#তি_আমো❤
#পর্ব_৬
Writer: Sidratul muntaz
🍂
ছবিটাতে এক অন্যরকম ঘোর। এই ঘোরেই ডুবে ছিলাম আমি। আর সেই ডুব সাগর থেকে আমায় টেনে তুলল নিহা। কাধে হাত রেখে অবাক স্বরে বলে উঠল,
দোস্ত! তোর কেমন লাগছে এখন? ঠিকাছিস?
আমি ভ্রু কুচকে তাকালাম। বললাম,
হ্যা ঠিকই তো আছি।
নিহা কপালে হাত ঠেকালো। হতাশ হয়ে আমার পাশে বসতে বসতে বলল,
যা খেল দেখালি আজ! আমি তো জীবনেও ভুলবো না।
আমার মুখের বিস্ময় গাঢ় রুপ ধারণ করল নিহার কথায়। আমি কি এমন করেছি যে ও এভাবে বলল? মোহনা আন্টির কণ্ঠ শুনতে পেলাম। খোলা দরজা দিয়ে ভেতরে ঢুকতে ঢুকতে আন্টি আমার নাম উচ্চারণ করলেন,
তারিন! এখন কেমন লাগছে তোমার? ভালো লাগছে?নাকি এখনো খুব হাসি পাচ্ছে?
আন্টির কথা শুনে আমি আরো নির্বোধ হয়ে গেলাম। সবাই আমাকে নিয়ে এসব বলছে কেনো? মোহনা আন্টির হাতে একটা কাচের বাটি। উনি বাটি টা পাশের ছোট্ট টেবিলে উঠিয়ে রাখলেন। শাড়িটা হালকা তুলে দুষ্টুমী হাসি মুখে এটে বিছানায় বসতে বসতে বললেন,
কি? এখনো সাদা গোল্লাটা খেতে ইচ্ছে করছে?
নিহা ফট করে হেসে দিল। মোহনা আন্টিও হাসছে। বেশ মজা নিয়েই হাসছে। হাসতে হাসতে মোহনা আন্টি উচ্চারণ করলেন,
ঈশান যা ভয় পেয়েছিল! একবারও আর এদিকটায় আসেনি তারপর। একদম গার্ডেন সাইটে গিয়ে সাফিনের সাথে বসে আছে।
আমি বোকার মতো তাকালাম। ঈশানের আবার কি হল? নিহা আমার মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টায় কাধে হাত ঠেকালো। হাসি হাসি ভাব নিয়েই হালকা ভ্রু কুচকে বলল,
আচ্ছা তুই ঈশান ভাইয়াকে সাদা গোল্লা বলতে গেলি কেনো?
মোহনা আন্টি আরো জোরে হাসলেন। কিন্তু আমি অবাক হলাম। ভ্রু কুচকে চিন্তা করলাম। সত্যিই কি ঈশান ভাইয়াকে আমি সাদা গোল্লা বলেছি? ধুর মিথ্যে কথা! উনাকে আমি গোল্লা বলতে যাবো কেনো। উনি কি গোল নাকি? উনি তো লম্বাটে। বেশ লম্বাটে। যদি আমি বলতাম সাদা লম্বদন্ড! তাহলেও ঠিক ছিল। কিন্তু গোল্লা কেনো বলতে যাবো। বাম হাত দিয়ে মাথা চুলকাচ্ছি। তখন মোহনা আন্টি বললেন,
তারিন এই দিনটা কিন্তু আমি কোনোদিন ভুলবো না। সো ফানি!
মুখে হাত দিয়ে আবারও হাসলেন। এবার আমার খুব লজ্জা লাগছে। আমি কি এমন করলাম? কিছু মনে পড়ছে না কেনো? নিহা বলল,
আন্টি আপনার ফানি মনে হচ্ছে? আমি তো বলবো সো হরিবল! ঈশান ভাইয়ার জন্য বেশি মায়া হচ্ছে। বেচারা কি ভয়টাই না পেয়েছে। তারিন তুই পারিসও।
আমার কাধে আঘাত করল নিহা৷ আমি আঘাতকৃত স্থানে কিছুক্ষণ হাত বুলালাম। কোনো উত্তর দিলাম না। মোহনা আন্টি বললেন,
যাই বলো নিহা। আমার এই ঘটনার পর থেকে খালি হাসিই পাচ্ছে। ঠিক তারিনের মতোই। একটা মজার কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। হাহাহা!
গভীর হাসিতে মত্ত হলেন মোহনা আন্টি। নিহা উৎসাহ নিয়ে বলল,
কি মজার ঘটনা আন্টি? একটু শুনি তো!
হাসির ধাক্কায় এলোমেলো হওয়া চুলগুলো গোছাতে গোছাতে মোহনা আন্টি ঢোক গিলে বা ঢোকের সাথে হাসি গিলে উচ্চারণ করলেন,
ঈশান যখন ছোট ছিল, এই সাত আট বছর হবে! তখন তো আমরা থাইল্যান্ডে ছিলাম। তো একদিন হয়েছে কি, একটা ওয়েডিং সিরিমনিতে এটেন্ড করার উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা একটা এপার্টমেন্টে গিয়েছিলাম। ওই এপার্টমেন্ট টা ভীষণ অদ্ভুত, মানে বিল্ডিংটা তো বহুতল! লিফট ছাড়া চলাই যায়না। প্রায় ফিফটি প্লাস ফ্লোর হবে। তাহলে অনেকবড় বিল্ডিং।ওই বিল্ডিং এর একটা ফ্লোরেও ওয়াশরুম নেই। সব ওয়াশরুম টপ ফ্লোরে।
নিহা ভ্রু কুচকে বলল,
এটা আবার কেমন সিস্টেম?
মোহনা আন্টি হাত নাড়িয়ে বললেন, সেটাই তো। অদ্ভুত না? আচ্ছা যাই হোক, ওয়াশরুমে যাওয়ার জন্য আবার ইমারজেন্সি লিফটও ছিল। এখন আমরা মেইবি ছিলাম টেনথ ফ্লোরে। ঈশানের হঠাৎ ওয়াশরুমে যাওয়ার প্রয়োজন হল। ভীষণ প্রেশার দিচ্ছিল ছেলেটার। ও আবার আমাকে কিছু বলেওনি। শুধু শুধু ঘোরাঘোরি করছিল, হাটছিল, কিছু খাচ্ছিল না, শান্ত হয়ে বসছিল না, পুরা একটা অস্থির অস্থির ভাব। তো আমি ব্যাপারটা নোটিস করে নিজে থেকেই বললাম, “বাবা তুমি কি ওয়াশরুমে যাবে?” ঈশান অসহায়ের মতো বলল, “ইয়েস মাম্মা!” তো আমি ওর বাবাকে খুজলাম। ছেলেকে ওয়াশরুমে নিতে হবে। কিন্তু তোমার আঙ্কেল আমাদের এপার্টমেন্টে ঢুকিয়েই লাপাত্তা হয়ে গেছেন। আর কোনো খোজ খবর নেই। ফোন করছি, ফোন ধরে না। তো আমি ভাবলাম আমিই নিয়ে যাই। কি আর করার! লিফটের সামনে গেলাম। লিফট নাকি বন্ধ। আমাদের অপযিট সাইডে পাঠানো হল। আর এদিকে তো ঈশানের হেব্বি প্রেশার চলছে। মুখ কাচুমাচু করে হাটছে ছেলেটা। আমি জলদি জলদি ওকে অপযিট সাইটে নিয়ে গেলাম। লিফটে ক্লিক করলাম। আর তখনই লিফটের দরজা খুলে বেরিয়ে এলো তিন জমজ বোন, বাঙালি। এইরকম মোটা। বিশাল লম্বা। চুল, গায়ের গড়ন সব একই। তিনজনের মধ্যে একজন ঈশানকে দেখে মুখে হাত দিয়ে বলল,” আও! দ্যা বেবি ইজ সো কিউট!” বলতে বলতেই ঈশান কে কোলে তুলে নিল। আরেকজন হাত ধরে টানছে। তৃতীয়জন বলছে আমাকেও দিস। আর এদিকে আমি তো পরে গেছি মহা বিরক্তিতে। আর ঈশান তো চরম বিরক্ত। আমি বারবার বলছিলাম আমাদের যেতে হবে, যেতে হবে। কিন্তু মেয়েগুলোর রেসপন্স নেই । টানা হেচড়া শুরু করেছে ঈশানকে নিয়ে। গাল টিপে দিচ্ছে, বলে কিনা রসগোল্লার মতো গাল। টলটলে গাল, গুলুগুলু টা! আদরের ফোয়ারা খুলে বসেছে একদম। এরই মধ্যে লিফটও বন্ধ হয়ে গেছে। কি একটা অবস্থা?
নিহা আগ্রহ নিয়ে বলল, তারপর কি হলো আন্টি?
মোহনা আন্টি আরো এক দফা হাসির চোটে মাথা নিচু করে মুখে হাত রাখলেন। হাসতে হাসতে বললেন,
মেয়েটার কোলেই করে দিয়েছে। পুরো চুপচুপে অবস্থা।
নিহা মুখে হাত রেখে উচ্চারণ করল, শিট!
আমি হাসতে নিয়েও থেমে গেলাম। মুখে হাত রেখে হো হো করে হেসে উঠলাম। আমায় হাসতে দেখে মোহনা আন্টি মাথা তুলে তাকালেন। অতঃপর উনিও হাসতে শুরু করলেন। তিনজনই কিছুক্ষণ হাসলাম। হাসির শব্দে কাপছে ঘর। মোহনা আন্টি হাসি থামিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেললেন। বললেন,
এই ঘটনার পর থেকই ঈশান আর মেয়েদের সামনে যায়না। আগে লজ্জা পেতো। আর এখন বিরক্ত হয়।
আমি মনে মনে চিন্তা করলাম। ঈশান যে এতো লাজুক টাইপ, সেটা ওকে দেখলে বোঝা যায়না। লজ্জাবতী লতা একটা! না না, উনি তো ছেলে। তাহলে হবে লজ্জাবান লতু। আমার ভাবনার প্রহর কাটিয়ে মোহনা আন্টি কাচের বাটিটা আমার দিকে এগিয়ে দিলেন। কাচের বাটিতে স্যুপ। আমাকে বললেন স্যুপ খেয়ে নিতে। আমার পেটে আগে থেকেই ক্ষিধে ছিল। তাই খেয়ে নিলাম।
.
.
মোহনা আন্টিকে অনুসরণ করে আমি আর নিহা হাটছি। লাঞ্চটাইম হয়ে এসেছে প্রায়। তাই লাঞ্চ করার আগে বাড়িটা একটু ঘুরে দেখছিলাম। মোহনা আন্টি আমাকে বিভিন্ন জিনিসের সাথে পরিচয় করাচ্ছেন। একদিনে পুরো বাড়ির সাথে পরিচিত হওয়া যাবে না এটা নিশ্চিত। কমপক্ষে এক সপ্তাহ লাগবে। তবুও একটু ট্রায়াল দিচ্ছি। এবার আমরা ঈশানের ঘরে ঢুকব। ট্রায়ালের সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং পার্ট শুরু হতে যাচ্ছে। ঈশানের ঘরে চোখ বুলিয়ে আমি সবচেয়ে অবাক হলাম একটা বিষয় নিয়ে। এখানে ঈশানের কোনো ছবি নেই। সব ছবি বোধ হয় আন্টি নিজের ঘরে তুলে রেখেছেন। নিহা আর আন্টি নিজেদের মধ্যে কথপোকথনে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। উনাদের আলাপে আমি আগ্রহ না দেখিয়ে ঈশানের ঘর পরিদর্শনে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। ঘরটা চোখ ধাধানো সুন্দর হলেও আমার চোখ ধাধাচ্ছে না। কারণ এ বাড়িতে এসে সুন্দর জিনিস দেখতে দেখতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে চোখ দুটো। আমার অবশ্য একটা জিনিস ভালো লাগলো, যে এই ঘরটা বেশ খোলামেলা। বাগানের সাইডে হওয়ায় সূর্য্যের পূর্ণ আলো পৌছায় সম্পুর্ণ ঘর জুড়ে। বারান্দার কাচের গ্লাসের পর্দাটা সরিয়ে বাহিরের দিকে উকি দিলাম আমি। তখনই চোখে পড়ল বড় গাছের নিচে দুটো বাদর ঝুলে আছে। আই মিন ঈশান আর সাফিন ভাইয়া। ঈশান গাছের সাথে ঠেস দিয়ে হাত ভাজ করে দাড়িয়ে আছেন। সাফিন ভাইয়াকে কিছু বলছেন হয়তো। সাফিন ভাইয়া একহাত কোমরে রেখে মাথা চুলকাচ্ছে। হঠাৎ কি মনে করে ঈশান এদিকটায় তাকালেন।আমাকে দেখেই হাতের ভাজ খুলে সোজা হয়ে দাড়ালেন উনি। মুচকি একটা হাসি দিলেন। আমি অপ্রস্তুত হয়ে পর্দাটা ছড়িয়ে দিলাম। এখন আর দেখা যাচ্ছে না উনাকে। আমি হাফ ছাড়লাম। হঠাৎ চোখাচোখি হয়ে যাওয়ায় অস্বস্তি লাগছে। মোহনা আন্টি আর নিহার আলাপ শেষ হল। এবার উনারা নিচে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। আন্টি আমার দিকে হাত ইশারা করে বললেন,
এসো তারিন। নিচে যাই। লাঞ্চটাইম হয়ে গেছে।
নিহা বলল, হুম। আয় আয়!
ওরা সামনের দিকে হাটা দিল। আমি পেছন পেছন ধীরপায়ে হাটছি। দরজা পর্যন্ত যেতেই থমকে দাড়ালাম। দেয়ালের মাঝ বরাবর ঈশানের একটা ছবি চোখে পরল। আন্টি আর নিহা এতোক্ষনে ধরা ছোয়ার বাহিরে চলে গেছেন। দেয়ালে টাঙানো ছবিটা এতোই চমৎকার ছিল, যে আমি না দাড়িয়ে পারলামই না। গিটার হাতে নিয়ে একটা কমন পোজের ছবি। আচ্ছা গিটার হাতে এইরকম পোজে কি সব ছেলেদেরকেই মানায়? নাকি শুধু উনাকেই এতোটা মানাচ্ছে? আমাকে চমকে দিয়ে ঈশান আচমকা বলে উঠলেন,
আমাকে দেখছো?
আমার বুকটা ধক করে উঠল। নড়েচড়ে দাড়ালাম। কৌতুহল নিয়ে পেছনে তাকাতেই ঈশানকে দেখলাম। অপ্রস্তুত হয়ে গেলাম তখনি। মুখ কাচুমাচু করে ভ্রু কুচকে বলে উঠলাম,
কি চাই?
ঈশান হাসলেন। বললেন,
আমার রুমে দাড়িয়ে আমাকেই জিজ্ঞেস করছো কি চাই? অদ্ভুত!
বলেই পকেটে হাত রেখে এক ভ্রু উচু করলেন। আমি কি বলবো খুজে না পেয়ে আমতা আমতা করে বলে উঠলাম,
ও এটা আপনার রুম? ঠিকাছে তাহলে থাকেন আপনার রুমে আপনি। আমি গেলাম।
সামনের দিকে পা বাড়াতেই আমার সামনে হাত ঠেকিয়ে আটকালেন উনি। আটকিয়ে বললেন,
আরে আরে, চলে যাচ্ছো কেনো? আমার রুম বলে এভাবে চলে যাবে? দেখো বিয়ের পর কিন্তু এটা তোমারও রুম হবে। তাই এখন বলা যায় এইটা তোমার উড বি রুম। হাফ অধিকার তো তোমারও আছে।
আমি কটমট চোখে তাকালাম। বললাম,
আমি আপনাকে বিয়ে করলে তো! বয়েই গেছে আপনাকে বিয়ে করতে। এবার সামনে থেকে সরেন।
আবার দরজার চৌকাঠ পেরোতে চাইলাম আমি। উনি আবারও আটকালেন। আমার খানিকটা কাছে এসে বললেন,
তোমাকে বিয়ে করতে হবে না। বিয়ে তো আমি করবো। তুমি শুধু কবুল বলবে। তাহলেই হবে।
আমি রাগ দেখিয়ে বললাম, আপনি বাজে কথা বলা বন্ধ করবেন? কি শুরু করেছেন? আর বাই দ্যা ওয়ে, একটা কথা বলুন তো! তখন আপনি আমার সাথে কি এমন করেছিলেন? আমি অদ্ভুত আচরণ করছিলাম কেনো? আন্টির সামনে নিহার সামনে আমাকে হেনস্তা করতে চান? এইজন্য এমন করেছেন?
ইশান মুখ মলিন করে তাকালেন। বাম হাত দিয়ে মাথার পেছন দিকটা হালকা চুলকিয়ে অপরাধী কণ্ঠে বললেন,
সরি তারিন! আমি আসলে বুঝি নি। ডোজটা বেশি হয়ে গিয়েছিল।
ডোজ মানে? কিসের ডোজ?
এক মিনিট।
ঈশান প্যান্টের পেছনের পকেট থেকে একটা ঔষধের শিশি বের করলেন। শিশিটা আমার মুখের সামনে ধরলেন। আমি দেখলাম। দেখে অনেকটা হোমিওপ্যাথির মতো লাগছে। ভ্রু কুচকে জিজ্ঞেস করলাম,
এটা কি?
নাইট্রাস অক্সাইড।
মানে?
মানে.. মানে হচ্ছে লাফিং গ্যাস।
কি?
হুম। সুগন্ধিযুক্ত একটা গ্যাস। মানুষের মস্তিষ্কের স্নায়ুতে হাসির উদ্দীপনা সৃষ্টি করে। এই সুগন্ধি নাকে গেলে কারণ ছাড়াই মানুষ হাসে। দারুণ না? হালকা মিষ্টি টেস্ট। খেয়ে দেখবে?
হোয়াট ননসেন্স!
ননসেন্স না। জেনারেল সেন্স দিচ্ছি আমি তোমাকে।
রাখেন আপনার জেনারেল সেন্স। আগে বলেন এটা দিয়ে আপনি আমার সাথে কি করেছেন?
ঈশান দাত কেলোনো হাসি দিলেন। বললেন,
তোমাকে হাসানোর জন্য। মিষ্টি গ্যাস দিয়ে একটু হাসাতে চেয়েছিলাম। তবে ওভার ডোজ পড়ে যাবে ভাবিনি। তাইতো নেশা হয়েছিল তোমার।
কি? আমার নেশা হয়েছিল?
দেখো এটা কিন্তু আমার দোষ না। তুমি নড়াচড়া করছিলে বলেই না এমন হল।
কি মারাত্মক জিনিস! এইরকম একটা সাংঘাতিক গ্যাস আপনার কাছে কেনো?
আমার কাছে তো থাকার কথা না। আমিই অন্য জায়গা থেকে কালেক্ট করেছি। ডেন্টিস্টরা দাতের উপশমের জন্য এটা ব্যবহার করে। মনে করো তোমার দাতের অপারেশন হল, তুমি ব্যথায় কাতরাচ্ছো। তখন যদি এই লাফিং গ্যাস তোমার নাকের সামনে ধরা হয়! তুমি ব্যথা ভুলে হাসতে শুরু করবে। দারুণ জিনিস না? সবার জীবনেই একটা লাফিং গ্যাস দরকার। যে সব ব্যথা ভুলিয়ে মুখে হাসি এনে দেয়।
আমি হাত ভাজ করে দাড়ালাম। উনি খানিকটা নিচু হয়ে আমার মুখের কাছে ঝুকে বললেন,
এই মিষ্টি মেয়ে, তুমি কি আমার লাফিং গ্যাস হবে?
🍂
চলবে
( লাফিং গ্যাস সম্পর্কে সব ইনফরমেশন কিন্তু সত্যি। অনেকেই হয়তো জানেন। এটার টেস্ট মিষ্টি। আর ওভার ডোজে ড্রাগস এর মতো কাজ করে। তবে গল্পের খাতিরে আমি হয়তো একটু বেশিই নেশা দেখিয়েছি।😛)