গল্প:-নব_বধূয়া পর্ব:-(০৪)

0
3934
গল্প:-নব_বধূয়া পর্ব:-(০৪) লেখা_AL_Mohammad_Sourav !! এক দিকে বউ অন্য দিকে ভাবির বোন দাঁড়িয়ে আছে। কাকে রেখে কাকে নিবো এই চিন্তায় ভিবোর হয়ে যাচ্ছি। ঠিক তখনি দৌরে তসিবা এসে আমার বাইকের পেছনে বসেছে,,,,, আরে তুমি না বলছো যাবে না তাহলে আবার এসেছো কেনো? তসিবা:- কেনো আমি গেলে আপনার সমস্যা হবে? নাকী রিয়ার জড়িয়ে ধরে যাওয়াটা মিস করবেন? আমি:- দেখো বাজে কথা বলবে না। এখন জড়িয়ে ধরো তানা হলে তোমাকে নিবো না। তসিবা:- কি? জড়িয়ে ধরবো বলে আমার পেটে চিমটি কেটেছে,,, আমি:- আরে কি করছো ব্যথা পাচ্ছি তো? তখনি আম্মু এসেছে,,, আম্মু:- সৌরভ তোরা এখনো যাসনি? আমি:- হ্যা যাচ্ছি। বাইক চালাবো তখনি আম্মু বলে,,, আম্মু:- সৌরভ রিয়াকেও তোদের সাথে করে নিয়ে যা। তসিবা তুমি মাঝে বসো আর রিয়া পেছনে বসে যাবে। আমি:- মানে রাস্তায় যে পুলিশ মামারা আছে তারা তো আমাকে ধরে আটকাবে। আম্মু:- মাথায় হেমলেট না থাকলে আটকাবে তুই রিয়াকে সাথে নিয়ে যা। তখনি আব্বু এসে বলে,,, আব্বু:- আরে সৌরভ তুই এখনো যাসনি অফিসে? আমি:- আব্বু আপনি যাবার টাইমে রিয়াকে একটু কলেজে নামিয়ে দিয়ে যাবেন প্লিজ আব্বু। আব্বু:- হ্যা সমস্যা নেই তখনি আম্মু চোখ রাগিয়ে আব্বুর দিকে তাকিয়েছে আর আব্বু বলে,,, না না আমার কাজ আছে তুই নিয়ে ওদের বলে আব্বু চলে গেছে,,, তসিবা:- সমস্যা নেই আপনি রিয়াকে সাথে নিয়ে যান আমি রিক্সা করে যাবো বলে তসিবা নেমে যেতে ছিলো তখনি আমি তসিবাকে নামতে দেয়নি,, আমি:- আম্মু আমি তসিবাকে নিয়ে যাবো রিয়াকে নিয়ে যেতে পারবো না। আম্মু আমার দিকে তাকিয়ে আছে আমি,, তসিবাকে নিয়ে চলে এসেছি। রাস্তায় কারনে অকারনে ব্রেক মারতেছি,,,,
তসিবা:- কি হলো এমন করছেন কেনো? আমি:- মনে হয় বাইক খারাপ হয়ে গেছে নিজে থেকে ব্রেক লেগে যাচ্ছে,,,, তখনি তসিবা আমাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে বলে,,, তসিবা:- মনে হয় এভার বাইক ঠিক হয়ে যাবে দয়া করে আর ব্রেক মারতে যাবেন না কেমন। আমি:- হ্যা বাইক ঠিক হয়ে গেছে,,,, তসিবাকে নিয়ে ওর কলেজের সামনে এসেছি তসিবা নেমেছে তখনি দেখি প্রীতি আর ওর কিছু বান্ধবীরা দাঁড়িয়ে আছে,,, আমাকে দেখে প্রীতি এগিয়ে এসে বলে,,, প্রীতি:- হাই সৌরভ কেমন আছো? আমি:- হ্যা ভালো তুমি কেমন আছো? প্রীতি:- ভালো, কাল রাতে তোমাকে ফোন করেছি কিন্তু তোমার মোবাইল বন্ধ বলছিলো কেনো? আমি:- ফোনে চার্জ ছিলো না তাই। তসিবা তুমি একা বাসায় চলে যেয়ো আমার অফিস থেকে বের হতে সন্ধা ৬টা বাজবে। তসিবা:- আমাকে নিয়ে এত চিন্তা করতে হবে না, আপনি প্রীতিকে নিয়ে আর রিয়াকে নিয়ে চিন্তা করেন। কথা গুলি বলে আমার সাথে রাগ করে চলে গেছে,,, আমি:- সবাই শুধু আমার উপর রাগ দেখাতে পারে বলে আমি অফিসে চলে এসেছি,,, অফিসে ঢুকতেই কলিকরা বলতেছে,,, মিস্টার সৌরভ বিয়ের ছুটি শেষ করে চলে এসেছেন? আর বউ এত তারা তারি ছেড়ে দিয়েছে যে? বলে সবাই অনেক দুষ্টমি করতেছে আমি কিছু না বলে সোজা আমার কক্ষে চলে এসে কাজ করতেছি তখনি ম্যাডাম ডাকছে,,, মেম:- সৌরভ তোমার কাজ গুলি একটু চেক করে নিয়ো কারন অনেকে করেছে যদি কোনো সমস্যা হয় আমাকে জানাবে কেমন? আমি:- ঠিক আছে মেম, তাহলে যাই,,, মেমের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে এসে আবার কাজে মগ্ন হলাম। ঐ দিকে একটা নতুন নাম্বার থেকে অনেক গুলি ফোন এসেছে। মোবাইলটা হাতে নিয়ে ফোন করেছি তখনি,,,,, আমার আজকে বাসায় যেতে একটু দেড়ি হবে? আমি:- কে বলছেন আর কার বাসায় যেতে দেরি হবে? আমার নাম্বারটা আপনার কাছে সেইব নেই ভালো। আমি তসিবা ইসলাম বলছি আমার কাজ আছে বাসায় যেতে সন্ধা হবে। আমি:- তুমি আমার নাম্বার পেলে কোথায়? আর বাসায় যেতে দেরি হবে কেনো? তসিবা:- আপনি তো ফেমাস লোক নাম্বার জোগার করতে কষ্ট হয়নি। এখন কথা হলো কি কাজ সেইটা আপনাকে বলতে পারবো না আমার দেরি হবে বাছ। আমি:- আরে তোমার দেরি হবে তো ঠিক আছে কাজটা কি বলবে তো? তসিবা:- বলছি না বলতে পারবো না আমার বাসায় যেতে দেরি হবে বাছ। আমি:- আরে আমার কথাটা তো শুনবে তখনি ফোন কেটে দিয়েছে,,, এই মেয়েটা আমার জীবনটা তেজ পাতা করে ছারবে,,, আজকে নির ঘাত আম্মুর বকা গুলি আমার শুনতে হবে,,, কাজ গুলি করতেছি কাজে তো মন নেই তসিবাকে ফোন করতেছি কিন্তু বন্ধ বলতেছে,,, দূর আমার কি যা হবার হবে। কাজ গুলি শেষ করে দেখি সন্ধা ৬ টা বেজে গেছে অফিস থেকে বেরিয়েছি একবার বাড়ীতে কথা বলবো না যদি এখনো তসিবা বাড়ীতে না যাই তাহলে আম্মু অনেক জামেলা করবে,,, বাইক চালাচ্ছি হঠাত করে চেয়ে দেখি তসিবা একটা ছেলের সাথে হেসে কথা বলতেছে কফি সপের সামনে দাঁড়িয়ে,,, মোবাইলটা বের করে আবার কল করেছি এভার ঢুকছে রিং বাজতে বাজতে প্রথম কেটে গেছে আবার দিয়েছি এভার রিসিব করেছে,,,, তসিবা:- ফোন করেছেন কেনো? আমি:- তুমি এখন কোথায় আছো? তসিবা:- কোথায় আবার বাসায় আমি রুমে শুয়ে আছি। আমি:- তুমি রুমে আছো? তাহলে এক কাজ করো তো আমার হাত ঘড়িটা সুফায় আছে কিনা দেখো তো? তসিবা:- একটু উয়েট করেন আমি খুঁজে দেখতেছি। (আমি দাঁড়িয়ে তসিবা অভিনয় গুলি দেখতেছি) খুজঁতেছে তো কোথাও দেখছি না কেনো আপনি না সকালে ঘড়ি সাথে নিয়ে গেছেন। তখনি আমি বাইকটা নিয়ে তসিবার সামনে গেছি। আমি:- একটু পেছনে তাকাও আমিও রুমে ঢুকছি তখনি তসিবা পেছনে তাকিয়ে ছেলেটার হাতটা ছেড়ে দিয়ে তুতলাতে তুতলাতে বলে,,, তসিবা:- আপনি এখানে? আমি:- হ্যা আমি এখানে তোমার স্বপ্ন পুরুন করতেছো তাইনা মিস তসিবা ইসলাম। তোমার অনেক বড় কাজ যা আমাকে বলতে পারবে না ছিঃ আরে আমি তো তোমাকে বিশ্বাস করতাম যার কারনে আম্মুকে রাজি করিয়েছি। যাতে তোমাকে পড়া লেখা করার অনুমতি দেওয়ার জন্য। কি দরকার আমার লাইফটা নিয়ে চিনি মিনি খেলার,,? তসিবা:- আমার কথাটা একটু শুনবেন আসলে,,,, আমি:- অনেক শুনেছি আর নয় তোমার জন্য আমি আমার মায়ের বিরুদ্ধে গিয়ে কথা বলছি আর তুমি কিনা ছিঃ ছিঃ তুমি এমন আমার ভাবতেও অভাক লাগছে,,, তসিবা:- বাছ মিস্টার সৌরভ অনেক বলছেন আর না এভার আমি বলি আপনি শুনবেন। আমি:- তোমার কোনো কথায় আমি শুনবো না। তোমার কাজ শেষ হলে তুমি এসো আমি বাসায় যাচ্ছি তখনি তসিবা আমার হাতটা ধরে বলে,,,, তসিবা:- প্লিজ আমার কথাটা শুনে যান তানা হলে আমার অনেক কষ্ট হবে। আরে আমি তো একটা টিউশন ঠিক করেতে গেছিলাম। আরিফের সাথে আমার এখানে দেখা হয়ে গেছে তাই একটু কথা বলতে ছিলাম। আমি:- বাহ কত বাহা না, সারা দিন লাগছে তোমার টিউশন ঠিক করতে ভালো। সমস্যা নেই আমি বুঝে গেছি আমি ছোট নয় আরে আমি তো তোমাকে অন্ধের মত বিশ্বাস করেছি আর তুমি সেই বিশ্বাসের এতটা অর্মযাদা করতে পারলে? তসিবা:- আপনি আমাকে শুধু শুধু ভূল বুঝতেছেন সত্যি বলছি আমি টিউশন ঠিক করতে গেছিলাম। আমি জানি আপনি আমাকে এখন আর বিশ্বাস করবেন না। সমস্যা নেই আপনি আমাকে ভূল বুঝেন এতে আমার কোনো আপত্তি নেই,,,, আরিফ:- সৌরভ আসলে তোমার কোথাও একটা ভূল হচ্ছে তসিবা তো আমার আমার শালী লাগে ওর চাচাত বোন শিলা আছে ভীতরে উয়াশ রুমে গেছে,,, তখনি একটা মেয়ে বেরিয়ে এসে বলে,,, আরিফ চলো তসিবাকে ওর শ্বশুড় বাড়ী নামিয়ে দিয়ে যাবো। তসিবার শ্বাশুড়ি নাকী তসিবাকে অনেক করা পাহাড়া রাখছে,,, আরিফ:- শিলা তার আর দরকার হবে না তসিবার বর চলে এসেছে,,, শিলা:- দেখি তো তসিবার বরটাকে আমাকে দেখে বলে আরে বরটা তো সুন্দর আছে বাহা তসিবার সাথে একদম দারুন মানিয়েছে। ভাই তুমি কিছু মনে করো না আসলে আমারা তসিবার বিয়েতর আসতে পারিনি যার কারনে তোমাদের সাথে আলাপ হয়নি। আরিফ:- সৌরভ তসিবা যাচ্ছিলো ওর বোন ওকে দেখে কফি সপে বসে কিছু আড্ডা মারছে,,, তসিবা অনেক ভালো মেয়ে তুমি তসিবাকে ভূল বুঝোনা প্লিজ। শিলা:- কেনো কি হয়ছে? তসিবা:- আপু তেমন কিছু হয়নি আসলে ওনি আরিফ ভাইয়ার সাথে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে রেগে গেছে,,, শিলা:- ও এই কথা আসলে তসিবা একা যেতে চাইছে কিন্তু আমি দেয়নি আমি আরিফকে বলছি তসিবাকে ধরে রাখতে যাতে তসিবা না যেতে পারে। তসিবা:- আপু তাহলে আমি যাই কেমন। আমি:- সরি আমি আসলে আপনাকে চিনি না তাই এমন করেছি প্লিজ কিছু মনে করবেন না। ওনাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আমি বাইকে বসেছি তসিবা এসে বাইকে বসেছে,,, রাস্তায় আর কোনো কথা বলিনি সোজা বাসায় চলে এসেছি,,, ভীতরে ঢুকতেই দেখি বাসার সবাই বসে আছে আমি তসিবাকে নিয়ে উপরে রুমের দিকে যেতেছি তখনি আম্মু তসিবাকে বলে,,,, আম্মু:- তসিবা দাড়াও! আমি আর তসিবা দুজনে দাঁড়িয়ে গেছি তখনি আম্মু একটা মোবাইল এনে আমাদের সামনে রেখেছে,,, আমি মোবাইলের দিকে তাকিয়ে চোখ দুইটা কপালে উঠার মত অবস্থা হয়ে গেছে,,,,To be continue,,,,,,

( প্রিয় পাঠক আপনাদের যদি আমার গল্প পরে ভালোলেগে থাকে তাহলে আরো নতুন নতুন গল্প পড়ার জন্য আমার facebook id follow করে রাখতে পারেন, কারণ আমার facebook id তে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন গল্প, কবিতা Publish করা হয়।)
Facebook Id link ???

https://www.facebook.com/shohrab.ampp

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে