গল্প:-বউ_পাখি পর্ব:-(০৪)

0
3032
গল্প:-বউ_পাখি পর্ব:-(০৪) লেখা_AL_Mohammad_Sourav !! ঘরের ভীতর নিজের বর রেখে অন্য পুরুষের সাথে রাত কাটিয়ে আসতে তোমার লজ্জা করেনি তসিবা? ছিঃ তুমি এতটা নিছু মনের মানুষ আমার তোমার মুখটা দেখতে ঘৃণা করছে। আমি আর এক মূহূর্ত তোমার সাথে থাকতে রাজি নয়। (তসিবা আমাকে কিছু বলতে চাচ্ছে আমি ওকে কোনো কিছুই বলার সুযোগ দিচ্ছি না। তখনি তসিবা এক জুড়ে দমক দিয়ে বলে,,,) তসিবা:- বাস মিস্টার সৌরভ বাস একটু থামেন অনেক বলছেন। আমার সাথে সংসার করতে চান না ভালো কথা। কিন্তু আমার নামে মিথ্যা অপবাদ কেনো দিচ্ছেন? আমি:- কি মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছি? মাঝ রাতে নিজের স্বামীকে ঘুমের মাঝে রেখে অন্য পর পুরুষের সাথে দেখা করতে যাওয়া এইটা মিথ্যা অপবাদ। তসিবা:- আপনাকে রেখে কোথায় গেছি হ্যা বলেন কোথায় গেছি? আমি:- তোমার জানুর সাথে দেখা করতে গেছিলে পুকুর পাড়ে। বাড়ীতে আসার পর তোমার জানু তোমাকে মেসেজ করে বলছে রাতে পুকুর পাড়ে যাবার জন্য। তা না হলে সব কিছু ফাস করে দিবে তোমার কু কৃর্তির কথা গুলা। এখন দেখা করে এসেছো তাকে খুশি করে দিয়ে এসেছো। তসিবা:- আমি গেলে দোষ আর আপনি যে আমার সামনে লিজাকে জড়িয়ে ধরেতে গেছিলেন তখন তো আমি কিছু বলিনি। আমি:- ধরতে দিয়েছো কোথায় তার আগে তো তুমি এসে জড়িয়ে ধরেছো। (আমার আর তসিবার ঝগড়া শুনে ওর বাসার সবাই সজাগ হয়ে গেছে। আমাদের ঝগড়া দেখে তুলি আপু এসে বলে,,,) তুলি আপু:- তসিবা কি হয়ছে এত রাতে তোরা ঝগড়া করতেছিস কেনো? তসিবা:- কোথায় ঝগড়া করছি আসলে আমার ঘুম আসছেনা। তাই ওনাকে বলছি একটু বাহির থেকে ঘুরিয়ে নিয়ে আসতে কিন্তু ওনি রাজি হচ্ছে না। আমি:- মিথ্যা কথা কেনো বলছো তসিবা যেইটা সত্যি সেইটা বলো। তসিবা:- কোনটা মিথ্যা বলছি হ্যা আপনিও না বলে চোখ টিপ দিয়ে হাত জোর করছে যাতে করে ওদের কাওকে না বলি। তুলি আপু:- কিরে তসিবা কোনটা মিথ্যা বলছিস? আমি:- বলছি আপনাদের কাওকে বলে যেতে যাতে করে আপনারা আমাদের না খুঁজেন। কিন্তু তসিবা কাওকে বলতে রাজি নয় তাই তো আমি নিয়ে যেতে চাচ্ছিলাম না। তসিবা:- একটু তো জোনাকী পোকা আলো আর চাঁদের আলোতে নিজের বরকে নিয়ে হাটতে চাচ্ছিলাম। শ্বাশুড়ি:- এখন তুই হাটবি কি করে একটু আগে তো বাথরুমে যাওয়ার সময় পরে গিয়ে পায়ে ব্যথা পেয়েছিস। বাবা সৌরভ তসিবা পায়ে অনেক ব্যথা পেয়েছে। এখন ওকে কোথাও নিয়ে যাওয়ার দরকার নেই। আমি গরম তৈল এনেছি মালিশ করে দিবো আগামীকাল রাতে হাটতে যাবি কেমন তসিবা। আমি:- বাথরুমে যেতে গিয়ে ব্যথা পেয়েছে এইটা আমাকে আগে বললে হতো। শ্বাশুড়ি:- আসলে আমাদের বাথরুম একটু দূরে তসিবা বাথরুমে গেছিলো আর পা পিছলে পরে গেছে। তুমি ঘুমিয়ে ছিলে তাই তোমাকে ডাকেনি আমাকে সাথে নিয়ে গেছে। তসিবা:- আম্মু তোমাকে না করেছি ওনাকে বলতে তাও বলে দিলে। যাও কারো সাথে কোনো কথা নেই বলে তসিবা সবাইকে বের করে দিয়ে দরজা লাগিয়ে দিয়ে গিয়ে খাঠের উপর শুয়ে পরেছে। মনের সন্দেহ শেষ হলে এসে ঘুমান অনেক রাত হয়েছে। আমি:- তোমাকে সন্দেহ করে আমার বি লাব তবে তুমি চাইলে আমি তোমার জানুকে পেতে সাহায্য করতে পারি। তসিবা:- কারো সাহায্য লাগবে না। এখন ঘুমান আমার অনেক ঘুম পাচ্ছে। আমি:- হ্যা ঘুমাচ্ছি আমি শুয়ে পরেছি ঘুমের বান করে শুয়ে আছি। কিছুক্ষণ পরে চেয়ে তসিবা ঘুমিয়ে গেছে। আমি শুয়া থেকে উঠে তসিবার পা গুলি দেখছি ওর ডান পাটা একটু ফুলে আছে। আমি ব্যাগ থেকে মলম এনে ওর পায়ে লাগিয়ে দিতেছি। তসিবা ওর পাটা নাড়া চাড়া দিয়েছে বাহা তসিবার পা গুলি অনেক সুন্দর আর আঙ্গুল গুলিও। মলম লাগিয়ে শুয়ে পরেছি ওর দিকতে তাকিয়ে আছি আর কখন যে ঘুমিয়ে গেছে মনে নেই। সকালে ঘুম ভাঙ্গছে কারো ঠোটের স্পর্শে। চেয়ে দেখি তসিবা আমাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছে আর গালে কিস করতেছে। তসিবা তুমি কি করছো? তসিবা:- আপনাকে আদর করছি। আমি:- ছাড়ো আদর করতে হবে না। তখনি তসিবা আমাকে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরেছে। কি হলো এমন করছো কেনো ছাড়তে বলছি তো? তসিবা:- বলছিনা পারবো না আমাকে একটু আদর করে দেন না। আমার খুব ইচ্ছে করছে আপনার আদর পেতে। আমি:- হঠাত কি হয়ছে তোমার আর আমি তোমাকে আদর করবো তা তুমি ভাবলে কি করে? দেখি ছাড়ো বলে তসিবাকে ধাক্কা মেরে ছাড়িয়ে উঠে গেছি। তসিবা:- আমাকে আপনি অনেক ভালোবাসেন এইটা আমি বুঝতে পারছি। আমি:- তুমি তো সব বুঝতে পারো আমি তোমাকে ভালোবাসি না। এখন ফ্রেশ হতে হবে চলো আমার সাথে। তসিবা:- যদি আমাকে ভালো না বাসেন তাহলে রাতে আমার পায়ে মলম লাগিয়ে দিয়ে ছিলেন কেনো? আমি:- কখন লাগিয়ে দিয়েছি? তসিবা:- রাতে যখন আমি ঘুমের বান করে শুয়েছিলাম। তবে যায় বলেন আপনার হাতের জাদু আছে বলতে হবে। দেখেন আমার পায়ের ব্যথাটা একদম নেই বলে খাঠের উপর থেকে লাফ মেরে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরেছে। আমিও সোজা কুল থেকে নিছে ফেলে দিয়ে তসিবা একটা চিৎকার দিয়েছে,,, তসিবা:- মাগু আমি শেষ আমার কোমড়টা বুঝি ভেঙ্গে গেছে। তখনি বাসার সবাই দরজার সামনে এসে খট খট করতে শুরু করেছে। আমি গিয়ে দরজাটা খুলে দিয়েছি,,, শ্বাশুড়ি:- মা তসিবা তুই নিছে পরে আছিস কেনো? আমি:- খাঠের উপর থেকে লাফ দিয়ে নামতে চাইছে আর শাড়ীতে পা লেগে পরে গেছে। আমি না করি শাড়ী পড়তে তাও পড়ে। তুলি আপু:- তসিবা সৌরভ যেহেতু তোকে শাড়ী পড়তে মানা করে তাহলে তুই শাড়ী পড়িস কেনো? আর বুঝতে হবে সৌরভ তোকে শাড়ী পড়াতে চাইনা তাই তোর উচিত শাড়ী না পড়া। এটাকে বলে স্বামী স্ত্রীর মহব্বত আর ভালোবাসা। (সবাই কম বেশি তসিবাকে কিছু বকা টকা দিয়েছে।) তসিবা:- আরে কেনো পড়সি সেইটা পরে বলেন আগে আমাকে তুলবেন নাকী? তুলি আপু:- সৌরভ তসিবাকে একটু কুলে তুলে খাঠের উপর শুয়ে দাও। আমি:- হ্যা দিচ্ছি তখনি সবাই চলে গেছে আমি তসিবাকে কুলে তুলেছি তখনি বলে,,, তসিবা:- দেখছেন আপনি ফেলেছেন আপনি তুলেছেন এটাকে বলে ভালোবাসা। তসিবাকে খাঠের উপর শুয়ে দিয়েছি তখনি শুয়া থেকে বসে গেছে। আমি:- আরে তোমার কোমড়ে ব্যথা পেয়েছো? তসিবা:- কুলে তুলেছেন তখন ভালো হয়ে গেছে। এখন চলেন পুকুরে গোসল করবেন। আমি:- পুকুরে যেতে হবে? তসিবা:- হ্যা যেতে হবে আসেন তারা তারি যাই তা না হলে গ্রামের বাচ্ছারা এসে পরবে। তসিবা আমার হাত ধরে টেনে নিয়ে গেছে পুকুরে। আমি:- তসিবা তুমি কোথায় গোসল করবে? তসিবা:- আপনার সাথে পুকুরে কেনো কোনো সমস্যা হবে আপনার? আমি:- তুমি গোসল করো আমি করবো না। তখনি তসিবা আমাকে ধাক্কা মেরে পুকুরে ফেলে দিয়েছে। আর আমি চৌবানী খেয়ে উঠেছি তসিবা হাসতেছে আমি তসিবার দিকে তাকিয়ে আছি। তসিবা তুমি এইটা কি করেছো তবেরে দেখাচ্ছি তোমাকে? তসিবা:- কি দেখাবেন শুনি বলে আমার উপর যাপিয়ে পড়ছে। আমাকে নিয়ে এক সাথে ডুব দিয়েছে এদিকে আমার দম বন্ধ হয়ে যাবার মত তাও তসিবা ছাড়ছে না। আমি জোর করে উঠেছি উঠে তসিবাকে একটা থাপ্পড় দিয়েছি,,,, আমি:- তোমার সাথে অজপাড়া গায়ে আসাটা আমার ঠিক হয়নি। তোমার ফালতু দুষ্টমি আমার মুটেও ভালো লাগে না। মাথায় হাত রেখে দেখো তুমি কত বড় হয়েছো। আর আমি কাকে কি বলছি যার লজ্জা সরম বলতে কিছুই নেই তোমার মত সস্থা মেয়েদের আমি ভালো করে চিনি। দেখি সরো তসিবাকে কথা গুলি বলে পুকুর থেকে উঠে সোজা বাড়ীতে এসেছি সাথে তসিবা এসেছে। শ্বশুড়:- বাবা সৌরভ বিজা কাপড়ে তোমরা দুজন কোথাও পরে গেছো নাকী? তসিবা:- না আব্বু গোসল করে আসছি। আমি বাড়ীর টিউবলের পাড় কাপড় চ্যঞ্জ করে রুমে এসে ফ্রেশ হলাম। আমি:- তসিবা আজকে আমি চলে যাবো তুমি যেতে চাইলে রেডি হও। তসিবা:- কিন্তু আমরা তো আরো কিছু দিন পর যাওয়ার কথা? আমি:- তাহলে তুমি থাকো আমি যাই তোমার যেদিন মন চাইবে সেইদিন তুমি এসো কেমন। তসিবা:- ঠিক আছে তাহলে আপনি চলে যান আমার সময় হলে আমি আপনাকে ফোন করবো আপনি এসে আমাকে নিয়ে যায়েন কেমন। আমি:- তোমাকে নিতে আমি আসবো তুমি না গেলে আমি তারা তারি লিজাকে বিয়ে করতে পারবো। তখনি তুলি আপু এসে বলে,,,, তুলি আপু:- তসিবা তোরা খেতে আয় সবাই তোদের জন্য অপেক্ষা করছে। তসিবা:- হ্যা আসতেছি। আসেন খাবার খেতে (আমরা দুজনে খেতে গেলাম খাবার টেবিলে বসেছি) আমি:- আঙ্কেল আজকে আমি চলে যাবো তসিবা পরে যাবে আমার অফিসে কাজ পরে গেছে। শ্বশুড়:- আজকের দিনটা থাকা যায়না কাল সকালে গেলে কি কোনো ক্ষতি হবে? আমি:- না থাকা যাবেনা আসলে কিছু কাজ জুরুরী পরে গেছে। পরে এসে তসিবাকে নিয়ে যাবো। আঙ্কেল:- ঠিক আছে যেইটা ভালো মনে করো। তখনি তসিবা বলে,,, তসিবা:- আমিও চলে যাবো বলে খাবার রেখে উঠে গেছে। আমি খানা শেষ করে রুমে গিয়ে দেখি তসিবা সব কিছু গুচিয়ে রাখছে। রুমে ঢুকে আমিও আমার জিনিস গুলি নিয়েছি। তসিবার মা ওকে অনেক কিছু দিয়েছে আর আব্বু নাড়ু খেতে পছন্দ তাই তসিবা দুই ডিব্বা নিয়েছে। সবার থেকে বিদায় নিয়ে গাড়ীতে বসেছি তসিবা কান্না করেতেছে আমি কিছু বলিনি বাড়ীতে আসতে আসতে প্রায় সন্ধা হয়ে গেছে। আমাদের দেখে আপু আম্মু অনেক খুশি হয়েছে। আম্মু:- তসিবা তোমার বাবা মা কেমন আছে? তসিবা:- হ্যা সবাই ভালো আছে। সবার সাথে তসিবা গল্প করছে আমি রুমে এসে ব্যাগটা রেখে নিছে এসে বলি,, আমি:- আম্মু আমি একটু বের হচ্ছি আসতে অনেক রাত হবে। আপু:- এখুনি এসেছিস আবার এখুনি বের হবি কেনো? আমি:- কাজ আছে বলে বের হচ্ছি তখনি তসিবা বাহিরে এসে বলে,,, তসিবা:- কোথায় যাচ্ছেন শুনি? আমি:- ঐ তোমার সাহোস আমাকে অভাক করছে তুমি আমাকে জিগেস করছো আমি কোথায় যাচ্ছি? তসিবা:- আপনি যেখানে যাবেন আমিও যাবো আমি নিশ্চিত বুঝতে পারছি পাকনা চুলের মেয়েটার সাথে দেখা করতে যাবেন। আমি:- হ্যা যাচ্ছি তাতে তোমার কি? তখনি তসিবা দৌরে এসে গাড়ীতে বসে বলে,,, তসিবা:- আমি যাবো তা না হলে আমার শ্বশুড় আব্বাজানকে বলে দিবো। (কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলি,,) আমি:- ঠিক আছে তাহলে ঐ খানে গিয়ে তুমি কাওকে বলবেনা যে তুমি আমার বউ যদি রাজি থাকো তাহলে নিয়ে যেতে পারি। তসিবা:- ঠিক আছে বলবো আপনার কাজিন লাগি। আমি:- ওকে তসিবাকে নিয়ে গেলাম ক্লাবে লিজা রাসেদ রাব্বি সহ আমার কিছু ফ্রেন্ড আজকে লিজার বাথডে ছিলো তাই আমি চলে এসেছি। তসিবাকে নিয়ে ক্লাবে ঢুকেছি সবাই আমাকে দেখে অনেক খুশি লিজা এসে আমাকে জড়িয়ে ধরেছে তসিবার সামনে। তখনি তসিবা আমার হাতটা ছেড়ে দিয়েছে আমি লিজার সাথে ওর বান্ধবীদের সাথে গল্প করতেছি। তসিবার কথা আমার মনে নেই হঠাত করে দেখি তসিবা সব ছেলেদের মাঝে নাছতেছে আমি তো পুরাই অভাক হয়ে গেছি তসিবার কান্ড দেখে। To be continue,,,

( প্রিয় পাঠক আপনাদের যদি আমার গল্প পরে ভালোলেগে থাকে তাহলে আরো নতুন নতুন গল্প পড়ার জন্য আমার facebook id follow করে রাখতে পারেন, কারণ আমার facebook id তে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন গল্প, কবিতা Publish করা হয়।)
Facebook Id link ???

https://www.facebook.com/shohrab.ampp

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে