ডাক্তার ম্যাডাম পর্ব-০৫

0
1406

#ডাক্তার_ম্যাডাম
#পর্ব_০৫
#মুমতাহিনা_জান্নাত_মৌ

❝আমি তোমাকে কিছু জিজ্ঞেস করছি।কোথায় হারিয়ে গেলে এভাবে?❞

নোমানের ধমকানি শুনে তানিশার ধ্যান ফিরে এলো।সে তখন তার কল্পনার রাজ্য থেকে ফিরে এসে বললো,সরি,আরেকবার একটু বলবেন প্লিজ।শুনতে পারি নি।

নোমান তখন তার ভ্রু কুঁচকিয়ে বললো,
তোমার কি প্রফের সব বিষয়ের পরীক্ষা হয়ে গেছে?

–জ্বি।

–তা পরীক্ষা কেমন দিয়েছো?

তানিশা নোমানের কথা শুনে এবার একটু ঢোক গিললো।তারপর আমতা আমতা করে বললো,জ্বি ভালোই দিয়েছি।
অথচ সে মোটেও ভালো দেয় নি পরীক্ষা। কিছুক্ষন আগেও সে তন্নির সাথে প্রফের পরীক্ষা নিয়ে আলোচনা করছিলো।

নোমান তখন বললো,গুড।
ভালো হলেই তো ভালো।তবে তোমার মুখ চোখ দেখে মনে হচ্ছে না ভালো পরীক্ষা দিয়েছো।কারণ প্রফের প্রতিটা সাবজেক্ট এ পাস করা এতো সহজ নয়।যেভাবে তুমি নাচ গান করছো মনেই হয় না তুমি মেডকেলের স্টুডেন্ট।

তানিশা নোমানের মুখে এমন অপমানজনক কথা শুনেও শান্ত থাকলো। কারণ সত্যিই তার প্রফের পরীক্ষা খারাপ হয়েছে।তানিশা সেজন্য সাহস করে বললো, আচ্ছা,এক্সিডেন্ট যদি পরিক্ষা খারাপ হয়েই যায় তখন কি অন্য উপাই নাই?

নোমান তখন বললো,অবশ্যই আছে।কেনো থাকবে না। প্রফের কোনো বিষয় এ যদি ফেল করো তাহলে ছয় মাস পরে আবার সাপ্লিমেন্টারী পরীক্ষা দিতে হবে।তবেই প্রফের পরবর্তী ইয়ারে উঠতে পারবে।তবে সবসময় চেষ্টা করবে এক চান্সেই যেনো পাশ করতে পারো।তা না হলে ইয়ার গেপ যাবে।

–জ্বি।

নোমান বুঝতে পারলো তানিশার পরীক্ষা ভালো হয় নি।আর সে নিজেই যখন পড়তে পড়তে হাঁপসে যাচ্ছে সেখানে এই মেয়ে কি করবে এটা ভেবেই নোমান তানিশাকে একটা অফার দিলো।নোমান তখন বললো,
তোমার যদি কোনো বিষয় এ বুঝতে অসুবিধা হয় আমাকে বলতে পারো।বা কোনো নোটসের প্রয়োজন হলে বলিও।

তানিশা নোমানের কথা শুনে বিস্ময়করা চোখ নিয়ে তার দিকে তাকালো।কারণ তার বিশ্বাসই হচ্ছে না নোমান নিজের মুখে এসব কথা বলছে তাকে।তবে সে নোমানের কাছে ছোট হতে চাইলো না?সেজন্য ডাইরেক্ট বলে দিলো লাগবে না নোট।আমি সব বিষয় ভালোভাবেই বুঝছি।

হঠাৎ অচেনা এক নাম্বার থেকে কল এলো তানিশার ফোনে।তানিশা দেখেই সাথে সাথে কেটে দিলো কলটা।আবার কল এলো।তানিশা আবার কেটে দিলো।নোমান এখনো সামনেই দাঁড়িয়ে আছে।তানিশা এভাবে বার বার কল কেটে দেওয়ায় নোমান ভাবলো হয়তো পার্সোনাল কেউ সেজন্য তার সামনে কল রিসিভ করছে না তানিশা। সেজন্য নোমান আর এক মুহুর্ত ও দেরী করলো না।তাড়াতাড়ি করে রুম থেকে বের হয়ে গেলো।

এদিকে অচেনা সেই নাম্বার থেকে অনবরত কল বেজেই যাচ্ছে।তানিশা এবার আর কেটে দিলো না কল।সে রিসিভ করতেই অপর পাশ থেকে একটা ছেলের কন্ঠ ভেসে আসলো।ছেলেটি জোরে ধমক দিয়ে বললো,

এই মেয়ে!আমাকে ফেসবুকে ব্লক দিয়েছো কেনো?তাড়াতাড়ি ব্লক খুলে দাও তা না হলে খুব খারাপ হয়ে যাবে কিন্তু।ভুলে যেও না আমি কিন্তু একজন পুলিশ অফিসার।আমার চ্যালেঞ্জের কথা মনে আছে কি?শনিবার কিছুতেই কলেজে ঢুকতে দেবো না।সোজা কাজি অফিস নিয়ে যাবো।

তানিশা সেই কথা শুনে সাথে সাথে কল কেটে দিয়ে নাম্বার টা ব্লক করে দিলো।সে বুঝতে পারলো এটা সেই ছেলে যে তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করবে বলে ভয় দেখাচ্ছে।

এবার তানিশার ভয় আরো বেড়ে গেলো।এখন কি হবে?এই ছেলে দেখি তার ফোন নাম্বারও জোগাড় করেছে।তানিশা এবার আর তন্নিকে কিছু বললো না।কারণ তন্নি কিছুতেই ব্যাপার টা সিরিয়াস ভাবে নিচ্ছে না।সে এবারও ব্যাপারটাকে সাধারণ ব্যাপার বলে উড়িয়ে দেবে।কিন্তু তানিশার কাছে এই ব্যাপারটা মোটেও স্বাভাবিক ব্যাপার মনে হচ্ছে না।সেজন্য তানিশা সিদ্ধান্ত নিলো কাল সকাল সকাল সে হোস্টেলে চলে যাবে।হোস্টেলে একবার পৌঁছলেই আর কারো সাধ্য নেই তাকে ধরার।কারণ হোস্টেলের সকল মেয়ে দল বেঁধে কলেজে যায়,সেজন্য ভয়ের কোনো কারণই নেই।

সারারাত তানিশা টেনশনে ঘুমাতে পারলো না।একবার ওপাশ হলো তো আরেকবার অন্য পাশ হতে লাগলো।বান্ধুবীর সাথে আনন্দ করবে বলে এসে অচেনা এক ভয়ে তার আনন্দটাই মাটি হয়ে গেলো।
এদিকে তন্নি গভীর ঘুমে ডুবে আছে।মনে হচ্ছে সে দুনিয়ার সবচেয়ে সুখী ব্যক্তি,যার মধ্যে কোনো টেনশন নেই।
তানিশার ঘুম আসছে না দেখে সে বেলকুনির দিকে এগিয়ে গেলো।হঠাৎ সে খেয়াল করলো আগে থেকেই বেলকুনিতে আলো জ্বালানো।তানিশা বুঝতে পারলো হয় তো নোমান আছে বেলকুনিতে।
কারণ তন্নি আর নোমানের রুমটা পাশাপাশি। দুই রুমের জন্য একটাই বেলকুনি।বেলকুনিটা অনেক বড় আর সুন্দর করে সাজানো।বেলকুনির রেলিং ধরে কিছুক্ষন দাঁড়িয়ে থাকলে মুহুর্তের মধ্যে মন টা ভালো হয়ে যায়।কারণ সুন্দর ঠান্ডা বাতাস পাওয়া যায় বেলকুনিতে।আর সবচেয়ে বড় আকর্ষণ কুঞ্জলিকার সাথে অপরাজিতার সমাহার।দেখলেই চক্ষু যেনো জুড়িয়ে যায়।নোমান থাকায় তানিশা আর গেলো না বেলকুনির দিকে।আস্তে করে লাগিয়ে দিলো দরজাটা।

এদিকে নোমান দরজা খোলার শব্দ শুনে বললো,তন্নি তন্নি?ঘুমাস নি তুই?
তানিশা পড়ে গেলো মহা বিপদে।সে এক পা এগোতেও পারছে না আবার পিছিয়ে যেতেও পারছে না।
নোমান তখন নিজেই এগিয়ে আসলো।আর তানিশাকে দেখামাত্র বললো,তুমি?তা কথা বলবে না?

–না মানে,

–কি মানে মানে করছো?

তানিশা নোমানের ধমকানি শুনে বললো,ঘুমটা ভেংগে গেলো তো,তাই ভাবলাম বেলকুনিতে গিয়ে একটু পড়াশোনা করি।

–ও তাই?ভালো তো?এই বলে নোমান তানিশাকে বেলকুনি ছেড়ে দিয়ে তার বইপত্র নিয়ে নিজে চলে গেলো রুমে।

তানিশা তো এবার মহাবিপদের মধ্যে পড়ে গেলো।সে তখন বাধ্য হয়েই তার ব্যাগ থেকে বই আনতে গেলো।আর বিড়বিড় করে নোমানকে বকতে লাগলো। এই ছেলের কাছে সারাক্ষণ শুধু পড়ালেখার কথা।পড়ালেখার বাহিরে এ অন্য কথা বলতেই জানে না।

তানিশার পড়াতে একটুও মন নাই।তবুও একরকম বাধ্য হয়েই বই এর পাতা উল্টাতে লাগলো সে।হঠাৎ তানিশা খেয়াল করলো নোমানের একটা বই বেলকুনিতেই রেখে গেছে।যাতে স্পষ্ট করে লেখা মাইক্রোবায়োলজি।তানিশা বই টা হাতে নিয়ে এক এক করে তার পাতা উল্টাতে লাগলো।হঠাৎ সে খেয়াল করলো নোমানের বই এর মধ্যে তার ছবি।তানিশার মাথা যেনো ৩৬০ ডিগ্রী কোনে ঘুরে গেলো।এটা কি করে সম্ভব?নোমান কি জন্য তার ছবি এভাবে নিজের কাছে রেখেছে।নোমান যাতে বুঝতে না পারে সেজন্য যে জায়গার ছবি সেই জায়গাতেই রেখে তানিশা তাড়াতাড়ি করে রুমে চলে গেলো।

এমনিতেই অচেনা ছেলেটার হুমকি শুনে তার ভয় কিছুতেই দূর হচ্ছে না তার মধ্যে আবার নোমানের বই এর মধ্যে তার ছবি কেনো রেখেছে এ নিয়ে চিন্তা করতে করতে তানিশার মাথা একদম বনবন করে ঘুরতে লাগলো।সারারাত জাগিয়ে থেকে ভোরবেলার দিকে তার চোখ দুটি লেগে আসলো।

পরের দিন সকালবেলা এক এক করে সবাই নাস্তার টেবিলে আসলেও নোমান আর তানিশাকে দেখা গেলো না।নোমান সারারাত জেগে পড়াশোনা করেছে সেজন্য তার উঠতে লেট হচ্ছে।তাছাড়া আজ শুক্রবার দেখে একটু নিশ্চিন্তেয় ঘুমাচ্ছে সে। অন্যদিকে তানিশাও সারারাত কিছুতেই দুচোখের পাতা এক করতে পারে নি বিধায় এখন সেও গভীর ঘুমে মগ্ন আছে।

তায়েব চৌধুরী তন্নি কে নাস্তার টেবিলে একা দেখে বললো,

তন্নি,তানিশা কই?

–মামা ও ঘুমাচ্ছে।পরে নাস্তা করবে।

মামা সেই কথা শুনে বললো,বুঝতে পেরেছি,নিশ্চয় সারারাত জেগে থেকে পড়াশোনা করেছে সেজন্য উঠতে এতো লেট হচ্ছে।এগুলোই হলো আসল স্টুডেন্ট। কারণ রাতের বেলা কেউ ডিস্টার্ব করার থাকে না।নিরিবিলিতে খুব মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করা যায়।

তায়েব চৌধুরীর কথা শুনে তন্নির মা তাহমিনা চৌধুরী বললেন, ভাই আপনি তানিশাকে একটু বেশিই পছন্দ করেন।সেজন্য বোধহয় আপনার সবসময় তানিশাকে নিয়ে পজিটিভ চিন্তায় মাথায় আসে।কাল সারারাত তানিশা একবারও পড়তে বসে নি।আমি দুইবার গিয়েছিলাম ওদের রুমে।দুইবারই তানিশাকে শুয়ে থাকতে দেখেছি।বরং তন্নিই পড়াশোনা করেছে রাত জেগে।

তায়েব চৌধুরী তাহমিনা চৌধুরীর কথা শুনে আর কিছু বললো না।কারণ তাহমিনা যে তানিশাকে সহ্য করতে পারে না তা তায়েব চৌধুরী ভালো করেই জানে।তানিশার একটু প্রশংসা করলেই তাহমিনা তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠে।তাহমিনা সবসময় নিজের মেয়েকে সাপোর্ট করে।
এবার আমান কথা বলে উঠলো।সে তখন বললো,কে পড়াশোনা করে আর কে করে না এটা বড় কথা না।যে তার নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবে সেই একজন প্রকৃত মেধাবী স্টুডেন্ট।শুধু সারাক্ষণ বই খাতা নিয়ে বসে থাকলেই ভালো স্টুডেন্ট হওয়া যায় না।

আমানের কথাগুলো তন্নির কানে যেনো বিষের মতো লাগছিলো।কারণ আমান যে তাকে উদ্দেশ্য করেই কথাগুলো বলছে এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।তিন্নির প্রচন্ড রাগ হতে লাগলো সে তখন নাস্তা খাওয়া বাদ দিয়ে তার রুমে চলে গেলো।

আমান তখন চিল্লায়ে বললো,তন্নি, তুই আবার নাস্তা না করেই কই যাচ্ছিস?

তন্নি কোনো উত্তর দিলো না।সোজা নিজের রুমে চলে গেলো।

এদিকে তানিশা এখনো ঘুম থেকে ওঠে নি।হঠাৎ তন্নি রুমে গিয়ে তানিশাকে জোর করেই ঘুম থেকে ওঠালো।আর বললো,তানিশা নাস্তা করবি কখন?সবাই তোর জন্য অপেক্ষা করছে।
তানিশা তন্নির টানাটানি দেখে আর শুয়ে থাকতে পারলো না, এক লাফে বিছানা থেকে উঠে বসলো।আর চোখ ডলতে ডলতে ঘড়ির দিকে তাকালো।ঘড়ির দিকে তাকিয়ে তানিশা আর এক সেকেন্ড দেরী করলো না, তাড়াতাড়ি করে ওয়াশরুমে চলে গেলো আর বের হয়েই রেডি হতে লাগলো।

তন্নি তা দেখে বললো,তানিশা রেডি হচ্ছিস যে?এখনি যাবি নাকি?
–হ্যাঁ রে দোস্ত।এখনি যাবো হোস্টেলে।পরেরবার এসে তোর সাথে ঘুরতে যাবো।আজ আমার একটু তাড়া আছে।
–কিসের তাড়া?
–হোস্টেলে পৌঁছে তোকে জানাবো।এখন আমাকে এক্ষুনি বের হতে হবে।
তন্নি তানিশার কথা শুনে ভীষণ মন খারাপ করলো।কারণ আজ তন্নি তানিশার সাথে বাহিরে ঘুরতে যাবে, সেজন্য কিছু প্লান করে রেখেছিলো।আর সেখানে গিয়ে নিরিবিলি সে তানিশাকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলতে চায়।
কিন্তু তানিশা তাড়াতাড়ি করে তন্নির থেকে বিদায় নিয়েই রুম থেকে বের হয়ে গেলো।

তানিশা যখন সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামলো ঠিক তখনি নোমানের সাথে দেখা তার।তানিশা আজ আর নোমানের দিকে তাকানোর সাহস পেলো না।তার শুধু এখন নোমানের বই এর মধ্যে রাখা তার ছবির কথাই মনে হতে লাগলো।তানিশা সেজন্য পাশ কাটিয়ে চলে গেলো।নোমানও নিজের থেকে কিছু জিজ্ঞেস করলো না।

কিন্তু তানিশা যখন ডাইনিং রুমে এসে পৌঁছলো,এসে দেখে বাসার সবাই নাস্তা করছে।তানিশাকে ব্যাগ ঘাড়ে দেখে তায়েব চৌধুরী বললেন, মা তানিশা নাস্তা না করেই কোথায় যাচ্ছো?
তানিশা তখন বললো আংকেল আমার একটু তাড়া আছে।এখনি যেতে হবে হোস্টেলে।
আমান তখন বললো,তাই বলে না খেয়েই চলে যাবে।কিছু মুখে তো দিবে।
–না ভাইয়া।সময় নেই আমার।এই বলেই তানিশা বাসা থেকে বের হয়ে গেলো।
বাসার কেউ কিছু বুঝতে পারলো না।হঠাৎ তানিশার কি হলো?সে এমন তাড়াহুড়ো করে কেনো বের হলো?তন্নি নিজেও কিছু বুঝতে পারলো না।

তানিশা শুধু ঘড়ির দিকে তাকাচ্ছে আর হাঁটছে।আর কিছুদূর গেলেই বাস স্ট্যান্ড পেয়ে যাবে সে।সেজন্য সে তার হাঁটার গতি আরো বাড়িয়ে দিলো।হঠাৎ অচেনা এক নাম্বার থেকে আবার ফোন এলো।তানিশা ভয়ের মধ্যে পড়ে গেলো।যদি আবার সেই ছেলেই হয়।সেজন্য সে রিসিভ না করে এবার দৌঁড়াতে লাগলো।

তানিশা দৌঁড়াতেই একটা রিক্সা এলো তার সামনে।সেজন্য সে হাঁপাতে হাঁপাতে বললো,মামা দাঁড়ান একটু।আমাকে একটু বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত রেখে আসেন।এই বলেই তানিশা এক লাফে রিক্সায় উঠলো।

কিন্তু তানিশা রিক্সায় উঠতেই কিছু ছেলে চলে এলো রিক্সার সামনে।আর রিক্সাওয়ালা মামাকে বললো,মামা দাঁড়ান।আগে ডাক্তার ম্যাডামের সাথে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলে নেই।

ছেলেগুলোর কথা শুনে তানিশা এতো ভয় পেয়ে গেলো যে তার মুখ দিয়ে কোনো কথা বের হলো না।সে যে চিল্লাবে সে শক্তিটুকুও তার মধ্যে নেই এখন।

#চলবে

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে