#তোমাকে_চাই
#মারিয়া_তুন_রিয়া
#পার্ব_৮
কলেজ গেটে আসতে ই 1st year এর একটা মেয়ে এসে বললো প্রিনসিপাল সার নাকি আমাকে ডেকেছে। প্রথমে অবাক হয়েছি। কারন প্রিনসিপাল সার আমাকে কখনো ডাকেনি। তো আমি কি এমন ভুল করলাম যে তিনি আমাদের ডাকলো। তাই ভয়ে ভয়ে প্রিনসিপাল সার এর রুমের দিকে এগোলাম। প্রিনসিপান সার এর রুমের সামনে গিয়ে বলে উঠলাম………..
মারিয়াঃ মে আই কাম ইন সার।
সারঃ ইয়েস কাম।
সারের বলা শেষ হতই আমি ভতরে প্রবেশ করি। ভতরে প্রবেশ করতেই দেখি, রুহি, রিক, রাফি, তিশা সাবাই আছে। তা দেখে অনেকটা অ বাক হই। আর ভাবছি কি এমন কাজ আছে যার জন্য প্রিনসিপাল সার আমাদের সবাইকে ডাকলো। আমার ভাবনার ছেদ পরে সার এর ডাকে। তিনি আামাদের উদ্দেশ্য বলে উঠলেন……………
সারঃ তো 5 star গ্রুপ কেমন আছো তোমরা।
সবাই একসাথেঃ জী আলহামদুলিল্লাহ সার আপনি।
সারঃ হুম আমিও আলহামদুলিল্লাহ। তো তোমাদের যে জন্য ডেকেছি তা হলো তোমরা তো জানো প্রতিবছর আমাদের এই মেডিকেল কলেজে নিবন বরন অনুষ্ঠান হয়।
মারিয়াঃ জী সার।
সারঃ এবার তো একটু লেট হয়ে গেছে। তাই আমরা চাই এবারের অনুষ্ঠানের আয়োজন তোমরা করো। বা……..
রিকঃ এতো খুব ভালো খবর সার। আমরা অবশ্যই করবো (খুসি হয়ে) ।
সারঃ বাট একটা প্রবলেম।
তিশাঃ কি সার।
সারঃ এ পুরো আয়োজন তোমাদের কালকের মদ্ধ শেষ করতে হবে।
মারিয়াঃ সার এতো তারাতারি।
সারঃ হুম কেনো পারবে না।
রাফিঃ জী সার ক্যানো পারবোনা।
সারঃ হুম আমি জানতাম তমরা পারবে। ও হ্যা এবারের স্পেসাল গেস্ট কিন্তু আয়ান খান আর আরিয়ান শেখ সাথে তার ওয়াইফ ফারিয়া শেখ।
রিকঃ ওকে সার নো প্রবলেম। আমরা ইনভাইট করে নিব।
সারঃ আর একটা কথা তোমাদের সাথে পুরো কলেজ থেকে তোমরা যাদের যাদের নিতে চাও নিয়ে নিও। এন্ড তোমাদের কাজে হেল্প করার জন্য ডা.রিফাত এন্ড ডা. রাজ থাকছে।
রুহিঃ ওকে সার। আমরা কমপিলিট করে নিব।
আমরা প্রিনসিপাল সার এর সাথে কথা বলে ক্যানটিনে গিয়ে বসলাম। ক্যানটিনে বসেই আমি বলতে শুরু করলাম…………..
মারিয়াঃ তোরা কেনো বললি পারবি।
রাফিঃ সার আমাদের উপর এতো ভরসার চোখে তাকিয়ে ছিলো যে নাই করতে পরলাম না।
মারিয়াঃ তুরা না পারলে আমাকে বলতি আমি করে দিতাম। এখন এতো কম সময়ে কি করে হবে সব কাজ। (মাথায় হাত দিয়ে)
রুহিঃ চিন্তা করিসনস আমরা সবাই একসাথে আছিনা। সব করতে পারবো। দরকার পরলে রাতে বাসায় যাবোনা।
তিশাঃ ঠিকিতো একরাত বাসায় নাগেলে কি এমন হবে।
রিকঃ ওর চিন্তা এটা না। ওর চিন্তা অন্য কিছু তে।
মারিয়াঃ মানে।
রিকঃ মানে তোর চিন্তা তুই কিভাবে আয়ানকে ইনভাইট করবি। তাই তো।
মারিয়াঃ তোরা যখন বুঝতেন পরছিস তাহলে কেন সারকে হ্যা বললি। এখন আপু আর ভাইয়াকে নাহয় আমি ম্যানেজ করে নিয়ে আসবো। কিন্তু ওকে কিভাবে? তোরা কেউ গিয়ে ইনভাইট করতে পারবি।
রাফিঃ তুই জানিস আমরা কেউ গেলে কোনো লাভ হবেনা। তারপরেও বলবি।
মারিয়াঃ কি করবো বল। ওর সমনে আমি যেতে পারিনা। নাজানি আম্মু আব্বু আমার বিয়ের কথা শুনলে কি ভাববে।
তিশাঃ আরে কিছু হবেনা। এতো চিন্তা করিস না। সব ঠিক থাকবে।
রুহিঃ হ্যা সব কিছু ঠিক হয়ে জাবে। আমরা আছিতো তোর পাসে।
রিকঃ হুম।
রাফিঃ হইছে অনেক ইমোসনাল হওয়া। এখন কাজ ও করতে হবে। উঠ তারাতারি।
এটা বলই রাফি আনাদের সবাইকে নিয়ে গেলো।
।
।
।
।
আমরা প্রথমে সব স্টুডেন্টদের নিয়ে নিলাম। যারা যারা আমাদের সাথে কাজ করবে আর রাত জাগতে পারবে। এরপর আমি আর তিশা গেলাম ডা.রিফাত এর কেবিনে। আর রাফি আর রুহি গেলো ডা.রাজ এর কেবিনে। আর রিক ভাইয়া আর আপুকে বলতে গেছে। আমি কেনিনের সামনে গিয়ে বলে উঠলাম…………….
মারিয়াঃ উই আই কাম ইন সার।
রিফাতঃ ইয়েস কাম।
মারিয়াঃ সার নবিন বর…………
রিফাতঃ আমি জানি ডা.রায়হান আমাকে বলেছে। তো কি করতে হবে বলো।
মারিয়াঃসার প্রথমে তো আপনাকে আজকে এখানেই থাকতে হবে। আর আমাদের কাজ ঠিকমতে হচ্ছে কি না তা দেখতে হবে।
রিফাতঃ ওকে। আমি আমার কাজ শেষ করেই আসছি।
মারিয়াঃ ওকে সার তাহলে আমরা এখন যাই।
রিফাতঃ হুম যাও।
সার এর কথা শেষ হতেই আমি আর তিশা বেরিয়ে এলাম।
তারপর আমরা আবার একসাতে গয়ে বিভিন্নরকম কাজে লেগে পরলাম।
।
।
।
।
দেখতে দেখতে রাত হয়ে গেছে। এখন প্রায় রাত ৩টা বাজে। সবাই যে যার মতো রেস্ট নিচ্ছি। আমি এখনো ভাবছি কি ভাবে ওকে ইনভাইট করব। তখনি পেছন থেকে হাত কাখলো কেউ। প্রথমে ঘাবরে গেলেও পরক্ষণেই রিককে দেখে নিজেকে সামলিয়ে নিই। ও এসে আমার পাসে বসে বলে উঠলো………….
রিকঃ কিরে এখনো ওই ইনভিটিশন নিয়ে ভাবছিস।
মারিয়াঃ হুম।
রিকঃ আমি বুঝতে পারছি না তুই এতো চিন্তা করিস কেনো। আয়ান কি তোকে খেয়ে ফেলবে নাকি। আজাইরা টেনসন নিতাছস।
মারিয়াঃ ভাই টেনসন আপনা আপনি এসে পরে।
রিকঃ তুই কি নি টেনসন করতাছস এটাতো বলবি।
মারিয়াঃ ও যদি না আসে তো।
ডাহা মিছা কথা।(লেখিকা)
রিকঃ তুই ও না। আর আমি কি না কি ভাবলাম।
তারপর আমরা আরও কিছুখন কথা বললাম। তারপর সকাল পযন্ত রেস্ট নিলাম।
।।
সকালে…………..
সকালে উঠে নাস্তা করে যার যার কাজে লেগে পরলাম। আমি কাজ করছি এমন সময় রাফি বলে উঠলো………….
রাফিঃ কিরে তুই আয়ানের অফিসে যাবিনা।
রাফির কথা শুনে আমার একটু খটকা লাগলো। কারন রাফি কখনো আয়ানের নাম ধরে ডাকেনি। কাল রাতেও রিক আয়ানের নাম ধরে ডাকছিলে। ব্যাপার কি। আমার ভাবনার ছেদ ঘটলো রাফির কথায়।
রাফিঃ কিরে কই হারিয়ে গেলি।
মারিয়াঃ না এমনি।
রাফিঃ তো যা লেট হয়ে যাচ্ছে তো নাকি।
মারিয়াঃ হুম।
।
।
।
।
আমি এখন আয়ানের অফিসের সামনে দারিয়ে আছি। একবার অফিসটার দিকে তাকিয়ে দির্ঘশ্বাস নিলাম। একদিন এই এ অফিসে দারিয়ে বলেছিলাম কখনো পা রাখবনা এই অফিসে কিন্তু ভাগ্যর কি খেলা আবার আসতে হলো। আমি এ অফিসটার দিকে আর একবার চোখ বুলিয়ে অফিসের ভিতরে ঢুকলাম। যেহেতু আয়ানের কেবিনে এর আগেও গিয়েছি তাই ওর কেবিনটা চিনি। তাই সোজা ওর কেবিনে চলে গেলাম।
।।
কেবিনের ভিতর………….
আয়ান আমার দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো………..
আয়ানঃ কি ব্যাপার তুমি এখানে।
মারিয়াঃ হুম। আসলে আমাদের মেডিকেলে নবীন বরণের আয়োজন করা হয়েছে। তাই ডা.রায়হান বলেছে তোমাকে চিপগেষ্ট ইনভাইট করতে। তাই আর কি।
আয়ানঃ ও! আমি যাবো। তোমি বোলছ আর আমি যাবোনা তা কি করে হয়।
মারিয়াঃ Thank you so much.
এটা বলে যেই আমি আসতে নিবো তখনি আয়ান আবার বলে উঠলো………..
আয়ানঃ বাট আই হ্যাব এ কানডিশন।
মারিয়াঃ ক কী। (কিছুটা ভয় পেয়ে)
।
।
।
।
।
।
।
।
।
।
#চলবে………..
আমি মাত্র ১০ মিনিটে লিখছি। তাই বনান ভুল হবার আশংকা আছে