#তুই_আমার_অন্যরকম_নেশা_২
#সিজন-২
#পর্ব-২০
#Jannatul_ferdosi_rimi (লেখিকা)
রওশন ল্যাপ্টপে মুখ গুজে কাজ করছে বেডে বসে তখনি তার ফোন বেজে উঠে
রওশন মুঁচকি হেঁসে ফোনটা রিসিভ করে–
রওশনঃ হ্যা মামুনি বলো
অপাশ থেকে একটা মেয়েলি কন্ঠ বলে উঠলো
–কিরে বাবা শুনলাম তুই নাকি দেশে ফিরেছিস তাহলে বাসায় আয় তোর কি তোর বাবা বা মামনীর কারো কথায়ই মনে পড়েনা?
রওশনঃ এইভাবে বলছো কেন মামনি বাবা-মা মারা যাওয়ার পর তোমরাই তো আমার সব
— আমাদের ও তো তুই ছাড়া আর কেউ নেই তোর মাঝেই আমি তোর মাঝেই আমার ছেলেকে খুজে পাই
এই বলে অপাশের মহিলা টি ঢুকরে কেঁদে উঠে
রওশনঃ আহা মামনি প্লিয কেঁদো
—তুই তাড়াতাড়ি চলে আয়
রওশনঃ৷ হুম আসবো তার সাথে একটা বিরাট সারপ্রাইজ তোমার জন্য ওয়েট করছে,,
—কি সারপ্রাইজ?
রওশন একটা রহস্যময়ী হাঁসি দিলো,,
রওশন কাউকে একটা ফোন করলো
রওশনঃ কি কেমন আছেন?
—
রওশনঃ তুই আর কিছু বলিস না শালা তোর জন্য যে আর কি কি করতে হবে বুঝিনা
———-
রওশনঃতুই হাঁসছিস কেন
———–
রওশনঃ আরে বাংলাদেশ বলে কথা এখানে দা গ্রেট রওশন ও এইসব ভাষা শিখতে বাধ্য
————-
রওশনঃ তুমি আর কথাই বইলো স্কটলেন্ড সিবিয়াই অফিসার শুধুমাত্র তোমার জন্য মানুষের বাসায় উকিযুকি মারতে হচ্ছে
————-
রওশনঃ তোর বিয়েতে কেমন ব্যান্ড বাজাতেই হয় দেখবি
————
রওশনঃ আচ্ছা তুই আসছিস তাহলে
———-
রওশনঃ অনেক হয়েছে তাড়াতাড়ি ফিরে আয় ভালেবাসার মানুষটা দূরে থাকলে যে কি কস্ট সেইটা আমার থেকে হয়তো ভালো কেউ বুঝবে না
—————
রওশনঃ আচ্ছা রাখছি বাই। কি? পাঠকগন বুঝছেন না তো আরে বুঝবেন বুঝবেন সব বুঝবেন আমাদের লেখিকা রিমি একটু প্যাচ ছাড়া গল্প লেখতে পারে না কিনা তাই তো এখানেও প্যাচ দিয়া দিছে ?
রওশন একটা ছবি বের করে এক্টক হাসজ্জল মেয়ের ছবি রওশন ছবিটা বুকে জড়িয়ে কান্না করে দেয়
রওশনঃ Plz came back! you know how much i love u plz came back love u forever ?
তৃনা রওশন এর রুম এর বাইরে থেকে যাচ্ছিলো
হঠাৎ মনে হলো কেউ কান্না করছে
তৃনাঃ আচ্ছা এতো রাগি একটা স্যার রওশন স্যার ভেতরে বাচ্ছাদের মতো কান্না করছে কিন্তু কেন? সবসময় তো এতো এটোটিয়ড নিয়ে থাকে আজ আবার কি হলো ??
হু অনেক বড় রহস্য পাচ্ছে এই তৃনা যার সমাধান এই তৃনাকেই করতে হবে
যতই হোক তৃনার ফাস্ট ক্রাশ কান্না করছে তাও বাচ্ছাদের মতো
থরি ক্রাশ স্যার
হি হি হি
তৃনা আস্তে করে দরজা ধাক্কা দেয় আর সাথে সাথে তা খুলে যায়,,
গভীরঘুমে আছন্ন অয়রি হঠাৎ মনে হলো
কারো গরম নিঃশ্বাস তার ঘাড়ে পড়ছে কিন্থ কে? তা বুঝতে
পারছে
না
কেউ অয়রির মাথায় বিলি কেটে দিচ্ছে
অয়রির নিঃশ্বাসও ভারি হয়ে আসছে
অয়রি চোখ মেলতে গিয়ে মিলতে পারছে না
অয়রি তাড়াতাড়ি চোখ খুলে ফেলল
কিন্তু কাউকে দেখতে পেলোনা
সে তাড়াতাড়ি লাইট জ্বালিয়ে চারদিক খুঁজা শুরু করলো
কিন্তু না কাউকে পেলো
না
অয়রির মাথা হেং হয়ে আসছে
কেউ অয়রির কান্ড দেখে মুঁচকি হাঁসছে
আর বলছে
আমাকে খুজে লাভ নেই জান আমি যখন নিজের ইচ্ছায় তোমার সামনে যাবো
তখনি তুমি আমাকে
দেখবে
রওশন হঠাৎ কাধে কারো স্পর্শ পেয়ে চমকে তাকালো
দেখলো তৃনা অদ্ভুদ দৃস্টিতে তার দিকে তাকিয়ে আছে
রওশন আর কিছু না ভেবে
তৃনাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে হাওমাও করে কেঁদে দিলো
এতোক্ষন হয়তো কারো একটা ছোয়ারই আশায় ছিলো রওশন যাকে
আকড়ে ধরে নিজের কস্ট কিছুটা
হলেও কমাতে পারবে
তৃনা কি বুঝলো কে জানে সেও
শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো রওশনকে
আর নিজেও কেঁদে দিলো
চলবে কি?