#তোমাতে আসক্ত ২
#নাহিদা ইসলাম
#পর্ব ২৭
অভ্র কোলবালিশ মাঝখান থেকে ফেলে দিয়ে মিহি কাছে গিয়ে বললো,
–কী করবা সীমান্ত প্রাচীর টপকালে।
–এমা এই কী। কী রুপ নিয়েছে শীতকালে গ্রীষ্মের ছোয়া।
কথাটা বলে ই মিহি চোখ বন্ধ করে দেয়।
–এই এখন চোখ বন্ধ করলা কেনো।
মিহি মিটমিট করে তাকিয়ে বললো,
–আমার চোখ আমি বন্ধ করছি আপনার কী।
–ঘাড়ত্যাড়া মাইয়া।
কথাটা বলে ই অভ্র কোলবালিশটা তুলে আবার মাঝখানে রাখলো।
মিহি শুয়ার সাথে সাথে ঘুমিয়ে পড়লো দুইদিন ভালো করে ঘুৃমাতে পারেনি তাই হয়তো বেশিক্ষণ জেগে থাকতে পারলো না।
সকাল বেলা,
মিহি ঘুম থেকে উঠে অভ্রকে পাশে পেলো না। মিহি ফ্রেশ হয়ে নিয়ে যেতে ই দেখলো অভ্র সোফায় বসে লেপটপ নিয়ে কাজ করছে।
মিহি অভ্রের পাশে গিয়ে বসলো এতে অভ্রের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। তাই মিহি হালকা করে হাতে হাত লাগিয়ে ধাক্কা দেয়।
মিহি ধাক্কা দেওয়াতে অভ্র দূরে সরে বসে। মিহি আবার গিয়ে অভ্রের পাশে বসে।আবার ধাক্কা দিতে ই অভ্র রাগি চোখ নিয়ে মিহির দিকে তাকায়।
–সমস্যা কী আপনার?
–এমা এ কী হলো রাতে না তুমি করে বললেন। এখন আবার আপনি।
–ভুল হয়ে গেছে মাফ করবেন। এখন কাজ করতে দিন।
–এতো সুন্দর একটা বউ পাশে রেখে আবার আপনার কাজ করতে ইচ্ছে করে নাকি।
–কে সুন্দর আপনি!
মিহি কপালে ভাজ ফেলে উওর দিলো,
–কোনো সন্দেহ আছে।
–পুরো টা ই সন্দেহ। কী আমার চেহেরা বিড়াল দেয় পাহাড়া।
–কী বললেন এটা?
অভ্র বিনাবাক্য নিজের রুমে চলে গেলো।
–যা বললেন মনে রাখবেন এই কথাটা সুদ তুলবো একদিন না একদিন।
আমি উঠে কিচেনে যেতে ই দেখে চম্পা পরোটা বানাচ্ছে।
–খালা আপনি সরুন আমি পরোটা করে দিচ্ছি।
–এটা ই শেষ আর করতে হবে না। আর তুমি কিচেনে আসছো কেনো।
— এটা ই শেষ মানে, এই দুইটা পরোটা দিয়ে কী হবে আমি খাবো কী।
–তুমি জানো না, ছোট সাহেব তো নাস্তা করে চলে গেছে। তুমি ও নাস্তা করে নেও।
খুব ক্ষুধা পেয়েছে রাতে ও কিছু খাইনি। গত কালকে সকালে খেয়েছিলাম তাও অল্প। তাই আর কিছু না ভেবে নাস্তা করতে বসে পড়লাম।
নাস্তা শেষ করে উপরে যেতে ই দেখলাম অভ্র রেডি হচ্ছে অফিসে যাওয়ার জন্য।
–আমার চাকুরীটা কী আছে নাকি গেছে।
–যাবে মানে, কাজ না করে খালি বসে বসে খাওয়ার ধান্দা। ঠিক টাইমে অফিসে না গেলে, প্রতিদিনের জন্য একশত টাকা করে কাটবো।
–ধান্দা মানে কী,আমি অফিসে যাবো তো। ওয়েট করেন আমি রেডি হয়ে আসছি।
–এই যে কান খুলে শুনে রাখুন। অফিস এর কেউ যে বিয়ের ব্যাপারে না জানে।
আমি নিঃশব্দে মাথা নাড়ালাম।
মিনতির রুমে গিয়ে একটা শাড়ি বের করে পড়ে পড়ে নিলাম। অভ্রের রুমে আসতে ই দেখলাম অভ্র নাই। পার্সটা নিয়ে দ্রত নিচে গেলাম দেখাল নিচে ও গাড়ি নেই। তার মানে আমাকে না নিয়ে চলে গেছে।টাকা ও তো দিয়ে যায় নাই এখন কীভাবে অফিসে যাবো।
কিছুক্ষন গেইটের সামনে দাড়িয়ে থাকলাম হঠাৎ একটা রিক্সা ডেকে উঠে পড়লাম। নিজের ফোন বের করে অভ্রকে মেসেজ করলাম” এক্ষুনি অফিসের গেইটের সামনে দাড়ান আমি রিক্সাতে আছি ভাড়াটা মিটিয়ে দিয়ে যাবেন নয়তো অফিসের সবাইকে বলে দিবো আপনার আর আমার বিয়ের কথা।” এটা বলে ফোন সাইলেন্ট করে রেখে দিলাম।
অফিসের সামনে নামতে ই দারোয়ান এসে ভাড়া মিটিয়ে দিয়ে গেলো। আমি মিটমিট করে হাসতে হাসতে অফিসে ডুকলাম। ডুকে ই নিজের ডেস্কে বসে কাজ করতে লাগলাম।
দুপুরে ব্রেক দেওয়ার সাথে সাথে আমি অভ্রের কেবিনে চলে গেলাম। কেবিনে ডুকে ই দরজা বন্ধ করে দিলাম,
–এই কী হলো আপনি দরজা বন্ধ করলেন কেনো।
–আমার হাসবেন্ড এর কাছে এসে দরজা বন্ধ করবে কী না এটা আপনাকে জিজ্ঞেস করবো।
–এটা অফিস মনে রাখবেন।
–ক্ষুধা লাগছে যদি খাইয়ে দেন ভালো আর যদি না খাইয়ে দেন তাহলে সবাইকে ডেকে বলবো যে আমর শুভ কাজটা সেরে ফেলেছি।
–থ্রেট করছেন।
–নাহ ভালোবাসা আদায় করার একটা ছোট্ট চেষ্টা মাত্র।
–এতো ভালোবাসা আগে কোথায় ছিলো।
–কষ্ট না করলে যেমন মানুষ সুখের মর্ম বুঝে না ঠিক আপনার শূন্যতা ছাড়া আমি আপনার ভালোবাসা উপলব্ধি করতে পারিনি।
–সময় থাকতে সময়ের মর্যাদা দিতে শিখুন।
–আপনি থাকতে আপনার মর্যাদা দিতে পারিনি তাই তো এখন কষ্ট পেতে হচ্ছে।
–এসব কথা না বলাটা ই শ্রেয়।
–হে ঠিক বলেছেন খাবার অর্ডার করুন।
–আমি আপনাকে খাইয়ে দিতে পারবো না।
–তাহলে আমি বলি আসি আমাদের গতকাল বিয়ে হয়েছে।
বলে ই আমি দরজা খুলতে যাবো ঠিক তখন ই পিছু ডাকলো,
–এই দাড়ান, আল্লাহ যে আমাকে কী বিপদে ফেলেছি।
–বসুন এখানে আমি খাবার অর্ডার করছি।
এর মধ্যে অরু ম্যাম কেবিনে ডুকলো,আমাকে দেখে জিজ্ঞেস করলো,
–কী ব্যাপার তুমি এখানে,
–কেনো থাকতে পারি না নাকি।
–না তোমাকে তো স্যারের কেবিনে কম দেখি।
–এমনি স্যার ডেকেছে তাই এসেছি।
অরু ম্যাম আমাকে আর কিনা বললো না অভ্রের সাথে কথা বলে আড়চোখে আর দিকে তাকিয়ে চলে গেলো। অরু ম্যাম চলে যেতে ই খাবার চলে আসে। কেবিনটা অনেকটা বড়, কর্নারে একটা টেবিল রাখা আছে। ছেলেটা খাবারটা দুটো প্লেটে সার্ভ করে চলে গেলো, অভ্র এসে চেয়ার টেনে আমার পাশে বসে।
খাবারের একটা প্লেট নিয়ে আমাকে খাইয়ে দিতে থাকে। খুব বিরক্তি নিয়ে ই খাওয়াতে থাকে। তাও এই বিরক্তি মাঝে ও আমি ভালোবাসা খুজে পাই,
হঠাৎ একটা টেক্সট আসলো।
অভ্র ফোনের লক খুলে মেসেজ অপশনে গিয়ে টেক্সট টা দেখে ফোনটা টেবিলে উপর থাকতে ই আমি ফোন নিয়ে নেই।
ফোন নিতে ই দেখলাম, আমার আর অভ্রের একটা পিক ফোনের ওয়ালপেপারে দেওয়া।সেই অভ্রের বুকে গুটিশুটি মেরে শুয়ে আছি। ল্যাম্পপোস্টোর আলোতে আমার মুখটা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। এটা দেখে চোখের পানি আটকে রাখা সম্ভব হয়নি।
অভ্রের দিকে তাকতে ই দেখলাম অন্য দিকে ফিরে আছে। উঠে গিয়ে জড়িয়ে ধরলাম।আমার কেনো জানি কান্না পাচ্ছে আটকে রাখতে পারলে না। জোরে কেদে উঠলাম। অভ্র একহাত আমার পিটে ছুয়াতেই যেনো আরো জোরে কান্না পাচ্ছে। অভ্র ও মনে হচ্ছে কান্না করছে। অভ্রের পানিগুলো আমার পিঠে পড়ছে।
এ অবস্থা ই জিজ্ঞেস করলাম,
–ভালোবাসেন তো কষ্ট কেনো দিন।
চলবে,
#তোমাতে আসক্ত ২
#নাহিদা ইসলাম
#পর্ব ২৮
অভ্রের দিকে তাকতে ই দেখলাম অন্য দিকে ফিরে আছে। উঠে গিয়ে জড়িয়ে ধরলাম।আমার কেনো জানি কান্না পাচ্ছে আটকে রাখতে পারলে না। জোরে কেদে উঠলাম। অভ্র একহাত আমার পিটে ছুয়াতেই যেনো আরো জোরে কান্না পাচ্ছে। অভ্র ও মনে হচ্ছে কান্না করছে। অভ্রের পানিগুলো আমার পিঠে পড়ছে।
এ অবস্থা ই জিজ্ঞেস করলাম,
–ভালোবাসেন তো কষ্ট কেনো দিন।
এটা বলতে ই অভ্র আমাকে ছেড়ে উঠে চলে গেলো।যাওয়ার সময় বলে গেলো,
–আমি কাউকে ভালোবাসি না।
আমি ও প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছিলাম
–তাহলে কান্না করলে কেনো?
উওরের আশা করলে ও অভ্র কোনো উওর না দিয়ে ই কেবিন ত্যাগ করে।
আমি চোখ মুছে টেবিলের খাবারগুলো সাইটে করে করতে লাগলাম।
হঠাৎ কেবিনে অরু ম্যাম ডুকলো। ডুকে ই আমাকে প্রশ্ন করলো,
–স্যারকে তুমি কী বলেছো এভাবে কেবিন থেকে বের হয়ে গেলো যে।
–ঐটা স্যরকে গিয়ে জিজ্ঞেস করুন ম্যাম।
–বেশি সাহস দেখিয়ে ফেলছো না মিহি।
–তো সাহস দেখালে কী করবেন।
–তোমার চাকুরীটা আমি কেড়ে নিতে পারি তুমি মনে হয় জানো।
আমি মুচকি হাসি দিয়ে কেবিন থেকে চলে আসলাম। নিজের ডেস্ক বসে ইচ্ছে মতো হাসতে লাগলাম। আমার জবটা নাকি কেড়ে নিবে। যা ই হক অরু ম্যাম এমন করছে কেনো তা তো আমার বোধগম্য হচ্ছে না।
অফিস শেষ হওয়ার সাথে সাথে আমি গিয়ে অভ্রের গাড়ির সামনে দাড়িয়ে পড়লাম।অভ্র আমাকে দেখে ই জিজ্ঞেস করলো,
–কী হলো আপনি এখানে।
–সকালে আমাকে লেট হয়েছে বলে নিয়ে আসেননি। তাই এখন আমি আপনার আগে চলে আসলাম।এখন আমাকে গাড়ি ভেতরে না নিয়ে গেলে, গাড়ির ছাদে বসে হলে ও আমি যাবো।
অভ্র আমার দিকে ভ্রুকুচকে তাকিয়ে গাড়িতে বসলো। সাথে দরজা খুলে দিতে আমি ও গিয়ে বসলাম।
বিকেলে বাসায় গিয়ে ফ্রেশ হয়ে খাবার খেয়ে নিলাম। অভ্র আমাকে ড্রপ করে কোথাও একটা গিয়েছে।
রুমে এসে ই ফোন হাতে নিলাম। কালকে থেকে মা অনেকবার কল করেছে কিন্তু আমি ধরতে পারিনি।
–আসসালামু আলাইকুম মা।
–কেমন আছিস মা।এতোগুলো কল দিলাম কোথায় ছিলি ধরলি না যে।
–ফোন সাইলেন্ট ছিলো মা দেখেনি।
–অভ্রবাবা কেমন আছে।
–হে মা ভালো।
–নিয়ম তো বিয়ের দ্বিতীয় দিন বাবার বাসায় আসতে হয় তোর কী আসবি না।
একটা তাচ্ছিল্য হাসি দিয়ে বললাম,
–যেভাবে বিয়ে হয়েছে কোনো নিয়ম ই তো মানা হয়নি এই নিয়মটা ও মানা হবে না মা।
–এভাবে বলিস না মা সব ঠিক হয়ে যাবে।
–হুম, শুনো মিনতি আপু কল দিয়েছিলো?
–না এখনো কল দেয়নি।
–কল দিলে আমার আর অভ্রের বিয়ের কথাটা বলবা না। দেখা যাবে এই মেয়ে আমাদের বিয়ের কথাটা শুনলে আবার প্যাচ লাগানোর চেষ্টা করবে।
অভ্রের রুমে আাসার শব্দে আমি ফোন কেটে অভ্রের দিক তাকাতে ই দেখলাম হাতে অনেকগুলো শপিং ব্যাগ।
–এভাবে ড্যাবড্যাব করে না তাকিয়ে কান খুলে শুনে রাখুন, কাল থেকে আর মানুষের শাড়ি পড়ে যেনো অফিসে না যাওয়া হয়।
–ভাব্বাহ এতো খেয়াল বউ এর প্রতি।
–সব সময় বেশি বকে।
শপিং ব্যাগগুলো বিছানার উপর রেখে বিনা শব্দে ওয়াশরুম ডুকে যায়।
আমি শপিং ব্যাগগুলো আলমারি রেখে বসে বসে ফোন টিপতেছি।
কিছুক্ষণ পর,
অভ্র ওয়াশরুম থেকে টাওয়াল পড়ে বের হয়। এটা দেখি আমি আমি জোড়ে চিৎকার করে বললাম,
–আপনি এভাবে রুমে ডুলেন কেনো।
–আজব তো কেনো কী হইছো?
–জানেন না একটা মেয়ে রুমে বসে আছে, আপনার এভাবে আসাটা ঠিক হয়নি।
–এমন করছেন, যেনো আমি কাপড় ই পড়ি নাই। আমার রুমে আমি কিভাবে ডুকবো এখন এটা আপনার কাছ থেকে জানতে হবে।
আলমারি সামনে গিয়ে ই আমার দিকে রাগি লুকে তাকিয়ে বললো,
–ওহ্ পুরো আলমারিটা ই দখল করে রেখেছেন।আমার কাপড় না রাখলে ই সুন্দর হতো।
–তাহলে আমার কাপড়গুলো রাখবো কোথায়।
–জাহান্নামে রাখেন ঐটা আমার দেখার ব্যাপার নাহ।ড্রেসগুলো যে এনে দিয়েছি এটা ই অনেক।
–আমি কান্না করেছি নাকি ড্রেস এর জন্য।
–ঘাড়ত্যাড়া মাইয়া।
কথাটা বলে ই লেপটপ নিয়ে বসে পড়লো কাজ করার জন্য। আমি সোফার বসে বসে আগের ন্যায় ফোন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম।
বেশকিছু পর মনে হলো অভ্র তো দুপুরে খাবার খায়নি।বাহিরে খেয়েছে বলে ও মনে হয় না।তাই নিচে গেলাম খাবার আনতে।
চম্পা আমাকে দেখে দৌড়ে আসে।
–কী হয়েছে, কোনো কাজ করা লাগবো আমাকে ডাকতে পারতা।
–না খালা খাবারটা নিয়ে যেতে এসেছি।
–কার খাবার? ছোট সাহেবর নাকি।
–হে।
–ছোট সাহেবের খাবার তো আমি ঐ যে প্লেটে বেড়ে রেখেছি, নিয়ে যাও তুমি।
আমি মুখে হাসি টেনে খাবারের প্লেটটা হাতে নিয়ে উপরে চলে আসলাম।
দরজা খুলার শব্দই অভ্র আমার দিকে তাকায়,
–খাবার খেয়ে নিন।
–খাবো না।
আমি সামনে গিয়ে লেপটপটা নিয়ে আসলাম। ল্যাপটপটা নিয়ে এসে সোফায় রাখলাম।
অভ্র আমার দিকে রাগি দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলে,
–আমার ল্যাপটপ আনলেন কেনো।
আমি ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বললাম,
–ইচ্ছে হয়েছে তাই।
–ল্যাপটপ দেন।
–না দিবো না। খাবার খেয়ে নিন দিবো।
অভ্র আমার হাত থেকে ল্যাপটপটা জোর করে নিয়ে গেলো। এভাবার আমি আর দাড়িয়ে না থাকে খাবার প্লেটটা হাতে নিলাম, খাবার অভ্রের মুখের সামনে ধরতে ই অভ্র আবার বললো,
–খাবো না।
–খাবার না খেলে কিন্তু চুমু খেতে হবে?
–কী নির্লজ্জ মেয়েরে।
–এটা বলেন, কী নির্লজ্জ বউরে।
বলেই অভ্রের মুখে খাবার তুলে দিলাম। অভ্র আর না করলো না।অভ্র খাচ্ছে আর ল্যাপটপ এ কাজ করছে। আমি অভ্রের মুখের দিকে তাকিয়ে আছি।
আর কতোদিন এভাবে অভিমান করে থাকবে অভ্র। ভালোবাসা কেনো লুকিয়ে রাখছো। একবার জিজ্ঞেস করার প্রয়োজনীয় মনে করোনি আমি কেনো ঐদিন কেনো মিথ্যা বলেছিলাম। মনে মনে ভাবলাম যা ই হক আজ অভ্রের সাথে সকল মান অভিমান মিটিয়ে নিবো।
–অভ্র জানতে চাওনা আমি কেনে ঐদিন মিথ্যা বলেছিলাম?
চলবে,