#তুই আমার ২
#পর্বঃ২২
#Tanisha Sultana
“বুঝলাম না
” বুঝবে না। আচ্ছা আমাকে একটা কথা বলো
“কি
” রিনির বাবা মা কিভাবে মারা গেছে
“এক্সিডেন্ট এ
” তোমরা কি লাশ দেখেছিলে
“এটা কেমন কথা
” প্লিজ বলো
“নাহ দেখি নি
” না দেখেই বিশ্বাস করে নিলে
“আমি রিনিকে চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করি তাই লাশ না দেখেই বিশ্বাস করছি
” অন্ধ বিশ্বাস ভালো না। আচ্ছা রিনির কি কোনো ভাই বোন আছে
“নাহহহ
রিনি সম্পর্কে তুমি কিছু জানো না অভি। রিনির ভাই তো আছে বাট কে? আর ওই দোকানটা বন্ধ হয়ে গেলো কি করে?? রিনি আসলে করতে চাইছেটা কি জানতে হবে (মনে মনে)
” মিষ্টি কই হারালে
“কোথাও না। তোমার জন্য খাবার নিয়ে আসছি
” মা খাইয়ে দিয়ে গেছে
“ওহহ। মেডিসিন খাইছো
” হুম
“তাহলে চলো তোমায় গোছল করিয়ে দি
” এইই নাাাা
“হ্যাঁ আমি এখন তোমাকে গোছল করাবোই
” আমার একটা সম্মান আছে ডফৃৃৃৃ
“জানা আছে আমার। ধরো
মিষ্টি অভিকে জোর করে ধরে ওয়াশরুমে নিয়ে যায়। তারপর গোছল করিয়ে দেয়। তারপর মিষ্টি বাইরে যায় অভি জামাকাপড় পালটায়। তারপর আবার মিষ্টি অভিকে ধরে বেডে বসিয়ে দেয়। মিষ্টি বেলকানিতে গিয়ে জীমকে ফোন দেয়।
” হ্যালো দাভাই
“কি রে বোন এইসময় ফোন দিলি সব ঠিক আছে
” হ্যাঁ ঠিক আছে বাট দাভাই তোমার একটা হেল্প চাই
“কি হেল্প বল
” যেখান থেকে পারো দুদিনের মধ্যে রেহানকে খুজে দাও
“কিন্তু ওকে কোথায় পাবো
” ওর বাড়ি যাও অফিসে যাও পুরো শহর খুজো কোথাও না কোথাও ওকে ঠিক পেয়ে যাবে
“তুই শান্ত হ আমি দেখছি
ফোন কেটে মিষ্টি রুমে যায়। দেখে রিনি অভির হাত ধরে হাসাহাসি করে গল্প করছে।
” অভি লাভ ইউ সো মাচ
“লাভ ইউ টুু
” পাটা এখন ঠিক লাগছে
“হুম বাট হাটতে তো পারছি না
” তুমি মিষ্টিকে এখনো বাড়ি থেকে বের করে দিচ্ছো না কেনো
“রিনি বুঝতে পারছো না
অভিকে থামিয়ে মিষ্টি বলে
” আমি ওর বউ ও কেনো আমাকে বের করবে? আমি ওর পা ভাঙতে পারি গলা কাটতে পারি এটা আমার আর ওর ব্যাপার তোমার কি
“ও আমার ভালোবাসা
” বালের ভালোবাসা। এগুলোকে না আলগা পিরিত বলে ভালোবাসা বলে না।
অভি বলে
“আলগা পিরিত কি?
” তোমরা যেটা করছো এটা আলগা পিরিত
“অভি তুমি একটা অসভ্য মেয়েকে বিয়ে করেছো। কার সাথে কেমন বিহেব করতে হয় জাবে না।
” কি করবো বলো রিনি ঘাড়ে এসে চেপেছে
“আমি ঘাড়ে এসে চেপেছি? আমি তো জানতামই না এমন সতিনের ঘরে বিয়ে হবে আমার। কিন্তু তুমি যেনে শুনে বিয়ে করেছো
মিষ্টি রেগে রুম থেকে চলে যায়।
কাল কি করবে তা অভির বাবা আর সৌরভের সাথে প্ল্যান করে ফেলে।
তারপর রুমে এসে ঘুমিয়ে পড়ে।
খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে সৌরভকে রেডি হতে বলে। তারপর অভির বাবার রুমে যায়।
” বাবা তারাতাড়ি ওঠো। আমাদের যেতে হবে।
অভির বাবা তারাতাড়ি ওঠে।
ওই দোকানটার সামনে দাড়িয়ে আছে সৌরভ অভির বাবা আর মিষ্টি।
সৌরভদা তারাতাড়ি কিছু করো। রিনি চলে আসবে তো
“এই দরজা তো খুলছেই না।
” এবার কি হবে
“বাবা টেনশন করো না। একটা না একটা রাস্তা তো আছেই
” পেরেছি
মিষ্টি আর অভি র বাবা খুশি হয়
“সৌরভ দা খুলেছে
” হুম। সাবধানে আসো
ওরা সবাই ভেতরে ঢুকে দেখে এখান দিয়ে বিশাল একটা রাস্তা
“এখানে রাস্তা
” বড় কোনো কারণ আছে। চলোতো দেখি
ওরা একটু একটু করে সামনে যাচ্ছে আর সবার মনে ভয় ঢুকছে।
অবশেষে ওরা একটা বাড়ি পায়
“এই বাড়িটা তো দেখে মনে হচ্ছে খুব পুরোনো
” এই পুরোনো বাড়িতে রিনি কি রাখতে পারে
“বাবা সৌরভদা তোমরা পুলিশকে জানিয়েছো
” পুলিশকে এখনি জানানোর দরকার নেই। এখানে তো কিছু নাও থাকতে পারে
“সৌরভদা এখানে কিছু না থাকলেও অভিকে রিনি এখানেই নিয়ে আসবে
তখনই গাড়ির শব্দ শোনে
চলো লুকিয়ে পড়ি
ওরা লুকিয়ে পড়ে। গাড়িটা বাড়ির সামনে। দাড়ায়। অভি আর রিনি গাড়ি থেকে নামে।
“রিনি আমি হাটতে পারছি না তবুও তুমি আমাকে এখানে কেনো নিয়ে এলে
” আমার জন্য তুমি এটুকু করতে পারছো না। আগে তো এর থেকেও বেশি কষ্ট করতে। মিষ্টি আসার পর থেকে তুমি বদলে যাচ্ছো
“রিনি তুমি ভুল ভাবছো
অভি খুড়িয়ে খুড়িয়ে রিনির হাত ধরে বাড়ির ভেতরে ঢুকতে যায়। রিনি ধাক্কা দিয়ে অভিকে ফেলে দেয়।।
চলবে