#তোমাতে আসক্ত ২
#নাহিদা ইসলাম
#পর্ব ২৩
–অফিসের কাজে আপনাকে আমার সাথে রাজশাহী যেতে হবে এবং ঐখানে থাকতে হবে। যদি জবটা করতে চান তাহলে যেতে ই হবে।
কথাটা শুনে ই থামকে গেলাম। মামা মামি আম্মু অনুমতি আমাকে দিবে কী অভ্রে সাথে যাওয়ার জন্য।
–শুনছেন।বাসায় যেয়ে অনেক ভাবার সময় পাবেন এখনে কাজ করতে আসছেন, ভাবনার জগৎ ডুব দিতে না কথাটা মনে রাখবেন।
–জ্বি স্যার।
–আসতে পারেন এখন আজকে রাতের মধ্যে আমাকে কল দিয়ে জানবেন।
আমি অভ্রের মুখের দিকে একবার তাকালাম, আমি তাকাতেই অভ্র অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে একটা ফাইলে চোখ দিলো।
–কী হলো দাড়িয়ে আছেন কেনো।
–হুম যাচ্ছি।
বলে ই চলে আসলাম। অরু ম্যাম এর কেবিনে যেতে ই ম্যাম আমাকে দেখে ই বললো,
–মিহি কোনো প্রবলেম হয়েছে।
–না ম্যাম।
–তাহলে হঠাৎ আমার কেবিনে।
–ম্যাম আপনি ও কী স্যারের সাথে রাজশাহী যাচ্ছেন।
–হে, আমাদের অনেক স্টাফ ই যাচ্ছে। কেনো বলো তো স্যার কী তোমাকে ও যেতে বলেছে।
–জ্বী ম্যাম।
–ওহ্ যাবে তাতে সমস্যা কী।সবাই এক সাথে যাওয়াতে আনন্দ ও হবে আবার কাজ ও হবে।
— হুম। আচ্ছা তাহলে এখন আসি ম্যাম।
রাতে,
নিজের রুমে ই শুয়ে শুয়ে ভাবছি কী করা যায়। ঠিক এই মুহুর্ত ই মা এসেছে।
–খেতে যাসনি কেনো?
–ক্ষুধ নাই তাই।
–আমার সাথে রাগ করিস কেনো। সৃষ্টিকর্তা তোর বাবাকে না নিয়ে আমাকে তো নিতে পারতো।
–মা।
–একদম চিল্লাবি না। বুঝিস না তো আমাকে। তোর মাথার উপরে এখন আর বাবা নামক ছায়াটা নেই বুঝিস তো। চাইলে ও ইচ্ছে অনুযায়ী ই কিছু করতে পারবো না। দেখ না লক্ষি মা আমার মামা যা বলে মেনে নে।
–মা সব সময় তো আমি মেনে ই নিলাম। কিন্তু সব মেনে নিয়ে বিনিময়ে আমি কী পেলাম বলো তো,যাও এবার ও মেনে নিলাম। কিন্তু মনে রেখো এটা ই শেষ পরবর্তী সময়ে আমি কখনো আর কারো আবদার মেনে নিবো না।
–হে , যা ইচ্ছে করিস।এখন আয় খেয়ে নিবি। না খেলে মনে করবো তুই রাগ করেছিস। তুই না খেলে আমি ও খাবো না।
মায়ের এমন কথা শুনে আর কিছু বললাম না, খেতে গেলাম। ভাত সামনে নিয়ে বসতে ই মামি ফোন দিলো কয়েক লোকমা মুখে তুলে ই মা বললো,
–কী বলেন কালকে ই বিয়ের ডেট ফিক্সড করতে আসবে এতো দ্রুত।
কথাটা শুনে আর মুখে ভাত উঠলো না।বুঝলাম এবাড়িতে আমি আর বেশি দিন থাকছি না।খাবার টা রেখে উঠে চলে আসলাম। রুমের দরজা বন্ধ করে দিয়ে অশ্রু বিসর্জন দিতে লাগলাম। বাবার কথা অনেক বেশি মনে পড়ছে। বাবা থাকলে হয়তো এমন কখনো হতো না।
সকালে ঘুম ভাঙ্গে মামির ডাকে।
–আর কতো ঘুমাবি এবার উঠ কতো কাজ পড়ে আছে।
–আমি কী কাজ করবো।
–তা মেহমান হয়ে গিয়ে আমি এবাড়িতে এসে ঝি হয়ে কাজ করবো।
–আরে মামি এসব কী বলো।(আমার তো ইচ্ছে করছে তোরে দিয়ে সব কাজ করাই) মনে মনে বললাম।
এই মামি নামক কাল সাপ থেকে দূরে এসে মাকে জিজ্ঞেস করলাম,
–মামি আসছে কেনো?
–আজকে বিয়ের ডেট ফিক্সড করতে আসবে।তার জন্য তোর মামি সব প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে নিয়ে আসছে।
–আমার বিয়ে হলে তো দেখছি সবাই ই খুব খুশি। এতো আপায়ন করে আপদ বিদেই করছো।
–মিহি
সাথে সাথে আমার গালে এসে একটা থাপ্পড় পড়লো।
মায়ের চিৎকার শুনে মামি দৌড়ে আসলো।
–আরে কী হয়েছে বল তো।
–রুমা এই মেয়েকে ভালো আমার সামনে থেকে যেতে।
–না বললে ও চলে যেতাম।
–আপা মিহি তো ভারি বেয়াদব হয়েছে। রক্তিম কাছে গিয়ে এমন করলে তো আমার মানসম্মান থাকবে না। এর সাত কপালে ভাগ্য যে রক্তিম ওরে পছন্দ করছে।
–আমার কী মনে হয় যানো মামি, আমার সাত কপালে ভাগ্য হলে মাম যে তোমাকে পছন্দ করেছে তা তোর চৌদ্দ কপালের ভাগ্য।
–আপা শুনলেন আপনি বেয়াদব মেয়ে কী বললো।
মা আমার দিকে রাগি চোখে তাকিয়ে বললো,
–তুমি ও দেও এক থাপ্পড়।
আমি আর দাড়ালাম না, চলে আসলাম। রুমা বেগমকে যে এক কথা বলেছি মহিলা যতক্ষণ এর সুধ না তুলতে পারবে ততক্ষণ শান্ত হবে কিনা সন্দেহ।
দুপুর বেলা আমার কয়েকটা কাজিন এসেছে। আমাকে কাতান একটা শাড়ি পড়িয়েছে, সুন্দর করে সাজিয়ে দিয়েছে। কিন্তু এই সাজ এই পোশাক চমার শরীরে কাটার ন্যায় মনে হচ্ছে। বিদাতা এমন নিয়ম কেনো দিয়েছে, যদি এমন কোনো নিয়ম করে দিতো যাকেই মনে থেকে ভালোবাসবে আল্লাহ তার সাথে ই মিলিয়ে দিবে তাহলে পৃথিবীটা আরো সুন্দর হতো হয়তো।
–মিহি উঠে আস, সবাই তোর জন্য অপেক্ষা করছে।
রুমা বেগমের শব্দটা কানে আসতে ই চোখ মেলে উপরে তাকাল।
–এভাবে না তাকিয়ে পা চালা দ্রুত।
কোনো কথা বললাম না বিনা শব্দে মামির আগে হেটে মেহমানদের সামনে গিয়ে বসলাম। আবার শুরু করো প্রশ্ন পর্ব। সব প্রশ্নের উওর না দিতে পারলে সমস্যা নেই আপনাকে দেখে পছন্দ হলে ই হয়। এখন শিক্ষা দিক্ষা থেকে গায়ের রংকে ই বেশি প্রাধান্য দেয়।
প্রশ্ন পর্ব শেষ করে রক্তিমের সামনে দাড়িয়ে আছি, যেদিন আসে ঐদিন ই এই বেহায়া ছেলেটার আমার সাথে কথা বলতে হয়।
–কী এতো ভাবেন আপনি বলেন তো(রক্তিম)
সব বিরক্তি লুকিয়ে উওর দিলাম
–কিছু না।
–তা আপনার ফোননম্বর টা কী দেওয়া যাবে। না মানে চারদিন পর ই তো আমাদের বিয়ে একটু নিজেরা কথা বলে নিলে ভালো হতো না।
–মামির কাছ থেকে নিয়ে নিয়েন।
এটা বলে ই আমি রুমে চলে আসলাম।
নিজের রুমে এসে বসতে ই কাজিনরা এসে পাশে বসলো, সবাই খুব খুশি বিয়ে তো আজ নিয়ে চারদিন পর।সব স্বপ্নগুলো এতোদ্রত ধুলিসাধ হয়ে যাবে।
মেহমানরা যাওয়ার পর ই ক্লান্ত শরির নিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম।
___________________________
পরের দিন সকালে,
ফোনের শব্দ ঘুম ভাঙ্গলো। উঠে দেখলাম অরু ম্যাম এর ফোন।
–মিহি অফিসে আসবে না আজকে।
–এখন বলতে পারছি না ম্যাম বাসায় একটু প্রবলেম।
–স্যার তো তোমাকে আসতে বললো, তাই কল দিয়ে জানিয়ে দিলাম। রাখি, বায়।
অরু ম্যাম কল রাখতে ই দেখলাম প্রায় দশটা বাজে তার মানে অফিস টাইম অভার হয়ে গিয়েছে। বিছানা ছেড়ে উঠতে ই একটা কাজিন আসলো,
–আপু দেখো কেমন হয়েছে।
–কী এটা।
–বিয়ের নিমন্ত্রণ পত্র
–এতো দ্রুত কী করে করলি।
–মাম তো কালকে রাতে ই অর্ডার দিলো। এখন অর্ধেক দিয়ে গেলো। বাকিগুলো বিকেলের মধ্যে দিয়ে দিবে।
–ওহ।
আমি আর লেট করলাম না দ্রুত রেডি হয়ে নিলাম অফিসে যাওয়ার জন্য।
________________________
অভ্রকে নিমন্ত্রণ পত্রটা দিতে ই খুলে দেখলো,
–ওহ্ তাহলে বিয়ে করছেন।
–হে, আপনি আসবেন তো।
–পৃথিবীতে কারো বিয়েতে যাই আর না যাই আপনার বিয়েতে অবশ্য ই যাবো।
চলবে,
#তোমাতে আসক্ত ২
#নাহিদা ইসলাম
#পর্ব ২৪
অভ্রকে নিমন্ত্রণ পত্রটা দিতে ই খুলে দেখলো,
–ওহ্ তাহলে বিয়ে করছেন।
–হে, আপনি আসবেন তো।
–পৃথিবীতে কারো বিয়েতে যাই আর না যাই আপনার বিয়েতে অবশ্য ই যাবো।
–তাহলে তো রাজশাহী যাওয়ার প্যানিংটা ক্যান্সেল করতে হবে।
–হুম তাই করবো, যা ই হয়ে যাক আমি আপনার বিয়েতে থাকছি।
কথাটুকু বলে ই নিজের কাজে মন দিলো অভ্র।আমি তাকিয়ে আছি অভ্রের দিকে,
শেষ দেখাটুকু দেখে নিই হয়তো আর কোনো দিন দেখা না ও হতে পারে। কিন্তু আমার ভালোবাসাটা আপনার জন্য নিতান্তই এইরকম থাকবে। হয়তো আমি আপনাকে আমার ভালোবাসা কথা কখনো প্রকাশ করতে পারবো না। যারা ভালোবেসে ও নিজের ভালোবাসার কথাটা প্রিয় মানুষকে বলতে পারেনা পৃথিবীর তাদের কষ্টটা কেউ উপলব্দি করতে পারে না।
এতোক্ষণ দাড়িয়ে থাকলাম অভ্রের কেবিনে অভ্র একেবারের জন্য ও চোখ তুলে আমার দিকে তাকায়নি।
চোখের কোনের পানিটুকু মুছে কেবিন থেকে বের হয়ে আসলাম।।
_____________________________________
রাতের বেলা,
ছাদে বসে কয়েক প্যাক সিগারেট শেষ করছে অভ্র। সিগারেট এর ধুয়ার সাথে নিজের অতীতকে যদি উড়ানো যেতে তাহলে জীবনে মিহি নামক অধ্যায়টা পুরোপুরি উড়িয়ে দিতো। ফোনের শব্দে নিজেকে একটু স্বাভাবিক করার চেষ্টা করলো, ফোনের স্ক্রিনে দিকে তাকতে ই দেখলো, ডিস্টার্ব নামটা ভেসে উঠছে। কিন্তু আজকে ডিস্টার্বকে ই ভালো লাগায় পরিনত করতে একবার কথা বলে দেখা যেতে পারে। কলটা রিসিভ করে কান ধরতে ই ওপাশ থেকে বেশ আলাদি কন্ঠ বেজে উঠলো,
–অভ্র আই মিস ইউ, প্লিজ আমাকে এভাবে ইগনোর করো না। আই লাভ ইউ প্লিজ আমাকে ফিরিয়ে দিয়ো না।
–আর ইউ ওকে।
–হে আমি ঠিক আছি।
–তাহলে এতো উত্তেজিত হচ্ছো কেনো।
–তুমি আমার কল ধরো না কেনো।
–টাইম পাই না।
–টাইম টা অযুহাত অভ্র।
মনে মনে বললাম তাহলে কল দেও কেনো।
–ওহ্ তাহলে আমার সাথে কথা না বললে ই পারো, আমি যেহেতু অযুহাত দেই।
এটুকু বলে ই কল কেটে দিলাম।
এই হলো মুন্নি, এই এক জ্বালা ফার্স্টে সালাম দিয়ে জিজ্ঞেস করতে পারতো, কেমন আছি। তা না করে এসব বলা শুরু হয়েছে। মুন্নি অনেক অভার স্মার্ট যার কারনে আমার ভালো লাগে না। কথাটা শুনে ই সাথে সাথে কল কেটে দিলাম। এই মেয়ে সারাজীবন ডিস্টার্ব ই থাকবে। আর একজনেকে ভালোবাসলে অন্য কাউকে ডিস্টার্ব মনে হওয়াটা ই স্বাভাবিক।
__________________________
সকাল হতে ই মানুষ আসা শুরু করলো, হলুদে কে কোন শাড়ি পড়বে তা নিয়ে বেশ কথা হচ্ছে। সবাই অনেক খুশি কিন্তু মিহির মা আচলে মুখ লুকিয়ে কাঁদছে, তা দেখে রুমা বেগম বললো,
–কী হয়েছে আপা কাদছেন কেনো।
–কই কাঁদছি না। এই মেয়েকে ছাড়া আমি কীভাবে থাকবো। এই মেয়ে চলে গেলে তো আমার আপন বলতে কিছু থাকবে না।
–আমাদের কী আপনার পর মনে হয় এমন ভাবে বলছেন কেনো।
–পর হবে কেনো, আজকে মিহির বাবা বেচে থাকলে খুব খুশি হতো।
মিহি আসাতে তাদের কথা বন্ধ হয়ে গেলো।
–মা এদিকে আস তো খাইয়ে দেই।
–ক্ষুধ নেই।
বলে ই চলে আসলাম। বাবার কথা বড্ড বেশি মনে পড়ছে। বাবা থাকলে হয়তো আজ এইরকম নিজের অমতে বিয়ে করতো হতো না। বারান্দায় দাড়াতে ই দেখলাম উঠনে খুব সুন্দর করে আলপনা দিচ্ছে। মামি একপ্রকার দৌড়ে এসে বললো,
–তুই রক্তিমের ফোন ধরিসনি কেনো।
আমি মামির দিকে না তাকিয়ে ই উওর দিলাম।
–ইচ্ছে হয়েছে তাই।
মিহি তুই না ভারি বেয়াদব।
–ওহ্ তুমি এতোদিনে বুঝলে আমি তো তোমারটা আগে ই বুঝেছিলাম।
–কী বললি তুই।
–মামকে বলো তো কানের ডক্টর দেখাতে। তুমি তো কানে কম শুনো।
–এসব বাদ দিয়ে রক্তিমের সাথে কথা বল। আজ বাদে কাল তুই রক্তিমের বউ হচ্ছিস।
–সে আমার হয়ে তুমি কথা বলেনি।
–একদম চুপ বেয়াদব মেয়ে। এই নে আমার কল দিয়েছে কথা বল।
আমি ফোনটা হাতে নিলাম ঠিক ই কিন্তু কথা বললাম না কেটে দিলাম।
সন্ধ্যা হতে ই, সাজগোজ এর ধুম পড়লো।আমাকে সাজিয়ে স্টেইজে বসিয়ে রাখা হলো। আমি এক প্রকার পুতুলের মতো বসে রইলাম। নিজের মধ্যে তো কোনো আবেক অনুভূতি কাজ করছে না। শুধু মনে হচ্ছে পরিবারের স্বার্থে নিজের মালিকানা অন্যকে দিয়ে দিচ্ছি।
সিগারেট এখন নিত্যদিনের সঙ্গি অভ্রের, আজ মিহির হলুদ। কালকে তো বিয়ে। এমন স্বার্থপর মেয়ে নিজরে জীবনের সাথে জড়ায়নি এটা ই ভাগ্য। যত ভালোবাসতো সব ভালোবাসা ঘৃনায় পরিনত হচ্ছে।
হাতের সিগারেট টা ফেলে দিয়ে রুমের উদ্দেশ্য পা বাড়ালাম। ফোনটা সাইলেন্ট করে নিলাম। রুমে ডুকে ই স্লিপিং পিল খেয়ে নিলাম। আর ঘুমাতে কোনো সমস্যা হবে না। দরজাটা ভালো করে আটকে নিলাম। যদি বেচে থাকি তাহলে আগামীকাল আর মরে গেলে পরকাল।
আজ অভ্রের সাথে কথা বলতে খুব ইচ্ছে করছে। খারাপ ব্যবহার করলে করুক তাও সত্যিটা অভ্রের জানা দরকার। গুটি গুটি পায়ে হেটে যেয়ে ব্যাগ থেকে ভিজিটিং কার্ডটা বের করলো। ভিজিটিং কার্ড থেকে অভ্রের নম্বরটা নিয়ে কল দিলাম। কিন্তু কল দিতে ই মনটা খারাপ হয়ে গেলো। ফোনটা অফ। আজ ফোনটা অফ না হলে ও পারতো সকল সত্য অভ্রের সামনে তুলে ধরে নিজেকে হালকা করতে পারতাম।
________________________
সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে ই আবুল কফি নিয়ে দরজায় নক করতে লাগলো কিন্তু অনেক্ষন নক করার পর ও অভ্র দরজা খুলছে না। বাড়ির সব কাজের লোকেরা অভ্রের রুমের সামনে এসে দাড়িয়ে আছে। এমন সময় বাসার টেলিফোন করে রেহনুমা । আবুল কল ধরতে ই রেহনুমা বেগম চিৎকার করে বলে উঠে,
–অভ্র কোথায় অভ্রকে ফোনটা দেও।
–ম্যাম অভ্র বাবা তো দরজা খুলছে না।
–কী বলছো এসব।
রেহনুমা আহমেদ ভয় পেয়ে যায় আজ তো মিহির বিয়ে আমার ছেলেটা কিছু করে বসেনি তো।
চলবে,