#তোমাকে আমার প্রয়োজন??
#মেঘ পরী??
??পর্ব-২৯??
আজ তিথির বিয়ে তাই সকাল থেকে সবাই বিয়ের আয়োজনে ব্যস্ত।তিথি বারবার নিশিকে খেয়াল করছে,,কাল রাত থেকে খেয়াল করছে নিশা কি যেন নিয়ে খুব গভীর চিন্তায় মগ্ন কাল রাতের ওয়াশরুম থেকে আসার পর নিশি একদম চুপচাপ।নিশি কে এই নিয়ে বেশ কয়েকবার জিজ্ঞেস করলেও সে কোনও জবাব দেইনি,, কথাটাকে বারবার এড়িয়ে গিয়েছে,,তাই তিথি আর কিছু বলেনি।
এইদিকে নিশির বাবা আর আবিরের বাবা সেই কখন থেকে একটা ঘরের মধ্যে দরজা বন্ধ করে কি যেন একটা বিষয় নিয়ে দুজন আলোচনা করছে।এখনও বেরোনো নাম গন্ধ ও নেই,,,তিথি বুঝতে পারছেনা হঠাৎ তাদের মধ্যে কি বিষয় নিয়ে এত কথা হচ্ছে।দুপুরবেলা সবাই বসে লাঞ্চ করছিল হঠাৎ নিশি আর আবিরের বাবা টেবিলে এসে বসলো।কিছুক্ষণ পর নিশির বাবা নিশিকে উদ্দেশ্য করে বলতে লাগল-;
-:আমরা তোমার জন্য একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
কথাটা শুনে নিশি তার বাবার দিকে অধীর আগ্রহে তাকিয়ে আছে,,তিথি ও আগ্রহী দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
-:আমরা তোমার বিয়ে ঠিক করেছি আর সেটা আজই হবে,,তিথির বিয়ের সাথেই তোমার আর আবিরের বিয়ে দিয়ে দিতে চাচ্ছি আমরা।এতে কারোর কোনো আপত্তি নেই সবাই রাজি এই বিয়েতে।
-:এটা তুমি কি করে ঠিক করতে পারলে বাবা?? আমাকে কিছু না জানিয়ে এরকম হুট করে কি করে সিদ্ধান্ত নিতে পারলে তুমি!!
উঠে দাড়িয়ে চিৎকার করে বলে উঠলো নিশি।
-:আস্তে কথা বল।এখানে তোমার থেকে বড় অনেকে আছে সুতরাং ভদ্রতা বজায় রাখ।(গম্ভীর মুখে বললো)
নিশি নিজেকে সংযত করে চেয়ারে বসে পড়ল,,, এইদিকে তিথি হাঁ করে তাদের কথাগুলো শুনছে কি হচ্ছে কেন হচ্ছে কিছুই তার ছোট্ট মাথায় ঢুকছেনা।আর আবির!!আবির তো কোন কথাই বলছে না নিজের মত খেয়েই যাচ্ছে এমন ভাব করছে যেন সে আগে থেকে সবকিছু জানতে।
নিশির বাবা শান্ত কন্ঠে বলতে লাগলো-;
-: দেখো এমনিতেই তোমার আর আবিরের বিয়ে ঠিক ছিল আগে থেকেই ।তাই আমরা ভাবছি দেরি না করে দুজনের বিয়ে একসাথেই সেরে ফেলতে।কারণ এরপর আবির ব্যস্ত হয়ে পড়বে তখন কিছুতেই বিয়ে করা সম্ভব হয়ে উঠবে না,, তাই এখন একটা ভালো মুহূর্ত আছে আমরা এটাকে হারাতে চাইছি না।সবাই রাজি আছে এতে। আশা করি তুমি আর কোন সিনক্রিয়েট করবে না এই বিষয়ে।
এই বলে তিনি উঠে গেলেন এক এক করে সবাই উঠে গেল টেবিল থেকে নিশি চুপচাপ এক ধ্যানে বসে আছে আর তিথির মাথায় এখনও ঢুকছে এই বিষয়টা যে কি থেকে কি হয়ে গেল!!!
.
.
?
.
.
পার্লার থেকে সাজানোর লোক এসেছে।তিথি এবং নিশি কে একসাথে সাজানো হচ্ছে তিথি এটা দেখে অবাক হচ্ছে যে তার এবং নিশির বিয়ের সাজ হুবাহু এক,,,শুধু বিয়ের বেনারসির রং টা আলাদা।নিশি ও প্রথমে অবাক হয়েছিল তার এবং তিথির বিয়ের সাজ প্রায় এক হওয়ায়।
কিছুক্ষণ পর তারা নিশি এবং তিথিকে সাজিয়ে দিলো,,,দুজনকে খুব সুন্দর লাগছে দেখতে আজ।তিথি আজ লাল বেনারসি আর গা ভর্তি গয়নাই সেজেছে।আর নিশি নীল বেনারসী আর গা ভর্তি গহনা দিয়ে সেজেছে। নিশি কোন কথা বলছে না চুপচাপ বসে রয়েছে।
সাজানোর পর তাদের দুজনকে স্টেজে বসিয়ে দেওয়া হল।কিছুক্ষণ পর নিলয় এসে পৌছালো। নিলয় আজকে রেড কালারের শেরওয়ানি পড়ছে আর মাথায় পাগড়ী আর এইদিকে আবির আজ স্কাই কালারের শেরওয়ানি পড়েছে আর মাথায় পাগড়ী,,,এদের দুজনকে ও আজ খুব সুন্দর লাগছে।
কিছুক্ষণ পর বিয়ে পড়ানো শুরু হল প্রথমে তিথির বিয়ে পড়ানো শুরু হল।তিথিকে কবুল বলতে বললে তিথি বলে ফেললো এরপর নিলয়কে বলতে বললে নিলয় বলে দিল,,তারপর তাদের বিয়ে সম্পন্ন হলো।
এরপর আবির আর নিশির বিয়ে পড়ানো শুরু হল নিশিকে কবুল বলতে বললে সে কিছুটা সময় নিয়ে তারপর কবুল বল দিল আর আবিরের পালা এলে সে আর সময় নষ্ট না করে সে ও কবুল বলে ফেলল এইভাবে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হল।
.
.
[বাকিটা নেক্সট পর্বে]