তোমাকে_চাই 17+18

0
1774

তোমাকে_চাই 17+18

#আরবি_আরভী
বাস্তব জীবনকাহিনী,,,,,,,,,,

#Part_17 (Season 2)

তার মধ্যে মনে পরলো হায় হায় আমার না ডেড এসে পরেছে কিন্তু ব্যাগেতো কিছু আনিনি কথাগুলো ভাবা মাত্রই ইতিমধ্যে নিজের নিচটায় ভিজে যাওয়া অনুভুতিও স্পষ্ট।। আমার আর বুঝতে বাকি রইল না হায় আল্লাহ!! আমি এখানেই পিরিয়ড হয়ে গেছি নাকি এখন কি হবে।।রেয়াহকে তো আমি এসবের কথা একদম বলতে পারবো না।। শত হলেও উনি আমার চাচাতো ভাই মানলাম আমাদের একটা অন্যরকম রিলেশন হয়েছে তাই বলে এসব বলবো।।উনি কিভাবে রিয়েক্ট করবেন জানিনা।। লজ্জারো একটা ব্যাপার আছে।। আর আদৌ উনি এসবের কথা শুনেছেন কি না তাও জানা নেই আমার।। কিন্তু আমি এখন করবো তো করবো টা কি???

রীতিমতো ওয়েটার বিল নিয়ে এসেছেন আর রেহান বিন্দাস মনে বিল পেয় করে তাকে আবার ট্রিটও দিয়ে মানিব্যাগটা পকেটে রাখতে রাখতে আমার দিকে তারাহুরার ভাব নিয়ে উঠে আসতে ইশারা করলে আমি ইতিমধ্যে ঘেমে একাকার হয়ে শক্ত হয়ে মূর্তির মতো চায়ারে বসে নিচের দিকে তাকিয়ে নয়ন ভেজাচ্ছি।। উনি আমার অবস্থা দেখে অবাক হয়ে বলতে লাগলেন,,,
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি মাসে জিতে নিন নগদ টাকা এবং বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।

গল্পপোকার এবারের আয়োজন
ধারাবাহিক গল্প প্রতিযোগিতা

◆লেখক ৬ জন পাবে ৫০০ টাকা করে মোট ৩০০০ টাকা
◆পাঠক ২ জন পাবে ৫০০ টাকা করে ১০০০ টাকা।

আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/?ref=share


-কি হয়েছে নিসা খাবার ভালো হয়নি,,

আমার কোন প্রতিউত্তর না শুনে উনি আবার জিজ্ঞাসা করলেন,,,
-কি রে কথা বল,,, আচ্ছা ঝাল কি বেশি হয়েছিল,,,

এবারো আমার কোন উত্তর নেই।।কি বা বলবো।। বলার মতো কিছু কি আর আছে।। উঠলে যে এখন স্কুল কামিজ বেদ করে পিরিয়ডের ছাপ স্পষ্ট হবে উনাকে তা কিভাবে বোজাবো।। তাই আবার সেই আগের মতোই পেটে ধরে নয়ন ভাসিয়ে শক্ত হয়ে বসে আছি।।ডেভিলটা এবার খুব রেগে আমাকে ধমকের সুরে বলে উঠলেন,,,
-ওয়াট দ্যা হেল নিসা!! কিছু তো বল আচ্ছা কি পেট ব্যথা হচ্ছে নাকি কি হয়েছে এভাবে রেস্টুরেন্টে বসে থাকার কোন মানে হয়,,,,
-পেট ব্যথা,,,,,(শান্ত সুরে)
-তাহলে চল ডাক্তারের কাছে যাই এখানে বসে থাকার কি আছে,,

কথাটা বলে উনি আমার হাত ধরে টানাটানি শুরু করেন আমি উনাকে থামিয়ে দিয়ে উনার দিকে করুন দৃষ্টিতে তাকালে উনি আমার চোখগুলোর দিকে তাকিয়ে থেকে আস্তে আমার হাতটা ছেড়ে দিয়ে কিছুক্ষণ নিরবতা পালন করে টেবিলের উপর উনার পছন্দের কালো জ্যাকেটা খুলে রেখে রেস্টুরেন্টে থাকা একটা মেয়ে স্টাভের সাথে গিয়ে কি যেন বিরবির করে দুজনে বেরিয়ে চলে গেলেন।।

এদিকে আমি একা একা বলে কাঁন্নার মাত্রা বারিয়ে দিলাম।। ডেভিল খরুচ রাব্বিস আমাকে বুঝিস না আবার আমার সাথে প্রেম করিস কেন।। রাগ করে চলে গেলি একবার বোঝার প্রয়োজনবোধ করলি না আমি তকে কি বুঝাতে চেয়েছি।। এখন আমি কি করবো,, হে আল্লাহ আমাকে পথ দেখান।।কথাগুলো ভেবে টেবিলে মাথাটা রেখে অঝোর নয়নে কাদতে থাকলে কিছুক্ষণ পর হঠাৎ এক তরুণীর আমাকে এসে বলে উঠে,,,,
-ম্যাম প্লিজ নারভাস হবেন না আপনে আমার সাথে আসুন,,,
আমি মাথা উঠিয়ে দেখি সেই মেয়ে স্টাভটা হাসি মাখা মুখে দাড়িয়ে আছেন হাতে একটা প্যাকেটও আছে।। আমি অবাক হয় তার দিকে তাকিয়ে থাকলে সে আবার বলতে শুরু করেন,,
-কোন টেনশন নেই আপনে আমার সাথে আসুন ওয়াশরুম ঔ দিকে।। কোমরে জ্যাকেটা বেধে নিন,,
আমি আর কথা না বারিয়ে রেহানের জ্যাকেটা কোমরে বেধে ওয়াশরুম পর্যন্ত গেলে আপু আমার হাতে প্যাকেটা দিয়ে দিলেন যার মধ্যে একটা নতুন টপ প্যাডসহ আমার দরকারী নানান জিনিসপত্র ছিল।।মনে মনে আপুটাকে হাজারটা থ্যাংকস দিলাম।। আল্লাহ আমার জন্য ফেরেশতা পাঠিয়েছেন বইকি।।

ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে দেখি আপুটা এখনো দরজার পাশে দাঁড়িয়ে আছেন আমাকে আসতে দেখে হাসি মুখে আবার জিজ্ঞাসা করলেন,,,
-আর কিছু লাগিবে??
-না মানে চেয়ারটায় স্পর্ট লেগে আছে,৷
-কোন ব্যাপার না আমরা পরিষ্কার করে নিবো বায় দ্যা ওয়ে আপনার হ্যাসবেন্ড কিন্তু খুব কেয়েরিং ভেরি লাকি গার্ল,,,,
-ওও তাই নাকি থ্যাংকস,,,
-welcome ম্যাম আপনার হ্যাসবেন্ড বাহিরে বাইকের পাশে আছে আপনাকে অন্যকোথাও যেতে বারন করেছেন ডাইরেক্ট ঔখানে যেতে বলেছেন ওকে,,
-আচ্ছা,,,
সত্যি বলতে আমি তার কথার মাথামুন্ডু বুঝতে না পেরে আলতো পায়ে হেটে বাহিরে এসে দেখি রেহান বাইকের উপর এলিয়ে মোবাইল চালাচ্ছে।। আমাকে দেখে তারাতারি করে বাইক স্টার্ট করে সোজা বাড়ি নিয়ে এলেন।।

বাড়ি এসে বাইক থেকে নামছি এমন সময় উনি বেখেয়ালী কন্ঠে বলে উঠলেন,,,
-এটা একদম নরমাল,,, এত নার্ভাস হবার কাঁন্না করার কোন মানে নেই তুই সরাসরি আমাকে বলতে পারতি।। নেক্সট টাইম এরকম কিছু হলে আপসেট হবার দরকার নেই ওকে,,
আমি নিচের দিকে তাকিয়ে বাধ্য মেয়ের মতো উনার কথাগুলো শুনে শুকনো কন্ঠে বলে উঠলাম,,,
-থ্যানংকস।।।। জ্যাকেটা ধুয়ে কালকে আপনাকে দিয়ে দিবো,,
-লাগবে না ফেলেদিস,,,
-কিন্তু এটাতো আপনার পছন্দের জ্যাকেট তাই না,,,
-হুমম কিন্তু কোনো সমস্যা নেই আমি আরেকটা নিয়ে নিবো তুই নিজের প্রতি খেয়াল রাখিস আর প্যাকেটে পেট ব্যথার টেবলেট আছে খেয়ে নিবি ওকে বায়,, রাতে কল করবো টেক কেয়ের,,,(আমার গালে তার হাতটার স্পর্শ ঘটিয়ে)

