তোমাকে আমার প্রয়োজন পর্ব-১১

0
2107

#তোমাকে আমার প্রয়োজন ??
#মেঘ পরী??

??পর্ব-১১??
.
?
.
.
বিঃদ্রঃ ?? অনেকেই আমার কাছে একটা প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেছেন যে তিথি 17 বছর বয়সী মেয়ে হয়েও কি করে স্কুলে পড়ে??? তাদের জন্য আমি বলে রাখি আমি একজন ইন্ডিয়ান।।আর আমাদের ইন্ডিয়ান এডুকেশন রুল অনুযায়ী,,, স্টুডেন্টরা নার্সারি লেভেল থেকে ক্লাস ফোর পর্যন্ত প্রাইমারি স্কুলে পড়ে আর ক্লাস ফাইভ থেকে টুয়েলভ পর্যন্ত হাই স্কুলে পড়ে।HS পরীক্ষা দেওয়ার পর তারা বিভিন্ন কলেজ কিংবা ইউনিভার্সিটি তে ভর্তি হয়।আর গল্পে যেহেতু তিথি ক্লাস টুয়েলভে পড়ে(পর্ব-৪ এ উল্লেখ করা আছে) তাই সে স্কুলে পড়বে এটাই স্বাভাবিক।আশাকরি প্রত্যেকের প্রশ্নের জবাব দিতে আমি সক্ষম হয়েছি।আর গল্প বিষয়ক কোন‌ কিছু জানার ইচ্ছা থাকলে অনুগ্রহ করে আমাকে জানাবেন।ধন্যবাদ।।??
.
.
?
.
.
গাড়ীতে বসে তিথি মুখ ফুলিয়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে বসে আছে।তার কারণটা হল নিলয়,,, কিছুক্ষণ আগে তাকে জোর করে গাড়িতে বসিয়ে ১ ঘন্টা যাবত ড্রাইভিং করেই যাচ্ছে কিন্তু কোথাও থামার নামই নেই।।এদিকে যে দেরি হয়ে যাচ্ছে বাড়ি ফিরতে সে খবর তার মনেই নেই,,,এখন বাড়িতে না ফিরলে সবাই টেনশন করবে।।কিন্তু সেটা তো এই মুখপোড়া বাঁদর বুঝতেই চাইছে না।তখন থেকে জিজ্ঞাসা করে যাচ্ছে যে তারা কোথায় যাচ্ছে কিন্তু কোন উত্তর তো দিলোই না উল্টে একটা বড়সড় ধমক দিয়ে চুপ করিয়ে দিল,,,,ধ্যাত ভালো লাগেনা,,,কেন যে আসতে গেলাম,,,,বিরক্তিকর।এদিকে খিদেতে পেটে অলরেডি ইঁদুরের-বিড়ালের রেস আরম্ভ হয়ে গেছে,,,মনে মনে এসব কথা ভাবছে আর নিজের পেটে হাত বুলাচ্ছে তিথি।

নিলয় কিছুক্ষণ ধরে ব্যাপারটা খেয়াল করছে,,যে তিথি তার পেটে হাত দিয়ে বসে আছে আর মনে মনে কি সব বিড়বিড় করছে।সে তো এতক্ষণ ব্যস্ত ছিল তিথিকে দেখতে,,,কতদিন সে তাকে মন ভরে দেখেনি,,,কতদিন তার এই বাচ্চা বাচ্চা এক্সপ্রেশনগুলো সে দেখেনি,,,আবার এটা ভেবেও খুব কষ্ট লাগছে যে কিছুক্ষণ পর আবার সে তাকে ছেড়ে চলে যাবে।কিছুক্ষণ পর নিলয় একটা রেস্টুরেন্টের সামনে গাড়িটা থামালো,,,তারপর তিথিকে নামতে বলল।তিথি একবার নিলয়ের দিকে তাকিয়ে,,,আবার মুখ ফিরিয়ে নিল,,, তারপর বলল-;

-: আমি কোথাও যাবো না,,,আমাকে আপনি বাসায় দিয়ে আসুন।।

-:তোমাকে যেটা বলছি,, তুমি সেটাই করবে,, চুপচাপ নিচে নামো,,,সিনক্রিয়েট করা বন্ধ করো।।(শান্ত কন্ঠে বলল নিলয়)

এবার তিথি কিছুটা রেগে গিয়ে বলল-;

-: আমি আপনার কোন কথাই শুনতে চাইছি না আমাকে আপনি এক্ষুনি আমার বাসায় দিয়ে আসবেন।।

নিলয় তিথির দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে,, দাঁতে দাঁত চেপে বলল-;

-:তুমি নামবা কি না,,আর একবার যদি আমাকে বলতে হয়েছে,,,,তাহলে আমি তোমাকে কোলে তুলে নিয়ে যাব,,,বুঝতে পেরেছ।।

নিলয়ের এরকম কথায় তিথি নিলয়ের দিকে ড্যাব ড্যাব চোখে তাকিয়ে থাকল,,, তারপর আর কিছু না বলে চুপচাপ গাড়ি থেকে নেমে গেল।।
.
?
.
তিথির খুব রাগ হচ্ছে নিলয়ের উপর,,,মনে হচ্ছে এই মুহূর্তে নিলয়ের মাথা ফাটিয়ে দিতে।তিথির সামনে ১৫ থেকে ১৬ ধরনের খাবারের আইটেম সাজানো আছে আর তাকে নাকি সব খাবার গুলো শেষ করতে হবে তবেই সে বাসায় যেতে পারবে।তিথি আর কিছু না ভেবে খাওয়া শুরু করলো,,,,, এমনিতেই তার খুব খুধা পেয়েছিল।তিথি যতক্ষন খাচ্ছিল ততক্ষন নিলয় গালে হাত রেখে তিথির দিকে তাকিয়ে ছিল,,, আর মনে মনে বলতে লাগলো-;

-: আর কিছুদিন অপেক্ষা করো পাখি,,,তোমার পরীক্ষা শেষ হলেই তোমাকে আমি আমার করে নেব আর তার আগে তোমার মনে আমার জন্য ফিলিংস ক্রিয়েট করতে হবে,,, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব।

‌‌ এদিকে তিথি ৪-৫ টা আইটেম কমপ্লিট করে আর খেতে পারছে না,,,তাই নিলয় দিকে তাকিয়ে করুন সুরে বলল-;

-: সত্যি বলছি আমি আর খেতে পারছি না। প্লিজ আপনি আমাকে বাসায় দিয়ে আসুন।

নিলয় তিথির দিকে তাকিয়ে বলল-;

-: ঠিক আছে আর খেতে হবে না।।

তিথি নিলয় কথা শুনে খুশিতে গদগদ হয়ে চেয়ার ছেড়ে উঠে,,,বলল-;

-:চলুন চলুন দেরী হয়ে যাচ্ছে আমার জলদি চলুন।।

-: এত তাড়া কিসের তোমার।।

-:আরে অলরেডি ছটা বেজে গেছে,,,তাড়াতাড়ি চলুন নইলে সবাই টেনশন করবে।।

-:ঠিক আছে চলো।।

রেস্টুরেন্টের বিল পেমেন্ট করে নিলয় তিথিকে নিয়ে গাড়ির সামনে দাঁড়ালো।।নিলয় যেই গাড়িতে উঠতে হবে,, তখনই তিথি চেঁচিয়ে উঠলো।। তিথির অমন চেঁচানোতে নিলয় তিথির দিকে তাকিয়ে বলল-;

-: আবার কি হল।।

তিথি খুব এক্সাইটেড হয়ে বলে উঠলো-;

-:ওই দেখুন ওই দেখুন আইসক্রিম,,,আইসক্রিম,,, কতদিন আইসক্রিম খাই নি,,,চলুন চলুন আমাকে একটা আইসক্রিম কিনে দেবেন।।

বলে নিলয় হাত ধরে আইসক্রিমের দোকানের দিকে যেতে লাগল।।আইসক্রিমের দোকান দেখে নিলয় নাক সিঁটকে নিল,,,তারপর বলল-;

-: ছিঃ ছিঃ তুমি এইসব স্ট্রীট ফুড খাবা নাকি।। দেখো এটা শরীরের পক্ষে খারাপ,,,এগুলা আনহেলদি।।তুমি চলো আমার সাথে আমি তোমাকে আইসক্রিম পার্লারে নিয়ে যাচ্ছি,,,সেখান থেকে যত ইচ্ছা তুমি আইসক্রিম খাবা।।

-: না আইসক্রিম যদি খেতেই হয় আমি এইখান থেকেই খাবো নইলে খাবো না,,,,আর আপনাকেও আমার সাথে খেতে হবে,,,চলুন।।

এই বলে নিলয়ের হাত ধরে টানতে লাগলো,,,নিলয়ের কি করবে কিছু ভেবে না পেয়ে সেই রাস্তার পাশে দাঁড়ানো আইসক্রিম দোকান থেকেই আইসক্রিম কিনতে হল,,,,, আবার তিথির জন্য আইসক্রিম খেতেও হল।এরপর নিলয় তিথিকে তার বাসার সামনে দিয়ে এলো।যেহেতু তিথি বলেছিল যে সে ছুটির পর মিতুদের বাড়ি যাবে তাই কেউ আর তাকে কোনো প্রশ্ন করেনি।।রাতে আবার নিলয়ের সাথে কিছুক্ষণ ফোনে কথা বলে ঘুমিয়ে পরল।।
.
.
?
.
.
পরের দিন সকাল আটটার সময় মিতু তিথিদের বাসায় এলো।তিথি তখন ঘুমাচ্ছিল,, তাই তিথির মামির সাথে কিছুক্ষণ কথা বলে তিথির রুমে চলে গেল।মিতু গিয়ে অনেক কষ্টে তিথিকে তুলল,,, তিথি ঘুম জড়ানো কন্ঠে মিতুকে দেখে বলতে লাগল-;

-:উফ্ এই ফকিন্নি তোকে আমি আমার বাড়িতে আজকে আসতে বলেছি বলে,,,,এই না যে তুই এত ভোরবেলা উঠে আমার বাড়ি চলে এসে,,, আমার সাধের ঘুম টাকে নষ্ট করে দিবি।

-:কি???এটা ভোরবেলা,,, কটা বাজে জানিস তুই আটটা।

-: কি আটটা বাজে আর তুই আমাকে এখন ডাকছিস,,,, তোর মতোন দোস্ত যেন আর কারো না হয়।।

-:বাহ তিথু তুই আমাকে এমন কথা বলতে পারলি আমি তো এসেই তোকে ডাকলাম,,,তুই তো এতক্ষণ পড়ে পড়ে ঘুমাচ্ছিলি।।(কিছুটা মন খারাপ করে বললো মিতু)

-; আরে আমার ভবিষ্যৎ ভাবি ননদের উপর এত রাগ করতে নেই।(মিতুর গাল দুটো টেনে)

-:যাহ কি যে বলিস না।(কিছুটা লজ্জা পেয়ে)

-:ওহো এখন লজ্জা পেলে হবে পরে তো দেখা যাবে আপনাকে খুঁজেই পাওয়া যাবে না।।

আর কিছুক্ষণ কথা বলে,,,তিথি ফ্রেশ হতে চলে গেল।।ফ্রেশ হয়ে মিতুকে সাথে নিয়ে ব্রেকফাস্ট করতে নিচে গেল।ব্রেকফাস্ট টেবিলে সবাই বসে আছে শুধু আশফি ছাড়া,,, কিছুক্ষণ পর আশফি চলে এলে ব্রেকফাস্ট শুরু করল সবাই।আশফি মিতুকে দেখে বলল-;

-: আরে তুই কখন এলি??

-:এইতো ভাইয়া কিছুক্ষণ আগে।।

-:ওও…তা পড়াশুনা কেমন চলছে তোর। আমাদেরটা তো পড়াশোনার ওপর দিয়ে যায়।

-: ভাইয়া ওয়াট ইজ দিস?? তুমি আমার বেস্টুর সামনে আমাকে এমন ইনসাল্টু করতে পারলে,,, তোমার দিয়ে এই ব্যবহার আমি আশা করিনি। দেখো তোমার বিয়ে হবে না।আর যদি বিয়ে হয় তো আমার পছন্দের মেয়ের সাথেই বিয়ে হবে।

-: তুই বিয়ে দিলেও আমি বিয়ে করবো না,,,তোর পছন্দ আমার ভালই জানা আছে।আর আমার বিয়ের চিন্তা না করে নিজের বিয়ের চিন্তা কর।।(বলে তিথির মাথায় একটা চাটি মারলো)

-:উফ্ মামি দেখো তোমার গুণধর ছেলে আমাকে মারছে।।(মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে)

-: এই কেনরে তুই ওকে মারছিস,,তোর আর তোর বাবার জ্বালায় আমার মেয়েটা একটু শান্তি মতো এই বাড়ীতে থাকতে পারবে না দেখছি।

-: আমার আর আমার ছেলের জ্বালায় নয়,,,তোমার আর তোমার ভাগ্নির জ্বালায় আমাদের এই বাড়িতে থাকার জো নেই।।(মামা)

-:তুমি আর বেশি কথা বলোনা প্যারিসে নিয়ে যাবে বলে তো এখনো সেখানে নিয়ে যেতে পারলে না,,,আবার বড় বড় কথা।

মামীর কথায় সবাই হো হো করে হেসে উঠলো আর মামা করুন চোখে মামীর দিকে তাকিয়ে থাকলো।।
.
.
?
.
.
তিথির মিতুর উপর প্রচন্ড রাগ হচ্ছে কখন থেকে সে বলছে যে ভাইয়াকে গিয়ে বলতে তাদের ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার জন্য কিন্তু সে কিছুতেই যেতে চাইছে না।। শেষে তিথি রেগে গিয়ে বলল-;

-: এই শেষবার তুই যাবি কি বল।

-: দেখ তিথু এমন রাগ করিস না,,, আমি যেতে পারব না আমার খুব ভয় করছে।।

-: তুই যদি না যাস তো আজ থেকে তোর সাথে আমার সব সম্পর্ক শেষ।

আর কিছু ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করার পর মিতু রাজি হলো ভাইয়ার কাছে যাবার জন্য। মিতু আশফির রুমের সামনে দাঁড়িয়ে আছি অনেকক্ষণ ধরে কিন্তু রুমে ঢোকার সাহস পাচ্ছেনা।এবার তিথি মিতুকে ঠাস করে ঠেলে দিলো আশফির রুমে,,,মিতু তাল সামলাতে না পেরে চিৎ পটাং হয়ে পড়ে গেল রুমের মধ্যে।মিতুকে ওইভাবে পড়ে যেতে দেখে তিথি সেখানে আর না দাঁড়িয় এক ছুটে নিজের রুমে চলে গেল।আশফি তখন সবেমাত্র শাওয়ার নিয়ে বাইরে বেরিয়েছে গায়ে শুধু তাওয়াল জড়ানো অবস্থায়। দরজার সামনে আওয়াজ হতে পিছনে ফিরে দেখল মিতু পড়ে গিয়েছে আর ওঠার চেষ্টা করছে।তা দেখে সঙ্গে সঙ্গে আসফি মিতুর পাশে গিয়ে বসলো,আর বলল-;

-: কি হয়েছে,,আর এইভাবে পড়লি কিভাবে,,দেখি দেখি।।

মিতু এতক্ষন আশফিকে খেয়ালই করেনি,,, এবার সে আশফির দিকে তাকাতেই তার হার্টবিট একশ কিলোমিটার বেগে ধুকপুক করতে লাগলো,,,,আশফিকে এই অবস্থায় দেখবে সে কোনদিন ভাবতেই পারেনি,,,,সবকিছু গুলিয়ে যাচ্ছে তার।জিম করা সাদা ধবধবে উন্মুক্ত শরীরে শুধু একটা টাওয়াল জড়ানো,,আর পুরো শরীরে বিন্দু বিন্দু জলের ফোঁটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে সদ্য শাওয়ার নিয়ে বেরিয়েছে।মাথা ভর্তি চুলগুলো থেকে টপটপ করে জল পড়ছে,,,অপূর্ব সুন্দর লাগছে দেখতে।এমনিতেই আশফিকে খুব সুন্দর দেখতে টিকালো নাক,,,,সুঠাম দেহ,,,ছয় ফিট লম্বা,,,মাথাভর্তি কুচকুচে কালো চুল,,,মায়াবী এক জোড়া চোখ,, আর চোখের সৌন্দর্য আরো ফুটে ওঠে যখন সে তার চোখে চশমা পড়ে,,,পুরো ডাক্তার,,,ডাক্তার ভাব চলে আসে তখন।সব মেয়েরাই তাকে গিলে খায়,,,এটা মিতুর একদম সহ্য হয় না।মিতু আশফির দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।।

মিতুর অমন তাকানো দেখে আশফির খেয়াল হলো যে সে শরীরে শুধু একটা টাওয়াল জড়িয়ে আছে,,,,তাই সে তাড়াতাড়ি উঠে খাটের উপর থেকে তার টি-শার্ট টা পড়ে নিল,,,,তারপর মিতুর কাছে এসে তার হাত ধরে তাকে তুলে খাটে বসিয়ে দিল।।আচমকা পড়ে যাওয়ায় মিতু হাতে খানিকটা ব্যাথা পেয়েছে,,,ছিলেও গিয়েছে।।আশফি তার ড্রয়ার থেকে ফার্স্ট এইড বক্সটা নিয়ে এসে মিতুর হাতে ওষুধ দিতে লাগলো,,,,আর বলতে লাগলো-;

-: সাবধানে কোন কাজ করতে পারিস না।।তুই আর তিথি দুজনেই একই রকম,,,একটু সাবধানে হাঁটাচলা করলে কি হয় বলতো তোদের।।

আসফি এতগুলো কথা বলছে কিন্তু মিতুর সেদিকে কোন খেয়ালই নেই সে তো একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আশফির দিকে।।

আর এদিকে তিথি আনন্দে নিজের ঘরে এসে নাচতে লাগলো,,,সে তো ইচ্ছা করেই মিতুকে অমন ঠেলা দিয়েছিল।।

হঠাৎই তিথির ফোন বেজে উঠলো,,,ফোনটা হাতে নিয়ে সে অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল,,,এখন সে কি করবে……
.
.
.
.
.
[বাকিটা নেক্সট পর্বে]

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে