তোমাতে আমি মুগ্ধ পর্ব-০৬

0
606

#তোমাতে_আমি_মুগ্ধ (৬)
#ফারহানা_জান্নাত

“টাকা দিয়ে সব কিছু হয় না মেয়ে। টাকার উপর শুয়ে না থেকে মানুষ’কে বিলিয়ে দেও, দেখবা তোমাদের জন্য মানুষ দোয়া করবে। টাকার বড়াই তো খুব দেখালে! তো তোমার বাবা নাকি মৃত্যু সাথি তাহলে বাঁচিয়ে তোল।”

“শুনুন অনেক্ষণ থেকে আপনার এসব কথা শুনছি। আমাদের যা টাকা আছে, যতোটা দান করা প্রয়োজন তার থেকে বেশি দান করি আমরা। আর এখানে যে স্কুল আছে ঐটা আমাদের জায়গা। মানুষ’কে জানিয়ে দান করাকে দান বলে না। ঐটা মানুষ দেখানো বলে।”

“রাগ লাগে? একটা সময় আমি কাঁদছিলাম। আসল কথায় আসি, তুমি আহনাফ’কে জানিয়ে দেও, তুমি তাকে চাও না। তার সাথে তোমার সব সম্পর্ক শেষ। তুমি বলবা যে, আহনাফ তুমি আমার থেকে নিচু ফেমেলির, আমাকে চালানোর ক্ষমতা তোমার নাই।”

“আপনি কি আমাকে আহনাফে’র কাছে খারাপ বানাতে চাচ্ছেন!”

“আমি যা বলছি শুনবা? নাকি মৃত্যু।”

–রুমাইশা বুঝে নেয়, মহিলা’টা তার উপর ক্ষিপ্ত। সে জন্য কিছু না বলে জোরে একটা শ্বাস ফেলে। তারপর হাঁটতে থাকে বাড়ির পথে। প্রায় ৯টার পর সে বাড়িতে যায়। গিয়ে দেখে মানুষের ভির লেগে গেছে। ভ্রু কুঁচকে ফেলে রুমাইশা, আজ কি বাড়িতে কোনো অনুষ্ঠান নাকি! কিছু বুঝতে পারে না। রাত ৯টার সময় বাড়িতে এতো মানুষ কেনো!

“আ-আ-আপু বাবা”

“কি হয়ছে ভাই? তুই এভাবে কান্না করছিস কেনো। আর বাড়িতে এতো মানুষ কেনো, আজ কি অনুষ্ঠান নাকি! আর অনুষ্ঠান হলে তুই কাঁদবি কেনো?।”

“আপু বাবা আর নেই, বাবা মারা গেছে আপু।”

–রুমাইশা গেটে দাঁড়িয়ে ছিলো, তখন পারভেজ দৌড়ে আসে রুমাইশার কাছে। পারভেজ রুমাইশার সৎ মায়ের ছেলে। পারভেজে’র কথা শুনে রুমাইশা দৌড়ে বাবার রুমে যায়।

“বাবাই”

–রুমাইশা ডুকরে কেঁদে উঠে, কাঁদতে কাঁদতে ছটফট করা শুরু করে দেয়। বাবার লাশ জড়িয়ে ধরে চিৎকার দিয়ে উঠে,

“বাবাই ও বাবাই কথা বলো প্লিজ। বাবাই ও বাবাই উঠো না, তুমি কি তোমার মার উপর রাগ করে থাকতে পারো? বাবাই কথা বলো প্লিজ। ও বাবাই উঠো, তোমার মা তো কান্না করছে। বাবাই ও বাবাই আমি কিন্তু তোমার সাথে আর কথা বলবো না।”

“আপু বাবাই আর কথা বলবে না আপু, বাবাই তো আল্লাহর কাছে চলে গেছে। আপু বাবাই’কে এই ভাবে ঝাঁকুনি দেস না। বাবাই কষ্ট পাবে আপু।”

“পারভেজ বাবাই’কে বলনা আমার সাথে কথা বলতে। ও বাবাই কথা বলছো না কেনো? বাবাই আমি কাঁদছি দেখো না। বাবাই তুমি ও বেঈমানি করলে? মাম্মাম এর মতো আমাকে ছেড়ে চলে গেলে। বাবাই আমি কি এতো খারাপ, আমার সাথে কেউ থাকে না কেনো?”

“আহারে মেয়েটার জীবনাই এমন হতে হলো? জন্মের পর থেকে মাকে কাছে পায় নি। এখন আবার বাবা’কে হারিয়ে ফেললো।”

“হ্যা রে, সৎ মায়ে নাকি অত্যাচার করতো। এখন তো বাপ’টা ও মারা গেলো, এখন তো দেখা যাবে বাড়িতে যায়গা হবে না মেয়েটার।”

–চারদিকে বিভিন্ন কথা উঠতে থাকে। কেও কেও রুমাইশার কান্না দেখে তারা ও কান্না করে দেয়। কিছুক্ষণ পর কয়েকজন ছেলে আছে। লাশ নিয়ে যাবে বুঝতে পেরে রুমাইশা বাবা’কে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলে,

“না আমার বাবাই কোথাও যাবে না। আমার বাবাই ঘুমিয়ে আছে, বাবাই তার মায়ে’র উপর অভিমান করছে। আমার বাবাই আমাকে ছেড়ে যেতে পারে না। ও বাবাই কথা বলছো না কেনো? বাবাই দেখো না, তোমাকে এই বদমাইশ লোক গুলো নিতে আসছে।”

“আপু”

–পারভেজ চিৎকার দিয়ে উঠে। রুমাইশা বেড থেকে পড়ে যায়। কয়জন মহিলা এগিয়ে আসে, রুমাইশা’কে একটা বিছানায় শুয়ে দেয়। মেয়ে’টা সেন্সলেস হয়ে পড়ছে। রুমাইশার বাবা মারা গেছে সেই দুপুরে, অথচ রাহুল বা রুমাইশা কাউকে এই খবর দেওয়া হয়নি। হুইল চেয়ারে উনি চলাফেরা করতো। প্রায় বছর দু”য়েক আগে এক্সিডেন্ট করে পুঙ্গু হয়ে বিছানায় পড়ে ছিলেন। হাঁটাচলা করতে পারতেন না তিনি, কিন্তু কথা বলা, নিজ হাতে খাওয়া সব করতে পারতেন।

”বাবাই আমি বাবাই’য়ের কাছে যাবো। বাবাই তুমি আমাকে সাথে নিয়ে যাও। এই সার্থপর দুনিয়ায় আমি থাকতে চাই না। এই সার্থপর দুনিয়া আমার জন্মের সময় মাম্মাম কে ছিনিয়ে নিছে। এখন তোমাকে ও নিয়ে গেলো বাবাই। ও বাবাই আমার সাথেই কেনো এমন হয়?”

–প্রায় ১ ঘন্টা পর রুমাইশার সেন্স ফিরে আসে। আর সাথে সাথে আবারো কাঁদতে কাঁদতে হিচকি তুলে ফেলে। মাথার চুল খামচে পাগলের মতো আচরন করে। বাবাই কে মাটি দেওয়া হয়ছে, অথচ রাহুল শেষ বারের মতো বাবাইকে দেখতে পারলো না। রুমাইশা নিজে ও ফোন করে জানাতে পারলো না। যেখানে রুমাইশার বাবা’কে কবর দেওয়া হয়ছে সেখানে গিয়ে মাটি আঁচড়াতে থাকে। আর কাঁদতে কাঁদতে বলে,

“বাবাই তুমি তো আমাকে প্রমিজ করছিলা। আমাকে ছেড়ে কখনো যাবে না। তাহলে আজ কেনো তোমার কথা রাখতে পারলে না বাবাই। তোমরা আমাকে কেউ ভালোবাসো না বাবাই কেউ না।”

–আরো ১ ঘন্টা সময় কেটে যায়। কেউ রুমাইশা’কে কবর স্হান থেকে সরাতে পারে না। আসতে আসতে সবাই চলে যায়, শুধু থেকে যায় পারভেজ। পারভেজ রুমাইশার কাঁধে হাত দিয়ে মাটিতে বসে জড়িয়ে ধরে রুমাইশা’কে।

“আপু এই ভাবে কাঁদিস না, তুই তো অসুস্থ হয়ে পড়বি। আমার ফোন মা কেরে নিছিলো আপু, সে জন্য কাউকে জানাতে পারি নাই। আমাকে ক্ষমা কারে দে আপু।”

“এই পৃথিবীর কোনো মানুষ ভালো না। সবাই সার্থপর, নিজেরা নিজেদের সুখের ঠিকানা খুঁজে নেয়। বাকিদের দিয়ে যায় বুক ভড়া যন্ত্রণা। একটা বার তারা ভাবে না, তাকে যারা ভালোবাসে। তারা তাকে ছাড়া কিভাবে বাঁচবে?”

“আপু এসব বলতে নেই। বাবাই কি ইচ্ছে করে মারা গেছে বল। আল্লাহ তো বাবাইকে নিয়ে গেছে, এভাবে ভেঙ্গে পড়িস না। ভাইয়া যদি জানে তাহলে কি হবে ভেবো দেখ।”

–বারবার ফোন বাজায় পারভেজ রুমাইশা’কে ধাক্কা দেয়। ঢলে তার গায়েই পড়ে যায়। আবারো সেন্স হারিয়ে ফেলছে। পারভেজ রুমাইশা’কে কোলে নিয়ে রুমে যায়। বিছানায় শুয়ে দিয়ে সোফায় নিজে ও গাঁ এলিয়ে দেয়। তার ও তো খুব কান্না পাচ্ছে।

“ছেলে মানুষের কান্না করতে নেই কেনো? কেনো তারা কান্না করে কষ্ট গুলো হালকা করতে পারে না। বাবাই তুমি আপু’কে ছেড়ে গেলে কেনো। আপুর তো তুমি আর ভাইয়া ছাড়া কেউ নাই। মামুনি তো আপুকে কষ্ট দেয়। আপু এখন তোমাকে ছাড়া কিভাবে থাকবে?”

-আবারো ফেনের রিংটোন শুনতে পায় পারভেজ। রুমাইশার পকেটে ফোন আছে, পারভেজ ফোন’টা বের করে নাম্বার দেখে রিসিভ করে।

“এই মেয়ে তোমার কি সমস্যা হ্যা? প্রায় ১০০বার ফোন করছি। ফোন ব্যাবহার করো কিসের জন্য? যদি সময় মতো ফোন রিসিভ না করতে পাও।”

“আমি পারভেজ, রুমাইশা আপুর ছোট ভাই। কিন্তু আপনি কে ভাইয়া?”

“হায়’রে ফোনটা রিসিভ হলো তাও আবার শা’লা বাবু রিসিভ করলো। আমি আহনাফ তোমার রাহুল ভাইয়ার বন্ধু, তোমার আপু কই? রাত ১২ টা থেকে ১৩ টা বাজতে চললো। তো তোমার আপু কি বেঁচে আছে? তোমার রাহুল ভাইয়া নাকি ফোনে পায়’নি ওকে”

“আপু ঘুমাইছে, সকালে আপুর ঘুম ভাঙ্গলে আপনি কথা বলে নিয়েন। আর ভাইয়া রাহুল ভাইয়া কেমন আছে?”

“তোমারা মারার চেষ্টা করে আবার শুনতে চাচ্ছো কেমন আছে! আচ্ছা রাহুল তো অফিসে কাজ করতো। তাহলে কেনো মারার চেষ্টা করলে তোমরা? ও তো বসে বসে খেতো না।”

“আমি না, মামুনি মারতে চাইছিলো। আমি তো আপনাকে আগে ফোন দিয়ে জানিয়ে দিছিলাম। ভাবছিলাম যে, আপনি রাহুল ভাইয়া’কে ফোন করে সাবধান করবেন। কিন্তু না, আপনি তা না করে এমনি চলে আসছিলেন।”

“ওহ তার মানে তুমি ফোন করছিলা? কিন্তু তুমি তো সেটা রাহুল’কে ও বলতে পারতে। যদি বলতে, ভাইয়া মা তোমাকে মেরে ফেলতে চায়, তাহলে তো হয়ে যেতো।”

“ভাইয়া’কে বলছিলাম, ভাইয়া মজা ভেবে উড়িয়ে দেয় আমি কি করবো? ভাইয়া বলে, সৎ হোক মা তো। তাই আপনাকে জানিয়ে দিছিলাম। রুমাইশা আপু মরার মতো ঘুমিয়ে দিলো। তাই আপু’কে বলতে পারি নাই। তাছাড়া মেয়েদের রুমে অনুমতি ছাড়া প্রবেশ করা নিষেধ আমাদের।”

“বাহ ভালো, সে সব বাদ দেও। তুমি এতো রাতে রুমাইশার রুমে কি করছো!”

“বাবা”

–পারভেজ বলতে গিয়ে থেকে যায়। ভাবে এখন না বলায় উচিত, রাহুল ভাইয়া তো অসুস্থ। বাবাই’য়ের মৃত্যুর খবর পেলে আরো অসুস্থ হতে পারে। সেই ভেবে আর কথা না বলে ফোনটা রেখে দেয়।

“তা তোমার ফোনের কথা মনে হয়ছে শেষমেশ! আমি ভাবছিলাম আমার সাথে সাথে তুমি ফোনের কথা ভুলে গেছো।”

–সকাল ৯টার সময় রুমাইশার ঘুম ভেঙ্গে যায়। রাতে পারভেজ ঘুমের একটা ইনজেকশন দিয়ে রাখছিলো। রুমাইশা একবার সোফায় চোখ বুলায়। পারভেজ এলোমেলো হয়ে শুয়ে আছে। ফোন চেক করার পড় দেখে রাহুল, আহনাফ অনেক কয়বার ফোন করছে। তাই ভাইয়ের সাথে হালকা কথা বলে, আহনাফ’কে ফোন দেয়।

“না মনে পড়ে নাই। কাউকে কি মনে পড়া খুব দরকার নাকি? আপনাকে কিছু কথা বলার ছিলো ভাইয়া।”

“বলো”

“আমি ডিভোর্স চাই, আমার থেকে আপনি ১০ বছরের বড়। আপনাকে স্বামী হিসাবে মেনে নিতে পারবো না আমি। তাছাড়া আপনার জিএফ আছে সেটা আমি জানি। আর আমাকে আমার মতো ভালো রাখার ক্ষমা আপনার নাই। আমি যেই ভাবে চলাফেরা করি তা আপনি দিতে পারবেন না।”

“কি বলছো ভেবে দেখছো? পাগল হয়ছো নাকি তুমি। একটা কথা ও না, সকাল সকাল কি নেশা করছো? মা-বাবা আমাদের সম্পর্ক মেনে নিছে।”

“ভালো, বাট সরি ভাইয়া, আমি আপনার সাথে সম্পর্ক রাখতে পারলাম না। আমি ঢাকা’ই গিয়ে ভাইয়া’কে আমার কাছে নিয়ে আসবো।”

“তুমি ভেবে বলছো?”

“হুম”

–আহনাফ আর কিছু বললো না। ফোনটা কেটে দেয়, তারপর ধির কন্ঠে বলে,

“যাক ভালোই হলো, নিজ থেকেই তো সরে গেলো। আমি তো বাদ্ধ করি নাই। মুন্নির সাথে সম্পর্ক ঠিক করতে হবে। যতই হোক, সে আমার প্রথম ভালোবাসা। আর তাছাড়া রুমাইশার সাথে মিথ্যা ভালো থাকার অভিনয় আর চালিয়ে যেতে হবে না। এসব নেকামি করে, তা সহ্য করা লাগবে না। ওরে নাকি কিস করো হেন’তেন অসহ্য, সব রাহুলের জন্য এর জবাব আমি দিবো একদিন।”

–কিছু একটা ভেবে আহনাফ আবার ফোন দেয়। রুমাইশা বাবাই’য়ের কথা মনে পড়াতে কান্না করে দেয়। বাবাই মারা গেছে, আর এখানে ও আহনাফের সাথে ডিভোর্স নিয়ে কথা বলছে। এসব একণ বলতে কার বা ভালো লাগে? কিন্তু আর কথা বাড়াতে চায় না বলেই সে সকাল সকাল কথা’টা জানিয়ে দেয়। ফোনের শব্দে বিরক্ত হয়ে চোখের পানি মুখে ফোনটা রিসিভ করে।

“কি হয়ছে কি সমস্যা? নাম্বার কি ব্লাক লিষ্টে ফেলাতে হবে নাকি। আমাকে আর বিরক্ত করবেন না।”

“আমার টাকা নেই সে জন্য আমাকে ছেড়ে যাচ্ছো রুমাইশা? আসলেই মেয়ে’রা টাকার লোভি হয়। মা ঠিকি বলছে, জীবনে কিছু করতে হলে আগে প্রচুর টাকা কামাতে হবে।”

“আহনাফ আপনি হয়তো জানেন না মানুষ অনেক সার্থপর। তারা নিজের ভালোর জন্য সব করতে পারে। আমি না হয় আমার ভালোর জন্য আপনাকে ছেড়ে দিলাম। তাছাড়া আপনার তো জিএফ আছে সেটা আমি জানি।”

“তোমার জন্য আমি মুন্নির সাথে সম্পর্ক শেষ করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। আর তুমি? যাক ভালো হয়ছে, নিজের আসল রুপ দেখিয়ে দিছো। ভালো থেকে আর জালাবো না।”

“তাহলে আমাকে কিভাবে ভালোবাসতেন? আপনি তো মুন্নি আপুকে ভালোবাসেন। তাই প্লিজ এক সাথে দু নৌকায় পা দেওয়ার চেষ্টা করবেন না। ভালোবাসার মর্যাদা দিতে শিখেন।”

–রুমাইশার সব বিরক্ত লাগছে। লাইন কেটে ফোনটা অফ করে দেয়। তারপর বাবার কবরের কাছে গিয়ে বেশ কিছুক্ষণ বসে বসে কান্না করে। চোখের পানি মুছে তার সৎ মায়ের সামনে এসে দাড়ায়। এই ভাবে রুমাইশা’কে নিজের সামনে দেখে উনি কিছুটা ভয় পায়। সেটা নিজের মধ্যে চেপে রাখে। কিছু বলবে তার আগেই রুমাইশা চিল্লিয়ে বলে,

“কি ভাবছেন! বাবা”কে মেরে ফেলে উনার সব সম্পত্তি ভোগ করবেন? এটা কখনো হতে দিবো না। মাত্র তিনটা বছর, এই তিন বছর সুখে থাকেন। তারপর সুখ কি জিনিস খুঁজে পাবেন না। ধংস্ব করবো সব আমি, আমাকে এতিম করার জন্য আপনাকে রাস্তার ফকির বানিয়ে দিবো।”

“আপু চল, এই খারাপ জায়গায় তোর থাকার দরকার নাই। মা ভালো না, উনি টাকার জন্য সব করতে পারে। আমি ও তোর সাথে যাবো। আজ থেকে আমি তোদের সাথে থাকবো। আর মামুনি আমি এই ৫লক্ষ টাকা নিয়ে গেলাম। এটা আমার টাকা, তাই এটা নিয়ে কথা শুনাতে আসবেন না।”

–পারভিন চৌধুরী হা হয়ে যায়, আজ ছেলেটা ও তার বিরুদ্ধে? কিন্তু তাতে কি! উনি তো সব সম্পত্তি পেয়ে গেছে। আর কি লাগে তার? এমনি থেকেই ছেলেটার থেকে মেয়েটাকে তিনি বেশি পছন্দ করে। রুমাইশা বাবাই’য়ের রুমে গিয়ে প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস নেয়, তারপর পারভেজ আর রুমাইশা শেষ বারের মতো বাবাই’য়ের কবরে গিয়ে দোয়া করে ঢাকার উদ্দেশ্য পাড়ি জমায়। গাড়ি থেকে নেমে রুমাইশা ছুটে যায় রাহুলের কেবিনে। ভাইয়ার যতো কাছাকাছি আসছে ততই তার বাবাই’য়ের জন্য খারাপ লাগছে।

চলবে?……………..

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে