কে কোথায় যায়? পর্ব ৪

0
1015

কে কোথায় যায়? পর্ব ৪
অপর পাশ থেকে উত্তর এলো মৃদু স্বরে!
———‘আগে দরজাটা খোল!’
বারান্দা থেকে দৌড়ে ড্রয়িংরুমের দিকে অগ্রসর হলো শুভা।এমন আকস্মিক দৌড় দেখে বন্ধুমহলের সবাই উৎসুক চোখে চেয়ে আছে শুভার দিকে!
শুভা দরজা খুলেই চিৎকার দিয়ে বললো,
———‘ভোর!’
নামটা শুনেই মুহুর্তেই যেন রুদ্রের সবকিছু উল্টো হয়ে গেল|রুদ্র ও বাকি সব বন্ধুরা একদৃষ্টিতে ভোরকে দেখছে।
দীঘল কালো চোখ,চুল হালকাভাবে বিনুনী বাঁধা,মুখে উপচে পড়া স্নেহ! মিষ্টি হেসে শুভাকে জড়িয়ে ধরলো ভোর|
এতক্ষণে রুদ্র খেয়াল করলো নিজের দিকে।চুল থেকে শুরু করে মাথা পর্যন্ত সবকিছুই অগোছালো|মেয়েরা অবশ্যই গোছালো ছেলে পছন্দ করে!নিজের এমন অবস্থা দেখে নিজেই ভয় পাইতেছে,ভোর পাবে না তাতে গ্যারান্টি কি?সবার দৃষ্টি গোচর করে সে নিজেস রুমে গেল।সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে আছে ভোর,তাই তেমন একটা বেগ পেতে হয়নি রুদ্রকে!
ভোর শুভাকে জড়িয়ে ধরেই অভিমানী কন্ঠে বললো,
——–‘তুই তো আমাকে মনেই করিস না আপুই!’
শুভা মুখ ভেংচি মেরে বললো,
——–‘তুইও তো মনেই রাখিস না আমায়!’
ভোর শুভার থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে শুভার গালে হাত দিয়ে বললো,
——–‘ঠিক তা না আপুই।বিগত কয়েকদিন থেকে আমার উপর দিয়ে ঝড় বইতেছে!’
তামিম বিরক্ত ভঙ্গিতে বললো,
——–‘ঠিক কতক্ষণ এখানে বসে গল্প করবি শুভা?চা-বিস্কুট এনে দিব?’
ভোর হাসলো!শুভার এতক্ষণে যেন হুশ হলো!ভোরের হাত ধরে রুমে ঢুকালো। শুভা দাঁত কিড়মিড় করতে করতে বললো,
———-‘আব্বে তামিম্মা!এতদিনে একটা কাজের কথা কইলি।’
শুভা ভোরকে এনে সোফায় বসালো।রান্নাঘর থেকে এক গ্লাস পানি এগিয়ে দিতে দিতে বললো,
——–‘তা আজ হঠাৎ কি করো মনে পড়লো আমারে?’
শুভা এক লম্বা শ্বাস ফেললো!পানির গ্লাস টেবিলে রেখে বললো,
———‘তা তোরে পরে বলি নাহয় আপুই?’
শুভা ছোট্ট করে জবাব দিল,
——–‘আচ্ছা!’
রাফি চারপাশ দেখে নিয়ে বললো,
———‘রুদ্রকে দেখতেছি না যে?কই গেছে হালা?’
নীহারিকা নির্বিকার গলায় বললো,
———-‘ওয়াশরুমে হয়তো!’
অনেকটা পথ পাড়ি দিয়ে এসেছে ভোর।মুখটা শুকনো,পেটে ইঁদুর চোঁ চোঁ করছে।মনের কথাটা বুঝলো যেন তামিম!
সরু গলায় তামিম বললো,
———‘তা আপনি খেয়ে এসেছেন নাকি যেয়ে খাবেন?’
ভোর হতচকত হলো!হতচকানো কন্ঠে বললো,
——–‘কি ব-বললেন?’
শুভা হেসে বললো,
——-‘ওসব বুঝতে হলে কয়েকদিন ওয়েট কর!ওরা এমনই পাগল টাইপ!’
রুদ্রের উপস্থিতি এরইমাঝে!সবার দৃষ্টি তার দিকে নিক্ষেপ করা।শুভা এসে রুদ্রের এক কাঁধে হাত রেখে বললো,
———‘এ আমার বন্ধু রুদ্র! গায়কও বটে।’
ভোর হাত বাড়িয়ে দিয়ে বললো,
——-‘হাই রুদ্র! ‘
রুদ্রও হাত বাড়িয়ে হেন্ডশেক করলো!মৃদু স্বরে বললো,
——-‘হাই! ‘
নীহারিকা এতক্ষণ ধরে রুদ্রের অবস্থাটা লক্ষ করছে।রুদ্রের এমন অবস্থা সে আগে কখনো প্রত্যক্ষ করেনি।নীহারিকা সোফা থেকে উঠে বসলো। রুদ্রকে কেন্দ্র করে বললো,
———‘একটু বারান্দায় আসতে পারবি রুদ্র?’
©ইভা আহমেদ চৌধুরী
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।
▶ লেখকদের জন্য পুরষ্কার-৪০০৳ থেকে ৫০০৳ মূল্যের একটি বই
▶ পাঠকদের জন্য পুরস্কার -২০০৳ থেকে ৩০০৳ মূল্যের একটি বই
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক:
https://www.facebook.com/groups/golpopoka/

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে