#তুমি_এসেছিলে_বলে
পর্ব : ১৯
#নাদিয়া_আক্তার_সিয়া
সবাই একসাথে গোল টেবিলে বসে আছে । সিয়াম , রৌফ , সামির মুখ কালো করে বসে আছে । তাদের হজম করতে কষ্ট হচ্ছে মেয়েগুলো তাদের ইজ্জতে আলপিন ফুটিয়েছে তাও আবার অধুনিক পদ্ধতিতে । সৌরভের সেদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই সে বিন্দাসভাবে বসে কফি খাচ্ছে । মেঘ , মেহতাব , আহতাব আর অহনা চেয়ারে বসে আছে তাদের দিকেই তাকিয়ে আছে । মেহসানের ধ্যান ফোনে সে ফোনে গেমস খেলছে । মিথিলা , শাম্মী , সৌম আর সিমরান দাড়িয়ে সামিরদের দিকে তাকিয়ে আছে । নিরবতা ভেঙে শাম্মী বলে উঠলো ,
শাম্মী : হজম করতে কষ্ট হচ্ছে নাকি ? হজমের গুলি এনে দিই ? ( মজা করে )
সিয়াম : কচু গাছ এনে দে ফাঁস দিয়া মইরা যাই ।
রৌফ : দোস্ত আমার তো সন্দেহ হচ্ছে আমি কি আমার আব্বা – আম্মার ছেলে না ? যদি হই তাইলে আমার আব্বার মতো গোঁফ কই ? ( বেদনার সুরে )
সামির : দোস্ত আগের জন্মে ছিলাম আমি বাদশা আমির এই জন্মে আমি গরীবের সামির ।
সিমরান : কথা সত্য । ( মুখ টিপে হেসে )
সামির : ভালো মানুষের কদর নাই ।
মেহসান : কেমন ছ্যাঁকা ছ্যাঁকা গন্ধ পাচ্ছি ।
রৌফ : চুপ থাক নইলে তোর ১ দিন কি আমাগো ৩৬৫ দিন ।
সৌরভ : ছ্যাঁকা ছ্যাঁকা লাগে , লাগে অন্তরে । ( সুর দিয়ে )
সামির : দোস্ত তুই ও । এই রাজাকারনীদের দলে যোগ দিলি ।
শাম্মী : ভাইয়া মুখ সামলাও । নইলে বিয়া করার আগেই বিধবা হয়ে যাবে তোমার স্ত্রী ।
সামির : ভাই আর বোন একরকম । পুরাই টাস্কি মার্কা ।
মেহতাব : তোরা থামবি শুধু আজেবাজে কথা ।
সৌরভ : চল দোস্ত উপরে গিয়া ঠান্ডা বাতাস খেয়ে ঝাক্কাস হয়ে আসি । প্লান তো করতে হবে নাকি চল । ( নিচু কণ্ঠে )
হুল্লোড় পার্টির সবাই সৌরভকে ফলো করে উপরে চলে গেলো । আহতাব আর অহনা নিজের রুমের উদ্দেশ্যে আর মেঘ আর মেহতাব নিজের রুমের উদ্দেশ্যে চলে গেলো ।
.
.
মেঘ আর মেহতাব রুমে ঢুকতেই অবাক হয়ে গেলো । খুব সুন্দর করে রুমের ডেকোরেশন করা হয়েছে । বারান্দায় সুন্দর করে ডিনারের ব্যাবস্থা করা । তারা বিছানায় দুটো প্যাকেটও দেখতে পেলো । একটা প্যাকেটের উপর মেঘের নাম আরেকটা প্যাকেটের উপর মেহতাবের নাম । প্যাকেট খুলতে তারা আরেকদফা অবাক হলো মেঘের প্যাকেট এ খুব সুন্দর একটা রেড আর ব্ল্যাক কম্বিনেশনের শাড়ি আর মেহতাবের প্যাকেটে ব্ল্যাক ব্লেজার , প্যান্ট আর রেড শার্ট । তাদের বুঝতে বাকি নেই এইসব চক্রান্ত কাদের । মেহতাব বলে উঠলো ,
মেহতাব : ওরা এতো পরিশ্রম করে যেহুতু এইসব করেছে । আমাদের ওদের পরিশ্রমের মান রাখা উচিত নয় কি ?
মেঘ মেহতাবের কথায় সম্মতি জানালো । মেহতাব ওয়াশরুমে ডুকতে ডুকতে বললো ,
মেহতাব : আমি রেডি হচ্ছি তোমার শাড়ী চেঞ্জ করা হয়ে গেলে ডোরে নক করো ।
মেঘ : হুম ঠিকাছে ।
এই বলে মেহতাব ওয়াশরুমে ডুকে পড়লো আর মেঘ রুমে শাড়ি চেঞ্জ করতে লাগলো । শাড়ি চেঞ্জ করে মেঘ মেকআপ করতে বসে পড়লো । সে বেশি গর্জিয়াস মেকআপ করতে পছন্দ করে না । সে চোখে হালকা কাজল আর ঠোঁটে গাঢ় করে লাল রঙের লিপস্টিক লাগিয়েছে। তাতেই যেনো তাকে ভীষণ সুন্দর লাগছে । মেঘ রেডি হয়ে ওয়াশরুমে নক করে দিলো । কিছুক্ষণ পর মেহতাব ওয়াশরুম থেকে বের হলো । বের হতেই মেঘের দিকে চোখ পড়লো সে পা থেকে মাথা অব্দি স্ক্যান করলো মেঘকে । তাকে এতো অল্প সাজে কোনো পরীর থেকে কম লাগছে না চোখ ফেরানো দায় । মেহতাবকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে মেঘ মেহতাবের দিকে একটা তুরি মারলো । মেহতাবের হুশ ফিরতেই সে ভীষণ লজ্জা পেলো । ব্লেজার পড়তে পড়তে মেহতাব বলে উঠলো ,
মেহতাব : You’re looking beautiful .
মেঘ : ধন্যবাদ । আপনাকেও অনেক সুন্দর লাগছে। ( হাল্কা হেসে )
মেঘের কথায় মেহতাব ছোট একটা হাসি দিলো । আর তারা দুজনেই একসাথে বারান্দায় প্রবেশ করলো । খুব সুন্দর করে গোল টেবিলটি সাজানো হয়েছে । টেবিলের চারপাশে বেলুন ভর্তি । মেহতাব একটা চেয়ার টেনে মেঘকে বসিয়ে দিয়ে নিজেও বসে পড়লো । টেবিলে অনেক রকমের খাবার সুন্দর করে সাজানো হয়েছে । তারা হালকা খাবার নিয়ে দুজনেই কিছু কথা বলে খেতে লাগলো ।
অন্যদিকে সৌরভ,সিয়াম,সামির, রৌফ,মেহসান,সৌম আর মিথিলারা ঝোঁপঝারে দাড়িয়ে দূরবীন দিয়ে মেহতাব আর মেঘকে দেখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে । সৌরভ বলে উঠলো ,
সৌরভ : বাহ! মেঘ আর মেহতাব কে অনেক সুন্দর লাগছে ।
মিথিলা : হুম সত্যিই অনেক সুন্দর!
মেহসান : তারা খাচ্ছে পোলাও বিরিয়ানি কোরমা আমরা খাচ্ছি মশার কামোড় ওহ মা !
সিয়াম : চুপ থাক । তোর কবিতার চেয়ে নর্দমার ময়লা গুলা বেশি সুন্দর ।
রৌফ : খাঁটি কথা শুনতেও ভালো লাগে ।
মেহসান : হুমম । তাহলে বিয়ের পর ওই নর্দমায় বাসর ঘর সাজিয়ে দিবো ওকে ? ( মজা করে )
সৌম : সহমত আমি । ( মুচকি হেসে )
এই কথা শুনে রৌফ আর সিয়াম মেহসান আর সৌমের মাথায় চাটি মারলো ।
সিমরান : সবারটাই ঠিক আছে । শুধু মিথিলা আপুর হবু বরের পোড়া কপাল ।
শাম্মী : হুমম ঠিক আপু ।
সৌরভ মিথিলার দিকে আড় চোখে তাকিয়ে প্রশ্ন তুলে বললো ,
সৌরভ : কেনো বোনেরা আমার ?
সিমরান : কেনো আবার । মিথিলা আপু যেইরকমের আনরোমান্টিক তা আমরা সবাই জানি । নয় কি ?
সিমরানের কথায় সবাই মাথা নেরে সম্মতি জানালো । সৌরভ বলে উঠলো ,
সৌরভ : হুম ঠিক । বেচারা জামাইটার কথা ভাবলে আমার বুকটার ভিতরে ধুকপুক ধুকপুক করে ।
মিথিলা : ভাইয়া আপনাকে এতো ভাবতে হবে না । আমার জামাই তো রোমান্টিকের বাজার সে আমায় শিখিয়ে দিবে ।
সৌরভ : তাই নাকি । ( লজ্জা পেয়ে )
শাম্মী : তুমি কেনো লজ্জা পাচ্ছ । মিথিলা আপুতো তার হবু জামাইয়ের কথা বলেছে তোমার না । ঠিক বললাম কিনা ?
সবাই শাম্মীর কথায় একমত পোষণ করলো । সামির পরিস্থিতি বেগতিক দেখে বলে উঠলো ,
সামির : থাম সবাই । এই জায়গা থেইকা ওগো কথা ভালো কইরা শুনা যাইতাসে না উপরে গিয়া কান পাইতা শুনতে হবে চল ।
সামির এর কথায় কেউ আর কথা বাড়ালো না । সবাই সামিরের পিছু পিছু উপরে চলে গেলো । রুমের সামনে আসতে তারা রীতিমতো অবাক সেখানে আগে থেকেই অহনা আর আহতাব কান পেতে দাড়িয়ে আছে । তা দেখে কেউ আর হাসি থামাতে পারলো না সবাই একসাথে উচ্চস্বরে হেসে ফেললো । হাসির শব্দ শুনে আহতাব আর অহনা চমকে উঠলো।
আহতাব : উফফ তোরা তো আমাদের ভয় পাইয়ে দিলি ।
সিয়াম : আজকের তাজা খবর নতুন দম্পতির ঘরে কান পেতে কথা শুনছে আরেক নতুন দম্পতি । এরকম আরো নিউজ পেতে চোখ রাখুন অসময় টিভিতে ।
সিয়ামের কথায় সবাই আরেকদফা হেসে নিলো ।
সিমরান : চলো আমরাও শুনি ।
সিমরানের কথামতো সবাই সিরিয়ালভাবে কথা শুনতে আহতাব আর অহনার পিছনে দাড়িয়ে পড়লো । আশেপাশের সবাই তাদের কান্ড দেখে মুখ টিপে হাসতে লাগলো । তাদের ওইদিকে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই । তারা সবাই কথা শুনতে ব্যাস্ত ।
অন্যদিকে হালকা খাওয়া দাওয়া শেষ করে মেঘ আর মেহতাব দোলনায় বসে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে । মেহতাব মেঘের দিকে তাকিয়ে লক্ষ্য করলো তার ঠান্ডা লাগছে । তাই সে তার ব্লেজার খুলে মেঘকে পরিয়ে দিলো আর বললো ,
মেহতাব : এখন ঠান্ডা লাগছে ?
মেঘ : উহুম ।
কিছুক্ষণ পর মেহতাব মেঘের দিকে একটা প্যাকেট এগিয়ে দিলো । মেঘ অবাক দৃষ্টিতে মেহতাব এর দিকে তাকিয়ে প্যাকেট টি হাতে নিল । প্যাকেট খুলতেই সে হতভম্ব হয়ে গেলো ।
মেঘ : এটা তো অ্যাপয়েনমেন্ট লেটার স্কুলের শিক্ষিকা পদে নিয়োগ হওয়ার ।
মেহতাব : হুম । অহনা আপু আর তোমার দুজনের জন্যেই ।
মেঘ : আপনি কি করে জানলেন আমাদের দুজনের সপ্ন শিক্ষিকা হওয়ার ?
মেহতাব : এটা কোনো কঠিন কাজ ছিলো না । আর এমনিতেও আমি লন্ডনে ব্যাক করবো তুমি যাতে তোমার হাজব্যান্ডকে বেশি মিস না করো সেই প্রস্তুতি । তাই ভাবলাম তোমায় একটু ব্যাস্ত করে যাই । কেনো তুমি খুশি নোও ?
মেঘ : খুশি ভীষণ খুশি । থ্যাঙ্ক ইউ সো মাচ । ( হেসে )
মেহতাব : আমি তো ভেবছিলাম ওইদিনের মতো আবার আই লাভ ইউ বলে না ফেলো । ( মেঘের দিকে চোখ মেরে )
মেহতাবের কথায় মেঘ ভীষণ লজ্জা পায় । লোকটা লজ্জায় ফেলতে ওস্তাদ । লজ্জা পেতে দেখে মেহতাব বলে উঠলো ,
মেহতাব : তোমায় লজ্জা পেতে দেখলে ভীষণ ভালো লাগে । জানি না কেনো ? ( মুচকি হেসে )
মেহতাবের কথায় মেঘ এই নিয়ে আরেকদফা লজ্জা পায় । দরজায় কিছু শব্দ শুনে মেহতাব আর মেঘ দোলনা থেকে উঠে পড়ে । মেহতাব দরজা খুলতেই আহতাব অহনা সহ সবাই একসাথে হুমড়ি খেয়ে পড়ে । সবাইকে এভাবে একসাথে দেখে মেঘ আর মেহতাব অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে । আহতাব মুচকি হেসে ইতস্তত করে বলে উঠে ,
আহতাব : আতা গাছে তোতা পাখি ডালিম গাছে মৌ , তুমি থাকো আমি যাই বউ । ( ইতস্তত করে )
বলতে দেরি কিন্তু আহতাবের দৌড় দিতে দেরী না । আহতাবের কান্ড দেখে সবাই হা করে তাকিয়ে রইলো ।
#তুমি_এসেছিলে_বলে
পর্ব : ২০
#নাদিয়া_আক্তার_সিয়া
সবাই মেহতাবের রুমে চুপচাপ বসে আছে । সৌরভ , রৌফ , সামির , সিয়াম সোফায় বসে নিজেদের দিকে চাওয়া চাওয়ি করছে । সৌম আর মেহসান বিছানায় আধশোয়া হয়ে আছে । শাম্মী , সিমরান , মিথিলা বেতের টুলে বসে আছে । অহনা মেঘের পাশে বসে আছে । নিরব পরিবেশ সবাইকে এভাবে দেখে মেহতাব বলে উঠলো ,
মেহতাব : তোরা সবাই একসাথে দরজায় কান পেতে ছিলি কেনো ? আর ভাবী শেষমেষ তুমি আর ভাইয়াও ওদের দলে যোগ দিলে । I can’t believe it .
অহনা : মেহতাব কী বলোতো আমি আসতে চাইনি তোমার ভাইয়া দেখতে মানে শুনতে চাইছিলো তোমাদের মধ্যে সম্পর্ক নরমাল কিনা । এ ছাড়া আমরা নির্দোষ ।
সৌরভ : ভাবী দোষ নির্দোষ প্রমান করছো কেনো ? এইডা কী কোর্ট । কারো ঘরে কান পাইতা কথা শুনা কোন দণ্ডনীয় অপরাধ থুরি ।
সৌরভ কথা শেষে মেহতাবের দিকে তাকাতেই মেহতাবের দৃষ্টি দেখেই চুপসে গেলো । রৌফ বলে উঠলো ,
রৌফ : আসল কথা আমরা বেশি কিছু শুনি নাই দোস্ত । আজকে সবার কানের নেটওয়ার্ক এ প্রবলেম ছিলো । এই রিসোর্টে খুব দূর্বল নেট দেয় শুনতেই পাই নাই । দরজাগুলো ভালো মানের এই রিসর্টের মালিকের নামে কেস করা উচিত ।
সিমরান : নাম মেহতাব চৌধুরী ৬ ফুট উচ্চতা গাঁয়ের রঙ ফর্সা , জিম করা বডি , সিল্ক চুল । এই তার বর্ণনার সার্টিফিকেট যান খুঁজুন আর কেস ঠুকে দিন ।
সিয়াম : ভাইয়ের প্রশংসার বেলায় কোনো ত্রুটিই থাকে না । আই অ্যাম তো বিস্মিত ।
সিয়ামের কথা শুনে সবাই মুচকি একটা হাসি দিলো ।
পরক্ষণে রৌফের মনে পড়ে যায় এই রিসোর্ট তো মেহতাবদের নিজেরই । মার কাছে মাসির বাড়ির গল্প আরকি ।
সামির : আমার মনে হয় ফার্নিচার গুলা কাকলী ফার্নিচার । দামে কম মানে ভালো । তাই না দোস্ত ? ( মজা করে )
সৌরভ : এই সামিরের মাথায় কেউ শিলা পাথর ঘোষ তো তবুও যদি ধার হয়ে একটু বুদ্ধি হয় ।
শাম্মী : তবুও বুদ্ধি হবার নয় । মরিচা পড়ে গেছে কী করার বলো ?। ( মুচকি হেসে )
সিয়াম : চুপ থাক তোরা । আসল কথা আমরা নিতান্তই ভদ্র ছেলে দোস্ত । মেয়েগুলার সাথে মিশে আমরা নষ্ট হয়ে গেছি । আগে আমরা ছিলাম ভালো এখন আমাদের কী হলো ? ( সুর দিয়ে )
মিথিলা : ভাইয়া আমাদের নামে কী আজেবাজে কথা বলছো । এইসব তোমাদের দোষ ।
শাম্মী : ঠিক আমাদের নামে আজেবাজে কথা বলে ভাইয়ার কান ভাঙাচ্ছো ।
সিমরান : এই সব প্লান তো তোমাদের ছিলো আমাদের নয় । আমাদের মিস ইউজ করেছো ।
সিয়াম : তোমরা কি পুকুরে ধোঁয়া তুলসী পাতা । মীরজাফর সবগুলো ।
মেয়েরা আর কিছু বলতে যাবে মেহতাব তাদের থামিয়ে বলে উঠলো ,
মেহতাব : ফর গড সেইক তোরা থাম সবাই ।
অহনা : চলো সবাই আজ থেকে আমরা মেয়েরা আলাদা ছেলেরা আলাদা দেখা যাক আমাদের হেল্প ছাড়া ওদের ক্ষমতা কতো ।
সৌরভ : ভাবী তুমি ওদের দলে যোগ দিলে শেষমেষ ।
অহনা : তোমাদের দলে আহতাব আছে । ওই দলে আমি নেই ।
এই বলে অহনা সহ বাকি মেয়েরা চলে গেলো । সৌম আর মেহসান হাই তুলতে তুলতে যেতে লাগলো । এই দেখে সৌরভ সহ বাকি সবাই ওদের মাথায় একটা একটা চাটি মেরে চলে গেলো । তা দেখে মেহসান বলে উঠলো ,
মেহসান : আমরা কী করেছি আমরা তো আম্পায়্যার ।
রৌফ পিছনে ফিরে মুচকি হেসে বলে উঠলো ,
রৌফ : এখানে কী কোনো খেলা চলছে যে তোরা আম্পায়্যার ।
সৌরভ , সামির আর সিয়াম রৌফের এমন কথা বার্তায় হেসে দিলো ।
মেহসান মাথা চুলকিয়ে যেতে লাগলো । সৌম বলে উঠলো ,
সৌম : So unfair . ( মুচকি হেসে )
মেহসান : হুমম । আমি আজ থেকে সন্ন্যাসী হয়ে যাবো । কোনো দলে থাকবো না যেখানে যাই সবাই শুধু ফ্রি ভেবে যা ইচ্ছা তাই করে ।
.
.
মিথিলা , শাম্মী আর সিমরান রুমে ঢুকতেই অবাক হয়ে গেলো । বেড এ টিনা শুয়ে আছে । টিনার কথা তো তারা ভুলেই গেছিল। যে কিনা হেল্প করবে বলে প্রমিজ করেছে সে আরামসে চাদর মুড়ি দিয়ে ঘুমাচ্ছে । শাম্মী বলে উঠলো ,
শাম্মী : বাহ্ এতো সুন্দর দৃশ্য দেখার পর আমি নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারছি না।
সিমরান : হুম মজা দেখাই চল ।
মিথিলা : তোরা আজেবাজে কিছু করবি না ।
মিথিলার কথায় তারা কোনরকম গুরত্বরোপ করলো না । টিনাকে বিছানা থেকে হাত আর পা ধরে তুলে ওয়াশরুমে শুইয়ে দিলো । টিনার কোনো হুশ নেই সে আরামছে ঘুমাচ্ছে । মিথিলা আর কিছু বললো না । সবাই হাসাহাসি করে শুয়ে পড়লো ।
.
.
সৌরভদের রুমে সবাই রেগে বেশ আগুন হয়ে আছে । মেহসান সন্ন্যাসীদের মতো পোশাক পরিধান করে ধ্যাঁন করার ভঙ্গিতে বসে আছে । সৌম বিছানায় আধশোয়া অবস্থায় চিপস খাচ্ছে । সামির সৌমের থেকে প্যাকেট কেড়ে নিয়ে নিজে খেতে শুরু করেছে । সৌরভ , সিয়াম , রৌফ সিরিয়াস ভঙ্গিতে সোফায় বসে আছে । তাদের উপর সব দোষ চাপিয়ে দিলো । সিয়াম বলে উঠলো ,
সিয়াম : দোস্ত এটা কি ছিলো, যত দোষ নন্দ ঘোষ।
রৌফ : ওই যে কয় না , গু খায় সব মাছে দোষ পড়ে পাঙ্গাস মাছের ।
সৌরভ : তুই কি ইন্ডিরেক্টলি আমাদের পাঙ্গাস মাছ বললি । তুই জানিস না আমার পাঙ্গাস মাছে এলার্জি ।
এই কথা শুনে মেহসান ধ্যানরত অবস্থায় ঠোঁট কামড়ে নিজের হাসি থামাতে লাগলো । সামির বিষম খেয়ে উঠলো । সৌম পানি দিতে গিয়ে সব পানি সামিরের গাঁয়ে ঢেলে দিলো । সৌম ইতোস্ত করে বলে উঠলো ,
সৌম : পানির অপর নাম জীবন । আমি তোমাকে আরেকটা জীবন দিয়েছি তাও আবার ঢেলে । ( মুচকি হেসে )
সামির রাগে গজগজ করে বললো ,
সামির : সৌম তোরে আজ বানামু আমি মমো । ( রাগ দেখিয়ে )
সৌম : ভালো লাগেনা সব সময় এতো খাই খাই করো কেনো ।
সামির : তোকে পরে দেখছি ।
এই বলে সামির ওয়াশরুমে ডুকে পড়লো । সৌম পরান যায় জ্বলিয়া গান ছেড়ে গলা ছেড়ে জোড়ে চিৎকার করে গাইতে লাগলো ,
সৌম : ঠান্ডায় যায় পুড়িয়া রে……….. । ঠান্ডায় যায় পুড়িয়া রে……….. ।
সৌমের গান শুনে মেহসান নিজেকে আর সামলাতে পারলো না সন্ন্যাসীবেশ ছেড়ে সে মুখ দিয়ে বিট বাজাতে বাজাতে গিটার চালানোর ভঙ্গিতে নাচতে থাকে । ওদের এলোাপাথাড়িভাবে নাচ দেখে রৌফ বলে উঠে ,
রৌফ : দাদীর কাছে শুনছিলাম বুড়া বয়সে পাটের ব্যাবসা আর এখন দেখি কিশোর বয়সে মুড়ির ব্যাবসা করতে হইবো ওগো। ( অবাক ভঙ্গিতে )
সৌরভ : আমি বাকরুদ্ধ স্বাধীনতা অর্জনের পরেও । ( মুচকি হেসে )
সিয়াম : হ্যাঁ আল্লাহ আমায় উঠাইয়া নেও । ( কপাল চাপড়াতে চাপড়াতে )
.
.
আহতাব আর অহনার মধ্যে কোনো ঝামেলা নেই তারা নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে আছে । তারা বুদ্ধি করে ওদের মধ্যে ঝামেলা পাকিয়ে দিয়েছে । বাকিটা আর তাদের কিছুই করতে হবে না । মেয়ে আর ছেলে দুই দল করে নিবে । তারা শুধু দেখবে ।
.
.
( মেহতাবদের রুমে )
মেঘ শাড়ি চেঞ্জ করে একটি বেগুনি রঙের শাড়ি পড়ে এসেছে । আর মেহতাবও একটা ব্রাউন টি শার্ট আর ট্রাউজার পড়েছে । মেঘকে দেখে মেহতাব বলে উঠলো ,
মেহতাব : সব ঠিকঠাক আছে শুয়ে পড়ো ।
মেঘ মেহতাবের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো ,
মেঘ : আপনি ঘুমাবেন না ?
মেহতাব : আসলে আমি কালকে ফিরে যাবো না সো আগে থেকে বলে দিবো আমার এসিস্ট্যান্টকে যাতে ও কালকের দিন টা একটু ম্যানেজ করে রাখে । অনেক পেন্ডিং কাজ পড়ে আছে । I have no other option .
মেহতাবের কথা শুনে মেঘ ভীষণ খুশি হলো । কিন্তু অনুভুতি গোপনেই থেকে গেলো প্রকাশ করলো না বা তার প্রকাশ করার ক্ষমতাটুকু হয়তো নেই । মেঘের কোনো প্রতিক্রিয়া না দেখে মেহতাব ভ্রু কুচকে বলে উঠলো ,
মেহতাব : তোমার হাজব্যান্ড তার ওয়াইফ এর জন্য থেকে যাচ্ছে । ওয়াইফের তো খুশি হয়ে হাজব্যান্ড কে জড়িয়ে ধরা উচিত নয় কি ? ( মলিন হেসে )
মেহতাবের কথায় মেঘ বিস্মিত ভঙ্গিতে তাকিয়ে রইলো মেহতাবের মলিন , মুগ্ধকর মুখের পানে ।
#তুমি_এসেছিলে_বলে
পর্ব : ২১
#নাদিয়া_আক্তার_সিয়া
শীতের মৌসুম ভোরের রৌদ্রজ্জল মিষ্টি সকাল । সূর্যের দেখা মেলেনি কাঁচের জনালাগুলো বড় বড় পর্দা দ্বারা আবৃত । মেঘ আর মেহতাব বিছানায় শুয়ে আছে । মেঘ ছোট বাচ্চাদের মতো মেহতাববের উষ্ণ দেহতে মুখ ডুবিয়ে শুয়ে রয়েছে । কখন সে এই বুকে ঠাই নিয়েছে কারোই জানা নেই কনকনে শীত তাদের মধ্যে দূরত্ব ঘুচিয়ে দিয়েছে । হুল্লোড় পার্টি থাকলে শীত কে পা ধরে সালাম করতো । গালে কিছুর খোঁচা খেতেই ব্যাথায় কঁকিয়ে উঠলো সে । বলিষ্ঠ হাতের বাঁধন গুলো আরো শক্তপোক্ত হলো । মেহতবাকে নিজের সন্নিকটে দেখে চমকে উঠলো । অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ও ব্যাথায় মেঘ চেঁচিয়ে উঠলো । মেহতাব পরিস্থিতি বোঝার জন্য ঘুম মগ্ন অবস্থায় শোয়া থেকে উঠে পড়লো । চুল গুলো কপালে এলোমেলো ভাবে পরে আছে তবুও তাকে সুদর্শন পুরুষ বলা যায় । মেহতাবের নজর গেলো খাটের পাশে পড়ে থাকা সুন্দরী রমণীর দিকে । মেঘ গালে হাত ডলতে ডলতে নিচে বসে আছে । মেহতাব জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো । বলে উঠলো ,
মেহতাব : নিচে বসে আছো কেনো ?
মেঘ কিছু বললো না কিছুক্ষণ নিরব থাকার পর একটা টাওয়াল নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেলো । মেহতাব উত্তরের আশা না করে শোয়া থেকে উঠে চুল গুলো ঠিক করতে করতে সৌরভদের ওয়াশরুমের দিকে চলে গেলো ।
.
.
রিসর্টের টপ ফ্লোর অর্থাৎ ছাঁদে ছোট ছোট গোল টেবিলে মেহতাব আর তার বন্ধুরা বসে আছে ।
সৌরভ সামির কে গুঁতিয়ে কিছু একটা জিজ্ঞেস করতে বললো । সামিরের সেই দিকে মনোযোগ নেই তার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা টেবিলের উপর সুন্দর করে সজ্জিত খাবার খাচ্ছে সে । সিয়াম ব্যায়াম করছে । রৌফ ছাঁদে দৌড়াচ্ছে । মেহতাব ফোনে নিউজ দেখছে আর কফি খাচ্ছে । সবাই নিজেদের কাজে ব্যাস্ত শুধু সৌরভ নিজে ছাড়া । সৌরভ বলে উঠলো ,
সৌরভ : পেটুক সামির খাবার গুলোকে আধমরা করা বন্ধ কর । আর সকিনার স্বামী মর্নিং দৌড় বন্ধ কর । এতিমখানার এটিএম ব্যায়াম করা থামা বলছি । সবাই এদিকে আয় ।
সৌরভের কথায় সকলের মুখ চুপসে গেলো । মেহতাব ধোঁয়া ওঠা কফির মগটা সাইডে রেখে দিয়ে বললো ,
মেহতাব : প্লিজ নতুন কোনো ঝামেলা ক্রিয়েট করিস না । অনেক কাজ বাকি । I’m so busy .
রৌফ বলে উঠলো ,
রৌফ : দোস্ত এই পৃথিবীতে সৌরভ আজ পর্যন্ত যত ঝামেলার আবিষ্কার করছে ওই আবিষ্কারের সম্পদ দিয়া আজ ওয় উগান্ডার প্রেসিডেন্ট হইয়া যাইতো । সুং সাং সৌরভাং ।
সৌরভ আফসোসের সুরে বললো ,
সৌরভ : ইসস আমি ওই সকল আবিষ্কার উগান্ডার জন্য না করে তোর জন্য করেছি মেহতাব । ভাব আমি কতোটা উদার মনের অধিকারী । ( চুল ঝারা দিয়ে )
সিয়াম : ওহ নো ! তাইলে আজকেই পাবনায় খবর দিতে হইবো ।
সামির : পাবনায় কেন ?
সিয়াম : উগান্ডার প্রেসিডেন্টের তো পাবনার পাগলা গারদে থাকা উচিত । নয় কি ? মায়ের কোলে সন্তান আর বনের পশু বনে শোভা পায় ।
সৌরভ : থাম সমুদ্রের মাঝখানের আম ।
সিয়াম : হোয়াট এভার ।
সৌরভ : তো আসলে দোস্ত আমরা কিছু প্রশ্ন করবো তুই উত্তর দিবি তাইলে আমরা কোনো কথা কি কোন শব্দ ছাড়া লন্ডন এ ব্যাক করবো ।
মেহতাব : এমনিতেও তোদের জন্য অনেক দেরী করেছি । বেশি উল্টোপাল্টা কাজ করলে আই প্রমিজ আজই রওনা দেবো ।
মেহতাবের কোনো ভাবাবেগ না দেখে সৌরভ আর বাকিরা চারটা চেয়ার টেনে নিয়ে মেহতাবের সামনে বসে পড়লো । তাতেও মেহতাব গুরত্বরোপ করলো না সে ফোন নিয়ে ঘাঁটাঘাটি করছে । সৌরভ ফোন টা কেড়ে নিলো । আর বলে উঠলো ,
সৌরভ : দোস্ত আমার নানার তার দাদার তার শ্বশুরের শালির কসম শেষ সুযোগ চাই ।
সবাই চাই চাই বলে সম্মতি জানালো । মেহতাবের অন্য কোনো উপায় না থাকায় বলে উঠলো ,
মেহতাব : দিস ইজ দা লাস্ট চান্স ওকে ?
সৌরভ : হুমমম ওকে । তো আমাদের প্রথম প্রশ্ন করবে লাল বাতি টিমের পক্ষ থেকে সিয়াম ।
সিয়াম একটু নিজেকে ঠিকঠাক করে নিলো। একটা শিট হাতে নিয়ে বলে উঠলো ,
সিয়াম : আপনি কে মেঘকে ভালোবাসেন ? অপশন রয়েছে ,
১.ভালোবাসি ।
২.ভালোবাসি ।
৩.ভালোবাসি ।
৪.ভালোবাসি ।
মেহতাব : ৫. কোনোটিই নয় ।
সিয়াম : এটা আমার অপশনে ছিলো না । দিস ইজ বাজে চিটিং ।
মেহতাব : যেমন প্রশ্ন তেমন উত্তর । চিটিং এর কি দেখলি ?
সৌরভ : দোস্ত সিয়াম বরাবর বাংলায় একটু কাঁচা লাল বাতি ক্ষমা পার্থী । এবার চুল কালো টিমের পক্ষ থেকে রৌফ নাই যার গোঁফ ।
রৌফ : করমু আমি বিয়া তোমাগো দাওয়াত দিয়া । তো আমার প্রশ্ন ,
ভালোবাসা বলতে কি বোঝেন আপনি ?
মেহতাব : ভালোবাসা ? এরকম টাইপ প্রশ্ন করলে আমি কিন্তু চলে যাবো প্লিজ অন্য কিছু আস্ক কর ।
সৌরভ : ওকে আর একজন বাকি তো আধপেটুক টিম থেকে সামির যার দিবাসপ্ন হলো সে বাদশা আমির ।
সামির : আমি সামির । বয়স ২৫ । একদম খাঁটি সিঙ্গেল । আমার জীবনে তিনটি সখ খাওয়া , খাওয়া আর খাওয়া ।
সৌরভ : আয় আয় সূর্য মামা বুদ্ধি দিয়ে যা সামিরের মাথায় একটু বুদ্ধি দিয়ে যা । মাথারে হরলিক্স খাওয়া যদি একটু বুদ্ধি হয় । টেকো মাথায় চুল গজাইতে পারলে মস্তিষ্কহীন মাথায় বুদ্ধির বীজ লাগানো কোনো ব্যাপার না ।
সামির : হে প্রভু , পেট টা আমার একটু খেতে ভালোবাসে ওকে কি করে অনাহারে রাখি আমি এতোটা নির্দয় নই ।
মেহতাব আর এক মুহূর্তও নষ্ট না করে নিচে চলে যায় । আর কিছুক্ষণ ওদের সাথে থাকলে মেহতাবেরও পাবনার পাগলা গারদে নিজেকে এডমিট করতে টিকিট কাটতে হতে পারে ।
নিজেকে ধাতস্থ করে মেহতাব রুমে প্রবেশ করতেই মেঘকে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কিছু লাগাতে দেখে থমকে যায় ।
মেহতাব : কী করছো গালে ব্যাথা পেলে কিভাবে ?
মেঘ কোনো উত্তর দেয় না । কিছুক্ষণ পর রিনরিনিয়ে বলে উঠে ,
মেঘ : আপনি দিয়েছেন ?
মেহতাব অবাক হয়ে যায় সে আবার কখন দিলো । নিজেকে ধাতস্থ করে বলে ওঠে,
মেহতাব : রেলি ? আমি তোমাকে হাউ ইজ ইট পসিবেল ?
মেঘ : কিভাবে আবার আপনার খোঁচা খোঁচা দাড়ি দিয়ে ঘষা দিয়েছেন ।
সৌরভরা মেহতাবকে তার ফোন দিতে এসেই এই কথা শুনে থমকে যায় ।
সৌরভ : এটা আমি কি শুনলাম মেহতাব তো অনেক অ্যাডভান্স লাভ বাইট এর জায়গায় দাড়ি বাইত দিয়ে দিলো । আমি সামিরের মতো দিবাসপ্ন দেখছি না তো ? দোস্ত একটা চিমটি দে তো ।
এটা বলতে দেরী তিনটে হাতের সজোরে চিমটি কাটতে দেরী হয়নি । সৌরভ ব্যাথায় কঁকিয়ে উঠলো ,
সিয়াম : কী বেসুরে গলা ।
রৌফ : হুম উগান্ডার ভবিষ্যৎ প্রেসিডেন্ট কিনা ।
সামির : উগান্ডায় কী ভালো খাবার পাওয়া যায় ?
সৌরভের আওয়াজ শুনে মেহতাব আর মেঘ দরজার দিকে দৃষ্টি পড়ে । মেহতাব আফসোসের সুরে বলে ওঠে ,
মেহতাব : নিজের বউয়ের সাথে ঠিকঠাক মতো কথা বলার সুযোগ নেই আবার রোমান্স । আমার মনে হয় উগান্ডার টিকেট কিনে ওখানেই হানিমুনের ব্যাবস্থা করতে হবে ।
মেহতাবের কথাটা সৌরভের কর্নপাত হতেই । সে বলে ওঠে ,
সৌরভ : তাহলে আজকেই ফ্লাইটের টিকেট বুক করি কী বলিস দোস্ত । লাভ গুরুর পক্ষ থেকে উগান্ডা হানিমুন গিফট । ( মুচকি হেসে )
চলবে।