গল্প:- বাল্য কালের বউ সিজন ২ পর্ব:—(৫)
লিখা:- সোহরাব আল ইসলাম
।
ভাইয়া আপু তো ভমি করতেছে আপনি আপুকে ছেরে যাইয়েন না প্লিজ। আম্মু বাসায় নেই যদি আপুর কিছু হয় তাহলে আমি কেমনে কি কিরবো? (নিহা)
আমি:- এক কাজ করো একটা টাওয়াল নিয়ে এসো আর এক মগ পানি নিয়ে এসো।
নিহা:- হ্যা আসতেছি, নিহা চলে গেছে আমি নিশির পাশে বসে নিশিকে ধরে বসিয়েছি। নিহা মগে পানি আর টাওয়াল নিয়ে এসেছে।
আমি:- নিহা তোমাদের বাসায় টক জাতীয় কিছু খাবার আছে বা কোন আচাঁর থাকলে বলো।
নিহা:- ফ্রিজে আছে আমি নিয়ে আসতেছি। নিশির জামা নষ্ট করে ফেলছে ভমি করে। নিহা লেবুর সরবত নিয়ে এসেছে আমি নিশিকে খায়িয়ে দিয়েছি।
আমি:- নিহা কালনী ভুয়াকে ডাক দাও, নিহা গিয়ে ওনাকে ডেকে আনছে, ভুয়া আপনি নিশির কাপড়টা চেন্জ করে দেন।
ভূয়া:- ঠিক আছে তুমি বাহিরে যাও।
আমি:- ভূয়া আপনি আন্টিকে কিছু বলিয়েন না। কারন আন্টি জানতে পারলে নিশিকে অনেক বকা দিবে। আচ্ছা নিহা তুমি সাথে থাকো আমি রুমে গিয়ে ফ্রেস হয়ে নেই।
নিহা:- ঠিক আছে, আর ভাইয়া আপনি কিন্তু আমার প্রশ্নের উত্তর দেননি?
আমি:- নিহা তুমি যেইটা ভাবছো তার কিছুইনা এমনিতেই একটা মেয়ে বিপদে পড়ছে তাই সাহায্য করেছি। ঠিক আছে আমি গেলাম। রুমে এসে ফ্রেস হয়ে শুয়েছি আর কখন ঘুমিয়ে গেছি ঠিক মনে নেই। সকালে ঘুম থেকে উঠে তারা তারি করে কলেজে চলে এসেছি। এসে জুয়েলের কাছে সব খুলে বলছি।
জুয়েল:- আচ্ছা তুই নিশিকে সব খুলে বল দেখ নিশি কি বলে?
আমি:- হ্যা তাই করবো তবে আগে আরো নিশিকে আমার প্রতি দূরবল করি। চল ক্লাসে যাই এমনি পেছন থেকে কেও একজন আমার হাত ধরে বলে,,
সরি কালকে তোমাকে থাপ্পড় দেওয়ার জন্য। আমি তাকিয়ে দেখি নিশি
আমি:- আরে আপনি আমাকে সরি বলছেন কেন? আর কখন আপনি আমাকে থাপ্পড় দিয়েছেন?
নিশি:- বলছি তো সরি তাহলে কেন এমন করছেন? গতকাল রাতের গটনা সব নিহা আমাকে খুলে বলছে। তার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আমি:- দেখুন মিস নিশি আপনার কোন কথায় আমি বুঝতে পারছিনা আপনি কেন সরি বলছেন আর কেনই বা ধন্যবাদ দিতেছেন?
নিশি:- আপনি আল ইসলাম ভাইয়া না?
আমি:- না আমি আল নয়। আমার নাম সোহরাব।
নিশি:- ও আমার বরের নাম সোহরাব, আসলে আপনার মত দেখতে একদম হুবুহুব নাম তার আল ইসলাম। সরি ভাইয়া আপনাকে বিরিক্ত করার জন্য?
আমি:- কি আমার মত দেখতে, বাহা তাহলে তো ভালোই। আচ্ছা তাহলে আমি আসি? এই জুয়েল চল আমরা ক্লাসে যাই।
নিশি:- যদি কিছু মনে না করেন তাহলে আমার বাথডে পার্টিতে আগামী কাল রাতে আমাদের বাড়ীতে আসবেন।
আমি:- না আসতে পারবোনা আমার বাড়ীতে কাজ আছে। এই জুয়েল চল?
জুয়েল:- নিশি চিন্তা করোনা সোহরাব আসবে আগামী কাল তোমার বাথডে পার্টিতে।
নিশি:- ধন্যবাদ তাহলে আল ভাইয়ার সাথে আপনাকে পরিচয় করিয়ে দেব। তাহলে আসবেন কিন্তু আগামী কাল, আর হ্যা আপনার বউকে সাথে করে নিয়ে আসিয়েন কেমন?
জুয়েল:- হ্যা আসবে তা একদম চিন্তা করো না। নিশি চলে গেছে আর তখনি জুয়েলকে আমি সমানে কিল গুশি দিতে লাগলাম।
আমি:- শালা তুই জানিস না আল আমি নিজেই আর সোহরাব আমি, তাহলে কেন নিশির বাথডেতে যেতে রাজি হলি কেন?
জুয়েল:- সরি দোস্ত আমার একদম মনে নেই। এখন কি করবো?
আমি:- কি আর করবো যেতে হবে, আর না গেলে সব শেষ হয়ে যাবে। তবে সব থেকে বড় সমস্যা হচ্ছে প্রিয়া। কথা নেই বার্ত্রা নেই খালি জড়িয়ে ধরে। মনে হয় জড়িয়ে ধরার জন্য একদম ছট ফট করে।
জুয়েল:- ঠিক আছে আগামী কাল প্রিয়াকে আমি ম্যানেজ করবো। তুই শুধু নিশিকে ম্যানেজ করিস কেমন?
আমি:- মনে থাকে যেন? এখন চল একটা প্লান করি কি করে নিশিকে বুঝানো যাবে যে আমরা দুজন ব্যাক্তি দেখতে একি রকম। আর সেইটা সবার সামনে পূরুন করবো। জুয়েল আর আমি মিলে দুজনে একটা প্লান করেছি। আজকে আর ক্লাস করিনি দুজনে মিলে প্লান করেছি। কিছুক্ষন পর দেখি ঐ নকল সোহরাব এখানে কলেজে এসেছে। জুয়েল এই শালাকে আগে সায়েস্থা করতে হবে।
জুয়েল:- শালার গাড়ীর চাকার পাম ছেরে দিব নাকি?
আমি:- গুড আইডিয়া, যা তাই করো যখনি নিশি আসবে তখনি আমি বাইকটা নিয়ে এসে এন্ট্রি নেব।
জুয়েল:- কিন্তু নিশি তোর সাথে যেতে রাজি হবে কেন?
আমি:- বোকা নিশি আলের সাথে যাবে সোহরাবের সাথে নই।
জুয়েল:- দোস্ত তোর মাথায় অনেক বুদ্ধি আছে।
আমি:- যেইটা করতে বলছি তুই সেইটা কর, যা এখন আমি বাইকটা নিয়ে একটু দূরে দাঁড়িয়ে আছি। আর জুয়েল গিয়ে নকল সোহরাবের গাড়ীর চাকার হাওয়া ছেরে দিছে। কিছুক্ষন পর নিশি এসেছে।
নকল সোহরাব:- নিশি আমার ভূল হয়ে গেছে, আসলে গত কাল রাতের গঠনাটার জন্য সরি। আমার একদম উচিত হয়নি তোমাকে একা রেখে চলে আসাটা। আমি পুলিশের ভয়ে তারা হুরা করে বেরিয়ে চলে এসেছি।
নিশি:- তুমি মিথ্যা কথা বলছো কেন সোহরাব? তুমি বলছো তোমার আম্মু আমাকে দেখতে চাইছে আর তুমি কিনা আমাকে ক্লাবে নিয়ে গেছো?
নকল সোহরাব:- আসলে বুন্ধদের পাল্লা পরে গেছি আমাকে ক্ষমা করে দাও প্লিজ এই কান ধরলাম। আর কোন দিন এমন ভূল করবো না, যদি করি তুমি যা বলবে তাই হবে।
নিশি:- আমি তোমাকে ক্ষমা করতে পারবো না, তুমি আমাকে সরবতের সাথে কি সব মিসিয়ে দিছো। তা খেয়ে আমার অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে। যদি আল ভাইয়া না থাকতো তাহলে আমার কি হত?
নকল সোহরাব:- আমি নিজেও জানতাম না, তোমাকে ছুয়ে প্রতিজ্ঞা করতেছি আর কোন দিন এসব ক্লাবে যাবো না। আমি তোমার কাছে দু হাত জোর করে ক্ষমা চাচ্ছি প্লিজ এবারের মত ক্ষমা করে দাও। প্লিজ প্লিজ,,
নিশি:- ঠিক আছে আজকের মত লাস্ট আর যদি কোন দিন এমন ভূল করো তাহলে কিন্তু আমি তোমাকে কোন দিন ক্ষমা করবো না?
নকল সোহরাব:- ধন্যবাদ তোমাকে চলো আমি তোমাকে বাড়ীতে দিয়ে আসি?
নিশি:- হ্যা চলো, ওরা দুজনে গাড়ীতে উঠবে এমন সময় আমি বাইক নিয়ে হাজির হয়েছি।
আমি:- আরে নিশি তুমি আজ কলেজে এসেছো?
নিশি:- হ্যা তা তো সকালে দেখছেন এখন আবার জিগেস করছেন কেন?
আমি:- সরি আমি কখন সকালে দেখছি? আমি যাস্ট অফিস থেকে বাসায় যেতেছি। আজ খুব সকালে অফিসে যেতে হয়ে ছিলো।
নিশি:- আপনি সোহরাব ভাইয়া না?
আমি:- সোহরাব তো তোমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে।
নিশি:- আমি এই সোহরাবের কথা বলছি না। আমাদের কলেজের সোহরাব ভাইয়ার কথা বলতেছি। ও বুঝতে পারছি আপনি আল ভাইয়া।
আমি:- ভাইয়া কে তোমার ভাইয়া?
নিশি:- কেন আপনি কারন নিহা তো আপনাকে ভাইয়া বলে ডাকে।
আমি:- নিহার বয়স আর তোমার বয়স কি এক নাকী? ঠিক আছে তোমার যা মন চাই ডাকো আমি গেলাম। তখনি নকল সোহরাব বলে
নকল সোহরাব:- আরে চাকার হাওয়া ছারছে কে? পেছনের দুই চাকার হাওয়া নেই।
নিশি:- তাহলে এখন যাবো কি করে?
আমি:- নিশি এসো আমিও বাড়ী যাবো, সোহরাব গাড়ী ঠিক করে নিয়ে আসবে।
নিশি:- ঠিক আছে সোহরাব তুমি গাড়ী ঠিক করে নিয়ে এসো। আল ভাইয়া আপনাকে আমার কিছু কথা বলার আছে।
আমি:- হ্যা বলোনা কি বলবে?
নিশি:- সরি আর ধন্যবাদ।
আমি:- বুঝতে পারছি, আসলে আপনার যায়গা যদি অন্য কোন মেয়ে হতনা তাহলে আমি এই কাজটাই করতাম।
নিশি:- তার মানে রাস্তার অপিরিচিত কোন মেয়ের সাথে আমাকে তুলনা করেছেন?
আমি:- ঠিক তানা, আচ্ছা বাদ দোন এসব কথা, এই নেন আপনার বাথডে গিফট।
নিশি:- আমার বাথডে আপনি জানলেন কি করে?
আমি:- আপনার রুমে থেকে আইডি কার্ড দেখে। ঠিক নামেন মেম।এসে গেছি।
নিশি:- ভাইয়া আপনাকে কিন্তু আগামী কাল বাথডে পার্টিতে থাকতে হবে। কারন আপনার মত দেখতে একজনকে আমি আসতে বলছি।
আমি:- সরি আন্টি আমি থাকতে পারবো না আগামী কাল আমার অফিস রাতে করতে হবে। আর একটু দূরে যেতে হবে কম্পানিরর কাজে।
নিশি:- এখানে তো আম্মু নেই তাহলে আন্টি ডাকছেন কাকে?
আমি:- আপনাকে?
নিশি:- আমি আপনার আন্টি হলাম কবে?
আমি:- যখন থেকে আমি আপনার আল ভাইয়া হয়ছি সেদিন থেকে আপনি আমার আন্টি হয়ে গেছেন। আপনি যদি আমাকে ভাইয়া বলতে পারেন তাহলে আমি কেন আন্টি ডাকতে পারবো না?
নিশি:- এবার কিন্তু বেশি বেশি হয়ে যাচ্ছে। আপনি আগামী কাল বাথডে পার্টিতে থাকবেন। যদি না থাকেন তাহলে আপনার কপালে খারাপি আছে বলে দিলাম।
আমি:- আমি না থাকলেও কোন ক্ষতি হবে না, কারন আমি তো আপনার কেও না? আর আপনি যা করার করিয়েন আন্টি আমি থাকতে পারবো না। ঠিক তখনি নিশি এসে আমার গলা টিপে ধরতে চাইছে আর আমি দৌরে রুমে চলে এসেছি।
।
চলবে,,,,,