#তুই শুধু আমার
#Writer : মারিয়া
#Part : 7+8
,,,,,,ও ও ও ও ও ও ও ও,,,,,,,,
,,,,,,,,,কতবার বোঝাবো বল,,,,,,,,
,,,,,,কতবার জানাবো বল,,,,,,
,,,,,,,,,,,নিঃস্ব এ জীবনে
শুধু তুই আমার সম্বল,,,,,
,,,,,,,,,কতবার বোঝাবো বল,,,,,,,,
,,,,,,কতবার জানাবো বল,,,,,,
,,,,,,,,,,,নিঃস্ব এ জীবনে
শুধু তুই আমার সম্বল,,,,,
,,,,,,,,,,যতনে রেখেছি তোকে মনের গভীরে,,,,,,,,
,,,,,,,,,,,,,তোর দেখা নাহ পেলে
হয় মন বড়ই চঞ্চল,,,,,,,,,
,,,,,,,,,কতবার বোঝাবো বল,,,,,,,,
,,,,,,কতবার জানাবো বল,,,,,,
,,,,,,,,,,,নিঃস্ব এ জীবনে
শুধু তুই আমার সম্বল,,,,,
{{ বাকিটা নিজ দায়িত্বে শুনে নিবেন 😊 }}
আরসাল গান টাহ সেহেরের দিকে এক দৃষ্টিতে গেয়ে গেলো। আর এইটা সবাই খেয়াল করলো। আরসাল গান শেষ করতেই সবাই হাত তালি দিয়ে ওঠে। আরসাল গান শেষ করে আর কারো দিকে নাহ তাকিয়ে নিজের রুমে চলে যায়। নেহাও জিনিসটা খেয়াল করে আর মনে মনে বলতে থাকে,
–” আরসাল পুরো গান টাহ সেহেরের দিকে তাকিয়ে গাইলো কেনো? এমোন মনে হলো যেনো প্রতিটি লাইন সেহেরকেই বলছে। তাহলে কি আরসাল, নাহ আরসাল শুধু আমার। আর কারো নাহ। আর কেউ যদি আমার আর আরসালের মাঝে আসার চেষ্টা করে তাহলে তাকে সরিয়ে দিতে আমি ২বার ভাববো নাহ। সে যেই হোক নাহ কেনো।”
নেহা কথা গুলো মনে মনে ভেবে আরসালের রুমের দিকে চলে যায়। আরসাল যখন গান গায়ছিলো সেহের আরসালের দিকে তাকাতে পারে নি। কারন যখনই সেহের আরসালের দিকে তাকাচ্ছিলো, দেখে আরসাল তার দিকেই তাকিয়ে আছে। আরসালের চোখে চোখ রাখা সম্ভব নাহ সেহেরের কাছে, তাই চোখ সরিয়ে নিচ্ছিলো, আরসালের উপর থেকে।
আরসাল চলে যেতেই সেহেরও নিজের রুমে চলে যায়।
এইদিকে,
আরসাল বারান্দায় দাড়িয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে। রুমের দরজা খোলার আওয়াজে রুমে এসে দেখে নেহা দাড়িয়ে আছে। আরসালকে দেখেই নেহা এগিয়ে এসে বলতে শুরু করে,
–” হঠাৎ পার্টি ছেড়ে চলে এলে যে।”
–” ভালো লাগছে নাহ। আর পার্টিও তোহ প্রায় শেষ। বাকিটাহ ওনারা সামলে নিবেন। আমার মাথায় পেইন হচ্ছে হালকা।”
–” ওহ, তাহলে চলো মেডিসিন নিবা।”
–” আমি নিয়ে নিবো। তুমি চিন্তা করো নাহ। অনেক রাত হয়ে যাচ্ছে। তুমি আজ এখানে থেকে যেতে পারো।”
–” নাহ, ওহ হ্যা। তোমাকে তোহ বলাই হয় নি। ড্যাড এন্ড মাম্মামও এসেছেন।”
–” আংকেল, আন্টিও এসেছেন।”
–” হুম, আসলে আমি যখন বললাম আমি বাংলাদেশে আসবো। তখন তারাও আসতে চাইলো। তাই সবাই মিলে চলে আসলাম।”
–” হুম, ভালো করছো। আচ্ছা চলো আমি তোমাকে ড্রপ করো দেই।”
–” নাহ, তোমাকে আর মাথায় পেইন যেতে হবে নাহ। আমি গাড়ি এনেছি প্রব্লেম নেই।”
–” ওহ, ওকে।”
–” বাই।”
–” বাই।”
চলে যায় নেহা। আরসালও গায়ের ব্লেজার খুলে রেখে ওয়াশরুমে চলে যায় শাওয়ার নেওয়ার জন্য।
★★★
সেহের পুরো রুম অন্ধকার করে বিছানার উপর হেলান দিয়ে বালিশ কোলের উপর বসে আছে। আর মনে মনে ভাবছে,
–” আরসাল ভাইয়া আজ আমার দিকে তাকিয়ে কেনো গান গায়লো? ওনি তোহ আমাকে ঘৃনা করে তাহলে, আমার দিকে তাকিয়ে কেনো গায়লো?
আচ্ছা আরসাল ভাইয়াকে নেহার সাথে দেখে আমার কেনো এতো রাগ হচ্ছিল? আরসাল ভাইয়া নাহ হয় আমাকে ভালোবাসতো, কিন্তু আমি তোহ আরসাল ভাইয়ার প্রতি কখনো এইসব নিয়ে ভাবিও নি। তাহলে, কেনো আমার রাগ হচ্ছিল?”
এইসব ভাবতে ভাবতেই সেহের ঘুমিয়ে যায়।
এইদিকে,
আরসাল শাওয়ার নিয়ে বের হয়ে এগোতেই পায়ের নিচে কিছু একটা অনুভব করে, পায়ে একটু ব্যাথাও পায়। পা সরিয়ে তাকিয়ে দেখে একটা কানের দুল পড়ে আছে। আরসাল হাত দিয়ে কানের দুলটাহ উঠিয়ে চোখের সামনে ধরে। আরসাল মনে মনে ভাবতে থাকে,
–” এই এয়ার রিং এখানে কোথা থেকে এলো। নেহার এয়ার রিং নাকি? কিন্তু নেহা যাওয়ার সময় তোহ ওর ২ কানেই রিং দেখেছি। তাহলে?”
আরসাল এইসব ভাবতে ভাবতে হঠাৎ মনে পড়ে সেহের কে সে নিজের কাছে এনেছিলো তখন হয়তো ব্লেজারে লেগে ছিলো, পরে ব্লেজার খুলে রাখার সময় নিচে পড়েছে। আরসাল ভাবছে কি করবে এইটা, নিজের কাছে রেখে দিবে নাকি সেহেরকে দিয়ে আসবে। আরসাল আর কিছু নাহ ভেবে সেহেরের রুমের সামনে চলে যায়। দরজায় একটু ধাক্কা দিতেই দরজাটাহ খুলে যায়। আরসাল দেখে পুরো রুম অন্ধকার, গ্রিন শেডের হাল্কা ড্রিম লাইট জ্বালানো আছে। যার জন্য পুরো রুম আবছা আলো অন্ধকারে ভরে গেছে। আরসাল একবার ভাবলো চলে যাবে রুম থেকে, পরে নাহ হয় দিয়ে দিবে। রুম থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় বিছানার দিকে চোখ যায় আরসালের, আর চোখ যেনো সেখানেই দাড়িয়ে যায় সেহেরকে দেখে। সেহের বিছানায় ঘুমিয়ে আছে, এলোমেলো হয়ে। সেহের একটা লাল টপ আর সাদা প্লাজু পরা, প্লাজু টাহ একটু উপরে উঠে আছে, চুলগুলো ছাড়া এলোমেলো হয়ে আছে, কিছু চুল মুখের উপর এসে রয়েছে। আরসালের মনে হচ্ছে সেহের যেনো তাকে টানছে, কোনো এক ঘোরের মাঝে চলে যাচ্ছে আরসাল সেহেরকে দেখে। সেহেরকে দেখতে দেখতে কখন সেহেরের কাছে চলে এসেছে আরসাল নিজেও জানে নাহ। সেহেরের উপর হাল্কা ঝুকে আরসাল, আলতো ভাবে সেহেরের মুখ থেকে চুল গুলো সরিয়ে দেয়। এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আরসাল সেহেরের দিকে। কত মায়াবী লাগছে সেহেরের মুখ, হাল্কা সবুজ আলো সেহেরের ফর্সা মুখের উপর পড়ে সৌন্দর্য যেনো হাজার গুন বেড়ে গেছে। আরসাল সেহেরকে দেখতে দেখতে হঠাৎ চোখ যায় সেহেরের ঠোঁটের উপর। ঠোঁটের দিকে তাকাতেই যেনো আরসালের মনে হতে থাকে এই ঠোঁটে কোনো নেশার দ্রব্য আছে, যাহ আরসালকে টানছে। তারউপর সেহেরের ঠোঁটের উপর গাঢ় তিল টাহ যেনো আরসাল কে ঠিক থাকতে দিচ্ছে নাহ। আরসাল ঘোরের মাঝেই সেহেরের ঠোঁটের কাছে চলে যায়, আর মাত্র ১, ২ সে.মি দুরত্ব আরসাল আর সেহেরের ঠোঁটের। হঠাৎ সেহের একটু নড়ে উঠতেই আরসালের ঘোর কেটে যায়। দ্রুত সরে আসে সেহেরের কাছের থেকে। হাতে থাকা কানের দুল টাহ বিছানার পাশে থাকা ছোট্ট রাউন্ড টেবিলের উপর রেখে দ্রুত সেহেরের রুম থেকে বেরিয়ে নিজের রুমে চলে আসে আরসাল। আরসাল বারান্দায় দাড়িয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে মনে মনে ভাবতে থাকে,
–” কি করতে যাচ্ছিলাম এইটা আমি? শিট, যদি সেহেরের ঘুম ভেঙে যেতো তাহলে। ওহ নো, কান্ট্রোল আরসাল। কি করতে যাচ্ছিলি এইটা।”
কথা গুলো ভেবেই চোখ বন্ধ করে আরসাল, আর চোখ বন্ধ করতেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে আজকে সেহেরের রাগী মুখ, গান গাওয়া সময় সেহেরের অস্বস্তিকর মুখ, আর এখন দেখে আসা আলো অন্ধকারে ভরা সেহেরের মায়াবী মুখ। তাড়াতাড়ি চোখ খুলে ফেলে আরসাল। আর মনে মনে ভাবতে থাকে,
–” আজও চোখ বন্ধ করলে তোকেই দেখতে পাই সেহের। আমার সব কিছুতেই তোরে দেখি। কিন্তু তোরে আমি ঘৃনা করি। তোরে যদি এতো ভালো নাহ বাসতাম তাহলে আমাকে এতো কষ্ট পেতে হতো নাহ। তোরে যদি ভালো নাহ বাসতাম তাহলে আম্মু আমার গায়ে হাত তুলতো নাহ, এই বাড়ি থেকে আমাকে জোর করে বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়াও হতো নাহ। শুধু তোকে ভালোবেসেছি জন্য আমার সাথে এইসব হয়েছে। আই হেট ইউ। তাহলে আজও কেনো আমার তোর প্রতি এতো টান আসে। কেনো তোকে দেখলে নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারি নাহ? কেনো তোর চোখের পানি সহ্য করতে পারি নাহ? কেনো তোকে খুব কাছে পেতে ইচ্ছে করে? কেনো?”
আরসাল এইগুলো ভাবতে ভাবতে আবার রুমে চলে আসে। রুমের লাইট অফ করে দিয়ে বিছানায় হেলান দিয়ে সেহেরকেই মনে করতে করতেই ঘুমিয়ে যায়।
★★★
সকালে সেহের ঘুম থেকে উঠে পড়ে এলার্মের আওয়াজে। উঠে ফ্রেশ হয়ে রেডি হতে থাকে ভার্সিটি যাওয়ার জন্য। হঠাৎ বিছানার পাশে থাকা ছোট্ট রাউন্ড টেবিলের উপর চোখ যায় সেহের, দেখে কি যেনো একটা রাখা। সেহের এগিয়ে এসে দেখে কানের দুল, যেইটা গতকাল রাতে খুঁজে পাচ্ছিলো নাহ। কিন্তু এখানে কোথা থেকে এলো সেইটা বুঝে উঠতে পারছে নাহ সেহের। যাই হোক, সেহের আর বেশি নাহ ভেবে ভার্সিটির জন্য রেডি হয়ে নিচে নেমে আসে। সেহের নিচে এসে দেখে মায়া চৌধুরী, কেয়া চৌধুরী আর আহিয়া চৌধুরী ব্রেকফাস্ট গোছাচ্ছে। সেহেরকে দেখে আহিয়া চৌধুরী অবাক হয়ে এগিয়ে এসে বলে ওঠে,
–” আজ সূর্য কোনদিকে উঠেছে, যে মহারানি কে নাহ ডাকতেই নিজে উঠে চলে এসেছে। ”
আহিয়া চৌধুরীর কথা শুনে মায়া চৌধুরী এবং কেয়া চৌধুরী হেসে উঠে। তাই দেখে সেহের রেগে বলে ওঠে,
–” আম্মু, তুমি এমন ভাবে বলছো যেনো আমি একা একা তাড়াতাড়ি উঠতে পারি নাহ কখনো।”
–” নাহ, আমি কি সেরকম কিছু বলছি নাকি?”
–” তোহ, কি বলছো তুমি?”
–” আচ্ছা বাদ দে। আই ব্রেকফাস্ট করে নে।”
–” হুম, কিন্তু আশা কই? নাকি আজও ভার্সিটি যাবে নাহ?”
–” আমি চলে এসেছি।” কারো কথার আওয়াজে সবাই তাকিয়ে দেখে আশা রেডি হয়ে নিচে নেমে এসেছে। তারপর আশা আর সেহের টেবিলে বসতেই কেয়া চৌধুরী বলে ওঠে,
–” ঐতোহ আরসালও চলে এসেছে।”
কেয়া চৌধুরীর কথা শুনে সেহের পেছনে তাকিয়ে দেখে আরসাল তার দিকে তাকিয়ে আছে। আরসাল সেহেরের দিকে তাকাতেই চোখ যায় সেহেরের ঠোঁটের উপর। সেহের ঠোঁটে কিছুই দেয় নি, যার জন্য গোলাপি আভার ঠোঁটের উপর গাঢ় ছোট্ট কালো তিল টাহ বেশি ফুটে উঠেছে। এমন সময় আশা বলে ওঠে,
–” ভাইয়া, তুমি কি অফিস যাবা?”
আশার কথায় আরসালের ঘোর কেটে যায়। আশার দিকে তাকিয়ে বলে ওঠে,
–” হুম, আমাকে কয়েকদিন অফিস কন্টিনিউ করতে হবে। ”
–” ওহ, আচ্ছা। তাহলে আসো বসো, ব্রেকফাস্ট করে নাও।”
–” নাহ, আমার এমনিই লেট হয়ে গেছে। অফিস থেকে করে নিবো।”
আরসালের কথা শুনে মায়া চৌধুরী বলে ওঠে,
–” অফিস থেকে কেন করবি? খাবার তোহ রেডি হয়ে গেছে। বাসা থেকে করে যাহ।”
–” নাহ, সময় নেই। আসি।”
আরসাল আর কাউকে কিছু বলার সুযোগ নাহ দিয়ে বের হয়ে যায় বাসা থেকে। তারপর পরই সেহের আর আশাও বেরিয়ে যায় ভার্সিটির উদ্দেশ্যে।
★★★
আশা ভার্সিটি থেকে একটা কফি শপে যায় একটা ফ্রেন্ডের সাথে দেখা করতে। সেহের আর আশা একই ভার্সিটিতে একই ক্লাসে পড়লেও ওদের সাবজেক্ট আলাদা। তাই দুইজন একসাথে ভার্সিটিতে আসলেও ক্লাস টাইম আলাদা থাকায় যে যার মতো বাসায় চলে যায় বা অন্য কোনো কাজ থাকলে একাই যায়। তাই আশা একা এসেছে। আশার ফ্রেন্ড ফোন দিয়ে জানাই যে সে আসতে পারছে নাহ। তাই কফি শপ থেকে বের হয়ে যেতেই একদিকে চোখ যায় তার। আর যাহ দেখে তার জন্য একদমই প্রস্তুত ছিলো নাহ আশা। দুচোখ বেয়ে পানি পড়তে থাকে আশার। তাহলে কি,,,,,,
আশা আর আমান কফি শপের রুফটপে দাড়িয়ে আছে। কেউ কোনো কথা বলছে নাহ। আশা মুখ দিয়ে কোনো শব্দ করছে নাহ ঠিকই কিন্তু অঝোর ধারায় চোখ দিয়ে পানি ফেলছে। আমান যদিও কিছুটা আন্দাজ করে আসছে এতোদিন কিন্তু কখনো সেরকম খেয়াল দেয় নি। কিন্তু আজ মনে হচ্ছে তার খেয়াল দেওয়া উচিত ছিলো।
কিছুক্ষণ আগে,
আশা রেস্টুরেন্ট থেকে বেরোনোর সময় দেখতে পায়, আমান একটি মেয়েকে জড়িয়ে ধরে আছে। আর দৃশ্যটি দেখা মাত্রই আশার বুকের ভেতর মোচড় দিয়ে ওঠে। মনে হচ্ছিল দম বন্ধ হয়ে আসছে আশার। কোনোভাবেই আমানের সাথে অন্য একটা মেয়েকে মেনে নিতে পারছে নাহ। আশা একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আমান আর জড়িয়ে ধরা মেয়েটির দিকে। আমান মেয়েটিকে সরিয়ে কি যেনো একটা বলে সামনের দিকে এগোতেই দেখে আশা কান্না ভেজা চোখ নিয়ে দাড়িয়ে আছে। যাহ দেখে আমানের বুকের ভেতর কোথাও চিনচিনে ব্যাথা অনুভব করে। আমান আশার দিকে এগিয়ে আসতেই আশা ঘুরে চলে যেতে নেয়। কিন্তু আমান সাথে সাথে আশার হাত ধরে আটকে দেয়। আশা ঘুরে আমানের দিকে তাকায়। আমানও আশার দিকে তাকিয়ে বলে ওঠে,
–” তুই এখানে?”
–” কেনো, আমাকে আশা করো নি?”
–” মানে।”
–” তাহ, এইটা কি তোমার গফ নাকি?”
–” মানে, কার কথা বলছিস? ছোয়া।”
–” তাহ, আমি কি করে জানবো ওর নাম ছোয়া কি নাহ?”
–” হ্যা, ওর নাম ছোয়া। যাই হোক তুই কান্না কেনো করছিস?”
–” তাতে তোমার কি?”
–” চল।”
–” কোথায়? আমি যাবো নাহ তোমার সাথে কোথাও।”
আমান আর কোনো কথা নাহ বলে আশার হাত ধরে টেনে নিয়ে যেতে শুরু করে। আশা মুখে নাহ বললেও যাওয়ার সময় কোনো বাধা দেয় নাহ। আমান আশাকে কফি শপের রুফটপে এনে ছেড়ে দেয় আশার হাত। তারপর থেকেই দুইজন চুপ করে আছে আর আশা নিঃশব্দে চোখ দিয়ে পানি ফেলে যাচ্ছে। আমান আশার দিকে এগিয়ে এসে বলে ওঠে,
–” ভালোবাসিস আমাকে?”
আমানের সরাসরি এমন কথায় আশা চমকে আমানের দিকে তাকিয়ে দেখে আমান তার দিকে সোজা দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। আশা কান্না ভেজা কন্ঠে বলে ওঠে,
–” হুম। খুব ভালোবাসি তোমাকে।”
–” তাহলে এতোদিন বলিস নি কেনো?”
–” ভয়ে, যদি তুমি আমার সাথে কথা বলা দেখা করা বন্ধ করে দেও এই ভয়ে বলি নি।”
–” আমি অনেক আগেই এমন কিছু টের পেয়েছিলাম। কিন্তু আমি ভেবেছিলাম আমি যদি তোকে পাত্তা নাহ দেয়, তাহলে হয়তো তুই থেমে যাবি। কিন্তু তুই যে এতো এগিয়ে যাবি, আর কষ্ট পাবি এমন ভাবে তাহলে অনেক আগেই তোকে বারন করে দিতাম।”
–” কেনো, আমি কি এতটাই খারাপ যে আমাকে ভালোবাসা যায় নাহ।”
–” নাহ, তুই কেনো খারাপ হতে যাবি। তুই তোহ অনেক ভালো একটা মেয়ে। কিন্তু তুই যে ভালোবাসার কথা বলছিস, সেই ভালোবাসার প্রতি আমার কোনো বিশ্বাস নেই।”
–” মানে!”
–” মানে, My heart has been deceived once. ”
আমানের কথায় চমকে উঠে আশা। তার আমান কাউকে ভালোবাসতো বাহ এখনো হয়তো বাসে, আশা একভাবে তাকিয়ে আছে আমানের দিকে তাকিয়ে আছে। আশার চোখ দিয়ে কোনো পানি পড়ছে নাহ। শূন্য চোখে তাকিয়ে আছে আমানের দিকে। আমান আশার দিকে তাকিয়ে বলে ওঠে,
–” আমি একজনকে ভালোবাসতাম। খুব ভালোবাসতাম, এখনো হয়তো বাসি৷ কিন্তু ঠকিয়েছে সে আমাকে। আমার ভালোবাসাকে ঠকিয়েছে।”
–” কবে এসেছিলো সে তোমার জীবনে?”
–” অনার্স ফাস্ট ইয়ারে তার সাথে আমার দেখা এবং পরিচয় হয়। আস্তে আস্তে আমার অনেক ভালো বন্ধুও হয়। আমিও আস্তে আস্তে ওরে অনেক ভালোবেসে ফেলি। একদিন ওরে প্রোপোজও করি। ও রাজিও হয়ে যায়। ভালোই যাচ্ছিলো আমাদের সম্পর্ক। আমি ওকে এতোটায় ভালোবেসে ফেলি যে। ওর সাথে একদিন দেখা বা কথা নাহ হলে আমার দম বন্ধ হয়ে আসতো। পাগল পাগল লাগতো নিজেকে। কিন্তু ও আমাকে ভালোবাসতো নাহ। একদিন ওকে একটা ছেলের সাথে দেখি। কিন্তু সন্দেহ করি নি, ইনফ্যাক্ট ওরে এইটাও জিজ্ঞাসা করি নি যে ছেলেটা কে? তার সাথে কি করছিলো? এতোটাই বিশ্বাস করতাম ওরে, এতোটাই ভালোবাসতাম। তারপর হঠাৎ একদিন ছেলেটার সাথে ওরে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখি, ওরে কিছু জিজ্ঞাসা নাহ করে ওর সম্পর্কে খোজ নিয়ে জানতে পারি ও এইরকমই। অনেক ছেলের সাথেই ওর সম্পর্ক আছে। ওরে কথাটা বলতেই আমাকে বলে যে হ্যা। আর ও নাকি আমাকে নাহ আমার টাকা কে ভালোবাসতো। ওর যখন যেইটা লাগতো আমি ওরে দিতাম। ভালোবেসে দিতাম সবকিছু, কিন্তু আমি কি পেলাম, ধোকা। তখন থেকেই আমার এইসব ভালোবাসার প্রতি বিশ্বাস উঠে গেছে। কিন্তু ও নাহয় নাটক করেছিলো আমার সাথে, অভিনয় করেছিলো কিন্তু আমি তোহ আর করি নি। তাই আজও ওকে ভুলতে পারি নাহ। ওর জন্য ভালোবাসা আমার আজও রয়ে গেছে। পারবো নাহ ওরে ভুলতে। কারন আমি যে ওকে ভালোবেসেছি।”
আমানের কথা শুনে আশার ভেতরটাহ কেমন খালি খালি লাগছে। কতটা ভালোবাসে আমান একটি মেয়েকে। মেয়টা কত লাকি ছিলো। আশা তাও বলে ওঠে,
–” আমি তোহ ওরে ভুলতে বলছি নাহ। ওর জায়গায় ঐ থাক। আমি তোহ তোমার মনের কোনে নিজের জন্য একটু জায়গা চাচ্ছি।”
–” এইটা সম্ভব নাহ আশা। এইটা আমি পারবো নাহ। তোর ভালোবাসার কথা জানি নাহ। কিন্তু আমি কারো ভালোবাসা বিশ্বাস করতে পারি নাহ। শুধু আরসালের সেহেরের প্রতি ভালোবাসাটাহ আমি বিশ্বাস করি। কারন আমি জানি আরসাল সেহেরকে এখনো ভালোবাসে। এই ৩ বছর আমি আরসালকে সেহেরের প্রতি কষ্ট পেতে দেখেছি। কিন্তু আর কারো ভালোবাসার প্রতি আমার কোনো বিশ্বাস নেই।”
–” একবার বিশ্বাস করো। প্লিজ, খুব ভালোবাসি তোমায়। হাত জোর করছি তোমার কাছে। পায়ে পরছি, ভিক্ষা চাচ্ছি তোমার কাছে আমার ভালোবাসা। ” আশা কথা গুলো কান্না করে বলতে বলতে হাটু ভেঙে বসে পড়ে আমানের পায়ের কাছে।
আমান দ্রুত বসে আশার হাত নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে বলতে শুরু করে,
–” ক্ষমা করে দে আমাকে। আমি পারবো নাহ এতো বড় অন্যায় করতে। তোর জীবনে আমার মতো তোহ নয়ই, আরও অনেক ভালো ছেলে আসবে৷ যে তার নিজের সবটুকু দিয়ে তোকে ভালোবাসবে। যার জীবনে তুই হবি একমাত্র চাওয়া। যে তোকেই শুধু ভালোবাসবে। যার মনে শুধু তুই থাকবি। আমার দ্বারা এইটা হবে নাহ রে। আমি পারবো নাহ এতো বড় অন্যায় করতে। ক্ষমা চাচ্ছি আমি তোর কাছে। ভুলে যাহ আমাকে।”
আমান কথা গুলো বলে চোখ মুছতে মুছতে চলে যায় সেখান থেকে। আর আশা ওখানে বসেই কান্না করতে থাকে।
★★★
সেহেরের ক্লাস শেষ। ড্রাইভার ফোন করে বলেছে গাড়িতে নাকি সমস্যা দেখা দিয়েছে,তাই আসতে পারছে নাহ। তাই সেহের ভার্সিটির বাহিরে এসে দাড়িয়ে আছে রিকশা বা ট্যাক্সির জন্য। এইদিকে আজ আবার আকাশের অবস্থাও ভালো নাহ। আবহাওয়ার অবস্থা যাহ হয়েছে কখন বৃষ্টি হয়, কখন রোদ ওঠে কিছুই বোঝার উপায় নাই। কোনো গাড়ি নাহ পেয়ে আকাশের দিকে একবার তাকায় সেহের, দেখে আকাশের অবস্থা ক্রমশই খারাপ হচ্ছে। সেহের আর কিছু নাহ ভেবেই হাটা শুরু করে। কিছুদুর আসতেই ঝম ঝম করে বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। সেহের চারিদিকে তাকিয়ে দেখে একপাশে একটা বন্ধ টং দোকান আর সেখানে কিছু লোক দাড়িয়ে আছে। সেহের সেখানে গিয়ে আশ্রয় নেয়। কিন্তু সেখানে গিয়ে সেহেরের ভয় লাগতে শুরু করে, কারন যে লোক গুলো দেখা যাচ্ছিলো তখন, তারা যে খুব একটা সুবিধার নাহ এখন বেশ বুঝতে পারছে সেহের। কেমন কেমন করে যেনো তাকাচ্ছে সেহেরের দিকে। সেহেরের পরনে একটা নীল কুর্তি আর সাদা জিন্স প্যান্টের সাথে, সাদা একটা স্কার্ফ গলায় পেচানো। কিন্তু বৃষ্টিতে জামাটাহ অনেক খানি ভিজে যাওয়ায় গায়ের সাথে এটে রয়েছে সেহেরের। লোকগুলো কি কি যেনো বলাও শুরু করেছে। এখানে থাকার সাহস সেহেরের আর হলো নাহ। সেহের বৃষ্টির মাঝেই নেমে হাটা শুরু করে। হঠাৎ সেহের টের পায় লোক গুলোও তার পিছন পিছন আসছে। সেহের ভয় পেয়ে যায় আর দৌড়ানো শুরু করে। ছেলেগুলোও সেহেরের পিছন পিছন দৌড়ানো শুরু করে।
সেহের দৌড়াতে দৌড়াতে সামনেই দেখে একটা গাড়ি আসছে কিন্তু গাড়ি টাহ সাথে সাথে ব্রেক করে ফেলে, তাও সেহেরের হালকা ধাক্কা লাগে আর সেহের পড়ে যায়। পেছনে আসা ছেলেগুলোও দাড়িয়ে পড়ে আর কেমন করে হেসে ওঠে৷ যা দেখে সেহেরের ভয়ে কলিজা শুকিয়ে যায়। হঠাৎ গাড়ির দরজা খুলে কারো নেমে আসার আওয়াজে সেহেরে বসা অবস্থায় মাথা ঘুরিয়ে যাকে দেখে, গাড়ি থেকে যে নেমেছে তাকে দেখে যেনো সেহেরের জানে পানি আসে। নেমে আসা ব্যাক্তিটি আর কেউ নয় আমাদের হিরো আরসাল। আরসাল বৃষ্টির পানিতে একদম ভিজে গেছে। আরসাল এগিয়ে এসে ছেলেগুলোর দিকে একবার তাকিয়ে সেহেরের সামনে গিয়ে এক হাটু ভাজ করে বসে বলে ওঠে,
–” ব্যাথা পেয়েছিস?”
সেহের মাথা নাড়িয়ে বলে ওঠে,
–” নাহ।”
সেহেরের কথা শুনে আরসাল সেহেরের হাত ধরে উঠাতে গেলে সেহের উঠতে পারে নাহ। পায়ে ব্যাথা পেয়েছে সেহের, পা মচকে গেছে। আরসাল সেহেরের দিকে রাগী গলায় বলে ওঠে,
–” মিথ্যে বললি কেনো, যে ব্যাথা পাস নি?”
–” তখন তোহ বুঝি নিহ যে ব্যাথা পেয়েছি।” আহ্লাদী কন্ঠে বলে ওঠে সেহের। আরসাল কিছু বলতে যাবে তার আগেই ঐ ছেলেগুলোর মাঝে একজন বলে ওঠে,
–” ঐ হিরো। ও কোথায় ব্যাথা পেয়েছে আমরা দেখে নিবো। তুই যা।”
ছেলেটার কথা শুনে আরসাল উঠে গিয়ে গাড়ির দরজা খুলে। তাহ দেখে সেহেরের মাথায় যেনো বাজ পড়ে। আরসাল তাকে এমোন অবস্থায় ফেলে চলে যাচ্ছে। কিন্তু সেহেরের ভাবনাকে ভুল প্রমান করে আরসাল গাড়ির দরজা খুলে রেখে আবার এগিয়ে এসে সেহেরকে কোলে তুলে নেয়। আচমকা এমন হওয়ায় সেহের ভয় পেয়ে আরসালের গলা জড়িয়ে ধরে। আরসাল সেহেরকে গাড়িতে বসিয়ে দিয়ে নিজে ড্রাইভিং সিটে বসার জন্য পা বাড়াতে কেউ একজন আরসালের কাধে হাত রাখে। আরসাল তাকিয়ে দেখে ঐ ছেলেগুলোর মাঝে একজন। ছেলেটা বলে ওঠে,
–” তোর তোহ সাহস কম নাহ। বললাম তোকে চলে যেতে আর তুই মেয়েটা কে নিয়েই চলে যাচ্ছিস।”
–” তোরা ওর দিকে চোখ তুলে তাকিয়ে এমনিই মৃত্যুর টিকিট হাতে নিয়ে নিয়েছিস। আর এখন আমার কাধে হাত দিয়ে সময় টাকে এগিয়ে নিয়ে আসলি।”
কথা গুলো বলেই আরসাল ছেলেটাকে একটা লাথি মারে। ছেলেটাহ ছিটকে পড়ে। এরপর একে একে সব কয়টা ছেলেকে একদম মেরে আধমরা বানিয়ে ফেলে। গাড়ির ভেতর থেকে সেহের এইসব দেখে মারাত্মক ভয় পেয়ে যায়। পায়ে ব্যাথার জন্য গাড়ি থেকে নেমে আরসালকে থামাতেও পারছে নাহ। এইদিকে আরসাল মেরেই যাচ্ছে ছেলেগুলোকে। ছেলেগুলোর অবস্থা একদম করুন হয়ে গেলে আরসাল ছেড়ে দিয়ে গাড়িতে এসে বসে এবং গাড়ি স্টার্ট দেয়। সেহের ভয় তে আর আরসালের দিকে তাকাতে পারে নাহ। গাড়ি টাহ চৌধুরী ম্যানশনের সামনে এসে থামে। আরসাল গাড়ি থেকে বেরিয়ে সেহেরের পাশে এসে ডোর ওপেন করে সেহেরকে কোলে তুলে নেয়। মেইন ডোরের কাছে এগিয়ে এসে আরসাল সেহেরের দিকে তাকাতেই সেহের তাড়াতাড়ি হাত বাড়িয়ে কলিংবেলে প্রেস করে। ভেতর থেকে মায়া চৌধুরী দরজা খুলতেই দেখে আরসাল সেহেরকে কে কোলে করে ভেজা অবস্থায় দাড়িয়ে আছে৷ তাদের এই অবস্থায় দেখে মায়া চৌধুরী ভয় পেয়ে যায়। আর চিন্তিত কণ্ঠে বলে ওঠে,
–” কি হয়েছে? আরসাল, সেহেরের কি হয়েছে?”
সবাই ড্রইংরুমে এসে আরসাল আর সেহেরকে এই অবস্থায় দেখে একই প্রশ্ন করতে থাকে। আরসাল কাউকে কোনো উত্তর নাহ দিয়ে শুধু বলে যে এখন যেনো সেহেরের রুমে কেউ নাহ আসে, যতক্ষণ আরসাল সেহেরের রুমে থাকবে। আরসাল সেহেরকে নিয়ে সেহেরের রুমে চলে যায়। এইদিকে আরসালের এমন কথা শুনে সেহেরের ভয়ে কলিজা শুকিয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা।
আরসাল সেহেরকে নিয়ে রুমে এসে বিছানার উপর বসিয়ে দেয়। আরসাল সেহেরের পা ধরতে গেলেই সেহের হাত দিয়ে বাধা দিয়ে বলে ওঠে,
–” একি করছো ভাইয়া, প্লিজ তুমি আমার পায়ে হাত দিও নাহ।”
আরসাল সেহেরের দিকে এমন দৃষ্টিতে তাকায় যে সেহের ভয়তে তাড়াতাড়ি নিজের হাত সরিয়ে নেয়। আরসাল আবার সেহেরের পা ধরে দেখতে থাকে। সেহের আরসালের দিকে তাকিয়ে আছে। বৃষ্টির পানিতে ভিজে আরসালের সিল্কি চুলগুলো কপালের সাথে লেপ্টে গেছে, সারা মুখে পানি, উপরের ব্লেজার টাহ এখন পরা নেই শুধু সাদা একটা শার্ট পরা, যা বৃষ্টির পানিতে ভিজে গিয়ে জিম ওয়ালা বডি দৃশ্যমান, গোলাপি ঠোঁট গুলো পানিতে ভেজার জন্য আরও গোলাপি হয়ে উঠেছে, এককথায় অতিরিক্ত সুন্দর লাগছে আরসালকে। সেহের একভাবে তাকিয়ে আছে আর ভাবছে কোনো ছেলে এতো টাও সুন্দর হয় কিভাবে? আরসালের দিকে তাকিয়ে আরসালকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছিলো সেহের। এমন সময় পায়ে একটা চাপ পড়ায় চেচিয়ে চোখ বন্ধ করে আরসালের কলার্ট চেপে ধরে সেহের। আরসাল সেহেরের মচকানো পা চাপ মেরে আবার বসিয়ে দেওয়ার জন্য এমন হয়েছে। আরসাল সেহেরের দিকে তাকাতেই যেনো ঘোর লেগে যায় আরসালের। সেহের চোখ বন্ধ করে আছে, চোখের পাপড়িতে ফোঁটা ফোঁটা পানি লেগে আছে, সারা মুখে জমে আছে বৃষ্টির পানি, ভেজা এলো মেলো ছাড়া চুল, তারউপর পানির ছোয়া পেয়ে ঠোঁটের উপর তিল টাহ আরও গাঢ় হয়ে উঠেছে এবং ঠোঁটের উপর বিন্দু বিন্দু পানি আরসালকে যেনো নেশায় ফেলে দিচ্ছে। একভাবে তাকিয়ে আছে সেহেরে দিকে। আরসাল সেহেরের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে সেহেরের মুখের অনেক কাছে চলে যায় আরসাল। সেহেরও তাকিয়ে আছে আরসালের দিকে। আরসাল আর সেহেরের ঠোঁটের মাঝে কয়েক সে.মি এর তফাৎ। আরসালের নিশ্বাস সেহেরের মুখে আছড়ে পড়ছে। আরসাল আর একটু এগোতেই সেহের কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলে ওঠে,
–” আরসাল ভাইয়া।”
সেহেরের ডাকে আরসালের ঘোর কেটে যায়। দ্রুত সেহেরের কাছের থেকে দুরে সরে যায় এবং সেহেরের রুম থেকে বেরিয়ে নিজের রুমে চলে যায়। সেহেরও তাড়াতাড়ি উঠে পড়ে বিছানা থেকে। আর খেয়াল করে পায়ে কোনো ব্যাথা নাই৷ কিন্তু সেহেরের মাথায় এখন, আরসাল তার এতো কাছে এসেছিলো এইটা ঘুরছে। আর কিছু নাহ ভেবে সেহের ওয়াশরুমে চলে যায়।
চলবে…………..🌹