই চিনেন আমাদের এলাকার।
বরং আমার চেয়ে বেশিই চিনেন।
যাইহোক,একটা কথা জানার ছিলো,
_হ্যাঁ বলো।
_কেন করলেন আমার আপুর সাথে এমন প্রতারণা?

অর্পন চুপ করে আছে।

_কি হলো উত্তর দিন?
_আমার আপুতো আপনাকে সত্যিকারের ভালবেসেছিলো।
আপনাকে নিয়ে কত স্বপ্ন দেখেছিলো।
আর আপনি কিনা আমার আপুর সাথে এমন বিশ্বাস ঘাতকতা করলেন?

আপনি জানেন আমার আপু দুই টা মাস কারো সাথে কথা বলেনি।
দিন রাত একা ঘরে নিজেকে বন্দি করে রাখতো।
শুধু মাত্র আপনার বেঈমানীর কারণে।

আপনার নতুন প্রেমিকা কি এমন দিয়েছিলো যা আমার আপু আপনাকে দিতে পারেনি?
আমার আপু কি আপনার সেই নতুন প্রেমিকার চেয়ে কম ভালবাসতো আপনাকে?

কিভাবে আপনি আমার আপুর হাত মাঝ রাস্তায় ছেড়ে অন্যের হাত ধরেছেন?

আমার আপু দিন রাত পাগলের মত চিল্লায় কান্না করেছে জানেন?
আমার আম্মু আমার আপুর কান্না দেখে নিজে কেঁদেছেন।

আমার বাসার সবাই জেনেছে আমার আপু একটা ছেলেকে ভালবাসে।
কিন্তু কেউ জানেনা সেই বেঈমান টা আপনি।

আসলে কি জানেন,আপনি আমার আপুর ভালবাসার যোগ্যই ছিলেন না কোন দিন।
যাইহোক অনেক কথা বললাম,

জীবনে আমার আপুর অনেক ক্ষতি তো করেছেন।
এখন দয়া করে একটা উপকার করুন।

আপনি কখনো প্রত্যয় ভাইয়ার পরিবারের কাউকে জানতে দিয়েন না যে আপনি আপুর পূর্ব পরিচিত।
আর আপুর থেকে দূরে দূরে থাকবেন।

_আর আমি যদি বলি,আমি তোমার আপুকে খুব শীঘ্রই আমার করে নিবো।
তখন কি বলবে?

_আপনি কি মজা করছেন?
হা হা হা।
আমার আপু এখন প্রত্যয় ভাইয়ার স্ত্রী।
পৃথিবীর কারো সাধ্য নেই আপুকে প্রত্যয় ভাইয়ার থেকে কেড়ে নেয়ার।

_আর যদি তোমার প্রত্যয় ভাইয়াই আমাকে দিয়ে দেয়।তখন?

_আপনার মাথায় কি কোন সমস্যা হয়েছে?
আপনাকে কি পাগলা গারদে দিয়ে আসতে হবে?

_না মিস রাফা।
আমাকে পাগলা গারদে দিতে হবেনা।
বরং তুমিই আমার থেকে আজ একটা সত্যি জেনে নাও।
যা শুনে তুমিই পাগলাগারদে চলে যেতে পারো।
বোনের দুঃখে দুঃখী হয়ে।

এই যে এত প্রত্যয় ভাইয়া ভাইয়া করছোনা,ওহ না তোমার দুলাভাই।
তোমার এই দুলাভাইও অন্য এক মেয়েকে ভালবাসে।
আর তাই সে তোমার বোনের সাথে এক বিছানায় অব্দি থাকেনা।
আমি তাদের কথা নিজে কানে শুনেছি আর নিজে চোখে দেখেছি।
ক্লিয়ার?
বিশ্বাস না হলে তোমার বোন কে জিজ্ঞেস করে দেখো।

_কি বলছেন এসব?
_জ্বী। যা শুনেছো ঠিক শুনেছো।
সো আমাকে দুলাভাই ডাকার প্রস্তুতি নাও।

_না রাফা কোন দিনও না।(আমি সেখানে হঠাৎ উপস্থিত হয়ে)
মিঃঅর্পন আমি যদি ঘরের কোণে একজন ডিভোর্সি হয়ে বসেও থাকি।
তবুও আপনাকে আমি কোন দিনও বিয়ে করবোনা।
কথাটা আপনি মাথায় রাখবেন।

আমি এখানে এসেছি আপনাকে বলতে যে,আপনি দয়াকরে আমার আশেপাশে ঘুরঘুর করবেন না।
আমি চাইনা আপনার আর আমার কথা আমার শশুড়বাড়ীর কেউ জানুক।

_কিসের শশুড়বাড়ী জারা?
যেখানে প্রত্যয়ই তোমাকে স্ত্রী হিসেবে মেনে নেয়নি?

আমি মানছি আমি ভুল করেছি,তাই বলে এখনো কি আমাকে ক্ষমা করা যায়না?
আমিতো চেয়েছিলাম আমি দেশে ফিরে তোমার বাসায় বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসবো।
বাসার সবাইকে রাজি করাবো।
আর সাথে তোমাকেও।
আমি তোমার জন্যই দেশের বাইরে পাড়ি জমিয়েছি।
যাতে তোমার বাসার মানুষ বলতে না পারে ছেলে বেকার।

কিন্তু আমি আসার আগেই তুমি…

কিভাবে কি হয়ে গেলো কিছুই বুঝলাম না।
একটা বছরে এত কিছু চেঞ্জ হয়ে যাবে আমার জানা ছিলোনা।

যাইহোক,আমি আমার কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চাচ্ছি।
আমি স্বীকার করছি আমি ভুল করেছি।
এখন সব ভুলে আমাকে একটা সুযোগ দাও।
আমি আর কোন দিন তোমায় কষ্ট দিবোনা।

আমি সেদিন আড়াল থেকে তোমার আর প্রত্যয়ের কথা শুনে ফেলেছি।
ও যে অন্য কাউকে ভালবাসে,তাই তোমাকে যে স্ত্রীর স্বীকৃতি কখনোই দিবেনা।

তাই সব ভুলে চলো আমরা নতুন করে আমাদের জীবন শুরু করি।
আমি খালামণি খালুকে সব বুঝিয়ে বলবো।
আমার পরিবারকে বুঝানোর দায়িত্ব ও আমার।
প্লিজ না করোনা।

_কেন?
কই আজ তোমার সেই প্রেমিকা?
যার জন্য তুমি আমাকে ছেড়েছিলে?
তাকে কেন বিয়ে করছোনা?
_দেখো জারা,
আমি দেশের বাইরে যাবার আগেই আমি অনুভব করি,আসলে আমি ওকে না তোমাকেই ভালবাসি।
ওর সৌন্দর্য্যের মোহে পড়ে গিয়েছিলাম আমি।
কয়েক মাসের জন্য ওর মোহে ডুবে ছিলাম আমি ঠিকই।
কিন্তু সত্যিকারের ভাল আমি তোমাকেই বেসেছি।
তা আমি ওর সাথে সম্পর্কে যাবার কয়েক মাস পরই বুঝতে পারি।
তাছাড়া ওর সাথে আমার মনের কিছুই মিলতোনা।
আর না ও আমাকে বুঝতো।
আমাদের ব্রেকাপ হয়ে গিয়েছিলো।

আমি তোমার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টাও করেছিলাম কিন্তু তুমিতো আমার কোন কথাই শোনোনি তখন।

তাই বাইরে চলে গিয়েছিলাম।
আর ভেবেছিলাম দেশে এসেই তোমাকে সব খুলে বলবো।
আর বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসবো একবারে।
যেহেতু তোমার বাবা সব সময় চেয়েছেন তোমার পড়াশোনা শেষ হলে তোমাকে বিয়ে দিবেন।তার আগে না।

তাই আমি কখনো চিন্তাও করিনি তোমার এর মধ্যেই বিয়ে হয়ে যাবে।
যেহেতু তোমার পড়াশোনা শেষ হতে এখনো বাকি।

যাকগে ওসব।
যা হবার হয়ে গেছে।
এখন আমার কথা শোনো,
চলো আমরা আমাদের জীবন নতুন করে সাজাই।
যেখানে থাকবেনা কোন দুঃখ,থাকবেনা কোন কান্না।

ফিরিয়ে দিওনা আমায়।
আমি চাই তোমাকে সুখী করতে।
সারাজীবন তোমার সাথে থাকতে।

অর্পনের কথা শেষ হতে না হতেই প্রত্যয় সেখানে এসে উপস্থিত হন।
আর আমাকে ডেকে বলেন,

_জারা,
চলো বাসায় যাবো।
_প্রত্যয় আমার কথা শোন ভাই,ভুল বুঝিস না আমায় তুই।
আমি তোকে সব খুলে বলছি,তুই শোন আমার কথা।
_বাসায় গিয়ে সব কথা হবে।
এখানে না,আর না জারাদের বাসায়।
আমাদের বাসায় গিয়ে সব কথা হবে।

জারা চলো এখন রেডি হতে হবে।
বাসায় যাচ্ছি আমরা এখনই।

_কিন্তু দুলাভাই,
_রাফা আজ না,অন্য দিন এসে থাকবো হুম।
বাসায় কাউকে কিছু বলোনা।
_হুম।

এরপর বাসায় গিয়ে আম্মু আব্বুর কাছ থেকে আমরা বিদায় নিয়ে রওনা দেই প্রত্যয়ের বাসার উদ্দেশ্যে।
তারা তো কোন মতেই যেতে দিবেন না আমাদের।
তবুও তাদের বুঝিয়ে আমরা রওনা দেই।
প্রত্যয় সবাইকে বলে আসেন মা হঠাৎ অসুস্থবোধ করছেন।
তাই আমাদের এখনই যেতে হচ্ছে।
অন্য সময় আসবো আবার সময় নিয়ে।

অর্পন গাড়ীতে বসে প্রত্যয়কে কিছু বলতে চাইলে প্রত্যয় বলেন,
বাসায় গিয়ে সব শুনবো।
চুপচাপ বাসায় চল।

আমরা তিন জনই চুপচাপ গাড়ীতে বসে আছি।কারো মুখে কোন কথা নেই।
আমি মনে মনে ভাবছি,এখন কি হবে।

আর হঠাৎ করেই কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই আমাদের গাড়ীটা একটা খাদে পড়ে যায়।

চলবে..

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে