তোমাকে_চাই (Season 2)Part:-23+24

1
2704

তোমাকে_চাই (Season 2)Part:-23+24
#আরবী_আরভী
বাস্তব জীবনকাহিনী

#Part_23

দুজনেই বসে আছি হয়তো বা রিয়া আপু আমার সাথে রেহানের রিলেশনটা মেনে নিতে পারছেন না।। যাইহোক যার যেমন ধারনা।। হঠাৎ আমার ভাবনা ভঙ্গ করে দিয়ে রিয়া আপুমনি বলে উঠলেন,,,,
-আচ্ছা নিসা,,,, আপুর একটা হেল্প করবা,,,
-জি বলেন আপু,,,,
-আমার না একটা ছেলের সাথে রিলেশন আছে।। রাকিব।। কিন্তু কোনো কারণে মামনি তা জেনে যায় আর আমার ফোনটা কেড়ে নেয়।তুমি কি প্লিজ তোমার ফোনটা দিবা ওর সাথে একটু কথা বলতাম,,,,,,

আমি একটু সংকোচবোধ করে তাকে রেহান যে রাতে যেকোন সময় কল করতে পারেন তা জানাতে চাইলে সে রীতিমতো আমার সামনে কেদে ফেলে।।রিয়া আপু নাকি ছেলেটাকে অনেক ভালোবাসে তার সাথে একটু কথা বলতে চায়।।শত হলেও সে আমার বড়।। বড় আপু যদি ছোট বোনের সামনে এভাবে কাদে তখন কি আর স্বার্থপর হওয়া যায়।।আমার খুব মায়া লাগছে।। তাই আর কথা না বারিয়ে উনাকে আমি ফোনটা দিয়ে বললাম,,,,

-আচ্ছা আপু নাও কিন্তু রেহান ভাইয়া কল দিলে আমাকে দিয়ে দিবা,,,

ফোনটা হাতে পেয়ে রিয়া আপু আমার দিকে তাকিয়ে থেকে একটা পৈশাচিক হাসি দিয়ে কৃতজ্ঞতার সুরে বলে উঠলেন,,,,

-থ্যাংকস অ্যা লট নিসা ভাই কল দিলে তোমাকে দিয়ে দিবো কিন্তু আমার একটা রিকুয়েস্ট আছে,,,
-কি রিকুয়েস্ট আপু,,,
-তুমি এই ব্যাপারে ভাই কে কোনো দিন কিচ্ছু জানাবা না প্রোমেস করো,,,,
-আচ্ছা ঠিক আছে,,,

তারপর রিয়া আপু ফোনটা নিয়ে এক দৌড়ে ছাদে চলে যায়।।ভেবেছিলাম উনার সাথে রাতে কথা হবে কিন্তু আজকে বোধহয় আর হবে না।। ধ্যাৎ।।

যেমনটা ভেবেছিলাম ঠিক তাই হয়েছে রিয়া আপু সারা রাত রাকিবের সাথে কথা বলে সকালে আমাকে সান্ত্বনা সূচক ভাব নিয়ে বলতে থাকেন,,,,
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি মাসে জিতে নিন নগদ টাকা এবং বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।

গল্পপোকার এবারের আয়োজন
ধারাবাহিক গল্প প্রতিযোগিতা

◆লেখক ৬ জন পাবে ৫০০ টাকা করে মোট ৩০০০ টাকা
◆পাঠক ২ জন পাবে ৫০০ টাকা করে ১০০০ টাকা।

আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/?ref=share


-নিসা আসলে রাকিব বলেছে সে নাকি আমাকে দিনে কল করবে।। তোমার কাছে ফোনটা থাকলে তো ঝামেলা হয়ে যাবে।। আই মেইন তোমার আম্মু যদি শুনে নেয় তাই বলছি এটা আমার কাছেই থাকুক রাত্রে নিয়ে আসবো তখন ভাইয়ের সাথে কথা বলে নিও কেমন,,,,,
-তা ঠিক আছে কিন্তু উনি কালকে রাতে একবারও কল করে নাই,,,,,,(অবাক হয়ে তার দিকে তাকিয়ে)
-আমি কি তোমার কাছে মিথ্যা বলছি নাকি,,, বুঝেছি ফোনটার জন্য এমন করছ।। লাগবে না তোমার ফোন,,,,(জেদি কন্ঠে রাগ দেখিয়ে)
-আরে না আপু আমি তো এমনি বললাম তুমি নাও,,,,

একদম বিশ্বাস হচ্ছে না।। যে ছেলেটা ১০৩ জ্বর নিয়ে আমার সাথে কথা বলতে চায়।। উনার নাকি আমার সাথে কথা না বললে ঘুম আসে না।। সেই উনি কালকে একটাও কল দেননি।। কথাগুলো ভাবছি আর ঐদিকে রিয়া আপু ফোনটা নিয়ে হুড়হুড় করে চলে গেলেন।।মন বলছে এই রিয়া কিছু তো একটা করছে কিন্তু কি,,।।

৩দিন কেটে গেলো উনার সাথে আমার এক বিন্দু মাত্র যোগাযোগ হলো না।। সারাক্ষণ ফোনটা রিয়া আপুর কাছে থাকে।। যেন এটা আমার না তার ফোন।।কিন্তু রিয়া আপু কি খেলা শুরু করেছে রোজ একি কথা বলে আমাকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন।। এক মিনিটের জন্য ফোনটা হাতে নিতে পারছি না।। সে বিভিন্নভাবে কথা শুনিয়ে যাচ্ছেন।।

রাত ১২ টা বাজে রিয়া আপু সেই আগের মতো ছাদে গিয়ে রাকিবের সাথে গভীর প্রেমালাপে মগ্ন।। মেজাজটা এত্ত খারাপ লাগে।।প্রচুর কাঁন্না পাচ্ছে।। আমার কি আর উনার সাথে কথা বলা হবে না।। খুব মিস করছি ডেভিলটাকে।। কিচ্ছুক্ষণ পর কে যেন ধপাস করে আমাদের রুমের দরজাটা খুললে লাইট অন করে দেখি চাচী(রেহানের আম্মু) আর আমার আম্মু এসে হাজির।। কি ব্যাপার এত রাতে উনারা কেন,,,।।চাচী গম্ভীর মুখে আমার দিকে উনার ফোনটা এগিয়ে দিয়ে বলে উঠলেন,,,,
-নিসা নে রেহান কল করেছে জরুরি কিছু নাকি বলবে তাই এত রাতে নিয়ে আস্তে বাধ্য হলাম ,,,,, ধর,,,,(আমার হাতে ফোনটা গুজে দিয়ে)

কথাটা শুনে মনের ভেতর টায় আনন্দে ভরে গেলো।। যে মানুষটার সাথে আমি সারা রাত কথা বলতাম তার সাথে আমার কড়ায়গণ্ডায় ৩ টা দিন কোনো যোগাযোগ নেই।।আম্মু আর চাচী পাশে দাঁড়িয়ে আছেন তাই একটু ইতস্তত করে শান্ত কন্ঠে কথা বলতে শুরু করলাম,,,
-হ্যালো,, ভালো আছেন,,,
– কয়টা প্রেমিক জুটিয়েছিস তুই,, সারা রাতভর ওদের সাথে প্রেম করছিস তাই না,,,,, (রুক্ষ রাগান্বিত কন্ঠে)
-আমি,,,,

কথাটা বলে উনি ফোনটা কেটে দিলে আমি নিস্তব্ধ হয়ে বসে থাকি।।কার প্রেমিক কিসের প্রেমিক কি বলছেন এগুলো।।আর এত দিন পর আমাকে বলার উনার এই কথা গুলো ছিল।।এটা ভেবে চোখের জল ফেলতে লাগলাম।।

৮দিন হয়ে গেছে কিন্তু রিয়া আপুর কোনো উন্নতি নেই দিন দিন আরও অবনতি হচ্ছে।।

একদিন দুপুর বেলা রিয়া আপুমনি ওয়াশরুমে থাকলে আমি চুপিচুপি ফোনটা নিজ রুমে নিয়ে এসে অন করলে দেখি সে আমার দেয়া লকের পাসওয়ার্ড অব্দি পাল্টে ফেলেছে।।এই ডাইনিটার মাথায় কি চলছে আমি কিছুই বুঝতে পারছি না।।আমাকে কোন ভাবেই রেহানের সাথে কথা বলতে দিচ্ছে না।। আসলে কি চাচ্ছে সে,,,।। মনটা বেস খারাপ হয়ে গেলো ।।কেন করছে এসব।।

সন্ধ্যায় মন মরা হয়ে বারান্দায় বসে আছি।। এমন সময় রিয়া আপুমনি এসে আকুতি মিনতি করে বলতে থাকেন,,,,,
-নিসা রাকিবের না আগামীকাল জন্মদিন ভাবছি ওঁকে দামী কিছু দিবো,,, তোমার গলার চেইনটা তো অনেক সুন্দর আর “R” রকেট ও আছে,,,
-প্লিজ না আপু আমি এটা দিতে পারবো না,, আর তুমি আমাকে আমার ফোনটা দিয়ে দাও প্লিজ,,
-রাকিবের অনেক বন্ধু আসবে উদের সামনে আমাকে কিছু দামী দিতেই হবে,,, তুমি বারন করো না নিসা আমি প্রোমেস করছি তোমাকে তোমার ফোনটাও ফেরত দিবো আর চেইনটাও প্লিজ প্লিজ প্লিজ,,,,

এমনভাবে বলছেন তাকে আর বারন করতে পারলাম না।

পরেরদিন রিয়া আপু জোর করে আমাকে রাকিবের বার্থডে তে নিয়ে গেলেন।। আমি যেতে চাইনি।। এমনিতেই মন মেজাজ দুটোই খারাপ হয়ে আছে।।যাইহোক,,,,, সেখানে গিয়ে আমি হতভম্ব হয়ে গেছি উনার নাকি বার্থডে কিন্তু বাড়ির পরিবেশ দেখে তা একদম মনে হয় না।। কোনো ডেকরেশন নেই।। কয়েকটা ছেলে আর মেয়ে আর একটা কেক।।

যাইহোক গিফট দেয়ার পালা এলে রিয়া আপু আমার চেইনটা রাকিব ভাইয়ার দিকে এগিয়ে নিয়ে বলে উঠেন,,,,

-রাকিব জানো নিসা তোমার জন্য এই চেইনটা কিনেছে,,,
-ও তাই নাকি তাহলে নিসাকে পড়াতে দাও ,,
-হুমমম আচ্ছা,,,
আমি ভেবাচেকা খেয়ে তাদের দুজনের দিকে তাকিয়ে আমতা আমতা করে শেষমেষ রেহানের কথা চিন্তা করে রাকিব ভাইয়াকে বলে ফেললাম,,,
-না পারবো না,,,,, রেহান জানতে পারলে খারাপ ভাববে,,,, রিয়া আপু পড়িয়ে দিবে,,,
-ভাই কিভাবে জানবে নিসা তোমাকে বলছে তুমি পড়াও তাতে কি হয়ে যাবে,,,,

এক পর্যায়ে রিয়া আপুর জোরাজুরিতে আমি রাকিব ভাইয়ার গলায় রেহানের দেয়া চেইনটা পড়িয়ে দি।।কিছুক্ষণ পর গলাটা শুকিয়ে এলে রিয়া আপু আমাকে এক গ্লাস জোস দেন যা খেয়ে কিছুক্ষণ পর আমি গভীর নিদ্রায় তলিয়ে পড়ি,,,, চোখ খুলে দেখি আমি সোফায় বসে আছি রিয়া আপুড়া এখানেই আছেন।।মাথাটা কেমন যেন চারদিকে ঘুরপাক খাচ্ছে।। শরীরটা খারাপ লাগতে শুরু করেছে,,,।।আর এক মিনিটও এখানে সহ্য হচ্ছে না।।

দেখতে দেখতে পেরিয়ে গেলো ১৪ টি দিন আগামীকাল রেহান আসবে।। কত দিন উনাকে প্রান ভরে দেখি নি।।কথাও তেমন বলতে পারিনি।।বলবই বা কি করে আম্মুর ফোনে কল দিলে আমি যতক্ষণ না কথা শেষ হচ্ছে ততক্ষণ পাশে দাড়িয়ে থাকেন।। তারপর আবার ফোন হাতে করে নিয়ে চলে যান।। মন খুলে যে একটু কথা বলবো তারও কোন উপায় নেই।। জানি না কেন কিন্তু উনার কথা মনে পড়লেই আমার চোখে জল চলে আসতো।। খুব ভালোবাসি আমার ডেভিলটাকে।। কথাগুলো ভাবছি হঠাৎ রিয়ে আপু এসে বলে চাচী (রেহানের আম্মু) নাকি আজকের রাত টা আমাকে আর রিয়া আপুকে রেহানদের ফ্ল্যাটে থাকতে বলেছেন।।আম্মু কথাটা শুনে আমাকে সেখানে পাঠাতে ইতস্তত করলে আমি জেদ ধরে বসি যে আমি রিয়া আপুর সাথে রেহানদের ফ্ল্যাটে ঘুমাবো।। (আমার হবু শ্বাশুড়ি মায়ের অর্ডার বলে কথা)

কিছুক্ষণ পর মনের আনন্দের সাথে রেহানদের ফ্ল্যাটে গিয়ে দেখি রিয়া আপুর বান্ধবী ২ভাই গম্ভীর মুখে ড্রয়িং রুমে বসে আছেন।। সত্যি বলতে আমি জানতাম না ওরা এসেছেন।। যাইহোক আমি এক দৌড়ে রেহানের রুমে গিয়ে পড়ার টেবিলটায় বসে উনার খাতায় একটা বড় একটা লাভ আর্ট করে ভেতরে (I love you Rehan) লিখে নিচে ছোট করে লিখে দিলাম,,,, “আপনার আদরের বউ নিসা”,,,,,

