ক্রাশ যখন বর Season_3Part_37
Writer-Afnan Lara
শিশির আবার এগিয়ে আসলো,তনু ধাক্কা দিতে গেলো শিশির তনুর দুহাত চেপে ধরলো
শিশির-কি?আমার দোষ কি
তনু-তুই আমাকে ভালোবাসোস নাহ
শিশির-ওহ আচ্ছা তাই
শিশির-কি করে বুঝলেন??
তনু-ভালোবেসে যেগুলো করে আপনি সেগুলো avoid করেন
শিশির-হুম বুঝলাম,আর তাই আমি তোমাকে ভালোবাসি না??
তনু-হুম
শিশির তনুকে উঠে বসালো,হাত ধরে বারান্দায় নিয়ে গেলো,ইশারা করলো যাতে তনু শিশিরের পায়ের উপর ভর দিয়ে দাঁড়ায়
তনু মুখ আরেক দিকে ফিরিয়ে দাঁড়িয়ে রইলো
শিশির টান দিয়ে তনুকে বুকে এনে কোমড় ধরে উঁচু করে ধরলো,,
তনু-ঢং
শিশির তনুকে চুমু দিতে লাগলো,কিন্তু তনু এমন একটা লুক নিয়ে তাকিয়ে আছে যেন মেরে ফেলবে শিশিরকে,একটা ছেলে ওরে কিস করতেছে সেদিকে ওর একটুও খেয়াল নেই,
শিশির ২মিনিট পর তনুকে ছেড়ে দিলো,,
তনু ঠাসঠুস করে চলে গেলো
শিশির-যাক বাবা এটা করলেও দোষ ওটা করলেও দোষ,
তনু খাটে গিয়ে শুয়ে পড়তেই ঘুম নেমে এলো,,
শিশির তনুর জামার চেইন ধরে জোরেসোরে এক টান দিলো
তনু চিৎকার দিয়ে উঠে বসে জামা ধরলো
শিশির-কি?এখন কিসের ঘুম
তনু-হারামি কুত্তা,কত কষ্টে একটু ঘুম আনিয়েছিলাম,
তনু খাট থেকে নেমে শিশিরকে ধরে ওর গায়ের শার্ট খুলে নিয়ে চলে গেলো
তনু-বেইজ্জতি=বেইজ্জতি
শিশির -হুহ
শিশির খালি গায়ে বারান্দায় দাঁড়িয়ে style করে কয়েকটা ছবি তুললো,তনু আড়চোখে তাকিয়ে আছে
তনু-কারে দিবেন এই ছবিগুলো
শিশির-post দিয়ে লিখবো girls weakness
তনু-কিহ????
তনু-ঠিক আছে ফাইন
তনু জামার হাতা অর্ধেক নামিয়ে কয়েকটা ছবি তুলে ফোন হাত নিলো post দেওয়ার জন্য,শিশির ছোঁ মেরে ফোনটা নিয়ে চলে গেলো
তনু-নিলেন কেন,আমিও post দিব,দিন
শিশির-শুনো তোমার আর আমার মধ্যে প্রচুর তফাৎ,আমি ছেলে আর তুমি মেয়ে,বুঝছো,এই পিক তুমি দিবা না
তনু-দিব,আপনি দিলে আমিও দিব
শিশির -তনু বাড়াবাড়ি করবা না
তনু ফোন নেওয়ার জন্য হাতাহাতি করতেছে,শিশির তনুকে আটকাতেই পারতেছে না,একটা সময় শিশির রেগে গিয়ে মারা জন্য হাত উঠাতেই তনু থেমে গেলো,
তনুর চোখে পানি এসে গেসে,চোখ মুছে ফোন ছেড়ে দিয়ে চলে গেলো,
শিশির-তনু
তনু বাথরুমে গিয়ে দরজা লাগিয়ে দিলো,
শিশির-তনু দরজা খুলো,সরি তনু
শিশির গিয়ে খাটে চুপচাপ বসে থাকলো,তনু আসার অপেক্ষায়,
অনেকক্ষন পর তনু আসলো,চোখ মুখ ফুলে আছে মনে হয় কাঁদছে অনেক,খাট থেকে ওড়না খুঁজে পরে নিয়ে খাটের এক কোণে শুয়ে পড়লো
শিশির তনুকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরলো,ওর ঘাড়ে নাক লাগিয়ে সরি বললো,
তনু কিছু বললো না
শিশির-আমি ঐ ছবি post করি নাই,আর করবো ও না
শিশির-আর এই ওড়না কেন?
শিশির ওড়না খুলতে গেলো তনু দিলো না,
শিশির-রাগ কমেনি
শিশির তনুর ঘাড়ে কাতুকুতু দিতে লাগলো তনু উঠে বসে গেলো
শিশির-সরি,এই যে কানে ধরলাম
তনু-মারুন
শিশির-দেখো এভাবে বলো না
তনু -ছবি upload করুন,আমি আর কিছু বলবো না,আমি তো আপনার জোর করে বিয়ে করা বউ
শিশিরের মনটা খারাপ হয়ে গেলো,
তনু কেঁদে দিলো আবার,,
শিশির কিছু না বলেই তনুকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো,,
তনু শিশিরের বুকে কাঁদতেছে
শিশির-আর কেঁদো না প্লিস,হাত আমি কেটে ফেলবো
তনু কাঁদা শেষ করে শিশিরের মুখের দিকে চেয়ে রইলো
শিশির-সত্যি কাটতাম?
তনু-?তাহলে কি দুষ্টুমি করে বললেন?
শিশির-তুমি সিরিয়াস নিসো?হাত কাটলে তোমারে ধরে চুমু দিব কি করে
তনু-আমার হাত আছে না
শিশির-কি বজ্জাত মেয়েরে বাবা,
তনু শিশিরের গায়ে কয়েকটা কিল ঘুষি দিয়ে দিলো,
দিয়ে শিশিরকে গালি দিয়ে শিশিরের বুকে শুয়ে পড়লো,,
শিশির ফোনটা হাতে নিয়ে একটা ছবি তুললো দুজনের
তুলে সেটাই post দিলো,শিশিরের সব frd রা তো comment করা শুরু করে দিলো,,আসলে ছবিটা অনেক কিউট আসছিলো,,
বিকালের দিকে শিশির তনুকে টেনে তুললো,তনু শিশিরের কেনা টপস পরে বের হলো,,দুজনে ঘুরে আবার ফিরে আসলো,,
তনু-আমার এখানে একদম ভালো লাগতেছে না,মায়ের কথা মনে পড়তেছে
শিশির-?অন্য কোনো মেয়ে হলে বলতো এখানেই থেকে যাবে
তনু-হুম,আর আমি বাকিদের মতন না
নাতাশা ফেক আইডি থেকে শিশিরকে comment করসে,জান আমি আর তুমি, একটা মেয়ে এসে reply তে বললো যাক তোদের অবশেষে বিয়েটা হলো
শিশির-আজব তো
শিশির comment গুলো ডিলেট করে দিলো
তনু-কি হয়সে?
শিশির-কিছু না,চলো কফি খাব
শিশির তনুকে নিয়ে হোটেলের নিচে আসলো,,
তনু দেখলো শিশির ছবিটা post দিসে,তনুরর খুশি দেখে কে
শিশির-কি ম্যাম এত হাসির কারন?
তনু -ছবিটা দেখে
শিশির-welcome ?
তনু-??????☺
রুমে এসে দুজনে টিভি দেখতে বসলো,,
শিশির বারবার তনুর দিকে তাকাচ্ছে
তনু-কিছু বলবেন??
শিশির-নাহ
তনু-?
তনু চুলে খোঁপা করতেছে,তাও শিশির তাকিয়ে আছে
তনু-কি হইসে?
শিশির-আমার আইডিতে নাতাশার মেবি অনেক ফেক আইডি আছে,,খুঁজে বের করে blk দিতে পারবা??
তনু-ফোন দিন
শিশির তনুকে ফোন দিলো,
তনু আইডি খুঁজে একটা আইডি পেলো নাম Raha islam,সেটাকে blk দিলো
শিশির-বুঝলা কেমনে এটা নাতাশার
তনু-আইডির একটা poste ও কারোর লাইক নাই,আর post মাত্র ২টা দেওয়া,,তার উপর,,নিকনেম S এর বউ
শিশির-ওওওওও,বাপরে এত কিছু
তনু-?তোরে আমি খুন করে জেলে যামু
শিশির-কেন,কি করলাম
তনু-বডি দেখাইয়া খালি গায়ে পিক তুলে ১০০টা মাইয়ারে পাগল বানাইসে,এখন ঢং করে,
তোমরা crush রা আসলেই খারাপ
শিশির-সবাই না
তনু-হুম,,কিন্তু ঐ সবার মধ্যে তুমি পড়ো না,তুমি রিয়েলিই খারাপ
শিশির তনুর দিকে এগিয়ে যেতে লাগলো
শিশির-কোন ধরনের খারাপ,চারিত্রিক নাকি লজিকালি
তনু-ইয়ে মানে,
চলবে♥
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
ক্রাশ যখন বর
#Season_3
Writer-Afnan Lara
#Part_38
তনু-?সত্যি বলবো?
শিশির-বলেন
তনু-চারিত্রিক ?
শিশির-কিহ??কেন এটা বললে কেন
তনু-কিস করার সময় নাতাশাকে মনে পড়ে,বাট কিস করেন তনুকে,এটা তো চরিত্রের দোষ
শিশির-??
তনু-হুহ,আচ্ছা একটা কথা বলেন
শিশির-হুম
তনু-আপনি সত্যি নাতাশাকে এখনও ভালোবাসেন?
শিশির-নাহ, আমি ওকে ভালোবাসি না
তনু-তাহলে ওর কথা আপনার এত মনে আসে কেন?
শিশির-আসে না,আগে আসতো,
তনু-?আমার আর নাতাশার মধ্যে কি তফাৎ?
শিশির-নাতাশা একজনের সাথে খুশি না,আর তুমি একজন নিয়েই খুশি
তনু-????
শিশির-?
তনু শিশিরের হাত থেকে ফোন নিয়ে চ্যাটলিস্ট চেক করতে বসলো
After 10mnt
তনু ব্যাব্যা করে কাঁদতেছে আর শিশির টিসু এগিয়ে দিচ্ছে
তনু-তুই এতগুলো মেয়ের সাথে চ্যাট করছস,আমি জীবনে কোনো পোলারে পাত্তা দিই নাই আর তুই???
শিশির-আরে এটা অনেক আগের
তনু শিশিরকে কিল ঘুষি দিয়ে বালিশ নিয়ে সোফায় চলে গেলো
শিশির তনুর দিকে তাকিয়ে খাটের মাঝখানে বসে আছে,খাটে হেলান দিয়ে,নায়ক নায়ক লুক
তনু -?
শিশির নিজের শার্টের বোতাম একটা একটা করে খুলতেছে,তনুর দিকে তাকিয়ে
তনু সোফায় উঠে বসলো,,হুহ,টাচ ও করতে দিব না
শিশির শার্ট খুলে ফেলে দিলো,উঠে এসে তনুর দিকে আসতে লাগলো,
তনু-টাচ করতে দিব না একদম
শিশির তনুর একদম কাছে এসে নিচু হয়ে গেলো
তনু মুখ ফুলিয়ে তাকিয়ে আছে
তনু-দাঁত ভেঙে দিব
শিশির তনুর পাশ থেকে সোফায় রাখা টি শার্টটা নিয়ে চলে গেলো
তনু থ মেরে বসে আছে
শিশির-হিহি?
শিশির গিয়ে টিভি দেখতে বসলো
তনু-এই
শিশির-বলেন
তনু-রাগ ভাঙাবেন না আমার?
শিশির-রাগ করসেন বুঝি
তনু-?????
শিশির-কিভাবে ভাঙালে আপনার মনের মতন হবে
তনু-?
শিশির-হুম বুঝলাম
শিশির উঠে এসে তনুকে কোলে তুলে নিয়ে আসলো,,
তনুর মাথার চুলের মুঠি ধরে ওরে কাছে নিয়ে আসলো শিশির
তনু-ভালোবাসি তোমাকে
শিশির-আমিও খুব ভালোবাসি তোমায়
শিশির তনুর ঠোঁটে চুমু দিয়ে দিলো,,তনুর ঘাড়ের থেকে জামা সরিয়ে তাকিয়ে রইলো
তনু-কি?এখনও নাতাশার কথা মনে পড়তেছে নাকি??আর কি করসেন ওর লগে,আপনি ভার্জিন তো?
শিশির-ঐদিন বুঝো নাই?
তনু-আমি কেমনে বুঝবো
শিশির-আজ বুঝাই দিই তাহলে
শিশির তনুর গলায় জোরে কামড় বসিয়ে দিলো,তনু চিৎকার দিতে যাবে ওর মুখ চেপে ধরে আবার সেই জায়গায় চুমু দিয়ে দিলো শিশির♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥???????
পরেরদিন
শিশির-ম্যাডাম উঠেন,,আয়ারল্যান্ডে যেতে হবে
তনু লাফ দিয়ে উঠে জামা নিয়ে নিলো,
তনু-আজ আমি পানিতে নামবো
শিশির তনুর হাত ধরে হাঁটা শুরু করলো,
বিচে এসে তনুর চোখ কপালে,চোখ থেকে খুলেই গেসে বললেই চলে,থ হয়ে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে রইলো তনু,সব মেয়ে বিকিনি পরা,
শিশির হাসতে হাসতে মাটিতে লুটোপুটি খাচ্ছে,
তনু-?আল্লাহ এদের হেদায়াত দান করো তুমি,
তনু শিশিরের চোখ ঢেকে ঢেকে হাঁটতেছে,বিকিনি পরা কয়েকটা মেয়ে হাসতে হাসতে শেষ তনুর এই কাজ দেখে,
শিশির-হাত সরাও,আমি কিছুই দেখতেছি না
তনু-দেখতে হবে না,মনে হচ্ছে দোযগে প্রবেশ করসি,এমন জানলে জীবনেও আসতাম না,ছিঃ,আল্লাহ আমার জামাইর দৃষ্টি ভালা রাখিও,আমিনননননননন
তনু-বল আমিন,বেদ্দপ
শিশির-আমিন
দুজনে একটু দূরে গিয়ে বসলো,
একটা মেয়ে শিশিরের দিকে তাকিয়ে চলে গেলো,চোখ ফিরায়নি এখনও
শিশির একবার তাকিয়ে আর তাকালো না
তনু রেগে গিয়ে নিজের টপস খুলতে লাগলো
শিশির-আরে আরে কি করতেছো কি
তনু-তুই তাকালি কেন
শিশির-কই তাকালাম
তনু গিয়ে মেয়েটাকে ধরলো,
তনু-তুই আমার জামাইর দিকে তাকালি কেন
মেয়েটা-what?
তনু-বুঝস না?শয়তান,ফকিন্নি,
তনু নিজের ওড়না দিয়ে মেয়েটার গা ঢেকে দিলো
তারপর চলে আসলো,শিশির বোকার মত বসে আছে
তনু-?
তনু দেখলো অনেক মেয়ে আসতে যেতে শিশিরের দিকে তাকাচ্ছে
তনু রেগে উঠে গিয়ে পানিতে ডুব মারলো,
শিশির বসে আছে,বালিতে,কারন প্রচুর রোদ
তনু ডুব দিতেই গা ভিজে টপস গায়ের সাথে আটকে গেসে,ওখানে থাকা ছেলেগুলো তনুরর দিকে তাকিয়ে আছে, তনু তো নায়িকাদের মতন ডুবের উপর ডুব দিয়ে যাচ্ছে,ছেলেদের তাকানো দেখে শিশির ও উঠে গেলো
শিশির তনুর হাত ধরে বললো চলে আসতে
তনু-কেন?এত জলদি কেন,আপনাকে চুবানোই তো হলো না,
এটা বলেই তনু শিশিরকে পানিতে চুবিয়ে দিলো
শিশির কাশতে কাশতে শেষ,এটা একদম আশা করেনি শিশির,
তনু-????
শিশির-শয়তান মাইয়া
শিশির এবার তনুকে কোলে তুলে পানিতে ছুড়ে মারলো,
তনু তো নাক মুখ মুছে শিশিরকে ধরে আবার চুবালো
এভাবে দুজন দুজনকে চুবাতেই আছে,একটা সময় একটা ছেলে আর মেয়ে এসে ওদের থামালো
তনু হাসি থামিয়ে মেয়েটার দিকে তাকিয়ে দেখলো,মেয়েটাও বিকিনি পরা,তারউপর একদম ছোট বিকিনি বললেই চলে
তনু-ছিঃ,সর এখান থেকে
তনু শিশিরের চোখে হাত দিয়ে পানি থেকে নিয়ে গেলো
বালিতে বসে পড়লো তনু
শিশির শার্ট খুলে তনুর গায়ে মারলো
শিশির -গা ঢাকো
তনু ব্যাগ থেকে ওড়না নিয়ে শিশিরের গায়ে মারলো
তনু-বডি ঢাকো
কিছুক্ষন থেকে দুজনে একটা restaurant এ গেলো খাওয়ার জন্য
তনু-গোল গোল এগুলা কি
তনু মুখে দিলো
তনু-বাহ মজা তো
শিশির-শামুক
এটা শুনে তনু উঠে গিয়ে বমি করতে লাগলো
শিশির-কি হয়সে
তনু-আল্লাহ গো,কি খাওয়াইলো আমারে,আমি শেষ
একটা ওয়েটার এসে শিশিরের হাতে একটা ঔষধের প্যাকেট দিয়ে গেলো
শিশির পড়ে চোখ বড়বড় করে তাকিয়ে আছে
তনু মুখ মুছে শিশিরের হাত থেকে ঔষধটা নিতে গেলো
শিশির-না,এটা খাবা না
তনু-কেন
শিশির-এটা আসলে,pregnant মহিলাদের,ওরা বমি করলে ওদের যাতে বেশি কষ্ট না হয় তাই এই system করা
তনু-ও?
অন্য কিছু অর্ডার দিতে পারেন নাই,জেনেশুনে এসব কি অর্ডার দিসেন,মনে পড়লেই আমার বমি আসে
শিশির-এগুলা মজা,আমি কি জানি তুমি যে খাও না
চলবে♥
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
ক্রাশ যখন বর
#Season_3
Writer-Afnan Lara
#Part_39
তনু আর শিশির হোটেলে চলে আসলো আরও কিছুক্ষন থেকে,,
শিশির হাঁচি দিতেছে শুধু,তনু যে চুবানি দিসে
তনু-?নিজেও তো আমারে কম চুবাননি
তনুর ফোনে কল আসতেই তনু চেক করে দেখলো নাতাশা,উফ এই মেয়েটা কি আমাদের পিছু ছাড়বে না,
নাতাশা এবার তনুর আইডিতে নক দিলো
নাতাশা শিশিরের সাথে তোলা একটা ছবি তনুকে দিলো
তনু তো রাগে ফুলতেছে
শিশির গোসল করে এসে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে জেল লাগাচ্ছে চুলে,,
তনু গিয়ে দুম করে শিশিরের পিঠে একটা বারি দিয়ে দিলো
শিশির-আউচচ,কি করসি আবার
তনু পিকটা দেখালো
শিশির কিছু বলার আগেই তনু ওকে ধরে ঘুরিয়ে ওর খালি পিঠের উপর একটা চুমু দিলো,লিপ্সটিকের দাগ লাগিয়ে দিলো??,ওটার ছবি তুলে নাতাশাকে দিলো
নাতাশা -?সরে যাও বলসি
তনু-আর disturb করলে আরও ছবি দিব
শিশির-বাদ দাও blk করে দাও
তনু-হুম
তনু নাতাশাকে blk করে দিলো,শিশির তনুর কোমড় ধরে কাছ নিয়ে আসতেই তনু ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলো
শিশির-কি করলাম আবার
তনু-তোর হাত নাতাশার কাঁধে কেন
শিশির -সরি
তনু-হুর,don’t touch me
তনু বারান্দায় চলে গেলো,,
শিশির গিয়ে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরলো
শিশির-সরি তো,তখন তো আমরা প্রেম করতেছিলামম
তনু চোখ বড়বড় করে তাকালো শিশিরের দিকে
শিশির-?তুমি প্রেম করো নাই বুঝি
তনু-জী না,আমার চরিত্রের কোনো দোষ ছিলো না
শিশির-ভালো হইসে
শিশির ল্যাপটপ নিয়ে বসলো,
তনু বাইরে চোখ বন্ধ করে দাঁড়িয়ে আছে,,
পাশের রুমের বারান্দা attached করা,,একটা ছেলে বসে বসে সিগারেট খাচ্ছে আর তনুর দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে,,
তনু চোখ খুলে পাশে তাকাতেই দেখলো ছেলেটা তাকিয়ে আছে,তনু আর দেরি না করে রুমে চলে আসলো,
শিশির কাজ নিয়ে ব্যস্ত তাই তনু বারান্দাতে একটা চেয়ার নিয়ে বসে বাইরে তাকিয়ে আছে,,
ছেলেটা আবার এসে হাজির
ছেলেটা-হাই
তনু পাশে তাকালো
ছেলেটা-কেমন আছেন?
তনু-(চেহারা দেখে পাক্কা বিদেশি মনে হচ্ছে,বাংলা জানে কেমনে)
তনু ব্রু কুঁচকে তাকালো,তারপর উঠে চলে গেলো,
শিশির-কে কথা বলে
তনু-ফার্মের মুরগী
শিশির-এখানে আসলো কিভাবে
তনু-উড়ে
তনু-চলেন না ঘুরে আসি,,রাস্তাতে হাঁটবো,,ভালো লাগতেছে না
শিশির-ওকে চলো
দুজনেই হাঁটতেছে হাত ধরে,,
তনুকে শিশির আইসক্রিম কিনে দিলো,তনু আইসক্রীম খাচ্ছে আর হাসতেছে,,কারন ওর ও আইসক্রিম খেতে মন চাচ্ছিলো,
শিশির তনুর দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে,,
তনু-কি?
শিশির মুচকি হেসে তনুকে ধরে কিস করতে লাগলো,তনু একদম প্রস্তুত ছিলো না এটার জন্য,,
শিশির জানতো তনু এটাই চেয়েছিলো,সেদিন বারান্দা থেকে নিয়ে আসার পর তনু এই জন্যই রাগ করসিলো,
তনু সামনে তাকিয়ে সেই ছেলেটাকে দেখলো,,তারপর হঠাৎ শিশিরকে সরিয়ে দিলো
শিশির-কি হইসে
তনু-পাবলিক প্লেস এ এগুলা কেন
শিশির-তুমি তো চাইসিলা
তনু-চলুন এখান থেকে,
শিশির-কি হইসে বলো
তনু-এই ছেলেটা
শিশির পিছনে তাকালো
শিশির-আরে ও তো আরেক দিকে তাকিয়ে আছে,
তনু-চলুন তো
তনু শিশিরের হাত ধরে নিয়ে গেলো,,
তনু-উফ ছেলেটা তখন ওমন করে তাকাই ছিলো কেন
শিশির তনুকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পড়লো
শিশির-ঘুমাও তো
তনু কিছুক্ষন পর চিন্তা ভুলে ঘুমিয়ে গেলো,,
পরেরদিন সকালে তনু উঠে ব্রাশ নিয়ে বারান্দায় দাঁড়িয়ে বাইরে দেখতেছে
পাশে তাকিয়ে দেখলে ছেলেটা হা করে তনুকে দেখছে
তনু ওড়না ঠিক করে ব্রাশ নামিয়ে এগিয়ে গেলো
তনু-কি সমস্যা কি আপনার,জানেন আমি married?
ছেলেটা-তোমার নাম কি
তনু-তোর মা
তনু মুখ ভেঁংচি দিয়ে চলে গেলে
ছেলেটা-হাহা,দুষ্টু মেয়ে
তনু গিয়ে মুখ ফুলিয়ে বসে আছে
শিশির চোখ ডলতে ডলতে উঠে বসলো
তনু-রুম পাল্টান প্লিস,আমি কোনো কথা শুনতে চাই না
শিশির-আচ্ছা ওকে,fresh হয়ে নি আগে
খাওয়া শেষ দুজনেই America museum of natural history দেখতে বের হলো,,
তনু একটা কংকাল দেখতেছে আর পাশে তাকিয়ে হঠাৎ সেই ছেলেটাকে দেখে তনু ভয় পেয়ে গেলো
তনু শিশিরকে বললো যে ছেলেটা তনুকে ফলো করতেছে
শিশির ছেলেটার সাথে কথা বলতে গেলো,ছেলেটা English এ সব কথা বললো, শিশির তনুর কাছে এসে বললো ছেলেটা এই দেশেরই,তনু হয়ত ভুল দেখসে,
শিশির তনুর হাত ধরে নিয়ে গেলো
তনু-আশ্চর্য, আজই তো বাংলায় কথা বললো
চলবে♥