#তুমি_এসেছিলে_বলে
পর্ব : ১৬
#নাদিয়া_আক্তার_সিয়া
মেঘ : আপনি তো খুব গুনী মানুষ। আমি তো আমার চোখ সরাতেই পারছিনা এই অদ্ভুত সুন্দর কারুকার্য থেকে ।
মেহতাব : থাঙ্কস ফর ইউর কমপ্লিমেন্ট । বাট আরো খুশী হতাম যদি তুমি এই ডিজাইন কে না বলে আমাকে বলতে । ( মেঘের দিকে চোখ মেরে )
মেঘ মেহতাবের এই কথার প্রতিউত্তরে কিছু বলতে যাবে । তখনি মেহসান সেখানে উপস্থিত হলো । আর মেঘ আর মেহতাব কে উদ্দেশ্য করে বলে উঠলো ,
মেহসান : কি করছো তোমরা ? ( মুচকি হেসে )
মেহসান কে দেখে দুজনে চমকে উঠলো । আর মেহতাব মেঘের থেকে একটু দূরে সরে দাঁড়ালো আর মেহসানের দিকে অগ্নিদৃষ্টি নিক্ষেপ করে বলে উঠলো ,
মেহতাব : আমরা কিছু করি বা না করি তুই নিশ্চয়ই কিছু একটার ব্যাঘাত ঘটিয়েছিস । ( রাগ দেখিয়ে )
মেহতাব এই কথা বলে নিজের সানগ্লাস টা খুলে হাতে নিয়ে সেখান থেকে চলে গেলো । এবার মেহসান সহ সেখানে উপস্থিত সবাই মেঘের দিকে প্রশ্নসুচক দৃষ্টিতে তাকালো । মেঘ পরিস্থিতি সামাল দিতে একটি মুচকি হাসি দিলো । আর মেহসানকে বলে উঠলো ,
মেঘ : তো মেহসান আমার ছোটো দেওর চলো তোমায় রুমে দিয়ে আসি । ( মেহসানের মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে )
মেহসান : আমি মোটেও ছোট নই ভাবী । আমার শুধু একটু অভিজ্ঞতা কম এই আর কি । ( লজ্জামাখা হাসি দিয়ে )
মেঘ : তাই বুঝি । ( মুচকি হেসে )
তখনি হুল্লোড় পার্টি সেখানে উপস্থিত হলো আর সিমরান মেঘের উদ্দেশ্যে বলে উঠলো ,
সিমরান : তোমায় দিয়ে আসতে হবে না মেঘ ভাবী । মেহসান আর সৌরভ ভাইয়াদের রুম তো একই । তারা একসাথে যাবে । তুমি বরং মেহতাব ভাইয়ার কাছে যাও । ভাইয়া তো আবার চলে গেলো । ( মুচকি হেসে )
মেঘ : ঠিকাছে তাহলে আমি আসছি । তোমরা সবাইও রুমে চলে যাও দেরি করো না ।
শাম্মী : ওকে ভাবী আমরা তাড়াতাড়ি চলে যাবো । তুমি ফ্রিলি যাও বাই ।
শাম্মীর কথা শুনে মেঘ সবাইকে বিদায় জানিয়ে নিজের রুমের উদ্দেশ্যে চলে গেলো । তখনি হুল্লোড় পার্টির সবাই মেহসানের দিকে রাগী দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো আর বলে উঠলো ,
সৌরভ : তুই সুধরাবি না ? কাবাবের মধ্যে হাড্ডি হওয়ার সখ । ঘর শত্রু বিবিশন ।
মেহসান : চিন্তা করো না শুধরিয়ে যাবো একদিন । শুধরাতে তো আর টাকা লাগে না । আর সেটা ঘর শত্রু মেহসান হবে ।( জামার কলার উচিয়ে ভাব নিয়ে )
কেউ আর মেহসানের কথার প্রতিউত্তরে কিছু বললো না । সবাই জানে গরুকে যতই বলুক অন্যের খেতে না যেতে সে তো যাবেই । বোধবুদ্ধি কম কিনা । সবাই এই ভেবে মন কে শান্ত করে একটি দীর্ঘশ্বাস ফেলে নিজেদের রুমের উদ্দেশ্যে রওনা হলো ।
.
.
( মেহতাবদের রুমে )
মেহতাব রুমে ঢুকেই দেখলো বড় পর্দা দিয়ে বড় বড় জানাল গুলো ঢাকা তাই সে সেগুলো সরিয়ে দিলো যাতে রুমে আলো আসে । তখনি মেঘ রুমে ডুকলো । সে মেহতাবের দিকে মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো । এক চিলতে রোদ পড়েছে মেহতাবের মুখে তাতে তাকে একদম স্নিগ্ধ দেখাচ্ছে । অল্প তেই তাকে বেশ সুন্দর লাগে । তখনি মেঘের দৃষ্টি রুমের দিকে গেলো । দুইজনের রুম অথচ ১০ জনের থাকার মতো জায়গা আছে । মেহতাবদের বাড়ির রুম অবশ্য অনেক বড় ছিলো । সে এইসব আর না ভেবে এবার মেহতাবের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো আর মেহতাব কে উদ্দেশ্যও করে বলে উঠলো ,
মেঘ : আপনি কি রাগ করেছেন কোনো কারণে ?
মেহতাব : কেনো আমায় দেখে কী তোমার মনে হচ্ছে আমি রাগ করেছি ? ( ভ্রু কুচকে )
মেঘ মনে মনে বিড়বিড় করে বললো ” তখন তো রাগে বরফের মতো ফুলে গিয়েছিল । যাই হোক উনি রাগলেও ওনাকে সুন্দর লাগে ” ( মুচকি হেসে )
মেহতাব : কিছু যদি বলার থাকে জোরে বলো ? ( মেঘের দিকে তাকিয়ে )
মেহতাবের কথায় মেঘের হুশ ফিরল । সে একটা ছোট হাসি দিয়ে বলে উঠলো ,
মেঘ : না তেমন কিছু না । ( প্রকাশ্য হাসি দিয়ে )
আর মনে মনে আবার বললো , ” আপনাকে নিয়ে কিসব ভাবছি ইচ্ছে তো করছে নিজের মাথায় চাটি দিতে ”
মেহতাব : ওকে তাহলে তোমার মনে মনে কথা বলা শেষ হলে তুমি শাওয়ার সেরে নেও । আমার একটা ইম্পর্ট্যান্ট কাজ আছে ।
এই বলে মেহতাব রুম থেকে চলে যাওয়ার সময় আবার কিছু একটা মনে পড়ায় ফিরে এলো । আর মেঘকে বলে উঠলো ” ওয়াশরুম লক করে নিও ”
এই বলে সে আর সময় নষ্ট না করে রুম থেকে চলে গেলো । মেঘ মেহতাবের কথা শুনে একটা স্নিগ্ধকর মিষ্টি হাসি দিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেলো ।
.
.
অন্যদিকে সৌরভ , রৌফ , সিয়াম আর সামির তাদের রুমে কে ওয়াশরুমে আগে যাবে সেটা নিয়ে ঝগড়া শুরু করে দিয়েছে । সৌরভ ওয়াশরুমের দরজা ধরে দাঁড়িয়ে আছে । আর সবাই তাকে সরানোর চেষ্টা করছে । তা দেখে সৌরভ বলে উঠলো ,
সৌরভ : ও শুধু আমার ওর গায়ে হাত লাগানোর চেষ্টা টুকু যদি তোগো মধ্যে কেউ করে ভালো হইবো না । ( রাগ দেখিয়ে )
একদিকে সৌরভ আর বাকিরা ঝগড়া করছে আর মেহসান আর সৌম সোফায় বসে মজা দেখছে আর বাজী ধরছে । সৌম মেহসান কে উদ্দেশ্য করে বলে উঠলো ,
সৌম : তোর কি মনে হয় কে জিতবে ?
মেহসান একটা হাই তুলে বলে উঠলো , “সৌরভ ভাইয়ার উপরে ২০ টাকা , রৌফ ভাইয়ার উপরে ৫০ টাকা , সিয়াম ভাইয়ার উপরে ১৫ টাকা আর সামির ভাইয়ার উপরে ২ টাকা ।
এই কথা সৌরভদের কানে যেতে দেরি কিন্তু তাদের অগ্নিদৃষ্টি মেহসানের উপর পড়তে দেরি নেই । মেহসানকে তারা ৪ জন যেনো চোখ দিয়ে পুড়িয়ে ফেলছে । মেহসান একটা ঢোক গিললো আর রুম থেকে যেতে যেতে সুর দিয়ে বলে উঠলো ,
মেহসান : টয়লেট তুমি বলে দেও তুমি কার ৪ জন মানুষ একটি টয়লেটের দাবিদার । ( সুর দিয়ে )
এই কথা বলে মেহসান যাওয়ার সময় সবাই পা থেকে জুতা খুলে ছুঁড়ে মারলো মেহসানের দিকে । মেহসান জুতোগুলো এড়িয়ে রুমে থেকে দৌড়ে বাইরে চলে গেলো । মেহসান যাওয়ার সময় সবার প্রতিজোড়া জুতো থেকে একটি জুতো নিয়ে দুষ্টু হাসি দিয়ে রুম থেকে চলে গেলো । এবার সৌমিক বলে উঠলো ,
সৌম : তোমরা থামবে না নাকি ? বাচ্চাদের মতো করছো । ওয়াশরুম টার উপর কি অত্যাচার টাই না চালাচ্ছো তোমরা । আমি বরং চলে যাই আমার দ্বারা আর দেখা সম্ভবপর নয় । আমি প্রস্থান করিলাম তোমাদিগ গণকে পানি শুভেচ্ছা ।(গ্লাস থেকে পানি ছিটিয়ে)
এই বলে সৌম চলে গেলো । সবাই সেইদিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করতেই সেই সুযোগে রৌফ ওয়াশরুমে ডুকে দরজা বন্ধ করে দিলো । আর বাকিরা রাগ করলেও আর দাড়ানোর ক্ষমতা না থাকায় নিচে পাবলিক ওয়াশরুমে যাওয়ার জন্য একসাথে দৌড় দিলো ।
.
.
( মেহতাবদের রুমে )
মেঘ শাওয়ার শেষ করে শাড়ি গায়ে প্যাঁচিয়ে ওয়াশরুম থেকে বের হয়েছে । ওয়াশরুমে শাড়ি ঠিক ভাবে পড়তে পারেনি । তাই সে কিছু না ভেবে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে শাড়ির কুচি গুলো ঠিক করতে থাকলো । হঠাৎ সেই সময় মেহতাব রুমে প্রবেশ করলো আর মেঘকে শাড়ি ঠিক করতে দেখে পিছনে ঘুরে দরজার দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে মেঘ কে উদ্দেশ্য করে বলে উঠলো ,
মেহতাব : I’m sorry . I didn’t notice you . ( আমি দুঃখিত । আমি তোমাকে খেয়াল করি নি )
মেহতাবের কণ্ঠস্বর পেয়ে মেঘ নিজের শাড়ি গায়ে দিয়ে যেই ওয়াশরুমে প্রবেশ করবে তখনি শাড়ির সাথে পা প্যাচিয়ে ঠাস করে পরে গেলো । মেহতাব শব্দ পেয়েই পিছনে ফিরে তাকালো আর দেখলো মেঘ নিচে পরে গিয়ে কোমরে হাত দিয়ে রেখেছে । সে মেঘকে কোলে তুলে বিছানায় শুইয়ে দিলো আর বলে উঠলো ,
মেহতাব : দরজা লক করো নি কেনো ?
মেঘ : আমি বুঝতে পারি নি আপনি এসে পরবেন । আমি দুঃখিত ।
মেহতাব : যাই হোক । কোমরে কি ব্যাথা করছে ?
মেঘ : না অতো ব্যাথা করছে না সামান্য একটু ।
মেহতাব : ব্যাথা করছে বললেই পারো । এতো লজ্জার কী আছে ? ( ভ্রু কুচকে )
তখনি মিথিলা , শাম্মী আর সিমরান রুমে প্রবেশ করলো আর সিমরান বলে উঠলো ,
সিমরান : কে ব্যাথা পেয়েছে ?
মেহতাব : তোর ভাবী আর কে ।
শাম্মী : এখন কেমন আছো ভাবী ?
মেঘ : তেমন কিছু হয় নি ।
মিথিলা : আমার রুমে একটা ক্রিম আছে । কোমড়ের ব্যাথা এক ঝোটকায় শেষ করে দিবে । আমি এনে দিচ্ছি ভাইয়া লাগিয়ে দিবে ঠিকাছে ।
এই বলে তারা মেহতাব আর মেঘ কে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে তাড়াতাড়ি রুম থেকে চলে এলো । আর শাম্মী বলে উঠলো ,
শাম্মী : ভাইয়া ভাবির কোমরে ক্রিম লাগিয়ে দিবে । How romantic ! ভাবতেও লজ্জা লজ্জা লাগে । ( লজ্জামাখা হাসি দিয়ে )
চলবে…….
#তুমি_এসেছিলে_বলে
পর্ব : ১৭
#নাদিয়া_আক্তার_সিয়া
মিথিলা : আমার রুমে একটা ক্রিম আছে । কোমড়ের ব্যাথা এক ঝোটকায় শেষ করে দিবে । আমি এনে দিচ্ছি ভাইয়া লাগিয়ে দিবে ঠিকাছে ।
এই বলে তারা মেহতাব আর মেঘ কে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে তাড়াতাড়ি রুম থেকে চলে এলো । বের হওয়ার সাথে সাথে শাম্মী বলে উঠে ,
শাম্মী : ভাইয়া ভাবির কোমরে ক্রিম লাগিয়ে দিবে । How romantic ! ভাবতেও লজ্জা লজ্জা লাগে । ( লজ্জামাখা হাসি দিয়ে )
শাম্মীর এমন কথা বার্তায় সিমরান আর মিথিলা হেসে দেয় । আর মিথিলা বলে উঠে ,
মিথিলা : আমার হবু দুলাভাইকে বলবো যাতে তোর কোমর সহ হাঁটুতেও মলম লাগিয়ে দেয় বুদ্ধিতো সব হাঁটুর তোলায় এসে পড়েছে । খালি উল্টোপাল্টা কথা গাধা একটা ।
শাম্মী মিথিলার কথার প্রতিউত্তরে রাগ নিয়ে বলে উঠলো ,
শাম্মী : গাঁধী হতে পারি তবে গাধা নই ।
মিথিলা : তোকে নিয়ে পারা যাবে না । ঠিকিই বলেছিস কিন্তু তোর সাথে তুলনা করা মানে গাধার স্ত্রীকে অপমান করা ।
সিমরান : গাঁধী মানে গাধার স্ত্রী বেশ বলেছিস আপু ।
শাম্মী : চুপ থাক সিমরান । ( রাগ দেখিয়ে )
এই সব বলে তারা ক্রিম আনতে রুমে চলে যায় । অন্যদিকে সিয়াম , সৌরভ আর সামির তাদের কাজ সেরে ওয়াশরুম থেকে বের হতেই সবাই তাদের পায়ের দিকে তাকিয়ে মুখ চেপে হাসতে থাকে । এতে তাদের বেশ অদ্ভুত লাগে । তারা তাদের পায়ের দিকে লক্ষ্য করতেই দেখে তাদের পায়ে জুতো নেই । তাদের খেয়ালই ছিল না । সবার এমন হাসি মজা দেখে সৌরভ মডেলদের মতো ক্যাট ওয়াক করে হেঁটে সামনে যেতে থাকে । তা দেখে সিয়াম বলে উঠে ,
সিয়াম : তুই আবার নিজের লিঙ্গ পরিবর্তন করতে চাস নাকি ? ( ভ্রু কুচকে )
সৌরভ : নিউ ট্রেন্ড হয়ে যাবে । মানুষ যা দেখে তাকেই ট্রেন্ড মনে করে । সম্মান রাখতে চাইলে অনুসরণ কর ।
তখনি কিছু মেয়ে সামির এর দিকে এগিয়ে আসে আর একটা মেয়ে সামির কে উদ্দেশ্য করে বলে উঠে , ” ভাইয়া ওয়াশরুম যাতে নংরা না হয় তাই জুতো পড়েন নি নাকি ? ( হেসে দিয়ে )
সামির : নাহ বোন । আজ শহিদ দিবস পালন হচ্ছিল টয়লেট এ তাই আর কি সম্মান প্রদর্শন করছিলাম খালি পায়ে ডুকে । তোমরা চাইলে যেতেই পারো আমরা কিছু মনে করব না ।
সামির এর কথায় মেয়েগুলো নিজেদের দিকে চাওয়া চাওয়ি করে কিছুক্ষণ অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে । তারা এই উত্তরের জন্য একদমই প্রস্তুত ছিলো না । তাদের কে মুরগি বানিয়ে দিলো ।
ততোক্ষনে সামির আর সিয়াম দুজনেই সৌরভ কে নিয়ে সেখান থেকে চলে আসে ।
.
.
মিথিলা , শাম্মী আর সিমরান একজন স্টাফকে দিয়ে কোমড়ের মলম টা পাঠিয়ে দেয় । তা দেখে শাম্মী বলে ওঠে ,
শাম্মী : আপু আমরা দিলে কি হতো ?
সিমরান : কী আর হতো ? ভাইয়া আমাদের বলতো ভাবীকে দিয়ে দিতে ।
শাম্মী : ওহ তাহলে চল গিয়ে বাকি সিন টুকু দেখে আসি ।( মুচকি হেসে )
শাম্মীর কথা শুনে মিথিলা ওদের দুজনকে বলে ওঠে ,
মিথিলা : নো এরকম হবে না । চল নিচে যাই ।
এই বলে শাম্মী আর সিমরানকে টেনে নিচে নিয়ে যায় মিথিলা । এতে অবশ্য তারা রাগ করেছিলো। কিন্তু মেহতাবদের একান্ত টাইম স্পেন্ড করা উচিত এইভেবে তারাও চলে আসে ।
অন্য দিকে মেহতাব ক্রিম টা হাতে নিয়ে মেঘের কোমরে লাগাতেই মেঘের দিকে তাকাতেই বুঝতে পারলো মেঘের বেশ অস্বস্তি হচ্ছে । মেহতাবের প্রতিটি স্পর্শে মেঘ কেঁপে কেঁপে উঠছে । তা দেখে মেঘ কে উদ্দেশ্য করে মেহতাব বলে উঠলো ,
মেহতাব : তোমার কি অসুবিধা হচ্ছে নাকি ?
মেঘ : উহুম । একটু অদ্ভুত লাগছে জানি না কেনো ?
মেহতাব : তুমি আবার ভালোবেসে ফেললে নাকি আমাকে ? ( ভ্রু কুচকে )
তখনি মেহসান রুমের ভিতর প্রবেশ করলো । মেহসান পরিস্থিতি দেখে বুঝতে পারলো সে আবার ভুল টাইমে এন্ট্রি করেছে ।
মেহতাব : ওকে ভালো করে লাগিয়ে দিয়েছি । আর তোমার জন্য এখানে খাবার নিয়ে আসছি ?
মেঘ : না আমি যেতে পারবো আপনি শাওয়ার নিয়ে নিন ।
মেহতাব : Are you sure ?
মেঘ : হুম ।
মেঘের কথা শেষে মেহতাব একটা টাওয়াল নিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকতে ঢুকতে মেহসান কে বললো ,
মেহতাব : মিথিলাদের বলে দিবি মেঘকে নিয়ে নিচে যেতে । আর সৌরভ দের আমার রুমে পাঠিয়ে দিস ।
মেহসান মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ সূচক উত্তর দিলো । মেহতাব আর সময় নষ্ট না করে ওয়াশরুমে ডুকে দরজা বন্ধ করে দিলো । তখনি রুমে হুল্লোড় পার্টির সবাই প্রবেশ করে। একসাথে ডুকতে গিয়ে সৌরভ পরে যেতে নিলেই মিথিলা সৌরভের কোমড় ধরে ফেলে । সেখানে মুহূর্তেই রোমান্টিক পরিবেশ সৃষ্টি হয়ে যায় । সৌরভ মিথিলার দিকে তাকিয়ে আছে আর মিথিলা সৌরভের দিকে তা দেখে সবাই একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে তাদের দিকে । তাদের নিরবতা ভেঙে সিয়াম বলে উঠে ,
সিয়াম : এমন ভাবে তাকিয়ে আছে দুজনে যেন এখানে রোমান্টিক শুটিং চলছে । কিন্তু ডিরেক্টর ভুলে নায়ককে নায়কার চরিত্রে দিয়ে দিয়েছে আর নায়কাকে নায়কের চরিত্রে । স্ক্রিপ্ট লেখার সময় বানান বেশ ভুল হয়েছে দেখেই বোঝা যাচ্ছে । ( মুখ টিপে হেসে )
সিয়ামের কথায় সকলে হেসে সহমত জানায় । সিমরান বলে উঠে ,
সিমরান : ডান চোখ টা লাফাচ্ছে আজ কিছু তো হবে । ( মুচকি হেসে )
সবার এমন কথাবার্তায় সৌরভ আর মিথিলা ভরকে যায় । নিজেদের ধাতস্ত করে সৌরভ সকলের উদ্দেশ্যে বলে ওঠে ,
সৌরভ : জনগন পরিবেশকে এভাবে দূষণ কেনো করিতেছো তোমাদের ময়লা কথাবার্তা দ্বারা । এখানে ময়লা কথা বলা নিষিদ্ধ ।
রৌফ : দোস্ত ময়লা আবার কথাবার্তা হয় নাকি ? ( হেসে )
রৌফের কথায় সবাই একটু হাসাহাসি করে । সবার নজর হঠাৎ মেঘের দিকে যায় । মেঘ তাদের কথাবার্তায় হাসছে । তা দেখে সবাই একটু লজ্জা পায় । তখনি শাম্মী বলে উঠে ,
শাম্মী : ভাবী মলম লাগিয়েছো ? এখন কেমন লাগছে ?
মেঘ : হুম ভালো । কোমড়ের ব্যাথা একটুও নেই ।
তা শুনে বাকিরা একসাথে জিজ্ঞেস করে উঠলো , ” কোমড়ে ব্যাথা পেয়েছে মেঘ ভাবী ”
শাম্মী হ্যাঁ সুচক মাথা নাড়ালো ।
মেঘ : ঘাবড়ানোর কারণ নেই তেমন কিছু হয়নি । তোমাদের কথাবার্তা সব ব্যাথা ভুলিয়ে দিয়েছে । ( হেসে )
এতে সবাই আরেকদফা লজ্জা পেলো । তারা সবাই কিছুক্ষণ এইসব নিয়ে কথা বলে নিচে চলে গেলো । সৌরভ আর তার বাকি বন্ধুরা মেহতাবের আসার জন্য সোফাতে বসে অপেক্ষা করতে লাগলো ।
মেহতাব তখনি একটা কালো রঙের শার্ট আর প্যান্ট পরে বের হলো ওয়াশরুম থেকে । সৌরভদের দেখতে পেয়ে বললো , ” কাল ফিরে যাচ্ছি আমরা ”
হঠাৎ ফিরে যাবার কথা শুনে সবাই একসাথে বিষম খেয়ে উঠলো । সৌরভ বলে উঠলো , ” কালকেই যেতে হবে ”
তারা সবাই মেহতাব আর মেঘকে সেটেল করার মিশন সম্পূর্ন করেই যাবে । তাই তারা যাওয়ার জন্য বেশ আগ্রহ দেখায় না । আর মেহতাব চলে গেলে সেটাতো সম্ভবই নয় । তাই রৌফ চোখের ইশারায় সবাইকে তার কথায় হ্যাঁ মিলাতে বলে দেয়। সবার তার ইঙ্গিত বুঝতে কষ্ট হয় না । মেহতাব তাদের ফিসফিস করতে দেখে বলে ওঠে ,
মেহতাব : তোরা এমন বিহেভ কেনো করছিস ? ( ভ্রু কুচকে )
রৌফ : কি করি দোস্ত কালকেই যাইতে হইবো তাহলে ভাবীর সারপ্রাইজ ডিনার এর কি হইবো ।
এই বলে রৌফ সিয়ামকে ধরে কান্না করতে থাকে । রৌফের কথা শুনে মেহতাব সহ উপস্থিত সকলে বেশ অবাক হয় । রৌফ সৌরভ আর বাকিদের দিকে চোখ মারে সবাই তার প্লান বুঝতে পারে ।
মেহতাব : কাদের সারপ্রাইজ ডিনার ? ( অবাক ভঙ্গিতে )
সামির : কার আবার তোর আর মেঘের । মেঘ তোকে সারপ্রাইজ দিবে তাই আমাদের বলতে নিষেধ করেছে তাই বলিনি ?
মেহতাব এই কথা শুনে বেশ অবাক হয়। কিন্তু নিজেকে ধাতস্থ করে বলে , ” মেঘ ? কখনই না । It’s impossible . I don’t believe ”
সিয়াম : তোকে দেখেই বোঝা যাচ্ছে । মনে তো পপকর্ন ফুটছে ।
মেহতাব : যাই হোক । I’m not interested .
সৌরভ আর সামির তা দেখে নিজেরা মেহতাব আর মেঘ সাজে আর তাদের অভিনয় করতে শুরু করে । সৌরভ সামির কে বলে উঠে ,
সৌরভ : মেঘ তোমার সেই এক চিলতে হাসি আমাকে তোমার দিকে আকৃষ্ট করে । ( চোখের অনেকগুলো পলক ফেলে )
সামির : কিন্তু আমরা তো নিজেদের ফিলিংস বুঝতেই পারি না । আমাদের প্রজন্ম আসবে কি করে ! ( মেয়েদের নেকা কণ্ঠে )
মেহতাব তাদের এইসব কথা শুনে বেশ বিরক্ত হয় । বিরক্ত সহিত সোফা থেকে একটা বালিশ ছুঁড়ে মারে তাদের দিকে ।
সিয়াম বালিশ টাকে আদর করে সামির এর কোলে দিয়ে বলে , ” এই নিন আপনাদের প্রজন্ম যা ২০৮০ সালে জন্মেছে । ফিলিংস বুঝতে দেরি হয়ে গেলো কিনা । ”
সিয়ামের এমন কথা বার্তায় উপস্থিত সবাই উচ্চস্বরে হেসে দিলো । মেহতাব রাগ দেখিয়ে বলে উঠলো ,
মেহতাব : ওভার একটিং বন্ধ কর । আমি গেলাম বাই । ( রাগ দেখিয়ে )
এই বলে মেহতাব রুম থেকে চলে গেলো । আর সিয়াম বালিশটা নিয়ে পিছনে আসতে আসতে বললো ,
সিয়াম : আপনার প্রজন্ম নিয়ে যান ।
#তুমি_এসেছিলে_বলে
পর্ব : ১৮
#নাদিয়া_আক্তার_সিয়া
মেহতাব : ওভার একটিং বন্ধ কর । আমি গেলাম বাই । (রাগ দেখিয়ে)
এই বলে মেহতাব রুম থেকে চলে গেলো । আর সিয়াম বালিশটা নিয়ে পিছনে আসতে আসতে বললো ,
সিয়াম : আপনার প্রজন্ম নিয়ে যান ।
সকলে লাঞ্চ করার জন্য এসে পড়েছে । সবাই মেহতাব আর সৌরভদের আসার জন্য খাবার টেবিলে বসে অপেক্ষা করছে । মেহতাবরা নিচে নামতেই তারা সকলে নিজেদের জায়গায় বসে পড়লেন । মেহতাব সহ সকলে উপস্থিত হওয়ায় অরিন বেগম বলে উঠলেন ,
অরিন বেগম : আমি আর তোমাদের দাদী চলে যাবো আজকে । তোমরা বরং আর দুটো দিন ঘুরে তারপর এসো ।
আহতাব : কিন্তু কেনো ?
অরিন বেগম : তেমন কেনো কারণ নেই । তোমার দাদীর শরীর টা ভালো নেই । তোমাদের চিন্তা করতে হবে না আমরা যেতে পারবো ।
মেহতাব : আমি তোমাদের গিয়ে দিয়ে আসবো ।
মারজা বেগম : তার কোনো প্রয়োজন নেই দাদু ভাই আমরা চলে যাবো আর ড্রাইভার তো আছেই ।
মেহতাব : কিন্তু ?
অরিন বেগম : কোনো কিন্তু নয় । সবাই খাওয়া শুরু করো ।
অরিন বেগমের কথায় কেউ আর দিরুক্তি করে না । সবাই খাওয়া দাওয়া শেষ করে অরিন বেগমদের এগিয়ে দিয়ে আসে ।
অরিন বেগমরা গাড়িতে করে সেখান থেকে চলে যান ।
সবাই আবার রিসোর্টে ফিরে আসে । রিসোর্টে ফিরতেই আহতাব আর অহনা সেখান থেকে অন্যদিকে ঘুরতে চলে যায় । বাকিরা সবাই বাগানের দিকে হাঁটতে শুরু করে । কিছুক্ষণ পর মেহতাব আর মেঘকে রেখে সবাই সেখান থেকে চলে আসে । আর মেহসান বলে ওঠে , ” আমরা পালাচ্ছি কেনো ? ”
সৌমিক : কেনো আবার তাদের প্রাইভেসি দিতে ?
শাম্মী : ঠিকাছে কিন্তু মিথিলা আপু আর সৌরভ ভাইয়া কোথায় ?
শাম্মীর কথায় সবাই চারদিকে তাকায় কিন্তু মিথিলা আর সৌরভকে তারা দেখতে পায় না । এতে সবার বেশ ঘটকা লাগে ।
রৌফ : গেলো কই ওরা ?
সিয়াম : চল সবাই খুঁজে দেখি ?
সামির : খোঁজার কোনো প্রয়োজন নেই আশেপাশেই হবে হয়তো ।
সামির এর কথায় সবাই সামির কে চেপে ধরে । সিমরান বলে উঠে ,
সিমরান : কিছু তো লুকাচ্ছ সত্যি সত্যি বলো সামির ভাইয়া । তুমি জানো আমি জানি ।
সিয়াম : না বললে তোর বিয়া হইবো না ?
তৌফ : এই প্রথম সিয়াম ঠিক কথা কইছে ।
সামির : ওই যে আসতাছে ।
সামির কথায় সবাই সামনে তাকায় সৌরভ আর মিথিলা এসে পড়েছে তা দেখে কেউ আর প্রশ্ন তুলে না ।
সামির : উফ ঠিক টাইম মতো আইছোস নাইলে ওরা বিয়ার আগেই বিধবা বানাইয়া দিতো । ( নেকা কান্না করে )
রৌফ : তোর আর ডং করতে হইবো না ।
সৌরভ : চল সবাই ।
সিমরান : কিন্তু কোথায়?
সিয়াম : ডিনার পার্টির জন্য ।
শাম্মী : তোমরা আবার আমাদের বাদ দিয়ে কিছু করেছো । তাই না ?
সৌরভ : বেশি কিছু না তোগো আমি বুঝাইতাছি ।
.
.
মেহতাব আর মেঘ পিছনে ফিরে দেখে কেউ নেই । তাদের বুঝতে বাকি থাকেনা তারা সবাই কেনো চলে গেছে । মেহতাব মেঘকে নিয়ে সামনের একটা নির্জন স্থানে বসে পড়ে । মেহতাব নিরবতা ভেঙে বলে ওঠে ,
মেহতাব : মেঘ আমি কালকে লন্ডন ব্যাক করছি ।
মেহতাব হঠাৎ এমন কথা বলায় মেঘ বেশ হকচকিয়ে যায় । নিজেকে ধাতস্থ করে বলে ওঠে ,
মেঘ : কালকেই ফিরতে হবে ?
মেহতাব : হুম আর্জেন্ট । অনেকদিন হয়ে গেছে বিজনেস ম্যানেজমেন্ট এর দায়িত্বে যাদের নিয়োজিত করেছি । তাদের উপর আর প্রেসার ক্রিয়েট করতে চাই না । সো কি করবো বলো ? প্রবলেম নেই তোমার জন্য একটা গিফট রেখে যাবো । যাতে আমার অনুপস্থিতি তোমায় কিছু টা ভুলিয়ে দেয়। আফটার অল আমি তোমার হাজব্যান্ড আমায় তো মনে পড়বেই । ( মেঘের চোখে চোখ রেখে )
মেঘ মেহতাবের থেকে চোখ সরিয়ে নেয় । তার কথার প্রতিউত্তরে কিছু বলে না সে । সে যে তাকে মিস করবে সেটা কিছুটা হলেও সে নিজেও অনুভব করতে পারছে । নিজের অধিকার খাটিয়ে বলার মতো অনুভুতি এখনও তাদের মধ্যে সৃষ্টি হয়নি ।
.
.
সৌরভরা মিলে সবাই প্লান এটে ফেলে । প্লান মোতাবেক মেয়েরা একদল আর ছেলেরা অন্য দলে ভাগ হয়ে যায়। সৌরভরা মেহতাবের কাছে আর মেয়েরা মেঘের কাছে এসে হাজির হয় । আর মেহসানকে আহতাব আর অহনার কাছে ডিনার পার্টির জন্য জায়গা বুক করতে পাঠিয়ে দেয় আহতাবদের আগেই বলে রেখেছে সৌরভ।
শাম্মী মেঘকে নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে বলে ওঠে,
শাম্মী : ভাবী চলো আমরা ওই দিক টা ঘুরে আসি ।
মেঘ : কিন্তু ?
সিমরান : কোনো কিন্তু নয় । আমরা ননদ আর ভাবী একটু আলাদা টাইম স্পেন্ড করবো চলো ।
মেঘ আর আপত্তি জানায় না । মেয়েরা মিলে অন্যদিকে চলে যায় । আর সৌরভরা মেহতাবকে নিয়ে তার বিপরীত দিকে চলে যায় ।
সৌরভ : দোস্ত আজকে রাতে মেঘ আর তোর জন্য একটা সারপ্রাইজ আছে । আসলে তখন বললাম না মেঘ সারপ্রাইজ দিবো ঐটা আসলে সত্যি ছিলো না । কিন্তু দোস্ত তোদের আমরা ভালো চাই সো প্লিজ আমাদের গিফট টা নাকোজ করিস না ।
সিয়াম : হুম সৌরভের সাথে আমরা সকলে সহমত ।
সিয়ামের কথায় সবাই মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ সূচক উত্তর দেয় ।
মেহতাব আন্দাজ তো করেছিলো তাই তাদের একটু শায়েস্তা করার জন্য মেহতাব একটু ভেবে বলে ওঠে ,
মেহতাব : I have one condition . যদি তোরা আমার শর্তে রাজি হতে পারিস এন্ড আমার শর্ত পূরণ করিস তাহলে ভেবে দেখবো যে আমি তোদের গিফট একসেপ্ট করবো কিনা ।
সবাই একটু ভেবে রাজি হয়ে যায় । মেহতাব আবার বলে ওঠে ,
মেহতাব : এখান থেকে তোদের মধ্যে একজন কোনো মেয়েকে ইম্প্রেস করতে পারলেই হবে সিম্পল ।
মেহতাবের কথায় সবাই আর না করতে পারে না তারা জানে মেহতাব তাদের ঘায়েল করার চেষ্টা করছে । সৌরভ বলে ওঠে ,
” মেহতাব বুনো শিয়াল হলে আমরাও বাঘা কুমির ”
মেহতাব : প্লিজ কুমির গুলোকে তোদের সাথে তুলনা করে অপমান করিস না আই রিকুয়েস্ট । ( কিঞ্চিৎ হেসে )
সবাই ডোন্ট কেয়ার একটা ভাব নিয়ে হাত পা এদিক ওদিক সরিয়ে ব্যায়াম করতে থাকে । একটা দীর্ঘনিশ্বাস নিয়ে সামনে থাকা টপস আর জিন্স পরা অনেকগুলো মেয়ের সামনে দাঁড়ায় । রৌফ চুল স্পাইক করতে করতে কবিতার ছন্দে বলে ওঠে ,
রৌফ : আমার বাবার ছিলো বড় বড় গোফ নাম আমার রৌফ ।
রৌফের কথা শুনে একটা মেয়ে বলে উঠে , ” আপনার গোঁফ কেনো নেই তাহলে ”
সৌরভ রৌফ কে ঠেলে সরিয়ে দিয়ে বলে উঠে ,
সৌরভ : বাবা-মা করত আমায় নিয়ে গৌরব নাম আমার সৌরভ ।
সৌরভের কথা শুনে আরেকটা মেয়ে বলে উঠে , ” কেনো সৌরভ ভাইয়া করত বললেন কেনো এখন কেউ আর গৌরব করে না ” ( হেসে দিয়ে )
রৌফ , সিয়াম , সামির ভাইয়া নাম শুনে হেসে বলে ” ভাইয়া টিকিটের মেয়াদ শেষ সাইট প্লিজ ”
সামির সৌরভ আর রৌফের সামনে এসে বলে ,
সামির : আমি ছিলাম আগের জন্মের আমির নাম আমার সামির ।
সিয়াম , সৌরভ আর রৌফ ঠাট্টার স্বরে হেসে বলে উঠে , ” গরীবের আমির ”
এবার শেষ পালা সিয়ামের সিয়াম বলে ওঠে ,
সিয়াম : ওগোরে এতিমখানায় দিয়াম নাম আমার সিয়াম ।
আরেকটা মেয়ে হেসে বলে ওঠে ” ধন্যবাদ আমাদের তিনজন লোক দরকার ছিলো এতিমখানা পরিষ্কার করার জন্য । আর এখানে তিনজনের সাথে একজনকে ফ্রি দিচ্ছে ”
মেয়েগুলো তাদের ইজ্জতের তান্দুরি বানিয়ে দিয়েছে । তা আর তাদের বুঝতে বাকি নেই । সবাই তাদের দিকে তাকিয়ে হাসা হাসি করছে । সিয়াম বলে উঠলো , ” আমি বাংলাতে একটু কাঁচা তাই বানানে বেশ ভুল হয় ” ( জোরপূর্বক হাসি দিয়ে )
চলবে।