তোমাকে আমার প্রয়োজন পর্ব-০৭

0
2306

#তোমাকে আমার প্রয়োজন??
#মেঘ পরী??

??পর্ব-৭??
.
?
.
.
তিথী ধীরে ধীরে নিলয়ের ঘরের দিকে এগোচ্ছে,,,,যত তার ঘরের সামনে যাচ্ছে ততই তার বুকের ভিতরে কম্পনের মাত্রা তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে।।আস্তে আস্তে তিথী নিলয়ের ঘরের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে,,মনে মনে আর একবার দোয়া পড়ে নিল।।আসতে আসতে দরজাটা একটু ফাঁক করে,,ঘরের ভিতরে একবার উঁকি মেরে দেখল নিলয় কী করছে।ঘরের ভিতর নিলয়কে দেখতে না পেয়ে তিথী কিছুটা স্বস্থির নিঃশ্বাস ফেলে,,রুমের ভিতরে প্রবেশ করলো। চারপাশে নিলয়কে না দেখতে পেয়ে,,মনে মনে তিথী কিছুটা খুশি হল।

হঠাৎ দরজার আওয়াজে পিছনে ফিরে,,, নিলয়কে দরজা বন্ধ করতে দেখে তিথীর কলিজা কেঁপে উঠল।রাগে নিলয়ের চোখ মুখ লাল হয়ে গেছে,,,দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে নিলয় ভয়ংকর পরিমাণে রেগে আছে।। নিলয় আস্তে আস্তে তিথির দিকে এগিয়ে যেতে লাগলো,,, আর তিথি নিলয়ের এমন রাগী চেহারা দেখে,,,ভয়ে বিড়াল ছানার মতো নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছে।।হঠাৎ তিথি লক্ষ্য করল যে নিলয় তার দিকে ক্রমশই এগিয়ে আসছে,,এটা দেখে তিথির যায় যায় অবস্থা।।।নিলয়ের এমন এগিয়ে আসা দেখে তিথী ও আস্তে আস্তে পিছিয়ে যেতে লাগলো। তিথির হঠাৎ মাথায় বুদ্ধি এল নিজেকে বাঁচানোর,,,যেই ভাবা সেই কাজ,,, কিন্তু পালানোর জন্য যখনই দৌড় দিতে যাবে তখনই নিলয় তিথীর হাত ধরে,,,,পাশের দেয়ালে চেপে ধরল। তারপর তিথীর দুই বাহু নিজের দুই হাতে শক্ত করে চেপে ধরে জোরে চেঁচিয়ে বলতে লাগলো-;

-:তোমার সাহস কি করে হয় আমার এত বড় একটা ইম্পর্টেন্ট মিটিং টাকে স্পয়েল করার।।ইউ ইডিয়ট থার্ড ক্লাস মেন্টালিটির একটা মেয়ে,,,,তোমার মিনিমাম কমনসেন্স আছে কি নাই???,,,ইউ হ্যাভ নো আইডিয়া আমার কতটা লস হয়েছে আজকের মিটিং টা ক্যানসেল করায়।।কিন্তু তুমি তো তুমিই।। তুমি তো কিছুই বোঝ না,,তাই না।।যেদিন থেকে আমার লাইফে এসেছ সেদিন থেকেই একটার পর একটা প্যারা দিয়েই যাচ্ছে। এই মেয়ে তুমি কি চাও বলো তো আর কি চাও তুমি।

তিথির চোখে পানি টলমল করছে একেই তো নিলায় খুব জোরে তার দুটো বাহু চেপে ধরেছে,,,তার উপর নিলয়ের এমন কঠিন কঠিন কথায় তিথির খুব কষ্ট হচ্ছে।।তবু তিথি নিজেকে অনেক কষ্টে সামলিয়ে কাঁপা কাঁপা গলায় বলল-;

-:স…স…রি।ভু..ভুল হয়ে গি…য়েছে।।

তিথির এমন কথা শুনে,,নিলয় প্রচন্ড জোরে একটা ধমক দিল,,,,তাতে তিথি কেঁপে উঠলো।।এবার আর নিজেকে আটকে রাখতে পারল না,,,,ভ্যাঁ ভ্যাঁ করে কেঁদেই ফেলল।।নিলয় তিথির কান্না করা দেখে,,, আরো রেগে গেল,,আর চিৎকার করে বলতে লাগল-;

-:এই চুপ…চুপ,,,,একদম কাঁদবা না বেয়াদব একটা মেয়ে কোথাকার,,,,, আর একবার কাঁদলে তোমায় তুলে আছাড় মারবো অসভ্য পাজি মেয়ে একটা।। আবার আমাকে সরি বলছে। শুধুমাত্র ওই গাধাদের একটা ভুলের জন্যই তোমার মতন একটা স্টুপিড মেয়েকে আমি এতদিন সহ্য করছি,, তোমার এই ফালতু বকবক কে সহ্য করছি।কেন সহ্য করছি জানো,,কারণ মিনিস্টারের কিছু লোক জানতে পেরে গিয়েছিল যে আমার লোকেরা ভুল করে অন্য একটা মেয়েকে তুলে এনেছে,,,আর তখন যদি তোমাকে আমি ছাড়তাম তাহলে তারা তোমাকে তুলে নিয়ে গিয়ে আমাদের নামে মিথ্যা সাক্ষী দিতে বাধ্য করত,, পুলিশের কাছে।।। এতে আমাদের তো ক্ষতি হতোই তার সাথে আরও ৯০ জন বৃদ্ধের পেনশন আটকে যেত।। শুধুমাত্র এই একটা কারনেই তোমাকে এখানে আটকে রাখা,,,নইলে তোমার মত মেয়েকে কবেই আমি ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিতাম।।আর মাত্র কিছুদিন অপেক্ষা করো তারপর আর তোমার এই প্যানপ্যানানি আমাকে সহ্য করতে হবে না।।। তোমাকে আমি তোমার বাড়িতে রেখে আসবো,,,আর আমি একটু শান্তিতে থাকতেও পারব।।আর আজকে যে ভুলটা করেছো তার শাস্তি তো তোমাকে পেতেই হবে,,,আজকের ডিলটা সাকসেসফুল হলে কত মানুষের উপকার হত তা তোমার এই ছোট মাথায় ঢুকবে না।।

বলে নিলয় হাত দিয়ে তিথির মাথায় টোকা মারলো।। তিথি অসহায় দৃষ্টিতে নিলয়ের দিকে তাকিয়ে আছে আর চোখ থেকে পানি পরছে,,কিছুতেই যেন সে তার চোখের পানি আটকাতে পারছেনা,,,আর কিছু বলতেও পারছে না সব কথা যেন গলার কাছে গিয়ে আটকে পড়ছে। নিলয় তিথীকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে তিথীর হাত ধরে টেনে নিয়ে ছাদের ওপরে চলে গেল।।।

বেলা তখন ১২ টা,,,সূর্যের ঝাঁঝালো কিরণ তখন ঠিক মাথার উপরে,,,চারিদিকে গাছপালা,,বাড়ী-ঘর যেন রোদের তেজে পুড়ে যাচ্ছে।।একেই গরমকাল তার ওপরে চৈত্র মাসের বিভৎস গরমে,,বাইরে বেরোনোর জো নেই। খোলা ছাদের উপর দুমিনিট দাঁড়ালেই পা পুড়ে যাওয়ার মত অবস্থা। নিলয় তিথিকে ছাদের মাঝ বরাবর জায়গায় দাঁড় করিয়ে বলল-;

-:তুমি এখন এখানে দাঁড়িয়ে থাকবা, কান ধরে আর এইটাই হল তোমার শাস্তি।।আর ভুলেও নড়ার বিন্দুমাত্র চেষ্টা করবা না কারণ এখানে সিসিটিভি ক্যামেরা সেট করে রাখা আছে সুতরাং নড়ার চেষ্টা করলেই শাস্তি দ্বিগুন হয়ে যাবে,বুঝতে পেরেছ।নাও এবার কান ধরো।।

তিথি কিছু বলছে না চুপচাপ ভেজা চোখে নিলয় এর দিকে তাকিয়ে আছে।তা দেখে নিলয় আবার ধমক দিয়ে বলল-;

-:কি হল কথা কানে যায় না,,কান ধরো বলছি।।

তিথি এবার কাঁপা কাঁপা হাতে নিজের দুটো কান ধরল,,নিলয়ের আর কিছু না বলে নিচে নেমে গেল আর তিথি নিলয়ের যাওয়ার পানে তাকিয়ে থাকল।
.
.
?
.
.
প্রায় দেড় ঘন্টা যাবৎ তিথি ওই গনগনে রোদে কান ধরে দাঁড়িয়ে আছে।।আস্তে আস্তে তিথির সমস্ত কষ্ট ক্ষোভে পরিণত হল।।তার নিলয় উপর প্রচন্ড রাগ হচ্ছে,,,তার সাথে নিজের ওপরও সে প্রচন্ড রকম বিরক্ত।।সে মনে মনে ভাবছে কেন সে নিলয় কে জব্দ করতে গেল,, তার এই বোকামির জন্য শুধু শুধু নিলয় তাকে এত এত অপমান করল।। শুধু নিলয় বলে এত অপমান সহ্য করেছে,,মুখ থেকে রা পর্যন্ত কাটেনি,, নিলয়ের জায়গায় যদি অন্য কেউ হত না তাহলে এতক্ষণে তার মাথা ফাটিয়ে দিত।।তার সাথে আবার কষ্ট ও লাগছে যে শুধুমাত্র একটা ভুলের জন্য নিলয় তাকে আজ এতটা অপমান করতে পারল। তিথি মনে মনে ঠিক করে নেয় যে,,,, যতদিন সে এ বাড়িতে থাকবে ততদিন নিলয়ের সাথে কথা বলবেনা এমনকি নিলয় সামনেও যাবে না।।
.
.
?
.
.
দুপুর দুটো নিলয় আজ রুম থেকে বের হয়নি ঘরে বসেই লাঞ্চ করেছে ল্যাপটপ এ বসে কাজ করতে করতে নিলয় মনে মনে ভাবল আজ একটু বেশিই রিঅ্যাক্ট করে ফেলেছি,,এতটা রেগে যাওয়া উচিত হয়নি।।একেই বাচ্চা একটা মেয়ে,, হয়তো আমার কথায় খুব কষ্ট হয়েছে। নিলয় তুইও না রেগে গেলে মাথা তোর একদম ঠিক থাকেনা,,,,কাকে কি বলিস নিজেও জানিস না।।

হঠাৎ তার তিথির কথা মনে হল পরল। সত্যি তো এতক্ষণ তো সে তিথির কথা ভুলেই গিয়েছিলে,, তিথির কথা মনে পড়তেই,,,তৎক্ষণাৎ ল্যাপটপ টা কে পাশে রেখে দৌড়ে ছাদে চলে গেল,,,,গিয়ে দেখল তিথি এখনো সেইখানেই দাঁড়িয়ে আছে রোদে চোখ লাল টসটসে হয়ে গিয়েছে আর ফর্সা মুখ রোদে ঝলসে রক্তিম বর্ণ ধারণ করেছে,,,ঘামে পরনে কুর্তিটা পুরো ভিজে চুপসে গেছে। তিথির এমন অবস্থা দেখে নিলয় ভয় পেয়ে যায় আর দেরি না করে দৌড়ে তিথির কাছে গিয়ে, তিথির গালে হাত রেখে অস্থির হয়ে জিজ্ঞাসা করল-;

-: তিথি…তিথি ঠিক আছো তুমি।।

নিলয়ের কথাটা যেন তিথির কাছে কাটা ঘায়ে নুনের ছিটার মতো লাগলো। তিথি কিছু বলছে না দেখে নিলয় উদ্বিগ্ন হয়ে বলল-;

-:কি হয়েছে,,,কিছু বলছ না কেন???আর কান ধরে আছে কেন এখন ও।। আর কান ধরতে হবে না,,ছাড়ও।।

তিথি নিলয়ের কোন কোথার ই উত্তর দিচ্ছে না।।নিলয় বুঝতে পারল তিথি এখন কিছুই বলবে না আর নিচে ও যাবে না,,,তাই আর কোন কিছু চিন্তা না করে তিথি কে কোলে তুলে নিল তারপর নিচে নামতে লাগলো।।।তিথি নিলয়ের এমন কাণ্ডে অবাক হয়ে যায় সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে নিলয় এর কাছ থেকে ছাড়ানোর জন্য ছটফট করতে লাগলো।।তিথিকে এমন ছটফট করতে দেখে নিলয় তিথির দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে বললো-;

-:চুপচাপ থাকো,,নইলে এক্ষুনি ফেলে দিবো,,

বলে হাতের বাধন একটু ঢিলা করতেই তিথি সঙ্গে সঙ্গে নিলয়ের গেঞ্জি টাকা আঁকড়ে ধরল তিথীর এমন কাণ্ডে নিলয় না হেসে আর পারল না।। নিলয় কে হাসতে দেখে তিথি গা পিত্তি জ্বলে যাচ্ছে।।নিলয় তিথিকে নিজের রুমে নিয়ে এলো তারপর তিথিকে খাটে বসিয়ে বাথরুম থেকে এক মগ জল আর একটা শুকনো কাপড় নিয়ে এল।।তিথি উঠতে চাইছিল কিন্তু নিলয়ের রাগী ফেইস দেখে আর উঠতে পারল না।।নিলয় শুকনো কাপড় মগের জলে ভিজিয়ে,,,তিথির চোখ-মুখ মুছিয়ে দিলো।তারপর নিচ থেকে খাবার এনে নিজের হাতে মাখিয়ে এক লোকমা ভাত তিথির মুখের সামনে ধরতেই তিথী মুখ ঘুরিয়ে নিল।।। নিলয় প্লেটটা টেবিলের উপর রেখে,,,একহাতে তিথী মুখ ঘুরিয়ে জোর করে এক লোকমা ভাত তিথীর মুখের ভেতর ঢুকিয়ে দিল।তিথী সঙ্গে সঙ্গে ভাতটুকে মুখের ভিতর নিয়ে,,দৌড়ে গিয়ে বেসিনে ফেলে দিয়ে আসলো।।

তিথির এমন কান্ডে নিলয় প্রচন্ড রেগে গেল,,, তারপর তিথির হাত ধরে টেনে নিয়ে সোফায় বসিয়ে,,নিজেও তিথীর পাশে বসল।। তারপর তিথিকে হ্যাচকা টান মেরে নিজের কোলে বসিয়ে নিল,,নিজের মুখোমুখি।।তিথি নিজেকে ছড়ানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করায়,,, নিলয় রেগে গিয়ে তিথীর কোমর নিজের বাম হাতে শক্ত করে চেঁপে ধরল,,,এতে তিথী কিছুটা কেঁপে উঠল।। তারপর ডান হাতে এক লোকমা ভাত মিশিয়ে জোর করে তিথীর মুখে ঢুকিয়ে দিলো।।তিথি যেই ভাতটুকু আবার ফেলতে যাবে ঠিক তখনই নিলয় তিথির ঠোঁট নিজের ঠোঁট দিয়ে চেপে ধরল,,,যাতে তিথী ভাত না ফেলতে পারে।।নিলয়ের এমন কাণ্ডে তিথির চোখ বড় বড় হয়ে গেল,,আর বুকের ভিতর জোরে জোরে ড্রাম বাজতে লাগলো।।

নিলয় তিথীর নিচের ঠোঁটের জোরে কামড় দিতেই,,,তিথী সঙ্গে সঙ্গে ভাতটুকু গিলে নিলো।। তারপর নিলয় ঠোঁটটা ছেড়ে দিয়ে তিথির দিকে তাকিয়ে দেখল তিথী এখনো হা করে নিলয় দিকে তাকিয়ে আছে।।তিথি কেমন তাকানো দেখে,,,,নিলয় বাঁকা হেসে বলল-;

-:চুপচাপ খাওয়া কমপ্লিট করো,,,,নইলে আবার এই পদ্ধতি অবলম্বন করে খাওয়াবো।।

নিলয়ের এমন কথা শুনে তিথী সঙ্গে সঙ্গে দুই হাত দিয়ে নিজের ঠোঁট চেপে ধরল,,,,,,,তিথি এমন কান্ডে নিলয় শব্দ করে হেসে উঠলো।। আর মনে মনে বলল-;

-:এবার থেকে রেডি থেকো আমার রোমান্টিক টর্চার এর জন্য তিথু পাখী। তোমাকে কিভাবে জব্দ করা যায় সেই ট্রিক আমি পেয়ে গেছি।।

তারপর তিথিকে সবটুকু ভাত খাইয়ে দিল। খাবার খাওয়ানোর শেষে নিলয় তিথির মুখ ধুইয়ে দিল। তারপর তিথিকে কোলে তুলে নিজের খাটে শুইয়ে দিয়ে নিজেও তিথি কে জড়িয়ে শুয়ে পড়ল।আজকের নিলয়ের এমন কাণ্ডে তিথী বারবার অবাক হচ্ছে,,,,আর নিজকে ছাড়ানোর চেষ্টায় ছটফট করতে লাগলো,,, শেষে ব্যর্থ হয়ে,, করুন কন্ঠে নিলয়কে বলল

-:প্লিজ ছেড়ে দিননা। আমি আপনাকে প্রমিস করছি আমি আর অমন দুষ্টুমি করবো না।।আমিতো গুড গার্লের মতো খাওয়াটা কমপ্লিট করেলাম বলুন,,,এবার তো আমাকে ছাড়ুন,,প্লিজ ছাড়ুন না আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে।।

নিলয় তিথির কথার কোন জবাব না দিয়ে,,, তিথীর ঘাড়ে নিজের মুখ গুজে দিল তারপর তিথিকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে স্লো ভয়েসে বলল-;

-: চুপচাপ শুয়ে থাকো তিথু পাখী,,,বেশী নড়াচড়া করবে না,,,নাহলে আমার থেকে খারাপ কেউ হবে না।।

নিলয়ের এমন কথা শুনে তিথি ৪৪০ ভোল্টের শক খেলো,,,কারণ নিলয় যখন কথাগুলো বলছিল তখন বারবার নিলয়ের ঠোঁট তার ঘাড় স্পর্শ করছিল।।তিথি আর কিছু না বলে চুপচাপ শুয়ে থাকলো,,,,কারণ সে বুঝে গিয়েছে নিলয় কে সরানো তার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই কিছুক্ষন মনে মনে নিলয়ের নামে হাজারটা গালি দিতে লাগলো,,,,তারপর আস্তে আস্তে নিজেও ঘুমের দেশে পাড়ি রাজ্যে পাড়ি দিল।
.
বিকেলে ঘুম থেকে উঠে তিথি আরো একদফা অবাক হল,,, এমন ও কি সম্ভব……
.
.
.
.
.
.
[বাকিটা নেক্সট পর্বে]

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে