#গল্পপোকা_ধারাবাহিক_গল্প_প্রতিযোগিতা_২০২০
গল্প: উড়ান পর্ব-৩
লেখা: ফাহমিদা আঁখি
সেদিনের পর আভা আর কখনো ফিরোজের ডাকে সাড়া দেয়নি। ফিরোজ প্রতিরাতেই দরজায় কড়া নেড়ে ফিরে গেছে। যতক্ষণ কড়া নেড়েছে, আভা প্রায় নিঃশ্বাস বন্ধ করে বসে থেকেছে আর অপেক্ষা করেছে কখন ফিরোজের কড়া নাড়া বন্ধ হয়। দরজার ওপাশে ফিরোজ দাঁত কিড়মিড় করে ফিসফিসিয়ে হুমকি দিয়ে গেছে। শেষে আভার সাড়া না পেয়ে হাল ছেড়ে দিয়েছে। ফিরোজের হাত থেকে বাঁচতে, রাতের বেলা ভুল করেও আভা ঘরের বাহিরে বের হয়না। ওর ঘরের সাথে এটাচ্ড বাথরুম নেই। তাই বাথরুম পেলে ওকে ঘর থেকে বের হতেই হবে। কিন্তু আভা বাথরুম চেপে বসে থাকে। তবুও ঘর থেকে বের হয়না। কখন ভোরের আলো ফুটবে সেই আশায় থাকে। আভার এমন আচরণে ফিরোজ যে, যে কোনো সময় অঘটন ঘটাতে পারে তা নিশ্চিত। হয়তো দেখা গেল, সত্যি সত্যি বড় মামা জহির সাহেবের কাছে গিয়ে ওর বিরুদ্ধে কথা বলে এলো। তাই আভা, রেহানকে বলেছে, সে যেন যখন তখন ওর সাথে দেখা করতে না আসে। এতকিছুর মাঝে আভা নিজেকে সেফ রাখতে লড়াই করে যাচ্ছিল। বেশ কিছুদিন এভাবে চলার পর দরজায় কড়া নাড়া বন্ধ হলো। আভা ভাবলো ফিরোজ হয়তো সত্যি সত্যি এবার হাল ছেড়ে দিয়েছে। এটা ভেবে ওর মন কিছুটা স্বস্তি পেল। কিন্তু ফিরোজ এবার নতুন উৎপাত শুরু করলো। রাতে যখন সবাই খাওয়ার টেবিলে খেতে বসে, ফিরোজ, আভার সামনের চেয়ার টেনে বসে পড়ে। আগে কখনো ফিরোজ রাতে একসাথে খেতে বসেনি। আভার মনে আবারও দুশ্চিন্তার রেখা ফুটে উঠলো। যতক্ষণ খাবার টেবিলে সে বসে থাকে, ফিরোজ না খেয়ে ওর দিকে কেমন ভাবে যেন তাকিয়ে থাকে। মেয়ে মানুষ আর কিছু বুঝুক বা না বুঝুক, পুরুষ মানুষের চোখের ভাষা তারা বোঝে। আল্লাহ তায়ালা মানুষকে চোখ তো দিয়েছেন, কিন্তু সেই চোখের ভাষা এতো নোংরা কি করে হতে পারে তা কল্পনাতীত। আভার এতো অস্বস্তি হয় যে, সে ঠিকভাবে খেতেই পারেনা। গলা দিয়ে খাবার নামতেই চায়না। কোনোমতে খাওয়ার পাঠ চুকিয়ে ঘরে চলে যায় সে। এভাবে চুপচাপ সব সহ্য করা বড় কঠিন। একবার ভাবে, খালাকে গিয়ে সব বলে দেয়। আবার ভাবে, খালা কি তার কথা বিশ্বাস করবেন? এই দোটানায় পড়ে দিন কাটতে থাকে তার।
যত দিন যাচ্ছিল, সবকিছু ততই অসহ্যকর হয়ে উঠছিল। অনেক চিন্তাভাবনার পর আভা ভাবলো, আর নয়, এবার খালাকে বলতেই হবে। বলার পর যা হবার হবে। দিনে তো বলার উপায় নেই, কারণ সারাদিন ওকে কলেজ, টিউশনি করেই কাটাতে হয়। আর বাড়ি ফিরেও যে বলবে তাও সম্ভব না। ফিরোজ আজকাল সন্ধ্যা নামতেই বাড়ি ফিরে বসে থাকে। ওর সামনে তো কোনোভাবেই খালার সাথে কথা বলা যাবে না। দেখা যাবে, ও কিছু বলার আগেই খালাকে উল্টোপাল্টা বুঝিয়ে দেবে। তাই সে সিদ্ধান্ত নিলো, রাতে খাওয়ার পর সবাই যখন যে যার ঘরে যাবে, সেই সুযোগে আভা খালার ঘরে গিয়ে সবটা বুঝিয়ে বলবে। সারাদিন অস্থিরতায় পার করলো সে। রাতে খাওয়ার পর আভা নিজের ঘরে এলো। অপেক্ষা করতে লাগলো কখন সবাই সবার ঘরে যায়। শেষে যখন বুঝতে পারলো ডাইনিং রুমে আর কারও আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছেনা, তখন ঘর থেকে বের হতে যেতেই আলমারির আড়াল থেকে একটা লোক ওর সামনে এসে দাঁড়ালো। আভা ভূত দেখার মতো চমকে উঠলো। একটা চিৎকার দিয়ে বলল,
-‘একি! কে আপনি?’
লোকটি বেশ শান্তভাবে বলল,
-‘আমি মানিক। আমাকে চিনতে পারছো না? তুমিই তো আমাকে আসতে বলেছো। এখন কেন এমন করছো সোনা?’
-‘কি যা তা বলছেন এসব, কে আপনি? আপনাকে চিনি না আমি। আপনি আমার ঘরে এলেন কি করে?’
আভা যখন এই উটকো লোকটির সাথে তর্ক করছিল। দরজার ওপাশে ফিরোজ তখন ওর মা শায়লা বেগমকে নিয়ে হাজির হয়েছে। মাকে বুঝিয়েছে যে, আভা তার ঘরে কোনো লোক ঢুকিয়ে বসে আছে। এ কথা শুনে শায়লা বেগমের মেজাজ তখন তুঙ্গে। তিনি দরজায় কড়াঘাত করতে লাগলেন অবিরত। সেইসাথে চিৎকার করে আভাকে ডাকতে লাগলেন। খালার চিৎকার শুনে আভা ছুটে গিয়ে দরজা খুলে দিলে, শায়লা বেগম বিস্ফোরিত চোখে ওর দিকে তাকালেন। তিনি দেখতে পেলেন, সত্যিই আভা ঘরে লোক ঢুকিয়েছে। আর সেই অসভ্য, ইতর লোকটি সেখানে এখনো উপস্থিত। আভা কিছু বলার আগেই, শায়লা বেগম বেশ উচ্চস্বরে আভাকে বলতে লাগলেন,
-‘ছিঃ ছিঃ আভা, শেষ পর্যন্ত তুই এতো নিচে নামতে পারলি? এই তোর পড়াশোনার নমুনা? আমার ভাবতে লজ্জা করছে যে, তুই আমার বোনের মেয়ে।’
খালার কথা শুনে আভা কাঁদতে কাঁদতে বলল,
-‘বিশ্বাস করো খালা, এই লোকটাকে আমি চিনি না। জানিনা কি করে আমার ঘরে এলো। আমি তো এইমাত্র তোমার সামনেই ঘরে এলাম।’
মানিক নামের সেই অসভ্য লোকটি এবার সবার সামনে নাটক শুরু করলো। আভার দিকে তাকিয়ে বলল,
-‘আভা, তুমি খালাকে মিথ্যে বলছো কেন? তুমিই তো ফোন করে বললে যে, এখন সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে। চলে আসো।’
আভার মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়লো। কি বলছে এই লোকটা! শায়লা বেগম আভার কথায় কান না দিয়ে মানিকের কথা বিশ্বাস করলেন এবং আভাকে যা নয় তাই বলে দোষারোপ করতে থাকলেন। এই সুযোগে ফিরোজ বলল,
-‘মা, এভাবে বকাবকি করে কি লাভ? আভা একটা ভুল করে ফেলেছে। এখন বিষয়টা কিভাবে সমাধান করবে এটা ভাবা উচিত।’
-‘ভুল? এটাকে তুই ভুল বলছিস? আর সমাধান, হ্যাঁ, সমাধান তো করতেই হবে। তার আগে ভাইজানকে খবরটা দিতে হবে। ভাইজান তো শুনেছি এখন শহরেই আছেন। উনিই এর সমাধান করবেন।’
খালার কথায় আভা ভয় পেয়ে গেল। এই ঘটনা বড় মামার কানে গেলে, এ জীবনের মতো সব স্বপ্ন বিসর্জন দিতে হবে তাকে। তাই খালার পা ধরে কাঁদতে কাঁদতে বলতে লাগলো,
-‘খালা, দয়া করে বড় মামাকে খবর দিও না। বড় মামা জানলে, আমার পড়াশোনাই বন্ধ হয়ে যাবে। আমার এতবড় সর্বনাশ তুমি করো না খালা।’
আভার এমন আচরণ দেখে, শায়লা বেগম বুঝে নিলেন যে, এই ঘটনার জন্য আভাই দায়ী। কিন্তু সত্যিটা তার জানা হলোনা। তার নিজের ছেলে ফিরোজ যে এই ঘটনার নেপথ্যে কাজ করেছে, তা তার অজানাই রয়ে গেল।
রাত বারোটা নাগাদ জহির সাহেব বোনের বাড়িতে উপস্থিত হলেন। সবকিছু শোনার পর তিনি গুম হয়ে বসে রইলেন। মানিক নামের অসভ্য লোকটিকে ততক্ষণে চড় থাপ্পর, হুমকি ধামকি দিয়ে বের করে দেওয়া হয়েছে। সে যেন ভবিষ্যতে আভার ধারেকাছে না আসে। সে ধারে কাছে আসবে কি, আসল কাজ তো হয়েই গেছে। তা হলো আভার সর্বনাশ। বেশ কিছুক্ষণ পর জহির সাহেব গম্ভীর গলায় আভার উদ্দেশ্যে বললেন,
-‘তোমার কাছে আমি এটা আশা করিনি আভা। ভেবেছিলাম, তুমি খুব সরল সাদা একটা মেয়ে। মেয়ে মানুষ বেশি লেখাপড়া করুক এটা আমি কখনোই চাইতাম না। কিন্তু তুমি পড়াশোনায় ভালো বলে, তোমার মায়ের জোড়াজুড়িতে শায়লার বাড়িতে তোমার থাকার ব্যবস্থা করেছি। কিন্তু এখন বুঝতে পারছি, কত বড় ভুল আমি করেছি।’
বড় মামার কথার যে প্রতিবাদ করবে, এতটুকু সাহস আভার নেই। আভা বুঝতে পারলো, পরিস্থিতি আর তার অনুকূলে নেই। জহির সাহেব, আভাকে গ্রামে তার মায়ের কাছে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। ভোর হতেই আভাকে নিয়ে তিনি গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হলেন। শহর ছাড়ার আগে আভা মনে মনে বলল, হে পরম করুণাময়, যারা আজ আমার এত বড় সর্বনাশ করলো, তুমি তাদের বিচার করো।
বেলা এগারোটায় জহির সাহেব, আভাকে নিয়ে তাদের বাড়ি পৌঁছলেন। পূর্বা, উড়ান কেউ তখন বাড়িতে নেই। পূর্বা গেছে কলেজে আর উড়ান স্কুলে। ভাইয়ের সাথে মেয়ের হঠাৎ এই আগমণে হামিদা বেগম বেশ অবাক হলেন। ভাইয়ের উদ্দেশ্যে বললেন,
-‘ভাইজান, আপনি কোথা থেকে আসলেন? আর আভাই বা আপনার সাথে কেন?’
তারপর আভার দিকে ভালোভাবে তাকিয়ে, ওর মুখটা দেখে আঁতকে উঠলেন। একি অবস্থা হয়েছে তার মেয়েটার। চাঁদের মতো ওমন ফুটফুটে মেয়ের মুখে এমন অন্ধকারের কালিমা ছড়িয়ে আছে কেন? তিনি দু’হাতে মেয়ের মুখ তুলে ধরে বললেন,
-‘মারে, তোকে এমন দেখাচ্ছে কেন? কি হয়েছে তোর? শরীর খারাপ করেছে? কই আমাকে তো বলিসনি। কাল সন্ধ্যাবেলায় তো কথা হলো তোর সাথে।’
মায়ের কথার কোনো উত্তর দিল না আভা। মেয়ের কাছে কোনো উত্তর না পেয়ে হামিদা বেগম যখন জহির সাহেবকে জিজ্ঞেস করলেন কি হয়েছে? জহির সাহেব তখন সব ঘটনা খুলে বললেন। সবটা শুনে হামিদা বেগম স্তব্ধ হয়ে গেলেন। নিজের কানকে তিনি বিশ্বাস করতে পারছেন না। তার মেয়ে, তার আদরের মেয়ে, এমন কাজ করতে পারলো! তিনি ছুটে গিয়ে মেয়ের গালে চড় বসিয়ে দিলেন। চিৎকার করে কাঁদতে কাঁদতে বললেন, এসব শোনার আগে আমার মরণ হলো না কেন? দু’হাতে নিজের বুক চাপড়াতে লাগলেন। মনসুর সাহেব তখন ঘরের ভেতর থেকে সমানে বলে যাচ্ছেন, কি হয়েছে হামিদা? তুমি এভাবে চিৎকার করে কাঁদছো কেন? কিন্তু কেউ তার কথার উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করলোনা। হয়তো সংসারে তার অবদান এখন খুব একটা নেই বলে এই অবহেলা। আভা, নিঃশব্দে চোখের জল ফেলতে লাগলো। সে জানে, বড় মামার কথার কাছে কোনো কথায় তার মায়ের কাছে বিশ্বাসযোগ্য নয়। এখন তার কোনো কথা মা শুনতে চাইবে না।
জহির সাহেব চলে যাওয়ার আগে হামিদা বেগমকে বললেন, ‘যা হয়েছে, তারপর এ মেয়েকে আর বাড়িতে রাখা ঠিক হবেনা। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওর বিয়ে দিতে হবে। এ ঘটনা জানাজানি হলে, কোনোদিনও ওর বিয়ে হবে না।’
সারাদিন একা ঘরে পড়ে রইলো আভা। পূর্বা, উড়ান বাড়ি ফিরে বোনকে দেখে খুব খুশি হলো। কিন্তু বোনের মুখ এমন থমথমে কেন? আর বাড়ির পরিবেশটাই বা এতো গম্ভীর লাগছে কেন? বড় মেয়ে বাড়িতে এলে, মায়ের তো আনন্দের সীমা থাকেনা। তাহলে আজ, আজ সবকিছু এমন অদ্ভুত লাগছে কেন? দুজনের কেউই বোন বা মাকে কিছু জিজ্ঞেস করার সাহস পায়না। শুধু মনে মনে ভেবে নেয়, কিছু একটা হয়েছে। আর সেই কিছু একটা হয়তো তাদের জানার প্রয়োজন নেই।
তিন বোনের শোয়ার জায়গা একই ঘরে। ঘরের দু পাশে দুটো বিছানা পাতা। একটা তে আভা আর অন্যটাতে পূর্বা এবং উড়ান থাকে। আভা বাড়িতে না থাকলে অবশ্য দুজন আলাদা আলাদা ঘুমাতে পারে। কিন্তু একসাথে থেকে ওদের অভ্যাস হয়ে গেছে। রাতের বেলা আভা কিছু খেলো না। মা তাকে ডাকতেও এলেন না। নিজেও কিছু খেলেন না। ওভাবেই ঘুমোতে গেলেন। রাত গভীর হতে লাগলো কিন্তু তার চোখে ঘুম নেই। পাশের ঘরে আভার চোখেও ঘুম নেই। পূর্বা ঘুমিয়ে পড়েছে অনেকক্ষণ। যতকিছুই হয়ে যাক সে রাত জেগে থাকতে পারেনা। উড়ান বিছানায় শুয়ে ঘুমানোর ভান করে আছে। আসলে ওর ঘুম আসছেনা। ওর কৌতূহল বরাবরই একটু বেশি।
অন্ধকার ঘরে এক টুকরো চাঁদের আলো ছড়িয়ে পড়েছে জানালা দিয়ে। সেই আলোর মাঝে আভাকে দেখতে পেল উড়ান। আভা নিঃশব্দে পায়চারি করে যাচ্ছিল। ওকে দেখে খুব অসহায় মনে হলো। বোনের সান্নিধ্য খুব কমই পেয়েছে উড়ান। কিন্তু মনে মনে বোনের প্রতি গভীর ভালোবাসা অনুভব করে সে। বোনের স্বপ্ন, স্বপ্ন পূরণের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম, খুব করে দাগ কাটে তার মনে। আজ পর্যন্ত শত বিপদেও বোনকে হার মানতে দেখেনি। তাহলে আজ, আজ কী এমন হয়েছে? যার জন্য এমন বিদ্ধস্ত লাগছে তাকে। উড়ান আর চুপ থাকতে না পেরে বলল,
-‘আপা, তোমার কী শরীর খারাপ?’
উড়ানের কথায় চমকে উঠলো আভা। শরীর খারাপ! সত্যিই যদি তার শরীর খারাপ হতো। যদি সত্যিই এমন কোনো কঠিন অসুখ করতো তার। আর সেই অসুখে এ জীবনের আলো চিরদিনের জন্য অন্ধকারে বিলীন হয়ে যেতো। তাহলে, তাহলে হয়তো আজ এই দিনটা দেখতে হতো না। হঠাৎ কি যেন মনে করে উড়ানের কাছে গিয়ে বলল,
-‘উড়ান, একটা কাজ করতে পারবি?’
-‘কি কাজ?’
কিছু বলতে না পেরে আভা কাঁপতে লাগলো। অজানা আশঙ্কায় বুকের ভেতরটা তোলপাড় করতে লাগলো তার।
চলবে…
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি মাসে জিতে নিন নগদ টাকা এবং বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।
গল্পপোকার এবারের আয়োজন
ধারাবাহিক গল্প প্রতিযোগিতা
◆লেখক ৬ জন পাবে ৫০০ টাকা করে মোট ৩০০০ টাকা
◆পাঠক ২ জন পাবে ৫০০ টাকা করে ১০০০ টাকা।
আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/?ref=share