#তুই আমার ২
#পর্বঃ১৫
#Tanisha Sultana
“এতো পাজি কেনো তুমি?
” সেটা বাপিকে জিজ্ঞেস করিয়েন??
“বসো
স্যারের ধমকে মিষ্টি বসে পড়ে।
ক্লাস শেষে মিষ্টি কৃশের বাইকে করে ঘুড়তে যায়। হঠাৎ মিষ্টি দেখে অভি আর রিনি বাইক থেকে নেমে একটা দোকানে যাচ্ছে।
” কৃশ বাইক থামাও
“কেনো
” প্লিজ থামাও
কৃশ বাইক থামায় মিষ্টি অভির বাইকের কাছে গিয়ে মার্কার দিয়ে অভির বাইকের ছিটে ময়দা সুন্দরীর বয়ফ্রেন্ড লিখে রাখে। আর বাইকের টায়ার সুই দিয়ে ফুটো করে দেয়। তারপর কৃশের কাছে যায়।
“এটা কি হলো??
” ময়দা সুন্দরীর বয়ফ্রেন্ডকে টাইট দেওয়ার ব্যাবস্থা করলাম
“মানে
” জাস্ট ওয়েট এন্ড সী
মিষ্টি আর কৃশ একটু দুরে দাড়ায়। অভি আর রিনি বাইকের কাছে এসে বাইকের অবস্থা দেখে মাথায় হাত দেয়।
“অভি এসব কি?
” দেখতেই পাচ্ছো
“কে করলো এসব
” আমি কি জানি
তখন মিষ্টি আর কৃশ ওদের সামনে বাইক থামায়।
“হাই কিউটি। এখানে এভাবে দাড়িয়ে আছো কেনো??
” দেখো না অভির বাইকটার কি অবস্থা
মিষ্টি বাইক থেকে নেমে বলে
“ও মা এই কি অবস্থা? কে করলো এমন? দেখছো কিউটি তোমাকে ময়দা সুন্দরী বলছে
” ওই তুমি চুপ করো। আর এখানে কি
“আমি তো এখানে আমার হ্যান্ডসাম, কিউট সুইট বিউটিফুল ওসাম বয়ফ্রেন্ডের সাথে ঘুরতে এসেছি। কিউটি (কৃশের হাত ধরে?) আমার বয়ফ্রেন্ড।
রিনি কৃশের দিকে তাকিয়ে একটু হাসে।
“হুম তোমার বয়ফ্রেন্ড খুব সুন্দর
” ধন্যবাদ কাকু। তা কিউটি বলছিলাম কি তোমার হাবি কে বলতে পারো না একটু স্মার্ট হতে, দামি একটা বাইক কিনতে। আমি তো ভেবেই পাই না তুমি এরম একটা কাকুর সাথে কি করে থাকো। আমি তো পারবো না বা বা
রিনি মুখটা কালো করে।
“তুমি চুপ করো তো
” সত্যি কথা বললেই চুপ থাকতে বলো। ঠিক আছে এখন থেকে মিথ্যা কথা বলবো। কিউটি তোমাকে ময়দা সুন্দরী বললো। তুমি কি সত্যি ময়দা সুন্দরী ?
“রিনিকে ময়দা সুন্দরী তুমি বলো
” ও আল্লা আমারে তুইলা নাও। ওপড় থেকে দোড়ি ফেলো না হলে মাটি ফাক করো। এতো বড়ো মিথ্যা অপবাদ দিলো আমাকে ও আল্লাহ তুমি শুনলে তো (ন্যাকা কান্না করে)
“মিষ্টি প্লিজ কান্না করো না।
” কিউটি আমি কখনো তোমাকে ময়দা সুন্দরী বলছি বলো?
“না তো
” দেখলে তোমার হাবি কেমন মিথ্যা কথা বলে
“অভি তুমি মিষ্টির নামে একদম মিথ্যা বলবে না।
” কি ড্রামাবাজ মেয়ে রে বা বা মিথ্যা বলতে একটুও ভাবে না?? (মনে মনে)
“রিনি তুমি
অভিকে থামিয়ে
” চুপ থাকো তো
“আমি আর এখানে থাকবো না। কৃশ চলো
” হুম চলো
কৃশ মিষ্টি কে নিয়ে চলে যায়।।
সন্ধায় মিষ্টিরা সবাই অভিদের বাড়িতে যায়।
অভিদের বাড়িতে সোফায় বসে গল্প করছে আবির রুশা অভির মা বাবা। জীম একপাশে বসে বিরক্ত হয়ে ফোন টিপছে। মাইসা জীমের পাশে বসে আছে।
মিষ্টি ওদের কাছে থেকে উঠে বাড়িটা ঘুরে ঘুরে দেখছে। একটা রুমে ঢোকার সময় হোচট খেয়ে কারো ওপরে পরে যায় মিষ্টি। অভি রেড়ি হয়ে সবে রুম থেকে বেরোনোর জন্য পা বাড়ায় আর কেউ ওর ওপড়ে পড়ে।
মিষ্টি চোখ খুলে অভিকে দেখে
“ও মা গো আমার কোমরটা ভেঙে গেলো। এখন আর কেউ আমাকে বিয়ে করবে না। আমার বয়ফ্রেনও আমাকে তালাক দেবে আমার আর চব্বিশটা বেবির স্বপ্ন পূরণ হবে না।
অভি পড়েছে ভিষণ জ্বালায়। একেতে ৪৫ কেজি তারপর নেকা কান্না
” আমার ওপড় থেকে ওঠো
“এ্যা এ্যা একেতে কোমর ভেঙেছে তার ওপড় আবার বকা দিচ্ছে ??
অভি মিষ্টিকে ধাক্কা মেরে সাইডে ফেলে উঠে বসে
” উফফ বাঁচা গেলো। তোমার যে ওজন তাতে আমার কোমর ভাঙ্গার কথা তোমার না।
মিষ্টি নিজের গায়ে থুথু দিয়ে বলে
“একদম আমার ওজনের দিকে নজর দিবেন না। আর তোমার কোমর তো ভাঙে নি ভেঙেছে তো আমার এ্যা এ্যা?
” ওই ড্রামাবাজ চুপ করো। এতো নাটক করতে পারো তুমি
“আমি নাটক করি শালা মিথ্যে বাদি। ওই কোন চ্যানেলে আমার নাটক দেখেছেন আপনি? শালা মিথ্যুক ময়দা সুন্দরীর বয়ফ্রেন্ড।
” তুমি কি ইডিয়েট।
“এখন আর আমার বিয়ে হবে না। আমার আর চব্বিশটা বেবি হবে না আল্লাহ এখন আমার কি হবে ?
” চব্বিশটা বেবি ?
“একদম আমার বেবিদের দিকে নজর দেবেন না।
” কোথায় তোমার বেবি?
“আমার পেটে
” এক মিনিট তুমি আমার বাইকের ওই অবস্থা করেছিলে
“হ্যা করেছিলাম ?
” তোমাকে তো আমি?
“কি করবেন চুমু খাবেন?
” ছি এতো পাজি কেনো তুমি
“আমি কি করে বলবো বলো তো। সকালে স্যার জিজ্ঞেস করলে আর এখন তুমি। আচ্ছা একটা কাজ করি বাপি আর মামনিকে জিজ্ঞেস করে আসি কেমন
” মিষ্টি শুনো
কে শোনে কার কথা মিষ্টি দৌড়ে চলে যায়।
“এই মেয়েটা মানুষ হবে না
মিষ্টি দৌড়ে ওদের কাছে গিয়ে বলে
” মামনি বাপি দাভাই আমি এতো পাজি কেনো?
মিষ্টির কথায় সবাই অবাক
“হঠাৎ এই প্রশ্ন কেনো সোনা
” আসলে সকালে স্যার বললো তুমি এতো পাঁজি কেনো এখন আবার অভি কাকু বললো। আসলে আমি তো জানি না তাই ভাবলাম তোমরা হয়ত জানো তাই তোমাদের কাছে জানতে চাইলাম। তোমরা জানলে বলো না।
চলবে