গানের ওপারে তুমি পর্ব-১০

0
507

“গানের ওপারে তুমি”
পর্ব- ১০
(নূর নাফিসা)
.
.
“এটা কোনো গল্প হলো?”
“কেন, সুন্দর হয়নি? বাস্তব গল্প শুনিয়েছি।”
“এই গল্প তো আমি জানিই।”
“তবে আবার কোন গল্প বলবো! মনে পড়ছে না আর। অন্যকোনো দিন বলবো।”
“ওকে।”
“তুমি বলো দেখি একটা। তুমি পড়োনি কোনো মেয়ের প্রেমে?”
মিহির ঘাড় ঘুরিয়ে তার দিকে তাকাতেই রিপ্তি খানিক ইতস্ততা নিয়ে বললো,
“না মানে, মানুষ প্রেমে পড়তে পারে না? আমারও তো প্রেমের অফার এসেছিলো। আমি দেখলাম ছেলে বুচা। তাই রিজেক্ট করে দিলাম। আরও একটা এসেছিলো, সেটাও কেন জানি রিজেক্ট করে দিয়েছিলাম। সুপারস্টারকে পছন্দ করার কারণেই বোধহয় পছন্দ করতে পারিনি সেই ছেলেকে।”
মিহিরের ঠোঁটের কোণে স্মিত হাসি ফুটলো। এরপর বললো,
“আমার গল্প শুনবে? আমারও একটা কঠিন প্রেমের গল্প আছে।”
“কঠিন প্রেম! তবে সফল হলো না কেন?”
‘কেন’ এর জবাব দিলো মিহির। ধীরে ধীরেই সংক্ষেপে বললো উম্মে ইয়ানাতের গল্প। গল্প সংক্ষেপ হলেও সময় কাটলো প্রায় মিনিট বিশেক। গল্প শেষে রিপ্তির দিকে লক্ষ্য করতে গিয়েই দেখলো মুখটা মলিন, চোখটা ভেজা। তবে এখনো গড়ায়নি অশ্রু। মিহির তাকে হালকা করে ঝাঁকি দিয়ে বললো,
“কি হলো তোমার? কেঁদে দিচ্ছো যেন! আমার গল্প কি এতোটাই বিষাদের ছিলো?”
তার কথায় রিপ্তির মুখের মলিনতা একদমই দূর হলো না। সে ঘনঘন পলক ফেলে মিহিরের দিকে পরিষ্কার চোখে তাকিয়ে প্রাণহীন গলায় জিজ্ঞেস করলো,
“আচ্ছা, ওই মেয়েটা যদি আবার ফিরে আসে?”
মিহির তার সম্পূর্ণ চেহারায় চোখ বুলিয়ে জবাব দেয়,
“সে ফিরবে কিভাবে? তার সাথে তো আমার দেখা হয়নি কখনো।”
“ওই যে বললে, ইনবক্সে তোমার অনুভূতি জানিয়েছিলে। তখন ইগনোর করলেও এখন যদি আবার অনুভূতিতে সাড়া দিতে চায়, তবে কি সুযোগ দিবে?”
মিহির নিরব থেকে আরও একবার বুঝতে চেষ্টা করলো তার মুখভঙ্গি। পড়তে লাগলো অক্ষরে অক্ষরে। রিপ্তি তার গলার দিকে টিশার্টে হালকা টান দিয়ে জবাব চাইলো,
“দিবে সুযোগ? ভুলে যাবে আমাকে?”
ভয়! খুব ভয় উতলাচ্ছে চেহারার গভীরে। মিহির নিশ্বাসে হাসি ঝেড়ে বললো,
“আমি তো তখন অবিবাহিত ছিলাম। তাই কারো মায়ায় জড়িয়ে গেছি সহজেই। কাউকে জীবনের প্রয়োজন ভেবে অনুভূতি জাগিয়েছিলাম মনে। কিন্তু এখন তো তখনকার সময় না। এখন ওসব নিয়ে ভাবলে চলবে? এখন আমাকে জানতে হবে আমি বিবাহিত। জীবনের প্রয়োজন আর অনুভূতিতে আমার ওয়াইফ জড়িয়ে গেছে। তবে কেন অন্যজনকে সুযোগ দেওয়ার কথা ভাববো?”
“দেয় না? দেয় তো। এমন কঠিন কঠিন প্রেমের পর সংসার বেঁধেও অন্যত্র আসক্ত হয়ে পড়ে। ভেঙে দেয় কঠিন প্রেমের সম্পর্কটাও। সেখানে আমাদের সম্পর্ক তো অতি হালকা ভাবে তৈরি হলো মনে হচ্ছে। এর গভীরতা ঠিক কতটুকু বাড়বে?”
“আমি আগে জানলে তোমাকে বলতাম না এই গল্পটা। কারণ, ওই ভয়টা বেমানান তোমার মুখে। হাসিখুশি মুখটা সবসময় হাসিখুশিতেই ভরে থাকুক। একদম ভয় পাবে না। আমি যে তোমার প্রেম গভীরে লুকাতে চাই, সেটা তুমি একটুও উপলব্ধি করতে পেরেছো? তোমাকে এই গল্পটাই কেন জানাতে ইচ্ছুক হলাম, বলো? অতি আপন ভেবেই তো। স্বামীস্ত্রীর মধ্যকার সম্পর্কের মানে বুঝো? একে অপরের অর্ধাঙ্গ। দুষ্টু মিষ্টি প্রেমের জোরে দুজনে আধো আধোতে মিলে পূর্ণাঙ্গ হয়ে থাকবো অনন্তকাল। নো লুকোচুরি…”
রিপ্তি মাথা পেতে দেয় তার বুকে। বিষাদাক্রান্ত গলায় বললো,
“এতোসব মানে বুঝি না আমি। তুমি আমার থাকলেই হয়, ব্যাস! একদম ভুলবে না আমাকে। মরেই যাবো তবে।”
“পাগল নাকি!”
“হ্যাঁ, পাগলই। তুমি বলতে পাগল।”
পাগলের প্রীতিকর পাগলামোতে যেন বড্ড সুখ অনুভূত হচ্ছে মিহিরের। সে তার ভয় দূর করতে শক্ত করে জড়িয়ে নিলো আশ্বাসদায়ক বাহুডোরে। ভেতরে টেনে নেওয়া ধীর নিশ্বাসটুকুও বললো, তার এই হারানোর ভয়ের কান্না সফল হয়ে বাঁচুক। পূর্ণতার জোয়ারে ভাসুক তাদের নতুন অধ্যায়ের গল্প।

মিহির শুটিংয়ের জন্য দেশের বাইরে চলে যায়। বাড়িতে বউ শ্বাশুড়ির সেই সময়টুকু কাটে কখনো ব্যস্ততায়, কখনো অবসরে। জিনিয়া তাবাসসুমের পূর্বের চেয়ে ভালো সঙ্গ পাওয়া হলেও রিপ্তির আনন্দের পরিমাণটা কমে এলো যেন। সে তো এই বাড়িতে এই ক’টা দিন আরেকটু বেশি উল্লাসে অভ্যস্ত ছিলো। শ্বাশুড়ি মায়ের সঙ্গ তো ছিলোই, মিহিরের সাথেও গল্পসল্প আর দুষ্টুমিতে মেতে থাকতো। মিহিরের অনুপস্থিতিতে তা আর হচ্ছিলো না। কেমন নিরিবিলি লাগছিলো সব। বাবার বাড়ি থাকলে রোহানের সাথে দুষ্টুমিতেও সময় কেটে যেতো। এখানে সেইটুকুও হচ্ছে না। এরইমধ্যে বড় ফুপুর ছোট মেয়েটা মারা গেলো ক্যান্সারের সঙ্গে লড়ে। মনটা যেন তার প্রভাবে আরও খারাপ। মিহিরের মিউজিক রুমের দিকটাও প্রাণহীন লাগতে শুরু করে। তার ধারাবাহিক সময় কাটছিলো কেবল পড়াশোনা আর সাংসারিক কাজে। ক্ষণে ক্ষণে পথভ্রষ্ট হয়ে হারিয়ে যায় যেন একাকীত্বের ভীড়ে। নাকে ফুল দেখে বান্ধবীদের অনেকেই ধরতে পেরেছে তার বিয়ে হয়েছে। কেউ কেউ জানে সে মিহিরের বউ, কেউবা জানে না। ইউনিভার্সিটিতে গেলে বান্ধবীদের সাথেও সময় কিছুটা ভালো যায়, বাড়ি ফিরলে শ্বাশুড়ি মায়ের সাথে এবং ফোনে মিহিরের সাথে। মাঝে মাঝে শ্বাশুড়িকে সাথে নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে বাবার বাড়ি চলে যায় দেখা করতে। বাবা মাও দেখতে আসেন মাঝে মাঝেই।
দীর্ঘ আঠারো দিন পরে বাড়ি ফিরেছে মিহির। বাড়ি ফিরছে শুনেই রিপ্তির মনটা ভারি ফুরফুরে হয়ে ছিলো। আজ ক্লাস করতেও গেলো না। অথচ জানেই, মিহির ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যা কিংবা রাত হবে। তবুও সে যাবে না। ঘরে খুটিয়ে খুটিয়ে কাজ করবে। প্রাণপণে মিহিরের অপেক্ষা করবে। গুছানো ঘরই নেড়েচেড়ে আবার গুছালো সে। রান্নার ব্যস্ততায়ও প্রফুল্লচিত্তে জড়ালো নিজেকে। বই হাতে একদম বসলো না। সন্ধ্যা লগ্নে মিহিরের মুখটা দেখতেই চোখ দুটো জুড়িয়ে গেলো চাতকিনীর। যেন বছর যাবত দেখে না! মিহির তার হাস্যোজ্জ্বল মুখ দেখে ভ্রু টানা দিয়ে মুচকি হেসেছে। সামনে এগিয়ে দিয়েছে একটা কার্টুন বক্স। হাতে নিতেই রিপ্তির মনে হলো ভেতরে নড়াচড়া চলছে! সে অদ্ভুত আগ্রহ নিয়ে তৎক্ষনাৎ খুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়লো বক্সটা। মিহির তার জন্য ফুটফুটে সাদা রঙের একটা ম্যাওছানা নিয়ে এসেছে। রিপ্তি হাসবে না কাঁদবে, বুঝে উঠতে পারছে না। উৎসুক অপেক্ষা যেন দ্বিগুণ সারপ্রাইজ দিলো তাকে। সেই দুর্ঘটনাটাকে মনে পড়ায় চোখটা ভিজে উঠলেও মুখটা সুখের ছোঁয়াতে উজ্জ্বল হয়ে আছে। মিহির সন্তুষ্ট হয়, এক দলা অপরাধের পরিত্রাণ হয় তার। জিনিয়া তাবাসসুমও রিপ্তির আনন্দে আনন্দিত। মায়ের সাথে সাক্ষাৎ করে মিহির রুমে যাওয়ার সময় রিপ্তি পিছু যেত যেতে বললো,
“এটা কোত্থেকে আনলে?”
“তোমার জন্য খুঁজে খুঁজে নিয়ে এলাম এ দেশ থেকেই। ম্যাওছানা পছন্দ হয়েছে তো?”
“হবে না আবার! এতো তাড়াতাড়ি ফেরা হলো যে? আর দুদিন থেকে এলেই তো কুড়ি হতো।”
“কুড়ি হলে খুশি হতে?”
“আমার খুশিতে কার কি?”
“তোমাকে তো এমনিতেই খুব খুশি খুশি লাগছিলো। কোনো গুড নিউজ দিবে নাকি?”
কোনো জবাব পেলো না রিপ্তির কাছ থেকে। হাতের ব্যাগ একপাশে মেঝেতে রেখে মুচকি হাসি ঠোঁটে রেখেই পিছু ফিরে তাকালো মিহির। ভ্রু নাচিয়ে যেন উত্তর চাইলো। রিপ্তি বললো না কিছুই। লাজুক হাসি লেপ্টে আছে মুখমন্ডলে। দৃষ্টিজোড়া সরিয়ে নিয়েছে চাপা ভাবের ক্ষোভে। যেন আপন মনে পণ করেছে, দিবেই না জবাব তাকে। মিহির এগিয়ে এসে ফিসফিসে গলায় বললো,
“একটু একটু চেঞ্জ লাগছে তোমাকে। মোটা হচ্ছো মেবি। আছে কোনো নিউজ?”
লাজুক হেসে সরে যেতে গেলেই এক হাতে জড়িয়ে আটকে ফেললো মিহির। কাঁধে থুতনি চেপে বললো,
“পালাচ্ছো কেন?”
“ইশ! জেনেই এসেছে সব। আবার ভাব নেয়।”
“সিরিয়াসলি, জানি না কিছু। গেস করে বলেছি।”
“মা বলেনি বুঝি?”
“উহুম। তোমার জন্য মিক্সড আচারও নিয়ে এলাম হাফ ডজন। শর্ত একটাই, কম কম খেতে হবে। এসব বেশি খেলে অসুস্থ হয়ে পড়বে।”
“দেখি!”
উৎসুক গলায় আচারের দর্শনে যেতে ছাড়াতে গেলেও ছাড়লো না মিহির। আটকে রেখেই বললো,
“ওসব পরে। এখন আমাকে দেখো। মিস করোনি এতোদিন?”
“করেছি তো। রাগও করেছি।”
“রাগও? কেন?”
“আমাকে নিয়ে গেলে কি মিসটা করতে হতো!”
মিহির নিশ্বাসে হাসি ঝেড়ে বললো,
“যাবো তো। তার আগে পাসপোর্ট করতে হবে। টেনশন নিয়ো না। পাসপোর্ট করে বেবিকেও নিয়ে যাবো সাথে। কারোই অভিযোগ কিংবা অনুরাগ থাকবে না।”
রিপ্তি খিলখিলিয়ে হাসলো। মিহির বললো,
“আহা! কতদিন এই দুষ্টুর হাসি দেখিনি! খাওয়াদাওয়া ঠিকমতো করো, ঠিক আছে? ফলমূল খেয়ো বেশি বেশি।”
“আবারও কি চলে যাবে দেশের বাইরে?”
“এদিকে আর না। পরেরটা বলা যাচ্ছে না। কাজের উপর ডিপেন্ড করবে।”
“এই গানটা কবে রিলিজ হবে?”
“এই মাসের শেষেই। আমার বার্থডে তে।”
“ওফ্ফ! বার্থডে এসে গেছে!”
হ্যাঁ, এসেই গেছে। আর এসে যাওয়ার প্রেক্ষিতেই পরবর্তী চিন্তা মিহিরের বার্থডে নিয়ে গড়তে শুরু করলো রিপ্তি। কি রেখে কি করবে, ভাবতেই পারছে না। খুব সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগতে শুরু করলো যেন। একটা গিফটও তো তার দেওয়া দরকার। কিন্তু কি গিফট দিবে? এদিকে আবার কিছুটা শারীরিক অসুস্থতায় ভুগতে শুরু করলো হঠাৎ। মাথায় চক্রপাক আর মাঝে মাঝে বদহজমের কারণে দুর্বল হয়ে পড়েছে শরীর। বর, শ্বাশুড়ি ব্যস্ত হয়ে পড়লো তার যত্ন নিতে। ক্লাসও হলো বন্ধ! বিছানাই ছাড়তে পারছে না, আবার কিছু কেনাকাটার জন্য বাইরে যাবে কি করে? অনলাইনে অর্ডার করলে, কেমন না কেমন হয়! সেই চিন্তায়ই দিন পেরিয়ে গেলো। খালি হাতেই রাত বারোটা পর্যন্ত জেগে রইলো প্রিয় মানুষটাকে অন্তত উইশটা আগে করার জন্য। মিহিরের ফোনটাও কিছুক্ষণ আগে নিজের কাছে গচ্ছিত রাখলো যেন, কল করেও তার আগে কেউ উইশ করতে না পারে। বারোটা বাজতেই মলিন মুখে গলা জড়িয়ে ধরে বললো,
“হ্যাপি বার্থডে, সুপারস্টার। আমি বাইরে যেতে পারিনি, তাই কিছু কিনতেও পারিনি তোমাকে গিফট করার জন্য।”
মিহির প্রশান্তি যোগে তৃপ্তিদায়ক হাসি হেসে আবেগ মাখানো কণ্ঠে বলে,
“এবারের বার্থডেতে একটা বউ পেলাম, বাবা হওয়ার নিউজ পেলাম। আর কি লাগে? তুমি আর বেবি সুস্থ থাকলে পরবর্তী বার্থডে বেবিকে কোলে নিয়েই সেলিব্রেট করা যায়। তাই না?”
“হুম, হয়তো। কালকে তোমার জন্য একটা হোমমেড কেক করবো। ওকে?”
“উহুম, তুমি অসুস্থ। সুস্থ হও আগে। কেক পরেও খাওয়া যাবে। বাইরে গিয়ে ডিনারও করবো ফুল ফ্যামিলি নিয়ে।”
এতোটা সান্ত্বনা রিপ্তিকে এইটুকুও শান্ত করতে পারলো না যেন! ওদিকে মিহিরের ফোন বাজতেও শুরু করে দিয়েছে। তার কপালে চুম্বন করে মিহির বললো,
“এবার ফোনটা দাও। আমার রিপ্তিই তো ফার্স্ট উইশ করলো।”
ফোন ফিরিয়ে দিলো রিপ্তি। সকালে উঠেই ময়দা, ডিম, দুধ নিয়ে সে কিচেনে হাজির। শ্বাশুড়ি রান্না করে আর সে কেক প্রস্তুতের আপ্রাণ চেষ্টা করে। তারিকুল ভাইকে দিয়ে বাজার থেকে ফুডকালার, ভ্যানিলা চকোলেটও আনিয়ে নিলো। বছরখানেক আগে তৈরি করেছিলো আরও দুইবার। মোটামুটি ভালোই হয়েছে৷ সেই প্রত্যাশায়ই আবার নিয়েছে। এমনি কলিং বেল বাজলে দরজা খুলতে এগিয়ে এলো রিপ্তি। কিচেন থেকে বেরিয়ে দেখলো মিহিরই খুলেছে। একটা পার্সেল এসেছে। চার পাউন্ডের কেক সাথে ফুলের তোড়া। কে পাঠালো, শুরুতেই জানা গেলো না। মিহির রিসিভ করলেই ডেলিভারি বয় একখানা অটোগ্রাফ নিয়ে চলে গেলো। রিপ্তি এগিয়ে এসে বললো,
“কে দিলো গিফট?”
“অফিসের কেউই হয়তো। দেখি এড্রেস দেওয়া আছে কি না।”
রিপ্তির হাতে কেকের বাক্সটা ধরিয়ে দিলেই রিপ্তি চলে গেলো সেটা রাখতে। মিহির ফুলের তোড়ায় বাঁধা রঙিন কাগজের চিরকুট দেখে স্থির হয়ে গেলো একটা মুহুর্তের জন্য। উম্মে ইয়ানাতের পক্ষ থেকে এসেছে এই গিফট! বার্থডে উইশ করেছে তাকে।
“আমাকে মনে আছে আপনার? উম্মে ইয়ানাত বলছি। হ্যাপি বার্থডে, মিহির খাঁন। জীবনের অগ্রগতিতে শুভকামনা।”

চলবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে