#তুমি নামক সপ্তর্ষি মন্ডলের প্রেমে💖
#মিফতা তিমু
#পর্ব-১০
‘ আমরা সবাই তো নতুন ভাবীকে ভাবীর জন্মদিনের গিফট দিয়ে ফেললাম।এখন তুমি নতুন ভাবী কে কি দিবে ভাইয়া? ‘ বললো আমার ননদিনী নিহা।
সকলের গিফট মাত্র দেখে শেষ করলাম।তাহসান ভাইয়া আমায় নানারকম স্টেশনারি আইটেম দিয়েছে লাইক খাতা কলম আরও gadgets কারণ আমি একজন স্টুডেন্ট। নিহা আমায় একজোড়া রুপোর কানের ঝুমকো আর matte lipstick দিয়েছে।ভাবী আমায় একটা সুন্দর লাভ পেন্ডেন্ট দিয়েছে আর বাবা আমায় কিছু টাকা দিয়েছে কারণ সে নাকি কিছু দেওয়ার মতো খুজেই পেলনা।
চাঁদ থেকে আসার পরই সিক্রেট সিক্সের সকলে ফিরে গেছে আর যাওয়ার সময় বলে গিয়েছে যে জন্মদিনের উপহার কাল দিবে।অবশ্য সবকটা আমায় কিছুক্ষণ গুতিয়েছেও ডাক্তার সাহেব কে বিয়ে করাতে।
নিহার কথায় সকলেই উৎসুক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ডাক্তার সাহেবের দিকে।আমিও প্রবল উৎসাহ নিয়ে উনার দিকে তাকিয়ে আছি কিন্তু আমার উৎসাহে এক বালতি জল ঢেলে উনি বললেন,
তাহরীম: এত প্ল্যান করে সারপ্রাইজ দেওয়ার পর আবার কিসের গিফট?গিফট দেওয়া লাগবে বলে তো কিছু জানতাম না তাই গিফট আনিনি।আর যদি একান্তই গিফট দেওয়া লাগে তাহলে পরে দিয়ে দিবো আফটার অল আমারই বউ। এখানেই থাকছে,পালিয়ে তো আর যাচ্ছে না।
ডাক্তার সাহেবের কথায় মন খারাপ হয়ে গেলো।আমি মাথা নত করে নিলাম।একটা মানুষের চরিত্রের এত দিক জানতাম না।উনি তো মুহূর্তে নিজেকে বদলে নিতে পারেন কিন্তু আমি পারিনা।
‘ তুই ওইদিন লুডু তে হেরে গিয়েছিলি আফরিন এর কাছে আর বলেছিলি শাস্তি হিসেবে আমি যা চাইবো তাই দিতে হবে।এখন আমি চাইব তুই দিতে পারবি তো। ‘ বললো মা।
‘ তাহরীম পারেনা এমন কিছু নেই মা।তুমি শুধু বলো কি চাই তোমার।আমি সব দিবো। ‘ বললেন ডাক্তার সাহেব।
দুই মা ছেলের কথোপকথন শুনে আমরা সবাই উৎসুক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি উনাদের দিকে।মা আর ডাক্তার সাহেব দুজনই একে অপরের দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন।মা ফোঁস করে নিঃশ্বাস ফেলে বললো,
মা: তোর এখন আফরিন কে নিয়ে ঘুরতে যেতে হবে।পুরো রাত ওকে ওর ইচ্ছে মত বাইরে ঘুরিয়ে নিয়ে আসবি যাকে বলে লং ড্রাইভে যাওয়া।
মায়ের কথা আমার কানে আসতেই আমি মায়ের দিকে বড় বড় চোখ করে তাকালাম।মা ইসারায় আমায় আশ্বস্ত করল।আমি এবার ডাক্তার সাহেবের দিকে চোখ দিলাম।উনার চেহারায় কোনো ভাবাবেগ নেই।উনি নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে বললেন,
তাহরীম: এর জন্য এত কাহিনী করে আমায় হারালে?ভালো করে বললে এমনই নিয়ে যেতাম।বাই দ্যা ওয়ে আফরিন রেডি হয়ে নাও।আমরা লং ড্রাইভে বের হবো।
‘ আমি আপনার সাথে যাবো না…’ কাপা কাপা গলায় বললাম আমি।
আমার কথায় ডাক্তার সাহেব আমার দিকে তাকিয়ে ভ্রুখানী কিঞ্চিৎ কুচকে বললেন,
তাহরীম: কেন যাবে না? আমি কি বাঘ না ভাল্লুক যে তোমায় খেয়ে ফেলবো সেই ভয়ে যাচ্ছ না।
আফরিন: ওমা আপনি বাঘ বা ভাল্লুক হবেন কেন? আপনি তো আমার দশটা না পাঁচটা না একটামাত্র হাসব্যান্ড।আপনাকে দিয়ে কি আমি কষ্ট করাতে পারি? তাছাড়া বাইরে গিয়ে আপনার কথা না শুনলে যদি মাঝ রাস্তায় গাড়ি থেকে নামিয়ে দেন?তখন আমার কি হবে?
মা: তাহরীম এমন কিছু করবে না আফরিন।করলে ওর পিঠে আমি গাছের মোটা ডান্ডা ভাঙবো।তুই নিশ্চিন্তে যা ওর সঙ্গে।
আফরীন:কিন্তু মা….
মা: আফরীন যা বলছি তো।গেলে ভালো লাগবে দেখবি।
অগত্যা মায়ের কথায় আর দ্বিমত না করে উপরে চলে এলাম।কিন্তু উপরে এসে পড়লাম আরেক বিপাকে।কি পরবো সেটাই বুঝে উঠতে পারছিনা।আলমারি থেকে এক এক করে সব জামা কাপড় নামালাম।কোনটা পরবো সেটাই বুঝে উঠতে পারছিনা। শাড়ী নাকি কুর্তি?
ঠক ঠক ঠক…শব্দে আমার ঘোর কাটলো।এতক্ষণ জামা কাপড়ের দিকে তাকিয়ে একমনে ভাবছিলাম কোনটা পরবো।তড়িৎ গতিতে উঠে গিয়ে দরজাটা খুললাম।দরজা খুলেই দরজার সামনে ডাক্তার সাহেব কে আবিষ্কার করলাম।ডাক্তার সাহেব জিন্সের পকেটে হাত গুজে দিয়ে দাড়িয়ে আছেন আয়েশ ভঙ্গিতে। আমায় রেডি হতে না দেখে আমায় শুদ্ধ ঘরে নিয়ে ঢুকলেন তারপর দরজা লাগিয়ে দিলেন।উনার এহেন কাজে আমি অবাক হয়েছি।আমি ভ্রু কুচকে উনার দিকে তাকিয়ে রইলাম।
‘ ডিসাইড করতে পারছ নাতো কোনটা পড়বে? তোমাদের সব মেয়েদের এই এক প্রবলেম। কোথাও যেতে নিলে কখনো ঠিক করতে পারোনা কি পড়বে।সব আমাদের মত অবলা স্বামীদের করতে হয় ‘ কাপড় ঘাটতে ঘাটতে বললেন ডাক্তার সাহেব।
‘ এমন ভাবে বলছেন যেন আপনার জীবনে আমিই প্রথম নই, আরো কেউ ছিলো আপনার জীবনে।আপনার জীবনে আমি প্রথম নারী নই তাইনা তাহরীম? ‘ বললাম অশ্রুজল চোখে আমি।
কাপড় ঘাটাঘাটি করতে করতেই ডাক্তার সাহেব হঠাৎ থমকে গেলেন।আমার দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকালেন।অতঃপর খানিক চুপ থেকে অপ্রস্তুত হেসে একটা নীল শাড়ী আমায় গাঁয়ে জড়িয়ে আমায় নিয়ে ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাঁড় করিয়ে বললেন,
তাহরীম: এই নীল শাড়িটা কিন্তু আপনাকে পড়লে ভালো লাগবে মিসেস মেহমাদ।একেবারে নীলাম্বরী প্রিয়দর্শিনী লাগবে।আপনার তো আবার নীল রং অনেক পছন্দ।
‘ আজকাল আমার পছন্দ অপছন্দের খেয়ালও রাখছেন ডাক্তার সাহেব? তা আমার নীল রং পছন্দ এটা আপনাকে কে বলল ডাক্তার সাহেব? ‘ শক্ত মুখে গোটা প্রশ্ন ছুড়ে দিলাম উনার দিকে।
ডাক্তার সাহেব হাসতে হাসতে বললেন,
তাহরীম: আপনার বর হয়ে যদি আপনার পছন্দই না জানতে পারি তাহলে কিসের বর আমি?
আফরীন: আমার সম্পর্কে আপনি এমন অনেক কিছুই জানেন যা আমি নিজেও নিজের সম্পর্কে জানিনা।কে এই প্রিয়দর্শিনী?আমি রোজ রাতে ঘুমানোর পর একটা সপ্ন দেখি আর সেই স্বপ্নে একটা ছেলে আমায় প্রিয়দর্শিনী ডাকে।কোনোভাবে সেই ছেলের সঙ্গে আপনি কানেক্টেড নন তো?আমার অতীতে কি এমন আছে যা আমি জানিনা কিন্তু আপনি জানেন?বলুন ডাক্তার সাহেব…আপনি জানেন আপনার বলা সব কথা আমায় ওই ছেলের কথা মনে করায় কিন্তু ছেলেটার চেহারা কখনোই আমার ঘুম থেকে উঠার পর মনে থাকে না।আপনি জানেন আপনাদের দুজনের কথাগুলো আমায় কত কষ্ট দেয়? মানসিক ভাবে দিনদিন অসুস্থ হয়ে পড়ছি শুধুমাত্র আপনার কারনে।সবসময় নিজের সম্পর্কে কোনোকিছু মনে না করতে পাড়ার ব্যর্থতায় ভুগি।হয়তো এভাবেই একদিন আপনাকে ছেড়ে চলে….
‘ শশশ… আর কখনো যেন তোমার মুখ দিয়ে আমায় ছেরে যাওয়ার কথা না শুনি ‘ আমার ঠোঁটে আঙ্গুল দিয়ে কথাগুলো বললেন।
‘ তাহলে দেড় বছরের এগ্রিমেন্টের কি হবে? ‘ উনার হাত আমার মুখ থেকে সরিয়ে দিয়ে বললাম।
‘ পরের টা পরে দেখা যাবে, আগে বর্তমান নিয়ে ভাবুন। ‘ আমার গায়ে শাড়িটা জড়িয়ে রেখে আমার হাতে চুড়ি পড়াতে পড়াতে বললেন ডাক্তার সাহেব।
তাহরীম: এবার ঝটপট দশ মিনিটে রেডি হয়ে নিচে চলে আসতো বউ।খুব জোর খিদে পেয়েছে,আজ বাহিরে খাবো।নিচে এসো,আমি গাড়িতে ওয়েট করছি।
ডাক্তার সাহেবের সঙ্গে আর কথা বাড়ালাম না।নিঃশব্দে শাড়িটা নিয়ে বাথরুমে চলে এলাম। শাড়ি পরে বেরিয়ে দেখলাম ঘরে কেউ নেই।ডাক্তার সাহেব তাহলে নিচে গেছেন।আমার পরণে কালো রঙের ব্লাউজের সঙ্গে নীল রঙের শাড়ী।আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম।বাথরুম থেকে মুখ ফেস ওয়াশ দিয়ে ধুয়ে এসেছিলাম বলে মুখটা পরিষ্কার হয়েছে।আমি ছোটো থেকেই অলস মানে সাজসজ্জা এর রূপচর্চার ব্যাপারে।এত মেকআপ করতে জানিনা আর নিজেকে রোজ ফেসওয়াস দিয়ে ক্লিন করি।যায় কারণে মুখের অবস্থা বিবর্ণ হয়ে থাকে। যাই হোক এখন যখন বাইরে যাচ্ছি তখন তো সাজতে হবে।
মুখে একটু পাউডার দিলাম যেটা দিলেও যা না দিলেও তা।তারপর ঠোটে নিহার দেওয়া ম্যাট লিপস্টিক দিলাম। সবশেষে চোখের নিচে গাঢ় করে কাজল দিলাম।আম্মু বলতো আমায় নাকি কাজল দিলে অপ্সরী লাগে।তারপর চুলটা হালকা ব্রাশ করে ঝুটি করে নিলাম। তারপর এক হাতে ঘড়ি আর আরেক হাতে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম।
এপার্টমেন্ট থেকে বেরিয়ে বাইরে এলাম।নিচে গাড়ির গায়ে হেলান দিয়ে দাড়িয়ে ফোন টিপছেন ডাক্তার সাহেব।এই লোকটার এই এক খাসিয়ত।হয় ফোন টিপবে নয়তো সিগারেট খাবে।আগে কোনদিন সিগারেট খেতে দেখিনি তবে বিয়ের পর থেকেই দেখে আসছি।
একবার হাই হিল পরে হাঁটতে গিয়ে মান সম্মান ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছিলাম কলেজে।সেই থেকে ভয়ে কোনোদিন হাই হিল পড়িনা।আর আজও তাই হলো।অবশ্য শাড়ির সঙ্গে হাই হিল না পড়লেও কিছু যায় আসেনা। যাই হোক আমি ধীর পায়ে এগিয়ে যেতে লাগলাম ডাক্তার সাহেবের দিকে।
‘ আমি এসে গেছি…আপনি গাড়ি স্টার্ট দিন…আমি উঠছি ‘ বললাম আমি।
আমার কথায় ডাক্তার সাহেব আলতো মাথা নেড়ে ড্রাইভিং সিটে বসলেন। আমিও গিয়ে উনার পাশে বসলাম।আমি সিটে বসেই বাইরের দিকে চোখ দিলাম।ছোটো থেকেই আমার জার্নি করতে খুব ভালো লাগে আর একবার কোনোকিছু তে চরলে আমার চোখ আর ভিতরে থাকে না।সারা রাস্তা দৃশ্য দেখতে যাই।
হঠাৎ ঘাড়ে কারোর উষ্ণ নিশ্বাস অনুভব করতেই সাথে সাথে মুখ ফিরিয়ে তাকালাম।সাথে সাথে ঘটে গেলো এক অযাচিত ঘটনা।সাথে সাথে আমাদের দুজনের চোখ বড় বড় হয়ে গেলো। অসাবধানতা বশত ডাক্তার সাহেব আমার থুতনিতে চুমু খেয়ে বসেছেন।আমি চোখ দুটো গোলগোল করে উনার দিকে তাকিয়ে আছি আর উনিও আমার দিকে তাকিয়ে আছি।
অতর্কিত ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় আমরা দুজনেই অপ্রস্তুত হয়ে পড়ি।ডাক্তার সাহেব তাড়াহুড়ো করে আমার কাছ থেকে সরে যান আর বলেন,
তাহরীম: মন কোথায় থাকে তোমার আফরিন?গাড়িতে উঠেছ সিট বেল্ট বাধবে না?বেল্ট কি আমি বেধে দিবো?
আমি মাথা নাড়িয়ে না বুঝিয়ে সিট বেল্ট টা বাঁধলাম তারপর ডাক্তার সাহেবের দিকে চোখ দিলাম।ডাক্তার সাহেব কপালে হাত দিয়ে জোড়ে জোড়ে নিঃশ্বাস নিচ্ছেন যেন কেউ উনার গলা টিপে ধরেছেন।আমি উনার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি।উনি এরকম ছটফট কেন করছেন?
‘ ডাক্তার সাহেব যাবেন না….আপনার কি শরীর খারাপ করছে? ‘ বললাম আমি।
আমার কথা শুনে ডাক্তার সাহেব আমার দিকে কটমট দৃষ্টি নিক্ষেপ করে গাড়ি স্টার্ট দিলেন।গাড়ি এগিয়ে যাচ্ছে পুরান ঢাকার দিকে।আমার অনেক দিনের ইচ্ছা ছিল পুরান ঢাকায় যাবো আর আজ সেই ইচ্ছা মায়ের বদৌলতে পূরণ হচ্ছে। যাই হোক আমি বিপুল পরিমাণে খুশি।এখন মনে হচ্ছে ডাক্তার সাহেবের সঙ্গে এসে ভালই করেছি বরং না আসলে যে কতকিছু মিস করতাম।
‘ গান ছাড়লে কি আপনার কোনো প্রবলেম আছে মিসেস আফরিন? ‘ বললেন ডাক্তার সাহেব।
আমি ইসারায় না বোধক উত্তর দিলাম।ডাক্তার সাহেব কাল বিলম্ব না করে মিউজিক ছেরে দিলেন।
♫♪মেলেছো চোখ, উড়েছে ধুলো,
দুরের পালক তোমাকে ছুলো
তবু আজি আমি রাজি
চাঁপা ঠোঁটে কথা ফোটে
শোনো …..আমাকে রাখো চোখের কিনারে…. গোপন মিনারে ….
ঘুম ভেঙ্গে কিছু মেঘলা দিন হোক
ওড়নার পাশে সেফটি -পিন ও হোক
বিকেলের নাম Al Pacino হোক
খেয়ালি ছাতে !
কফি কাপে একা ঠোঁট ছোয়ানো দিন,
চুপি চুপি কেঁদে রোদ পোহানো দিন,
ভালো হয় যদি সঙ্গে আনো দিন
যে কোনো রাতে !
জানি দেখা হবে….ঠোঁটের ভেতরে …ঘুমের আদরে …
গানের লিরিক্সগুলো মনের মধ্যে এক প্রবল উচাটন সৃষ্টি করলো।মানসপটে ভেসে উঠলো কিছু ছেড়া ছেড়া স্মৃতি যা আমায় উত্তেজিত করে তুললো।বছর পাঁচেক আগে ঘটে যাওয়া সেই দুর্ঘটনার পর থেকেই এরকম ছেড়া ছেড়া স্মৃতি চোখের সামনে ভেসে উঠতো তবে ডাক্তার সাহেবের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার পর থেকে তা আরো বেড়ে গেলো।মনে হচ্ছে এই ছেড়া স্মৃতিগুলো আমায় বাঁচতে দেবে না।আমি মাথার যন্ত্রণায় মাথা চেপে ধরলাম ডাক্তার সাহেবের আড়ালে।
~ চলবে ইনশাল্লাহ্