গল্প:-লাভ_স্টোরি_Session_2 পর্ব,,,, (৪)
!!
লেখা_AL_Mohammad_Sourav
আপু:- সৌরভ তসিবার কি হয়ছে ওর কি শরীর খারাপ করছে নাকি এক্সসিডেন্ট করছে কিরে বল।
আমি: কিছু বলতে পারছিনা হঠাত এখানে এসে অজ্ঞান হয়ে গেছে কোন সাড়া শব্দ দিতেছেনা।
আব্বু: নিশ্চয় তুই তসিবাকে কিছু করছিস, তানা হলে হঠাত করে অজ্ঞান হয় নাকি?
আম্মু: আগে ওকে ভীতরে আসতে দাও তারপর যা জিজ্ঞেসা করার করো আর ডাক্তারকে একটা কল করো।
আব্বু: তোমার জন্য আজ ওর এই অবস্তা, সৌরভ আমি তুকে বলে দেই যদি আমার বউমার কিছু হয়! তাহলে আমি তুকে এই বাড়ী থেকে বের করে দেবো বলে দিলাম।
আমি: এখানে আমার কি দোষ আমি তো তসিবাকে কিছু করিনি আর আজ ওর সাথে কোন খারাপ ব্যবহার করিনি তারপর তসিবাকে কোলে করে রুমে নিয়ে খাঠের উপর শুয়ে দিলাম। আর আব্বু ডাক্তারকে কল করছে একটু পর ডাক্তার আসছে ওনি তসিবাকে দেখছে,,
আব্বু: ডাক্তার কেমন দেখলেন বড় কোন সমস্যা আছে?
ডাক্তার: না তেমন কোন সমস্যা নেই, মনে হয় খাওয়া দাওয়া একটু কম করছে। আর কিছু একটা চিন্তা করে তাই হঠাত করে অজ্ঞান হয়ে গেছে। তবে কিছুক্ষনের মধ্যে জ্ঞান ফিরে আসবে, আর একটু শরীরের প্রতি যত্নবান হতে বলবেন,,?
আব্বু: হ্যা বলবো,,,
আমি: চলেন আপনাকে এগিয়ে দিয়ে আসি,, ডাক্তারকে এগিয়ে দিয়ে আসছি তখনি প্রিয়া কল করছে আমি রিসিব করলাম,,
প্রিয়া: সৌরভ তুমি কোথায় আমি কখন ধরে বসে আছি,,?
আমি: প্রিয়া এখন আসতে পারবোনা তুমি বাসায় চলে যাও। আমি আগামীকাল তোমার সাথে দেখা করবো!
প্রিয়া: আচ্ছা ঠিক আছে তাহলে রাখি?
আমি: তুমি কিছু মনে করোনা প্লিজ।
প্রিয়া: আচ্ছা ঠিক আছে বাই,,বলে কলটা কেটে দিলো আমি রুমের কাছে গেলাম। আর তখনি দেখে রুমের ভীতর থেকে হাসির শব্দের আওয়াজ আসছে, আমি রুমে ঢুকার পর কোন শব্দ নেই সবাই চুপ করে আছে আর তসিবা শুয়ে আছে,,
আব্বু: তুই টেনশন করিসনা এখনি তসিবার জ্ঞান ফিরে আসবে,,
আমি: ঠিক আছে,, তখনি তসিবা তার চোখ মেললো,,
আপু: এই তো তসিবার জ্ঞান ফিরে আসছে,, চলেন আমরা সবাই বাহিরে যায় সৌরভ একটু তসিবার পাশে থাকুক।
আব্বু: হ্যা চল আমরা সবাই যায় ওরা দুজনে একটু একা থাকুক চলো সবাই ওরা সবাই চলে গেলো তখনি,,
তসিবা: আমি বাজিতে জিতে গেছি এখন আমি যা চাইবো তাই দিবেন কিন্তু!
আমি: আগে তুমি সুস্থ হয়ে ওঠো তারপর বলো!
তসিবা: ঠিক আছে তবে এখন কিছু দিতে হবেনা আমার যখন প্রয়োজন হবে তখন চাইবো দিবেন তো আমায়?
আমি: বলছি তো স্ত্রীর অধিকার ছারা যা চাইবে তাই পাইবে।
তসিবা: ভয় করবেন না আমি এমন কিছু চাইবোনা আমি খাঠের ওপর থেকে নেমে যাচ্ছি,,
আমি: আরে তুমি করছোটা কি নামছো কেনো বলো তোমার কি লাগবে আমি এনে দিচ্ছি!
তসিবা: কিছু লাগবেনা আমি সুফায় ঘুমাবো আপনি খাঠের উপর থাকেন আর আমি নিছে যাবো।
আমি: তুমি কোথাও যাবেনা বলো তোমার কি লাগবে আমি এনে দিচ্ছি বলো কি লাগবে!
তসিবা: আমার অনেক খিদে পাইছে খাবো।
আমি: তুমি বসো আমি তোমার জন্য খাবার নিয়ে আসতেছি, বলে নিছে গিয়ে কাজের মেয়েকে বললাম কিছু খাবার রুমে দিয়ে আসতে তখনি,,
আপু: ভাই আমার পুরু পুরি বউ পাগল হয়ে গেছে আরে বল তোর খাবারটা সহ রুমে পাঠিয়ে দেয়।
আমি: কিযে বলিস না আপু।
আপু: তুই রুমে যা আমি তোদের খাবারটা রুমে পাঠিয়ে দিচ্ছি যা বলছি।
আমি: আপু তুই এখন আব্বুর মত শুরু করলি, বলে রুমে চলে আসলাম একটু পর কাজের মেয়েটা খাবার নিয়ে আসছে তসিবা শুয়ে আছে আমি তসিবাকে শুয়া থেকে ওঠিয়ে বসলাম। তারপর নিজের হাতে খাইয়ে দিতে চাইছি,, কিন্ত তসিবা না করছে,, আমি এক প্রকার জোর করে খাইয়ে দিতেছি।
তসিবা: আপনি যে বলেন আমাকে লাভ করেন না, তাহলে আমার জন্য এতটা কষ্ট পাচ্ছেন কেনো?
আমি: কথা কম বলে খাবারটা শেষ করো।
তসিবা: আপনি খাবার খাইছেন?
আমি: না পরে খাবো তুমি এখন খাও।
তসিবা: তা হবেনা দেন আমি আপনাকে খাইয়ে দেই,, বলে আমাকে তসিবা খাইয়ে দিলো দুজের খাবার শেষ হলো তারপর আমি তসিবার হাত দুইয়ে দিলাম,,
আমি: তসিবা আজ তুমি খাঠের উপর ঘুমাও আমি সোফায় শুয়ে পরলাম,,
তসিবা: আপনি চাইলে খাঠের উপর আমার সাথে থাকতে পারেন এতে আমার কোনো আপত্তি নেই।
আমি: না তার কোনো দরকার নেই, তুমি ঘুমিয়ে পড়ো আমি সোফায় ঘুমিয়ে পড়লাম,, সকালে ঘুমথেকে উঠে দেখি তসিবা রুমে নেই। মেয়েটা গেলো কোথায় হয় তো নিছে গেছে,, আমি উঠে ফ্রেশহতে বাথরুমে গেলাম বাথরুম থেকে বেড়হলাম একটু পর। তারপর রেডিহয়ে অফিসের জন্য রুমথেকে বের হলাম যখনি সিঁড়ির কাছে গেলাম তখনি শোনতে পাচ্ছি তসিবা আপুকে বলছে,,
তসিবা: জানেন আপু আগামীকাল আমার কিছু হয়নি। আমি ইচ্ছে করে এমন করছি, যাতে করে সৌরভ প্রিয়ার সাথে দেখা না করতে পারে।
আপু: গতকাল যদি তুমি ভাইয়ের মুখটা দেখতে তাহলে বুঝতে ভাই কতটা টেনশনে ছিলো,,
তসিবা: তাই তাহলে মাঝে মাঝে এমন অভিনয় আরো করতে হবে, তাহলে আমাকে নিয়ে একটু চিন্তা করবে। আর তখনি আমি তসিবার সামনে এসে হাজির হলাম আমাকে দেখে ভয়ে একদম চুপসে গেছে, আর চোখ গুলো বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু আমি তসিবার কথা গুলো শোনে না শোনার বান করে দাড়িয়ে রইলাম।
এখানে কিছু বলা যাবেনা কারন আপু আছে। আজ অফিসে যখন দুপুরে খাবার নিয়ে যাবে, তখন বুজাবো আমার সাথে চিটিং করার মজাটা। কথা গুলো মনে মনে বললাম আমি।
আমি: তসিবা তোমার শরীর ভালো হয়ছে এখন,?
তসিবা: হ্যা এখন আগের চাইতে অনেকটা ভালো লাগছে।
আমি: ঠিক আছে আমি অফিসে যাইতেছি তুমি ঠিক মত ঔষধ গুলো খেয়ে নিবে।
তসিবা: ঠিক আছে নেবো, আর দুপুরে আমি আপনার টিফিন নিয়ে যাবো নাকি!
আমি: যদি তোমার ভালো লাগে তাহলে যেয়েও আমার কোনো আপত্তি নেই। আজ আর না করলাম না, কারন একটাই দুপুরে মজা দেখাবো।
আপু: ভাই তুই দেখছি বউকে ভালোবেসে ফেলছিস। এক কাজ কর তসিবাকে তোর পার্সোনাল এসিস্টেন্ড করে নেই অফিসে, তাহলে আর চোখের আরাল হবেনা।
আমি: আপু তুইও না।
তসিবা: ঠিক আছে আমি দুপুরের খাবার আপনার জন্য নিজের হাতে রান্না করে নিয়ে যাবো।
আমি: ঠিক আছে, তাহলে আমি অফিসে গেলাম।
আজ তুমি অফিসে আসো তারপর বুজাবো আমার সাথে চিটিং করা কি মজা! বাসা থেকে বের হচ্ছি আর মনে মনে বলছি গাড়ীটা চালিয়ে অফিসে আসলাম এসে কাজ করছি, তখনি প্রিয়ার কল রিসিব করলাম।
প্রিয়া: সৌরভ আজ তুমি আসতে পারবে গুল্ডেন ক্লাবে।
আমি: হ্যা আজ আসবো তুমি বের হবার সময় আমাকে একটা মেসেজ দিও?
প্রিয়া: ওকে দেবো, আর একটু তারা তারি এসো?
আমি: ঠিক আছে আসবো, এখন রাখি হাতে কিছু কাজ আছে।
প্রিয়া: ওকে বাই।
আমি: ওকে বাই। কলটা কেটে দিয়ে কাজ করছি, কখন যে দুপুর দুইটা বেজে গেছে ঠিক বলতে পারবোনা। কিন্ত তসিবা আজ এখনো আসছে না কেনো? মেয়েটার কি কিছু হয়ছে নাকি। তখনি দেখি মহারানি আসছে অফিসে।
তসিবা: আসতে পারি,,।
আমি: তুমি আবার কবে অনুমিত নিয়ে আমার রুমে আসছো একটু শুনি।
তসিবা: ঠিক তানা, যদি আপনি কোনো পার্সোনাল কাজে ব্যাস্ত থাকেন, তাই অনুমতি নিলাম।
আমি: তুমি এমন ভাব করো মনে হয় কিছু বুজনা?
তসিবা: আমি কি এমন ভাব করলাম শুনি একটু।
আমি: আগে ভীতরে আসো তারপর বলছি।
তসিবা: হ্যা আসছি এখন বলেন কি বলবেন?
আমি: তুমি গত কাল আমার সাথে অভিনয় করলে কেনো,,?
তসিবা: কখন অভিনয় করলাম?
আমি: মিথ্যা কথা বলবেনা একদম বলে দিলাম। গত কাল অজ্ঞান না হয়ে অজ্ঞান হওয়ার বান করছো, এইটা কি অভিনয় না?
তসিবি: আমি কোনো অভিনয় করিনি আমি অজ্ঞান হয়ে গেছিলাম।
আমি: শুনো তুমি যখন আপুর সাথে বলছিলে, তখন আমি তোমার সব কথা শুনে ফেলছি। তোমার সাহস হয় কি করে আমার সাথে অভিনয় করা? তোমার মত সস্থা ফেমিলির মেয়েদের আমি ভালো করে চিনি, আর তোমরা যে কি কি করতে পারো এইটা আমার চাইতে ভালো কেও জানেনা।
তসিবা: আগে আমার কথাটা একটু শুনবেন!
আমি: কি শুনবো তোমার কথা! আমার ফেমিলির সবাই তোমাকে অনেক ভালোবাসে। যার কারনে তুমি যা খুশি তাই করতে পারো। বিশেষ করে আব্বু আরা আপু তোমাকে মাথায় তুলে রাখে, যার জন্য আমার সাথে যা খুশি তাই করো। শুনো আজকের পর আর কোনদিন আমার জন্য অফিসে টিফিন নিয়ে আসবেনা।
তসিবা: ঠিকই বলছেন আমাদের মত মেয়েরা স্বামী পাগল হয় তার জন্য আমরা সস্থা ঠিক আছে এখন খাবার খেয়ে নেন।
আমি: তোমার হাতের খাবার আমি খাবোনা যাও এখান থেকে!
তসিবা: খাবারটা খেয়ে নেন আমি এমনি চলে যাবো। বলে আমার হাত ধরে চেয়ারে বসাতে চাইছিলো, তখনি
আমি: ঠাসসস করে একটা থাপ্পর দিলাম। এবার হয়ছে নাকি আরো লাগবে,,? তসিবা কোনো কথা না বলে বেড়িয়ে গেলো অফিস থেকে। যাক আপদ বিদায় হয়ছে। আবার আমি কাজে মন দিলাম কিন্ত কাজ করতে ভালো লাগছেনা। তাই প্রিয়াকে একটা কল করলাম সাথে সাথে রিসিব করলো।
প্রিয়া: সৌরভ বলো,,?
আমি: প্রিয়া এখন তো সন্ধা ৬টা বাজে বের হবে এখন?
প্রিয়া: হ্যা বের হচ্ছি।
আমি: ঠিক আছে তুমি ক্লাবে চলে আসো। বলে কলটা কেটে দিলাম। একটু পর অফিস থেকে বের হয়ে গুল্ডেন ক্লাবে গেলাম দেখি প্রিয়া দাড়িয়ে আছে। কাছে যেতেই, আমাকে জড়িয়ে ধরছে। আরে কি করছো কত মানুষ এখানে ছারো।
প্রিয়া: তাতে কি হয়ছে? চলো আজ আমরা অনেক আনন্দ করবো।
আমি: হ্যা চলো। আমরা দুজনে ভীতরে গেলাম ক্লাবে অনেক আনন্দ করলাম। রাত ৯টা বাজে তখনি দেখি আব্বু কল করছে আমাকে। আমি একটু বাহিরে এসে কলটা রিসিব করলাম।
আব্বু: সৌরভ তোরা কোথায়? বাসায় আসবি কখন?
আমি: আসবো একটু দেরি হবে।
আব্বু: ঠিক অাছে তারা তারি আসবি?
আমি: ঠিক আছে, বলে কলটা কেটে দিলাম, আবার ভীতরে গিয়ে একটু আনন্দ করে রাত দশটায় আমি আর প্রিয়া বের হলাম। প্রিয়াকে বাসায় দিয়ে আমি রাত ১১টায় আমার বাসায় গেলাম, তখনি,,,,,
আপু: কিরে সৌরভ তুই একা আসলি তসিবা কোথায়?
আমি: মানে তসিবা কোথায় আমি কি করে বলবো।
আব্বু: তুই বলতে পারবিনা তাহলে বলবেটা কে?
আমি: তসিবা তো বাসায় থাকবে আমি কি করে বলবো?
আব্বু: আমি বলছিনা ও আজ তসিবার সাথে অফিসে খারাপ ব্যবহার করছে। শুন সৌরভ আজকের মধ্যে তুই তসিবাকে বাাসায় নিয়ে আসবি, তানা হলে তোর এই বাসায় যায়গা নাই।
আমি: ঠিক আছে আমি বাসা থেকে বেড়িয়ে গেলাম দরকার নাই অশিক্ষিত গেয়ো মেয়েকে আমার খুজে বের করার। বলে আমি বাসা থেকে বেড়িয়ে চলে আসলাম।
To be continue