গল্প:-বউ পাখি পর্ব:-(০৬)

0
3028
গল্প:-বউ পাখি পর্ব:-(০৬) লেখা_AL_Mohammad_Sourav !! অফিসে আমার বউ তসিবাকে দেখে চোখ দুইটা কপালে উঠার মত হয়ে গেছে। রেস্টুরেন্টে তসিবাকে দেখে এসেছি তাহলে কি তসিবার কোনো জমজ বোন আছে? মনের মাঝে হাজারো প্রশ্ন তৈরি হয়ে গেলো। তসিবা:- এই আপনি আজকে বাহিরে খেতে গেছেন কেনো? আমি আপনার জন্য কত যত্ন করে রান্না করে আনছি। আমি:- তুমি জানলে কি করে আমি বাহিরে খেয়ে আসছি? (তখনি তসিবা একটু চুপ করে আছে এমনি আব্বু এসে বলে,,,) আব্বু:- সৌরভ আমি বলছি তুই ক্লাইন্টের সাথে বাহিরে লাঞ্চ করবি। তা ডিলের কি খবর? আমি:- হ্যা ডিল ফাইনাল করে আসছি। আমাকে ওরা চেক দিয়েছে চেকটা কাওকে দিয়ে ব্যাংকে পাঠিয়ে দেন। আব্বুর হাতে চেকটা দিয়ে আমি আমার কক্ষে চলে এসেছি। পেছন থেকে তসিবা আমাকে স্বামী স্বামী ডাকতে ডাকতে এসেছে আর সব স্টাফরা ওর কান্ড দেখে হাসতেছে,,, তসিবা:- কি হলো এমন রাগ করে চলে আসলেন কেনো? আমি:- স্বামী ডাকটা আবার নতুন করে কোথায় থেকে উদয় হলো শুনি? তসিবা:- স্বামীকে স্বামী বলে ডাকবো না তো কি বলে ডাকবো শুনি? আমি:- নাম ধরে ডাকবে সৌরভ শুনো এমন ভাবে। তসিবা:- ছিঃ ছিঃ এত বড় পাপ কাজ আমি করতে পারবো না,,,, আপনি জানেন স্বামীর নাম মুখে আনা কত বড় পাপ কাজ। আমার আম্মু বলে মেয়েরা স্বামীর নাম ধরে ডাকলে নাকী স্বামীর অমঙ্গল হয়। আমি:- এই তোমার ক্ষেত মারকা কতা বাত্রার জন্য তোমাকে আমি পছন্দি করিনা। কোথা থেকে এই আজ গুজুবি কথা বাত্রা নিয়ে পরে আছো,,, আমার নাম ধরে ডাকবে আমার অমঙ্গল হলে হবে,,, আমি মরে গেলে তো তুমি শান্তি পাবে। তসিবা:- হায় আল্লাহ এইটা আপনি কি বলছেন? আপনি মরে গেলে তো আমি বিধবা হয়ে যাবো। এক কাজ করেন আমাকে একটা মেয়ে বাচ্ছা দেন তাহলে আমি মেয়ের নাম রাখবো তানুসা আর আপনাকে তানুসার আব্বা বলে ডাকবো। আমি:- কি দিবো মেয়ে আমি তো তোমাকে ভালোবাসি না,,, ৬ মাস পরে তোমাকে বিদায় করে দিবো আর তোমাকে দিবো মেয়ে? মাথাটা খারাপ হবার আগে এখান থেকে তুমি যাও। তসিবা:- খারাপ হবে তাও যাবো না আম্মু কত সুন্দর করে আব্বুকে তুলির আব্বু শুনছেন এমন ভাবে ডাকে তাই আমিও ভাবছি আপনাকে ঐ তানুসার আব্বা শুনছেন বলে ডাকবো। প্লিজ একটা মেয়ে দিবেন আমাকে? আমি:- তসিবা তুমি এখন যাও আমার মেজাজ খারাপ হয়ে যাচ্ছে কিন্তু। তসিবা:- তাহলে মেয়ে দিবেন না ঠিক আছে আমি আপনাকে স্বামী বলে ডাকবো। আমি:- তোমার যা ইচ্ছা ডাকো এখন যাও আর মাথাটা খেয়োনা। তসিবা:- আপনি তো খাবার খেয়ে এসেছেন তাহলে খাবার গুলি কি করবো? আমি:- তুমি খেয়ে ফেলো ( তখনি তসিবা আমার টেবিলের উপর টিফিন বাটি খুলে খাবার রেডি করতেছে) তসিবা কি করছো এখানে খুলছো কেনো? তসিবা:- খাবার খেতে হলো তো টিফিন বাটিটা খুলতে হবে। আপনি বসেন আমি আপনাকে খায়িয়ে দিবো আর আমি নিজে খাবো। (কে শুনে কার কথা তসিবা টিফিন খুলে খেতে লাগলো। আমার তসিবার উপর এত রাগ উঠছে ইচ্ছে করছে ঘার ধাক্কা দিয়ে ওর টিফিন সহ বাহিরে ছুড়ে ফেলে দেয়। ২০ মিনিট লাগিয়ে খেয়েছে আমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখেছি এমনি পানি বলছে আর সাথে সাথে আমি গ্লাস হাতে ওর সামনে।) আমি:- নাও পানি সাবধানে খাবে তো?( কথাটা বলে নিজেই বোকা হয়ে গেলাম।) তসিবা:- খায়িয়ে দেন পানিটা (আমি তসিবাকে পানি খায়িয়ে দিয়েছি। তসিবা আমার দিকে তাকিয়ে পানিটা খেয়েছে।) এই গুলা দুইতে হবে কোথায় উয়াশ রুমটা? আমি:- আসো আমার সাথে আর এই গুলি এখন দুইতে হবে না। তুমি বাড়ীতে গিয়ে দুয়ে নিবে,, (তসিবাকে সাথে নিয়ে উয়াশ রুমে গেছি ওর হাত মুখ দুয়ে এসেছে। তসিবা আমাকে বিরক্ত করা শেষ হলে এবার তুমি যেতে পারো। তসিবা:- আমি একা যাবো কি করে? আপনার সাথে আজকে বাসায় যাবো আর আমার কিছু কেনা কাটা করতে হবে। আমি:- যার সাথে এসেছো তার সাথে যাও,, তোমার কেনা কাটা যা করবে সব আপুকে সাথে নিয়ে করবে এখন যাও বলছি। তসিবা:- আপনার সাথে যেতে হবে কারন গাড়ীটা বাড়ীতে চলে গেছে। আম্মাজান ডাক্তারের কাছে যাবে তাই ড্রাইভার গাড়ী নিয়ে বাসায় চলে গেছে। আমি:- রিক্সা করে চলে যাও আমার কাজ আছে। তসিবা:- ঠিক আছে যাচ্ছি তখনি তসিবা দাঁড়িয়ে গেছে। চেয়ে দেখি আমার রুমের কেলেন্ডারের দিকে এগিয়ে এসেছে। আমি:- আবার কি হলো ঐ দিকে যাচ্ছো কেনো? তসিবা:- কি সুন্দর দুইটা মেয়ে ইসস যদি আমার এমন দুইটা জমজ মেয়ে হত তাহলে আমি খুব খুশি হতাম। আমার এক সাথে দুইটা মেয়ে দিবেন বলেন না জমজ বাচ্ছা দিবেন আমাকে। (এবার তসিবার উপর পুরাই বিরক্ত হয়ে গেছি তাই কাছে গিয়ে বলি,,,) আমি:- মেয়ে দিবো বলে তসিবাকে টেনে এনে রুম থেকে বের করে দিবো তখনি আব্বু এসেছে,,, আব্বু:- কিরে তসিবাকে এমন ভাবে টানতেছিস কেনো? (এই রে এখন কি বলি কিছুটা চিন্তা করে বলছি,,) আমি:- তসিবাকে নিয়ে বাড়ীতে যাচ্ছি ও নাকী একা যেতে পারবে না। আব্বু:- শুন তোর আপু তো বলছে তসিবার কিছু কাপড় কিনতে হবে। বলছে তুই ওকে মার্কেটে নিয়ে গিয়ে পছন্দ করে কিনে দিতে। আমি:- কিন্তু আমি তো কোনো সময় এসব কেনা কাটা করিনি। আব্বু:- বিয়ে করেছিস এখন অভ্যাশ করে নে। মা তসিবা যা যা লাগবে সব কিনবে আর বাটিটা আমার কাছে রেখে যাও আমি বাড়ীতে যাবার সময় নিয়ে যাবো। তসিবা:- আব্বাজান আপনি অনেক ভালো। আব্বু তসিবার মাথায় হাত ভুলিয়ে দিয়েছে তসিবা অনেক খুশি হয়েছে। আমি:- তসিবা আসো তসিবা আমার বাম হাতটা জড়িয়ে ধরেছে আমার বুকের ধুকবুকনি বেরে গেছে। আমিও অনুভব করছি তসিবার একি অবস্থা হচ্ছে। নিছে নেমে বাইকটা বের করেছি। তসিবা:- বাইকে করে যাবেন? আমি:- হ্যা গাড়ী আজকে তো আম্মু নিয়ে গেছে। তসিবা:- জীবনে প্রথম বসতে যাবো আমার কিন্তু বাইকে বসার অভ্যাস নেই। আমি:- এত কথা না বলে এখন এসে বসো (তসিবা বসে আমাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরেছে আবারো বুকের হার্টবির্ট বেরে গেছে।) তসিবা:- আমি যে আপনাকে জড়িয়ে ধরেছি আপনার অনেক ভালো লাগছে তাইনা? আমি:- কেনো ভালো লাগবে কেনো? তসিবা:- বারে ছবিতে তো দেখি নায়িকারা জড়িয়ে ধরলে নায়কদের অনেক ভালো লাগে। আমি:- আমি ছবি তো সারা দিন দেখতে থাকো আর আমাকে কি করে বিরক্ত করা যাই সেই সব প্লান করতে থাকো। এখন নামো এসে পরেছি,,,তসিবা নেমে দাঁড়িয়েছে আমি বাইকটা পার্কিং করে এসেছি। তসিবা আমার বাম হাত আবার জড়িয়ে ধরেছে তসিবাকে নিয়ে শপিং মহলে ঢুকেছি। শুরুমে গেলাম তসিবা তোমার যেই গুলি ভালো লাগে সেই গুলি ওনাদের দেখিয়ে দাও কেমন। তসিবা:- আপনি পছন্দ করে কিনে দেন আমি আপনার পছন্দ সব কিছু কিনবো। আম্মু বলে স্বামীরা তাদের বউকে সব সময় সুন্দর দেখতে চাই। তাই তো তারা তাদের বেস্ট জিনিস গুলি বউকে নিয়ে দেয়। আমি:- ঠিক আছে আসো তসিবাকে দুইটা শাড়ী তিনটা চুড়িদার আর ওর প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস কিনে দিলাম। আমার সবচেয়ে বেস্ট নেভিব্লু কালার আর পিংক কালারের চুড়িদার গুলি কিনে দিয়েছি। তসিবা:- এই কালার গুলি আমার গায়ের রংয়ের সাথে দারুন মানায়। আমি বুঝতে পারছি আপনি আমাকে অনেক ভালোবাসেন। আমি:- তোমাকে ভালোবাসি হি হা হি মজা পেয়েছি তখনি মোবাইলটা বেজে উঠছে হাতে নিয়ে দেখি লিজা ফোন করেছে রিসিব করতেই বলে,,, লিজা:- সৌরভ তুমি কোথায় কখন ধরে কফি সপে বসে আছি। আমি:- ২০ মিনিট বসো আমি আসতেছি। ফোনটা কেটে তারা তারি করে তসিবাকে নিয়ে কফি সপে গেলাম। তসিবা:- এখানে আসলেন কেনো? আমি:- লিজার সাথে দেখা করবো তুমি কোনো কথা বলবে না একদম চুপচাপ থাকবে। তসিবা:- পাকনা চুলের মেয়েটাকে আজকে আচ্ছা মত অপমান করে দিবো। আমার বর ছাড়া কি দুনিয়াতে আর ছেলে নেই। আমি:- তসিবা কি হচ্ছে এসব একদম চুপ থাকবে তা না হলে কিন্তু এর পরিনাম ভালো হবে না। তসিবা চেহারাটা কালো করে নিয়েছে আমি তসিবাকে নিয়ে ভীতরে ঢুকেছি দেখি লিজা রাসেদ আরো দুইজন আছে। লিজা:- সৌরভ তুমি ওকে নিয়ে এসেছো কেনো? আমি:- জোর করে চলে এসেছে। লিজা:- তুমি এসো আমার সাথে তোমার সাথে কিছু কথা আছে। লিজা আমাকে টেনে একটু দূরে নিয়ে বলে,,, সৌরভ আমি তোমাদের জন্য ডির্ভোসের এপ্লিকেশন ফরম রেডি করিয়েছি। আমি:- মানে তুমি কি বলতে চাচ্ছো? লিজা:- তুমি এখানে সাইন করে দাও আর তসিবাকে বলো এখানে সাইন করতে তাহলে কিছু দিন পর তোমাদের ডির্ভোস হয়ে যাবে। আমি:- লিজা তসিবা নিজে বলছে ৬ মাস পর আমার জীবন থেকে চলে যাবে। লিজা:- এই ৬ মাসে তুমি আমাকে ভূলে যাবে আর তসিবাকে ভালোবেসে ফেলবে। তুমি যদি এখন এখানে সাইন না করো তাহলে আমি বুঝে নিবো তুমি আমাকে ভালোবাসো না আমার সাথে প্রতারণা করেছো। আমি:- সাইন করলে তুমি হেপি? লিজা:- হ্যা হেপি প্লিজ সৌরভ তুমি ওকে ডির্ভোস দিয়ে দাও। আমি:- সাইনটা না হয় আমি করবো কিন্তু তসিবাকে কি বলে সাইন করাবে শুনি? লিজা:- তুমি আগে করো। আমি:- এইটা অন্যায় হবে তখনি পেছন থেকে একটা জুড়ে থাপ্পড়ের আওয়াজ শুনতে পেলাম তাকিয়ে দেখি রাসেদ গালে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তসিবা:- তসিবা আমি গ্রামের মেয়ে হতে পারি কিন্তু নিজের সম্মান কি করে রক্ষা করতে হয় তা জানি। আমার বর আজ অব্দি আমার চুল ধরেনি আর তুই ধরেছিস বলে আরেকটা থাপ্পড় রাসেদের গালে। আমি তারা তারি করে তসিবার কাছে গেছি। আমি:- তসিবা কি হয়ছে থাপ্পড় দিতেছো কেনো? তসিবা:- আমাকে নাকী ভালোবাসে আমাকে বিয়ে করতে চাই তাই বিয়ের সাদ মিঠিয়ে দিয়েছি। লিজা:- রাসেদ তুই কিরে দোস্ত কোথায় কি করতে হয় ভূলে গেছিস। আচ্ছা তসিবা এই কাগজে একটা সাইন করে দাও তো। তসিবা:- কিসের কাগজে সাইন করবো শুনি? লিজা:- মানে আমরা একটা পার্ঠি বুকিং করতে চাচ্ছি আর এখানে উপস্তিত সবাই সাইন করবে। নাও তুমি আগে সাইন করে দাও। তসিবা:- দেন তসিবা কাগজটা হাতে নিয়েছে আর আমার বুকের হার্টবির্ট বেরে গেছে। তসিবা কাগজটা একটু পড়ে এক টানে ছিড়ে লিজার মুখের উপর ছুড়ে মারছে। আমি তো পুরাই অবাক হয়ে গেছি তসিবার সাহোস দেখে। আপনার সাহোস হয় কিরে আমাকে ডির্ভোসের কাগজে সাইন করাবার। লিজা:- সাহোসের কি আছে ৬ মাস পর তো তুমি চলে যাবে সৌরভের জীবন থেকে তাই আগে বাগে চলে যাও। তসিবা:- যখন যাবো তখন আর এই ৬ মাসে আমার প্রেমে হাবু ডুবু খাবে আমার সুন্দর বরটা। আচ্ছা আপনার কি ছেলের অভাব হয়েছে আমার স্বামীর পেছনে কেনো পরে আছেন? তখনি তসিবা আমার হাত ধরে টেনে বাহিরে নিয়ে এসে বাইকে বসেছে। আমি কোনো কথা না বলে সোজা বাড়ীতে নিয়ে এসেছি। তসিবা তুমি আজকে সব কিছু গুছিয়ে নিয়ে কাল সকালে তোমাকে তোমাদের বাড়ীতে দিয়ে আসবো। তসিবা:- বললে হলো আমি কোথাও যাবো না আর যদিও যেতে হয় তাহলে আপনাকে সাথে করে যাবো। আমি:- যদি আমাকে সাথে করে নিয়ে যাও তাহলে দুপুরে রেস্টুরেন্টে ঐ ছেলেটা কে ছিলো যার জন্য আমাকে না চিনার বান করছে? তসিবা:- কখন কোন রেস্টুরেন্টে আমি তো আপনার খাবার নিয়ে গেছিলাম। আমি:- মিথ্যা বলার যায়গা খুঁজে পাওনা দেখি সরো আমি তসিবাকে রেখে ভীতরে এসেছি। তসিবা ওর ব্যাগ গুলি নিয়ে এসেছে আপুকে দেখাচ্ছে আর আমার অনেক প্রশংসা করছে। আমি রুমে চলে এসেছি ফ্রেশ হয়ে নিছে গেছি এমনি তসিবা আব্বুকে সব কিছু বলতেছে লিজার সাথে মিশে নাকী আমি ওকে ডির্ভোসের কাগজে সাইন করাবার চেস্টা করছি। আমার বন্ধুর সাথে ওকে নাকী বিয়ে দিতে চাচ্ছি সব কিছু বলছে। আব্বু তো তসিবার কথা শুনে তেলে বেগুনে জ্বলছে আমি সিঁড়ি দিয়ে নামতে গিয়েও না নেমে চলে আসবো তখনি তসিবা আমাকে তানুসার আব্বা আপনি কোথায় যাচ্ছেন এদিকে আসেন আপনাকে আব্বাজান ডাকছে। কাম সারছে আজকেও এই মেয়েটার জন্য বকা শুনতে হবে,,,,,, To be continue

( প্রিয় পাঠক আপনাদের যদি আমার গল্প পরে ভালোলেগে থাকে তাহলে আরো নতুন নতুন গল্প পড়ার জন্য আমার facebook id follow করে রাখতে পারেন, কারণ আমার facebook id তে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন গল্প, কবিতা Publish করা হয়।)
Facebook Id link ???

https://www.facebook.com/shohrab.ampp

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে