তুমি আমার ভালোবাসা পর্ব-১৮

0
1765

#তুমি_আমার_ভালোবাসা
#পর্ব_১৮
#লেখিকা_Munni_Akter_Priya
.
.
শিহাব হুট করেই মাটিতে বসে হাত জোর করে বললো,
“বাবু ডাকো, জান ডাকো, জামাই ডাকো তবুও প্লিজ আঙ্কেল ডেকো না।”
“আরে আমি কাকে কি ডাকবো সেটা তো আমার বিষয়।”
শিহাব উঠে দাঁড়াতে দাঁড়াতে বললো,
“তাই বলে আঙ্কেল ডাকবে? ভাইয়া বললেও তো একটা কথা ছিল। অন্তত সাইয়্যা হওয়ার একটা আশা থাকে।”
“এজন্যই প্রথম থেকে রাস্তাটা বন্ধ করে দিলাম। আপনার ধান্দা আমি বুঝিনি ভেবেছেন? আপনাদের মত ছেলেদের আমি হারে হারে চিনি। আজ ভালোবাসার নাটক করবেন দুইদিন পরই সেই ভালোবাসা ফুড়ুৎ!”
“বাব্বাহ্! এতকিছু জানো তুমি?”
“আরো অনেক কিছুই জানি।”
“তা কি কি জানো একটু শুনি?”
“আপনাকে বলতে আমি ইচ্ছুক নই আঙ্কেল।”
“উফফ! আবার আঙ্কেল!”
“শুনুন আঙ্কেল, আপনার এইসব সাঙ্গপাঙ্গদের দিয়ে হুটহাট ডেকে পাঠাবেন না।”
কথাগুলো বলেই প্রিয়া গটগট করে হেঁটে চলে গেলো। শিহাবের বন্ধুরা সব হা করে তাকিয়ে আছে।
“দোস্ত, মেয়ে তো নয় এটা পুরা ঝাল মরিচ!”
শিহাব ভাবলেশহীনভাবে বললো,
“সেটাই তো দেখছি রে।”
.
ইদানীং রিহান ছেলেটা প্রিয়াকে খুব জ্বালাচ্ছে। রিহান প্রিয়ার এক ব্যাচ সিনিয়র। একই স্কুলে পড়ার সুবাদে ওরা পরিচিত। প্রিয়া যখন এইটে পড়ে তখন থেকেই রিহান প্রিয়াকে পছন্দ করে। ছয় মাস প্রচুর পিছন পিছন ঘুরেছে কিন্তু একদম পাত্তা পায়নি। এরপর রিহান এস.এস.সি পরীক্ষা শেষে কলেজে গিয়ে রিলেশনে যায়। এইসব খবরই প্রিয়ার কানে আসতো। প্রিয়া বড় বাঁচা বেঁচে যায় মনে মনে। এরমধ্যে রিহানের সাথে আর প্রিয়ার দেখা হয়নি। সবই তো ভালোই চলছিল। ঐদিন হুট করে কলেজে যাওয়ার সময় রিহানের সাথে দেখা হয়ে যায়। রিহানের পাগলামি তখন থেকেই। এরমধ্যে শুনেছিল রিহানের নাকি ব্রেকাপও হয়েছে কিন্তু খবর কতটা সত্যি সেটা জানেনা প্রিয়া। যাই হোক, প্রিয়ার জানার কোনো আগ্রহও নেই। ঐদিন দেখা হওয়ার পর থেকেই রিহান খুব জ্বালাচ্ছে প্রিয়াকে। হুটহাট করে ফোন দিচ্ছে, বাড়ির সামনে আসছে। কতগুলো নাম্বার যে ব্লাকলিস্টে ফেলেছে তার কোনো হিসেব নেই। পুরনো প্রেম জেগে ওঠেছে।
সন্ধ্যার সময় প্রিয়া একটু পড়তে বসেছিল তখনই আননোন নাম্বার থেকে ফোন আসে। প্রিয়া শিওর হয়ে যায় যে এটা রিহানেরই কাজ। আজ একটা রামধোলাই দিবেই দিবে। ফোন রিসিভড করেই প্রিয়া বললো,
“হারামজাদা আবার ফোন করছিস? ঐ তোর কি কোনো লজ্জাশরম নাই নাকি? এতগুলো নাম্বার ব্লক করেছি এরপরও অন্য নাম্বার থেকে ফোন করেছিস?”
ওপাশ থেকে একটা মেয়ে কণ্ঠ ভেসে আসলো,
“আপু আমি তো আজই তোমাকে প্রথম কল দিলাম।”
প্রিয়া এবার থতমত খেয়ে বললো,
“কে তুমি?”
“আমি সুমা।”
“কোন সুমা? কোথাকার সুমা? আমি কি চিনি?”
মেয়েটা কোনো উত্তর না দিয়ে সরাসরি জিজ্ঞেস করলো,
“রিহানের সাথে তোমার কি সম্পর্ক?”
প্রিয়ার মাথা এবার রাগে ফেঁটে যাচ্ছে। কোনো সম্পর্কে না জড়িয়েও একটা অপরিচিত মেয়ের কাছে শুনতে হচ্ছে কি সম্পর্ক! এরচেয়েও অপমানের কিছু হয়না প্রিয়ার কাছে। নিজের রাগকে সংযত করে প্রিয়া বললো,
“আগে তোমার পরিচয় দাও। তারপর আমি সব বলছি।”
“আমি রিহানের গার্লফ্রেন্ড।”
“কিহ্? তুমি ছেচ্চড়টার গার্লফ্রেন্ড? অথচ ঐ ছেচ্রা কাল পর্যন্তও নিজেকে সিঙ্গেল বলতে বলতে মুখ দিয়ে ফ্যানা তুলে ফেলেছিল।”
“আমি জানি আপু। এটা নিয়ে ওর সাথে আমার খুব ঝগরাও হয়েছে।”
“তুমি কোন কচুটা জানো? জানলে হুট করেই এই প্রশ্ন কেন করলে যে রিহানের সাথে আমার কি সম্পর্ক? কেমন ছেলেকে ভালোবাসো যার চরিত্র খারাপ! একটা পাগলকে নিয়ে সারাজীবন থাকা যায় কিন্তু চরিত্রহীন কাউকে নিয়ে থাকা যায়না।”
“আমি বুঝতে পারছি ওর ওপর তোমার অনেক রাগ। আমি ওকে অনেকবার তোমার কথা জিজ্ঞেস করেছি। কিন্তু বলেনি। এটাও বলেছি যে, ও যদি তোমাকে চায় আমি নিজেই তোমাকে ওর হাতে তুলে দিবো।”
“হোয়াট দ্যা…. তুমি কে আমাকে ওর হাতে তুলে দেওয়ার? তোমার কি মনে হয় আমি রিহানকে ভালোবাসি? নো ওয়ে। এমন ক্যারেক্টারলেস ছেলে কখনো প্রিয়ার ভালোবাসা ডিজার্ভ করেনা। আদারওয়াইজ আমি আগে রিহানকে ভালো না বাসলেও ভালো মানুষ ভাবতাম। কিন্তু এখন তো দেখছি সে একটা চরিত্রহীন ছেলে। গার্লফ্রেন্ড থাকতেও অন্য মেয়ের প্রতি যার ভালোবাসা জন্মায় সে নিঃসন্দেহে একজন খারাপ লোক। আর তুমি আগে কেন যোগাযোগ করোনি আমার সাথে? তাহলে সামনে থেকে ছেচ্রাটাকে একটা উচিত শিক্ষা দিতাম।”
“আসলে অনেক ট্রাই করেছি কিন্তু পাইনি। আমার ভাইয়াকে বলেছিলাম তোমার কথা। ভাইয়া ওর বন্ধুদেরও বলেছে। তারা আপনার কলেজেই অনার্স ফাইনাল ইয়ারের স্টুডেন্ট। বলেছে যে কয়েকদিনের মধ্যেই খুঁজে জানাবে। কিন্তু তার আগেই আমি রিহানের ফোন নিয়ে তোমার নাম্বার নিই।”
“খুব ভালো করেছো। যার সাথে জীবন জড়িয়েছো তাকে বলিয়ো শুধু তোমাতেই যেন মত্ত থাকে। আর পার্সোনালি একটা কথা বলি তোমায়। আমি রিহানকে ঘৃণা করি, খুব বেশি ঘৃণা করি।”
ঠুস করে লাইনটা কেটে কেলো। কি হলো? টাকা শেষ নাকি ফোন রেখে দিলো? ফোনটা হাতে নিয়ে খেয়াল করলো ফোন বন্ধ হয়ে গেছে। শিট! প্রিয়া ফোনটা চার্জে বসিয়ে পড়তে বসলো।

পড়া শেষ করে সবার সাথে রাতের খাবার খেতে বসলো। প্রিয়াদের বাড়িতে অত বিলাসিতা নেই। কিন্তু মনের সুখটাই তো আসল। যেটা ওদের মধ্যে ছিল। দুই ভাইয়া বউ নিয়ে অন্য জায়গায় থাকে কাজের সুবাদে। এখানে শুধু প্রিয়ার বড় বোন লামিয়া, বাবা-মা আর প্রিয়া থাকে। লামিয়া পড়াশোনার পাশাপাশি হাসপাতালে রিসিপশনে জব করে। মেঝেতে পাটি বিছিয়ে খেতে বসেছে ওরা। রাতের খাবারের মেন্যুতে ছিল ইলিশ মাছ ভাজা, আলু ভর্তা আর ডিমের তরকারি। ডিমের তরকারি দিয়ে ভাত মাখতে মাখতে প্রিয়া বললো,
“বুঝলে মা, ভাবছি কয়েকটা মুরগী পালবো।”
“হঠাৎ এই ভাবনা কেন?”
“এইযে ডিম রান্না করো। এই ডিম কেনার টাকাটা বেঁচে যাবে।”
লামিয়া বললো,
“এত উন্নতির কথা কবে থেকে ভাবা শুরু করলি?”
“যবে থেকে তোকে বিদায় করার ভূত মাথায় এসেছে।”
“আমি কি তোর পাকা ধানে মই দিয়েছি যে আমায় বিদায় করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছিস?”
“আমার ধানের ক্ষেত থাকলে তো মই দিবি। কথা তো ওটা নয়, তোর বিয়ের জন্য ডিম বিক্রির টাকা জমিয়ে তোকে বিয়ে দিবো।”
“তোর খুব বেশি তাড়া থাকলে তুই বিদায় হ।”
“তুই কি এখন বিয়ে করবি না আপু?”
“না।”
“না করলে না করবি। সেটা তোর ব্যাপার। কিন্তু আমার ইচ্ছে আছে আমি একটা ডিমের দোকান খুলবো। যেই দোকানে শুধু ডিম বিক্রি হবে। দোকানের নাম কি দিবো জানিস?”
“কি?”
“লামিয়ার ডিম ষ্টোর। শত হোক, তুই আমার বড় বোন। তোর প্রতি তো আমার আলাদা একটা টান আছে বুঝিস না।”
লামিয়া জোরে একটা ধমক দিয়ে বললো,
“ঐ লামিয়ার ডিম ষ্টোর মানে কি রে হ্যাঁ? ডিম কি আমি পারবো নাকি?”
“আমি এটা কখন বললাম?”
“নামটা তো তেমনই শোনায়।”
“দেখেছিস তোর থিংকিং কতটা নিচু? আচ্ছা তোর পুরো নাম যেন কি? লামিয়া ইসলাম মীম তাই না? হোল স্কুল-কলেজ লাইফে তো তোকে সবাই ডিম বলেই ডাকতো। ডিম থেকেই তো ছানার জন্ম। ছানা থেকে বড় মুরগী। আর তুই তো এখন বড় হয়েছিস। তাহলে লামিয়ার ডিম ষ্টোর নামটা কোন দিক দিয়ে খারাপ রে?”
লামিয়া দাঁত কটমট করে তাকিয়ে আছে। প্রিয়া খাওয়া শেষে তোয়ালে দিয়ে হাত মুছতে মুছতে বললো,
“আজকাল কারো ভালো চাইতে নেই। দুনিয়ায় ভালো মানুষের কদর কেউ করেনা কখনো। একদিন বুঝবি।”
“যা ভাগ।”

প্রিয়া ঘরে গিয়ে মোবাইল নিয়ে সোজা বারান্দায় গেলো। কানে হেডফোন গুঁজে প্লে লিস্ট থেকে নিজের ফেভারিট গানগুলো শুনতে লাগলো। এরমধ্যে একটা গান একটু বেশিই ভালো লাগে প্রিয়ার। প্রিয়া সবসময় মাঝখান থেকেই শোনে গানটার।
“চুরাবালির পিছুটানে, বুঝিনা এই ভাষার মানে
অশান্ত মন, কি উচাটন খোদা জানে!
ঘরের কাজে, সকাল সাঝে
জিওমিতির ভাঁজে ভাঁজে,,
কিসের ছায়া, এ কোন মায়া
বুঝি না যে..!”
গানটা শুনতে শুনতে প্রিয়া ভাবে জীবন কি অদ্ভুত। একটু ভুল বুঝাবুঝি জীবন শেষ করে দিতেও দ্বিধাবোধ করেনা। যেটা এই “বখাটে” শর্টফিল্ম দেখলেই বোঝা যায়।
রাত একটা পর্যন্ত বারান্দায় বসে বসে গান শোনে প্রিয়া। এরপর ঘুমাতে চলে যায়। লামিয়া একটা শোয়ার বালিশ বুকে জড়িয়ে অন্যপাশ হয়ে ঘুমিয়ে আছে। প্রিয়া গিয়ে পেছন থেকে লামিয়াকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে পড়ে। প্রিয়ার এক হাত, এক পা লামিয়ার ওপর। সারাদিনে যত ঝগড়াঝাঁটি যাই হয়ে যাক না কেন রাতে কেউই কাউকে ছাড়া থাকতে পারবেনা। বিশেষ করে প্রিয়া। যতই মুখে বলুক তোকে বিয়ে দিয়ে বিদায় করবো কিন্তু মনে মনে চায় বোন সারাজীবন ওদের কাছে থাকুক। সুন্দর এসব ভাবনা নিয়ে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়ে প্রিয়া।
.
.
সকালঃ ৯:১১ মিনিট
ঘুমঘুম চোখে মোবাইলে টাইম দেখেই প্রিয়া ধড়ফড়িয়ে বিছানায় বসে। দশটায় প্রিয়ার ক্লাস শুরু। তাও প্রথমেই ইংলিশ ক্লাস। এই ক্লাসে লেট করা মানে ম্যামের ক্লাসে পাক্কা পঁয়তাল্লিশ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকা। উফফ! আর ভাবতে পারছেনা প্রিয়া। কখন রেডি হবে আর কখন খাবে। আজ তো কপালে শনির দশা আছেই। আপুর ওপর খুব বেশিই রাগ হচ্ছে প্রিয়ার। ইচ্ছে করে ডাক দেয়নি। রাতের শোধটা এভাবে নিলো। প্রিয়া মনে মনে একশো টা গালি দিয়ে ফেলেছে। ঝটপট প্রিয়া ফ্রেশ হয়ে কলেজের ইউনিফর্ম পড়ে নেয়। আজ হিজাব বাঁধার একদম সময় নেই। তাই সাদা জর্জেট ওড়নাটা গলায় সুন্দর করে পেঁচিয়ে নেয়। লম্বা চুলগুলো একটা ঝুটি করে। বাহিরে প্রচুর ধুলাবালি থাকায় একটা মাস্ক পড়ে নেয়। এরপর না খেয়েই ব্যাগ নিয়ে দৌড় দেয়। মাঝ রাস্তায় পথ আটকে ধরে শিহাব ও ওর বন্ধুরা। প্রিয়ার মেজাজটা বিগড়ে যায়। এদের কি এখনই আসতে হলো! প্রিয়া ওদের সাইড কাটিয়ে চলে যাওয়া ধরলে শিহাবের বন্ধু পথ আঁটকে বলে,
“আরে দাঁড়াও মামণী! এত তাড়া কিসের?”
প্রিয়া কিছু বললো না। চুপ করে দাঁড়িয়ে তামাশা দেখছে। শিহাব চুলগুলো হাত দিয়ে ঠিক করতে করতে বললো,
“রিহানের সাথে কিসের ইটিশপিটিশ চলছে হ্যাঁ? আমাদের ছোট বোনের বয়ফ্রেন্ড হয় রিহান। কয়েকদিন পর ওদের বিয়ে জানো? আর ওর পিছনে ঘুরঘুর করছো?”
প্রিয়া এতক্ষণে বুঝলো ওদের আসার কারণটা অন্য অর্থাৎ রিহানঘটিত। সুমা বলেছিল ওর ভাইয়াকে আমায় খোঁজার কথা। মেয়েটার সাথে কথা বলে একবারের জন্যও মনে হয়নি থ্রেড দিতে বলেছে। কিন্তু এইগুলো একটু বেশিই লাফাচ্ছে মনে হয়।
শিহাব এবার ধমক দিয়ে বললো,
“চুপ করে আছো কেন? বোবা? কথা বলতে পারোনা? আর মুখে মাস্ক লাগিয়ে ঘুরছো কেন? খুলো বলছি এক্ষুণী মাস্ক খুলো।”
পাশ থেকে শিহাবের বন্ধু বললো,
“দোস্ত মামনী মনে হয় ব্রান্ডের লিপস্টিক ইউজ করেছে তাই মাস্ক দিয়ে ঢেকে রেখেছে।”
“আরে তাহলে ঢাকবে কেন? সবাইকে তো দেখানো উচিত।”
এবার প্রিয়া ক্ষিপ্ত গলায় বললো,
“জ্বী আঙ্কেল ঠিক বলেছেন। আমি ব্রান্ডের লিপস্টিক ইউজ করেছি। আপনি দিবেন ঠোঁটে? লাগিয়ে দিবো? আমি ব্যাগে করে নিয়ে এসেছি।”
প্রিয়ার এমন কথায় সকলে হকচকিয়ে গেলো। শিহাব ধমক দিয়ে বললো,
“এই মেয়ে এত্ত সাহস তোমার? দেখি মুখটা দেখাও দেখি। মাস্ক খুলো।”
“মাস্ক আমি খুলতেই পারি। কিন্তু নিজেকে সামলানোর ক্ষমতা আছে তো?”
“কেন? তুমি কি কুইন এলিজাবেথ?”
“তা নই। তবে আপনার মাথা ঘুরানোর কথা। কাকে থ্রেড করতে আসছেন দেখেন।”
বলেই প্রিয়া একটানে মাস্কটা খুলে ফেললো। শিহাব লাফ দিয়ে বাইকে বসে পড়লো।
“লা হাওলা কুয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিউর আজিম।”
“কি হলো আঙ্কেল? ভয় পেলেন?”
“ছিহ্ এসব কি বলো! আর ঐ সোহানের বারোটা আমি বাজাচ্ছি। আমাকে দিয়েই আমার হবু বউকে থ্রেট দেওয়ানো।”
“আঙ্কেল…”
শিহাব বুকের বামপাশে হাত রেখে বললো,
“উফফ আল্লাহ্। বুকে মোচর দেয়। প্লিজ আঙ্কেল ডেকো না। হার্টএটাক করে মরেই যাবো।”
“বেশ! তবে মামা ডাকি কেমন?”
” এভাবে আহত-নিহত কেন করছো প্রিয়া?”
“আমি কি করলাম মামু?”
“শেষ আমি শেষ! ওরে তোরা কে কই আছিস আমাকে হাসপাতালে নিয়ে চল। পোস্টমর্টেম করতে হবে। তখন রিপোর্টে স্পষ্ট আসবে “প্রিয়ার কথার আঘাতে শিহাবের মৃত্যু।” বিয়ের আগেই বিধবা হবে তখন বুঝবে মজা।”
“পাগল।”
বলেই প্রিয়া কলেজে চলে গেলো।…

চলবে….

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে