#তুমি_নামক_সপ্তর্ষি_মন্ডলের_প্রেমে💖
#দ্বিতীয়_খন্ড [ কার্টেসিসহও কপি করা নিষেধ ]
৯.( Happily Married )
‘ ফাহিম মির্জা… ফাহিম মির্জা তোর বাবা আফরিন। ‘ কথাটা কানে আসতেই ফাহিমের পায়ের নিচের মাটি সরে গেলো।নিজের কানকেই বিশ্বাস করতে পারছে না।এতক্ষণ তাহরীমের পাঠানো একটা অডিও শুনছিল আর সেই অডিও তেই আনসারীর সবটা স্বীকারক্তি শুনলো।সব শুনে এখন মনে হচ্ছে বছর ২৬ আগে যদি তুবার মুখের কথায় বিশ্বাস না করে ওকে আগলে রাখতো তাহলে আজ ওর স্ত্রী আর ওর মেয়ে দুজনেই ওর কাছে থাকতো।
নিজের বন্ধু আর ভালোবাসার মানুষটার মিথ্যা কথার কাছে হেরে গিয়ে আজ নিজের ভালোবাসার মানুষ আর নিজের অংশ দুটোকেই হারিয়েছে।তুবা চলে যাওয়ার পর নিজের একমাত্র সম্বল বোন,বোন জামাই আর তার ছেলেকে নিয়ে নিজের জীবন অতিবাহিত করার কথা ভেবেছিল কিন্তু তকদির এখানেও ওর আশায় জল ঢেলে দিলো।ওর থেকে ওর বোন আর ওর কাছের বন্ধু মানে বোনের হাসব্যান্ড কে কেড়ে নিলো আর ছোটো ফারহান কে এতিম করে দিলো।
তারপর ফাহিম ছোটো ফারহান কে নিয়ে বিদেশে চলে গেলো।সেখানে ওর বাবার দেওয়া সম্পত্তি কাজে লাগিয়ে ডাক্তারি পড়লো আর দীর্ঘ বিশ বছরের ডাক্তারি ক্যারিয়ার সামলে দেশে ফিরে এলো। বাংলাদেশে থাকলে এখানকার শিক্ষা ব্যবস্থার কারনে বেশি বয়সে গিয়ে ডাক্তারি পড়া সম্ভব হতো না তাই বিদেশ গিয়ে ডাক্তারি পড়তে হয়েছে। বিদেশে গিয়ে নিজের পেশার সঙ্গে সঙ্গে নিজের ব্যক্তিত্ব অব্দি বদলে ফেলেছে ফারহান।কিন্তু নিজের ব্যক্তিত্ব বদলে ফেললেও নিজের কোমল মন কে কি বদলাতে পেরেছে ফাহিম? ওর মনে একটাই প্রশ্ন।
ওর মেয়ে কি কোনদিনও পারবে ওকে মেনে নিতে? পারবে কি কোনোদিন বাবার জায়গা দিতে? আফরিন ওকে কোনওদিন বাবা বলে মেনে নিবে সেই আশা করাটা সহজ নয় কারণ আফরিনের সঙ্গে ফাহিমের তেমন ভালো সম্পর্ক কোনো কালেই ছিল না। আফরিন ওর সঙ্গে মিশলেও ও আফরিনের থেকে যতটা সম্ভব দূরত্ব বজায় রাখত।
আজ বুঝতে পারছে ফাহিম যে কেন আফরিন কে দেখলে তুবার কথা মনে পড়ত।কেন আফরিন কে দেখলে মানসপটে ভেসে উঠতো সেই মায়াবী চোঁখ জোড়া যার মায়াতে বাঁধা পড়েই তো নিজের সর্বনাশ ডেকে এনেছিল ফাহিম। ভালবাসার মায়াজালে নিজেকে জড়িয়ে নিজের অস্তিত্বকেই বিলীন করে দিয়েছে ফাহিম।ফাহিমের এখন আছে বলতে মরে যাওয়া এক খানা জলজ্যান্ত দেহ আর দুটো অসার আঁখি।
এই একলা পৃথিবীতে এতদিন শুধুমাত্র ফারহান ছিল তবে এখন সেই তালিকায় আফরিনও যোগ হয়েছে।শুধু তাই নয়,মেয়ের সঙ্গে সঙ্গে তার শশুর বাড়ির মানুষগুলোও এখন তার আপনজনের লিস্টে ভাগ বসিয়েছে।সময় বড়ই অদ্ভুত কথাটা ভাবতেই ফাহিমের ঠোঁটের কোলে এক মন্ত্র মুগ্ধকর হাসি খেলে গেলো।যেমন ভাবে একদিনের ব্যবধানে নিজের ভালোবাসার মানুষসহ সবকিছুকে হারিয়েছিল তেমন ভাবেই আজ আবারও একদিনের ব্যবধানে সবটা ফিরে পেয়েছে সে।
—
মিস্টার আনসারীর মুখ থেকে নিজের বাবার নাম শুনতেই আমার চারপাশটা নিকষ কালো অন্ধকারে ছেয়ে গেল।আমি চোখে ঝাপসা দেখতে লাগলাম। দিকবেদিক হারা হয়ে নিজের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে ছিটকে পড়লাম মাটিতে। হঠাৎ করে পড়ে গিয়েই মাথার পিছনে বেশ অনেকটা আঘাত পেলাম যার কারণে অতি সত্তর আঁখি জোড়া বন্ধ হয়ে এলো আর আমি জ্ঞান হারালাম।
আফরিন তার বাবার নাম শুনে অজ্ঞান হয়ে যেতেই সকলে ঘাবড়ে গেল। তাহরীম আফরিনের কাছে বসে আফরিনের মাথাটা ওর পায়ে রেখে আফরিনের গালে হালকা চাপ মেরে বললো,
তাহরীম: মিসেস আফরিন…. আফরিন কি হয়েছে আপনার? আর ইউ অল রাইট আফরিন? আফরিন…
তাহরীম বেশ কয়েকবার আফরিন কে ডাকলো কিন্তু আফরিন সাড়া দিলো না। আরাফাতও আফরিনের চোখে মুখে পানি ছিটিয়ে ওর জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করল কিন্তু তার কোনোটাই কাজে দিলোনা।অবশেষে আরাফাত বাধ্য হয়ে বললো,
আরাফাত: তাহরীম আমার মনে হয় তোমার আফরিন কে বাড়ি নিয়ে যাওয়া উচিত। ওর যখন জ্ঞান ফিরছে না তখন ওকে বাড়ি নিয়ে গিয়ে একটু রেস্ট নেওয়ার সুযোগ দাও। আসলে এতদিন ধরে হুটহাট আশা ঝড় সামলাতে সামলাতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে তাই হয়তো শরীরটা আর সাড়া দেয়নি।তুমি ওকে একটু একা আর শান্তিতে থাকার সুযোগ দাও তাহলে হবে।দরকার পড়লে ডক্টরের সঙ্গে কনসালট করো।
আরাফাতের কথা তাহরীমের কথা যুক্তিযুক্ত মনে হলো। ও আফরিন কে কোলে তুলে নিলো আর ফিরোজা বেগম কে উদ্দেশ্য করে বলল,
তাহরীম: মা আমি আফরিন কে নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি,আপনি বাড়ি চলে আসেন আরাফাতের সঙ্গে ।
তাহরীমের কথায় সায় দেয় ফিরোজা বেগম আর আরাফাত।
তাহরীম আফরিন কে কোলে তুলে বাড়ির দিকে রওনা দিলো।
—
বিকেল হয়ে এসেছে, পশ্চিমের আকাশে সূর্য ঢলে পড়ছে সেই সঙ্গে ঠান্ডা হাওয়া বইছে।দৃশ্যমান সূর্যের আলো ফিকে হয়ে এসেছে আর আকাশে কালো মেঘ ভেসে উঠেছে।মনে হয় আজ প্রকৃতি তার অশ্রুজল বিসর্জন দিবে।খুব বৃষ্টি হতে পারে আজ।বৃষ্টির কারণে অনেক ঠান্ডা পড়েছে।এই ঠান্ডার মাঝেও আমি ফুল স্পিডে ফ্যান ছেড়ে দিয়ে বসে আছি।সদ্য গোসল করে এসে খাটে শুয়ে চুলগুলো খাটের বাইরে ফেলে দিয়ে শুকিয়ে নিচ্ছি।অবশ্য এখন গোসল করার কথা না কিন্তু আমি জোর করে গোসল করেছি আর এর জন্য ডাক্তার সাহেব আমায় অনেক ঝাড়িও দিয়েছেন।
হঠাৎ মনে হলো কেউ আমার মাথায় গরম বাতাস করছে।আমি মাথা আরও নিচু করে দেখলাম ডাক্তার সাহেব আমার চুলগুলো হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে সুকাচ্ছেন আর ইতিমধ্যে ফ্যানও বন্ধ করে দিয়েছেন।আমি বললাম,
আফরিন: একি আপনি হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে আমার চুল শুকাচ্ছেন কেন আর ফ্যানই বা বন্ধ করলেন কেন?
ডাক্তার সাহেব আমার চুল শুকোতে শুকোতে বললেন,
তাহরীম: আপনি কখন স্বাভাবিক আর কখন অস্বাভাবিক ব্যবহার করেন সেটা এজ ইউর হাসব্যান্ড আমি জানি।আর আমি যেহেতু আপনার হাসব্যান্ড মানে তথাকথিত আপনার বেটার হাফ তাই আমার উচিত আমার বউয়ের মাথায় ছিঁড়ে যাওয়া তারগুলো জোড়া লাগানো।
আমি ডাক্তার সাহেবের কথা শুনে উঠে বসলাম আর উনার দিকে সরু চোখে তাকিয়ে বললাম,
আফরিন: আপনি আমার বেটার হাফ? সিরিয়াসলী? বেটার হাফ তো ওয়াইফরা হয় তাহলে আপনি কি করে বেটার হাফ? আর আমার মাথার তার ছিঁড়েছে মানে? আমি কখন অস্বাভাবিক ব্যবহার করলাম?
তাহরীম: আমার মতে হাসব্যান্ড ওয়াইফ দুজনই দুজনের বেটার হাফ কজ একজন আরেকজনের পরিপূরক।আপনি ছাড়া আমি অচল আবার আমি ছাড়া আপনি অচল। তাছাড়া আমার বাচ্চা বউ একটু তার ছেড়া কিনা তাই সে হুটহাট অস্বাভাবিক ব্যবহার করে।
আফরিন: হোয়াট? আমি তার ছেড়া? আমি অস্বাভাবিক ব্যবহার করি?… বলতে বলতে আমি ডাক্তার সাহেবের দিকে তেড়ে গেলাম।
ডাক্তার সাহেব আমায় তেড়ে যেতে দেখে খানিক ভরকে গেলেন। হাত থেকে হেয়ার ড্রায়ার টা ড্রেসিং টেবিলের উপর রেখে আস্তে আস্তে আমার দিকে এগিয়ে এলেন। এখন আবার উনার এভাবে এগিয়ে আসা দেখে আমি ভরকে গেলাম। ‘ কি কর…ছেন ? ‘ বলতে বলতে আমি পিছিয়ে যেতে লাগলাম।ডাক্তার সাহেব বাঁকা হেসে আমার দিকে আরও এগিয়ে এলেন আর টুক করে কোলে তুলে নিলেন।আমি চমকে ডাক্তার সাহেবের দিকে তাকালাম।উনার মতিগতি বুঝার চেষ্টা করছি।
ডাক্তার সাহেব আমায় বিছানায় তুলে শুইয়ে দিলেন আর নিজেও আমার পাশে শুয়ে পড়লেন অতঃপর আমায় নিজের বুকে টেনে নিলেন।ডাক্তার সাহেব বললেন,
তাহরীম: পরিস্থিতি থেকে পালিয়ে নয় পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে বাঁচতে শিখুন মিসেস আফরিন।সবসময় আপনাকে সামলানোর জন্য আমি আশেপাশে থাকবো না।আপনাকে নিজেকে সামলাতে শিখতে হবে নাহলে এই একলা দুনিয়ায় আপনাকেই সাফার করতে হবে।
‘ কেন থাকবেন না? আপনি ছাড়া আমার আর কে আছে? সবাই আমার কাছ থেকে দূরে চলে যায়… মাকে সেই ছোটবেলাতেই হারিয়েছি।এরপর যাকে বাবা বলে জানলাম সেই আমার বাবা মাকে আলাদা করার পিছনে ছিল বলে জানতে পারলাম এত বছর পরে।একজন মানুষকে এত বছর নিজের বাবা হিসেবে জানার পর যদি এটা জানতে পারি যে সে আমার বাবাই না তখন আমার উপর দিয়ে কেমন ঝড় বয়ে যেতে পারে আপনার ধারণা আছে ডাক্তার সাহেব? আর আমার আসল বাবাকে? ডক্টর ফাহিম মির্জা যে কিনা নিজের স্ত্রীয়ের সামান্য মুখের কথার উপর বিশ্বাস করে ঘটনার সত্যতা যাচাই না করেই আমার মাকে ছেড়ে দিল তাও কখন? হয়েন মাই মম ওয়াস প্রেগনেন্ট… এরপরও বলছেন সবটা ফেস করতে।এতকিছু হওয়ার পরও সবটা ফেস কি করে করবো? ‘ একটানা কথাগুলো বলে থামলেন।আমার চোখ দিয়ে অঝোর ধারায় অশ্রুজল বয়ে যাচ্ছে যার কোনো বিন্দুমাত্র খেয়াল আমার নেই।
‘ কিন্তু মিসেস আফরিন আপনি চাইলেই এই খেলা শেষ হবে না। এখনও আপনার জীবনের সবথেকে বড় খেলা জেতা বাকি আছে।আপনাকে এখন আপনার বাবা নামক মানুষটাকে সাহসের সঙ্গে ফেস করতে হবে।আমি মানছি উনি ভুল করেছিলেন কিন্তু উনি কি ইচ্ছা করে করেছিলেন ভুলটা? উনাকে তো শাশুড়ি মা আর মিষ্টার আনসারীই ভুল বুঝিয়েছেন।উনাদের এতকিছু করার পরও যদি বাবা মাকে বিশ্বাস না করতেন তাহলে কি আজ বাবা বেচেঁ থাকতেন? উনাকে আপনি পেতেন?
দেখুন মিসেস আফরিন! মিস্টার আনসারী যেমন মানুষ, উনার পক্ষে বাবাকে মেরে ফেলা অসম্ভব কিছু নয় কারণ উনি কিন্তু আমাকেও মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিলেন আর আমি কিন্তু আপনার কারণেই বেচেঁ গেছি। এরপরও আপনার মনে হয় ভুলটা বাবার ছিল? ভুল যদি আপনার বাবার থাকে দেন আপনার মায়েরও আছে। শাশুড়ি মাও একই ভুলের ভাগীদার। এখন এসব ভাবনা বন্ধ করুন।আপনার উপর দিয়ে এতদিন অনেক ঝর গেছে,এখন একটু রেস্ট নিন এরপর নাহয় আবার নতুন যুদ্ধে নামবেন। চিন্তা নেই আমি আছি তো। ‘ আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বললেন ডাক্তার সাহেব।
ডাক্তার সাহেবের কথায় আমি আলতো হেসে ডাক্তার সাহেবের বুকে মাথা রাখলাম।কথা বলতে বলতে কখন যে সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হয়ে গেলো বুঝতেই পারলাম না। রুমের জানালা লাগানো থাকলেও বারান্দার দরজা খোলা তাই রাতের হালকা চাঁদের আলো ঘরে আসছে। চাঁদের আলোয় ঘরটা আলোকিত হয়ে আছে।
আমার জীবনের সপ্তর্ষি মন্ডল কে আমি পেয়ে গেছি।আমি চেয়েছিলাম এমন কোনো এক জোৎস্নার রাতেই আমার সপ্তর্ষি মন্ডল আমার হাতে হাত রেখে বলুক চিন্তা নেই আমি আছি তো।আজ আমার সপ্ন পূরণ হয়েছে।আজ আমার হাত ধরার মতোও কেউ আছে।সেই সপ্তর্ষি মন্ডল নামক দুর্বোধ্য বস্তুকে আমিও অর্জন করেছি।ভালোবাসা নামক মায়াজালে আবদ্ধ হয়েছি। ডাক্তার সাহেব ঠিকই বলেছেন,
‘ ভালোবাসা এমন এক গভীর অনুভূতি, যায় শুরু আছে তবে শেষ নেই। ‘
মাঘ মাসের এই শীতে ভালোবাসার মানুষটাকে কাছে পেয়ে আমার মনটা শিউরে উঠলো।ডাক্তার সাহেবের বুকে মুখ গুজে হাত দিয়ে আগলে নিলাম উনাকে আর বিনিময়ে উনিও আমায় জড়িয়ে ধরলেন।অদূরে কোথাও ভেসে আসছে গানের সুরেলা কণ্ঠ~
কেন মেঘ আসে হৃদয়-আকাশে
কেন মেঘ আসে হৃদয়-আকাশে
তোমারে দেখিতে দেয় না
মোহমেঘে তোমারে দেখিতে দেয় না
মোহমেঘে তোমারে
অন্ধ করে রাখে
তোমারে দেখিতে দেয় না
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই
চিরদিন কেন পাইনা?
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই
চিরদিন কেন পাইনা?
সমাপ্ত….
মিফতা তিমু….
( অনেকদিন সময় নিয়ে পুরো গল্পটা শেষ করলাম দুই খন্ডে তার জন্য আমি দুঃখিত। গত পর্বে সকলেই ফাহিমের মাস্টার্স পড়ে ডাক্তার হওয়ার কথা বলেছিলেন যে কিভাবে সম্ভব আর তারই ব্যাখ্যা শেষ পর্বে দিয়ে দিয়েছি। আজকের পর অনেকদিন তাহরীম আর আফরিনের দুষ্ট মিষ্টি খুনসুটি পূর্ণ ভালোবাসা দেখা হবে না কারোর।ওদের খুব মিস করবো ।অনেক চেয়েও পারলাম না গল্পটা টানতে কারণ কিছু কিছু গল্প ছোটই ভালো।ইনশাল্লাহ্ আমার এসএসসির পর আরও সুন্দর গল্প নিয়ে ফিরে আসবো। )
তুমি নামক সপ্তর্ষি মন্ডলের প্রেমে সিজন-০১ পড়তে লেখাটি উপর ক্লিক করুন