#তোমাকে_চাই
#মারিয়_তুন_রিয়া
#পর্ব_১০
গাড়ি চলছে তার আপন গতিতে কারও মুখে কোনো কথা নেই। হটাৎ আয়ান গাড়ি ব্রেক করলো। তারপর বলে উঠলো………
আয়ানঃ নামো।
মারিয়াঃ তুমি আমাকে এখানে আনতে চেয়েছিলে।
আয়ানঃ না।
মারিয়াঃ তাহলে।
আয়ানঃ আগে নামো তারপর বলছি।
তারপর আমি আয়নের কথা মতো নেমে পরলাম। এরপর আয়ান গাড়িটা নিয়ে একটা গাছের পিছনে চলে গেলো। ওখানথেকে এসে আমার চোখে একটা কালো কাপড় বাঁধতে শুরু করলো। এটা দেখে আমি বলে উঠলাম
মারিয়াঃ আরে কাপড় কেন বাধছ।
আয়ানঃ হুশশশশ একটা কথা না।
মারিয়াঃ কিন্তু………
আয়ানঃ বললাম তো একটা কথা না।
আয়ান কাপড়টা বেধে আমাকে কলে তুলে নিলো। এতে আমি বেশ অবাক হলেও কিছু বললাম না।
।।
কিছুক্ষন পর………..
কিছুক্ষন পর আয়ান আমাকে নিচে নামিয়ে দিলো। নামিয়ে দিয়েই আমার চোখটা খুলে দিলো। প্রথমে ঝাপসা দেখলেও এখন সবটা পরষ্কার। চারিদিকে তাকিয়ে আমি মুগ্ধ।
কারণ….
চারিদিকে শুধু কালো গোলাপের গাছ। সাথে মন শীতল করা ঠান্ডা বাতাস পাখির কিচির মিচির শব্দ। সব মিলিয়ে just Wow । আমি যেখানে দারিয়ে আছি তার চতুর দিকে কালো গলাপের পাপরি ছিটানো। কিছুক্ষন পরে আয়ান আমার সামনে হাটু গেরে বসলো। তারপর বলতে শুরু করলো…………
আয়ানঃ যানি তোমাকে ওনেক কষ্ট দিয়েছি। গত ৩ বছর আমাদের মধ্যে কেউ ভালো থাকেনি। হয়তো তুমি আমার চেয়েও বেশি কষ্ট পেয়েছো কারণ তোমার কছের মানুষ তোমাকে ভুল বুঝেছে। কিন্তু এই তিন বছর যে আমার ওপর কি ঘটেছে আমিই যানি। হ্যা এটা ঠিক এই কষ্ট জন্য দাই আমি। এটার জন্য আমি তোমাকে কতো ইগনোর করেছি। কিন্তু যানো তা আমার লাইফে কতো বড়ো ভুল ছিলো সেটা আমি এখন রিয়েলাইজ করছি। মারিয়া (আমার হাত ধরে) আমাকে কি একটা বার ক্ষমা করা যায় না। শুধু একটা বার আমাকে ক্ষমা করো দেখ। আমি আর কখনো তোমাকে ছেরে যাবোনা। কখনো আর একই ভুল রিপিট করব না। প্লিজ একটা বার আমাকে কাছে টেনে নাও প্লিজ।
মারিয়াঃ আমি তোমাকে ক্ষমা করে দিলাম। তোমাকে আমি কাছেও টেনে নিব। তোমাকে আমি নিজে প্রপজ করবো কিন্তু আজকে না ২ দিন পর ঠিক এই জায়গায়। কিন্তু আজকের জন্য সরি। (মনে মনে)
আয়ানঃ কি হলো মারিয়া কিছু বলো।
মারিয়াঃ তোমাকে আমি ক্ষমা করে দিলাম। কি……..
আয়ানঃ সত্যি (উঠে দারিয়ে)
মারিয়াঃ কিন্তু আমার জীবনে আর তুমি ফিরবে না।
আয়ানঃ মানে।
মারিয়াঃ তুমি সেদিন বলেছিলে মনে আছে। আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি। হ্যা এটা সত্যি কিন্তু আমার ভালোবাসার চেয়ে ইগো টা একটু বেশি। % হিসেবে ধরতে গেলে 100% এর মধ্যে 70% ইগো আর 30% ভালোবাসা। ( ডাহা মিথ্যা কথা কতাটা উল্টা হবে।— লেখিকা) তাই আমি তোমাকে আমার জীবনে ফিরিয়ে আনব না। সরি।
এটা বলে আমি চলে আসলাম আয়ান আমাকে অনেকবার ডেকেছে কিন্তু আমি শুনিনি। আমার দেখার খুব ইচ্ছে আয়ানের এখন কি অবস্থা। কিন্তু দেখতে তো আর পারবো না তাই চলে আসলাম।
।
।
।
।
রাত ৮ টা………..
আমি বসে বসে প্লানিং করছি। কিভাবে প্রপজ করবো। কালকে আগে রাফি, রিক,রুহি, তিশা এদের সাথে কথা বলে সব ঠিকঠাক করতে হবে। আমি যখন এগুলো চিন্তা ভাবনা করতেছি তখন হতবম্ভ হয়ে ঘরে ঢুকলো আপু। আমি আপুর এই অবস্তা দেখে বলে উঠলাম…………..
মারিয়াঃ এগুলো কি আপু। তোর নিজের উপর কোন নজর নেই। এভাবে দৌড়াচ্ছিস কেন। যদি পরে যাস তাহলে কি হবে বুঝতে পারছিস।
ফারিয়াঃ মা মারিয়া আ আা আয়ান।
মারিয়াঃ কি হয়েছে আয়ানের।
ফারিয়াঃ আ আ আয়ান…….
বলতে বলতেই কেদে উঠলো আপু। আপুর এ অবস্থা দেখে আমি ঘাবড়ে গেলাম। কাপা কাপা গলায় বলে উঠলাম………..
মারিয়াঃ ব বলনা। ক কি হয়েছে।
ফারিয়াঃ আ আয়ানের এ্য এ্যা এ্যাকসিডেন্ট হ হয়েছে। ও সিটি হসপিটাল এ আই সি ইউ তে আছে।
আপুর কথা শুনা মাত্র আমার দুনিয়া থমকে দাঁড়ালো। আমি কি করবো কিছু বুঝতে পারছি না। সব কিছু অন্ধকার অন্ধকার লাগছে। আমি আর কিছু না বলে সোজা হসপিটালে চলে গেলাম।
।
।
।
।
…………..কাজ হয়েছে………
…………হুম……….
………….কোথায় ও………
………….চোলে গেছে………..
………….গুড…………
.
.
.
.
হসপিটালে………
আমি হসপিটালে এসে সোজা আই সি ইউ এর সামনে যাই। গিয়ে দেখি রিক, তিশা, রাফি, রুহি আর ভাইয়া দারিয়ে আছে। আমি সোজা ভাইয়ার সামনে গিয়ে বললাম………
মারিয়াঃ ভ ভাইয়া আয়ানের ক কি হয়েছে।
আরিয়ানঃ ওর খুব ক্রটিকেল অবস্থা। ডাক্তার বলেছে 99% চান্স ওর না থাকার। আমি কিছু বুঝতে পারছি না। আমার সব কিছু কেমন যেন লাগছে।
ভাইয়ার কথা বলা শেষ হতেই আই সি ইউ এর সামনে থাকা লাল লাইট টা অপ হয়ে গলো। কিছুক্ষন পর ডাক্তার আর র্নাস বেরিয়ে আসলো। আমি ডাক্তারের কাছে গিয়ে বলে উঠলাম……………
মারিয়াঃ ডক্টর আয়ানের ক কি অবস্থা।
ডাক্তারঃ আপনি কে।
মারিয়াঃ আ আমি ও ওর ওয়াইফ।
ডাক্তারঃ সরি মিসেস খান। সি ইজ নো মোর।
এটা বলে ডক্টর চলে গেলো।
ডক্টর এর কথা শুনে আমার কেমন যেন সব অন্ধকার অন্ধকার লাগছে। তাও নিযেকে যথা সম্ভব শক্ত রেখেছি। আয়ানের ডেটবডি না দেখা পযন্ত আমার বিশ্বাস হবে না।
।
।
।
।
।
।
।
।
।
।
#চলবে………….