#তুমি নামক সপ্তর্ষি মন্ডলের প্রেমে💖
#মিফতা তিমু
#পর্ব-২২
‘ আরে লেডি হিটলার উঠুন না, আর কত ঘুমোবেন? এই অসময়ে কেউ এত ঘুমায়? উঠুন না… ‘ আফরিনের হাত টানতে টানতে কথাগুলো বললো তাহরীম।
বেচারা কি করবে সেটাই বুঝতে পারছে না। আফরিন কে সেই কখন থেকে ডাকছে কিন্তু আফরিন, তার তো উঠার কোনো নামই নেই।মরার মত পরে পরে ঘুমাচ্ছে।এবার তাহরীম আর উপায়ন্তর না পেয়ে আফরিন এর মুখের উপর সাইড টেবিলের উপরে থাকা পানির জগ থেকে অর্ধেক জগ পানি ঢেলে দেয়।
মুখের উপর পানি পড়তেই ধড়ফড়িয়ে উঠলাম।পুরো শরীর ভিজে গেছে আমার সেই সাথে বিছানাও।আমি চোখ দুটো হাত দিয়ে ডলা দিয়ে বুঝার চেষ্টা করছি কি হয়েছে।যখন বুঝতে পারলাম ডাক্তার সাহেব আমার গায়ের উপর পানি ঢেলে দিয়েছেন তখন কটমট দৃষ্টিতে উনার দিকে তাকালাম।উনি আমার দিকে তাকিয়ে আমতা আমতা করে বললেন,
তাহরীম: আমার দিকে এভাবে তাকাচ্ছেন কেন?
আফরিন: এটা কি করলেন আপনি? আমার সঙ্গে সঙ্গে বিছানাটাও ভিজিয়ে দিলেন।এখন আমরা শুবো কোথায়?
আমার কথা শুনে মাথা চুলকে অপ্রস্তুত ভঙ্গিতে বললেন,
তাহরীম: আরে আমি কি এতকিছু ভেবে করেছি।আমার মনে হয়েছে আমার এখন আপনাকে তোলা দরকার তাই পানি মেরেছি আপনার মুখে।
আফরিন: হ্যাঁ তো কিছু করার আগে ভাববেন না যে আপনার এই কাজটার জন্য ভবিষ্যতে কি হতে পারে।ধুর মরা সরুন তো।পুরো শরীর ভিজিয়ে দিল আবার এই গাধার মত বুদ্ধি দিয়ে বিছানাটাও ভিজিয়ে দিল।এখন কি আমরা তার মাথায় শুবো?
তাহরীম: মিসেস মেহমাদ এবার কিন্তু এটা বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে।মানলাম আমি ভুল করেছি তাই বলে আপনি আমায় গাধা সম্বোধন করে আমার অপমান করবেন?এটা কি অন্যায় হচ্ছে না?
ডাক্তার সাহেবের কথা শুনে আমি উনার দিকে বাঁকা হেসে এগিয়ে যেতে লাগলাম আর আমায় এগিয়ে যেতে দেখে উনি পিছতে লাগলেন।উনি কাপা কাপা গলায় বললেন,
তাহরীম: কি হয়েছে কি?আপনি এগোচ্ছেন কেন?
আমি কিছুই বললাম না,সোজা এগোতে লাগলাম।একসময় উনি পিছতে পিছতে আলমারির সঙ্গে মিশে গেলেন।আমি উনার মুখোমুখি দাড়ালাম।উনি আলমারির সাথে চুপসে দাড়িয়ে আছেন।আমি খানিকটা ঝুঁকে গেলাম উনার দিকে।উনি চোখ দুটো ঝট করে বন্ধ করে নিলেন।আমি আরও খানিকটা ঝুঁকে গিয়ে আলমারির পাশে থাকা আলনা থেকে আমার টাওয়েল নিয়ে গুনগুন করতে করতে সরে গেলাম ডাক্তার সাহেবের কাছ থেকে।
আমার গুনগুন করার আওয়াজে ডাক্তার সাহেব আস্তে আস্তে চোখ খুললেন।চোখ খুলেই আমায় গুনগুন করতে আর হাতে টাওয়েল নিয়ে হাঁটতে দেখে অবাক চোখে তাকালেন।আমি বাথরুমে ঢুকে বাথরুমের দরজা লাগাতে লাগাতে বললাম,
আফরিন: রিভেঞ্জ অফ ন্যাচার….লা লা লা লা…বলেই আমি দরজা লাগিয়ে দিলাম।
বাথরুমের দরজার দিকে বড় বড় চোখে তাকিয়ে আছে তাহরীম।মাত্র আফরিন কি বলে গেলো তার কিছুই ওর মস্তিষ্কে ঢুকছে না।খানিক ভেবে মনে পড়লো বিয়ের দিন রাতে ঔ এরকমই করেছিল।তাহলে লেডি হিটলার ওর করা প্রত্যেকটা কাজের প্রতিশোধ নিচ্ছে। ফাইন লেডি হিটলার কে কি করে বাগে আনতে হয় সেটা ওরও জানা আছে।
বাথরুম থেকে একটা নেভি ব্লু রঙের সুতির শাড়ি পরে বেরিয়ে এলাম।চুলগুলো ভিজায় নী যেহেতু ডাক্তার সাহেব আগেই অর্ধেক ভিজিয়ে দিয়েছেন।বাথরুম থেকে বেরিয়ে দেখলাম ডাক্তার সাহেব বিছানার চাদর উঠিয়ে আইরন দিয়ে তোষক শুকচ্ছেন। ও তাহলে এটা তোষক শুকানোর উপায়,আগে জানা ছিলনা।আমি আয়নার সামনে দাড়িয়ে চুল হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে শুকোতে লাগলাম কারণ চুল ভিজা থাকলেই চুলে গন্ধ হবে।তারপর গায়ে একটা পারফিউম দিলাম।
মানুষ হিসেবে আমি একজন টিপটপ মানুষ।আমার ঘরে কোনোকিছুই উল্টাপাল্টা থাকা যাবে না।আমি সবকিছু গুছানো এবং জায়গার টা জায়গায় পছন্দ করি।আমার রুমে পড়ার টেবিলের তাকের বাইরেও অযথা জিনিস থাকে না।আবার ঘরের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে টিপটপ রাখাও পছন্দ করি।সবসময় চুল আঁচড়িয়ে,ভালো জামা কাপর পড়ে,গায়ে পারফিউম দিয়ে নিজেকে পরিষ্কার রাখা আমার একটা স্বভাব।
‘ মনে হচ্ছে কোথাও যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে।এত রাতে কি কোথাও যাওয়া হবে? ‘ আইরন তোষকের উপর ঘষতে বললেন ডাক্তার সাহেব।
আফরিন: উহু কেন?
তাহরীম: তাহলে এত সাজগোজ কেন? এমন সাজগোজ করছেন যেন আজ কোথাও যাবেন।নাকি আজ আমাদের বাসর করার কথা ভাবছেন? সেটা যদি ভেবে থাকেন তাহলে আই হ্যাভ নো প্রবলেম।
উনার কথা শুনে কোনো রিয়াকশনই দিলাম না কারন উনার এসব অসভ্য মার্কা কথাবার্তা শুনতে শুনতে অভ্যাস হয়ে গেছে আমার।আমি বললাম,
আফরিন: আপনি যেহেতু আমার স্বামী সেহেতু আপনার জানার কথা যে আপনার স্ত্রী সবসময় টিপটপ থাকতে পছন্দ করে।এতদিন তো আপনার মত নির্লজ্জ লোকের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে সেই শোক পালন করছিলাম।এখন শোকসভা শেষ হয়ে গেছে তাই এখন আবার আগের ফর্মে ফিরে আসছি।
আমার কথা শুনে ডাক্তার সাহেব বাকা হেসে আইরণিং করা ছেরে আমার দিকে এগিয়ে এলেন।আমি তখনও কানের দুল পড়তে ব্যস্ত তাই উনার এগিয়ে আসা খেয়াল করিনি।হঠাৎ কোমরে কারোর ঠান্ডা স্পর্শ পেতেই কেপে উঠলাম। একেত শীতকাল তার উপর দিয়ে ঠান্ডা হাত যার কারণে শরীর প্রচন্ড রকমে কাপছে।আমি চোখ তুলে তাকালাম।আয়না দিয়ে দেখলাম ডাক্তার সাহেব তির্যক হেসে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন।তার হাত শাড়ি ভেদ করে আমার উন্মুক্ত কোমরে।আমায় তার দিকে তাকাতে দেখে হুট করে আরও একটা ভয়ংকর কাজ করে বসলেন। আমার ঘাড়ে উনার ঠোঁটের স্পর্শ এঁকে দিলেন।
উনার এহেন কাজে আমার চোখ রীতিমত কোটর ছেরে বেরিয়ে আসছে।আমি শুধু পারছিনা এই ঘর থেকে পালাতে। হে আল্লাহ তুমি আসমান থেকে আমার জন্য দড়ি ফালাও নাহলে আমি আজই এই লোকের পাগলামির কারণে হার্ট এ্যাটাক করে মরে যাবো।
ডাক্তার সাহেবের পাগলামি তে আমার গাল দুটো রক্তিম লাল হয়ে উঠলো।কোনরকমে ডাক্তার সাহেবের দিকে না তাকিয়ে উনার হাত আমার কোমর থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে উনার থেকে দূরে সরিয়ে দাড়ালাম। আইরন সরিয়ে বিছানার চাদর বিছিয়ে বিছানা ঠিক করতে লাগলাম।ডাক্তার সাহেব আলমারির গায়ে হেলান দিয়ে এক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন।
‘ নিজের কোমর দেখিয়ে কি আমায় সেডিউস করতে চাইছেন লেডি হিটলার? ‘
ডাক্তার সাহেবের কথা শুনে বড় বড় চোখে উনার দিকে তাকালাম।উনি আমায় ইসারা করলেন আমার কোমরের দিকে।সাথে সাথে নিজের দিকে তাকিয়ে অপ্রস্তুত ভঙ্গিতে কোমরে গুঁজে রাখা শাড়িটা ছাড়িয়ে শাড়ি ঠিক করে নিলাম।আমি তারপর উনার দিকে তাকিয়ে বললাম,
আফরিন: আমি সেডিউস করলেই আপনার কেন সেডিউস হতে হবে?নিজের চোখকে সামলে রাখতে পারেন না।আপনি জামাই হয়েই যদি বউয়ের দিকে বাজে নজর দেন তাহলে বাইরের লোকেরা কি করবে?
আমার কথা শুনে ডাক্তার সাহেবের হঠাৎ কি হলো জানিনা কিন্তু উনি আমার কোমরে হাত রেখে আমায় উনার সঙ্গে মিশিয়ে নিলেন।আমার গালে হাত রেখে আমার ঠোটে উনার ডান হাতের বুড়ো আংগুল দিয়ে হালকা স্লাইড করতে করতে বললেন,
তাহরীম: আপনার সবকিছু আমার।আপনার এই শরীরের উপর শুধু আমার অধিকার আছে সে দেখার হোক কিংবা ছোঁয়ার।আপনাকে শুধু আমি দেখবো আর কেউ না।
উনার কথা শুনে ঠোঁটের কোণে আমার হাসি ফুটে উঠল।অবশেষে তবে ডাক্তার বাবু তার অধিকার দেখাতে শুরু করেছেন।আমি খানিক চুপ থেকে বললাম,
আফরিন: ভালোবাসেন আমায়?
আমার কথা শুনে ডাক্তার সাহেব কিছুই বললেন না।অদ্ভুত ভাবে আমায় ছেরে দিয়ে বললেন,
তাহরীম: তাড়াতাড়ি নিচে চলুন, পেটে ইদুর দৌড়চ্ছে।খেয়ে পেট পূজা করে ঘুমোতে হবে।কাল আবার আপনার কলেজও তো আছে বলতে বলতে উনি নিচে চলে গেলাম।
উনার যাওয়ার পানে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেললাম।উনি তবে আজও আমার প্রশ্নের উত্তর দিলেন না।উনাকে আমি কখনোই বুঝতে পারিনা।এই রেগে যান তো আবার এই নরমাল।উনার মনে কি চলে সেটা বুঝতে পারিনা।উনি আদৌ আমায় ভালোবাসেন তো?প্রশ্নটা তোলা রইলো।
নিজের জগতে মশগুল থেকে হাজার চিন্তা ভাবনা করতে করতেই নিচে চলে এলাম।খাওয়ার টেবিলে বসে সবাই খাওয়া শুরু করলাম।আজ রাতের খাবারে আমার পছন্দের ঢেঁড়স দিয়ে চিংড়ি। ঢেঁড়স তরকারি দেখতেই জিভে জল চলে এলো। হায় কতদিন পর খাবো।
পছন্দের তরকারি দেখে পেটে থাকা খিদে আরও কয়েকশত গুন বেড়ে গেলো।তাড়াতাড়ি করে ভাত নিয়ে তরকারি বেড়ে নিলাম।এক নলা মুখে দিতেই প্রাণটা জুড়িয়ে গেলো।তরকারি মা রান্না করেছে আর মায়ের হাতের রান্নায় আম্মুর হাতের স্বাদ।তাইতো মা আমার দ্বিতীয় আম্মু।
‘ উফফ আম্মু এতদিন পর ঢেঁড়স দিয়ে চিংড়ি খাচ্ছি।তোমাকে যে কি বলবো।তোমার হাতের রান্না সবসময়ের মতই টেস্টি।ইচ্ছে করছে পুরো বাটি খেয়ে ফেলি। ‘ খেতে খেতে প্রবল উত্তেজনায় কথাগুলো বললাম মাকে।
আফরিন এর কথা শুনে সেখানে থাকা সকলে চুপ করে গেল।সকলেই বুঝতে পারছে খেতে খেতে আফরিন ভুল করে তার শাশুড়ি মা রহিমা কে ওর আম্মু তুবা মনে করেছে।কেউ আর আফরিনের ভুল শুধরে দিলো না বরং আফরিন যেটাতে খুশি ওকে সেটাই করতে দিল।
‘ তোর ভালো লেগেছে? ‘ বললো মা।
‘ ভালো মানে অসম্ভব ভয়ংকর ভালো লেগেছে।কতদিন ঢেঁড়স আর চিংড়ি তরকারি খায়নি। মামার বাড়ি থাকতে তো আমি প্রপার ডায়েট মেইনটেইন করে চলতাম। আই সয়ের তুমি এভাবে খাইয়ে খাইয়ে আমায় মোটা বানিয়ে ফেলবে মা।এত টেস্টি খাবার রান্না করনা। ‘ বললাম আমি।
‘ বাহ্ রে রান্না করলেও দোষ না করলেও দোষ।তোর জন্য করেছি বলে রিমা ফুলালো যে ওর জন্য কেন বেগুন ভাজা করলাম না।তারপর আবার ওর জন্য করলাম।যা কাল থেকে আর রান্নাই করবো না। তোরা দুই জা যা পারিস কর।আমি আর রান্নার ধারের কাছে নাই। ‘ মুখ ফুলিয়ে কথাগুলো বলল মা।
আমি মায়ের কথা শুনে আলতো হেসে বললাম,
আফরিন: আরে মা রাগ করছো কেন?আমি তো তোমার রান্না খেয়ে খেয়ে মোটা হয়ে যাব কারণ রান্না অনেক মজা আর রান্না মজা হলে আমি বেশি খাই তাই বললাম।তুমি রাগ করছো কেন? আমি তো তোমার কষ্ট কমানোর জন্য বললাম।
মা: তোকে আমার কষ্ট কমাতে কে বলেছে? আমি বলেছি? এত বছর আমার ছেলেদের জন্য কষ্ট করেছি,এখন মেয়েদের জন্য করবো।আমার ছেলে,আমার মেয়ে তাদের জন্য কষ্ট করলে আমি করবো।তাতে তোর কি?
মায়ের কথা শুনে আমি কিছু না বললেও ইতিমধ্যে ডাক্তার সাহেব মায়ের কথাগুলো শুনে শুকনো কাশি কাশছেন।আমরা সবাই উনার দিকে চোখ ছোটো ছোটো করে সন্দিহান দৃষ্টিতে তাকালাম।উনি আমাদের দিকে বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে কোনরকম টেবিল হাতড়ে পানির গ্লাসটা হাতে নিয়ে এক ঢোকে পানি খেলেন।পানি খেয়ে খানিকটা শান্ত হলেন।
আমি আর ডাক্তার সাহেব কে ঘাটালাম না কারণ আমি জানি উনি এরকম বিষম খেলেন কেন।আমি মাকে বললাম,
আফরিন: ফাইন তুমি রান্না কইরো তবে রোজ না।রোজ খেলে একদিন তোমার আদর যত্নে বেলুনের মতো ফেটে যাবো।
মা: হুম তোকে আলু বানিয়ে ফেলবো খাইয়ে খাইয়ে।এখন কথা না বলে খেয়ে ঘুমোতে যা।কাল না কলেজ? এত রাত অব্দি জেগে আছিস কেন?
মায়ের কথায় আমি আলতো মাথা নেড়ে খাওয়ায় মনযোগ দিলাম।অতঃপর খাওয়া শেষে ঘরে চলে এলাম।ঘরে এসেই সোজা লাফ দিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়লাম তারপর বিছানায় গড়াগড়ি দিতে লাগলাম।
‘ শরীর জ্বালা করছে? হাত পা টিপে দিব? ‘
ডাক্তার সাহেবের করা প্রশ্নে আমি উনার দিকে ছোটো ছোটো চোখ করে তাকালাম।উনি দেওয়ালের গাঁয়ে হেলান দিয়ে শান্ত ভঙ্গিতে দাড়িয়ে আছেন।আমি উনাকে বললাম,
আফরিন: কেন?
তাহরীম: তাহলে এত গড়াগড়ি খাচ্ছেন কেন?
আফরিন: খাওয়ার পর একটু গড়াগড়ি না খেলে শান্তি লাগে না।এটা আমার অভ্যাস।
আমার কথা শুনে উনি আমার কাছে এসে বিছানায় বসে বললেন,
তাহরীম: অভ্যাসের দাস হওয়া ভালো না।অভ্যাস বদলাতে শিখুন।আপনার তো আবার ফারহানের সঙ্গে ফ্লার্ট করার অভ্যাস আছে।আমি কলেজে নেই সেই সুযোগে যদি ফ্লার্ট করেছেন তাহলে পা ভেঙে ঘরে বসিয়ে দিবো।
উনার কথা শুনে আমি সাথে সাথে লাফিয়ে উঠলাম আর বিস্ময়কর ভঙ্গিতে বললাম,
আফরিন: হোয়াট? আমি ফ্লার্ট করি?আপনাকে কে বললো আমি ফ্লার্ট করি।
তাহরীম: বলা লাগবে কেন দেখাই তো যায়।নিজের চোখে দেখেছি কথাগুলো বিড়বিড় করে বললো তাহরীম।
আমি উনার কথা না বুঝলেও পরিষ্কার শুনতে পেয়েছি উনি কিছু একটা বলেছেন তাই বললাম,
আফরিন: এই কি বললেন?
তাহরীম: কিছু বলিনি তুমি এখন চুপচাপ ঘুমাও বলে আমাকে শুইয়ে দিয়ে নিজেও আমার পাশে শুয়ে আমায় আষ্টেপিষ্টে জড়িয়ে ধরলেন।আমার এখন অবস্থা এমন হয়েছে যে না পারছি সরতে না পারছি নড়তে।আমি নড়ার চেষ্টা করতেই উনি বললেন,
তাহরীম: চুপচাপ শুয়ে থাকো নাহলে এই রাতের বেলা বাড়ির বাইরে বের করে দিবো বেয়াদব মেয়ে।
অগত্যা উনার ধমক শুনে চুপসে গেলাম।চুপচাপ চোখ বন্ধ করে ঘুমানোর চেষ্টা করলাম।
~ চলবে ইনশাল্লাহ্