#গল্পঃডিভোর্সের_পরে
পর্বঃ১৮
#লেখকঃরিয়াজ
মিম নীলয়ের দিকে তাকিয়ে বলছে কি বলো সকাল ৯ টা বেঁজে গেছে?নীলয় বল্লো হ্যাঁ তুমি রাতে ঘুমিয়েছিলা কখন?
মিমঃকালকে মন ভালো ছিলো না তাই সন্ধায় ঘুমিয়ে পড়েছিলাম এরপর আর কিছু মনে নেই।
নীলয়ঃআল্লাহ এতক্ষণ মানুষ কিভাবে ঘুমায়? তোমাকে মনে রাখতে হবে তোমার এখন অনেক দায়িত্ব।
মিমঃহ্যা সেটা ঠিক।আচ্ছা তুমি সামনে গিয়ে বসো আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি।
মিম ফ্রেশ হয়ে ডাইনিংয়ে যে বসলো।আজকে মিম ডাইনিংয়ে বসে অবাক।কারণ গত ৩ বছরে যা হয়নি আজকেই সেটা হয়েছে।
কারণ আজকে প্রথম মিম খাবার টেবিলে এসে বসে দেখছে টেবিলে আগে থেকেই খাবার দেয়া আছে।আর সেই খাবার নীলয় বসে বসে খাচ্ছে।মিম কি বলবে খুঁজে পাচ্ছে না।মিম কিভাবে নীলয়ের কাছে জিজ্ঞেস করবে নাস্তা কে দিয়েছে সেটা বুঝতিছে না।
তারপরেও মিম নীলয় কে জিজ্ঞাসা করলো কি ব্যাপার নীলয় তোমাকে নাস্তা দিলো কে?আর এই ট্যাবিলে নাস্তা সাজিয়ে রেখেছে কে?
নীলয়ঃআগে তুমি খেয়ে নাও তারপর বলছি।
মিম খাওয়া দাওয়া শেষ করে করে নীলয় কে জিজ্ঞাসা করলো হ্যাঁ এইবার বলো এতসব খাবার কে রান্না করেছে?
নীলয়ঃআচ্ছা তুমি অনুমান করে বলো তো কে রান্না করতে পারে??
মিমঃআমার আম্মু এসব পারবে না।আব্বুও না।আর ভাই তো কোনো ভাবেই না।তবে লিজা পারবে কিন্তু যে মেয়ে আজ পর্যন্ত কোনো কিছুই করেনি সে আজ এসব করার কথা না।তাহলে করলো টা কে?নীলয় তুমি এই সব করেছো তাহলে?
নীলয় কিছুক্ষণ মিমের দিকে তাকিয়ে থেকে তাকে বল্লো তোমার কি তাই মনে হয়?
মিমঃহ্যাঁ এই মূহর্তে তুমি ছাড়া এ বাসায় তো আমি আর কাউকেই দেখছি না।
নীলয়ঃআমি তোমাদের বাসায় এসেছি সকাল ৭ টায়।সকালে আমাকে দরজা খুলে দিয়েছে তোমার বাবা।আমি আংকেল কে জিজ্ঞাসা করলাম আংকেল মিম কোথায়?আংকেল বল্লো মিম তো কাল রাতে যে দরজা লাগিয়ে ঘুমিয়েছে এখনো ওর কোনো খবর নেই।আমি আংকেল কে বল্লাম তো আংকেল আপনারা রাতে খাবারের জন্য ডাকেননি?
আংকেল বল্লো হ্যাঁ ডেকেছি কিন্তু কোনো সারা পাইনি।তাই আর ডাকিনি।আমি বল্লাম সারাদিন অনেক পরিশ্রম করে টায়ার্ড হয়তো সেজন্য ঘুমাচ্ছে।তারপর আংকেল কে জিজ্ঞাসা করলাম আংকেল সকালে কি কিছু খাওয়া দাওয়া করেছেন আংকেল বল্লো না কিছু খাইনি।তারপর বল্লাম আংকেল আমাকে একটু রান্না ঘর টা দেখিয়ে দেন আমি দেখি কিছু করা যায় নাকি।
তারপর আর কি।আংকেল প্রথমে নিষেধ করেছিলো পরে বলেছি আংকেল আমি সব রান্না করতে পারি বিদেশে আমার নিজের রান্না আমি নিজেই করতাম টেনশন কইরেন না।আমি পারবো।যাই হোক এরপর আংকেল আর কিছু বলেনি।তারপর আমি নিজেই এই সব রান্না করে তোমার রুমের সামনে যেয়ে ৩০ মিনিট ধরে দরজা নক করার পর তুমি দরজা খুললে।
মিমঃকি বলো তুমি এতক্ষণ ধরে আমার বাসায় এসে এতো কিছু করলে আর আমার কোনো খবর নেই?
নীলয়ঃআরেএ সব তো আমি একা করিনি।আমার তোমার বাবা আংকেল ও সাহায্য করেছি।
মিমঃআচ্ছা যা করেছো ভালো করেছো সমস্যা নেই।আচ্ছা তুমি আজকে কি আমাকে বলবে যে তুমি স্কুল লাইফ থেকে যেই মেয়েকে এখনো ভালোবাসো সেই মেয়েটি কে?
নীলয়ঃঅবশ্যই বলবো তোমাকে না বল্লে আর কাকে বলবো?কিন্তু একটু সময় লাগবে।অপেক্ষা করো আমি একদিন হুট করেই তোমাকে বলে দিবো সেই মেয়েটি কে।
মিমঃআরও সময় চাচ্ছো আমার মাঁথায় কিছুই ডুকছে না।আসলে সেই মেয়েটি কে?আমি তো ভেবেই পাচ্ছিনা।
নীলয়ঃতোমার আর ভাবার দরকার নেই।সময় হলেই আমি তোমাকে বলে দিবো।আচ্ছা শুনো আমার হাতে কোনো টাকা পয়সা নেই।আর এখন কোনো চাকুরী বাকুরি নেই।তোমার রেস্টুরেন্টে কি আমার একটি জব হবে?আমার কিন্তু পূর্বের কোনো অবিজ্ঞতা নেই।তোমার রেস্টুরেন্ট থেকেই অবিজ্ঞতা তৈরী করবো।
মিমঃআরেএ ধুর তুমি যে কি বলো না। তোমার অবিজ্ঞাত কেনো লাগবে।তুমজ আজকে আমার সাথে চলো আজ থেকে আমার রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার হবে তুমি।তোমাকে যদি আমার রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার বানাতে পারি তাহলে ইনশাআল্লাহ খুব দ্রুত আমার রেস্টুরেন্টের অনেক উন্নতি হবে।
নীলয়ঃকি যে বলো না।আমার কোনো অবিজ্ঞতা নেই।আমি কি পারবো তোমার রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার হতে?
মিমঃতোমার অবিজ্ঞতার প্রয়োজন নেই।তুমি আমার সাথে থাকলেই হবে।
নীলয়ঃআচ্ছা চলো তাহলে যাই।যেয়ে দেখি কি অবস্থা।
এরপর মিম আর নীলয় নতুন উদ্যমে মিমের রেস্টুরেন্টে যেতে লাগলো।যেহেতু নীলয় এখন মিমের পাশে থাকবে।তাই মিম এখন আলাদা একটি সাহস পাবে।নীলয়ের কাছ থেকে মিম যেকোনো ধরনের পরমর্শ সেগুলো ব্যাবহার করতে পারবে।
আর মিমের রেস্টুরেন্টে কিন্তু নীলয়ের ছোট বোন নাইমাও জয়েক করেছে।নাইমা প্রতিদিন সকালে রেস্টুরেন্টে চলে যায়।আর সেদিন যে নাইমা আয়ান কে দেখেছে সেটা কিন্তু আয়ানের সাথে নাইমার প্রথম দেখা।কারণ নাইমা আগে থেকে এখানে কাজ করলেও নীলয় যে টাইমে রেস্টুরেন্টে আসতো নাইমা সে টাইমে বাসায় যেতো রেস্ট নিতে।
তো এরপর দিনই নাইমা সারাদিন অপেক্ষা করলো আয়ানের জন্য। কিন্তু আজকে আর আয়ান আসেনি।নাইমা আজকে আয়ানের সাথে দেখা করার জন্য রেস্ট নিতে পর্যন্ত যায় নি।রেস্টুরেন্ট বন্ধ করার আগ পর্যন্ত নাইমা সেখানে ছিলো আয়ান আসে নাকি তা দেখার জন্য।
তবে আয়ান আর আসেনি।এভাবে ২’৩ দিন নাইমা সেখানে আয়ানের জন্য অপেক্ষা করেছিলো কিন্তু আয়ান আর সেখানে যায় ই না।নাইমা বাধ্য হয়ে যখন নাইমার ভাই নীলয় বাহিরে যায় মিম রেস্টুরেন্টে একা ছিলো তখন মিমের কাছে যেয়ে জিজ্ঞাসা করলো ভয়ে ভয়ে আপু ২’৩ দিন আগে আমার সাথে একটা লোকের ধাক্কা লাগে।
আমি শুনেছি সেই লোকটি নাকি প্রতিদিনই আমাদের রেস্টুরেন্টে আসে।কিন্তু গত ৩’৪ দিন সেই লোকটি আর আমাদের রেস্টুরেন্টে আসছে না।আপু আপনি কিনে চিনেন সেই লোকটিকে?
মিমঃতুমি কার কথা বলছো আমি তো চিনতেছি না।
নাইমাঃআপু ওইযে ওই শেষের টেবিল টায় নাকি উনি বসতো।আপনি তো সব সময় এখানেই থাকতেন আপনার তো চেনার কথা?
মিমঃআচ্ছা দাঁড়াও দাঁড়াও তুমি কি কোনো ভাবে আবার আয়ানের কথা বলছো নাকি?
নাইমাঃআপু আমি তো তার নাম জানিনা।হলেও হতে পারে।
মিমঃতুমি ওনাকে কিভাবে দেখলে?উনি যখন রেস্টুরেন্টে আসতো তখন তো তুমি বাসায় থাকতে।
নাইমাঃআপু ওইযে বল্লাম না।২’৩ দিন আগে আমি সিঁড়ি দিয়ে উঠার সময় লোকটার সাথে আমার ধাক্কা লাগে।সেদিনের সেই ধাক্কার পর থেকে সেই লোকটি আর রেস্টুরেন্টেই আসে না।আমি যে ধাক্কা লাগার জন্য তাকে একবার সরি বলবো সেটাও আর হচ্ছে না।
মিমঃনাইমা তুমি এখনো আমার চাইতে অনেক ছোট। একটি মেয়ে কখন একটি ছেলের খোঁজ করে সেটা আমি খুব ভালো করেই জানি।তুমি আমার ছোট বোনের মতো তাই আমি তোমাকে সাবধান করে দিচ্ছি।
একদিনের ধাক্কায় কারো প্রতি ভালোবাসা জন্মায় না।তাই ওই লোক কে নিয়ে আর না ভেবে তোমার ফিউচার নিয়ে ভাবো।সেটা কাজে দিবো।আর লোকটা তেমন সুবিধার ও না।আমি তাকে খুব ভালো করেই জানি।
নাইমাঃআপু কি বলো তুমি তাকে চিনো??
মিমঃচিনি মানে উনি……
চলবে??
#গল্পঃডিভোর্সের_পরে
পর্বঃ১৯
#লেখকঃরিয়াজ
নাইমা তুমি তো জানো আমার আগে একটি বিয়ে হয়েছে।
নাইমাঃহ্যাঁ আপু জানি।
মিমঃআমার প্রাক্তন স্বামীর নাম ছিলো আয়ান।আর তুমি যেই ছেলের কথা বলছো সেই হচ্ছে আয়ান।
নাইমা অবাক হয়ে মিমের দিকে তাকিয়ে আছে।আর বলছে আপু উনিই তাহলে সেই আয়ান?যে আপনার প্রাক্তন স্বামী?
মিমঃহ্যাঁ তুমি যার কথা বলছো সেই হচ্ছে যে হচ্ছে আমার প্রাক্তন স্বামী।
নাইমাঃআপু ওনার সাথে তো আপনার ডিভোর্স হয়ে গিয়েছে তাহলে উনি কেনো এখন আমাদের রেস্টুরেন্টে আসে সেটা কি আপনি জানেন?
মিমঃআয়ান চাইছিলো আমার সাথে আবার নতুন করে সংসার করবে।যেটা আর কোনো ভাবেই সম্ভব নয়।সেজন্য যেদিন তোমার সাথে আয়ানের ধাক্কা লেগেছে সেদিন আমি ওকে ডেকে বলে দিয়েছি যাতে আর এই রেস্টুরেন্টে না আসে।আর ও যেটা চাইছে সেটা আর কোনো ভাবেই পসিবল না।
নাইমাঃআপু আপনি একদম ঠিক কাজ করেছেন।যার সাথে একবার ডিভোর্স হয়ে গিয়েছে তার সাথে সার দ্বিতীয় বার সংসার না করাই বুদ্ধিমানের কাজ।
মিমঃহ্যাঁ আমি তো আর বোকা নই যে একজনের সাথে ডিভোর্স হয়ে যাওয়ার পর আমি আবার দ্বিতীয় বার তার সাথে যেয়ে সংসার করবো।আচ্চজা নাইমা তুমি যাও এখন গিয়ে কাজ করো।
এরপর নাইমা সেখান থেকে চলে গেলো।নাইমা সেখান থেকে চলে গেলেও নাইমা হচ্ছে এক নাছোড়বান্দা মেয়ে।জীবনে প্রথম এক ছেলেকে তার ভালো লেগেছে এখন যদি সেই ছেলেকে না পায় তাহলে সে অন্য কাউকে আর বিয়েই করবে না।এখন সেই ছেলে বিবাহিত হোক অথবা অবিবাহিত এতে তার কিচ্ছু যায় আসে না।
নাইমা মাঁথায় এখন শুধু একটাই চিন্তা সে কি করে কোথায় আয়ান কে খুঁজে পাবে।ইতিমধ্যে সে ছেলেটির নাম জেনেছে যার নাম আয়ান।
অন্যদিকে মিমের ধারণা ছিলো যেহেতু মিম নাইমা কে বলে দিয়েছে আয়ান হচ্ছে মিমের প্রাক্তন স্বামী সেহেতু নাইমা আর আয়ানের কথা মাঁথায় ও আনবে না।
কারণ অনেক ছেলেই আছে যারা ডিভোর্সি নারীকে বিয়ে করতে চায়।কিন্তু এমন একটি মেয়ে নেই যে নিজের ইচ্ছায় একটি বিবাহিত ছেলেকে বিয়ে করবে।আমাদের দেশে অনেক মেয়েই বিবাহিত ছেলেকে বিয়ে করে।কিন্তু সেটা নিজের ইচ্ছায় না।একমাত্র পরিবারের ইচ্ছাতেই মেয়েরা বিবাহিত ছেলেকে বিয়ে করে।
কিন্তু সেদিক থেকে নাইমা সম্পূর্ন উলটো।মূলত নাইমা একঘুয়ে টাইপ।সে মন থেকে একবার যেটা চায় সেটা না পাওয়া পর্যন্ত নাইমার শান্তি হয় না।কিন্তু নাইমা এখন চিন্তায় আছে সে কি করে আয়ান কে খুঁজে পাবে।নাইমা এখন আর কোনো কাজেই মন বসাতে পারছে না।
এরপর দিন নাইমা আর মিমের রেস্টুরেন্টে যায় না এখন তার প্রধান ও একমাত্র কাজ হলো আয়ান কে খুঁজে বের করা।অন্যদিকে মিমের এমন ব্যাবহারে আয়ান আর বাসা থেকেই বের হয় না।
আয়ানের এখন আর কোনো কিছুই ভালো লাগে না।আগে তো যাই হোক মিমের জন্য অপেক্ষা করে হলেও আয়ানের দিন পার হয়ে যেতো।কিন্তু এখন সেটাও হচ্ছে না আর।তাই আয়ান কোনো ভাবে টাইম ওয়েস্ট করতেও পারছে না।সারাদিন বাসায় শুয়ে বসে থাকে।
আয়ানের বাবা মা এই দৃশ্য কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না।আয়ানের মা বাবা আয়ান কে অনেক বুঝায়।তার মা বাবা তার মাঁথায় শুধু একটি কথাই ডুকিয়ে দেয়।কারো জন্য কারো জীবন থেমে থাকে না।
আজকে যেই মেয়ের জন্য তুই খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দিয়েছিস চাকুরী করছিস না।বাসা থেকে বের হচ্ছিস না।সেই মেয়ে কিন্তু তোকে ছাড়া দিব্যি ভালো আছে।তুই নিজেই তো দেখছিস সে এখন কি করে।তোর জন্য কিন্তু ওর জীবন মোটেও থেমে নেই।তাহলে ওর জন্য তুই কেনো তোর নিজেকে কষ্ট দিবি?
এইবার আয়ানের চোখ খুল্লো।আয়ান ভাবতে শুরু করলো আমি যার জন্য আমার নিজেকে এতো কষ্ট দিচ্ছি সে তো আমাকে ছাড়া অনেক ভালোই আছে।তাহলে তার জন্য আমি কেনো আমার নিজেকে কষ্ট দিবো।
আয়ান সেদিন রাতে তার বাবা মায়ের কাছে ক্ষমা চাইলো।আর বাবা মায়ের কাছে বল্লো সে কাল থেকে আবার অফিসে যাবে।সব কিছু আগের মতো হবে।সব কিছুই সেই আগের মতো থাকবে।কিন্তু মিম নামক মেয়েটি আর থাকবে না।
তবে এইবার আয়ান সত্যি সত্যি মিম কে ভুলে মনের মধ্যে একটি জেদ চেঁপে পুরোদমে তার নতুন লাইফ শুরু করতে লাগলো।আসলে আমাদের প্রত্যেকের জীবনেই এমন কিছু মানুষ থাকে যাদের সাথে হয়তো আমাদের কোনো যোগাযোগ হয় না।
কিন্তু তাদের প্রতি টান মায়া এই সব কিছু কিন্তু সব সময় রয়েই যায়।ঠিক তেমন টাই হয়েছে আয়ানের সাথেও।সে উপরে উপরে মিম কে ভুলে গেলেও মন থেকে মিম কে কোনো ভাবেই ভুলতে পারছে না।
মনে মনে মিমের জন্য মায়া টান এই সব কিন্তু রয়েই গেলো।অন্যদিকে আয়ান যখন সব ভুলে নতুন জীবন শুরু করলো ঠিক সে সময়ই আয়ানের সাথে দ্বিতীয় বার দেখা হয়ে যায় নাইমার।নাইমা প্রথম দেখাতেই আয়ান কে চিনে ফেলে।নাইমা আয়ান কে চিনলেও আয়ান তো নাইমা কে চিনেনা।
এখন নাইমা কি করবে কিভাবে আয়ানের সাথে কথা বলবে?এতোদিন এতো অপেক্ষা করার পর আয়ানের সাথে নাইমার দেখা হলো কিন্তু নাইমা আয়ানের সাথে কোনো কথা বলতে পারছে না।নাইমা মনে মনে একটি বুদ্ধি বের করলো।সে আয়ানের সাথে কোনো কথা না বলে আয়ান কে ফলো করবে। আয়ানের বাসা কোথায় সেটা আজকে দেখে আসবে।বাকি কাজ পরে করবে।
এরপর যেই ভাবা সেই কাজ।নাইমা খুব সাবধানের সাথে আয়ানের পিছু নিলো।অনেক ধুর হাঁটার পর দেখতে পেলো আয়ান একটি বিল্ডিংয়ে ডুকছে।নাইমার বুঝতে বাকি রইলো না যে আয়ান এই বাসাতেই থাকে।আয়ান উপরে যাওয়ার পর নাইমা দারোয়ানের হাতে ১০০ টাকা ধরিয়ে দিয়ে বল্লো মামা কিছুক্ষণ আগে যেই লোকটা উপরে গিয়েছে উনি কয়তলায় থাকে বলেন তো?
দাড়োয়ান ১০০ টাকা পেয়ে খুশিতে খুশিতে বলে আয়ান স্যার?নাইম বল্লো হ্যাঁ আয়ান।এরপর দারোয়ান বল্লো উনি তিন তলায় ডান পাশের ফ্লাটে ওনার বাবা মায়ের সাথে থাকেন।নাইমা আজকে আয়ানের এড্রেস পেয়ে অনেক খুশি হয়ে আজকে সেখান থেকে চলে যায়।এরপর দিন সকাল ৯’১০ টা করে নাইমা সেই বিল্ডিংয়ের নিচে এসে সেই দারোয়ান কে জিজ্ঞাসা করে আয়ান বাসায় আছে?
নাকি অফিসে চলে গিয়েছে? দারোয়ান উত্তর দেয় আয়ান স্যার তো সেই সকালেই অফিসে চলে গিয়েছে। নাইমাও এখন সূযোগ পেয়ে গেছে।তাই নাইমা আর দেরি না করে আয়ানের বাসার দিকে যেতে লাগলো।
চলবে??