#তুই_আমার_অন্যরকম_নেশা_২
#সিজন-২
#পর্ব-১৪
#Jannatul_ferdosi_rimi[লেখিকা]
অয়রির ফোনে হঠাৎ করে একটা ম্যাসেজ টোন বেজে উঠে অয়রি খেয়াল করে দেখে
একটা অচেনা নম্বর ম্যাসেজটা চ্যাক করে অয়রি আকাশ থেকে যেন পড়ে
অয়রির বুক ধরফর করছে ঘেমে একাকার হয়ে গেছে হাত প্রচন্ড হাত-পা কাঁপছে কেনমা কিছু ছবি পাঠিয়েছে আর যার মধ্যে ঈশা আর কাব্য অনেক ক্লোজ
যে কেউ দেখে বলবে হ্যাপি
কাপল অয়রি হাত-পা ঠান্ডা হয়ে আসছে
নাহ নাহ এইসব ফ্যাক আচ্ছা তাহলে ঈশার জন্যই কি কাব্য ওকে এতো
এভোয়েড করছে ছিহ ছিহ কিসব ভাবছেও
কাব্য অয়রীকে কত ভালোবাসে এইটা শুধু
ও না সবাই জানে কাব্য অয়রির জন্য
কতটা পাগলামি করতে পারে নাহ নাহ
কাব্যের ভালোবাসা এতোটাও ঠুনকো নয়।
অয়রি এইসব ভাবছিলো তখনি অই নাম্বর থেকে কল আসে অয়রি আর কিছু না ভেবে কলটা রিসিভ করে
সাথে সাথেই একজন ছেলে কন্ঠ
ভেসে উঠে
–কি ম্যাডাম কেমন লাগলো আপনার জান-প্রানের কাব্য এর রং লীলা?(ডেবিল স্মাইল)
—মুখ সামলে কথা বলুন স্টুপিড আপ্নার সাহস দেখে আমি অবাক আমার কাব্যের
ব্যাপারে আজেবাজে কথা বলার সাহস কই
পান?(অয়রি)
–আহা ম্যাম একটু আস্তে আস্তে বাহ বাহ এতো প্রেম যাক ভালোয় কিন্তু আমি যা বলি তা প্রমান ছাড়া বলিনা বুঝেছেন (ছেলেটি)
—You Just keep your mouth আপনি জানেন আমি আপনার কি অবস্হা করতে
পারি এইসব আজেবাজে কথা বলার
জন্য(অয়রি)
–মিস অয়রি চৌধুরী আমি যা বলছি
সব সত্যি তার প্রমাণও আমি আপনাকে অলরেডি দিয়ে দিয়েছি
—You just stop এইসব ফ্যাক আমি কি বুঝিনা
—এইযে জানতাম ম্যাডাম আপনি এতো
তাড়াতাড়ি বিশ্বাস করবেন না
তাই আপনার যদি প্রমাণ চাই তাহলে
আপ্নাকে একটা ঠিকানা পাঠাচ্ছি তাড়াতাড়ি চলে আসুন সব প্রমান পেয়ে
যাবেন আর হ্যা সম্পুর্ন একা আসুন?
অয়রি আর কিছু না ভেবে দৌড়ে বেড়িয়ে
পড়ে
অয়রিকে এইভাবে বেড়িয়ে পড়তে
টুম্পা(অয়রির বাড়ির কাজের মেয়ে)
অনেক টা ভয় পেয়ে যায়
টুম্পাঃ ম্যাডাম স্যার কেউ বাসায় নাই
অয়রি আপামনি এইভাবে কই গেলো?
নাহ নাহ ব্যাপারটা দেখতে হচ্ছে
টুম্পা কাউকে ফোন করে
অয়রি তাড়াতাড়ি করে একাই গাড়ি করে বেড়িয়ে
পড়ে তার হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে যদি
অই লোকটার বলা কথাগুলো
মিলে যায় নাহ নাহ অয়রি তাহলে কাব্যকে
ছাড়া কি করে বাঁচবে অনেক ভালেবাসে
যে কাব্যকে
(অয়রির কি হবে আমার প্রিয় পাঠকগন???)
মেঘা ঘরে ঢুকে দেখে ওর রুমে একটা ছোট্ট চিরকুট
তার পাশেই একটা কালো
লং একটা গাউন
মেঘা মুঁচকি হাঁসে গাউন টা অনেক সুন্দর
সোনালি পাতায় কাঁচের কাজ করা
সত্তিকারের ডায়মন্ডের কাজও করা মেঘা হা হয়ে রয়েছে এতো সুন্দর একটা ড্রেস
মেঘা ভাবতেও পারছে না মেঘা মুখ অটোমেটিক হা হয়ে রয়েছে কি সুন্দর গাউনটা মেঘা চিরকুট টা পড়া শুরু করে
আমার মেঘা জান সুন্দর মতো গাউন টা পড়ে রেডি হয়ে আসো বাইরে একটা গাড়ি অপেক্ষা করছে রেডি হয়ে চলে এসো
মেঘা না চাইতেও মুঁচকি হেঁসে ফেলল
মেঘা গাউন্টা পড়ে নিলো ফর্সা গা্য়ে গাউন টা চিক চিক করছে হাল্কা ডার্ক ম্যাকাপ আর চুলগুলো ছেড়ে দিলো মেঘা
মেঘাকে পুরো পুতুলের মতো লাগছে
(অনিক আজ হার্টঅ্যাটাক করবো)
মেঘা বাইরে এসে দেখে একটা ব্লাক গাড়ি মেঘা কিছু না ভেবে গাড়িতে উঠে পড়লো সামনে শুধু একজন ড্রাইভার মেঘা জানেনা তাকে কোথায় নেওয়া হচ্ছে সে শুধু জানে আজ সে অনেক এক্সসাইড[লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌসি রিমি]
(আবার এইটা ভাইবেন না মেঘা ক্ষমা করছে আসলে মেঘা এইসব সারপ্রাইজ অনেক ভাল্লাগে)
??????——
মেঘার গাড়ি একটা বড় ঝিলের সামনে নামে
মেঘা গাড়ি থেকে নামে অন্মি গাড়িটা চলে যায়
মেঘা সামনে তা্কিয়ে অবাক
একটা বড় কাঠের ঘড় তার উপর লেখা
আই লাভ ইউ মেঘা জান
চারদিকে ঝুলন্ত ফুলের দোলনা
এক্টক বড় গাছে কাচের ছোট্ট ছোট্ট গ্লাস সব কয়টায় জোনাকি
জোনাকির আলো দিয়ে পুরো জায়গা আলোকিত
মেঘা হা হয়ে আছে সে কোনো স্বর্গতে আছে এমন মনে হচ্ছে চারদিকে সিন্ধ বাতাস বইছে মেঘা খেয়াাল করলো
ফুল দিয়ে রাস্তা বানানো মেঘা যেই রাস্তায় পা রাখলো অম্নি মেঘার উপর ফুলের বর্ষন শুরু হলো মেঘা জাস্ট থ?
ঝিলে ফুলে সুজ্জিত একটা নৌকা বাঁধা
(এদিকে আবার পাঠকগন ভাবতাছে এই পোলা আবার আমাদের সামনে রোমান্স শুরু কইরা দিবো নাকি অয়নের ছেলে করতেই পারে?)
নৌকা উল্টো দিকে একজন দাঁড়িয়ে আছে
মেঘার বুঝতে অসুবিধা হলো না এইটা কে।
হ্যা আপ্নাদের প্রিয় অনিক
সে গিটার নিয়ে গান শুরু করে দিলো
রাতের সব তারা আছে ??
?? দিনের গভীরে,
বুকের মাঝে মন যেখানে রাখবো তোকে
সেখানে৷ ??
♪♪♪তুই কি আমার হবিরে?(২বার)
(অনিকে মেঘার দিকে ঘুরে তাকালো অনিকের চোখ ছলছল করছে মেঘারও)
মন বাড়িয়ে ??
??আছি দা্ঁড়িয়ে
তোর হ্রদয়ে ??
গেছি হারিয়ে
তুই জীবন মরন সবই রে ??
তুই কি আমার হবি রে? ?
(অনিক আস্তে আস্তে নৌকা থেকে নেমে
মেঘার কাছে পৌছলো মেঘার কাছে এখনো সব স্বপ্ন এর মতো লাগছে)
অনিক মুঁচকি হেঁসে আবার গাওয়া শুরু করলে–
আমার পথটা চলে যায় ??
তরিই দিকে
৷ ? চোখেরই কলম শত
কবিতা লিখে
এই হ্রদয় এর ভালোবাসা দিয়ে ??
(অনিক নিজের বুখে হাত রেখে ইশারা করলো
মেঘা হেঁসে ফেললো)
সেই কবিতা শুধু তোকেই নিয়ে ??
(মেঘাকে ইশারা করে)
চোখ ভরে তুই, ?
♪♪দেখ পরে তুই ♪♪
প্রেম কবিতা
তোকে ছুই
তুই চিনে নে সেই কবি রে ???
মেঘাও তাল মিলিয়ে গেয়ে উঠলো–
তুই কি আমার হবি রে? ?
রাতের সব তারা আছে দিনের গভিরে ♪♪
বুকের মাঝে যেন যেখানে
রাখবো তোকে সেখানে ?
??৷ তুই কি আমার হবি রে?
(অনিক মেঘার দিকে হাত বাড়িয়ে দিলো
মেঘাও মুঁচকি হেঁসে দিলো
অনিক মেঘাকে নৌকা নিয়ে বসালো
নিজেও বসে বৌঠা দিয়ে নৌকা চালালো
আর গান গাইতে শুরু করলো)
রাতের সব তারা আছে
দিনের গভীরে ??
?? বুকের মাঝে মন যেখানে
রাখবো তোকে সেখানে
তুই কি আমার হবি রে ???
গান শেষ হওয়ার সাথে সাথেই আকাশে ফানুশ উড়া শুরু করলো যাতে লেখা
— I love you megha jaaan
?
মেঘা হেঁসে দিলো
আরেকটা ফানুশে উড়ছে তাতে লেখা
—Iam sorry megha jaaan sorry for everything ❤️ but still love you
মেঘা আনন্দে কেঁদে দিলো সত্যিই এতো
বড় সারপ্রাইজ সে আশা করেনি
অনিকের মুখেও তৃপ্তির হাঁসি
চাঁদের আলো পানিতে পড়ছে মেঘার মুখ যেন আজ চাঁদকে হার মানাচ্ছে
অনিক মুগ্ধ হয়ে তার মেঘা জান কে দেখছে
ঝিলের পানিতে পদ্ধফুল ফুটে আছে
নদীটা এক অনন্যরুপ ধারণ করেছে
তার মধ্যে ফুল সজ্জিত নৌকায় নৌকা ভ্রমন৷তাও পাশে ভালোবাসার মানুষ
??
অনিকঃ একটা কথা বলি?
মেঘাঃ হুম বলুন
অনিকঃ? #তুই_আমার_অন্যরকম_নেশা ?
চলবে কি?