তোমাকে আমার প্রয়োজন পর্ব-০৩

0
2369

#তোমাকে আমার প্রয়োজন??
#মেঘ পরী??

??পর্ব-৩??

?
.
.
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে নিলয় অবাক হয়ে গেল। কারণ নিচে বসার রুম থেকে প্রচন্ড চিৎকার-চেঁচ্চামিচির আওয়াজ আসছে। নিলয় রুম থেকে বসে, শুনে যা মনে হল দারোয়ানের সাথে কারো একজনার কথা কাটাকাটি হচ্ছে। তাই আর দেরি না করে ঝটপট ওয়াশরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে লিভিংরুমের উদ্দেশ্যে রওনা হল। নিচে নেমে নিলয় যাকে যাকে দেখল,,,,তাকে দেখে প্রথমে একটু অবাক হলেও পরে আবার তার দিকে তাকিয়ে একটু বাঁকা হাসি হাসল,,,,তারপর তার উদ্দেশ্যে বলল-;

-: আরে এ যে দেখছি মিনিস্টার সাহেব।তা এত সকাল বেলা আমার বাড়িতে আপনার পদধূলি কি কারনে পারল,,,তা জানতে পারি।

-: হাউ ডেয়ার ইউ।আমার মেয়েকে কিডন্যাপ করার সাহস তোমাকে কে দিলো।জলদি আমার মেয়েকে ফিরিয়ে দাও আমার কাছে।

-: হোয়াট আপনার মেয়ে কিডন্যাপ হয়ে গেছে। কখন,,,কবে,,,আমিতো জানি না। তা কিডন্যাপ হয়ে গেছে,,,,,নাকি কোনো আসিকের সাথে পালিয়ে গেছে।(বাঁকা হেসে)

-: নিলয়য়য়য়য়য়য়।(রেগে চিৎকার করে বললো মিনিস্টার)

-: আওয়াজ নিচে,,,,ভুলে যাবেন না এটা আমার বাড়ি,,,,আপনার নয়।

-:২৪ ঘন্টার মধ্যে আমার মেয়ে যেন সুস্থ ভাবে আমার বাড়িতে পৌঁছে যায়।। নইলে আমি পুলিশি পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হব।।

-: কি প্রুফ আছে যে আপনার মেয়েকে আমি কিডন্যাপ করেছি। আর এইসব পুলিশের ভয় আমাকে দেখাবেন না,,,,,লাস্টে পুলিশকে ডাকতে গিয়ে না আপনার পাপের হাঁড়ি ফেঁটে যায়।

মিনিস্টার ভালোভাবেই বুঝতে পারল যে,,,, নিলয়কে ভয় দেখিয়ে কোনভাবেই তার মেয়েকে পাওয়া সম্ভব নয়,,,,,একমাত্র যদি না নিলয় নিজে তার মেয়েকে তার কাছে ফিরিয়ে দেয়। তাই তিনি গলার সুর পরিবর্তন করলেন এবং বললেন-;

-: দেখ নিলয় তোমার কত টাকা চাই তুমি আমাকে বল।।আমি তোমাকে তত টাকাই দিব,,,,তবু আমার মেয়েকে তুমি আমার কাছে ফিরিয়ে দাও।

-: নিলয় চৌধুরীকে টাকার গরম দেখাবেন না। আর আমার সেরকম কিছুই চায় না। আর আমার কি চাই তা আপনি খুব ভাল করেই জানেন।
.
.
তারপর নিলয় মিনিস্টারের সামনে দাঁড়িয়ে তার কানের কাছে মুখ এগিয়ে ফিসফিসিয়ে বলল-;

-: আপনি যে ৯০ জন বৃদ্ধের পেনশন আটকে রেখেছেন তা তাদেরকে ভালই ভালই দিয়ে দিন। তারপরে আমার কাছে আসবেন,,,,দেখি তখন আপনি আপনার মেয়েকে ছাড়িয়ে নিয়ে যেতে পারেন কিনা।(শান্ত কন্ঠে বলল নিলয়)

-: কিন্তু সে তো অনেক ঝামেলা। সেগুলো মেটাতে মেটাতে তো মিনিমাম সাত থেকে আট দিন সময় লাগবে। তুমি বরং আমার মেয়েকে আমার কাছে ফিরিয়ে দাও,,,,আমি তোমাকে কথা দিচ্ছি তাদের পেনশন আর আটকে রাখব না।
.
নিলয় কিছুটা বাঁকা হেসে আবার ফিসফিসিয়ে বলল-ততদিন না হয় থাক আপনার মেয়ে আমার কাছে। আপনি বরং ঝটপট কাজটা সেরে নিন,,,,হ্যাঁ কি বলেন।
.
.
তারপর সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে মিনিস্টার এবং তার সাথে আশা মানুষদের উদ্দেশ্যে বলল-;

-: এবার আসতে পারেন আপনারা। আর যদি ব্রেকফাস্ট করার ইচ্ছা থাকে তাহলে চলুন ডাইনিং টেবিল।
.
.
মিনিস্টার আর কোন কথা না বলে চলে গেলেন।কারণ তিনি ভালোভাবেই জানে,,,,যতক্ষণ না নিলয় তার কাজ হাসিল করতে পারছে,,,,,, ততক্ষণ না তার মেয়ে তার কাছ থেকে নিস্তার পাবে না।।তাই যত দ্রুত সম্ভব কাজটা করতে চাইছে,,,,তাতে তার মেয়ে তার কাছে ফিরে,,তত দ্রুত আসবে।।এমনিতেই তার স্ত্রী তার কান ঝালাপালা করে দিচ্ছে,,,মেয়ে,,মেয়ে করে।
.
?
.
.
এদিকে তিথি সকাল থেকে ঘরে বসে আছে,,, আর ভাবছে মনে মনে,,,, দুর নটা বেজে গেল অথচ কেউ তাকে ডাকল না খাওয়ার জন্য।।সেই রাতে একটুখানি খাবার দিল ব্যাস হয়ে গেল,,, ডিসগাস্টিং ব্যাপার-স্যাপার। এসব ভাবছে তখনই দরজা খোলার আওয়াজ পেল।।দরজার দিকে তাকিয়ে দেখলো একটা মধ্যবয়স্ক মেয়ে তার দিকে তাকিয়ে বলল-;

-: স্যার আপনাকে তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে নিচে আসতে বলেছে,,ব্রেকফাস্ট এর জন্য।
.
.
ব্যাস তিথিকে আর পায় কে। সে তো কখন থেকে বসে আছে ব্রেকফাস্ট এর জন্য তাই বলার সঙ্গে সঙ্গে সেই মেয়েটির সাথে সে নিচে নামল।।
নিচে নেমে সে হাঁ হয়ে তাকিয়ে আছে,,,বাড়িটা বেশ বড়,,ডুপ্লেক্স বাড়ির মতোনই।চারিদিক বেশ ছিমছাম পরিষ্কার করে সাজানো।নিচে বড় হল রুম,,একদিকে সোফা সেট রাখা আছে বসার জন্য আর সামনে একটা বড়ো সেন্টার টেবিল আর তার ঠিক সামনে বড় একটা টিভি।।আর একদিকে রান্নাঘর আছে,,,তার সামন বরাবর বড় ডাইনিং টেবিল পাতা আছে।।রান্নাঘরটা বেশ বড় এবং খোলা।। অর্থাৎ বাইরে থেকে দেখা যাবে রান্না ঘরে কি কি আছে।। তিথি দেখলো নিলয় অলরেডি ডাইনিং টেবিলে বসে আছে,,,,তাই সে দেরি না করে ধপাস করে নিলয়ের পাশের চেয়ারে বসে পড়ল।।আচমকা এরকমভাবে বসে পড়ার জন্য টেবিল টা একটু কেঁপে উঠল,,,তার সাথে নিলয় ও।। নিলয় তিথির দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে বলল-;

-: এই মেয়ে তুমি কি আস্তে আস্তে কোন কাজ করতে পারো না।।।সারাক্ষণ ব্যাঙের মতো তিড়িং বিড়িং করে লাফাও কেন।।

-: শুনেছি জন্ম আমার বর্ষাকালে হয়েছে,,,,তাই হয়তো ব্যাঙের DNA আর আমার DNA এর মধ্যে অনেক মিল আছে।

-: হোয়াট রাবিশ। এই..এই তুমি কি কোনদিন ভালো কথা বলতে শিখোনি,,,উফফ তোমার সাথে কথা বলতে আমি আর চাই না,,,সো চুপচাপ ব্রেকফাস্ট কমপ্লিট করো।
.
.
এই বলে নিলয় ব্রেকফাস্ট শুরু করলো।।কিন্তু তিথি ব্রেকফাস্ট এর দিকে তাকিয়ে জোরে চেঁচিয়ে উঠল,,,নিলয় থতমত খেয়ে গেল তিথির অমন চিৎকারে। আর উত্তেজিত হয়ে জিজ্ঞেস করল-;

-: কি হয়েছে!!!!!

-: মাত্র চারটে বাটার টোস্ট,,এক গ্লাস জুস আর ২ টা ডিম সেদ্ধ।।বেস এই টুকু,,,এই আপনি এতো কিপটুস কেন বলুনতো।।ভালোই তো কিডনেপিং এর টাকা দিয়ে এত সুন্দর বাড়ি ঝেপে নিলেন।।আর খাওয়ানোর বেলায় যত রাজ্যের কিপটামি। কাল রাতে তো শুধুমাত্র চারটে পরোটা আর একবাটি কষা মাংস দিছেন।আর সারাদিন না খাইয়ে রেখেছেন।। আর সকালবেলা এটুকুনি ব্রেকফাস্টে কারোর পেট ভরে।।উগন্ডা একটা।।???

-:নিলয় পুরো ???????
তারপর নিজেকে সামলে নিয়ে সার্ভেন্ট কে ডাক দিল।। আর বলল-

-: শোনো এর যা যা লাগবে বানিয়ে নিয়ে এসো,, কুইক।

-: ওকে স্যার,,বলুন ম্যাম।।(সার্ভেন্ট)

-: আচ্ছা আমার জন্য এক প্লেট হোয়াইট সস পাস্তা আর এক প্লেট গ্রিন সালাদ আর হ্যাঁ এক গ্লাস ম্যাঙ্গ মিল্কশেক। আর এই ব্রেকফাস্টটা থাক তুমি এত কষ্ট করে বানিয়ে নিয়ে এসেছ,,, না খেয়ে থাকা যায় বল। তুমি যাও।

-: সার্ভেন্ট ?????
-:নিলয়???????
এইটুকুনি মেয়ের পেট তো নয় যেন একটা আস্ত বড় জলের ট্যাংকি।।(মনে মনে বলল নিলয়)

-: এবার বোঝো ঠেলা,,,,আমাকে আটকে রাখা তাও আবার বিনা দোষে।। এমন হাল করব না যে,, কাল সকালের মধ্যে আমাকে আমার বাড়িতে নিজে রেখে আসবে। একদিনই ফকির বানিয়ে দেবো।হুম আমার নাম ও তিথি নয়।????(মনে মনে বলল তিথি)

-: কি ভেবেছো,,,আমি কিছু বুঝিনা এসব তোমার চালাকী।।নাও নাও যত ইচ্ছা খাও,,,কিন্তু আমার কাজ যতদিন না পর্যন্ত শেষ হচ্ছে তোমাকে এখান থেকে মুক্তি পেতে দেবো।ইটস চ্যালেঞ্জ।??? (মনে মনে বলল নিলয়)
.
?
.
.
তিথি প্রায় দু ঘন্টা যাবত ঘরের এ মাথা থেকে ওমাথা চোরকি পাক খাচ্ছে। নিলয় অনেকক্ষণ আগেই অফিসে চলে গিয়েছে আসবে নাকি সেই সন্ধ্যেবেলা।।তিথি আঙুলের নখ খাচ্ছে,,,,আর ভাবছে সে কি করবে লোকটা তো তাকে স্পষ্ট জানিয়ে দিল,,যতক্ষণ না তার কাজ শেষ হবে না,,,,ততক্ষণ পর্যন্ত সে তাকে ছাড়বে না।।।।কিন্তু এদিকে বাড়ির লোক তো তার জন্য টেনশনে টেনশনে মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে হয়তো।। নিশ্চয়ই মামার বিপি মনে হয় ফল করে গেছে,,,আর টাকলু মামা তার মাথায় নিশ্চয়ই আইসবাগ দিয়ে বসে আছে।।আর মামী হয়তো মামার টাকলু মাথায় ফ্যান নিয়ে হাওয়া করছে।।এখন কি করা যায়,,,, তাদের একবার না জানলে তো তারা টেনশন করবে।।হয়তো পুলিশেও জানিয়ে ফেলবে,,এক কাজ করি একটা ফোন করে বরং জানিয়ে দি।
.
.
তিথি আস্তে আস্তে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামল এবংআশেপাশে চারিদিকে খুঁজে কিছু পেল না,, তাই সে রান্নাঘরের দিকে গেল।।গিয়ে দেখলো সার্ভেন্টস রা দুপুরের জন্য খাবার রান্না করছে।। সে একটা সার্ভেন্ট এর কাছে গেল এবং তার কাছ গিয়ে বলল-;

-:ফোন আছে।

সার্ভেন্টটা কিছুক্ষণ তিথির দিকে তাকালো,,,,তারপর বলল-;

-:সরি ম্যাম,স্যার নিষেধ করেছে আপনাকে কোনরকম ফোন দিতে।

তিথি তখন বলল-: আরে চাচা কোনরকম ফোন দিতে হবে না,,,যেকোন একটা ফোন দিলেই চলবে।।প্লিজ দিন না খুব দরকার।

-: সরি ম্যাম স্যার বারণ করেছে।।

-:রাখ তোর স্যারের নিকুচি করেছে।দিতে হবে না তোর কোন ফোন যত্তসব আউলা-ঝাউলা।(মুখ ভেংচিয়ে তিথি চলে গেল)

তারপর তিথি মনে মনে নিলয় কে এবং সার্ভেন্টকে হাজার একটা গালি দিয়ে,,,সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে নেবে,,,,কি সোফা রুমের পাশে দেখল একটা ল্যান্ডফোন রাখা আছে।।ব্যাস তিথিকে আর পায় কে ঝপাং করে সেখানে গিয়ে,, ফোনটা হাতে নিয়ে প্রথমে মামার নাম্বার ডায়াল করল,,কিছুক্ষণ পর ওপাশ থেকে একজন ভদ্রলোক ফোনটা রিসিভ করল,, তারপর উত্তেজিত এবং চিন্তিত কণ্ঠে বলে উঠলেন-;

-: হ্যালো কে বলছেন।।

-: মামা আমি,,আমি তিথি বলছি।।

তিথির কন্ঠটা শুনে তার মামা মনে হয় একটু নিশ্চিন্ত হলেন,,তারপর বললেন-;

-:তুই….তুই কি আমাকে কোনদিনও শান্তি দিবি না ।।কোথায় গিয়েছিস তুই,,,ফোন ফেলে দিয়েছিস কেন বাড়িতে।।আর সারারাত কোথায় ছিলিস,,চারিদিকে খুঁজে খুঁজে পাগল হয়ে গিয়েছি,,সে খবর রাখিস তুই।

-:উফ্ মামা বেশি টেনশন করো না।।নাইলে বিপি বেশি লো হয়ে গেল তুমি টাটা বাই বাই হয়ে যাবে জন্মের মত।।

-:হ্যাঁরে তোর লজ্জা করে না নিজের মামার মৃত্যু কামনা করিস।আর তুই কোথায় বল দেখি।।

-:আরে মামা আমি মিতুর সাথে একটু ঘুরতে বেরিয়েছি।।সুতরাং আসতে মিনিমাম ৮ থেকে ৯ দিন লাগবে,,,,,তুমি বেশি টেনশন করো না।ফোন নিয়ে আসেনি বলে রাস্তার পাশের টেলিফোন থেকে ফোন করছি।।এই ফোনে আর ফোন দিও না কারণ এটা আমার ফোন নয় এটা টেলিফোন বুথের নাম্বার।।

-: তুই আবার কখন,,কোথায়,,ঘুরতে গেলি।। আমাকে তো কিছু বললি না।।তুই সব সময় এরকম কেন করিস,কোথায় ঘুরতে চলে গেছিস।

-:আরে মামা খুব গরম পড়েছে না,,,তাই দার্জিলিং ঘুরতে এসছি।

-: দার্জিলিং…. তুই দার্জিলিঙে চলে গেছিস!!!

-: উফ মামা তুমি মামীকে ফোনটা দাও তো।

কিছুক্ষণ পর ওর মামা তিথির মামি ফোনটা ধরি দিল।

-:হ্যাঁ রে মামনি তুই নাকি দার্জিলিং গেছিস।তা আমার জন্য একটা ভালো দেখে সোয়েটার আনিস তো,,আমারটা অনেক দিনের পুরনো হয়ে গেছে।।আমি বরং তোকে টাকা পাঠিয়ে দিচ্ছি,,তুই তো বেশি টাকা নিয়ে যাস নি।(খুশিতে গদগদ হয়ে মামি বলল)

-:আরে….আরে মামি টাকা পাঠাতে হবে না। তোমার জন্য আমি নিয়ে আসব সোয়েটার,,আমার কাছে টাকা আছে।।তুমি বরং তোমার টেকো জামাইকে সামলাও।

পাশ থেকে তিথি মামা চেঁচিয়ে উঠলো-;

-: দেখছো তোমার ভাগ্নির কান্ড।।আমাকে টেকলো বলছে।আর তুমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে শুনছো।

-: আহ টেকো কে টেকো বলবে না তো কি বলবে শুনি।তুমি চুপ করে তো।।(বিরক্ত কন্ঠে)

-:আচ্ছা মামি অনেক হয়েছে,,রাখছি আর আমার যখন টাইম হবে আমি যোগাযোগ করে নেব।। আমার কাছে ফোন নেই তাই ফোন করোনা।আর মিতুর ফোনটা ও খুব ডিস্টার্ব করছে।

-:ওকে রাখছি। সাবধানে থাকিস।

-: বাই।।

বলে তিথি ফোনটা রেখে দিল।তারপর মিতুকে ফোন করে বলল যে তার মামা যদি তাকে ফোন করে সে যেন বলে যে সে আমার সাথে দার্জিলিং এ আছে। তারপর মিতুর সাথে কিছুক্ষণ কথা বলে ফোনটা রেখে উপরে চলে গেল। আর মনে মনে ভাবল এবার বুঝবে আপনি,,নামটা কি যেন ও বলেইনি তো নামটা,,সে যাই হোক আপনার অবস্থা আমি টাইট করেই ছাড়ব।।এন্ড ইটস তিথির চ্যালেঞ্জ।। খচ্চর পোলা একটা।।
.
.
.
[বাকিটা নেক্সট পর্বে]

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে