চোখের আড়ালে পর্ব-১৬

0
661

#চোখের আড়ালে
#Maishara_jahan
Part………16

রিমান রাগে বলে _ অনেক হয়েছে দুজনের। আর ভালো লাগছে না৷ আজকেই তোদের দুজনের বিয়ে হবে। একটু পরেই। পাগল বানিয়ে দিয়েছে দুজনে। বিয়ে আজকেই হবে। আর বিয়ে পর, ১ বছর তোদের চেহেরা দেখাবি না আমাকে।

ফারহান আর মাহুয়া হা করে তাকিয়ে থাকে। ফারহান বলে _ আমি মনে হয় ভুল শুনছি। কার বিয়ে আর কার সাথে?

রিমান রাগে বলে _ তোর বিয়ে তাও মাহুয়ার সাথে।

মাহুয়া আর ফারহান দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে আবার রিমানের দিকে তাকিয়ে জোরে বলে _ কিহহহ

রিমান _ একটু পরেই কাজি আসছে। তোদের বিয়ে হবে।

মাহুয়া এটা শুনে আবার অজ্ঞান হয়ে যায়। রিমান আর রিমি তাড়াতাড়ি এসে মাহুয়াকে ডাকতে থাকে। পরে রিমান মুখে পানি ছিটিয়ে দেয়। মাহুয়ার হুশ আসে।

রিমান রিমির দিকে তাকিয়ে বলে _ খুশির ঠেলায় অজ্ঞান হয়ে গেছো তাই না৷

এটা শুনে মাহুয়া রাগে উঠতে নেয়, কিন্তু বাঁধা থাকার কারনে পারে না৷ রিমান ভয়ে দূরে সরে গিয়ে বলে _ কি হয়েছে।

মাহুয়া রাগে ছটফট করে, রিমানের দিকে তাকিয়ে বলে _ আমার হাত খুল, তোকে আমি দেখাচ্ছি আমি কতোটা খুশি হয়েছি৷ হাত খুল আমার আজকে আমি সবাইকে মেরে ফেলবো । কি ভেবেছেটা কি৷ সবার আগে রিমানের বাচ্চা আমি তোকে মারবো। বোনের হাসবেন্ড এর সাথে আমাকে বিয়ে দিচ্ছে। হাত খুল তুই।

রিমান হা করে তাকিয়ে বলে _ তুমি আমাকে তুই করে ডাকছো?

মাহুয়া কিছু ক্ষন শান্ত হয়ে রিমানের দিকে তাকিয়ে থেকে, পরে আবার হাত খুলার জন্য ছটফট করে বলে _ তুই, তুমির বাচ্চা, আগে তুই আমার হাত খুল পরে দেখ কি কি করি।

ফারহান শান্ত ভাবে রিমি আর রিমানের দিকে তাকিয়ে বলে _ কেও আমাকে একটু বলবে কি হচ্ছে এইসব?
রিমান _ সব তোর দোষ, তুই কোনো কথা বলবি না। চুপচাপ বসে থাক।

ফারহান _ তোরা আমার বিয়ে মাহুয়ার সাথে দিচ্ছিস?
রিমান _ হুমম
ফারহান _ রিমি তোর কিছু বলার নেয়?
রিমি _ কি আর বলবো।
ফারহান একটু রাগে বলে _ আমাকে বিয়ে করবে না, সেটা ভালো করে বুঝিয়ে বললেই হতো। কিন্তু মাহুয়ার সাথে আমাকে বিয়ে দিচ্ছিস, এটার মানে কি। এটা যদি কোনে মজা হয়ে থাকে তাহলে অনেক খারাপ মজা। অতিরিক্ত রাগ উঠার আগে ছেড়ে দে।

রিমান _ কিসের মজা। কোনো মজা না এটা। তোরা দুজন দুজনকে ভালোবাসিস তাই তোদের বিয়ে দিচ্ছি।

এবার ফারহান রাগে, চোখ লাল করে বলে _ হাত খুল আমার।
রিমি _ একটু পরেই খুলা হবে, কাজি আসছে।

এটা শুনে ফারহান রাগে হাত মুচরি জোরে টান দিয়ে হাত খুলে ফেলে। ফারহানের হাতে অনেক ব্যথা লাগে। রশি খুলে জোরে লাথি দিয়ে চেয়ার ফেলে দেয়। চেয়ার দূরে গিয়ে পড়ে। রিমি ভয়ে সাইড হয়ে দাড়ায়।

ফারহান রাগে সবার দিকে তাকিয়ে চিৎকার করে বলে _ রিমি আমাকে পছন্দ করে না, এটা মানলাম। তোরা রিমিকে আমার সাথে বিয়ে দিবি না এটাও মানলাম। কিন্তু আমার ভালোবাসাকে অপমান করার সাহস কে দিলো তোদেরকে। ছিঃ তোদের এমন কিছু বলার আগে তোদের বিভেগে বাঁধা দিলো না।

ফারহান এবার রিমির দিকে তাকিয়ে বলে _ এতো ঘৃণা করিস আমাকে। আজকের পর থেকে তোর মুখ ও দেখবো না।

মাহুয়া ছটফট করে বলছে _ ফারহান পিল্জ আমার হাতের বাঁধনটা খুলে দিন।

ফারহান গিয়ে মাহুয়ার হাতে বাঁধন খুলে দেয়। মাহুয়া ছাড়া পেতেই সোজা গিয়ে রিমানকে থাপ্পড় মেরে বলে _ কি ভেবেছেনটা কি আপনি আমাকে। আমার কি কোনো আত্মসম্মান নেয়? আমি আগেই বলেছি আমাকে কষ্ট দিলে মেনে নিবো বাট আমাট আত্মসম্মানে আঘাত করলে মানতে পারবো না।

আপনি জানতেন আমি আপনাকে ভালোবাসি তাও আপনি আমার সামনে বিভিন্ন মেয়েদের সাথে ঘুরতে যেতেন, কথা বলতেন তাও আমাকে দেখিয়ে দেখিয়ে। আমি তখনো বেশি কিছু বলিনি। আপনি আমাকে কিস করার পরেও বলেম, আপনি অন্য মেয়েকে পছন্দ করেন। তাই আপনার জীবন থেকে চলে যাওয়ার কথা ভেবেছি।

আপনি যখন কিটনেপ করলেন ভেবেছি, আমাকে ভালোবাসেন তাই নিয়ে এসেছেন। কিন্তু আপনি আমাকে একটা খেলনা ভেবে আপনার বন্ধুর সাথে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছেন। আমি কাকে ভালোবেসেছি সেটা ভেবে আমার ঘৃণা হচ্ছে।

রিমান এবার রাগে বলে _ বেস অনেক হয়েছে। ফারহান তুই না মাহুয়াকে ভালোবাসিস তাহলে রিমিকে বিয়ে করতে কেনো চাচ্ছিস। কারন মাহুয়া আমাকে ভালোবাসে এই ভেবে তাই তো?

ফারহান রিমানের কাছে এসে বলে _ রিমান আমার হাতে শুধু শুধু মার খাস না। আমি তোকে কবে বলেছি যে আমি মাহুয়াকে ভালোবাসি?

রিমান _ মনে আছে ভার্সিটির ফাস্টে পার্টিতে মাহুয়া শাড়ি পড়ে এসেছিলো? তখন তুই ওকে দেখে হা করে তাকিয়ে কি বলেছিলি,, ওয়াও, আবারো প্রেমে পড়ে গেলাম।

ফারহান _ ইউ ইডিয়ট, সেখানে তোর বোন ও ছিলো। তোর বোন আর মাহুয়া একি শাড়ি পড়ে, একি সাথে এসেছিলো।

রিমান _ আচ্ছা, যখন আমি তোকে জিজ্ঞেস করলাম, তুই এই কথাটা কাকে বললি। তখন তো তুই মাহুয়ার নাম বললি।

ফারহান _ তো কি করবো। আমি ভেবেছি তুই যতোই আমার বন্ধু হোস, কোনো ভাইয়ের সামনে তার বোনকে এমন কথা বললে কেও সহ্য করবে না। এতে তোর আর আমার সম্পর্ক যেনো খারাপ না হয় তাই ভয়ে মাহুয়ার নাম নিয়ে নিয়েছি।

রিমান _ কিন্তু এমন তো অনেক বার হয়েছে?
ফারহান _ আমার কি দোষ? এই দুইজন সব সময়, সব জায়গায় এক সাথে থাকে। এক সাথে যায়। আর তোর ও দোষ আছে। আমরা তিন জন বন্ধু বলে কি সব সময় এক সাথে থাকা লাগবো। আর আমিও ইচ্ছে করে বলতাম না মুখ দিয়ে বের হয়ে যেতো।

রিমান একটু রাগে কিছু ক্ষন ফারহানের দিকে তাকিয়ে থেকে ঠোঁট কামরিয়ে বলে _ হালার পো, তুই অন্য কারো নামও তো নিতে পারতি। মাহুয়ার নামই নেওয়া লাগলো।

ফারহান _ আরে দুইটা সারা দিন আঠার মতো লেগে থাকে,আমি কি করবো।

মাহুয়া _ আপনার ফ্রেন্ড আমাকে পছন্দ করে এটা মনে করে আপনি আমাকে জোর করে ওর সাথে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছিলেন। আমার কথা ভাবলেন না।

রিমান একটু মন খারাপ করে বলে _ তুমিও নাকি ফারহানকে পছন্দ করো।

মাহুয়া _ হোয়াট, কে বলেছে? আমি যদি ফারহানকে পছন্দ করতাম তাহলে কি আর আপনার পিছনে পাগলের মতো ঘুরতাম?

রিমি _ আমি ফারহানকে পছন্দ করি, এটা তুই বুঝে ফেলেছিলি। তাই তো আমাকে দেখানোর জন্য রিমান ভাইয়াকে পছন্দ করিস এমন ভাব করিস।

মাহুয়া _ তুই কি পাগল। আমি তোকে কবে বললাম যে আমি ফারহানকে পছন্দ করি?

রিমি _ মনে আছে এক ভেলেন্টাইনে আমি আর তুই সুন্দর দেখে কার্ড বানিয়েছিলাম। তুই বলে ছিলি তুই যাকে ভালোবাসিস তাকে দিবি।

মাহুয়া _ হ্যাঁ তো।
রিমি _ আমি ফারহানকে কার্ড দেওয়ার সময়, তোর বানানো কার্ডটা ওর হাতে ছিলো। আর যখন আমার কার্ডে ফারহানের নাম দেখেছিলি তখন তোর কি অদ্ভুত রিয়েকসন ছিলো, মনে আছে আমার।

মাহুয়া _ আমি রিমানকে দিয়েছিলাম ও ফারহানের হাতে ধরিয়ে দিয়ে চলে গেছে। তাই আমিও মন খারাপ করে চলে গেছি। আর তুই ফারহানকে ভালোবাসিস এটা যানার পর আমি শক হয়ে গেছিলাম। তাই রিয়েকসন এমন হয়েছিলো।

রিমি মাহুয়ার হাত ধরে বলে _ তুই সত্যি, ফারহানকে ভালোবাসিস না?

_ না, আমি শুধু রিমানকে ভালোবেসেছি।
রিমান ফারহানকে জিজ্ঞেস করে _ তুই সত্যি মাহুয়াকে ভালোবাসতি না?
_ না ইউ ইস্টুপিট । মাহুয়া আমার বোনের মতো।

এটা শুনে রিমান খুশি হয়ে মাহুয়ার দিকে তাকিয়ে বলে _ ফারহান তোমাকে ভালোবাসে না।
মাহুয়াও রিমানের দিকে তাকিয়ে বলে _ আমিও আর কাওকে ভালোবাসি না৷

তখনি আরাব আসে কাজি নিয়ে। এসে বলে _ আমি কাজি নিয়ে এসে গেছি।
রিমান _ বিশাল বড় কাজ করে ফেলেছিস। আর ধন্যবাদ লেইট করে আসার জন্য।
আরাব _ আরে এই টাইমে কোনো কাজি পাওয়া যাচ্ছিলো না, তাই ধরে বেঁধে মাহুয়ার কাবিনের জন্য যে কাজি ঠিক করেছিলো তাকেই নিয়ে এসেছি।

রিমান _ বাহহ সাব্বাশ, বাঘের বাচ্চা।
আরাব _ তো এখন বিয়ে পড়ানো শুরু হোক।
ফারহান _ কোনো বিয়ে হবে না এখানে।
মাহুয়া রাগে বলে _ বিয়ের গুষ্টির খেতায় আগুন। যার বিয়ের শখ তাকে বিয়ে দিন। আমার কোনো শখ নেয়। আর না আর কাওকে বিয়ে করার ইচ্ছে।

বলে মাহুয়া যেতে থাকে। রিমান গিয়ে মাহুয়াকে আটকানোর চেষ্টা করে। কিন্তু মাহুয়া টেক্সি করে চলে যায়৷ আরাব এসে বলে _ মাহুয়া চলে গেলো কেনো। বিয়ে হবে না?
রিমান _ বউ চলে গেছে বিয়ে কিভাবে হবে?
আরাব _ তাহলে কাজি কেনো আনলাম?

রিমান_ আমরা কি জানি?
আরাব_ আমরা কি জানি মানে? তুই তোহ আনতে বললি।
রিমান _ আমি আগুনে লাফ দিতে বললে কি, আগুনে লাফ দিবি?
আরাব _ আরে আজব বিয়ে হবে না তো কাজি কেনো ডাকালি?
রিমান _ দূরর কাজি কাজি করিস না। আমি মাহুয়াদের বাসায় গেলাম।

আরাব _ তাহলে এতো কষ্ট করে কাজি কেনো ডাকালি?
রিমান _ আর এক বার তুই কাজির নাম নিবি রাস্তায় যাকেই পাবো তার সাথেই ধরে বিয়ে দিয়ে দিবো কিন্তু৷ কাজিকে টাকা দিয়ে বিদায় করে দে। আমি মাহুয়াদের বাসায় গেলাম। আর পিছন থেকে কেও ডাক দিলে খবর আছে।

রিমান গাড়িতে উঠতে যায়, তখনি রিমি ডাক দেয়। রিমান রাগে পিছনে তাকিয়ে বলে _ কি? কি সমস্যা?
রিমি _ আমিও যাবো।
রিমান _ ঠিক আছে আয়। আর ফারহান তোর মন চাইলে তুই ও আরাবের সাথে চলে আয়।

বলে রিমান গাড়িয়ে নিয়ে মাহুয়ার পিছনে যায়। মাহুয়া বাড়ির ভিতরে ডুকে দেখে তার মা কান্না করছে। আর বাবা রাগে বসে আছে। তাকে দেখে সবাই দাড়িয়ে তার দিকে তাকিয়ে আছে। মাহুয়ার মুখ দিয়ে কোনো কথা বের হচ্ছে না।

মাহুয়ার বাবা রাগে তাকে জিজ্ঞেস করে _ কোথায় গিয়েছিলি? কি এমন জরুরি কাজ এসে গিয়েছিলো যে কাবিন ছেড়ে চলে গেলি?

মাহুয়া কি বলবে কিছু বুঝতে পারছে না। শুধু মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে। তার বাবা রাগে আরো কিছু বলতে নেয় তখন মাহুয়ার মা এসে, মাহুয়ার বাবাকে থামিয়ে বলে _ হয়তো নার্ভাস হয়ে গেছিলো। তাই বাহিরে গেছিলো পাশেই। এসে যখন গেছে তাহলে কাবিনটা হয়ে যাক? পরে মাহুয়াকে জিজ্ঞেস করা যাবে।

শানের মা বলে _ ভাবী আমাদের একটু ভাবতে হবে।
শান তার মায়ের কাছে এসে বলে _ এতে ভাবার কি আছে মা?
তখনি রিমান ভিতরে ঢুকে বলে _ ঠিক ভাবার কিছু নেয়। মাহুয়া এই বিয়ে করতে চাই না, এতে আর ভাবার কিছু নেয়।
সবাই মাহুয়ার দিকে রাগে তাকিয়ে আছে। শান রিমানের কাছে এসে বলে _ বিয়ে করতে চাই না মানে?
মাহুয়া _ আমি বিয়ে করবো।
রিমান _ হ্যাঁ তাও আমাকে।
মাহুয়া _ আমি আপনাকে বিয়ে করবো না।

মাহুয়ার বাবা রাগে বলে _ কি হচ্ছে? মাহুয়া বল সত্যিটা।
রিমান _ আংকেল আমি বলছি। আমি আর মাহুয়া দুজন দুজনকে ভালোবাসি। আমরা আপনাকে বিয়ের কথা বলবো তার আগেই, আমাদের মধ্যে ছোট একটা বিষয় নিয়ে ভুল বুঝা বুঝি হয়। যার কারনে আপনার মেয়ে আমার সাথে রাগ করে বিয়েতে রাজি হয়ে যায়। এখন নিজের ভুল বুঝতে পেরে মাহুয়া আবার আমার কাছে বিয়ে করার জন্য আসে।

আমি বিয়ে করতে মানা করে বলেছি যে, “মা বাবাকে না বলে বিয়ে করবো না। আসো আমরা গিয়ে তোমার মা বাবাকে জানায় আমাদের সম্পর্কের বিষয়ে। ওরা নিশ্চয়ই বুঝবে। ওদের মনে কষ্ট দেওয়া ঠিক হবে না৷” এখন ওকে বিয়ে করতে না করেছি দেখে রাগ করে আবার চলে এসেছে।

মাহুয়া রিমানের শার্ট ধরে টান দিয়ে নিজের দিকে ফিরিয়ে বলে _ কিহহহ, আমি এই জন্য রাগ করেছি? আর আমি বিয়ে থেকে পালিয়ে গিয়েছিলাম?

রিমান _ তোহ কি তুমি আমাকে ভালোবাসো না?
_ না, না, নাআআ
_ আচ্ছা, তাহলে দেখাচ্ছি।

রিমাম তার ফোন বের করে মাহুয়ার প্রপোজ করার ভিডিওটা সবাইকে দেখাতে থাকে। মাহুয়া জোর করে ফোনটা নিয়ে, নিচে ফেলে দিয়ে বলে _ এগুলো ভিডিও করে রেখেছেন?
_ এমন একটা স্পেশাল মোমেন্ট ভিডিও না করে থাকা যায়?
বলে মাহুয়াকে একটা চোখ টিপ মারে। মাহুয়া রাগে বলে _ আমি আর বিয়েই করবো না। না কাওকে ভালোবাসবো৷ সবাই যা খুশি করো।

বলে মাহুয়া দৌড়ে উপরে চলে যায়। মাহুয়ার বাবা শানের পরিবারের কাছে মাফ চেয়ে তাদের বুঝিয়ে পাঠিয়ে দেয়। রিমানকে বলে কালকে ওর মা বাবার সাথে এই সব কিছু নিয়ে কথা হবে।

রিমানরা সবাই তাদের বাসায় যায়। রিমি ফারহানের সাথে কথা বলতে যায়। ফারহান তাকে ইগনর করে, রিমানের কাছে গিয়ে বলে _ রিমান চল কোথাও গিয়ে চা খায়। ভালো লাগছে না।

রিমি গিয়ে বলে _ আমি চা বানিয়ে দিচ্ছি।
ফারহান _ লাগবে না। আমরা দোকানে গিয়ে চা খাবো।
রিমি _ কেনো আমি চা বানিয়ে দিলে কি হবে?
রিমান _ মন ভালো না থাকলে, দোকানে গিয়ে চা আর আড্ডা এটাই বেস্ট।

চলবে _____

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে