#তোমাকে আমার প্রয়োজন??
#মেঘ পরী??
??পর্ব-৮??
.
?
.
.
তিথি ঘুম থেকে উঠে অবাক হয়ে সামনে সেন্টার টেবিলের দিকে তাকিয়ে আছে,,,সেন্টার টেবিল এর উপর একটি বড় ট্রে রাখা আছে,,, আর ট্রে-র উপর কুড়ি থেকে ত্রিশ টা ফ্লেভারের কটন ক্যান্ডি রাখা আছে,,,একটা বড়ো রেড কালারের টেডি,,,যেমনটা তিথি কিনেছিল সেদিন মল থেকে।।এছাড়াও তিথির ফেভারিট খাবার,,,যেমন চকলেটস,,,,চিপস,,,জুস,,,বিস্কিট ইত্যাদি জিনিসে ট্রে ভর্তি করে রাখা আছে।তিথি এসব দেখে খুশিতে আত্মহারা হয়ে খাট থেকে লাফ দিয়ে সেখানে গেল,, সেখান থেকে একটা কটন ক্যান্ডি তুলতেই পাশে দেখল একটা চিরকুট রাখা আছে,,,তিথি চিরকুটটা তুলে,,খুলতেই দেখল সেখানে বড় বড় করে লেখা আছে””Sorry my sweet Thithu pakhi””লেখাটা দেখে তিথি মনের অজান্তেই হেসে ফেলল,,,তারপর সেখানে থেকে একটা রোজ ফ্লেভার কটন ক্যান্ডি তুলে নিয়ে খেতে লাগলো।।খেতে খেতে হঠাৎ তার নজর গেল দরজার দিকে,,নিলয় দুই পকেটে হাত দিয়ে দরজার পাশে দেয়ালে হেলান দিয়ে,, এক ধ্যানে তিথির দিকে তাকিয়ে আছে।।তিথি নিলয় কে দেখে একটু ভোরকে গেল,,,তখনই নিলয় একপা একপা করে এগিয়ে তিথির কাছে এসে দাঁড়ালো,,আর মুচকি হেসে বলল-;
-: জিনিসগুলো কি ম্যাডামের পছন্দ হয়েছে।।
নিলয়ের এমন কথায় তিথি নিলয়ের দিকে একবার তাকিয়ে থেকে,,মনে মনে বলল-;
-: ব্যাটা এক নাম্বারের লুচু তখন আমার সাথে ওইসব করল,,, আবার চিঠি লিখে আমাকে সরি বলা হচ্ছে।কেনরে মুখে সরি বললে,,,কি তোকে পুলিশে ধরে নিয়ে যেত। আমাকে তখন কত কত বকলো,,,আবার এখন এমন ভাব করছে যেন,,কিছুই হয়নি।হুম।
তিথিকে অমন তাকিয়ে থাকতে দেখে নিলয় বাঁকা হেসে তিথিকে বলল-;
-: এমন ভাবে তাকাবেন না মিস,, নইলে যে প্রেমে পড়ে যাবেন।
তিথি নিলয়ের কথা মুখ ভেংচি দিয়ে বলল-;
-: আমাকে কী পাগল কুত্তায় কামড়েছে,,যে আপনার মত লুচু পোলার প্রেমে পড়বো।।
তিথির অমন কথায়,,নিলয় রাগী চোখে তিথির দিকে তাকিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে বললো-;
-: কি বললা তুমি আমি লুচু,,তাহলে তো তোমাকে দেখাতেই হয় আসল লুচু কাকে বলে।।
এই বলে নিলয় যেই তিথির দিকে এগোবে,, তিথি সঙ্গে সঙ্গে নিলয় থেকে কিছুটা দূরে গিয়ে দাঁড়ালো তারপর ভয়ে ভয়ে বলল-;
-: না না আমার অত দেখার দরকার নেই।
তিথির অমন কথায় নিলয় মনে মনে একটু হাসলো তবে বাইরে তা প্রকাশ করলো না। তারপর তিথি ক্যান্ডি খেতে খেতে,,জোরে জোরে শেফালী কে ডাকতে লাগলো। কিছুক্ষণ পর শেফালী এলে তিথি তাকে বলতে লাগলো-;
-:শেফালী।
-:জি আপামনি।
-: তুমি এসব জিনিসপত্র আমার ঘরে রেখে এসো। কিন্তু তুমি মনে রেখো,,,আমি জিনিসগুলো নিচ্ছি বলে এই নয় যে আমি সব ভুলে গিয়েচি,, সব কিছু মনে আছে আমার,,,আমার সাথে কি কি করা হয়েছিল।।আমি শুধু এই জিনিসগুলো নিচ্ছি কারণ কেউ কোন কিছু দিলে ফিরিয়ে দিতে নেই,, শুধুমাত্র তাই জন্যেই নিচ্ছি।।তাই বলে এই নয় যে আমি সবকিছু মুখ বুঝে সহ্য করব।।
তিথির এমন কথা শেফালী ফ্যালফ্যাল করে তিথি দিকে তাকিয়ে আছে,, তিথি কি বলছে,,,সে কিছুই বুঝতে পারছেনা। এদিকে নিলয় খুব ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছে যে তিথি তাকে উদ্দেশ্য করেই কথাগুলো বলেছে।। কারণ তিথি কথাগুলো বলছিল নিলয়ের দিকে আড়চোখে তাকিয়ে।
হঠাৎ নিলয়ের মাথায় একটা দুষ্টুমি বুদ্ধি এলো,, সে শেফালীকে উদ্দেশ্য করে বলল-;
-:শেফালী তোমার আপামনি তোমাকে যে কাজটা দিয়েছে তুমি বরং সে কাজটাই করো। আরেকটুখনি বাইরে যাও তো,,,যাস্ট দুমিনিটের জন্য,,আমার তোমার আপামনি সাথে কিছু কথা আছে।(তিথি দিকে আড়চোখে তাকিয়ে বাঁকা হেসে বলল)
শেফালী নিলয়ের কথা শুনে যেই ঘর থেকে বেরোবে অমনি তিথি চিৎকার করে বলে উঠলো-;
-: শেফালী তোমাকে আমি যে কাজটা বলেছি,, আগে সেই কাজটা কর। তারপর অন্যজনের কাজ করবে আর আমি এখন আমার ঘরে যাচ্ছি তুমি জিনিসগুলো নিয়ে এসো।।
তারপর শেফালীকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে তিথি এক দৌড়ে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল কারণ তিথি ভালো করেই জানে নিলয় তাকে একা পেলে কি কি করতে পারে। তিথির এমন কান্ড দেখে নিলয় শব্দ করে হেসে উঠলো,,, আর শেফালী তো আহাম্মকের মত একবার তিথি যাওয়া পানে চেয়ে আছে আর একবার নিলয়ের দিকে তাকিয়ে আছে। তারপর সব খাবার গুলো তিথির রুমে দিয়ে আসলো।।
.
.
?
.
.
রাতে নিলয় খাবার টেবিলে এসে দেখলো তিথি নেই। শেফালী কে জিজ্ঞাসা করতেই শেফালী বলল তিথি আজকে খাবে না বলেছে।। নিলয় আর কিছু না বলে এক প্লেট খাবার নিয়ে তিথির রুমের দিকে এগিয়ে গেল। তিথির রুমে গিয়ে দেখল তিথি খাটে বসে বসে চিপস খাচ্ছে আর টিভিতে ডোরেমন কার্টুন দেখছে। নিলয় খাবারটা টেবিলে রেখে তিথির পাশে গিয়ে বসলো,,কিন্তু তাতে তিথীর খেয়ালই সে তো টিভি দেখতে ব্যস্ত।। নিলয় খাট থেকে রিমোট টা নিয়ে টিভিটা অফ করে দিল,,টিভিটা অফ হতেই তিথী পাশে তাকাতেই নিলয় কে দেখে জোরে চিৎকার দিয়ে উঠলো,, নিলয় সঙ্গে সঙ্গে তিথির মুখ চেপে ধরল তারপর দাঁতে দাঁত চেপে বললো-;
-:এত জোরে চেঁচানোর কি আছে,, আমি বাঘ না ভাল্লুক।।।আর তুমি ডিনার করোনি কেন,,,,ডিনার না করে এত রাতে তুমি এসব উল্টোপাল্টা জিনিস খাচ্ছ।
তিথি কিছু বলতে পারছে না শুধু উম উম করছে।তিথিকে অমন করতে দেখে নিলয় তিথির মুখ থেকে নিজের হাতটা সরিয়ে নিল,,হাতটা সরিয়ে নিতেই তিথি একটা জোরে নিঃশ্বাস নিলো।। তারপর বলল-;
-:এভাবে কেউ মুখ চেপে ধরে নাকি।নিঃশ্বাস নিতে পারছিলাম না।
-:তুমি এইসব কথা রেখে আগে আমাকে বল ডিনার করোনি কেন।।
-:আ…আসলে আজকে ডিনার করতে ইচ্ছা করছিল না,,,তা..তাই।।
তিথির কথা শুনে নিলয় ধমক দিয়ে উঠল তারপর বলল-;
-: তা করবে না কেন এসব উল্টোপাল্টা জিনিস খেলে কার ই বা ডিনার করতে ইচ্ছা করে।চুপচাপ ফ্রেশ হয়ে সোফায় গিয়ে বসো।
তিথি নিলয়ের কথায় কিছুটা কেঁপে উঠলো,, নিলয় কে কিছু বলতে যাবে তার আগে নিলয় বলে উঠলো-;
-: নো মোর ওয়ার্ডস আমি এখন তোমার কোন কথাই শুনতে চাইনা। চুপচাপ ফ্রেস হয়ে এসো।।
তিথি আর কথা না বাড়িয়ে ফ্রেশ হতে চলে গেল,, সে বুঝতে পেরেছে নিলয় তার উপর খুব রেগে আছে,,ডিনার না করাতে।ফ্রেশ হয়ে এসে দেখলো নিলয় সোফায় বসে আছে,,তিথী আর কিছু না বলে নিলয়ের পাশে সোফায় গিয়ে বসল।। নিলয় প্লেটটা তুলে নিজের হাতে এক লোকমা খাবার তিথি মুখের সামনে ধরতেই,,তিথি বলে উঠলো-;
-:আ… আমাকে দিন,,,,আমি নিজের হাতে খেতে পারব।।
নিলয় তিথীর কথা শুনে তিথীর দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে,,,দাঁতে দাঁত চেপে বললো-;
-:সেটা আমিও জানি।তুমি নিজের হাতে খেতে পারবে কিন্তু আমি তোমাকে খাইয়ে দেবো এখন,,নাও হা করো।।
তিথি মাথা নিচু করে বলে উঠল-;
-:আ…আমি পারবো।
নিলয় এবার চেঁচিয়ে উঠলো-;
-: চুপচাপ হা করতে বলেছি,,,হা করো নইলে তোমার কি অবস্থা করব তা তোমার ধারণার বাইরে।।
নিলয়ের কথায় তিথী সঙ্গে সঙ্গে হা করে নিল,,,অন্তত আজকের সকালের ঘটনার পর থেকে তিথির বুঝতে বাকি নেই যে নিলয় চাইলেই কি কি করতে পারে।।নিলয় তিথিকে খাইয়ে,,,নিজেও খেয়ে নিল।।তারপর তিথির মুখ ধুইয়ে,,তিথীকে খাটে শুইয়ে দিয়ে তার কপালে একটা ভালবাসার পরশ দিয়ে,,,লাইট নিভিয়ে চলে গেল।।
নিলয়ের চলে যাবার পর তিথি মনে মনে ভাবছে-;
-:আজকের সকাল থেকে কি হচ্ছে,,,ব্যাটা লুচুর মতিগতি ভালো লাগছে না এবার থেকে সাবধানে থাকতে হবে।। যখন তখন আমাকে কিসি-মিসি করে,,,কালা হাতি কোথাকার,, মেয়ে দেখলেই লুচ্চামি করার জন্য মন ছটফট করে,,বুড়া খাটাশ একটা, না না তিথি এবার থেকে তোকে সবধানে চলতেই হবে।।
এরপর আরও কিছু গালি দিয়ে তিথি ঘুমিয়ে পরল।।
.
.
?
.
.
পরের দিন সকালে নিলয় তিথিকে নিজের রুমে ডাকলো।।রুমে ঢোকার পর নিলয় তাকে তার জন্য এক কাপ কফি আনতে বললো।।তিথি নিলয় দিকে তাকিয়ে বলল-;
-:আপনার কফি তো প্রতিদিন শেফালী নিয়ে আসে,, তবে আজ আমি কেন কফি আনবো।।
নীলয় তিথির দিকে তাকিয়ে বলল-;
-: সেটা তোমার না জানলেও চলবে। এখন থেকে তুমি আমার জন্য প্রতিদিন কফি আনবে,, যতদিন তুমি এখানে আছো ততদিন পর্যন্ত,, মনে থাকে যেন আর যদি অন্য কেউ নিয়ে এসেছে তো তোমার কপালে দুঃখ আছে,,,ডু ইউ আন্ডারস্ট্যান্ড হোয়াট আই সে।।
তিথি নীলয়ের দিকে তাকিয়ে একটা ভেংচি দিয়ে নিচে চলে গেল কফি আনতে। কিছুক্ষন পর নিলয়ের হাতে কফির মগটা ধরিয়ে তিথি যেই বেরিয়ে আসবে,, তখনই নিলয় তিথীর হাত ধরে দাঁতে দাঁত চেপে,,,বলল-;
-: তোমাকে আমি যেতে বলেছি। আমার থেকে পালাবার খুব শখ তোমার তাই না।
-:ন..না আমি আসলে ভেবেছি আপনার আর কোন দরকার নেই,,ত..তাই আমি….
আর কিছু বলতেন না দিয়ে নিলয় বলল-;
-: তোমাকে আর বেশি কিছু ভাবতে হবে না।।এবার থেকে প্রতিদিন আমি অফিস যাবার আগে তোমাকে যেন আমার রুমে দেখতে পাই,,বুঝতে পেরেছ আমি কি বলেছি।।কথার নড়চড় যেন না হয়,,,বুঝতে পেরেছ।।নাও এখন আমার টাই টা বেঁধে দাও তো,,,জলদি।।
নিলয়ের কথায় তিথি এবার রেগে গেল এতক্ষণ ধরে নিলয় ভয়ে সে কিছু বলছিল না এবার সে মনে মনে কিছুটা সাহস নিয়ে বলল-;
-:এই আমি আপনার বউ নাকি যে,,আমাকে দিয়ে তখন দিয়ে সব কাজ করিয়ে যাচ্ছেন।।
নিলয় তিথির দিকে তাকিয়ে,, শান্ত গলায় বলল-;
-:হতে কতক্ষণ।।
-:মানে!!!(কিছুটা অবাক হয়ে বলল)
-:অতকিছু তোমার এখন না জানলেও চলবে।।এখন তাড়াতাড়ি টাইটা বেঁধে দাও আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে।।
-:আমি পারবো না,, নিজের টাই নিজেই বেঁধে নিন।।
-:কি বললা তুমি।।(রেগে বলল)
-:বললাম আমি পারবো না।আপনার কিছু করার থাকলে আপনি তা করে নিতে পারেন,, আই ডোন্ট কেয়ার।।।
এই বলে তিথী যেই বেরিয়ে আসতে যাবে অমনি নিলয় তিথীর হাত ধরে হেচকা টানে নিজের কাছে নিয়ে আসলো,,, তারপর দুহাতে তিথীর কোমর জড়িয়ে তিথীকে একদম নিজের কাছে নিয়ে আসল।।তিথী ছটফট করছে নিজেকে ছাড়ানোর জন্য,, তা দেখে নিলয় আরো রেগে যায়,,,,এক হাতে তিথির কোমরে কিছুটা চাপ দিতেই তিথী কেঁপে ওঠে,,, নিলয়ের হাত নিজের এক হাত দিয়ে শক্ত করে চেপে ধরে।।তাও নিজেকে নিলয়ের কাছ থেকে ছারানোর চেষ্টা করতে লাগল,,এটা দেখে নিলয় প্রচন্ড পরিমানে রেগে গেল।।একহাতে তিথির পিছনের চুলটাকে নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে আর এক হাতে তিথীর কোমরটাকে জড়িয়ে ধরে। তারপর নিজের ঠোঁট দিয়ে তিথীর ঠোঁট চেপে ধরে,, কোমরে এক হাত দিয়ে স্লাইড করতে করতে তিথীর ঠোঁট লিক করতে লাগলো রুডলি ভাবে,,, যতক্ষণ না তিথি শান্ত হলো ততক্ষণ পর্যন্ত।। প্রায় পাঁচ মিনিট পর তিথিকে ছেড়ে দিয়ে তিথির গালে নিজের দুই হাত রেখে কপালে নিজের কপাল ঠেকিয়ে জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিতে লাগলো। তারপর তিথির দিকে তাকিয়ে দেখল তিথি চোখ বন্ধ করে জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিচ্ছে,,,তা দেখে নিলয় বাঁকা হেসে বলতে লাগলো-;
-:দেখলে তো তিথু পাখী আমি কি করতে পারি তোমার সাথে,,,ইউ হ্যাভ নো আইডিয়া। এতোদিন কিছু বলিনি বলে,,, ভেবোনা নিলয় চৌধুরী কিছু বলতে পারেনা। আমি শুধু এতদিন দেখছিলাম তুমি কি কি করতে পারো,,,নাউ তুমি এবার দেখবে নিলয় চৌধুরী কি কি করতে পারে। এখন থেকে আমি যা যা বলবো তুমি ঠিক তাই তাই করবে,,,নইলে এখন যেটা হলো সেটা বারবার হবে।ডু ইউ আন্ডারস্ট্যান্ড।সো চুপচাপ যা বলছি তাই কর,,টাইটা বাঁধ।
তিথি নিলয় দিকে করুন চোখে কিছুক্ষণ তাকিয়ে কাঁপা কাঁপা হাতে,, নিলয়ের টাই বেঁধে দিল। নিলয় যাওয়ার সময় তিথি কপালে একটা ভালবাসার পরশ দিয়ে বলল-;
-: চুপচাপ লক্ষী মেয়ের মত বাসায় থাকবে,, নিজের খেয়াল রাখবে।আর দুপুরের লাঞ্চ টাইম মতো করবে,,ওকে বাই।
এই বলে নিলয় অফিসে চলে গেল,, আর তিথী নিলয়ের যাওয়ার পানে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে নিজের রুমে চলে গেল।
.
.
?
.
.
এইভাবে প্রতিদিন অফিসে যাবার আগে নিলয় এর জন্য কফি নিয়ে আসা,,,টাই বেঁধে দেওয়া সব কাজ তিথিকেই করে দিতে হতো। তারপর রাতে তিথিকে নিজের হাতে খাওয়ানো,, মাঝে মাঝে রাতে তিথির সাথে ছাদে গিয়ে চন্দ্রবিলাস করা,, প্রতিদিন অফিসে যাওয়ার আগে এবং তিথির ঘুমানোর আগে তিথির কপালে ভালোবাসার পরশ এঁকে দেওয়ার মধ্য দিয়ে সাতটা দিন অতিক্রান্ত হয়ে গেল। তিথি আর সবার সাথে দুষ্টুমি করতে পারলেও,,,ঐদিনের পর থেকে নিলয়ের সামনে আর কোন রকম দুষ্টুমি করার সুযোগ পাইনি। তবে মাঝেমধ্যে নিলয় কে জব্দ করার চেষ্টা একেবারেই করেনি তা নয়।এই তো সেইদিন নিলয় এর অফিসে যাওয়ার আগে নিলয় গাড়ির চাকার হাওয়া লিক করে দিয়েছিল,, আর সব দোষ ড্রাইভারের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়েছিল। সেদিন ড্রাইভারকে কি বোকাটা নাই খেতে হল নিলয় এর কাছ থেকে। এইভাবে হাসি,, রোমান্সের মধ্য দিয়ে সাতটা দিন কেটে গেল। তিথি আজ চলে যাবে,, তাই নিলয়ের মন খারাপ সকাল থেকেই। আজ সে অফিসে যাবেনা তিথিকে ছাড়তে তাদের বাড়ি যাবে।। আর তিথি তো সকাল থেকে লুঙ্গি ডান্স দিচ্ছে,, আজ সে এই জেলখানা থেকে মুক্তি পাবে।।
.
.
.
.
[বাকিটা নেক্সট পর্বে]