কিছুদিন পর রাত ১১ টা বাজে উনার সাথে ফোন আলাপ হচ্ছে আজকে নাকি উনার এক ফ্রেন্ডের ওয়েডিং ছিল দাওয়াত পেয়েও যাননি ওরা নাকি বারে বারে কল দিচ্ছে কিন্তু উনি যাবেন না বলে কল কেটে দিচ্ছেন।। কথাটা শুনে আমি উনাকে উনার ফ্রেন্ডের ওয়েডিংয়ে গিয়ে সবাইকে সারপ্রাইজ দেয়ার জন্য পরামর্শ দিলে উনি আমাকে সাবাশি দিয়ে বলে উঠলেন,,,
-গোড আইডিয়া!! চল ঝটপট করে রেডি হয়ে নে,,,,
আমি হতভম্ব হয়ে উনাকে উত্তর দিলাম,,,
-ওয়াট আমি কেন যাবো আমার ফ্রেন্ড নাকি আর আমাকে কি দাওয়াত দিয়েছে নাকি,,
-আমাকে তো দিয়েছে,,
-তো আপনে যান আমাকে কেন বলছেন,,,
-তুই আমার বউ না?
-তো,,,
-তো আমি যেখানে যাবো তকেও সেখানে যেতে হবে,,
-এত রাতে আমি সাজুগুজু করবো কি করে আর বের বা হবো কি করে,,,
-এত কিছু বুঝি না আমাকে ভালোবাসলে তুই যাবি আমার সাথে আমি নিচে ওয়েট করছি,,,
-রেহান প্লিজ,,,
-আমি যা বলার বলে দিয়েছি,,,
-উফফফফ ওকে ওকে আসছি আমি,,
-জানতাম আসবা,,, লাভ ইউ জান উমমমমমমমমা তারাতারি চলে এসো,,,

আমি আর চেইঞ্জিং না করে মাথায় ৩ ইঞ্চি একটা গোমটা দিয়ে অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও দরজাটা আস্তে করে খুলে বাইকে করে উনার সাথে চলে গেলাম উনার ফ্রেন্ডের ওয়েডিংয়ে।।

সেখানে গিয়ে মনটা অটোমেটিকলী ভালো হয়ে গেলো কি সুন্দর করে সাজিয়েছে বাড়িটা জাস্ট ওয়াও।।চারদিকে সাউন্ড বক্সের আওয়াজ।। সুইমিং পোলের ধারে অসংখ্য মানুষের কোলাহল।। বাচ্চারা ছুটাছুটি করছে।।বিশাল টাকার মালিক মনে হয় ওরা।। এমন্তা অবস্থায় আমার পোষাকটা একদম বেমানান তাই মনটা খারাপ।।

যাইহোক এত লোকের ভীড়ে হাটা খুব মুশকিল রেহান আমার হাতটা ধরে আছেন আমিও উনার হাতটাকে খুব শক্ত করে আগলে রেখেছি।।

ভেতরে ঢুকে আমি পুরো অবাক মেয়েরা আর ছেলেরা মিলে নাচ করছে।।রমরমা পরিবেশে যেটাকে বলে আরকি।।আমি তাদের নাচ দেখতে দেখতে কখন যে উনার বন্ধুদের সামনে চলে এসেছি আমার ঠিক মনে নেই।। বরের পাশেই বসে আছে উনার সব বন্ধুরা কেউ গল্প করছে কেউ সেল্ফি তুলছে।।রেহানকে দেখে সবার দৃষ্টি একদিকে পরে গেলে হৈচৈ করে কেউ উনাকে দেরি করে আসার জন্য বকুনি দিচ্ছেন কেউ বা দেরি করে আসার কারন জানতে চাচ্ছেন কেউ বা প্রথমে আসবে না বলেছিলেন কেন সেই বিষয়ে প্রশ্ন করছেন।। উনি কাকে কি বলে শান্ত করবেন সেই কৌশল ভুলে মৃদু হেসে যেই না কিছু বলতে যাবে অম্নি টপ আর জিন্স পড়ুয়া একটা মেয়ে দৌড়ে এসে আমাকে এক ধাক্কা দিয়ে উনার পাশ থেকে সরিয়ে দিয়ে উনাকে খুব জুড়ে জড়িয়ে ধরে কানে আলতো কিস করে ডংলী কন্ঠে বলতে থাকে,,,,
-লাভ ইউ সোনা,,,জানি তো আমাকে ছাড়া তুমি একদম থাকতেই পারো না,,,

দৃশ্যটা দেখে আমার মাথা দিয়ে যেন আগুন জ্বলতে থাকে।। এই মেয়ে আবার কে।। রেহানের বা কি হয়।। যাইহয়ে অন্তত ফ্রেন্ড তো হবে না।।তার হাবভাব তা সাক্ষী দেয় না।। ওমা গো মা গায়ে এত জোর আমার ঘাড়টা এখনো ব্যথায় ঝিম ধরে আছে,,,,,,,,,
চলবে

#তোমাকে_চাই
#আরবী_আরভী
বাস্তব জীবনকাহিনী

#Part_18 (Season 2)

দৃশ্যটা দেখে আমার মাথা দিয়ে যেন আগুন জ্বলতে থাকে।। এই মেয়ে আবার কে।। রেহানের বা কি হয়।। যাইহয়ে অন্তত ফ্রেন্ড তো হবে না।।তার হাবভাব তা সাক্ষী দেয় না।। ওমা গো মা গায়ে এত জোর আমার ঘাড়টা এখনো ব্যথায় ঝিম ধরে আছে।।পুরো ২ মিনিট মেয়েটা রেহানকে জড়িয়ে রাখার পর শেষমেশ উনার বন্ধুদের কথায় উনাকে ছেড়ে দেয়।।রেহান কিছু না বলে আমার দিকে আড়চোখে তাকিয়ে ভ্রুকোচকে এগিয়ে গিয়ে বরের হাতে কি যেন একটা গিফট দিয়ে আবার আমার পাশে লক্ষী ছেলেটির মতো দাড়িয়ে পড়লেন।।।মেজাজটা এত্ত খারাপ লাগছে মনে হচ্ছে মেয়েটাকে ১০-১২ টা থাপ্পড় দিতে পারলে আমি শান্তি পেতাম।। আর এই রামছাগলটাও মেয়েটাকে কিছু বলল না।।ডেভিলটা এর ফল হাড়েহাড়ে টের পাবে।।ব্যাটা আমার সামনে তোকে অন্য কেউ জড়িয়ে ধরে আর তুই কিছুই বলিস না।।

যখন রাগে অভিমানে আমি টইটুম্বুর তখনই ডেভিলটা আমার দিকে আড়চোখে তাকিয়ে কৌতুহল দৃষ্টিতে বলে উঠেন,,,
-নাক মুখ লাল করে কি ভাবছিস,,,

আমি তার দিকে চোখ পাকিয়ে তাকিয়ে রুক্ষ কন্ঠে জবাব দিলাম,,,

-ভাবছি কয়েকজনকে খুন করে নিজে শহীদ হবো,,,
-অরে বাবা তাই নাকি,,, প্লিজ প্লিজ এমনটি করবেন না আপনে শহীদ হয়ে গেলে আমার বাচ্চাগুলো মা হারিয়ে ফেলবে তখন আমাকে আবার বিয়ে করতে হবে আর আমি দুই বিয়ে করতে চাই না,,,,,,(মুচকি হেসে)
-এত লাফানোর কিছু নেই সবার আগে আপনাকে করবো তারপর এই ডাইনীটাকে আর শোনোন আমাকে কেন ওই ডাইনীটাকে আপনার বাচ্চার মা করেন,,,
-ডাইনী কে?
-জানেন না কে,,,(রাগান্বিত চোখে)
-সাফার কথা বলছিস,,
-আপনাকে যে জড়িয়ে ধরেছে সে,,,
-নাউযুবিল্লা!! আমার নিসুটাকে ছাড়া আমি আর অন্য মেয়ের সাথে এসব ভাবতেই পারি না,,
-খুব মজা লাগে না মেয়েদের শরীরের টার্চ পেতে,,,,(গম্ভীর মুখে)
-ওয়াট!!! তোকে ছাড়া আমার অন্য মেয়েদের টার্চ করার কোন ইচ্ছা নেই ওকে,,,
-আমার জাস্ট বিরক্ত লাগছে এই জায়গাটা প্লিজ বাসায় চলুন,,,,
-মাত্র এলাম এখুনি চলে গেলে সবাই মাইন্ড করবে,,,
আমি উনার কথার উত্তরে কিছু বলতে যাবো অম্নি মেয়েটা এসে রেহানের এক হাত ধরে টেনে হেছড়ে ডান্স করতে নিয়ে গেলো।।সব বন্ধুরা মিলে ইনজয় করছে উনি কেন বাদ পরবেন।। আর আমি একা নিজ স্থানে খাম্বার মতো দাঁড়িয়ে আছি আর তেলে বেগুনে জ্বলছি।। ডাইনীটা কি অন্য ছেলেদের দেখছে না বারেবারে রেহানের উপর ঝাপিয়ে পরছে।।যত্তসব অসহ্যকর।।

কথাগুলো ভাবছি এমন সময় একটা এংরি ইয়াংম্যান আমার পাশে এসে ফোনে কাকে যেন ইচ্ছেমত বকুনি দিচ্ছে।।।গার্লফ্রেন্ডের সাথে ঝগড়া করছে হয়তো ।। পোশাক আশাকে ভদ্র মনে হচ্ছে।।সাদা শার্টে কালো টাই বেশ লম্বা চুলগুলো জেল দিয়ে সেট করা।। ভালোই লাগে ছেলেটাকে।।কিন্তু আমার তাতে কোনো মাথা ব্যাথা নেই।। আমার তো শুধু রেহানের কর্মকান্ডে খারাপ লাগছে।।

হঠাৎ ছেলেটা ভীষণ রেগে ফোনে কথা বলা বাদ দিয়ে আমার কাছে এসে
বলে উঠেন,,
-সব আপনার জন্য হয়েছে,, সব নষ্টের মূল আপনে,,
আমি ভেবাচেকা খেয়ে আস্তে করে তাকে বলতে থাকলাম,,
-কে আপনে কি বলছেন এসব,,
এবার সে করুন কন্ঠে আমাকে বলে উঠে,,

-প্লিজ একটা হেল্প করবেন?
-কি হেল্প আর আমি আপনার কি ক্ষতি করেছি,,,
-আসলে আমি এদিকে এসে একটা সেল্ফি তুলে আমার জান কে সরি গফ কে দিয়েছি সেল্ফিতে আপনেও আছেন,,,,,কিন্তু সে এখন ভাবছে আপনার সাথে আমার কিছু একটা আছে,,,,
-ওয়াট! কি বলছেন এসব আমি তো আপনাকে চিনিও না,,,
-এটাই আপনাকে এখন ভিডিও কলে আমার গফ কে বলতে হবে,,,
আমি ছেলেটার কথার মাথামুন্ডু বুঝতে না পেরে তার দিকে তাকিয়ে থাকলে সে তার ফোনটা সামনে এগিয়ে দিয়ে আমার পাশে এসে একটা মেয়ের কাছে ভিডিও কল দিলে আমাকে দেখে ওপাশ থেকে মেয়েটা রেগে ধমকের সুরে বলে উঠে,,,,
-এই মেয়ে কে তুমি সিয়ামের সাথে কি করছ,,,কি সম্পর্ক তোমাদের,,,
-আপু আমি তো ওনাকে চিনি ন..…..

কথাটা মুখেই পড়ে আছে কোথা থেকে যেন রেহান এসে আমার হাতটা শক্ত করে ধরে জোরে টেনে সেখান থেকে বেরিয়ে পরছেন।।আমি অবাক হয়ে উনাকে জিজ্ঞাসা করে বসলাম,,,,
-উফফফ রেহান হাতে ব্যথা পাচ্ছি প্লিজ ছাড়েন,,এখন আবার কোথায় যাচ্ছি,,
-খুব শান্তি লাগছিল না ছেলেটার সাথে কথা বলতে হাসতে,,,,ছেলেটাকে সেখানেই পুঁতে দিতে পারতাম কিন্তু ফ্রেন্ডের ওয়েডিং তাই ঝামেলা করলাম না,,,,,(রাগান্বিত কন্ঠে)
-মাথা খারাপ হয়ে গেছে নাকি আপনার আমি তো তাকে এর আগে কখনো দেখিনি আর শান্তি লাগার কি আছে,,,,
-কথা বাড়াতে চাই না নিসা বাড়ি চল,,

মনটা খারাপ হয়ে গেলো।। উনি কিভাবে ভাবতে পারেন অন্য ছেলেদের সাথে কথা বললে আমার শান্তি লাগতে পারে।।ঔদিকে মেয়েটাকে চিনি না বলার সময়টুকু পেলাম না।। আল্লাহ জানেন আমাকে আর ছেলেটাকে নিয়ে মেয়েটা কি আজেবাজে চিন্তা করছে।।ধুর।।

পরেরদিন দুপুরে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে গোসলের জন্য ওয়াশরুমে গেলে সেখানে পানি না পেয়ে আম্মুকে বললে আম্মু জানায় যে হঠাৎ করে নাকি আমাদের ফ্ল্যাটে পানি আসা বন্ধ হয়ে যায় ঠিক করার জন্য লোক খবর দেয়া হয়েছে তার নাকি আসতে বিকেল হবে।। স্কুল থেকে ফিরেছি তাই আমাকে এখনই গোসল করতে হবে যেহেতু মিঠি আপুদের বাসায় মেহমান আছে তাই উপায় না পেয়ে হাতে কাপড়চোপড় নিয়ে আমি রেহানদের ফ্ল্যাটের উদ্দেশ্যে রওনা দেলাম।।

আমাকে এই অবস্থায় দেখে চাচী একটু বিস্মিত হলে পরে পুরো বিষয়টা জানতে পেরে আমাকে তাদের বাসায় গোসল করার অনুমতি দিয়ে বলে উঠলেন,,,,
-আমাদের টায় তোর চাচ্চু আছে।। রেহান তো বাসায় নেই তুই রেহানের ওয়াশরুমে গিয়ে গোসল করে নে,,
-আচ্ছা,,

আমি আর দু-পাঁচ না ভেবে ডাইরেক্ট রেহানের ওয়াশরুমে ঢুকে দরজাটা লক করে ওড়নাটা ফেলে কাপড়গুলো রাখার জন্য যেইনা পাশ ফিরেছি অম্নি দেখি রেহান শাওয়ারের নিচে দাড়িয়ে আমাকে দেখে হা করে তাকিয়ে আছেন।।উনাকে দেখে রীতিমত আঁতকে উঠে চোখগুলো বড় বড় করে লজ্জায় পায়ের নিচে ওড়নাটা খোঁজে কোনোরকমে গায়ে দিলে উনি আমার কাছে এসে এক ধাক্কা দিয়ে দেয়ালের সাথে মিশিয়ে একটা ডেভিল মার্কা হাসি দিয়ে বলতে লাগলেন,,,,
-আমার সাথে গোসল করার খুব সখ না তোর তাই তো আমি যখন হট মোডে থাকি তখনই তুই চলে আসিস,,,,
-না মানে আমি জানতাম না আপনে এখানে আছেন চাচী বলেছে তাই,,,(ভয়ে ভয়ে)
-ওও আচ্ছা এখন আম্মুর উপর দোষ চাপানো হচ্ছে,,
-সরি ভুল হয়ে গেছে আমি চলে যাচ্ছি,,,(নিচের দিকে তাকিয়ে)

উনি আমার আরো কাছে এসে আমাকে তার বুকের সাথে চেঁপে ধরে,,
-এতবার ভুল কি করে হয় একটা মানুষের,,(মুচকি হেসে)
-দোষ আমার না আপনার বুঝেছেন,,, আপনে ওয়াশরুমে ঢুকেছেন দরজা লক করেন নি কেন,,,,,
-ম্যাডাম এটা আমার ওয়াশরুমে এখানে আমার যা ইচ্ছা তাই করবো,,,,, আচ্ছা কোন ব্যাপার না আজকে আমার দোষটা শুধরিয়ে নেই,,,
-মানে,,,, প্লিজ আমাকে যেতে দিন আমি সত্যি জানতান না আপনে এখানে আছেন,,,,

কে শুনে কার কথা উনি একটানে আমাকে শাওয়ারের নিচে দাড় করিয়ে ধীরে ধীরে আমার দিকে এগিয়ে আসছিলেন আমি লজ্জায় নিজের চোখগুলো বন্ধ করে নিলে উনি আস্তে আস্তে উনার ঠোঁট দুটু আমার ঠোঁটের সাথে মিশিয়ে দিচ্ছিলেন ঠিক তখনই চাচী এসে ওয়াশরুমের দরজা ধাক্কাতে ধাক্কাতে বলতে থাকেন,,,,

-রেহান,,, নিসা কি এখানে এসেছিল,,,

আমি কিছু বলতে যাবো অম্নি উনি আমার মুখটা চেঁপে ধরে চুপ করিয়ে দিয়ে বলে উঠলেন,,,,
-না আম্মু কেন,,,
-আর বলিস না ওদের ফ্ল্যটে নাকি ওয়াটার প্রব্লেম হচ্ছে তাই এখানে এসেছিল গোসল করতে।।তুই বাসায় আছিস ভুলে গিয়েছিলাম তাই নিসাকে বলেছি তোর ওয়াশরুমে গিয়ে গোসল করতে,,,
-ওও আচ্ছা কিন্তু আম্মু নিসা তো আসেনি মনে হয় ওদের বাসায় চলে গেছে,,,
-হুমম হতে পারে ধুর বাবা কি ঝামেলা মেয়েটা আবার যে কোথায় গেলো যাই আমার আবার অনেক কাজ আছে,,,আর শুন তারাতারি চলে আয় তোর মামারা এসে পরেছেন,,,
-ওকে আম্মু,,

আমি রেগে উনার হাতটা মুখ থেকে ছাড়িয়ে রাগান্বিত কন্ঠে বলে উঠলাম,,
-ছাড়েন আমাকে আমি যাবো,,,
-মানে কি গোসল করবি না,,,
-না,,
-তুই তো ভিজে গেছিস,,,
-কিছু হবে না,,
কথাটা বলে পা বাড়াবো এমন সময় উনার রুমে উনার মামানী এসে হাযির (রিয়া আপুর আম্মু)
-জামাই বাবাজির আর কত সময় লাগবে তোমার মামা তারাতারি আসতে বলেছেন,,,
-আরো অনেক সময় লাগবে আমি আসছি আপনে যান,,
-আচ্ছা তারাতারি এসো কেমন,,

সে চলে যেতেই আমি রেহানকে ধাক্কা দিয়ে রাগান্বিত কন্ঠে বলে উঠলাম,,,
-এই রিয়া আপুর আম্মু আপনাকে জামাই বাবাজি বলে কেন কেন কেন,,,, আপনে কি রিয়াকে বিয়ে করেছেন নাকি,,
-চুপ একদম চুপ,,, তুই কি দেখিস নাই উনি যে ছোট বেলা থেকেই আমাকে জামাই বাবাজি বলে ডাকেন,,,
-আর কিছু শুনতে চাই না প্লিজ আমাকে এখান থেকে যেতে দেন,,,
-না অনেক দিনের সখ না তোর আমার সাথে গোসল করার আজকে সখ পূরণ করে তবেই ছাড়বো,,,
-আমি আমাদের ফ্ল্যাটে চলে যাবো আর কখনো আপনার ওয়াশরুমে ঢুকবো না,,
-তোদের ফ্ল্যাটে যেতে হবে না ভিজে আছিস মানুষ দেখলে খারাপ ভাববে আমি বাহিরে দাঁড়িয়ে আছি তুই তারাতারি গোসল করে চলে আয়,,,
-কিন্তু রেহান ভেজা কাপড়ে তো আপনার শরীর খারাপ করবে,,,,
-আমার চিন্তা করতে হবে না আপনাকে তারাতারি গোসল করে চলে আসেন আমি বাহিরে আছি ওকে,,
কথাটা বলে উনি বাহিরে চলে গিয়ে দরজাটা লক করে আমার জন্য অপেক্ষা করতে লাগলেন।।

ভেজা কাপড়ে এখান থেকে বের হলে অনেকের কুদৃষ্টি আমার উপর পরবে তাই উনি নিজে ভেজা শরীরে দাড়িয়ে শীতে কাঁপছেন,,,,,,,,
চলবে

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে