জানালার ওপারে পর্ব-১৪

0
986

#জানালার_ওপারে
||১৪তম পর্ব||
– ঈপ্সিতা শিকদার
আব্বু-আম্মু আবেগ ভাইয়ের জেদ ও জোরাজুরির কাছে হার মানতে বাধ্য হয়। অবশেষে সবার সামনে দিয়ে আমার হাত ধরে নিয়ে চলে গেলেন আমায়। আমি বাধা দিতে অসফল, না আছে মুখে বলার জোর, না আছে কিছু বলার মুখ।

শুধু এক দৃষ্টিতে তাঁর উজ্জ্বল শ্যামা মুখখানার দিকে তাকিয়ে আছি৷ সত্যিই লোকটার শরীর ভীষণ রকমের ভেঙে পড়েছে। তার দীঘল পাপড়িযুক্ত চোখ দু’টোতে অনিদ্রার ফলে কালো গর্ত হয়ে গিয়েছে, চুলগুলো বড় হয়েছে, এলেমেলো, চাপা ভেঙে গিয়েছে গালের, তবে তা আড়াল করছে খোঁচা খোঁচা দাড়িরা। আগে কখনওই দাড়ির বালাই ছিল না তার মুখে। হয়তো এতো ঝামেলাতে সময় করে উঠতে পারেননি শেভিংয়ের। যদিও এভাবেই বরং তাঁকে মানাচ্ছে।

আমার বড্ড ইচ্ছে ছিল তাঁকে দাড়িতে দেখার, তবে সম্পর্কের স্পষ্টতা না থাকায় কখনও এ আবদার করা হয়ে উঠেনি৷ তবে এখন আমি তাঁর স্ত্রী, অধিকার নিয়ে বলবো দাড়ি রাখতে।

আমার এসব আজে-বাজে ভাবনার মাঝেই একটি ফ্ল্যাটের দ্বারের সামনে এসে দাঁড়িয়েছি। ঠোঁট কামড়ে ধরলাম। দুশ্চিন্তার ক্ষীণ ভাঁজ আমার ললাটে একদম স্পষ্ট৷ এই অসভ্য লোকটি এতোটা অবুঝ কেন? তিনি কি বুঝেন না আমি প্রস্তুত নই এই পরিস্থিতির বা তার পরিবারের মুখোমুখি হতে।

আবেগ ভাই পকেট থেকে চাবি বের করে দরজার লক খুলে আমার হাত ধরে অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। সারা ফ্ল্যাট অন্ধকার। তবে কি আবেগের বাড়ির লোক কোথাও গিয়েছে এখন?

তিনি আলো জ্বালাতে যান, আমি এক কোণে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকি। ফ্ল্যাটটি বেশ ছোটো আকারের। বসার ঘর এবং ডাইনিংরুম একত্রে, একটা দরজা দেখা যাচ্ছে হয়তো একটা বেডরুম। তাহলে কি আবেগ ভাই একা থাকেন? ড্রইংরুমের ফ্রন্ট দেয়ালে বিশাল বড়ো একটা এলিডি, দেয়ালের সাথে লাগোয়া বেশ কিছু শোপিজে ভর্তি শেলফ। তার ঠিক বিপরীতে সোফা রাখা। সোফার বামে ডিভান আর ডানে একটি গোটা দেয়াল জুড়ে লাগোয়া শেলফ, একদম উপরের দিকের শেলফে বিভিন্ন পুরস্কার, সার্টিফিকেট, নিচের দিকে সেজে আছে নানা ধরনের বইয়ে।

ফিল্টারের পানির ধারার শব্দে ঘোর ভাঙে আমার। ফিল্টার থেকে এক গ্লাস পানি ভরে নিজে অর্ধেক খেয়ে আমার দিকে এগিয়ে দিল। আমার চক্ষু চড়কগাছ। আমি শুচিবাইগ্রস্তা, আমার গ্লাস সবসময়ই আলাদা করা। যতোটুকু জানি তিনিও এমন। সেদিন ভুলে-ভালে হয়েছিল তা অন্য ব্যাপার কিন্তু তাই বলে আজ জেনে-শুনে।

“এমন খাম্বার মতো দাঁড়িয়ে না থেকে পানিটা মুখে নেও৷ ডাক্তার বেশি বেশি পানি পানি পান করতে বলেছে শুনো নাই?”

আমি শুকনো একখানা হাসি দিয়ে কোনোরকম গ্লাসটা দুই হাত দিয়ে ধরলাম৷ আবেগ ভাই ভ্রু কুঁচকে উঠে দাঁড়ালেন। ক্ষিপ্ত দুটি আঁখি তাঁর। ধীর পায়ে এগিয়ে আসলেন আমার দিকে। আমি মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে৷

এরপর যা করলেন, তাতে আমার জ্ঞান হারানোর দশা। তা আর না-ই বা বলি। লজ্জাবতী লতিকার ন্যায় নুয়ে গেলাম আমি।

তিনি গাম্ভীর্য যুক্ত গলায় ফিসফিস করে বললেন,
“এবার আমার মুখ লাগানো গ্লাসে পানি খেলেই কী, আর না খেলেই কী মায়াবালিকা! যা হওয়ার চিন্তা ছিল, তা তো হয়েই গিয়েছে।”

এমন সময়ও কেউ কি মুখে, কণ্ঠে গাম্ভীর্যতা রাখতে পারে মাত্রাতিরিক্ত অদ্ভুৎ না হলে? আমার গাল দু’টো গরম হয়ে উঠছে। তবে কি সে বুঝতে পারছে আমি লজ্জা পাচ্ছি? ভাবতেই আরও নুয়ে পড়লাম যেন। লজ্জা এড়াতে তাড়াতাড়ি এক নিঃশ্বাসে পানি টুকু গিলে তাড়াতাড়ি যেয়ে ধপ করে বসে পড়লাম সোফায়।

আবেগ ভাই আমার দিকে একপলক তাকিয়ে বেডরুমে চলে গেলেন। কোনো কাজ না থাকায় আমি চুপচাপ ফোন নিয়ে বসে থাকলাম। অনেকক্ষণ হলো তিনি আসছেন না বলে বোর হচ্ছিলাম। কতোদিন বইয়ের গন্ধ নেই না, হাত বুলাই না, পড়ি না! শেলফটা বড়ো বেশিই নিজের দিকে টানছে আমাকে। আর শান্ত থাকতে পারলাম না, উঠে এগিয়ে গেলাম বইয়ের দিকে।

কোন বইটা পড়বো ভাবতে ভাবতে একটি ট্রান্সপারেন্ট খামে ভরা বই দেখতে পেলাম৷ খামের দুই সাইডই একটা টাইপ করা কার্ড লাগানো থাকায় বইয়ের নাম দেখা যাচ্ছিলো না।
সামনের কার্ডে লিখা-
“বিয়ের উপহার, সবচেয়ে কাজের উপহার 😜
– হাসিব”

আমাদের এমন আজব বিয়েতেও হাসিব ভাইয়া উপহার দিয়েছেন। খুশিতে গদগদ হয়ে উঠলাম উপহার প্রিয় আমি। বইটা নিয়ে সোফায় চলে গেলাম, বেশ উত্তেজনা নিয়ে খুললাম খামটা।

বইয়ের নাম পড়ে আমি আরেকদফা হোঁচট খেলাম। অতিমাত্রা রোমান্টিক লিখার জন্য জনপ্রিয় এল এ জেমসের “ফিফটি শেডস অব গ্রে”। ভিনদেশি বই পড়ার ও রিভিউ পড়ার সুবিধার্থে জানা আছে এই বই কেমন ধাঁচের। নিজের বন্ধুকেও বিয়েতে কেউ এসব দেয়! আবেগ ভাইয়ের বন্ধুগুলোও একদম তাঁর মতো অসভ্য! অসভ্যের দল!

“মায়াবালিকা, গোসল করে নেও! লাঞ্চ করতে যেতে হবে আবার।”

এর মাঝেই আবেগ ভাই চুল ঝাড়তে ঝাড়তে বেডরুম থেকে বেরিয়ে এসেছেন ইতিমধ্যেই। আমি স্তব্ধ, কোথায় লুকাবো এই বই, আর কোথায়ই বা লুকাবো এই চোখ ভর্তি লাজ।

তিনি বড়ো বড়ো চোখে আমাকে আর হাতের বইটিকে দেখছেন।
“ছিঃ! ছিঃ! মায়াবালিকা, তুমি আমার অনুপস্থিতির ফায়দা তুলে তুমি এইসব বাজে বই পড়ছো। আমি কখনও ভাবতেও পারিনি তুমি এমন কাজ করবা।”

আমি তেঁতে উঠলাম। ইশারায় শুধাই,
“আমাকে দোষারোপ করছেন কেন? এটা তো আপনার বই। আমি কি জানতাম খামের ভিতরে এটা দিয়েছেন উপহার?”

“হয়েছে, হয়েছে, আর হাতের এনার্জি লস করা লাগবে না। জানি আমি, আপনি কোন উদ্দেশ্যে নিয়েছেন বইটা। আসলে সামনে এমন পুরুষ থাকলে, মেয়েদের মনে এমন রোমান্টিকতার রংধনু উঠেই। এখন যাও, যাও, গোসল করতে যাও।”

“যাবো না আমি। আপনি যখন বলেছেন আমি পড়ার উদ্দেশ্যে নিয়েছি। এখন আমি এটা পড়েই ছাড়বো।” ইশারায় কথাটা প্রকাশ করতেই চমকে উঠেন তিনি।

ছিনিয়ে নেন আমার হাত থেকে বইটি।
“মায়াবালিকা, শেলফ ভর্তি বই। এটা তোমার পড়ার যোগ্য নয়, অন্য বই পড়।”

আমি তো নাছোরবান্দা, এই বই আমি পড়বোই। আমাকে তিনি বললেন কেন তখন ঐ কথা? আমি বই নেওয়ার জন্য জোরাজুরি করছি, তিনি দিবেনা বলে বই রাখা হাতটি উঁচু করে রেখেছেন। এসবের মাঝে কখন যে আমাদের মাঝের দূরত্ব শূন্যের কোঠায় যেয়ে পৌঁছিয়েছে টেরই পাইনি।

“খাবার খেতে চলেন ভাইজান, চাচী ডাকে আপনাগো।” দরজা লক করা হয়নি বিধায় অতি সহজেই দরজা খুলে ঢুকে গেল আবেগদের বাসার কেউ একজন। আমরা ছিটকে দূরে সরে গেলাম।

“আল্লাহ গো। কী দেখলি রে চুমকি!” সে ছুটে চলে গেল।

বয়স মেয়েটার কতোই হবে, সতেরো বা আঠারো৷ বেশভূষায় বাড়ির কেউ তো মনে হচ্ছে না, হয়তো কাজ করে।

আড়চোখে আবেগ ভাইয়ের দিকে তাকালাম। তাঁর এবার গম্ভীরমুখ।

“বেডে কাপড়-চোপড়, সব রাখা আছে। গিয়ে গোসল করে আসো। এন্ড নট এ সিঙ্গেল ওয়ার্ড নাউ!”

তাঁর শীতল কণ্ঠের হুমকিতে তরতর করে বেডরুমে চলে গেলাম আমি। অনেকদিন পর খুব শান্তিপূর্ণ ভাবে গোসল করছি। এতোদিন গোসল খানার সংকীর্ণ চার দেয়ালের মাঝে আসলেই পুরোনো স্মৃতির জন্য হৃদয় দহনে তড়পাতাম আমি।

—-

ভেজা চুলগুলোর উপর ওড়না টেনে আবেগ ভাইয়ের হাত ধরে তাঁর বাবা-মায়ের ফ্ল্যাটের দ্বারে এসে দাঁড়িয়েছি। আবেগ ভাইয়ের ফ্ল্যাটের বিপরীত পাশের ফ্ল্যাটটিতেই আবেগের পরিবার থাকে।। চুমকি মেয়েটি এসে দরজা খুলে দাঁড়ালো।

“আল্লাহ গো ভাবী, আপনি আইছেন। আজ চাচী যে কতো খুশি! সব নিজের হাতে রানসে, আমারে ধরতে পর্যন্ত দেয় নাই।”

হাসির রেখা টানলাম মুখশ্রীতে। পরিস্থিতি হয়তো আল্লাহর কৃপায় আমার ভাবনার মতো অতো জটিলও নয়। আবেগ ভাইয়ের হাত আঁকড়েই এগিয়ে গেলাম।

“বউমা, এসেছো তুমি? বসো, বসো, মা।”

আবেগ ভাইয়ের সাথে চেহারায় তীব্র মিল থাকায় বুঝতে বাকি নেই তিনি আমার শ্বশুর বাবা। ইশারায় সালাম জানালাম। অস্বস্তি নিয়ে সোফায় বসেছি তখনই আবেগ ভাইয়ের বড়ো বোন আয়েশা আপু বসার ঘরে আসেন।

তাকে দেখেই মুখ খানা ক্রোধে ছেয়ে যায় আমার। হাত-পা খিঁচে বসে রইলাম শুধু না। এই মানুষটির প্রতি নূন্যতম শ্রদ্ধা নেই আমার ননাস হিসেবে। যে আমাকে সম্মান করে না, তাকে আমি কেন সম্মান করবো?
আর সেও আমাকে দেখে যে খুশি নয়, তাও বুঝতে পারছি।

“দেখেছিস আয়েশু, আমার বউমা এসে পড়েছে। এখন থেকে আমার পাল্লা ভারি তোর মায়ের থেকে।”

“উফঃ! বাবা, তুমিও যাকে তাকে নিয়ে তামাসা লাগিয়ে দাও। এসব আদিখ্যেতা আমাকে দেখিয়ো না। আর তোমার সুপুত্রকে এও জিজ্ঞেস করো, কোথায় ছিল এই মেয়ে এতো দিন? পরপুরুষের ঘরে দিন কাটিয়ে এসেছে, যুদ্ধ জয় করে না।”

মেয়ের গলায় আমার শাশুড়ি মাও বেরিয়ে এসেছেন রান্নাঘর থেকে। মেজাজ খারাপ হচ্ছে ভীষণ। ইচ্ছে করছে দুয়েক কথা শুনিয়ে দেই, কিন্তু তা তো সম্ভব নয়। তাই ফোন হাতে ট্রান্সলেটরে যেয়ে মনের কথাগুলো টাইপ করছি, যাতে ভয়েসে কনভার্ট করতে পারি।

“আমার বউকে কোথা থেকে নিয়ে এসেছি, সেটা নিয়ে আপনার মাথা ঘামানোর প্রয়োজন নেই। আমার মানুষটাকে আমি খুব ভালোভাবেই চিনি, এর জন্য আপনার প্রয়োজন। আর যাই হোক আমার বউ আপনার মতো অকৃতজ্ঞ আর কৃতঘ্ন নয়। আসলে এক দিক দিয়ে আপনার কথাই ঠিক, অনেক বড়ো ভুল করেছে ও। তা হলো আপনার মেয়েকে বাঁচিয়ে। নাহলে আজ ওর কণ্ঠ হারাতে হতো না, আপনার জন্য নিজের বাড়ি ছাড়তে হতো না, আপনি ওর চরিত্র নিয়ে কথাও বলতে পারতেন না। আপনি এতো কৃতঘ্ন হবেন আর এমন অপরাধ ওর সাথে করবেন জানলে সেদিন ওর বার্তা পাওয়ার সাথে সাথে ওকে চোখ বন্ধ করে নিজের বাড়ি চলে যেতে বলতাম।”

আয়েশা রাগে ফোঁসফোঁস করে উঠলো। কী একটা বলতে গিয়েও থেমে হনহন করে চলে গেল। হয়তো বা বলার মতোন কিছুই পাচ্ছে না। আমি বিস্মিত হব না কি মুগ্ধ বুঝতে পারছি না। মা হয়তো মিথ্যে বলেনি। আল্লাহ আমাকে আমার কণ্ঠের বিপরীতে অনেক দামী উপহার দিয়েছেন।

এর মাঝেই আবেগ ভাই আমার হাত ধরে সোফা থেকে টেনে দাঁড় করালেন।

“ছাগলের মতোন বসে আছো কি আরও কিছু শুনতে? চলো এখান থেকে। আর মা-বাবা ভাত গিলার সময়ে এমন অপমান না গিলালেও পারতে।”

বুঝলাম না কোথায় অপমান গিললেন তিনি। কথা শুনালো তো আমাকে, আবার যা শুনালো তার চেয়ে দ্বিগুন অপমান তো তিনি করে দিলেনই। শুধু শুধু চলে যাওয়ার দরকার কী? আমি সেভাবেই দাঁড়িয়ে রইলাম। টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গেলেন। মা, বাবা বেশ কয়েকবার ডাকলেন, কিন্তু তিনি তো তিনিই। ফিরেও তাকালেন না একবার।

বর্তমানে খাটে দুই গালে দুই হাত দিয়ে বসে আছি। আবেগ ভাই বিষাক্ত নাগের মতোন ফণা তুলতে তুলতে এই কোণা থেকে ঐ কোণা পায়চারি করছেন। মাঝে মাঝে আমায় বকছেন। অদ্ভুত ভাবে এখনও তার চেহারা ও কণ্ঠ উভয়ই শীতল ও গম্ভীর, অথচ তাঁর দ্রুতো উঠানামা করা শ্বাস-প্রশ্বাসে রাগ পরিস্কার।

“হাসিব তোমাকে ঠিক নামই দিয়েছিল, তুমি একটা পিপীলিকাই। আমার সামনেই খালি জঙ্গলের বিলাইয়ের মতোন জঙ্গলিপনা দেখাইতে পারো। অন্যদের সামনে মূর্তির মতো বসে বসে বাজে কথা গিল। আর কথা না বলতে পারো ইশারায় থামতে বলতে, কষিয়ে এক চড় তো দিতে পারতে, তাই না? যত্তসব গর্ধব আমারই মনে ধরে!”

কয়বার একই ভৎসনা শোনা যায়। মানে নতুনত্ব তো আনতে পারে, তাই না? না, আর শুনতে পারছি না এসব আমি। এয়ার ফোন তো নেই। হঠাৎ বেডের পাশে চোখ গেলেই দেখতে পাই আবেগ ভাইয়ের এয়ারবার্ডস পড়ে আছে। ধীরেধীরে তা তুলে সতর্কতার সাথে কানে লাগাই, ওড়নায় কান ঢেকে ফেল। আহ! মোবাইলে আশিষ চাঞ্চালানির একটা ভিডিও ছাড়ি। কয়েক মিনিট যেতেই পেট ফেঁটে হাসি পায়। শব্দ করে হেসে দিলাম আমি।

টের পেয়ে গেল অসভ্য লোকটা। এমন ভাবে বড়ো বড়ো চোখ করে তাকিয়ে আছে যে কলিজার পানি শুকিয়ে গেছে আমার। এখন আমার কী হবে?

চলবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে