#তোমাকে আমার প্রয়োজন??
#মেঘ পরী??
??পর্ব-২৬??
.
?
.
নিলয় এবং তিথি অনেকক্ষণ ধরে শপিং করছে।আর এইদিকে নিশি অত্যন্ত বিরক্তি ভাবে গাড়িতে বসে আছে,,যদি সে জানতো এমন একটা পরিস্থিতি সম্মুখীন হবে সে,,,তাহলে কখনোই আসতো না আবিরের সাথে।
আবির এবং নিলয়ের গাড়ি একসাথেই যাচ্ছিল হঠাৎ একটা মোড়ের সামনে এসে,,আবির গাড়ি ঘুরিয়ে নিল।এরকম হঠাৎ গাড়ি ঘুরিয়ে নেওয়ায় নিশি প্রথমে খুবই অবাক হয়েছিল।অনেকক্ষণ ধরে আবিরকে জিজ্ঞাসা করেও কোন উত্তর পাইনি যে তারা কোথায় যাচ্ছে,,,তাই আর কিছু না জিজ্ঞাসা করে,,,চুপচাপ জানালার বাইরে তাকিয়ে আছে।অনেকক্ষণ গাড়ি চালানোর পর আবির একটা নদীর পাড়ের সামনে,,,গাড়ি থামাল।তারপর গাড়ি থেকে নেমে,,,নিশিকে নামতে বলল।
নিশি গাড়ি থেকে নেমে সামনে তাকিয়ে অবাক হয়ে গেল।জায়গাটা অপরূপ সুন্দর এক সাইড দিয়ে নদী বয়ে যাচ্ছে এবং তার ঠিক পাশেই সবুজ ঘাসে ঘেরা সুন্দর একটা পটভূমি।চারিদিক গাছগাছালিতে ভর্তি সুন্দর একটা জায়গা।মৃদু বহমান বাতাসে নিশির মন ছুঁয়ে যাচ্ছে,,নিশি আপন মনে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে ব্যস্ত,,,আর আবির ব্যস্ত নিশির সৌন্দর্য উপভোগ করতে,,,নিশি চোখ বন্ধ করে দুহাত ছাড়িয়ে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করছিল,,,হাওয়ার তালে তাল মিলিয়ে নিশি ঢেউ খেলানো সুন্দর চুলগুলোও ওলট পালট হয়ে যাচ্ছে।
আবির নিশির একদম কাছে চলে এল তারপর নিশির চুলগুলো আস্তে করে সরিয়ে,,, কানের পিছনে গুজে দিল।আবিরের ছোঁয়ায় নিশি কেঁপে উঠলো,,,চোখ খুলে তাকিয়ে দেখলো আবির তার একদম সামনে দাঁড়িয়ে আছে। আবিরকে নিজের এতটা সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে নিশি কিছুটা দূরে সরে গেল,,তারপর তার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করল-;
-:আমরা এখানে কি করছি??
নিশির কোথার কোন জবাব দিল না আবির,,,সে এক দৃষ্টিতে নিশির দিকে তাকিয়ে আছে,,,নিশি এবার কিছুটা অস্বস্তি ফিল করল আবিরের এমন চাহনিতে,,,তারপর নিজেকে সামলে জিজ্ঞাসা করে উঠলো-;
-:আ..আমরা এ..এখানে কেন এসেছি??আমরা তো শপিং করতে এসেছিলাম,,,তাহলে আপনি এখানে কেন নিয়ে এলে আমাকে??কি হলো ভাইয়া চুপ করে আছেন কেন??কিছু বলুন।।
এতক্ষণ আবির চুপ করে থাকলেও নিশির মুখ থেকে ভাইয়া ডাক শুনে খুবই বিরক্ত হলো,,,তাই নিশির হাত ধরে ঝটকা টানে নিজের সাথে মিশিয়ে নিয়ে বলে উঠলো-;
-:আগে তো পেটে ঘুষি মারলে ও ভাইয়া ডাক বের হতো না তোর মুখ থেকে।তাহলে এখন কেন কথায় কথায় ভাইয়া বলে ডাকিস আমায়।(দাঁতে দাঁত চেপে)
নিশি নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করতে করতে বলে উঠলো-;
-:কি হচ্ছে কি ভাইয়া ছাড়ুন আমাকে।
-:কেন আমার কাছে আসতে খুব বিরক্ত লাগে তাই নারে,,,কিন্তু রাফিনের সাথে কথা বলতে তো তোর কখনো বিরক্ত লাগে না।তখন তোর বিরক্ত কোথায় থাকে রে??
নিশিকে আরও শক্ত করে নিজের সাথে চেপে কথাগুলো বলল।আবিরের কথায় নিশি অনেকটা অবাক হয়ে তার দিকে তাকিয়ে বলে উঠল-;
-:মনে হয় আপনার মাথাটা গিয়েছে???ছাড়ুন আমাকে,,,এখানে রাফিন ভাইয়া আসছে কোথা থেকে??
-:চুপ একদম বেশি কথা বলবি না।আমি যেন তোকে আর রাফিনের সাথে কথা বলতে না দেখি,,, তাহলে কিন্তু আমার চেয়ে খারাপ আর কেউ হবে না।
নিশি এবার বেশ রেগে আবিরকে বলতে লাগল-;
-:কেন রাফিন ভাইয়ের সাথে আমি কথা বলব না কেন???এক বার নয় একশো বার কথা বলবো আমি তার সাথে,,,দিস ইজ মাই পার্সোনাল ম্যাটার।আপনি কে আমাকে মানা করার??আপনি কেউই নয়,,,বাইরের লোক বাইরের লোকের মতই থাকুন।
নিশির এমন কথায় আবিরের প্রচন্ড মাথা গরম হয়ে গেল,,,নিশির দুবাহু শক্ত করে চেপে ধরে,,,,রক্ত লাল চোখে নিশির দিকে তাকিয়ে বলে উঠল-;
-:আমি কে তা সময় হলে,,,ঠিকই বুঝতে পারবি।
-:আহ্ লাগছে ভাইয়া ছাড়ুন আমাকে?
-:চুপ আর একবার ভাইয়া বলে ডাকলে তোর অবস্থা কি হবে তা আমি নিজেও জানিনা। (প্রচন্ড জোরে চিল্লিয়ে)আর হ্যা লাগার জন্যই ধরা,,,শোন আমি তোকে কিছু কথা বলব,,,কান খুলে শুনে রাখ আমার কথাগুলো কারণ এক কথা বারবার বলতে পছন্দ করিনা আমি,,,বুঝতে পেরেছিস তুই।
আবিরের ধমকে নিশি প্রচন্ড ভয় পেয়ে গিয়েছিল তাই কিছু না বলে চুপচাপ মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ বলল।
-:দেখ অন্যদের মতো কিভাবে ভালোবাসা প্রকাশ করতে হয়,,,তা আমি জানিনা,,ভালোবাসা কি,, কাকে বলে এসব কিছুই আমি জানিনা?? আর জানতে চাইও নি কোনদিন,,,আর সত্যি কথা বলতে কাউকে আমি ভালোবাসতেও চাইনি কোনোকালেই।
কিন্তু তুই ই প্রথম মেয়ে যে আমার মনে ভালোবাসার ফুল ফুটিয়েছি,,,আমাকে ভালবাসতে শিখিয়েছিস।ফিলিংস কি তা তুই আমাকে প্রথম বুঝিয়েছিস,,,হয়তো সেটা তোর নিজের অজান্তেই।কিন্তু একবার যখন তুই আমাকে মায়াজালে আটকেই দিয়েছিস নিজের মায়া দিয়ে,,,তখন তুই চাইলেও আমার কাছ থেকে আলাদা হতে পারবি না।সুতরাং যে করেই হোক তোকে আমার চাই,,, বুঝেছিস তুই।
আবিরের কথা শুনে নিশি ৪৪০ ভোল্টের একটা শক খেলো,,,,তারপরে নিজেকে সামলে আবিরের কাছ থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিল। আবিরের দিকে স্তির চাহনি নিক্ষেপ করে,,,শান্ত গলায় বলে উঠলো-;
-:আপনি কি আমাকে এই কথাগুলোই সবার সামনে বলতে পারবেন।মানে অনেকগুলো লোকের সামনে বলতে পারবেন কি??তাহলে আমি মেনে নেব আপনি আমাকে সত্যি সত্যি ভালোবাসেন।
নিশির কথায় আবির কিছুটা অবাক হলো,,, তারপর নিজেকে সামলে বলে উঠলো-;
-:বেশ তাহলে শপিংমলে কাছে চলো,,,ওখানে অনেক জন আছে আর সেই সাথে নিলয় এবং তিথি কেও সেখানে পাবে।
নিশি কোন কিছু না ভেবেই বলে উঠলো-;
-:ঠিক আছে চলুন।
.
.
?
.
.
এক মল লোকের সামনে আবির হাঁটু গেড়ে বসে নিশিকে প্রপোজ করল-;
-: জানি না কাউকে প্রপোজ কিভাবে করতে হয়,,, শুধু আমি আমার মনের কথাগুলোই তোমাকে বলতে চাই জানিনা কবে তোমার মায়াজালে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেছি কিন্তু সত্যি কথা বলছি এখন চাইলেও সেই মায়াজাল থেকে নিজেকে ছাড়াতে পারছিনা অক্ষম আমি তোমাকে ঘোষণা প্রশ্ন করছি তুমি কি আমার সারা জীবনের পথ চলার সঙ্গী হতে চাও??? আমার হাতে হাত রেখে সারা জীবন সমস্ত সুখ দুঃখের সঙ্গী হতে চাও??আমাকে একটুক্ষনি ভালোবাসা দিতে পারবে,, বিশ্বাস করো তোমাকে সারাজীবন আগলে রাখবো সমস্ত বিপদ থেকে,,, আমি জীবিত থাকতে তোমার বাড়ির কেউ কোনদিন একটা আঁচড় কাটতে পারবে না হবে কি আমার জীবন সঙ্গিনী বাঁধবে কি ঘর আমার সাথে,, হবে কি..
আর কিছু বলতে না দিয়েই খুব জোরে আবিরের গালে নিশি একটা চড় মারল।এতক্ষন মলের বেশিরভাগ মানুষ তাদের দিকে তাকিয়ে ছিল,,,তিথি এবং নিলয় ও ছিল সেখানে।তিথি তো খুবই খুশি তার ভাইয়ার এমন প্রপোজে।আর তিথি,,, নিলয়ের ঠিক পাশেই রাফিন নিজের কদবেলের মতো মুখ নিয়ে দাঁড়িয়েছিল।
আসলে সে তিথি দের বাসায় গিয়েছিল,,,, তিথির সাথে দেখা করার অজুহাতে নিশিকে দেখতে।কিন্তু সেখানে গিয়ে সে জানতে পারল নিশিরা সবাই শপিংমলে গিয়েছে,,,,বিয়ের কেনাকাটা করতে,,,,তাই আর সময় নষ্ট না করেই সে শপিংমলে উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল কিন্তু সেখানে গিয়ে সে শুধু তিথি এবং নিলয় কেই পেল,,,পরে তাদের কাছ থেকে জানতে পারল নিশি এবং আবির কোথায় যেন গিয়েছে,,,,এইটা শুনেই রাফিনের মন খারাপ হয়ে গেল,,,,পরে সে তাদের সাথে শপিংয়ে যোগ দিল,,,,হঠাৎ কোথা থেকে আবির এবং নিশি শপিংমলে সামনে এসে হাজির হলো,,,তারপর আবির হুট করেই সবার সমনে নিশিকে প্রপোজ করলো,,,,এটা দেখে রাফিনের খুবই মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল কিন্তু পরক্ষনে নিশি আবিরের গালে চড় দেওয়া দেখে মুহূর্তেই তার মন খারাপ আকাশে উড়ে গেল। নিলয় তিথি প্রচন্ড অবাক হয়ে নিশির দিকে তাকিয়ে আছে।
আর এই দিকে আবির দুই হাত মুঠো মেরে,,,মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে। আবিরকে চুপ করে থাকতে দেখে নিশি এবার বলতে শুরু করলো-;
-:কী যোগ্যতা আছে আপনার???আমাকে বিয়ে করা???জানেন আমার বাবা মাসে কত টাকা ইনকাম করে??আপনি সামান্য একজন ডাক্তার হয়ে কতইবা টাকা ইনকাম করেন যে আমাকে বিয়ের প্রপোজাল দিচ্ছেন???আপনার মত মিডিল ক্লাস লোকের সাহস দেখে আমি খুবই অবাক হয়ে যাচ্ছি!!!লজ্জা করে না এতগুলো লোকের সামনে নিজের মানতো খোয়ালেনই তার সাথে আমার স্ট্যাটাসেরও ফেলুদা বানিয়ে ছাড়লেন।আর কখনোই আপনার এই মুখ নিয়ে আমার সামনে দাঁড়াবেন না,,,ইজ দা ক্লিয়ার।।
তারপর আবিরের সামনে গিয়ে,,,,আবিরের কানের কাছে মুখ এনে বলতে লাগলো-;
-:ঠিক এমনই অনুভূতি কিছু মাস আগে আমারও হয়েছিল মিস্টার আবির??সো টিট ফর ট্যাট।।
নিশির এমন ব্যবহারে তিথি অবাক হয়ে তার দিকে তাকিয়ে আছে।হঠাৎ কোথা থেকে রাফিন হুট করে নিশির সামনে গিয়ে,,,,নিশির হাত ধরে বলে উঠলো-;
-:নিশি আমার অনেক বড় বিজনেস আছে।। নিলয়ের মতন অত বড় না হলেও খুব একটা ছোট ও না।আর সত্যি কথা বলতে তোমাকে প্রথম যেদিন দেখেছিলাম সেদিনই আমার তোমাকে ভালো লেগে গিয়েছিল।আর নিজের অজান্তেই তোমাকে আমি ভালোবেসে ফেলেছি। আই রিয়েলি লাভ ইউ,,,তুমি কি আমাকে বিয়ে করবে।বিশ্বাস করো তোমাকে সুখী রাখার মত যথেষ্ট টাকা আমার আছে।
রাফিনের কোথায় নিশি আবিরের দিকে তাকিয়ে,,,,রাফিনের হাত শক্ত করে ধরে বলে উঠলো-;
-:অবশ্যই আমি এমনই একজন কে খুজছিলাম,,, যে আমার যোগ্য হবে।যার স্ট্যাটাস আমার স্ট্যাটাসের সমান হবে।ওকে রাফিন আমরা রিলেশন স্টার্ট করতে পারি।
এতক্ষণ আবির চুপ করে থাকলেও,,, নিশির মুখ থেকে রিলেশন স্টার্ট করার কথা শুনে আর চুপ করে থাকতে পারল না।নিশিকে নিজের দিকে ঘুরিয়েই পরপর খুব জোরে দুটো চড় বসিয়ে দিল নিশির গালে।চরটা এতটাই জোরে ছিল যে নিশির ঠোঁট ফেটে রক্ত বেরিয়ে গিয়েছে।গালে হাত দিয়ে নিশি ছল ছল চোখে আবিরের দিকে তাকিয়ে আছে।
আবিরের এমন দিয়ে বিহেবিয়ারে রাফিনের প্রচুর মাথা গরম হয়ে যায়,,,,তাই সে আবিরের সামনে গিয়ে,,,,তার কলার ধরে বলে উঠলো-;
-:হাউ ডেয়ার ইউ???আমার হবু বউয়ের গায়ে হাত তোলার সাহস তোকে কে দিয়েছে??ইউ মিডিল ক্লাস…
ব্যাস রাফিন বেচারা জানতোই না যে সে কাকে কি বলে ফেলেছে।একেতো নিশিকে নিজের হবু বউ বলে দাবি করা তার ওপর কলার ধরে কথা বলা,,,আবির আর কিছুতেই সহ্য করতে পারল না,,,,নিশিকে ছেড়ে রাফিনের দিকে একবার তাকালো,,,,তারপর আর কোন কিছু না ভেবেই রাফিন কে মারতে লাগলো।মারতে মারতে তার অবস্থা অনেকটাই খারাপ হয়ে গিয়েছে,,,, বেচারার মুখ ফেটে রক্ত বের হচ্ছে,,,তখনই নিলয় দৌড়ে এসে আবিরকে রাফিনের থেকে দূরে নিয়ে গেল।
আবির রাফিনের দিকে তাকিয়ে চেঁচিয়ে বলে উঠলো-;
-:আজকে এই অবস্থার কথাটা মনে থাকলে,,, কখনোই আর ওকে নিজের হবু বউ বলে দাবি করবিনা।এক্ষুনি আমার চোখের সামনে থেকে চলে যা,,,,গেট আউট!!
রাফিন আস্তে করে উঠে দাঁড়ালো তারপর নিলয়ের দিকে তাকিয়ে,,,কাঁদো কণ্ঠে বলে উঠলো-;
-:দোস্ত তোর সামনে তোর হবু শালা আমাকে কাপড় কাচার মতো ধুয়ে দিল,,,আর তুই কিছুই বললি না।শালা বউ পেয়ে নিজের দোস্তকে ভুলে গেলি??এই তোর বন্ধুত্ব।
নিলয় রাফিনের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো-;
-:ভাই তুই আমার বন্ধু বলেই,,,তোকে একটা ভালো এডভাইস দিচ্ছি ভুল তো করেই ফেলেছিস অন্যের জিনিসের হাত দিয়ে।তাই বলছি ভাই আর ঝামেলা না পাকিয়ে,,,এখান থেকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কেটে পড়।নইলে আমার শালা তোর অবস্থা আরও টাইট করে ছেড়ে দেবো।
রাফিন আর কিছু না বলে আস্তে আস্তে নিজের গাড়ির দিকে হাঁটতে শুরু করলো,,,আর নিজের মনেই বলে উঠল-;
-:শালা আগে যদি জানতাম পাবলিক প্লেসে প্রপোজ করলে এমন ক্যালানি খেতে হবে,,,তাহলে কোনদিনও কাউকে প্রপোজ করতাম না এমন ভাবে।হুম হিরো সাজতে গিয়ে বাঁদর সেজে ঘরে যেতে হচ্ছে কি দিন পড়েছে আমার।
আর এদিকে নিশি আবিরের কাছ থেকে পরপর দুটো চড় খেয়ে তিথির পিছনে লুকিয়ে আছে,,, আর ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে।সে কল্পনাতেও ভাবতে পারেনি আবির এমন রিয়াক্ট করব তার সাথে।এখন তার খুব ভয় লাগছে আবিরকে।
আবির আর কিছু না বলে নিলয় এর কাছ থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে,,,,নিশির কাছে গেল।নিশি তিথির জামা এক হাতে শক্ত করে চেপে ধরে আছে আর এক হাতে নিজের চোখের জল মুছছে।আবির আর কোন কথা না বলে নিশির হাত শক্ত করে চেপে ধরে ধরল,,,আর এক হাত দিয়ে নিশির হাত তিথির জামা থেকে ছাড়িয়ে নিল।তারপর নিশিকে টানতে টানতে গাড়ির ভেতরে ঢুকিয়ে,,,নিজে গাড়ির মধ্যে বসে পরলো। তারপর গাড়ি স্টার্ট দিয়ে চলে গেল।তিথি তো হা করে তাকিয়ে আছে তাদের যাওয়ার পথে,,,কি থেকে কি হয়ে গেল সে কিছুই বুঝতে পারছে না।
.
.
.
.
[বাকিটা নেক্সট পর্বে]