“ডাইনামিক হিস্ট্রি”পর্ব ০২
সানজানা জামান
হাইওয়ে রোডে ফুল স্প্রিডে গাড়ি চালাচ্ছে ওমেগা।কারের প্লে লিস্টে ইমাজিন ড্রাগনস এর বিলিভার গানটি চলছে।সেই সাথে ওমেগা গানের সুর তুলছে।
“পেইন!!ইউ মেড মি এ বিলিভার!”
ওমেগার মুড আজ আকাশ পর্যায়।কারণ ক্যামেরন কোম্পানির তত্ত্বাবধানে যারা রয়েছে তারা একে একে গায়েব হয়ে যাচ্ছে।কিন্তু কোথায় গায়েব হচ্ছে?বেঁচে আছে আদো নাকি মারা গেছে তার কিছুই কেউ জানেনা।সিআইডি ডিপার্টমেন্টে সি আই ডি অফিসারদের মধ্যে সর্ব কনিষ্ঠ হচ্ছে ওমেগা।কিন্তু বিচক্ষণতা আর দক্ষতার দিক দিয়ে সর্বোচ্চ এগিয়ে রয়েছে এই ওমেগা।তাই ডিপার্টমেন্টের হেড অফিসার তাকে এই কেস হ্যান্ডেল করার দায়িত্ব নিজে তার হাতে তুলে দিয়েছে।শুরুতেই কেসটাতে অন্যরকম কিছু একটা রহস্যের গন্ধ পাচ্ছিলো ওমেগা।কেসটা নিজের কাঁধে নেওয়ার জন্য মন ইশপিশ করছিলো যেন।অবশেষে পেয়েই গেলো।
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
ক্লাবে যেয়ে সবেমাত্র প্রবেশ করলো ওমেগা।দেখলো বার সাইডের কর্ণারে তার প্রেমিকা এরিন হাতে এক পেগ নিয়ে বসে আছে।
-হেই বিউটিফুল! আমি এসে গেছি।
-ওহ ওমেগা!কনগ্রাচুলেশনস সুইটহার্ট!দুইজন একে অপরকে হালকাভাবে জড়িয়ে ধরলো।
-সো ইট’স ইউর ডে।হয়ে যাক কিছু পেগ?
-হোয়াই নট!চিয়ারস!!!এরপর দুইজন কিছুক্ষন একসাথে টাইম স্পেন্ড করার পর ওমেগা বলে উঠলো-
-আচ্ছা এরিন!ক্যামেরন ব্র্যান্ডের সিইওর একমাত্র কন্যা ডায়ানা ক্যামেরন তোমার বন্ধু ছিলো না?
-হ্যাঁ ও আর আমি মেট ছিলাম।কেন বলো তো?
-নাহ!তার বাবা নিখোঁজ এভাবে কিভাবে দিনগুলো পার করছে মেয়েটা!
-ধুর!ওমেগা তুমিও না?ওর বাবা নিখোঁজ ওর সেই ব্যাপারে কোনো হুশ থাকলে তো!
-মানে?
-মানে কি তার সেই বিষয় নিয়ে চিন্তাই নেই।একটু আগেও তো এই ক্লাবে পোল ড্যান্স করলো ড্রাঙ্ক হয়ে।
-আর ইউ সিরিয়াস এরিন?ডায়ানা এখন এই ক্লাবেই আছে?
-হ্যাঁ আমার সাথে কথাও বলেছে কিছুক্ষন।
-ও মাই গড!এই কথাটা তুমি আমাকে এখন বলতেছো?
ক্লাবের দ্বিতীয় তলা থেকে একটা চিৎকার ভেসে আসলে সবাই দৌড়িয়ে ক্লাবের উপর তলায় যায়।দেখে একজন অল্পবয়স্ক ওয়েটার ফ্লোরে পড়ে আছে।ওমেগা হাতে গ্লাভস পড়ে ছেলেটার হাত চেক করলো।নাহ!রেস্পন্স এখনো আছে তবে খুব কম।এর মধ্যে ছেলেটা একটু হাপানি দিয়ে চোখ বন্ধ অবস্থাতেই বললো-
-ওই ম্যাডা…ওই ম্যাডাম টার খুলি আর শরীর নিয়ে ওদের এগিয়ে যেতে দেখেছি আ..আমি! বলেই ওমেগার কোলে নিঃশ্বাস ত্যাগ করলো ছেলেটি।সবাই আশ্চর্য হয়ে গেছে।কার খুলি?কিসের খুলি?কে নিয়ে গেছে?সবকিছু যেন ঝাপসা লাগছে ওমেগার কাছে।আচ্ছা ডায়ানা?ডায়ানা কোথায়?ওকে তো দেখছি না! এর মধ্যে হন্তদন্ত হয়ে দৌড়াতে দৌড়াতে এলো এরিন।
-“ওমেগা!ডায়ানাকে সারা ক্লাব খুঁজলাম।কিন্তু কোথাও পেলাম না।”
এরিনের কথায় ওমেগার সন্দেহ আরও প্রবল হয়।তদন্তের জন্য ক্যামেরন পরিবারের সব সদস্যদের ছবি নিজের কাছে রেখে দিয়েছিলো সে।সেই ছবিটাই এক এক করে সবাইকে দেখাতে লাগলো ওমেগা।তারা ডায়ানাকে দেখেছে নাকি কোথাও এই বলে।সবশেষে একজন ওয়েটার বলে উঠলো-
-এই ম্যাডামটাকে আমি দোতলার রুম দেখিয়ে দিয়েছিলাম।ম্যাডাম প্রচুর হাই ছিলো।বমি নাকি পাচ্ছিলো খুব।তাই আমিই ম্যাডামকে দোতলার এই রুমটা দেখিয়ে দেই।
-ম্যাডামের সাথে অন্য কেউ ছিলো নাকি একা ছিলো শুধু?
-না স্যার।ম্যাডাম একাই ছিলো।
ওমেগা এবার আশেপাশে খোঁজ নিয়ে দেখে ডায়ানাকে কোথাও পাওয়া যায়নি।তার মানে ওটা ডায়ানাই ছিলো।কিন্তু কারা ওকে খুন করলো?এটা কোনো মানব কার্যক্রম?কিন্তু তাহলে যাবে কোথায়?এতোগুলা মানুষের চোখে ফাঁকি দিয়ে যাওয়া কি আদো সম্ভব?যদিও লুকিয়েই যায়।আর সবাই তো একসাথেই আছে এখন!কাউকে বাহিরেও যেতে দেওয়া হচ্ছেনা।আর পালানোর মতো কোনো ব্যবস্থাও তো নেই।তাহলে?মাথাটা বেশ ধরেছে ওমেগার।সবকিছু ধোয়াশা লাগছে তার কাছে।মেডিটেশন করার খুব প্রয়োজন এই মুহুর্তে।অন্যান্য অফিসারদের সহায়তায় তদন্ত অব্যাহত রাখার জন্য ক্লাবটা বন্ধ করা হলো।এমনকি ক্লাবের উপস্থিত সবাইকে ভালো করে চেক করা হলো।এমনকি এরিন ও তাতে বাদ যায়নি।কিন্তু কারো কাছেই তেমন ক্লু পাওয়া যায়নি।লাশটাকে মর্গে পাঠানো হলে পরের দিন সকালেই খোঁজ আসে লাশটা নাকি পাওয়া যাচ্ছে না।কে বা কারা গুম করে নিয়েছে তারও ধারণা নেই।এমনকি আরো গুটিখানেক লাশও গায়েব।সবচাইতে আশ্চর্যের ব্যাপার এই যে মর্গ পাহারদারকেও কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না।
#চলবে……
আগের পর্ব: https://www.facebook.com/100049746556081/posts/131498768518341/?substory_index=0&app=fbl