ক্রাশ যখন বর Season_3Part_46/47/38

0
2920

ক্রাশ যখন বর Season_3Part_46
Writer-Afnan Lara

শিশির তনুকে বসিয়ে টিসু এনে ঠোঁট মুছতে মুছতে বললো যে অমি এসেছিলো,বাকিটাও বললো
তনু-ওহ, বেয়াদব একটা
শিশির-আচ্ছা ঔষধ খাবা, ভাত খেয়ে নাও
তনু-আমার মায়ের কাছে থাকতে ইচ্ছে করতেছে
শিশির-অসম্ভব,আমি তোমাকে ছাড়া থাকবো কি করে
তনু-মায়ের কথা খুব মনে পড়তেছে আমার,২দিন ছুটি নিন
শিশির-১দিন পারবো
তনু-সেটা তো আমাকে দিয়ে আসতেই শেষ হয়ে যাবে
শিশির-কিছু করার নাইই,তার চেয়ে বরং মা বাবারে বলো এখানে চলে আসতে
তনু-ওরা এতদূর কিভাবে আসবে
শিশির-তাহলে কি আর করার আমি নাহয় দিয়ে আসবো,থাকলাম তোমাকে ছাড়া
শিশির মন খারাপ করে চলে গেলো
তনু-?আমার বুঝি মা বাবাকে দেখতে মন চায় না
রাতে তনু শিশিরের কাছে গিয়ে ওকে জড়িয়ে ধরতেই শিশিট সরে গেলো
শিশির-হুহ ঢং
তনু-এমন করেন কেন?আমি মা বাবাকে দেখি না কতদিন হয়ে গেসে,আমার বুঝি দেখতে মন চায় না
শিশির-হুম দিয়ে আসবো কাল
পরেরদিন তনু মা বাবাকে সালাম করে বের হলো,গাড়ীতে শিশির কথা বলতেছে না
তনু-আইসক্রীম খাব
শিশির তাও গাড়ী চালাচ্ছে চুপচাপ
তনু-খিধা লাগসে আমার
শিশির পানির বোতল এগিয়ে দিলো
তনু পানি খেয়ে তাকিয়ে রইলো
তনু-আমার সত্যি খিধা পেয়েছে
শিশির একটা হোটেলের সামনে গাড়ী থামালো
অনেকগুলো খাবার অর্ডার করলো
শিশির-নাও খাও
তনু অল্প খেয়ে আর খেতে পারতেছে না,শিশিরের দিকে তাকিয়ে আছে
শিশির-সব খেতে হবে নইতো খবর আছে,খিধা খিধা করে মাথা খাইসে আমার
তনু জোর করে আরেকটু খেলো,
শিশির ধরে পরোটা একটা খাইয়ে দিলো জোর করে
ক্যাশে টাকা দেওয়ার সময় একজন লোক এসে বললো তনু বাইরে বমি করতেছে ,উনার ওয়াইফ তনুকে ধরেছে,শিশির তাড়াতাড়ি করে গিয়ে তনুকে ধরলো
পানি খাইয়ে গাড়ীতে বসালো
শিশির-সরি,
তনু-?
তনু শিশিরের কাঁধে মাথা রাখলো,শিশির drive করতেছে
তনু-বেশি থাকবো না??
রাতে গিয়ে ওরা বাসায় পৌঁছালো,,
তনু অনেক ক্লান্ত ছিলো তাই ঘুমিয়ে পড়লো
শিশির বসে আছে,আবার রওনা দিতে হবে,
ইদানিং অফিসে এত কাজ যে বলে বুঝানো যাবে না,এর ভিতর ওর এমন ঘুম থেকে আমার ওকে জাগাতে মন চাচ্ছে না
আর ৫মিনিট বাকি,শিশির তনুর হাত চেপে ধরতেই তনু জেগে গিয়ে উঠে বসলো
শিশির-তনু লেট হচ্ছে আমি যাই
তনু-এখনই?আরেকটু থাকেন
শিশির-নাহ,৭দিন পর আসবো,ভালো থেকো,নিজের খেয়াল রেখো,ফোন দিও
তনু শিশিরকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে রাখলো
শিশির তনুর কানের কাছে মুখ নিয়ে চুমু খেলো,ওর কপালে চুমু দিয়ে উঠে চলে গেলো,
শিশির বাসায় আসতে আসতে পরেরদিন দুপুর হয়ে গেসে,
একটু rest করেই অফিসে চলে গেলো,
তনু তো সময়ই পাচ্ছে না,সবাই ওর আত্নীয় স্বজনে ভীড় হয়ে গেসে,তনুর ৩টা বাচ্চা হবে,সবাই একেএকে ওকে দেখতে আসছে
শিশিরের কিছু frd বললো ঘুরতে যাবে সাথে ওকে নিয়ে যেতে
তো যেমন কথা তেমন কাজ,বউ নাই,ঘুরতে যেতেই পারে তাও রাতের পার্টি,কাজ ও নেই
সবাই মিলে ঘুরলো খেলো,শেষে মদ আনলো
শিশির আগে খেত কিছুদিন অফ রাখসিলো খাওয়া তাই এখন সামনে পেয়ে লোভ সামলাতে পারলো না,এক বোতল খেয়েই ছাড়লো,চারপাশে গুনে গুনে ১০টা তনুকে দেখছে শিশির,যদিও সব পার্টির মেয়ে, নিজেকে ঠিক করে ওয়াসরুমে গিয়ে মুখে পানি দিলো,একটা মেয়ের হাত শিশিরের শার্ট ছুঁলো
শিশির চোখ মুছতে মুছতে ঘুরে তাকালো,তনু??এখানে??কিভাবে
শিশির দেখলো এটা সত্যি তনু,
শিশির জড়িয়ে ধরে কোলে তুলে নিলো মেয়েটাকে,নিয়ে সিটে বসালো,মাথার চুলে হাত বুলাতে বুলাতে ওর কোলে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়লো
পরেরদিন সকালে♥
তনু-উফ ফোন ধরতেছে না কেন আমার
তনু মাকে কল দিলো মা বললো কাল শিশির বাসায় আসেনি,বন্ধুদের সাথে ঘুরতে গেসে
তনু আরও চিন্তায় পড়ে গেলো,,তনুর ফোনে একটা আইডি থেকে কিছু পিক পাঠালো
নেট স্লো তাই পিক আসতেছে না,তনু ফোন রেখে গোসল করতে চলে গেলো
শিশির যখন চোখ খুললো নিজেকে একটা হোটলের রুমে পেলো,শার্টের বোতাম গুলো ও ঠিকঠাক নেই,শিশির চমকে উঠে বসলো,গালে লিপ্সটিকের দাগ,এসব কি,,শিশির মাথায় হাত দিয়ে উঠে দাঁড়ালো,উফ মাথাটা অনেক ধরসে,
শিশির ফোন খুঁজে দেখলো তনুর ৫৬টা মিসড কল,
শিশির তনুকে ফোন দিলো
তনু বাথরুমে তাই রিসিভ করতে পারলো না
শিশির fresh হয়ে গাড়ী নিয়ে সোজা অফিস গেলো,
তনু চুল মুছতে মুছতে বেরিয়ে আসলো,ফোন হাতে নিয়ে মেসেজটা চেক করার পর তনুর যেন পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গেলো
এসব কি ধরনের পিক,আর কিছু ভিডিও,আমার শিশির এমন না,এটা হতে পারে না
শিশির!
তনুর চোখ থেকে পানি পড়তেছে,শেষমেষ নাতাশার সাথে এমন করলো শিশির,আমার আগেই ভাবা উচিত ছিলো,,পিক মিথ্যা হতে পারে কিন্তু ভিডিও?
তনু চোখ মুছতে মুছতে নিচে বসে পড়লো
পেটে ব্যাথা করতেছে হঠাৎ করে,,
মা-একি তনু,কি হইসে
তনু চোখ মুছে নিলো
তনু-না কিছু না,
শিশির তনুকে ফোন দিলো,তনু ফোনের দিকে তাকিয়ে বসে আছে,,
আমি একদিন থাকলাম না আর শিশির,আমার কেন বিশ্বাস হচ্ছে না,এত প্রমানের পরও
তনু পেটে হাত দিয়ে বসে আছে,ব্যাথা বেড়ে যাচ্ছে,,এখনও ২মাস বাকি,,তাহলে এখন ব্যাথা করতেছে কেন,,
তনু ব্যাথাটা সারাদিন সয্য করলো
মাকে শিশির ফোন দিয়ে বললো তনুকে ফোন দিতে
মা-তনু তো ঘুমায়,
শিশির-ওহ,আচ্ছা উঠলে বলবেন ফোন চেক করতে
মা-ঠিক আছে
তনু রাতে উঠলো,পেটের যন্ত্রনা অনেক বেড়ে গেসে,,
ফোনের দিকে তাকিয়ে দেখলো শিশিরের কল
তনু ফোনটা নিয়ে রিসিভ করলো
শিশির-তনু,কি হইসে তোমার,আমার কল ধরতেছো না কেন,সারাদিনে কতবার ফোন দিসি তোমাকে?
তনু-এই ধোকা না দিলেও পারতেন,আমি কি দোষ করেছি,আপনাকে ভালোবাসাটা আমার অপরাধ ছিলো??নাতাশাকে যে আমার চাইতেও ভালোবাসেন আর কত প্রমান করবেন, আমি কি এতই খারাপ,
শিশির-কি বলতেছো এসব?
তনু-যাই হোক,আমি ডিভোর্স দিয়ে দিব আপনাকে,আপনি নাতাশার সাথে আরও বেশি সুখী হবেন,
তনু ফোন রেখে দিলো,
শিশির-মানে?
যে আইডি থেকে তনুকে ছবি আর ভিডিওগুলা দিসিলো সেই আইডি থেকে এবার শিশিরকেও ছবি গুলো দেওয়া হলো
শিশিরের চোখ কপালে,নাতাশা শিশিরকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে আছে,শিশিরের কোলে নাতাশা,এসব পিক,ওর গালে চুমু দিচ্ছে,চুমু দেওয়ার সময় ভিডিও করসিলো,
শিশিরের জ্ঞান যে নাই তা একদম বুঝা যাচ্ছে না আর তার কারন হচ্ছে শিশির চোখে তনুকেই দেখেছে,
শিশির চমকে উঠলো এমন ছবি ভিডিও দেখে,তারপর বন্ধুদের ফোন দিলো,ওরা বললো শিশিরই নাকি কাল ওদের চলে যেতে বলেছে,সে নাকি নাতাশার সাথে time spend করতে চায়
শিশির-তনুকে কি করে বুঝাবো আমি,ওর এসময়ে কেন এমন একটা ভেজাল হতে গেলো,না জানি একা একা কি করতেছে,শিশির মাকে ফোন দিয়ে বললো তনুর খেয়াল রাখতে
মা বললো তনুর নাকি সকাল থেকে শরীর খারাপ,খাট থেকেও নামতে পারতেছে না
শিশির একটা নতুন stuffএনে ওকে কাজ বুঝিয়ে দিয়ে সোজা নাতাশাদের বাসায় গেলো,গিয়ে নাতাশাকে চড়ের উপর চড় মারতে থাকলো,
শিশির-জীবনে তো কোনো ছেলে পাবা না তাই এমন করতেছো আমাকে নিয়ে তাই না,,আমার লাইফটাকে হেল করতে চাচ্ছো,কালকের নাটকটা কেন করলা???!
নাতাশা-যাতে তনু তোমাকে ভুল বুঝে?
শিশির নাতাশাকে আরেকটা চড় মারলো,এখন যদি ওরে মেরেও ফেলি তাও রাগ কমবে না,
শিশির বেরিয়ে গেলো বাসা থেকে,মাকে বলে তনুদের বাসার জন্য রওনা দিলো,
তনু কিছু খেতে পারতছে না পেটে ব্যাথার জন্য,doctor বললো এমন হয় মাঝে মাঝে টেনশানের কিছু নেই
চলবে♥
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন


ক্রাশ যখন বর
#Season_3
Writer-Afnan Lara
#Part_47
শিশির রাতেই তনুদের বাসায় আসলো,এসে দেখলো তনু চোখ বুজে শুয়ে আছে,আর একজন মহিলা doctor তনুর হাতে ইনজেকশান দিচ্ছে,
শিশির-কি হইসে ওর
মা-পেট ব্যাথা বেড়ে গেসে
শিশির doctor এর দিকে তাকালো
Doctor -উনি প্রচণ্ড tensed ছিলেন যার কারনে এই সমস্যা দেখা দিসে,উনাকে টেনশন মুক্ত রাখার চেষ্টা করবেন
শিশির-হুম ওকে
শিশির তনুর মাথায় হাত বুলাচ্ছে বসে বসে
মা শিশিরের জন্য খাবার রেডি করতেছে
তনু চোখ খুলে শিশিরকে দেখে খুশি হয়ে গেলো,পরক্ষনেই ওর ছবি আর ভিডিওর কথা মনে পড়ে যেতেই শিশিরের হাত সরিয়ে ফেললো
তনু-টাচ করবেন না আমাকে,আপনি খুব খারাপ
শিশির -তনু বিশ্বাস করো আমাকে
তনু-আপনি এখানে এসেছেন কেন,চলে যান এখান থেকে,আমি আপনার মুখ দেখতে চাই না
তনু কথাগুলো কেঁদে কেঁদে বলতেছে
শিশির-সব বাদ,তুমি শান্ত হও প্লিস,
তনু-চলে যান এখান থেকে
শিশির-ঠিক আছে চলে যাব
শিশির তনুর চোখ মুছতে গেলো তনু পিছিয়ে গেলো
শিশির-ঠিক আছে,চলে যাচ্ছি
শিশির বেরিয়ে গেলো
মা-শিশির দাঁড়াও,কিছু খেয়ে যাও
শিশির-মা আমি এখানেই আছি,আমাদের বাসায় থাকবো,
শিশির চলে গেলো,রহিম চাচা খাবার রেডি করে দিসে,
শিশির মুখের সামনে খাবার ধরে বসে আছে,শুধু তনুর কথা মনে পড়তেছে,
রাত ১টা বাজে,কি করতেছে কে জানে
শিশির আর থাকতে না পেরে আবার রওনা দিলো,তনুদের বাসায় আসলো,বুয়া দরজা খুলে দিসে,
তনু ঘুমিয়ে গেসে,শিশির গিয়ে ওর গায়ের কাঁথা টেনে ঠিক করে দিয়ে ওর পাশে শুয়ে পড়লো,
সকালে তনু উঠে পাশে তাকালো,কেউ নেই,কিন্তু আমার কেন মনে হলো শিশির আমার পাশে ছিলো,
শিশির সকাল সকাল চলে গেসিলো,তনু উঠার আগেই
তনু উঠে fresh হয়ে আবার এসে বসলো খাটে,শিশিরের হাতের ঘড়ি বিছানায় এক কোণে পড়ে আছে,তার মানে শিশির কাল রাতে সত্যিই এসেছিলো
ছবি গুলো আর ভিডিও গুলো তনু আবার দেখলো,দেখে আবার কষ্টে কেঁদে দিলো,চোখ মুছে বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ালো,
শিশির গালে হাত দিয়ে বসে আছে তাদের বাসায়,তনু এত কাছে আছে তাও তাকে দেখতে যাওয়ার অনুমতি নাই
শিশির নিজেকে control করতে না পেরে বেহায়ার মতন গেলো দেখতে, তনু বারান্দায় বসে বাইরে দেখতেছে
শিশির-আসবো?
তনু তাকিয়ে দেখলো শিশির বারান্দার দরজার সামনে দাঁড়িয়ে তাকিয়ে আছে
তনু কিছু বললো না,চোখ ফিরিয়ে নিলো
শিশির এসে তনুর পাশে বসলো
তনু হাত ধরতেই তনু হাত ছাড়িয়ে নিলো
তনু-এই হাত অন্য নারীকে ছুঁয়েছে,এই হাত আমার যোগ্য নাহ,নোংরা হাত,আমি চাই না,আমার বাচ্চাদের গায়ে এই হাত লাগুক
শিশির-তুমি আমাকে বিশ্বাস করো না?
তনু-করি,কিন্তু এবার??বিশ্বাস করার মতন কিছু আমি দেখতেছি না
শিশির-আমি নেশার ঘোরে ছিলাম তনু,আর আমি ভাবসি ওটা তুমি
তনু-ওহ এখন আপনি মদ ও খান তাই না
শিশির-আমি তোমাকে ভালোবাসি তনু,তোমাকে ছাড়া আমি অন্য কাউকে কেন,,
তনু-ব্যস,!অন্য কাউকে তো না,নাতাশাকে,নাতাশাতো অন্য কেউ না,নাতাশা আপনার ভালোবাসা,একমাত্র,আর আমি নামেমাত্র
তনু উঠে দাঁড়ালো
তনু-চলে যান এখান থেকে
তনু রুম থেকে বেরিয়ে গেলো
তনু নাস্তা করে এসে দেখলো শিশির তনুর খাটে লম্বা হয়ে শুয়ে আছে,
তনু আবার চলে গেলো,
শিশির শান্তিতে ঘুমাচ্ছে,,
বিকালের দিকে শিশির চোখ খুলে তাকালো,তনু বসে তাকিয়ে আছে
শিশির-গুড afternoon বউ
তনু কাগজ একটা এগিয়ে দিলো,
শিশির পড়ে দেখলো ডিভোর্স পেপার আর তনুর সাইন করা
শিশির চোখ ডলে আবার চেক করলো
শিশির-আর ইউ সিরিয়াস?
তনু-বেরিয়ে যান,আপনার সাথে আমার সব সম্পর্ক শেষ
শিশির-তনু তুমি এটা পারলে??
শিশির উঠে তনুকে জড়িয়ে ধরতে গেলো তনু সরে গেলো
শিশির আরও এগিয়ে গিয়ে তনুকে ধরলো
শিশির-তনু আমাকে বিশ্বাস করো
তনু তাকাচ্ছে না শিশিরের দিকে
শিশির তনুর মুখ ধরে চুমু দিতে যাবে তনু শিশিরকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলো
তনু-সাহস হয় কি করে আপনার??নাতাশাকে তো চুমু দিসিলেন,আবার আমাকে কেন??আই hate you
তনু গিয়ে মাথা ধরে খাটে বসলো
শিশির চুপচাপ কাগজটা নিয়ে চলে গেলো,
বাসায় এসে বসলো,রহিম চাচা
রহিম চাচা-বলুনন ছোট সাহেব
শিশির-আমার জন্য মদ আনার ব্যবস্থা করো
রহিম চাচা-কিন্তু
শিশির চোখ রাঙিয়ে তাকালো,
রহিম চাচা গিয়ে মদ এনে দিলো
শিশির-বেরিয়ে যাও
শিশির দরজা লাগিয়ে গিয়ে বসলো,হুহ এই মদ আমার থেকে তনুকে নিয়ে গেসে,আই উইস এই মদই আবার ফিরিয়ে আনবে,
শিশির কাগজটার দিকে তাকিয়ে হাসলো,তারপর মদ খেতে থাকলো,কখন যে ঘুমিয়ে পড়সে সেদিকে খবর নেই
তনু শিশিরকে ভুলার চেষ্টা করতেছে,,বাবুদের ভারের জন্য ঠিকমত হাঁটা চলাও সম্ভব হচ্ছে নাহ
তাই বেশির ভাগ সময় তনু বিছানায় থাকে,ফোন অফ করে মায়ের আলমারিতে রেখে দিসে তনু,যাতে শিশিরকে মনে না পড়ে,কিন্তু তারপরেও সারাদিন চোখে, মনে,শুধু শিশিরের কথাই আসে,
ওদিকে শিশিরের অবস্থা নাজেহাল, মদ খেয়ে খেয়ে খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দিসে,দরজা খুলে না,সারাদিন একা রুমে থাকে,রহিম চাচা তনুকে অনেকবার ফোন দিসে,কিন্তু তনুর তো ফোন অফ,
শিশিরের খুব জ্বর তাও,শুয়ে আছে,টিভি দেখতেছে,
৫দিন হয়ে গেসে দুজন দুজনের খবর নেয় না,রহিম চাচা পরে মাকে কল দিয়ে সব জানিয়ে দেয়,মা বাবা দেরি না করে তারাও রওনা দিয়ে দেয়,,
তারা এসে অনেকক্ষন ধরে দরজা ধাক্কানোর পর শিশির দরজা খুলে
শিশির-কে??
মা-শিশির!তোর এই অবস্থা কেন?আর তনু কই
তনু নামটা শুনে শিশিরের চোখে পানি এসে গেলো,চোখ মুছে গিয়ে খাটে বসলো
মা-তনু কই?
শিশির-জানি না
মা-কেন জানস না, আর তোর এই অবস্থা কেন?গায়ে জ্বরে পুড়ে যাচ্ছে আর তুই একবার ফোন পর্যন্ত দেস নাই
মা-আমি তনুকে নিয়ে আসতেছি
শিশির-ও এখন আমাদের পর হয়ে গেসে মা
মা-মানে?
শিশির কিছু বললো না,কাঁথা টেনে শুয়ে পড়লো
চলবে♥
(ডিভোর্স হয়নি,কেউ আমারে বকবা না কইয়া দিলাম?কেমনে কি হইসে তা কালকের পার্টে বুঝবা)
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন



ক্রাশ যখন বর
#Season_3
Writer-Afnan Lara
#Part_48
মা পানি এনে শিশিরের মাথায় পানি দিলো,,
শিশির ঘুমাচ্ছে,,মা এবার তনুকে আনতে গেলো,
তনু মাকে দেখে কিছুটা অবাক হলো
তনু-মা আপনি?সব ঠিক আছে তো
মা-কিছুই ঠিক নেই রে,,তোদের মধ্যে কি হইসে বল??শিশির অনেক অসুস্থ হয়ে গেসে,মাত্র মাথায় পানি দিয়ে আসলাম,এই কদিনে ঠিকমত খাওয়া দাওয়া ও করেনি,তুই শিশিরকে বাঁচা মা,
মা কাঁদতে থাকলো তনুর হাত ধরে,
তনু-মা প্লিস কাঁদবেন না
তনু মায়ের সাথে উনাদের বাসায় আসলো,তনু শিশিরের রুমে গিয়ে দাঁড়িয়ে আছে শিশিরের দিকে তাকিয়ে, শিশির গভীর ঘুমে আছে
সকালে শিশির উঠলো,, উঠে চোখ ডলতে ডলতে মদের একটা বোতলে হাত দিতেই তনু হাত থেকে বোতলটা নিয়ে নিলো
শিশির চোখ কচলিয়ে ভালো করে তাকালো,তনু?নাহ ঘুমের ঘোরে ভুল দেখতেছে
শিশির বোতলটা টান দিতেই তনুও টান দিলো
শিশির-আজ আবার চোখের ভুলে কারে রেখে কারে দেখছি কে জানে,
শিশির একটা ধাক্কা দিলো তনুকে
তনু নিচে পড়ে যাওয়া ধরলো,পরে যাওয়ার সময় শিশিরের হাত ধরে ফেললো,শিশির দেওয়াল ধরে balance করে নিলো,
শিশির-এটা তো সত্যি সত্যি তনু
শিশির টান দিয়ে তনুকে বুকে নিয়ে এলো
শিশির-সরি আমি বুঝতে পারিনি,তুমি ঠিক আছো?
তনু কিছু বললো না,বোতলটা নিয়ে চলে গেলো,
শিশির fresh হয়ে,আলমারি থেকে একটা মদের বোতল খুঁজে গিয়ে খাটে বসলো
তনু নাস্তা নিয়ে এসে দেখলো শিশিরর বোতল থেকে গ্লাসে মদ ঢালতেছে
তনু টান দিয়ে গ্লাসটা নিয়ে নিলো
তারপর ব্রু কুঁচকে নাস্তার ট্রে এগিয়ে দিলো
শিশির-আমার অভ্যাস হয়ে গেসে তনু,মদ দাও,নাস্তাতে পেট ভরবে না
তনু মদের বোতল নিয়ে চলে গেলো
শিশির আর উপায় না পেয়ে রুটি একটা খেয়ে নিলো,
তনু শিশিরের সামনে আসে না,দূরে দূরে থাকে
শিশির-এতই পর হয়ে গেসি তাই না?
তনু কথাটা শুনলো কিন্তু কিছু বললো না
দুপুরে মা বাবা ঘুমাতে চলে গেলো,,তনু সোফায় বসে আছে,,মাথা হেলান দিতেই ঘুম এসে গেলো
শিশির চুপিচুপি এসে তনুর সামনে ফ্লোরে বসলো,তনুর গালে হাত দিয়ে টাচ করলো,এক অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করতেছে,
তনুর গালে নিজের ঠোঁট লাগালো শিশির,,এরকম অনূভুতি আর হয়নি কখনও,,
শিশিরের গালের ছোট ছোট দাঁড়িতে খোঁচা লাগতেই তনু জেগে গেলো,হঠাৎ শিশিরকে দেখে তনু চমকে উঠলো
শিশির-আমি আমি,ভয় পেও না
তনু উঠে চলে গেলো,কিছুদূর হাঁটতে হাঁটতে পিছনে তাকালো,দেখলো শিশির নেই তনু সেই দৃষ্টিতে কিছুক্ষন তাকিয়ে থাকলো,
শিশির -কাকে খুঁজছো?
তনু কিছুটা লজ্জা পেয়ে চলে গেলো,
শিশির খাটে বসে তাকিয়ে আছে আর তনু বারান্দায়
শিশির যদি এখন বারান্দায় যায় তবে তনু বাসা থেকেই চলে যাবে
তনুর কষ্ট হচ্ছে একটু rest করলে ভালো হতো,কিন্তু খাটে তো শিশির,যেতে কেমন জানি লাগতেছে
শিশির-তনু,এখানে এসে ঘুমাও,আমি বাজার থেকে ঘুরে আসি
তনু ভাবতে থাকলো শিশির কিভাবে বুঝলো,
শিশির চলে গেলো,তনু এসে খাটে শুতেই ঘুমমমমম,
শিশির বাজারে গিয়ে গোলাপ কিনলো তনুর জন্য,সাহস পাচ্ছে না,তনুকে দিতে
বিকাল হতেই শিশির আসলো বাসায়,খাটে তনু নেই,আবার চলে গেলো না তো
শিশির তাড়াহুড়ো করে সোফার রুমে আসতেই দেখলো তনু মায়ের সাথে বসে চা খাচ্ছে
শিশির ফুলটা নিয়ে খাটে রেখে এসে মায়ের পাশে বসলো,
তনু শিশিরকে দেখে উঠে চলে গেলো
রুমে এসে দেখলো বিছানায় একটা গোলাপ,
তনু গোলাপটা হাতে নিয়ে তাকিয়ে আছে,হঠাৎ নিজের পেটে কারোর স্পর্শ পেলো তনু,শিশির ধরেছে,
তনু শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে আছে
শিশির-ওভাবে আর কখনও,,,,,,,,থাক,নাই ছুঁলাম,,,,,
শিশির-একটা কথা বলবা
তনু চুপ হয়ে আছে
শিশির-তোমাকে সেদিন ছুঁয়ে আমি ঢাকায় ফিরে এসেছিলাম,সেই ছোঁয়া কি তোমার ফেক মনে হইসে?আমি কি এত খারাপ??
আমাদের বাবুদের জন্য হলেও তো ভাবতা,কেন এতবড় সিধান্ত নিলে তুমি,আমাকে কি বিশ্বাস করা যায় না একবার ও??ঐ ছবিগুলোই সব?
তনু-ভিডিও?
তনু শিশিরের দিকে ফিরে তাকালো,নিজের ফোন থেকে ভিডিওটি play করলো
তনুর চোখ থেকে পানি অনবরত পড়তেছে
শিশির তনুকে ধরতে যাবে তনু পিছিয়ে গেলো
তনু-পাপী,
তনু গিয়ে খাটের এক কোণে বসলো,গোলাপটা ছুড়ে ফেলে দিলো নিচে
শিশির ভিডিওটির দিকে তাকিয়ে আছে,কি দিয়ে কি প্রমান করবো তাই বুঝতেছি না আমি
শিশির বালিশ নিয়ে সোফায় বসলো,
তনু না দেখার ভান করে বসে আছে,
শিশির-একটা সময় মেয়েটা আমার জন্য পাগল ছিলো আর এখন আমাকে পাগল করে ছেড়েছে,
রাতে ♥
তনু বসে আছে গালে হাত দিয়ে,ঘুম আসতেছে না,শিশির মরার মত ঘুমাচ্ছে,লাইটের আলো গিয়ে ওর মুখে পড়েছে,,এত সুন্দর লাগতেছে যে তনু শিশিরের দিকেই তাকিয়ে আছে,,আমার বাবুগুলো যেন সব শিশিরের চেহারা পায়,কিউট কিউট কিউট
অনেকক্ষন কেউ আপনার দিকে তাকিয়ে থাকলে আপনার পাকা ঘুম ভেঙে যাবে
শিশিরের ক্ষেত্রেও তাই হইসে
শিশির ঘুম ভেঙে যেতেই চোখ খুলে দেখলো তনু বসে তাকিয়ে আছে খাট থেকে
তনু শিশিরকে দেখে চোখ আরেকদিকে ফিরিয়ে নিলো
শিশির-কি হইসে তনু?ঘুমাও না কেন,কোনো সমস্যা?
তনু কিছু বললো না
শিশির উঠে এসে তনুর পাশে বসলো
শিশির-খাবা কিছু??
তনু-না
শিশির তাহলে ঘুমাও,আমি মাথায় হাত বুলিয়ে দিই
তনু-লাগবে না,সরুন
শিশির-হুম এখন তো আমি অপরিচিত লোক
শিশির গিয়ে সোফায় বসলো আবার
শিশির-এখন যদি আমি তোমাকে জোর করে আদর করি?
তনু-????
শিশির-?
শিশির ডিভোর্স পেপারটা নিয়ে দেখতে বসলো,,ছিঁড়ে ফেললো তো হবে,ডিভোর্স হবে তখন?
শিশির পেপারটা পড়ে কিছুক্ষনের জন্য থ হয়ে বসে রইলো
আরে এটা তো আমার বানানো ফেক ডিভোর্স লেটার টা যেটা আমি অমিকে দেখানোর জন্য বানাইসিলাম
শিশির তনুর দিকে তাকিয়ে বসে আছে,শয়তান মেয়ে একটা,আমি তো ভয় পেয়ে গেসিলাম,
শিশির-তার মানে ডিভোর্স হয়নি,যাক,তাহলে এখন গিয়ে বউরে জড়িয়ে ধরতে পারবো কোনো প্রকারর বাধা ছাড়াই
শিশির গিয়ে তনুকে ঝাঁপটে ধরে শুয়ে পড়লো
তনু-একি,সরুন,ধরবেন না আমাকে
শিশির-তোমার কারসাজি ধরা খাইসে,
তনু-কি মানে
শিশির-মানে আপনি আমার আইনগত বউ এখনও,
তুমি দেখি চোরের উপর বাটপারি করসো,আমি ফেক লেটার বানাই অমিরে ধোকা দিসি আর তুমি সেই পেপার দিয়ে আমাকেই ধোকা দিসো,বলতে হবে অনেক চালাক তুমি,তাহলে এই চালাকি নাতাশার কাজকর্ম বের করতে লাগাও,আমাকে শান্তি দাও,এ কদিনে মরে যাওয়ার মত অবস্থা হইসে, বিশ্বাস করো তনু আমি সৎ,আমি উল্টা সিধা কিছু করিনি,আর যা দেখসো ওগুলা তুমি ভেবে করসি,বিশ্বাস করো
তনু শিশিরকে ছাড়িয়ে নিলো
তনু-দূরে থাকুন,প্রমান হলে টাচ করবেন,
চলবে♥

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে