জন্মটা পতিতালয়ে Part- 05

0
1508

জন্মটা পতিতালয়ে
লেখকঃ Arian Sumon..
Part- 05

সামিয়াঃ ওকে তুমি এখন যাও কালকে সকালে চলে এসো।
আকাশঃ আচ্ছা ম্যাম একটা প্রশ্ন করব??
সামিয়াঃ হুম করো
আকাশঃ রহমান চাচা সহ ওনারা সবাই কেমন আছে??
সামিয়াঃ তা জেনে তুমি কি করবে??
আকাশঃ না মানে
সামিয়াঃ তাদের কোর্টে ট্রান্সফার করে দিছি। বাকিটা কোর্ট জানে
আকাশঃ তাদের কে আমার মতো কি একটা সুযোগ দেওয়া যাবেনা?
সামিয়াঃ না যাবেনা। সবাইকে সব দেওয়া যায় না।
আকাশঃ ওহ। আচ্ছা আমি আসি
সামিয়াঃ হ্যা আসো।

আকাশ বাড়ি থেকে বেড়িয়ে আসল।

যাক অবশেষে ভালো হবার মতো একটা সুযোগ পেলাম। আল্লাহ হুম্মা আমিন।

আবার আকাশের মনে লাড্ডুও ফুটতেছিল। কারন সামিয়া কে সে সব সময় দেখতে পারবে। ভাবতেও পারছেনা যে সামিয়াই তাকে এইরকম একটা সুযোগ করে দিবে।

যাহোক আকাশ বস্তিতে নিজের বাসায় চলে গেল।

রাতে শুয়ে আছে,,,

আকাশের খুব ইচ্ছে করছে একটু মদ পান করতে। কিন্তু সামিয়ার কথা ভেবে করতেও পারছেনা।
বলা হয়না যার যেটা অভ্যাস সেটা সহজে ছাড়তে পারেনা। আকাশের ও তাই হলো। সহ্য করতে না পেরে মদ্যপান করল।



সকালে ঘুম ভাঙার পর আকাশ দেখে ১১ টা বেজে গেছে।
আকাশের কপালে হাত। মেডাম আমাকে ভোর ভোর চলে যেতে বলেছিল। এ কি করলাম আমি।

তারাতারি উঠে আকাশ ফ্রেশ হয়ে দৌড় দেয় সামিয়ার বাড়ির উদ্দেশ্যে।

২০ মিনিট পরে পৌছে যায়।

গিয়ে কলিং বেল চাপতেই সামিয়া দরজা খুলে দিল।
আকাশঃ আসসালামু আলাইকুম
সামিয়াঃ ওয়ালাইকুম আসসালাম।
আকাশঃ সরি সরি মেডাম দেড়ি করে ফেললাম
সামিয়াঃ তুমি কিছু খেয়েছ?
আকাশঃ না তো
সামিয়াঃ তাহলে গন্ধ আসছে কোথা থেকে?
আকাশঃ কিসের
সামিয়াঃ মদ

আকাশের মনে পড়ে গেল। গতকাল রাতে না সে মদ খেয়েছিল। ইশ ভালো করে ফ্রেশ হওয়া উচিত ছিল।
আকাশঃ আসলে মেডাম ইয়ে
সামিয়াঃ বুঝতে পারছি। আসো ভিতরে আসো।

সামিয়া আকাশ কে নিয়ে ভিতরে বসাল।

সামিয়াঃ শুনো তুমি আজ থেকে এখানেই থাকবা
আকাশঃ আমি??
সামিয়াঃ তা নয়তো কে
আকাশঃ না মানে
সামিয়াঃ কোনো মানে টানে নেই আমি যা বলছি তাই। এই নাও তোমার রুমের চাবি। সিড়ির ধাড়ের রুমে তুমি থাকবা।
আকাশঃ আপনার এ ঋণ যে আমি কিভাবে শোধ করব নিজেও জানিনা। আমার মতো একটা অমানুষ কে এত আপন করে নিবেন জীবনেও ভাবতেও পারিনি।
সামিয়াঃ আরে ধুর। অমানুষ কি বলছ। তুমি খারাপ জগতে থেকেও আমাদের থেকে যথেষ্ট ভালো।
আকাশঃ মেডাম এসব আমার ক্ষেত্রে যায় না।
সামিয়াঃ আচ্ছা এখন রুমে গিয়ে ফ্রেশ হও। আমার থানায় যাব।
আকাশঃ আচ্ছা ম্যাম

সামিয়া উপড়ে উঠে যাচ্ছে। এতক্ষন আকাশ একবারো সামিয়ার দিকে ভালো করে নজর দেয়নি। এতক্ষনে সে খেয়াল করল সামিয়া একটা সবুজ শাড়ি পড়েছে। দেখতে সেই লাগতেছে। দেখলে শুধু দেখতেই মনে চায়।

যাহোক আকাশ নিজের রুমে গেল। রুমে গিয়ে চমকে গেল। রুম টা কত সুন্দর। ভাবতেও পারছেনা আকাশ এত সুন্দর একটা রুমে ঘুমাবে থাকবে। কি যে হচ্ছে বিশ্বাস হচ্ছেনা।

বিকালে আকাশ বাগানের টবে পানি দিচ্ছিল।
হঠাৎ সামিয়া,,,

সামিয়াঃ কি করছ আকাশ?
আকাশ চমকে গিয়ে পিছনে তাকিয়ে দেখে সামিয়া।
আকাশঃ ওহ ম্যাম। এই তো পানি দিচ্ছিলাম গাছগুলোতে।
সামিয়াঃ ওহ আচ্ছা এখন আর দিতে হবেনা। রুমে গিয়ে রেডি হও
আকাশঃ কেন ম্যাম?
সামিয়াঃ তোমাকে নিয়ে বেড় হব
আকাশঃ কেন?
সামিয়াঃ আরে ধুর এত কেন কেন করতেছ কেন? যা বলছি করো। যাও রেডি হয়ে নাও।
আকাশঃ ওকে ম্যাম।

আকাশ নিজের রুমে চলে যায়। গিয়ে ফ্রেশ হয়।

তারপর সামিয়ার সাথে গাড়িতে উঠে। সামিয়া গাড়ি চালাচ্ছে।

আকাশ প্রতিনিয়ত সামিয়ার রুপে।মুগ্ধ হচ্ছে। সামিয়ার চোখ কান নাক সবই তার নয়নের দৃষ্টি কাড়ছে। আকাশ মনে মনে ভাবে। যদি এখন আমরা স্বামী স্ত্রী হতাম তাহলে কত ভালো হতো। এখন হয়ত আমরা,,

সামিয়াঃ এই নামো

সামিয়ার কথায় আকাশের ভাবনার দেয়াল ছেদ করে কানে পৌছালে তার হুশ ফিরে।
আকাশঃ ওহ হ্যা ম্যাম নামছি।

আকাশ নেমে দেখে গাড়ি একটা মলের সামনে দাড় করানো।।

আকাশঃ ওহ ম্যাম আপনি শপিং করবেন?
সামিয়াঃ হুম চলো ভিতরে।
আকাশ নিজের দিকে তাকালো। কোনো ভাবেই সামিয়ার সাথে তার যাচ্ছেনা। পরনে একটা ফুটপাতের প্যান্ট আর শার্ট। এগুলো পড়ে ম্যামের সাথে হাটব। ম্যামের মান ইজ্জত কিছুই থাকবেনা। না আমি এসব দেখতে পারব না।।

আকাশঃ আপনি ভিতরে যান ম্যাম। আমি যাবোনা।
সামিয়া ও বিষয় টা বুঝতে পারল আকাশ কেন যাইতে চাচ্ছেনা।।
সামিয়াঃ ধুর পাগল তুমি যা ভাবছ তার কিছুই হবেনা।
আকাশঃ না ম্যাম আপনি যান
সামিয়াঃ ধুর

সামিয়া আকাশের হাত ধরে ফেলে। তারপর টানতে টানতে ভিতরে নিয়া যায়।
আকাশ কি করবে ভেবে পাচ্ছে না। সামিয়া এমন করবে ভাবনাতেও আসেনি।

যাহোক ভিতরে গিয়ে আকাশ সামিয়ার পিছু পিছু হাটছে। আকাশ আশেপাশের মানুষের দিকে তাকাচ্ছে। কেউই তাদের দিকে ভালো নজরে দেখছেনা।

যাহোক সামিয়া শপিং শেষ করল।

তারপর আকাশ কে নিয়ে গেল শার্ট প্যান্ট এর দোকানে।।
আকাশ কিনতে চাচ্ছিল না। সামিয়া জোড় করে আকাশ কে প্যান্ট শার্ট কিনে দিল।।

তারপর দুজন বাসায় চলে আসে।



আকাশ বাগানে পানি দিচ্ছিল। এমন সময়
সামিয়াঃ আকাশ শুনো তোমার সাথে আমার কথা আছে।
আকাশঃ জ্বী ম্যাম বলুন
সামিয়াঃ ছাদে যাও আমি আসতেছি।
আকাশঃ কেন ম্যাম ছাদের গাছে পানি দিতে হবে নাকি? একটু আগে তো দিয়ে এসেছি।
সামিয়াঃ এত কথা বলো কেন যেতে বলছি যাও।

আকাশ আর কিছু না বলে সোজা ছাদে চলে গেল। গিয়ে গাছ গুলো কে দেখতে লাগল। নাহ সব তো ঠিক আছে। তাহলে ম্যাম ডাকল কেন? নাকি আমার দ্বারা কোনো ভূল হয়েছে।

কিছুক্ষন পর সামিয়া একগুচ্ছ গোলাপ ফুল নিয়ে উপরে আসল,,,

সামিয়াঃ আকাশ
আকাশঃ জ্বী ম্যাম বলুন
সামিয়াঃ I LOVE YOU ( ফুল গুলো দিয়ে)
আকাশ তো বিশ্বাস করতে পারছেনা এসব হচ্ছে টা কি।
আকাশঃঃ কিহহহ ম্যাম কি বলছেন
সামিয়াঃ যা বলছি ঠিকই বলছি I LOVE YOU I LOVE YOU SO MUCH
আকাশঃ ম্যাম আপনি পাগল হয়ে গেছেন নাকি
সামিয়াঃ হ্যা আমি পাগল হইয়া গেছি তোমার প্রেমে।
আকাশঃ ম্যাম কোথায় আপনি আর কোথায় আমি। কিসব বলছেন এসব।
সামিয়াঃ তুমি একসেপ্ট করবে কিনা বলো
আকাশঃ এটা হয়না।
সামিয়াঃ না বললে আমি সোজা ছাদ থেকে লাফ দিব।
আকাশঃ সরি ম্যাম এটা সম্ভব না।

এটা শুনার সাথে সাথেই সামিয়া দৌড় দিয়ে ছাদের কিনাড়ায় চলে যায়। আকাশ সামিয়ার হাত ধরে ফেলে। হাত ধরে টান দিতেই,,,

TO BE CONTINUE

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে