চিলেকোঠার ভাঙ্গা ঘর পর্ব-০৩

0
699

#চিলেকোঠার_ভাঙ্গা_ঘর
#ফিজা_সিদ্দিকী
#পর্ব_৩(সর্বনাশা কৌতূহল)

৪.
“ম্যাডাম, মেকাপ জিনিসটা সবার সাথে ঠিক যায়না। কিছু মানুষকে মাঝে মাঝে হোয়াইট পেইন্টেড ওয়ালের মতোও লাগে।”

মিটিং রুমে ঢোকার পথে পাশ কাটিয়ে যাওয়া মানবের এহেন মন্তব্যে ভ্রু কুঁচকে তাকায় শ্রেষ্ঠা। সদ্য জয়েন হওয়া অফিসে এটাই তার প্রথম মিটিং। বসের নির্দেশে আজকে মিটিংয়ে উপস্থিত থাকতে হচ্ছে তাকে। যদিও কোম্পানিতে নতুন জয়েন করেছে, তাও মিটিংয়ে থেকে খানিকটা অভিজ্ঞতা নেওয়ার জন্য এ আয়োজন। কিন্তু হুট করেই অপরপক্ষে আরাধ্যকে দেখবে, ব্যাপারটা অপ্রত্যাশিত ছিলো। আরাধ্যর পায়ে পা দিয়ে পারা দিতেই ব্যাথাতুর শব্দ উচ্চারণ করে খানিকটা নিচের দিকে ঝুঁকে পড়ে সে। সেই সুযোগে সকলের অগোচরে আরাধ্যর কানের কাছে খানিকটা ফিসফিসিয়ে শ্রেষ্ঠা বলে,

“সাবধান মিষ্টার, হোয়াইট হলেও অয়েল পেন্ট কিন্তু! দাগ লাগানো এতো সহজ নয়। আপনাদের মতো মানুষের কাছে তো একেবারেই অসম্ভব।”

একেবারে বেকুব বনে যায় আরাধ্য। শ্রেষ্ঠাকে যতো দেখে অবাক না হয়ে পারেনা। মেয়েটার প্রতি জন্মানো সদ্য কৌতূহলকে বেশ ভয় পাচ্ছে সে। ক্ষণিকের জন্ম নেওয়া কৌতূহল ভবিষ্যতের সর্বনাশের কারণ হতে পারে। তাই যথাসম্ভব নিজেকে দূরে রাখার চেষ্টা করেও, কিভাবে যেনো প্রকৃতি বারবার তাদের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে। যেনো ইঙ্গিত দিচ্ছে কিছু একটার। যা বোঝার সাধ্য কিংবা মানসিকতা কোনোটাই আরাধ্যর নেই।

বেশ কিছু কোম্পানির সাথে মিটিংয়ের আয়োজন করা হয়েছে আজ। যেখানে খাঁন ইন্ডাস্ট্রির তরফ থেকে উপস্থিত হয়েছে আরাধ্য আর নির্ঝর। শ্রেষ্ঠার সামনাসামনি বিপরীত চেয়ারে বসে আছে নির্ঝর। তার পাশেই বসেছে আরাধ্য। বিজনেস সম্পর্কিত কিছু ডিল চলছে বেশ কয়েকটা কোম্পানির সাথে। সবটা বেশ মনোযোগ সহকারে লক্ষ্য করছে শ্রেষ্ঠা। আরাধ্যও কোম্পানি ওনার মিষ্টার চৌধুরীর সাথে বেশ কিছু প্রোডাক্ট নিয়ে আলোচনা করছে। কিন্তু নির্ঝরের এসবে কোনো খেয়াল নেই। সে খামখেয়ালীভাবে একমনে দেখে যাচ্ছে শ্রেষ্ঠাকে। যেনো তার প্রতিটা কথা বলার সাথে সাথে কম্পনরত ঠোঁট, মাঝে মাঝে বিরক্তিতে ভ্রু কুঁচকে প্রজেক্টরের দিকে তাকানো, কখনও বা ঠোঁট কামড়ে না বোঝা ব্যাপারটা বোঝার চেষ্টা করা, সবটাই অক্ষরে অক্ষরে মুখস্ত করছে সে। মিটিং রুমের মাঝে যে তারা ছাড়াও বাকিরা উপস্থিত সে ব্যাপারেও চরম উদাসীন নির্ঝর। শ্রেষ্ঠাকে দেখে অন্য এক ঘোরের মধ্যে চলে গেছে যেনো।

“নির্ঝর, ফাইলটা দে।”

“নির্ঝর, নির্ঝর!”

আরাধ্যর জোরে ধাক্কানোর ফলে ধ্যানভঙ্গ হয় নির্ঝরের। খেয়াল করে, রুমের সকলে তার দিকে কেমন করে যেনো তাকিয়ে আছে। সাথে সাথে লজ্জায় মাথা নীচু করে সে। জীবনের কোনো ক্ষেত্রেই এতটা লজ্জায় পড়তে হয়নি তাকে। অথচ আজ কিনা একটা মেয়ের জন্য!

আজ সকালেই নতুন ফ্ল্যাটে শিফট করেছে শ্রেষ্ঠা। বাড়ি থেকে অফিসের দূরত্ব বেশি হওয়ায় শ্রেয়াকে নিয়ে আলাদা থাকার এই আয়োজন তার। যদিও শিমূল নিহার এতে বেশ আপত্তি করেছিলেন। একেবারে গো ধরে বসে ছিলেন যাকে বলে। আদিল সাহেবও মেয়ের এমন সিদ্ধান্তে খুব একটা খুশি হননি। কিন্তু পরিশেষে শ্রেষ্ঠার যুক্তির কাছে হেরে যেতে হয় তাদের। ফলস্বরূপ, অনিচ্ছা সত্ত্বেও শ্রেষ্ঠাকে অনুমতি দিতে বাধ্য হন তারা।

নতুন জায়গায় শিফটের ফলে রুম গোছানো থেকে শুরু করে অনেকখানি কাজ। অফিস শেষে ফেরার পথে শ্রেয়াকে স্কুল থেকে সাথে করে নিয়ে আসে শ্রেষ্ঠা। সেইসাথে বাইরে থেকে কিছু প্যাকেট খাবারও নেয়। যেহেতু আজকে প্রথম দিন, তাই কিচেনে পর্যাপ্ত সরঞ্জাম পাওয়া যাবেনা। তাই খাওয়ার রান্না করে খাওয়া সম্ভব নয়। শ্রেয়াকে সাথে নিয়েই আরও কিছু টুকিটাকি জিনিস কিনে ফেলে শ্রেষ্ঠা।

“জানো মানি, ওই ভালো আঙ্কেলটা আজকে আবার এসেছিল আমাদের স্কুলে। আমাকে চকলেট দিয়েছে এত্তোগুলো।”

শ্রেয়ার দুই হাত দুইদিকে ছড়িয়ে চকলেটের পরিমাণ বলা দেখে ফিক করে হেসে দেয় শ্রেষ্ঠা। শ্রেয়াকে কোলে তুলে নিয়ে বলে,

“তুমি আঙ্কেলের ব্যথা কেমন আছে জিজ্ঞাসা করেছ?”

“ইশ রে! একদম ভুলে গেছি তো। এবার কি হবে! আঙ্কেল তো আমাকে পচা মেয়ে ভাববে।”

শ্রেয়ার মুখ ভার হয়ে আসে। যেনো এখনই কেঁদে দেবে। বাচ্চারা ঠিক কতখানি নিস্পাপ হলে, এই সামান্য একটা ব্যাপারে কান্না করে দেয়। বড়দের মতো এদের মাঝে থাকেনা কোনো ইগো। এদের রাগ ভাঙ্গানো অতি সহজ। চাহিদা কম, তাই প্রাপ্তিও অঢেল। অথচ বড়দের মাঝে থাকে হাজারো চাহিদা। তাই দিনশেষে তাদের ফিরতে হয় শূন্য হাতে। ভালোবাসাময় একটা হাতের কতো অভাব! আগলে রাখার মতো একটা মানুষের জন্য কতো হাহাকার! তপ্ত দীর্ঘশ্বাস ফেলে শ্রেয়ার গালে শব্দ করে চুমু খায় শ্রেষ্ঠা। বলে,

“একটুও পচা ভাববে না তোমাকে। কারণ, ভালো মানুষরা কাউকে পচা ভাবতেই পারেনা। যারা ভালো হয়, তারা সবাইকে ভালো ভালো ভাবে।”

“আঙ্কেল ভালো মানুষ বুঝলে কিভাবে? তুমি কি আঙ্কেলের সাথে কথা বলেছো?”

“তুমি না ভালো আঙ্কেল বলে ডাকো! সেজন্যই তো বললাম সে ভালো মানুষ।”

দুজনের কথোপকথনের মাঝে রিক্সা এসে দাঁড়ায় বাড়ির গেটের সামনে। ভাড়া পরিশোধ করে একহাতে শ্রেয়ার হাত ধরে অপরহাতে জিনিসপত্রগুলো নেওয়ার চেষ্টা করে শ্রেষ্ঠা। কিন্তু বারবার কিছু না কিছু পড়ে যাচ্ছে। অনেকগুলো জিনিস হওয়ায় একহাতে নেওয়া সম্ভব হচ্ছেনা তার পক্ষে। ইতিমধ্যে পাশে এসে দাঁড়ায় বাড়ির দারোয়ান। সাস্থ্যবহুল বেশ মোটাসোটা গোছের লোকটাকে তাদের কাছাকাছি দেখে প্রাথমিকভাবে খানিকটা ভড়কে গেলেও পরবর্তীতে তার বেশভূষা দেখে আশ্বস্ত হয় শ্রেষ্ঠা।

“আজকেই নতুন ফ্ল্যাটে ওঠা মানুষটা আপনি!”

“জ্বী”

“আপনার কোনরকম সমস্যা হলে আমাকে বলবেন ম্যাডাম। বাড়িওয়ালা স্যার সকালেই আপনার কথা আমাকে বলেছেন। শুনলাম একাই থাকছেন এখানে বাচ্চা নিয়ে! কোনো প্রয়োজন হলে জানাবেন কিন্তু ম্যাডাম। আর এগুলো আমাকে দিন, আমি দিয়ে আসছি।”

তীক্ষ্ণ চোখে লোকটাকে পরখ করে শ্রেষ্ঠা। অতঃপর ব্যাগগুলো রেখে এগিয়ে যায় লিফটের দিকে। জিনিসপত্রের ব্যাগ হাতে দারোয়ান গোছের লোকটাও লিফটে ওঠে। চতুর্থ ফ্লোরের নির্দিষ্ট রুমের সামনে গিয়ে গেট খুলে দেয় শ্রেষ্ঠা। লোকটা ভেতরে ঢুকে ব্যাগগুলো রাখতে চাইলে বাধা দেয় শ্রেষ্ঠা। বলে,

“ধন্যবাদ দাদা। আপনি এমনিতেই অনেকটা সাহায্য করলেন। বাকিটা আমি নিজেই করে নিতে পারবো।”

শ্রেষ্ঠার হাসিমুখে বলা কথার মাঝে সূক্ষ্ম এক বাধা দেওয়ার প্রবনতা দেখে বিপরীতে হাসলো লোকটা। এরপর শ্রেষ্ঠার ওড়না ধরে পিছনে দাঁড়ানো ছোটো শ্রেয়ার গাল টেনে দিয়ে পিছু ফিরে চলে গেলো। শ্রেয়া চরম বিরক্ত হলো তার এই কাজে। গাল টানা বিষয়টা একদমই পছন্দের নয় তার। আবার সেটা যদি অপরিচিত কেউ হয়, তো বেজায় ক্ষেপে ওঠে। লোকটাকে চোখ মুখ কুঁচকে কিছু বলতে গিয়েও বলা হলোনা তার। কারন ততক্ষনে লিফটের দরজা বন্ধ করে সে নীচে নেমে যাচ্ছে।

°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°

আরাধ্যকে রেডি হয়ে রুম থেকে বের হতে দেখে বিচলিত হন আরোহী। মাত্র কিছুক্ষন আগেই অফিস থেকে ফিরেছে সে। এর মাঝেই হুট করেই এভাবে রেডি হয়ে ব্যাগ গুছাতে দেখে প্রশ্ন করেন তিনি। প্রতিউত্তরে আরাধ্য বলে,

“ফ্ল্যাটে ফিরে যাচ্ছি। এদিক থেকে আমার অফিস কতোটা দূরে হয় জানোই তো মা!”

“আর আমার একা একা থাকতে খুব ভালো লাগে বুঝি?”

“তুমি একা কোথায় মা! শিনু তো আছে তোমার সাথে। আমি বিদেশে যাওয়ার পর তো ওই তোমাকে সঙ্গ দিতো!”

“নিজের ছেলে পড়ে থাকবে ফ্ল্যাটে। কী খাবে, কী করবে কোনো ঠিক নেই। আর আমি শিনুকে নিয়ে শান্তিতে থাকতে পারবো?”

“তাহলে তুমিও চলো আমার সাথে। বাবা মারা যাওয়ার পর এই বাড়ি ছেড়ে এক পাও নড়েছো তুমি? তাহলে এখন উপায় কী বলো?”

লেবুর শরবত হাতে আরাধ্যর রুমে ঢুকতে ঢুকতে শিনু বলে,

“ভাইয়া, তুমি বরং সপ্তাহের ছুটির দুটো দিন এই বাড়িতে কাটিয়ো। তাহলে তোমারও ভালো লাগবে, আর খালামনিরও একা একা মনে হবেনা।”

আরাধ্যর সাথে রক্তের সম্পর্ক নেই শিনুর। বছর চারেক আগে এক রাতে গ্রামের বাড়ি থেকে ফিরছিলেন তারা। হুট করে মাঝরাস্তায় শুরু হয় প্রবল ঝড়বৃষ্টি। গাড়ি সাইডে দাঁড় করিয়ে আনিসুল খাঁন অপেক্ষা করেন ঝড় বৃষ্টি কমার। হুট করেই বাইরের দিকে তাকাতেই অবাক হয়ে যান আরোহী। একটা চোদ্দো পনেরো বছরের বাচ্চা মেয়ে তুমুল ঝড় বৃষ্টির রাতে রাস্তায় জমে থাকা গোড়ালি সমান পানির মধ্যে থেকে কী যেনো কুড়িয়ে নিচ্ছে! কৌতূহলবশত গাড়ি থেকে নেমে ছাতা হাতে এগিয়ে যান তিনি। আনিসুলের বহু বারণ উপেক্ষা করে মেয়েটার কাছে গিয়ে আরও বেশি অবাক হন। ঠান্ডায় রীতিমত কাঁপছে মেয়েটা। শরীরের রং কেমন ফ্যাকাশে হয়ে গেছে। অথচ সে একমনে পানির মধ্যে থেকে পাঁপড় কুড়াচ্ছে। এই কাজে সে এতটাই নিমগ্ন যে, সামনে কারোর উপস্থিতি টের অবদি পায়নি।

“এই মেয়ে, এতো ঝড় বৃষ্টির মাঝে এগুলো কী করছো তুমি? এভাবে বৃষ্টিতে ভিজলে শরীর খারাপ করবে তো!”

রাতের শুনশান জায়গায় আচমকা কারোর কণ্ঠস্বর শুনে কেঁপে ওঠে মেয়েটা। ভয়ে ছিটকে পিছিয়ে যায় দুই পা। সেই সাথে এতক্ষন ধরে কুড়িয়ে জড়ো করা পাঁপড়গুলো আবারও পড়ে যায় পানিতে। মেয়েটা কাঁদো কাঁদো মুখে তাকায় আরোহীর দিকে। তার নিস্পাপ মলীন চেহারা দেখে ভীষণ মায়া হয় আরোহীর। অতঃপর কোমল কণ্ঠে জিজ্ঞাসা করেন,

“এতো রাতে বৃষ্টিতে ভিজে এগুলো তুলছিলে কেনো? খিদে পেয়েছে তোমার?”

মেয়েটা মাথা নাড়ায়। যার অর্থ তার খিদে পায়নি।

“তাহলে?”

ঘনঘন নেত্রপল্লব ফেলে মেয়েটা। ক্রমাগত ধারায় গড়িয়ে পড়া বৃষ্টির পানি মুখ হতে মোছার বৃথা চেষ্টা করে ক্ষীণ কণ্ঠে বলে ওঠে,

“বেচতে বের হইছিলুম সকালে। বেশি একটা বেচতে পারি নাই। এহন এগুলা মাসির কাছে নিয়ে যাচ্ছিলুম। আর ঝড়ে সব উল্টে গেছে গা। কুড়াচ্ছিলুম, আর পানি এসে গেছে গা। সব ভেসে যায়। মাসি হিসেব দিতি না পারলে মারে খুব। তো এহন এগুলো কুরাচ্ছিলুম। ফের পড়ি গেছে গা। এহন মাসির হাতে মার খেতি হবে। রাতে খেতিও পামু না।”

“তোমার নিজের মাসী?”

“আমার কেউ নাই। আমার মতো অনেকজন আছে মাসির কাছে। সব একসাথে থাহি। মাসির মাল বেচে দিলে খাওন দেয়। লাভ বেশি হলি দশ টেহা করি দেয়। আমরা খাবার কিনি খাই।”

কণ্ঠ ভিজে আসে আরোহীর। এতটুকু একটা মেয়ে কতোটা যন্ত্রণায় দিন পার করে ভাবতেই গা শিউরে ওঠে তার। বাবা মা হীন অনাদরে বড়ো হওয়া মেয়েটা সমাজের কাছে প্রতিনিয়ত নাজানি কতো লাঞ্ছনা অবমাননা শোনে! একটু এদিক ওদিক হলে মার খায়। তাও পেটের দায়ে সেখানেই পড়ে থাকে। এতক্ষণে বৃষ্টির পরিমাণ কমে এসেছে অনেকটা। বৃষ্টির পানি মেয়েটার শরীরের সমস্ত ময়লা পরিষ্কার করে দিয়ে একেবারে ফুটফুটে, নিস্পাপরূপে প্রতিস্থাপিত করেছে। সেদিন মেয়েটাকে নিজের সাথে করে নিয়ে আসেন তিনি। কাছাকাছি একটা স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেন। নতুন নামে নামকরণ করে তার নাম রাখেন শিনু। রক্তের সম্পর্ক না হলেও ধীরে ধীরে শিনু হয়ে উঠেছে এই বাড়ির একজন। আরাধ্যও তাকে বেশ ভালোবাসে। একেবারে নিজের বোনের আসনে বসিয়েছে। শিনুও খুব অল্পদিনের মাঝেই সবাইকে এতো এতো ভালোবাসা দিয়ে আপন করে ফেলেছিল যে, তাদেরও পাল্টা না ভালোবেসে উপায় ছিল না।

#চলবে!

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে