তপ্ত সরোবরে পর্ব-৩৩

0
750

#তপ্ত_সরোবরে
#তেজস্মিতা_মুর্তজা

৩৩.

কোরামিন ইঞ্জেকশন পুষ করার সময় দ্বিজাকে সরানো গেল না কেবিন থেকে। সে দেখবে তারা কী চিকিৎসা দিচ্ছে ফারজাদকে। অবুঝ শিশুর মতো আচরণ করছে মেয়েটা। সিরিঞ্জের বড়ো সুঁচটা গেঁথে দিলেন ডাক্তার ফারজাদের শরীরে, দ্বিজা ফুঁপিয়ে উঠল অস্পষ্ট স্বরে। আচ্ছা! কতটা ব্যথা পেয়েছিল ফারজাদ, যখন বুলেটটা বুক ফুঁড়ে বেরিয়ে গেছে? তাকানোই যাচ্ছে না ওই অক্সিজেন মাস্ক লাগানো মুখের দিকে। উহহ! এ কেমন যন্ত্রণা! ডাক্তার ফারজাদের শ্বাস ছাড়ানোর জন্য ইঞ্জেকশন দিলো, দ্বিজাকে দিলো না।ডাক্তার বুঝছে না, তারও শ্বাসরোধ হয়ে যাচ্ছে। ইচ্ছে করল, জাপ্টে ধরতে বুকে বেডে শুয়ে থাকা লোকটাকে। ধরল না, খোলা বুকের ডানপাশ জুড়ে ব্যান্ডেজ। ব্যথা পায় যদি!

মাগরিবের আজান শোনা গেল। সকলে এসে এসে দেখে গেছে। ফারহানা বেগমকে টেনে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, চিৎকার কোরে কাঁদছিলেন তিনি। লাবন্য বহুক্ষণ সজল চোখে তাকিয়ে ছিল ফারজাদের মুখের দিকে, যখন চোখের জল উপচে বেরোনোর পথ খুঁজল, মুখ ফিরিয়ে বেরিয়ে গেল কেবিন থেকে। ডিপার্টমেন্টের অফিসারেরা সময় কোরে এসে দেখে গেছেন। তাদের কার্যক্রম চলছে ওদিকে কালপ্রিটকে ধরার। সামাদকে হাসপাতালেই রাখা হলো–ফারজাদকে মারার উদ্দেশ্যে গুলি চালানো হয়েছে, উদ্দেশ্য সফল হয়নি, আবারও গোপন হামলা হতেই পারে হাসপাতালে। কেবিনের আশপাশে সবসময় লোক থাকবে তাও নিশ্চিত করা হলো।

হারানোর ব্যথা নেহাত সামান্য পেয়ে হারনোর যন্ত্রণার চেয়ে। দ্বিজা অনুভব করছে, তার কলিজার মাংসপিণ্ডে বোধহয় ক্ষয় ধরেছে, এ কী ধরণের হিংস্র ব্যথার দল!

দুজনের সংসারে দুজনই ভবঘুরে হলে যা হয়! দুজনের চিন্তাধারা পিওর ব্যাচেলরদের মতো। রান্নার খাটুনি বাঁচানো যায় কী করে, এই পরিকল্পনা করে দুজন ঘন্টা ধরে, তবুও সেই সময়টুকু নিয়ে রান্নাঘরে রান্না চড়াতে যায় না। ফারজাদ তো জন্মের অলস আছেই, বউটাও কম যায় না। কুমিল্লা চলে যাবার আগের রাতে ফারজাদ ফ্লাটে এলো। খাবার খুঁজল, দ্বিজা রান্না করেনি। মেজাজ খারাপ হলো, তবে চোর তো আরেক চোরকে খোটা দিতে পারে না। ফারজাদও পারল না, সে নিজেই প্রায় রাত কাটিয়েছে জীবনে না খেয়ে, রান্না করার বদলে। দুজনে বসে বসে পরিকল্পনা এঁটে শেষ অবধি ঠিক করা হলো, ফারজাদ এবরোথেবরো পরোটা বানাবে, দ্বিজা দুটো ডিম ভাজবে। অবশ্য ঝগড়াও হয়েছিল টুকটাক এ নিয়ে। আজকাল একটুও বনিবনা হতো না দুজনের। ফারজাদ তার মানচিত্র সাইজের পরোটা খুব কষ্টে বানিয়ে ফেললেও দ্বিজা ডিম ভাজার জন্য মরিচ কাটতে গিয়ে ডান হাতের বৃদ্ধা আঙুলি কেটে ফেলল। বেশ অনেকটা রক্ত ঝরেছে, আঙুল দিয়ে চেপে ধরে দাঁড়িয়ে রইল ওভাবেই।

খানিক বাদে ফারজাদ এলো ডিম ভাজি নিতে। মরিচই কাটা হয়নি। একটা গাট্টা মারল দ্বিজার মাথায়, “বলদ, ডাকতে পারিস নি? আমি আরও তোর মতো ঢেঁকির হাতের ডিম ভাজা খাওয়ার আশায় বসে আছি।ʼʼ

ডেটল লিক্যুয়িড লাগিয়ে কাপড় দিয়ে আঙুলটা বেঁধে দিলো। ডিমটাও সে-ই ভাজল। খাওয়ার সময় দ্বিজা খেতে পারল না। বৃদ্ধা আঙুলি ছাড়া পরোটা ছিড়ে খাওয়ার উপায় নেই। ফারজাদ সেদিন নিজের খাওয়া রেখে দ্বিজাকে খাইয়ে দিয়েছিল। মুখটা অবশ্য ক্যাটক্যাটে গোমরা হয়ে ছিল।

সেদিনের সেই গোমরা মুখের ছবি চোখে ভাসতেই বুকে জ্বালা ধরে গেল। অক্সিজেন মাস্কের ওপর দিয়ে গোমরামুখোর মুখটা দেখা যাচ্ছে না আজ। ফারজাদের হাতটা মুঠো করে চেপে ধরে কপাল ঠেকাল সেখানে। গা কাঁপিয়ে কাঁদল, অস্পষ্ট স্বরে বলল, “একটা ধমক দেবে না আমায়? একটু অভিমান তো করবে? করেইছো তো, সেটা দেখাবে না? আমি এই যে বোকাসোকা, মূর্খ বউ আপনার। আপনাকে বুঝিনা, আপনাকে মানতে চাই না। উঠুন না! আপনি সেদিন কথা দিয়েছিলেন খুব তাড়াতাড়ি বাসা চেঞ্জ করব আমরা। বাসা চেঞ্জ করতে হবে। আমার রেজাল্ট ভালো হলে আমায় ঘুরতে নিয়ে যাবার কথাও কিন্তু আছে। ফারজাদ!ʼʼ

হাতটা আলতো করে ধরে রেখে বসে রইল চেয়ারে পিঠ ঠেকিয়ে ছাদের দিকে তাকিয়ে। ইশার ওয়াক্ত হয়ে আসছে। ইঞ্জেকশন কাজ করছে না নাকি? সেদিন বিরক্ত হয়ে ফারজাদকে জিজ্ঞেস করল, “এই যে এতো রিস্ক এই পেশায়, তার পরেও যেচে পড়ে যারা এই পেশায় আসে, তারা হয়ত আপনার মতো পাগল নয়ত পাগল।ʼʼ

-“হুম, ঠিক কথা। কিন্তু ‘পাগলʼ আর ‘নয়ত পাগলেরʼ মাঝে পার্থক্য কী?ʼʼ

-“জানি না।ʼʼ

-“আমি বলছি। পাগলটা হলাম আমি যে জেনেশুনে এই পেশায় ঢুকেছি। আর ‘নয়ত পাগলটাʼ তুই, জেনেশুনে আমার কাছে এসেছিস।ʼʼ

-“আমি আসতে চেয়েছিলাম?ʼʼ

-“নাহ! তুই আসতে চেয়েছিলি।ʼʼ

অতীত ভাবনা ফুরালো না। দ্বিজা অনুভব করল তার হাতের তালুতে কোনো কিছুর সংস্পর্শ পেল সে। না, নড়ছে না তো ফারজাদের আঙুল, ভ্রম হতে পারে। ব্যস্ত পায়ে উঠে দাঁড়িয়ে ভালো করে দেখল ফারজাদকে। পায়ের বৃদ্ধা আঙুল নড়ে উঠল। দ্বিজা চিৎকার করল, “ও বড়ো মা..

পাগলের মতো ছুটতে ছুটতে বাইরে এলো। দৌঁড়ে গেল নার্সের কাছে, “ডাক্তারকে ডাকেন, তাড়াতাড়ি। ফারজাদ নড়ছে, ফারজাদের আঙুল নড়ছে। আসুন তাড়াতাড়ি।ʼʼ

ফারজাদ চোখ খোলেনি এখনও। ডাক্তার এসে অক্সিজেন মাস্কটা খুলে নিলেন। নাকে হাত ঠেকিয়ে উপলব্ধি করলেন, ধীর গতিতে শ্বাস চলছে। ডাকলেন কয়েকবার মৃদু স্বরে। তাকাল না ফারজাদ। জ্বরটা আছে এখনও বোধহয় হালকা। হাতের ক্ষততে ড্রেসিং দরকার। তবে এখন করা ঠিক হবে না। ফারহানা বেগম কেবিনে ঢুকেই জোরে জোরে কাঁদা শুরু করেছেন। তাকে বের করে নিয়ে যেতে বলে ধমকে উঠলেন ডাক্তার। দ্বিজাকে ধরে দাঁড়াল লাবন্য। মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে আছে মেয়েটা, চোখে পানি নেই, মুখের অভিব্যক্তি অদ্ভুত। ডাক্তার বেরিয়ে গেলেন। নার্স এসে ছোট্ট একটা স্যালাইন লাগিয়ে দিয়ে গেল ক্যানোলার বাটনে। থেকে থেকে হাতের আঙুল নাড়ছে ফারজাদ, তা দেখে মনে হলো কোনো প্রকার অস্বস্তি হচ্ছে তার। লাবন্য এগিয়ে গিয়ে ডাকল কয়েকবার। ঢোক গিলল মনে হলো ফারজাদ।

তারও বেশ কিছুক্ষণ পর সামান্য চোখ খুলল ফারজাদ। কেবিনে এখন ফারিন, ফিরোজা, দ্বিজা, ইরফান, লাবন্য। কোনোরকম কোনোদিকে তাকানোর চেষ্টা করল না কারও দিকে, আবার বুজে নিলো চোখদুটো। দ্বিজার গাল বেয়ে ফোটা কয়েক জল পড়ল। সে থাকলে হয়ত এতো খারাপ হতো না পরিস্থিতি। কোন মুখে সামনে যাবে সে? এত অযৌক্তিক আবেগ পালা মেয়েটা সর্বত্যাগী এই পুরুষকে চাইবে কেন, এ তো ঘোর অন্যায়! সেদিন ফারজাদ যেভাবে চাপা ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল নিজের ব্যর্থতা পরবর্তি জীবনধারণের প্রতি, অথচ তার কয়েকটা দিন পার হতেই সে সব ভুলে কুমিল্লার দিকে ঝুঁকে পড়ল। তার তো ক্ষমতাই নেই এই মানুষকে বোঝার। শুধু তার জন্য মায়া পালন করলে কতখানি চলে? বোঝাবুঝি নেই একটুও দুজনের মাঝে। বেরিয়ে এলো কেবিন থেকে।

সকলে একযোগে ঢুকল কেবিনে। ফারজাদ চোখ বুজে আছে। ফারহানা বেগম ডাকলেন, আজাদ সাহেব কত কথা বললেন, দুই বোন কাঁদল। ফারজাদ চোখ দুটো বুজে শুয়ে রইল ওভাবেই। ডাক্তার এলেন হাতের ড্রেসিং করতে। সকলকে বের করে দিলেন। ইরফান ফারজাদের ডানহাতটা চেপে ধরে বসে রইল, পাশেই একটু দাঁড়িয়ে লাবন্য। ইরফানের জিজ্ঞেস করল,

-“কেমন বোধ করছেন?ʼʼ

চোখের ইশারায় বোঝাল ফারজাদ, ঠিক আছি। কাঁচির মাথায় মেডিসিন লাগানো তুলো চেপে ক্ষত থেকে দুষিত রক্ত, পুঁজ পরিস্কার করলেন। ফারজাদ কাঠের মতো পড়ে রইল ছাদের দিকে ঝাপসা চোখে চেয়ে। লাবন্য মুখ ফিরিয়ে নিলো, গায়ে কাটা দিচ্ছে তাজা শরীরে ওমন হিংস্র পরিস্কারক দ্রব্যের বিচরণ দেখে। শ্বাস খুব ধীরে পড়ছে ফারজাদের। বেশিক্ষণ জাগ্রত রাখা হলো না, স্যডেটিভ দেয়া হলো। সার্জারীর স্থানে টান ধরবে এখন, সাথে বাহুর ক্ষততেও। তা সহ্য করা সম্ভব নয় হুশে থেকে। ঢলে পড়ল ফারজাদ অচেতন হয়ে।


আরও বেশ দিন কয়েক রাখা হলো ফারজাদকে হাসপাতালের অবজার্ভেশনেই। এরপর ছুটি দেবার সময় এলো। আজাদ সাহেব জিদ ধরেছেন, ফারজাদকে সোজা কুমিল্লা নিয়ে যাবেন। ফারজাদ একবার ‘নাʼ বলেছে, এরপর থেকে চুপ আছে। আর এই নীরবতা প্রকাণ্ড শিলাখণ্ডের চেয়েও বেশি ভারী, যা বলে চুপ করেছে তা টলবে না বোধহয়। এই নিয়েই একটা চাপা বিপত্তি বাঁধল। ইরফান বহুত বোঝাল, লাবন্য অনুরোধ করল, ফারহানা বেগম কাঁদলেন। ফারজাদ কোনো কথাই বলে না। বেডের সাথে হেলান দিয়ে দেয়াল ঘড়ির কাঁটার টিকটিক করে আবর্তন দেখছে, এটা খুবই জরুরী কাজ এখন ফারজাদের। তার ডান হাতটা ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে আর্ম স্লিং ব্যাগে। শার্ট পরানো হলো না আর, একটা চাদর গায়ে জড়িয়ে দেয়া হলো। পরনে থ্রি কোয়ার্টার প্যান্ট। এই ক’দিনের মাঝে ডাক্তার আর সামাদ ছাড়া আর কারও সাথে তেমন কথা হয়নি ফারজাদের।

সিদ্ধান্ত গ্রহনে গড়মিলের কারণে সকালে পর রিলিজ পেয়েও বিকেল হয়ে এলো, বের হওয়া হলো না। ডিআইজি স্যার এলেন আছরের পর। জিজ্ঞেস করলেন,

-“কী অবস্থা?ʼʼ

-“ঠিকঠাক।ʼʼ

-“হুম! দেখতেই পাচ্ছি তোমার ঠিকঠাক অবস্থা। শোনো ফারজাদ, এখন আপাতত এখানে থাকা ঠিক হবে না তোমার জন্য। মাসুদকে ধরে রেখেছ এখনও, মরতে গিয়ে মরোনি। তুমি কিন্তু তাকে আছো। যতদিন ডিউটিতে জয়েন না করো, গ্রামের বাড়ি থেকে এসো। আই উইশ, ইউ উইল রিকোভার সুন।ʼʼ

ফারজাদ কথা বলল না। এই একই কথা সামাদ সকাল থেকে বুঝিয়ে চলেছে।

দ্বিজা গেল আম্মু আর ইরফানকে সঙ্গে নিয়ে ফ্লাটে। ফারজাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, এবং ফ্লাটটা ভালোভাবে তালাবদ্ধ করা প্রয়োজন। ড্রেসিং টেবিলেন পাল্লা খুলে ফারজাদের প্যান্ট বের করতে গিয়ে একটা ব্যাগ পেল, এটা সে সেদিন একবার বেখেয়ালে দেখেছিল। তার ভেতরে একটা চুড়ির বাক্স পেশ লাল রঙা। দ্রুত খুলে ফেলল সেটা–চিকন সোনালী রঙা তার হাতের মাপের চুড়ি দুটো। চোখদুটো আজকাল খুব বিরক্ত করছে তার, যখন তখন জলে ভরে ওঠে, কী মুশকিল! চট করে চুড়ি দুটো দুহাতে পরে ফেলল। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখল হাতটা, অপূর্ব সুন্দর লাগছে দেখতে, হাতদুটো একদম রাঙা নতুন বউয়ের হাতের মতো লাগছে। কেউ সামনে থাকলে ভীষণ লজ্জা পাওয়ার ছিল এই মুহুর্তে। অথচ এক চিলতে মলিন হাসি হাসল সে।

মাইক্রোবাস ভাড়া করা হয়েছে, এক পাল জনগন। ফারজাদ নিজে হেঁটে বের হলো হাসপাতাল থেকে। সামাদ হাসল, “আবার দেখা হবে, স্যার। সাবধানে এবং সুস্থ থাকবেন, এই প্রার্থনা থাকবে।ʼʼ

ফারজাদ একটু হাসল, কেমন জানি হাসিটা, “আপনাকে ধন্যবাদ দেবার কোনো কারণ নেই আমার কাছে। ভালো কোনো কাজ করেননি।ʼʼ

প্রথমে একটা হতভম্ব হলেও পরে হেসে ফেলল মাথা নিচু করে সামাদ, তার সিনিয়রের কঙ্কালতন্ত্র বাঁকা, সুতরাং তার কাছে স্বাভাবিক কিছু আশা করা যায় না। সে মাথা নিচু করে লজ্জিত হাসল, “লজ্জা পাচাছি স্যার।ʼʼ

-“কেন লজ্জা পাচ্ছেন? আর ছেলে মানুষের আবার লজ্জা থাকবে কেন?ʼʼ

-“স্যার, লজ্জা পাওয়া সবার জন্য প্রযোজ্য। লিঙ্গবৈষম্য নেই এতে।ʼʼ

হেসে ফেলল ফারজাদ। সামাদের মনে হলো, হাসিটা চমৎকার হাসে এই লোক, তবে অখুশির কথা হলো, হাসেই না খুব একটা।

ফারজাদ গিয়ে ড্রাইভারের পাশের সিটে উঠল। বেকায়দা ব্যাপার-স্যাপার। ইরফান এগিয়ে গিয়ে কাঁচে টোকা দিলো, “কি ব্যাপার, মশাই! এসব কী বে-ইনসাফি?ʼʼ

-“বে-ইনসাফি?ʼʼ

-“কারও কর্মকাণ্ড না-ইনসাফির উপরে উঠে গেলে তা হয়ে যায় বে-ইনসাফি।ʼʼ

-“আমার কোন কর্মকাণ্ড আপনার না-ইনসাফি ছাড়িয়ে গেল?ʼʼ

-“লুকিং গ্রাসে তাকান। চোখের নিচে ডেবে গেছে, কালা দাগ পড়েছে, মুখে রক্ত নেই ফ্যাকাশে, হাত ঘাড়ে ঝুলছে, তারপর আপনাকে পুরোপুরি দেখতে লাগছে মরে জিন্দা হওয়া লোকের মতো। সবচেয়ে বড়ো কথা, আপনার এন্টিবায়োটিক চলছে কড়া মাপের। যখন-তখন উল্টে যেতে পারেন, বমি হতে পারে অথবা নানান সমস্যা। ভেতরে গিয়ে শালী সাহেবা, সরি ভাবীজানের কাছে বসেন। যান, আমি এখানে বসব।ʼʼ

ফারজাদ একটু হাসল। এই লোকটাকে ভালো লাগে তার। সবসময় খুব হাসিখুশি, এখনও যেমন চেষ্টা করছে ফারজাদকে খুশি করার। সে বলল, “আচ্ছা, যাব, আপনি এখানে বসবেন। এখন গিয়ে ভেতরে বসুন, পরে-টরে খারাপ লাগলে গাড়ি থামাব।ʼʼ

চলবে..

[ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন।]

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে