#তোমাকে_চাই
#মারিয়া_তুন_রিয়া
#পর্ব_৯
আয়ানঃ বাট আই হ্যাব এ কানডিশন।
মারিয়াঃ ক কী। (কিছুটা ভয় পেয়ে)
আয়ানঃ ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমি তোমাকে আমায় ক্ষমা করতে বলবো না।
মারিয়াঃ তাহলে কি শর্ত?
আয়ানঃ দারাও বলছি….
বলেই আয়ান কাওকে একটা ফোন করলো
।।
কিছুখন পর……..
কিছুখন পর রুমে একটা মাক্সপরা লোক ডুকলো। লোকটি ডুকে আয়ানের হাতে একটা প্যাকেট দিয়ে চলে গেলো। আয়ান প্যাকেটটা নিয়ে আমার সামনে এসে বলে উঠলো……………
আয়ানঃ আমি তোমাকে শর্ত হিসেবে আমাকে ক্ষমা করে দিতে বলতে পারতাম কিন্তু আমি তা বলিনি কারণ আমি যানি তুমি আমাকে ক্ষমা করে দিয়েছো, তুমি আমাকে এখনো আগের মতো ভালোবাস না তার চেয়ে ডাবল ভালোবাস। কিন্তু তোমার ইগো সেটা তোমাকে স্বিকার করতে দিচ্ছে না।ধরো (আমার সামনে ওই প্যাকেটটা দিয়ে)
মারিয়াঃ কি করবো এটা।
আয়ানঃ এটার ভিতর কিছু জিনিস আছে। সেগুলো পরে আমার সাথে একটা জায়গায় যেতে হবে।
মারিয়াঃ আমি যদি বলি আমি যাবোনা তাহলে?
আয়ানঃ তুমি যেতে বাদ্ধ। বিকজ দিস ইজ মাই কানডিশন।
মারিয়াঃ কবে যেতে হবে।
আয়ানঃ ৫দিন পর।
আমি আর কিছু বললাম না। সোজা অফিস থেকে বেরিয়ে এলাম। বেরিয়ে একটা ট্যাক্সি নিয়ে মেডিকেলের উদ্দেশ্য বেরিয়ে পরলাম।
আমি ট্যাক্সিতে বসে বসে আয়ানের কথা গুলো ভাবছি। অবশ্য ধরতে গেলে ওর কথা গুলো সত্যি। আমি ওকে আগের থেকে বেসি ভালোবেসে ফেলেছি। আমিও এখন চাই ওর কাছে ফিরে যেতে চিৎকার করে বলতে যে আমি ওকে ভালোবাসি।
আমি এসব ভাবছি। ভাবতে ভাবতে কখন যে মেডিকেলে চলে এসেছি খেয়ালি করিনি। আমি গাড়ি থেকে নেমে সোজা মেডিকেলের ভিতর ঢুকে গেলাম। গিয়ে আবার কাজে লেগে পরলাম।
।।
আমাদের কাজ শেষ হয় সন্ধা ৭ টার দিকে। কাজ শেষ করে যে যার যার মতো বড়ি ফিরে আসি।
।।
বাড়িতে………
আমি বারিতে এসে ফ্রেস হয়ে কিছু খেয়ে বিছানায় গা এলিয়ে দেই। তখনি মনে পরে আয়ানের দেওয়া প্যাকেটের কাথা। তাই আমি উঠে আলনারি থেকে প্যাকেটটা নিয়ে বিছানায় বসলাম।
প্যাকেটটা খুলে দেখি তাতে একটা সুন্দর ল্যাহেংগা রাখা। কালো কালারের একটা গর্জিয়াছ ল্যাহেংগা। খুব সুন্দর কাজ করা তাতে। তার সাথে কালো ব্রেসলেট আর একটা কালো পাথরের নেকলেস। সাথে একটা চিঠি। আমি চিঠিটা হাতে নিয়ে পরতে শুরু করলাম।
চিঠিটা তে লেখা ছিলো।
যানি তুমি এই কালো ল্যাহেংগা দেখে অবাক হচ্ছো। যে আমি তোমাকে ক্যানো এগুলো দিলাম। এগুলোর সব এ্যানসার তুমি ৫ দিন পরে পেয়ে যাবা।
চিঠিতে আরও লেখা ছিলো……….
কালো টিপ
অগোছালো চুল
মিষ্টি হাসির আরালে
চোখের কালো ভাজে লুকিয়ে থাকা
হাজারো না বলা কথা
সত্যি তুমি
সব মিলিয়ে পরিপূর্ণ ❤❤
।
।
।
।
৫ দিন পর………..
এই ৫ দিন আমার খুব ভালো কেটেছে। আয়ান ওর কথা রেখেছে। ওর ইর্ম্পটান মিটিং রেখে নবীন বরণে এসেছিলো। এখন কথা রাখার পালা আমার। এখন বিকাল ৪টা। আমি আয়ানের দেওয়া ল্যাহেংগা ব্রেসলেট আর নেকলেস পরে রেডি হচ্ছি। আমি রেডি হয়ে পিছনে ঘুরে দেখি আপু দারিয়ে আছে।
আপু আমাকে দেখে বলে উঠলো……….
ফারিয়াঃ কিরে তুই এভাবে রেডি হয়ে কোথায় যাচ্ছিস। দেখে তো মনে হচ্ছে বিয়ে টিয়েতে। কিন্তু তোর তো এরকম ল্যাহেংগা নে। তাহলে কোথায় পেলি। আর এতোদিন তো তুই শপিং এও যাস নি তাহলে? 🤨🤨
মারিয়াঃ আরে এতোগুলো একসাথে বললে কিভাবে বলবো। তোর ১ম উত্তর হলো আমি কোনো বিয়েতে যাচ্ছিনা।
২য় আমি কথায় যাচ্ছি আমি নিজেও জানিনা।
৩য় এই ল্যাহেংগা আমাকে আয়ান দিয়েছে।
আর তোর মনে এখন প্রশ্ন যাকতে পারে আমি কেনো আয়ানের দেওয়া জিনিস পরেছি। আর সেটার উত্তর হলো আমাদের মদ্ধ একটা ডিল হয়েছিল। যেখানে বলা হইছে আয়ান যদি নবিন বরণে আসে তাহলে ও যা বলবে আমি তাই করবো।
তাই ওর কথা মতো আমি রেডি হয়ে ওর সাথে যাচ্ছি। কিন্তু কোথায় তা জানিনা। এখন সব ক্লিয়ার।
ফারিয়াঃ হুম।
মারিয়াঃ তাহলে আমি যাই।
ফারিয়াঃ আচ্ছা যা। সাবধানে যাবি।
মারিয়াঃহুম।
বলেই আমি বেরিয়ে আসলাম। বাড়ির বাহিরে আসতেই দেখি আয়ান গাড়ি নিয়ে দারিয়ে আছে। আমি ওকে দেকে হা করে তাকিয়ে আছি। কারণ ও একটা ব্লাক কালার
প্যান্ট, হোয়াইট কালার হাফ হাতা টি-শার্টে।
ব্লাক সানগ্লাস। চুল গুলো জেল দিয়ে সেট করা। পুরাই ক্রাস। আমি ওকে খুটিয়ে খুটেয়ে দেখছি এমন সময় আয়ান আমার কাছে এসে কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিস ফিস করে বলে উঠলো………..
আয়ানঃ হায়য়য়য়য়য়য় ম্যা মারজাওয়া।
ওর কথা শুনে আমি হজকচিয়ে উঠলাম। আমি বলে উঠলাম……..
মারিয়াঃ এখানে দারিয়ে থাকবা না যাবা।
আয়ানঃ যাওয়ার এতো তারা 😉😉।
মারিয়াঃ গেলে চলো না গেলে আমি ভিতরে গেলাম।
আয়ানঃ নানা যাবো চলো।তারপর আমি আর আয়ান গিয়ে গারিতে বসলাম।
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
#চলবে……….