চোখের আড়ালে পর্ব-১৭

0
710

#চোখের আড়ালে
#Maishara_jahan
Part………17

রিমি _ কেনো আমি চা বানিয়ে দিলে কি হবে?
রিমান _ মন ভালো না থাকলে, দোকানে গিয়ে চা আর আড্ডা এটাই বেস্ট।
রিমি মন খারাপ করে বলে _ তাহলে তোরা আড্ডা দে আমি ঘুমাতে যাচ্ছি।

বলে রিমি ফারহানের দিকে তাকায়। ফারহান রিমানের হাত ধরে টেনে বাহিরে চলে যায়। রিমি শুধু তাকিয়ে থাকে। রিমান আর ফারহান বাহিরে যায়। রিমান ফারহানকে বলে _ এতো রাতে চায়ের দোকান কোথায় পাবি? আমাদের এখানে কাছে তো কোনো চায়ের দোকান নাই।

ফারহান _ যানি, এখানেই বস। ভালো লাগছে না।
রিমান _ চল সামনে বেঞ্চে বসি।

ফারহান আর রিমান তাদের বাগানে বেঞ্চে বসে থাকে চুপচাপ। ফারহান নিরাবতা কাটিয়ে বলে _ তুই মাহুয়াকে আমার জন্য অবহেলা করতি তাই না?
রিমান বেঞ্চে হেলান দিয়ে বলে _ তোর জন্য কেনো অবহেলা করবো?
ফারহান হাল্কা হেঁসে বলে _ আমি জানি, তুই আমার জন্যই অবহেলা করতি। ভেবেছিলি তুই মাহুয়ার সাথে প্রেম করলে আমি কষ্ট পাবো। তাই মাহুয়ার ভালোবাসার জবাব দিসনি।
রিমান একটা লম্বা নিশ্বাস ফেলে বলে _ জানি না। আর আমি মাহুয়াকে ভালোবাসি তুই কিভাবে জানিস?

ফারহান হেঁসে বলে _ তোর আচরণে, তোর চাওনিতে সব বুঝা যায়। চোখের আড়ালে যে তুই কাকে দেখতি তা আমি ঠিকি বুঝতে পেরেছি।

রিমান তুচ্ছ হাসি দিয়ে বলে _ আর তুই চোখের আড়ালে কাকে ভালোবাসতি সেটা আমি বন্ধু হয়ে দেখতে পারিনি। ভালো বন্ধু হতে পারিনি আমি সরি।

ফারহান রিমানের কাঁধে হাত দিয়ে বলে _ বন্ধু কাকে বলে তোর থেকে শিখা উচিত। বন্ধুর জন্য নিজের ভালোবাসাকে ত্যাগ করে দিচ্ছিলি।

_ বেস ইয়ার, এখন ফিল্মমি ডায়লগ মারিস না। এক হিসাবে ধরতে গেলে তোর জন্য এতো দিন আমি সিংগেল ছিলাম।
_ মানে?
_ মানে, তুই রিমিকে ভালো বাসিস এটা না বলে মাহুয়ার কথা বলেছিস। তাই এতো দিন আমি প্রেম করতি পারিনি।

ফারহান উঠে একটা কাশি দিয়ে বলে _ এতে আমার কি দোষ?
রিমান _ শালা সব দোষ তোর।
এটা বলে রিমান উঠে ফারহানকে ধরতে নেয় ফারহান দৌড়ে গাড়ির ভিতরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে নেয়। রিমান কাঁচের বাহিরে ধাক্কিয়ে বলছে _ খুল, তোরে না মারলে আমার ঘুম হবে না। খুল।

ফারহান হাসি দিয়ে বলে _ একদিন না ঘুমালে কিছু হবে না। টাটা।

রিমান গাড়িতে লাথি দিতে যায় আর ফারহান গাড়ি টান দিতেই রিমান ঠাস করে পড়ে যায়। রিমান কোমর ধরে বসে আআ করছে। ফারহান একটা হাসি দিয়ে বাই বলে চলে যায়। রিমান ও কোমর ধরে বাড়ির ভিতরে যেতে থাকে আর বলতে থাকে _ হারামি, সময় আমারো আসবে।
________
সকালে আরাবের ঘুম ভাঙে কাজের মেয়ে লিমার ডাকে। আরাব লিমাকে দেখে ঘুৃম ঘুম চোখে বলে _ লিমা তুই এতো সকাল সকাল বেড রুমে কি করিস?
লিমা _ ভাইজান এটা বেড রুম না, এটা তো হোল রুম।
আরাব উঠে ভালো করে তাকিয়ে বলে _ ও এটা তো হোল রুম।
লিমা মিট মিট করে হেঁসে বলে _ ভাইজান, ভাবি কি রাগ করেছে নাকি?
আরাব লিমার দিকে চোখে ঘুম নিয়ে তাকিয়ে বলে _ তুই জানলি কিভাবে?
লিমা খিলখিল করে হেঁসে বলে _ আপনি বেডরুম ছেড়ে হোল রুমে ঘুমাচ্ছেন, বুঝায় যাচ্ছে ভাবি রুম থেকে বের করে দিয়েছে।

লিমার হাসি দেখে আরাব চোখ ছোট ছোট করে তাকায়। লিমা আরাবের তাকানো দেখে চুপ করে যায়। আরাব আস্তে করে বলে _ রুম থেকে বের করে দেয়নি, সোজা মুখের সামনে দরজা লাগিয়ে দিয়েছে।
লিমা_ ভাইজান কিছু বললেন?
আরাব লিমার দিকে তাকিয়ে বলে _ তুই কাজে কেনো এসেছিস?
লিমা_ ভাইজান আমার পরীক্ষা তো শেষ, তাই আবার আসলাম।
_ পরীক্ষা কেমন হলো?
_অনেক ভালো, শুধু গনিতটা নিয়ে একটু চিন্তায় আছি।
_ কেনো? তুই তো গনিতে অনেক ভালো।
_ এই জন্যই তো বেশি চিন্তা।
_ কি বলিস তুই জানিস। আচ্ছা শুন, পরীক্ষা শেষ এখন তিন মাস বসে থাকার থেকে কম্পিউটার চালানো শিখে ফেল। আমি ব্যবস্থা করে দিবো।
_ ঠিক আছে ভাইজান।

তৃষা নিচে নেমে তাদের দিকে তাকিয়ে আছে। লিমা তৃষাকে দেখে বলে _ আসসালামু আলাইকুম ভাবি।
তৃষা _ ওয়ালাইকুম আসসালাম। কে তুমি?
_ ভাবি আমি এই বাসায় কাজ করি।
_ তোমাকে আগে তো দেখিনি।
_ ভাবি আমার পরীক্ষা ছিলো, তাই আসিনি। আপনাদের যে ড্রাইভার আছে তার মেয়ে আমি।

তৃষা হাল্কা হেঁসে বলে _ ওও আচ্ছা। তাহলে আসো আমাকে একটু রান্নায় সাহায্য করো।
আরাব অসহায় এর মতো তাকিয়ে বলে _ আমাকে এক কাপ কফি দিলে ভালো হতো।
তৃষা মুখ ভেঞ্চি দিয়ে বলে _ আমার ফালতু সময় নেয়।
বলে চলে যায়। লিমা চাপা হাসি দিয়ে বলে _ ভাইজান আমি এনে দিচ্ছি।

লিমা কফি বানাতে থাকে আর তৃষা নাস্তা। তৃষা ডিম ভাজতে ভাজতে লিমাকে জিজ্ঞেস করে _ কিসের পরীক্ষা দিলে এবার?
_ ইন্টারের ভাবী।
_ বাহহ ভালো, ইন্টারে পড়ে রান্না বান্নার কাজ কেনো করছো। কি করার ইচ্ছে আছে জীবনে?
_ আমার বাবার স্বপ্ন আমি ডাক্তার হবো।
_ আর তোমার কি স্বপ্ন?
_বাবার স্বপ্ন পূরণ করবো। আরাব ভাইয়া বলেছে আমাকে ডাক্তার পড়াতে যত খরচ হয় সব তিনি দিবেন। আমাকে শুধু ভালো রেজাল্ট করতে হবে।

_ সে তো অনেক ভালো কথা। তা প্রেম করো?
লিমা হেঁসে বলে _ না না, বাবা জানলে খবর আছে।
_ কাওকে পছন্দ?
_ হুমম,, ভাইয়ার একটা বন্ধু আমাকে পছন্দ করে।
_আচ্ছা কে সে? বিয়ের কথা বলেছে?
_ তার নাম ইরান। সে বলেছে আমাকে বিয়ে করতে চাই কিন্তু তার মা বাবা আমাকে মেনে নিবে না। তাই আরাব ভাইয়া বলেছে আমাকে ডক্টর বানাবে। তাহলে তাদের আর কোনো আপত্তি থাকবে না।
_ ওও তাহলে ডক্টর হবার পর ইরানের বউ হবে তাই তো।
_ না, আমি তাকে বিয়ে করবো না।
_ কেনো?
_ কারন যে আমাকে ভালো বাসবে সে আমি যেমন তেমন ভাবেই ভালো বাসবে। আর মা বাবার কথা আসলে। যে আমাকে মা বাবার সামনে নিয়ে যেতে লজ্জা পায় তার মতো ছেলে আমার লাগবে না। সে আমার মা বাবাকে সম্মান নাও করতে পারে।
_ গুড ডিসিশন। আচ্ছা এই বাড়িতে আমার আগে কোনো মেয়ে আসতো? আরাবের গার্লফ্রেন্ড বা মেয়ে বন্ধু?
_ এবার এসেছেন মেন কথায়। ভাইয়ার কোনো মেয়ে বান্ধবী বা গার্লফ্রেন্ড ছিলো না। ভাইজান আমার মনে দিক দিয়ে অনেক ভালো,আর চরিত্রের দিক দিয়েও।
_______
রিমি ঘুম থেকে উঠে দেখে তাদের বিয়ের জন্য বাড়ি সাজানো হচ্ছে। রিমানকে অনেক ব্যস্থ মনে হচ্ছে। রিমি নিচে গিয়ে বসে। কিছু একটা নিয়ে গবীর চিন্তা করছে। এসময় ফারহান আসে। ফারহানকে দেখে রিমি চমকে যায়। একটু আতংক নিয়ে বলে _ আপনি এখন এসময় কেনো?

ফারহান একটু সিরিয়াস হয়ে বলে _ আন্টি আংকেল এর সাথে জরুরি কথা আছে।
রিমি এগিয়ে এসে বলে _ কিসের কথা?
_ তোকে কেনো বলবো? সর এখন না বললে প্রবলেম হবে।

রিমি ফারহানের হাত ধরে টেনে নিচে একটা রুমে নিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। ফারহান হাল্কা রাগে বলে _ কি করছিস? দরজা কেনো বন্ধ করলি? কেও দেখলে কি মনে করবে কে জানে?
_ আপনার সাথে আমার জরুরি কথা আছে।
_ তোর কথার শুনার আমার সময় নেয়।

ফারহান যেতে নেয় রিমি ফারহানকে ধাক্কা মেরে বলে _ সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকুন। একটা ভুল বুঝাবুঝি হয়ে গেছে, তার জন্য আপনি বিয়েটা ভেঙে দিবেন?
_ বিয়ে ভেঙে দিবো মানে?
_ আপনি বিয়ে ভাঙার কথা বলার জন্যই তো মা বাবার কাছে যাচ্ছেন তাই না?
_এটা তোকে কে বললো?

রিমি কান্না কান্না ভাব নিয়ে বলে _আপনি আমার সাথে কথা বলছেন না, ইগনর করছেন। এতেই তো বুঝা যায় আপনি আর আমাকে বিয়ে করতে চান না। আর আমি কি খুব বড় ভুল করেছি নাকি?

এটা শুনে ফারহান রাগে রিমির দু বাহু শক্ত করে ধরে দরজার সাথে মিশিয়ে বলে _ এটা তুই আবার আমাকে জিজ্ঞেস করছিস। এতো বছর ধরে আমাকে ভালোবাসিস কিন্তু বলিসনি। এমন একটা ভাব নিয়ে চলতি যেনো আমাকে ঘৃণা করিস। জানিস এটা আমাকে তিলে তিলে কতোটা কষ্ট দিয়েছে? তোর কারনে কতো গুলো বছর নষ্ট হয়ে গেলো। তাও ঠিক ছিলো, কিন্তু যখন আমি তোকে বলেছি আমি তোকে ভালোবাসি, এটা মিথ্যা তুই ভাবলি কিভাবে? আমার ভালোবাসা ফেক মনে হয়েছে তোর কাছে? আমাকে এতোটা চিপ মনে করিস, যে নিজের বন্ধুর বোনকে ধোকা দিবো।

রিমি _ সরি,,
ফারহান _ তুই আমাকে ভালো বাসিস না শুধু পছন্দ করিস।
_ না, আমি শুধু পছন্দ না ভালোও বাসি।
_ এ কেমন ভালোবাসা, যাকে পাওয়ার কোনো আকাংক্ষা নেয়?

_ আছে, অবশ্যই আছে। এই জন্যই আপনি যখন ইন্ডিয়ায় ছিলেন তখন আপনাকে বলিনি যে মাহুয়ার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। নিজেকে সেলফিশ মনে হচ্ছিল তাই আরাব ভাইয়াকে বলেছি। কালকে সারা দিন আপনাকে ইগনর করেছি। কারন কালকে মনে হচ্ছিলো, আপনি আমাকে বলবেন, আপনি আমাকে না মাহুয়াকে ভালোবাসেন। এটা আমি শুনতে পারতাম না, তাই ভয়ে আপনার সাথে কথা বলিনি।

_ আমাকে হারানোর এতো ভয় তাই তো আমার বিয়ের পুরো ব্যবস্থা করে ছিলি। ভালো করে শুন বিয়ে তো আমি তোকেই করবো। অন্য কারো হতে দিবো না। কিন্তু বিয়ের পর তোর থেকে দূরে দূরে থাকবো যেমনটা তুই থাকতি। তখন বুঝবি মজা।

বলে রিমিকে সরিয়ে রুম থেকে বের হয়ে যায়। রিমি ফারহানের যাওয়া দেখে বলে _ একবার বিয়েটা হয়ে যাক পরে দেখবো কিভাবে দূরে থাকেন আপনি হুহহহ।
_____
রিমি হোল রুমে বসেই আছে। মা বাবা রিমান আর ফারহান রেডি হয়ে কোথাও যাচ্ছে। রিমি দাঁড়িয়ে বলে _ কোথায় যাও তোমরা?
মা _ কোথায় আর মাহুয়ার বাসায়, রিমান আর মাহুয়ার বিয়ের কথা বলতে।

রিমান লজ্জা পাওয়ার মতো করে মুচকি হেঁসে দাঁড়িয়ে সোফাতে তার আঙুল গুরাচ্ছে। ফারহান তাকিয়ে বলে _ তুই লজ্জা পাস না, এটা তোকে মানায় না।
রিমান আবার ঠিক হয়ে দাঁড়িয়ে বলে _ আমারো তাই মনে হয়। আচ্ছা চলো দেড়ি হয়ে যাবে।
রিমি _ আমিও যাবো।
মা _ না তোর বের হওয়ার দরকার নেয়। বিয়ের আগে এখন ঘর থেকে যতো বের হওয়া যায় ততোই ভালো।

বলে ওরা সবাই মাহুয়ার বাসায় চলে যায়। সবাই বসে কথা বলছে মাহুয়া রাগে রিমানের দিকে তাকিয়ে আছে। রিমান এক গাল হেসে মাহুয়ার দিকে তাকিয়ে আছে। রিমানের হাসি দেখে মাহুয়ার আরো রাগ হচ্ছে।

মাহুয়ার বাবা _ বিয়েটা তাড়াতাড়ি হয়ে গেলো ভালো হতো কারন সবার জানা জানি হয়ে গেছে যে, মাহুয়ার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে।

রিমানের মা _ আমি ভাবছিলাম রিমি আর রিমানের বিয়ে এক সাথে হলে ভালো হয়। কারন এক বিয়ের পর আবার তাড়াতাড়ি ছেলের বিয়ে দিবো কিভাবে। তাই রিমির সাথে ওর বিয়েও দিয়ে দিবো ভাবছিলাম। চারদিন বাকি আছে বিয়ের।

মাহুয়ার বাবা _ এতো তাড়াতাড়ি বিয়ে আয়োজন করবো কিভাবে?
ফারহান _ চিন্তা করবেন না আংকেল আমরা সব সামলিয়ে নিবো। আপনার কোনো সমস্যা হবে না।
মাহুয়ার বাবা _ ঠিক আছে, আপনারা যা ভালো বুঝেন।

মাহুয়া রাগে চলে যায় উপরে। রিমান সবার থেকে অনুমতি নিয়ে উপরে যায় মাহুয়ার পিছনে পিছনে। মাহুয়ার রুমের ভিতরে ঢুকে তার বিছানায় বসে পরে রিমান। মাহুয়া রিমানের হাত ধরে টানতে টানতে বলে _ উঠেন আমার বিছানা থেকে। আর বাহিরে যান। এখানে কেনো এসেছেন? উঠেন।

রিমান মাহুয়াকে টান দিয়ে বিছানায় মাহুয়া সহ শুয়ে পড়ে। মাহুয়া উঠতে নেয় রিমান জোর করে শুয়িয়ে দেয়। কয়েক বার এমন করার পর মাহুয়া শুয়েই থাকে। রিমান মুচকি হেঁসে, একহাতে তার মাথার ভার রেখে, মাহুয়ার দিকে তাকিয়ে বলে _ এখনো রাগ করে আছো। কিন্তু আমাকে বিয়ে করার ইচ্ছেটা যায়নি।

_ কে বলেছে আমি আপনাকে বিয়ে করতে চাই?
_ যদি না চাইতে, তাহলে নিচে আমাদের বিয়ের কথা শুনে কিছু তো বলতে। কিন্তু তুমি চুপচাপ ছিলে লক্ষি মেয়ের মতো।
_হুহহহ মোটেও না।
_ আচ্ছা, সরিইইই আর কখনো এমন হবে না। অনেক ভালোবাসি তোমায়।
_ হুম তাই তো নিজের বন্ধুর সাথে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছিলেন।
_ এতো দিন যানতাম যে, ফারহান তোমাকে ভালোবাসে। আমি ওর মনে আঘাত দিতে চাইনি। কিন্তু পরে যখন যেনেছি তুমিও তাকে ভালোবাসো তখন আমার কতোটা কষ্ট হয়েছে বুঝাতে পারিনি। তোমাদের ভালোর জন্য আমি বিয়ে ঠিক করেছিলাম।

_ হ দেখতেই পেরেছি কতোটা ভালোবাসতেন আমাকে। পাগলের মতো আপনার পিছনে ঘুরেছি কোনো পাত্তাই দেননি।
_ এখন আমি তোমার পিছনে ঘুর ঘুর করবো। তাহলে তো মাফ করবে আমাকে?
_ না তাও করবো না?
_ কিন্তু কেনো?
_ তাহলে এক কাজ করি আপনি যেমন আমাকে দেখিয়ে মেয়েদের সাথে ঘুরতেন আমিও ছেলেদের সাথে আগে ঘুরি।

রিমান মাহুয়ার মুখ চেপে ধরে তার কাছে গিয়ে বলে _ ভুলেও এমন ভুল করবে না। তোমাকে তখনোও কারো সাথে দেখে সহ্য করিনি, এখন তো আমার হবু বউ এখনো করবো না। মেরেই ফেলবো।

মাহুয়া রিমানের হাত সরিয়ে বলে _ আমারো ঠিক একি রকম মনে হতো।
_ আচ্ছা, তার জন্য আমাকে যা শাস্তি দিবে আমি সব মেনে নিবো। বলো কি শাস্তি দিবে?
_ পরে ভেবে বলবো, সরেন এখন।

বলে মাহুয়া উঠতে নেয়, রিমান মাহুয়াকে ধরে আবার শুয়িেয় কিস করতে থাকে। মাহুয়া কিছু বুঝে উঠার আগে তাকে ছেড়ে বলে _ কখন ধরে অনেক ইচ্ছে করছিলো। অনেক ক্ষন ধরে কন্ট্রোল করছিলাম। এখন আর সম্ভব হয়নি।

বলে দৌড়ে রুম থেকে বেরিয়ে যায়। মাহুয়া শক হয়ে বসে আছে।

চলবে _______

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে