তুমি রবে ২০
.
.
দিশান ভাইয়ের হাত টেনে ধরে তার সামনে রুখে দাঁড়িয়ে বলল,
– “যেও না ভাই। যার সঙ্গে এমনটা করল আগে তার রিয়্যাকশনটা একবার দেখো।”
আশফি প্রজ্বলিত চোখে তাকাল দিশানের দিকে। দিশান তাকে চোখের ইশারায় স্থির থাকতে বলল।
মাহি সোমের সামনে এসে তখন দাঁড়াতেই সোম তাকে জিজ্ঞেস করেছিল,
– “তোর ফোন কই?”
– “ফোন তো ব্যাগে।”
– “বের করে দেখ তো।”
মাহি ফোনটা ব্যাগ থেকে বের করে দেখল সোম তাকে আঠারোবারের মতো কল করেছিল। মাহি তাকে ফোন না ধরতে পারার কারণ বলতে যাবে তখন সোম মাহির হাত থেকে ফোনটা ছোঁ মেরে নিয়ে রাস্তার মাঝে আছাড় মেরে বসে। তারপর চেঁচিয়ে, ধমকিয়ে মাহিকে বলে,
– “ফোনের ব্যবহারই যদি না করসি তাহলে ফোন থেকে কী লাভ?”
রাস্তার মাঝে সোমের থেকে এমন দুর্ব্যবহার আর তার অকারণ উত্তেজিত হওয়ার ব্যাপারটাতে মাহি লজ্জাতে স্তব্ধ বনে গেল। আশপাশের মানুষ প্রায় সরাসরি দৃষ্টিতে ওদের দেখতে থাকে। আশফি সোমের অভিব্যক্তি দেখেই বুঝে গিয়েছিল যে সোম খারাপ কিছু একটা করবে মাহির সঙ্গে। আর তারপর সোমের এহেন কান্ডে আশফির চোখ দুটো জ্বলে উঠল রাগে।
আশফি এবার সত্যি তাকিয়ে রইল মাহির দিকে। মাহির হাত পা কাঁপছে তখন। মুখটা একদম লাল হয়ে আছেচ৮জচ তার। এখানেও যদি মাহি নীরব থেকে মেনি বিড়াল সেজে সোমের বাইকে চেপে বসে ওর কথা মতো, তবে আজকের পর আশফি আর মাহির নামটাও জিহ্বার ডগাতে নেবে না।
সোম মাহির হাতের কব্জি চেপে ধরে বলল,
– “গাড়িতে ওঠ। যা বলার বাড়িতে গিয়েই বলব।”
মাহিকে টেনে গাড়িতে ওঠাতে গেল সোম। তখন মাহি ওর হাতটা ঝারি দিয়ে ফেলে অগ্নিশর্মা হয়ে বলল,
– “আমার ফোনটা তুমি কোন অধিকারে ভাঙলে সোম ভাই?”
সোম চোখের চাউনি দৃঢ় করে তাকাল ওর দিকে।
– “মাহি!”
– “একদম ধমকাবে না। বলো কী অধিকারে তুমি আমার ফোন ভাঙলে? তোমার বাড়ির বউ আমি? না কি আমার বাড়ির মালিক তুমি? বলো কী অধিকারে তুমি এমনটা করলে?”
এবার সোম একদম নিস্তব্ধ বনে বিস্ময়ের চোখে তাকিয়ে রইল। মাহি ফোনটা রাস্তা থেকে তুলে এনে সেটা ব্যাগে ঢোকাল। এর মাঝে আশফি আর দিশান গাড়িতে উঠে বসেছে। মাহি সোমের মুখোমুখি হয়ে দাঁড়াল আবার। সে এবার দৃঢ় কণ্ঠে সোমকে বলল,
– “না আমার পরিবারের সদস্য তুমি আর না আমার স্বামী। তাই এখন থেকে নিজের অধিকারের গন্ডি মেপে চলবে আমার সামনে। সিনক্রিয়েটটা খুব ভালোই করতে জানো তুমি। কিন্ত আফসোস, আমি এমনটা পারি না। কারণ সে শিক্ষা দেয়নি আমার পরিবার।”
সোমের সামনে থেকে রাস্তা ক্রস করে চলে গেল মাহি রাস্তার ওপাশে। বায়পাস ঘেঁষে হেঁটে কিছুদূর এগিয়ে একটা সিনএনজিতে উঠল।
সোম সেদিন শুধু নির্বাক শ্রোতা হয়ে মাহির কথাগুলো শুনেছিল। সেদিন মাহি দারুণ কৌশলে সোমকে বুঝিয়ে দিয়েছিল ওকে, তার শিক্ষার মান কতখানি নিচু। মাহির হঠাং ওই রোষাবিষ্ট মুখটা দেখে সোম সত্যিই আঁৎকে গিয়েছিল সেই মুহূর্তের জন্য। এমন একটা রূপ সোম কখনো দেখবে মাহির তা সে আশা করেনি।
চট্টগ্রাম যাওয়ার টিকিট মমিন ঠিকই পেল তবে সেটা রাতের ট্রেন। সকাল বেলা নয়টার সময় মাহি দিয়ার সঙ্গে দেখা করতে এলো তার ফ্লাটে।
– “আমি বলার মতো কিছু খুঁজে পাচ্ছি না মাহি। সত্যিই এমন কিছুই হয়েছে?”
– “হ্যাঁ। আমি যা ভাবি তা আমার সাথে কখনো হয় না। বরং তার উল্টোটাই হয়। আমি কখনো ভাবিইনি এভাবে আমাকে বের করে দেওয়া হবে।”
কথাগুলো মাহি তার ভেজা কণ্ঠেই বলল।
– “আমার তো ইচ্ছে করছে লোকটার ফ্ল্যাটে গিয়ে যা ইচ্ছা বলে আসি।”
– “কাউকেই কিছু বলব না। তবে যা হলো তার যোগ্য জবাব আমি একদিন অবশ্যই দেবো। আচ্ছা বাদ দে, আমি এখন আসি। বেশি দেরি হলে রাগারাগি করবে দাদু।”
– “আর কিছুক্ষণ বস না মাহি?”
– “নাহ আর বসব না রে।”
– “আচ্ছা চল তোকে এগিয়ে দিয়ে আসি।”
– “আরে না। মনে হচ্ছে সারা জীবনের জন্য বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে নিশ্চয়!”
দিয়ার চোখদুটো ছলছল করে উঠল। জাপটে ধরল মাহিকে। ইচ্ছা ছিল এক সঙ্গেই এমবিএটা কমপ্লিট করার। সেই স্কুল লাইফের বন্ধু দুজন। দিয়া চোখদুটো মুছে বলল,
– “একদম মন খারাপ করবি না। রোজ কথা হবে ম্যাসেঞ্জারে। আর আমি যাব তোর সঙ্গে দেখা করতে।”
– “হু।”
মাহি দরজা খুলে বের হতে দিয়া বলল,
– “লিফ্টে এসেছিলি?”
– “হ্যাঁ কেন?”
– “লিফ্ট প্রবলেম করছে কাল রাত থেকে। সিঁড়ি বেয়ে যাবি?”
– “আসার সময় তো সমস্যা হলো না। সিঁড়ি বেয়ে যেতে পারব না বোধহয়। মাথা যন্ত্রণায় এমনিতেই বমি পাচ্ছে।”
– “আচ্ছা চল আমি তোর সঙ্গে যাই।”
– “চিন্তা করিস না। সমস্যা হবে না তো বলছি। তুই যা।”
খুব সকালেই আশফি এসেছে তার ফ্ল্যাটে। এখান থেকেই গোছগাছ করে সে রওনা হবে আজ রাতে নিউইয়র্কের উদ্দেশে। গত একটা মাস থেকে তার ভেতরে যা চলছে তা ধারাবাহিকভাবে এভাবে চলতে দিলে সে পাগল প্রায় হয়ে যাবে। এক মাত্র প্রকৃতির বুকে নিজেকে কিছুদিন রাখতে পারলে সে আবার নিজেকে স্থির করতে পারবে। এটাই একমাত্র রাস্তা। সব কিছু গুছিয়ে আশফি বেলা এগারোটার সময় বের হলো অফিসের জন্য। তবে লিফ্ট অষ্টম তলাতে আসতেই মুখোমুখি হলো মাহির। পরনে মাহির এক রঙা লাল বর্ণের সেলোয়ার-কামিজ। তার জামার বর্ণের সঙ্গে তার চোখ মুখের বর্ণও প্রায় মিল। খুব কেঁদেছে সে, তার চোখই তা বলে দিচ্ছে। আর নাকের ডগা, কপোলের মধ্যভাগও প্রচন্ড লাল। মাহি আশফিকে দেখে কয়েক মুহূর্তের জন্য আবেগপ্রবণ হলেও সে দ্রুত নিজেকে ধাতস্থ করে লিফ্টে ঢুকল। প্রথমে অবশ্য চিন্তা করেছিল সিঁড়ি বেয়েই নেমে যাবে। কিন্ত শরীরটা ঠিক ভালো লাগছে না তার। তারউপর কাল সারারাত কেঁদে কেঁদে জ্বর ডেকে নিয়ে এসেছে। বাড়িতে কাউকে জানায়ওনি। লিফ্টে ঢোকার পর থেকে দুজনের মন টানছে একটাবার কথা বলার জন্য একে অপরের সঙ্গে। একটাবার তাকিয়ে দেখতে ইচ্ছে করছে দুজনের মুখটা। কিন্তু দুজনেই যে সমান জিদ্দি। কেউ কারো পানে তাকাল না। মাহি লিফ্টের সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়াল। আশফি অনেকটা সামনে ওর থেকে। ত্রিশ সেকেন্ডের মাথায় মাহির কেমন অস্থিরবোধ হলো লিফ্টের ঝাঁকুনিতে। আশফি জানে না লিফ্টের কী সমস্যা হয়েছে। একবার পিছু ফিরে মাহির দিকে তাকাল সে। ঘামে জর্জরিত মাহির শরীর। ওর শুকনো মুখটা দেখে কেমন যেন প্রচন্ড চিন্তাবোধ হলো আশফির। এর মাঝে আবার একবার ঝাঁকুনি দিয়ে লিফ্ট এবার বন্ধ হয়ে গেল। রীতিমতো আঁৎকে উঠল মাহি। আশফিও ব্যাপারটা বুঝতে না পেরে কয়েকবার লিফ্টের গায়ে ধাক্কাতে শুরু করল। কিন্তু এই কাজটা একদমই বোকামির কাজ। আশফি ফ্ল্যাটের সিকিউরিটির নাম্বার ডায়াল করল। কিন্তু তার মাঝেই মাহি বমি করে বসলো লিফ্টের মধ্যে। আশফি ফোনটা পকেটে রেখে মাহির দিকে এগিয়ে এলে মাহি হাতের ইশারায় বারণ করল কাছে আসতে। নিচে বসে পড়ল মাহি। দুই বার বমি করার পর মাথার মধ্যে অন্ধকার লাগল হঠাৎ। আশফি মাহির এমন অবস্থা দেখে নিরুপায়ের মতো দাঁড়িয়ে রইল।
প্রায় সাত মিনিট পর লিফ্টের দরজা খুলল এসে সিকিউরিটি গার্ড। মাহিকে আশফি কোলে তুলে বের হলে চার নাম্বার ফ্ল্যাটের একজন মহিলা ওদের ওই অবস্থাতে দেখে সে আশফিকে বলল,
– “আপনার ওয়াইফ কি সেন্স হারিয়েছে?”
আশফি উতলা সুরে বলল,
– “একটু পানি দিতে পারবেন?”
– “ওনাকে ভেতরে নিয়ে আসুন।”
আশফি মাহিকে সোফায় শুইয়ে দাঁড়াতেই গার্ড আশফিকে বলল,
– “স্যার লিফ্টের ভেতরে অবস্থা খারাপ। প্লিজ আপনার সার্ভেন্ট থাকলে তাকে বলুন ক্লিন করতে।”
এখানে সব শিক্ষিত, রুচিশীল ভালো পদমর্যাদা সম্পন্ন লোক বসবাস করলেও এত বেশি উদারতা কারো মাঝে নেই যে কারো বমি পরিষ্কার করে নেবে তাদের কাজের মানুষকে দিয়ে। তাই কারো থেকে কোনো পরিষ্কার করার জন্য কাপড়টুকুও না চেয়ে নিজের গায়ের শার্ট খুলে আশফি জায়গাটা পরিষ্কার করে দিলো। মাহির কাছে আসতেই ভদ্রমহিলা বলল,
– “ওনার সেন্স ফিরছে না। ডক্টর প্রয়োজন। এই ফ্ল্যাটের সপ্তম ফ্লোরে ডক্টর খলিল সাহেব থাকেন। আপনি ওনার সহায়তা নিতে পারেন।”
– “ধন্যবাদ।”
আশফি গার্ডকে সঙ্গে আসতে বলে মাহিকে কোলে তুলে সিঁড়ি বেয়ে নবম তলাতে এসে তাকে বলল রুমের লক খুলে দিতে। নিজের রুমে নিয়ে এসে মাহিকে শুইয়ে দিয়ে আশফি দ্রুত সপ্তম তলাতে এসে সেই ডক্টরকে পেল। তিনি এসে দেখে বললেন,
– “গায়ে জ্বর প্রায় একশো চার। আর প্রচন্ড স্নায়ুচাপের ফলে এমনটা হয়েছে। অ্যান্টিবায়োটিক দিচ্ছি একটা। আর ওনার ঘুম প্রয়োজন। উনি বোধহয় ঠিক মতো ঘুমান না। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই সেন্স ফিরবে। আপনি চাইলে ওনাকে ঘুমের একটা ইঞ্জেকশন পুশ করে দিই এখন।”
আশফি অনেকটা দ্বিধাতে পড়ল যেন। আর যাই হোক, মাহিকে সে নিজের ঘরে রাখতে পারবে না। আশফি বলল,
– “এটা পরে দিলে কি হবে না?”
– “আসলে শরীর প্রচুর দূর্বল ওনার। তাই এখনি দিলে বেটার হতো।”
– “আচ্ছা আপনি ওটা আমাকে দিয়ে যান। আমি দিয়ে দেবো।”
– “ঠিক আছে।”
খলিল সাহেব যাওয়ার পর আশফি দিয়ার ফ্ল্যাটের সামনে গেল। কিন্তু দরজার বাহির থেকে তালা ঝুলছে। মাহিকে আশফি নিজের রুমে নিয়ে আসার পরই দিয়া বেরিয়ে যায় ভাইকে নিয়ে তার স্কুলে পৌঁছে দিতে।
নিরুপায় আশফি দিশানকে কল করে। দিশান তখন অফিসের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। আশফি তাকে ফোন করে সবটা বললে দিশান তাকে বলল,
– “একটু নিষ্ঠুরতা করা হয়ে যায় না ভাইয়া? ওকে এই অবস্থায় ট্যাক্সি করে দিলে ট্যাক্সিতে ওঠার পর কী হয় না হয় তার ঠিক আছে? ঘুম হবে কতক্ষণ?”
– “তিন চার ঘন্টা।”
– “এখন বেলা সাড়ে এগারোটা। দুপুরের পরই তো ঘুম ভাঙবে। তাহলে সমস্যা কী? দিয়ার না ফেরা অবধি অন্তত তোমার ঘরে রাখো।”
আশফি মাথা চুলকিয়ে জবাব দিলো,
– “আচ্ছা দেখছি, রাখ।”
ঘুমের ইঞ্জেকশন আশফি পুশ করে দিলো ঠিকই। কিন্তু মাহির শরীর স্পঞ্জ করা জরুরি। এতটা তার দ্বারা কখনোই সম্ভব নয়।
অফিস যাওয়ার আর সম্ভব নয়। যা কাজ তা দিশানকে ফোন করে বলে দিলো আশফি। এরপর কিচেনে গেল মাহির জন্য কিছু খাবার তৈরি করার জন্য। আশফি ফলের জুস করছিল দাঁড়িয়ে। ডাইনিং এ এলো একটা গ্লাস নেওয়ার জন্য। তখন দেখল মাহি কেমন হেলে দুলে হেঁটে গিয়ে দরজা খুলল। বেরিয়ে যাওয়ার আগ মুহূর্তে আশফি পেছন থেকে ওকে বলল,
– “কোথায় যান আপনি এই শরীরে?”
মাহি তার প্রশ্নের কোনো উত্তর দিলো না। বেরিয়ে যেতেই আশফি দ্রুত এসে মাহির পথ আগলে দাঁড়াল।
– “আপনি আর একটু বসুন, বসে রেস্ট নিন।”
বেশ ভারি স্বরে মাহি বলল,
– “ধন্যবাদ। কোনো প্রয়োজন নেই।”
মাহি এক পা এগোতে আশফি ওর হাত টেনে ধরল।
– “আমি বলছি আপনি যেতে পারবেন না।”
– “আমি দিয়ার বাসায় যাব।”
– “উনি বাসায় নেই। আমি গিয়েছিলাম।”
মাহি কিছু মুহূর্ত চুপ থেকে বলল,
– “হাতটা ছাড়ুন। আমি চলে যেতে পারব।”
– “আপনি তো হাঁটতেই পারছেন না। আর তাছাড়া আপনাকে ঘুমের ইঞ্জেকশন পুশ করা হয়েছে। সিঁড়ি বেয়ে নিচে যাওয়ার মতো সামর্থ্য আপনার শরীরে নেই।”
মাহি হাতটা আশফির হাত থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে হাঁটতে শুরু করলে টলতে শুরু করল। পড়ে যাওয়ার মুহূর্তে মাহি হেলে পড়ল আশফির বুকে। কারণ আশফি তখনই এগিয়ে এসেছিল। প্রায় টেনে ধরেই আশফি মাহিকে ভেতরে নিয়ে এলো। দরজার মুখে দাঁড়িয়ে মাহি আশফির থেকে হাত ছাড়িয়ে নিয়ে উচ্চস্বরে বলল,
– “আচ্ছা আমি থাকব না আপনার কাছে। আপনি সেটা বুঝতে পারছেন না?”
– “হ্যাঁ আমি বুঝতে পারছি। কিন্তু এই অবস্থায় আপনাকে যেতে দেওয়া মানে মাঝ সিঁড়ি থেকে আবার আপনাকে কোলে তুলে নিয়ে আসতে হবে।”
– “সরুন তো আপনি।”
মাহি বিরক্তি মুখ করে আশফিকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দরজার লক খুলতে গেল। দরজা খুলতেই আশফি দরজা বন্ধ করে মাহির মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ওকে বলল,
– “আপনি যেতে পারবেন না।”
– “আপনি কিন্তু ভালো করছেন না। জোর করবেন আমাকে।”
– “জি। করতে হচ্ছে।”
– “আটকাতে পারবেন আপনি আমাকে?”
– “চেষ্টা করব।”
খুব স্বভাবসুলভ আচরণ আশফির। মাহি আশফিকে টেনে সরিয়ে দরকা খুলতে গেলে এবার আশফি আশ্চর্যান্বিত একটা ব্যাপার ঘটাল ওর সঙ্গে।”
…………………………………
(চলবে)
– Israt Jahan Sobrin
We use cookies on our website to give you the most relevant experience by remembering your preferences and repeat visits. By clicking “Accept All”, you consent to the use of ALL the cookies. However, you may visit "Cookie Settings" to provide a controlled consent.
This website uses cookies to improve your experience while you navigate through the website. Out of these, the cookies that are categorized as necessary are stored on your browser as they are essential for the working of basic functionalities of the website. We also use third-party cookies that help us analyze and understand how you use this website. These cookies will be stored in your browser only with your consent. You also have the option to opt-out of these cookies. But opting out of some of these cookies may affect your browsing experience.
Necessary cookies are absolutely essential for the website to function properly. These cookies ensure basic functionalities and security features of the website, anonymously.
Cookie
Duration
Description
cookielawinfo-checkbox-analytics
11 months
This cookie is set by GDPR Cookie Consent plugin. The cookie is used to store the user consent for the cookies in the category "Analytics".
cookielawinfo-checkbox-functional
11 months
The cookie is set by GDPR cookie consent to record the user consent for the cookies in the category "Functional".
cookielawinfo-checkbox-necessary
11 months
This cookie is set by GDPR Cookie Consent plugin. The cookies is used to store the user consent for the cookies in the category "Necessary".
cookielawinfo-checkbox-others
11 months
This cookie is set by GDPR Cookie Consent plugin. The cookie is used to store the user consent for the cookies in the category "Other.
cookielawinfo-checkbox-performance
11 months
This cookie is set by GDPR Cookie Consent plugin. The cookie is used to store the user consent for the cookies in the category "Performance".
viewed_cookie_policy
11 months
The cookie is set by the GDPR Cookie Consent plugin and is used to store whether or not user has consented to the use of cookies. It does not store any personal data.
Functional cookies help to perform certain functionalities like sharing the content of the website on social media platforms, collect feedbacks, and other third-party features.
Performance cookies are used to understand and analyze the key performance indexes of the website which helps in delivering a better user experience for the visitors.
Analytical cookies are used to understand how visitors interact with the website. These cookies help provide information on metrics the number of visitors, bounce rate, traffic source, etc.
Advertisement cookies are used to provide visitors with relevant ads and marketing campaigns. These cookies track visitors across websites and collect information to provide customized ads.