তারপর চাচীর ফোনটা নিয়ে রেহানকে কয়েকবার কল দিলে প্রতিবারই বিজি দেখালে আমি মন খারাপ করে ফোনটা হাতে নিয়ে বসে আছি।। একটু পর রিয়া আপু রুমে এসে আতংকের সাথে আমাকে বলতে থাকেন,,,,,,

-নিসা তোমাকে মামানি ডাকছেন ,,,
-কি ব্যাপার আপু,,
-জানি না,,,
-ওকে আপু আসছি,,

কিচেন রুমে গিয়ে ফোনটা টেবিলে রেখে দিলে চাচী আমাকে দেখে কাছে এসে আমার দিকে একটা মেয়ের ছবি এগিয়ে দিয়ে বলতে লাগলেন,,,,

-মেয়েটাকে দেখতো নিসা,,,,,

আমি এক নজর ছবিটার দিকে তাকিয়ে একটু মুচকি হেসে বললাম,,,
-সুন্দর চাচী,,
– জানিস তো ওরা অল ফ্যামিলি ২০ বছর যাবৎ অস্ট্রেলিয়া থাকে বিশাল সম্পত্তির মালিক কিছুদিন পর দেশে ফিরবে,,,
-ওও ভালো কিন্তু মেয়েটা কে?,,
-তোর চাচ্চুর বন্ধুর মেয়ে,,,,,অরিন যিনহা নিশা রেহানের হবু বউ,,,,,
-বউ,,,,,,,,,
কথাটা শুনে আমার উপর যেন আকাশ ভেঙে পরলো।। এতটা খারাপ লাগছে যা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না।।আমার নিরবতা দেখে চাচী আবার বলতে শুরু করলেন,,,,,
-হবু বউ বলতে,,, যখন রেহান ৫ বছরের ছিল তখনই অরিনের সাথে রেহানের বিয়ে হয়ে গেছে এখন মাত্র অনুষ্ঠান করে সব বিধান মেনে লিগ্যালী ঘরে তুলব,,,

কথাগুলো বলতে বলতে চাচী আমার দিকে কয়েকটা পুরনো ছবির এ্যালবাম দেখালেন যেখানে ছোট রেহান বর সেজে বসে আছে উনার পাশে লাল টুকটুকে কনে।।ছবি গুলো দেখে নয়ন থেকে অঝোরে পানি পরছে।। বারুদ্ধ হয়ে গেছি আমি।। বুকটা কষ্টে ফেটে যাচ্ছে,,,,,,চলবে
#তোমাকে_চাই
#আরবী_আরভী
বাস্তব জীবনকাহিনী

#Part_24 (Season 2)
#শেষ_পর্ব

কথাগুলো বলতে বলতে চাচী আমার দিকে কয়েকটা পুরনো ছবির এ্যালবাম দেখালেন যেখানে ছোট রেহান বর সেজে বসে আছে উনার পাশে লাল টুকটুকে কনে।।ছবি গুলো দেখে নয়ন থেকে অঝোরে পানি পরছে।। বারুদ্ধ হয়ে গেছি আমি।। বুকটা কষ্টে ফেটে যাচ্ছে।।হাত পা কাঁপছে।। আমার অবস্থা দেখে চাচী কৌতুহল হয়ে জিজ্ঞাসা করে বসলেন,,,,
-নিসা তুই খুশি না,,,, তোর একটা মাত্র চাচাতো ভাই এত ভালো জায়গায় বিয়ে করছে আর কাঁদছিস,,,,

কি বলবো বুঝে উঠতে পারছি না।। নিচের দিকে তাকিয়ে শুধু কেদেই চলেছি।। কথার জবাব না পেয়ে চাচী নিজেই বলতে শুরু করেন,,,,
-কি রে বল কেন কাঁদছিস,,,, আমার ছেলের সাথে প্রেমলীলা শেষ বলে নাকি ওর কাছ থেকে আর টাকা হাতিয়ে নিতে পারবি না বলে হুমমম কোনটা,,,,

কথাটা শুনে বুকের ভেতরটা ধুপধুপিয়ে উঠলো।। তাহলে কি চাচী সব জানেন।।আর দেরি না করে ফুঁপিয়ে কেদে উঠে দৌড়ে গিয়ে চাচীর পা দুটো আগলে ধরে চোখের পানি ছেড়ে আকুতি মিনতির সাথে বলতে লাগলাম,,,,
-আমি আপনার ঘরের চাকরানী হয়ে থাকবো তাও প্লিজ আমাকে রেহান থেকে আলাদা করবেন না চাচী,,,,(কাদতে কাদতে)

চাচী আমার মন্তব্য শুনে চুলের মুঠো ধরে তার পা থেকে আমাকে সরিয়ে টেনে উঠিয়ে গালে কষে একটা থাপ্পড় দিয়ে রাগান্বিত কন্ঠে বলে উঠলেন,,,,,
-ফকিরের মেয়ে বলে কি,,,, তোর আব্বুর কি আছে যে তোদের সাথে আমাদের আত্মীয় করতে হবে,,,, তোর আব্বু পারবে আমাদের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে,,,,,,,
-আমি টাকার জন্য কিচ্ছু করিনি চাচী আপনার ছেলেকে অনেক অনেক ভালোবাসি আমি,,, বাঁচতে পারবো না উনাকে ছাড়া,,,,,
-না বাঁচতে পারলে মরে যা আমার ছেলের মাথা খাচ্ছিস কেন,,, দেখ নিসা ভালো এতেই তুই রেহানকে ভুলে যা,,,
-পারবো নাগো চাচী উনাকে ভুলে গেলে আমি নিজেই মরে যাবো,,,, আপনার দুটো পায়ে ধরছি একটু দয়া করেন আমার উপর,,,,

কথাগুলো শেষ না করতে পাশ থেকে রিয়া আপু এসে খুব জোরে আমার চুলগুলো ধরে নাক মুখ লাল করে রাগান্বিত কন্ঠে বলতে থাকলেন,,,,
-তোর জন্য ভাইয়ের বিয়েতে যদি কোন প্রব্লেম হয় তাহলে তোর এমন হাল করবো সমাজে আর মুখ দেখানোর যোগ্য থাকবি না,,,,,
-আমি উনাকে ভালোবাসি উনাকে ছাড়া বাঁচবো না আপু ।। ,,,,,(করুন কন্ঠে)

চাচী রিয়া আপুকে আমার কাছ থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে আমাকে সাবধান করে বলতে লাগলেন,,,,,
-দেখ নিসা তোর সাথে কথা বারাতে চাই না,,, তোদের ফ্যামিলির সাথে আমাদের ফ্যামিলির কোন এংগেলে মিল নেই,,, তাই ভালো এতেই তুই রেহানকে ছেড়ে দে,,,,
-আমি পারবো না ছাড়তে উনাকে মরেই যাবো উনাকে ছাড়া,,,,,(কাঁদো কাঁদো কন্ঠে)

কথাটা বলে এক দৌড়ে নিজ ফ্ল্যাটে এসে বারান্দায় গিয়ে রেহানের কথা মনে করে কাদতে লাগলাম।।কোথায় আপনে রেহান প্লিজ চলে আসুন।।আপনাকে ছাড়া আর এক মূহুর্ত থাকতে পারছি না।। আপনার কি আমার কথা এক বারও মনে পরছে না,,।।

গতকাল সারা রাত ঘুমুতে পারিনি।। কত দিন রেহানকে দেখি না।। আজকে মন ভরে দেখবো।। আয়নার সামনে দাড়িয়ে কথাগুলো ভাবছি এমন সময় রেহান রুমে এসে ধপাস করে দরজাটা বন্ধ করলে আমি উনাকে দেখে বুক ভরা আনন্দ নিয়ে দৌড়ে কাছে গিয়ে জড়িয়ে ধরি।। উনি আমাকে নিজ থেকে সরিয়ে নিয়ে একটা ধাক্কা দিয়ে দেয়ালের সাথে মিশিয়ে মুখুটা চেঁপে ধরে রাগান্বিত কন্ঠে বলতে লাগলেন,,,,,

-মরে গেছিলি,,,, নাকি ছেলেদের সাথে মেতে ছিলি ,,,,(নাক মুখ লাল করে)
-কি বলছেন এসব রেহান,,,,,
-আচ্ছা তোর গলার চেইনটা কই রে,,,,আমার ভালোবাসার গিফট কোথায় নিসা,,,

চেইনটার কথা শুনে আর উনার এরুপ আচরণ দেখে ভয়ে আমার কলিজাটা একদম ছোট হয়ে গেছে।। রাকিবের কথা বললে তো এখন আমাকে মেরেই ফেলবেন তাই আমতা আমতা করে কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলে উঠলাম,,,,

-আ,আ,, আম্মুর কাছে রেখে দিয়েছি,,,
-চাচীর কাছে ওকে গিয়ে নিয়ে আসছি,,

কথাটা শুনে আমি উনাকে থামিয়ে দিয়ে ভিতু কন্ঠে বলতে লাগলাম,,,
-আসলে রিয়া আপুর কাছে আছে,,,,

উনি ভীষন রেগে আমাকে কষে একটা থাপ্পড় মেরে উনার ফোনটা থেকে আমার আর রাকিবের গলায় চেইন পড়ানোর ছবিটাসহ কিছু বাজে ছবি দেখিয়ে ধমকের সুরে বলতে লাগলেন,,,,
– কে ছেলেটা সত্যি করে বল,,
-আমি জানি না এ কে ,,,,,
-আমি শেষবার জিজ্ঞাসা করছি নিসা বল ছেলেটা কে তোর জামাই নাকি কাস্টমার,,,
-আল্লাহর দোহাই রেহান প্লিজ চুপ করেন,,,,,
-ওওও তুই করতে পারিস আর আমি বললেই দোষ রিয়া আমায় সব বলেছে ,,,,,বল কে ছেলেটা,,,,, বল,,,,,(অনেক রেগে ধমকের সাথে)

নিস্তব্ধ হয়ে গেছি।। কি বলবো বুঝতে পারছি না।। চোখ থেকে অনাবরত পানি পরছে।।এখন বুঝতে পারছি ডাইনী রিয়াটা কেন আমাকে রেহানের সাথে যোগাযোগ করতে দিচ্ছিল না আর এসব বা কার কাজ,,।।।আমার নিরবতা দেখে রেহান ঝলসানো আগুনের নেয় হয়ে জিন্স থেকে বেল্টটা খুলে খুব জোরে জোরে আমার গায়ে আঘাত করে ধমকের সাথে বারে বারে একই প্রশ্ন করতে লাগলেন,,,,

-আমার অনুপস্থিতিতে আর কার কার সাথে নোংরামি করেছিস,,বল,,
-বিশ্বাস করেন আমি কিচ্ছু করিনি প্লিজ আমার কথা শুনুন রিয়া আপু আহহহহহহহ,,,,

এদিকে তিশা আপু আমার চিল্লাচিল্লির শব্দ শুনে সেই কখন থেকে একনাগারে দরজা ধাক্কাছেন কিন্তু রেহানের সে দিকে খেয়াল নেই।। উনার মুখে একই প্রশ্ন লেগে আছে আর আমার তো কোনো কথাই শোনছেন না যতক্ষন না আমার শরীরটা রক্তাক্ত হয়ে গেলো।।

মেঝেতে ছিটকে পড়ে আছি।। রেহান আমাকে টেনে হিছরে তুলে মুখের উপরে বলে দিলেন,,,,
-আর কোন দিন যদি এই অপবিত্র দেহ টা নিয়ে আমার সামনে এসেছিস তাহলে খুব খারাপ হয়ে যাবে,,,,,

কথাটা বলে রেহান দরজাটা খুললে তিশা আপু আমার অবস্থা দেখে আতংকের সাথে বলে উঠেন,,,
-কেন মেরেছেন নিসাকে,,,,
-তোর চাচাতো বোন একটা নষ্টা তাই মেরেছি,,,,,

ঘটনাস্থলের পর থেকে রেহান আমাকে ইগনোর করতে শুরু করে।।তাই উনার সামনে রিয়া আর চাচীর মুখোশ খুলতে পারিনি।। কার জন্য করবো এত কিছু।। উনি তো এখন আমাকে শুধুই ঘৃনা করেন।। আমার চেহারা পর্যন্ত দেখতে চান না।।
যাইহোক তার কিছুদিন পর অরিন আপু দেশে এলে রেহান আর তার বিয়ের দিনক্ষণ পাকা করা হয়।। রেহান একদম রাজি ছিলেন না তারপর নাকি উনার আম্মু ব্যাপারটা ম্যানেজ করে নেন।।কত সপ্নই না দেখেছিলাম উনার বউ হবার।। এক সাথে সারাটি জীবন পার করার।।তা বেস উনি ভালো থাকলেই আমি ভালো থাকবো।। আমার উনার প্রতি কোন অভিযোগ নেই কিন্তু দুঃখ একটাই উনি যদি একটু চেষ্টা করতেন তাহলেই সত্যি টা জানতে পারতেন।।

সারা টা দিন কেঁদেছি।। বিয়ে কার্ড পিপলস ইনভাইট করা সব হয়ে গেছে।আজ আমার ডেভিলটার হলুদ সন্ধ্যা।। নিচে বেস ঝাকজমক পরিবেশ।। ধুম ধুম গান বাজছে।।মানুষের কোলাহলের শেষ নেই।।আমাদের কলোনির মালিক শিল্পপতি হামিদ চৌধুরীর একমাত্র ছেলে রেহান চৌধুরীর আজ গায়ে হলুদ তা কি চাট্টিখানি কথা।।মোটেও না।। সবাই খুব চমৎকারভাবে সেজে নিচে চলে গেছে অনেক আনন্দ করছে।আনন্দ নেই শুধু আমার।। যাইহোক রেহানকে কথা দিয়েছিলাম উনার আর আমার বিয়েতে আমি নাঁচবো।।আমার পোড়া ভাগ্যে রেহান তো আর নেই তাই যার সাথেই হোক না কেন আমি আমার কথা রাখবো।।

ইচ্ছে করে আমি উনার পছন্দের লাল ড্রেসটা পড়লাম।।এটা পড়লে নাকি আমাকে খুব সুন্দর লাগে।। সেজেগুজে নিচে যাওয়ার পর আমি দেখি কত ছেলেমেয়ে একসাথে ডান্স করছে চাচী আম্মু সব আপুরা ভাইয়ারা খুব ইনজয় করছেন।। চাচীর তো মুখ থেকে হাসি পরছেই না।। খুব খুশি উনি।। হবে নাই বা কেন একটা মাত্র ছেলের বিয়ে তাও আবার এত্ত বিত্তশালী মেয়ের সাথে।।।আর আমার ডেভিলটা কে তো নীল পাঞ্জাবি তে বেস হট লাগছে।। ইচ্ছে করছে এখনও কাছে গিয়ে ঠোঁটগুলোতে কয়েকটা চুমু খেয়ে আসি।।কিন্তু এখন তো আর পারবো না।। সব শেষ হয়ে গেছে।।

কথাগুলো ভেবে চোখ থেকে দু ফোঁটা জল গড়িয়ে পরলো।।

কিছুক্ষণ পর নাচ করলাম রেহানকে এক হাতে মেহেন্দি দিয়ে খুব যত্নসহকারে (রেহান +অরিন) লিখে দিলামা।।আমার পক্ষে যতটুকু করার সম্ভব ছিল আমি সব করেছি।। আর পারছি না নয়ন বেয়ে জল পরছেই তো পরছে।।বুকের বাম পাশটাতে কেমন যেন ব্যাথা অনুভব করছি।। নিশ্বাস নিতে করষ্ট হচ্ছে আমার ।। বুকটা ফেটে খানখান হয়ে যাচ্ছে।। যাকে ছাড়া আমার এক মুহূর্ত কাটে না তাকে ভুলে থাকবো কি করে।।আর সহ্য হচ্ছে না।।শেষমেশ আগামীকাল উনার বিয়ে সমাপ্ত হওয়ার পর নিজেকে শেষ করে দিবো বলে উদ্দোগ নিলাম।।

গভীর রাত শুয়ে আছি।। নিচে এখনও মানুষ আমার একদম শান্তি লাগছে না।। তাই উঠে ছাদের দিকে রওনা দিলাম।।এখানে আমার আর রেহানের কত স্মৃতি জড়িয়ে আছে তা ভাষায় বলার মতো না।।।ছাদের গ্রিল ধরে আকাশটার দিকে তাকিয়ে চোখ থেকে পানি ফেলে মনের অজান্তে গানে সুর ধরলাম,,,,

Kuch khas tha iye janlete zoh,,, meri nazarse dekha hota tumne,,,,is baat ka sirf gham hoya mujhko thorisi bhi koshis nahi kiya tumne,,, isme tera ghata mera kuch nahi jata,,,,,,,,,

হঠাৎ কারো উপস্থিতি লক্ষ্য করে গানটা থামিয়ে পেছনের দিকে মোড়ে দেখি রেহান এসেছেন।।।আমি উনার দিকে তাকিয়ে আছি উনিও আমার কাঁন্নারত মুখটার দিকে তাকিয়ে আছেন।।একপর্যায়ে আমি সেখান থেকে চলে আসতে চাইলে রেহান আমার হাতটা ধরে পকেট থেকে একটা সিগারেট বের করে জ্বালিয়ে বলতে শুরু করেন,,,

-কেমন আছিস,,,,
-খুব ভালো,,,,,(রুক্ষ কন্ঠে)
-আমার সাথে অরিনকে কেমন লেগেছে,,,
-আমাকে জিজ্ঞাসা না করে নিজেরা আয়নায়র সামনে গিয়ে দাঁড়ান তাহলেই বুঝতে পারবেন,,,,,,
-খুব রেগে আছিস,,,
-নাতো আমি রাগবো কেন আজব,,

কথাটা শুনে রেহান সিগারেটটা ফেলে দিয়ে পকেট থেকে ফোনটা বের করে কাকে যেন কল দিয়ে বলতে থাকেন,,,,
-রেডি করেছিস,,,,
-হুমম,,,,,,(ওপাশ থেকে আওয়াজ)
-গোড তাড়াতাড়ি ছাদে চলে আয়,,,,,

আমি ভেবাচেকা খেয়ে দাড়িয়ে থেকে উনার ফোনালাপ শুনছি।। কি বলছে কাকে বলছে কিছুই বুঝতে পারছি না।। কিছুক্ষণ পর সাব্বির ভাই (রেহানের বেস্ট ফ্রেন্ড) সহ আরো কয়েকটা ছেলেপেলে ছাদে এসে হাজির।। আমি হতভম্ব হয়ে সাব্বির ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে থাকলে উনি আমার দিকে একটা কালো বোরকা এগিয়ে দিয়ে বলতে লাগলেন,,,,
-নেন ভাবী তাড়াতাড়ি পড়ে নেন,,,
-কি এটা,,, ( কৌতুহল হয়ে)

পাশ থেকে রেহান আমার হাতটা ধরে টেনে ব্যাস্ত কন্ঠে বলে উঠলেন,,,,
-কথা বলার সময় নাই,,,,,
-কেন কি হয়েছে,,,
-কাজি অফিসে যাবো,,,,
-কেন,,,,,(অবাক হয়ে)
-কিভাবে মানুষ বিয়ে করে তা দেখতে আমি জম্মেও তা দেখেনি ,,,, গাধা ,,,বিয়ে করবো তোকে,,,
-কুত্তার মতো মেরে এখন আসছে বিয়ে করতে,,,,
-জান,,প্রান,,,ময়না,,টিয়া,,,,শালিক,,,,
দোয়েল,,, কাক,, সরি,,,,ক্ষমা করে দাও আর কখনও মারবো না এখন থেকে শুধু আদর করবো

– পালিয়ে বিয়ে অ স,ম্ভ ব, রাত পোহালে অরিন আপুর সাথে আপনার বিয়ে আর এখন আপনে আমাকে এসব বলছেন লঁজ্জা করে না আপনার,,,, (অভিমানী কন্ঠে)
-নিসা তোর হাত ধরি পায়ে ধরি প্লিজ টাইম ওয়েস্ট করিস না,,, আচ্ছা তুই কি আমাকে আর ভালোবাসিস না।। আমাকে ছাড়া তুই বাচতে পারবি বল,, জানি পারবি না আমারও একে অবস্থা
– কিন্তু রেহান চাচী কি মানবে আর আমার আব্বু আম্মু,,,লোকে কি বলবে,,
-আরে কয়েক বছর পর ৪-৫ টা বাচ্চা নিয়ে হাজির হলে ওরা এমনিতেই মানতে বাধ্য,,,,,(সব বন্ধুরা হেসে)
-কিইইইইইই ,,,,,,(একটু লজ্জাবোধ করে)
-কি না,, জ্বি এবার চলেন,,,,
-রেহান ওয়েট ওয়েট,,,,
-কি হয়েছে,,
-আমার কেন জানি না এত্ত কিচ্ছু একদম বিশ্বাস হচ্ছে না একটা চিমটি কাটেন প্লিজ্,,,(খুশিতে লাফিয়ে)

কথাটা শুনে রেহান আমার দিকে আস্তে আস্তে এগিয়ে এসে উনার ফ্রেন্ডসদের সামনে আমার গালে খুব জোরে একটা কামড় বসিয়ে দেয়।।আর ওর ফ্রেন্ডরা খিলখিলিয়ে হেসে উঠে।। যত্তসব ডেভিল একটা।।এত্ত ভালো লাগছে না যা বুঝাতে পারবো না।।

তারপর লোকচক্ষুর অন্তরালে রেহানের হাতটা শক্ত করে ধরে চুপিচুপি একটা গাড়িতে গিয়ে উঠলাম,,, তারপর সোজা কাজি অফিস।। উনার এরুপ পরিবর্তনের কারন জিজ্ঞাসা করলে উনি জানান যে সাব্বির ভাই নাকি খুব কড়া করে রিয়া আপুকে ছেঁছা দিয়ে সত্যিটা জানতে পেরেছে।।। আমি তো হাসতে হাসতে শেষ,,,,,খুব খুব খুব খুশি আমি আবার অরিন আপুর জন্যও অনেক খারাপ লাগছে।। জানি সবাই আমাদের মেনে নিলেও রেহানের আম্মু আমাকে কখনও মেনে নিতে পারবেন না তবুও আল্লাহ ভরসা,,,,,,,☺

______________The end_________

{নিসা আপুর সাহায্য ছাড়া এটা লেখা আমার জন্য ইম্পসিবল ছিল।।গল্পের মাধুর্যতা বৃদ্ধির জন্য অনেক বাক্য ব্যবহার করা হয়েছে।।। আমি আমার সবটুকু দিয়ে গল্পটা সুন্দর করে আপনাদের মাঝে ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছি।।শুরু থেকে শেষ অব্দি যারা আমার এই গল্পটা পড়েছেন এবং আমাকে সাপোর্ট করেছেন তাদের প্রতি ডিপ হার্ট থেকে অনেক অনেক গুলা ভালোবাসা,,, সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন,,,,আর ভুলত্রুটি হলে ছোট বোন মনে করে ক্ষমা করে দিবেন,,,,,,,ধন্যবাদ ?}

1 মন্তব্য

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে