কুহেলিকা পর্ব-০৬

0
890

#কুহেলিকা (পর্ব-৬)
#লেখক_আকাশ_মাহমুদ

দিশা পল্লীর দু’জনকে সঙ্গে নিয়ে আকাশকে পল্লীর মুখ পর্যন্ত এগিয়ে দেয়। এখন আকাশের গাড়ি করে চলে যাওয়ার পালা। কিন্তু আকাশ না গিয়ে দিশাকে জড়িয়ে ধরে তার কপালে কয়েকটা চুমু একে দেয়। দিশাও আকাশের স্পর্শ চুপচাপ অনুভব করে। আকাশ চুমু খাওয়া শেষ করে দিশাকে বলে,

–‘নিজের খেয়াল রেখো। আমি চললাম। আবারো তোমার সাথে আমার দেখা হবে।’

এরপর আকাশ দিশাকে ছেড়ে দিয়ে গাড়িতে উঠে বসে। পরে গাড়ি স্টার্ট করে বাসায় চলে আসে।
বাসায় আসার পর গাড়ি পার্কিং করে যখনি বাড়ির মেইন দরজায় আসে, তখনি দেখে বাড়ির মেইন দরজার সামনে প্রভা দাঁড়িয়ে আছে। আকাশ প্রভাকে হুট করে দেখতে পেয়ে ঘাবড়ে যায়! চোখ পাকিয়ে প্রভার দিকে তাকিয়ে আছে। প্রভা আকাশের আকস্মিক দৃষ্টিভঙ্গি দেখে আকাশকে জিজ্ঞাস করে,

–‘আকাশ এভাবে তাকিয়ে আছো কেন?’

–‘নাহ মানে আসলে তোমাকে এভাবে বাসার সামনে দেখতে পেয়ে বেশ অবাক হলাম।’

–‘আকাশ এখনো তো বাকি অবাক হওয়া। এটুকুতেই চমকে গেলে হবে নাকি বলো?’

–‘অবাক হওয়া বাকি মানে?’

–‘আকাশ তুমি কোথায় গিয়েছিলে একটু বলবে আমায়?’

–‘কোথায় যাবো আবার অফিস থেকে বাসায় ফিরলাম।’

–‘এরমাঝে কি আর কোথাও যাওনি?’

–‘হ্যাঁ গিয়েছি, কিন্তু কেন?’

–‘আকাশ তুমি আমার কাছে কেন এর উত্তর জানতে চাইছো? আকাশ তুমি ভালো করেই জানো তুমি কোথায় গিয়েছিলে। আর তাছাড়া তোমার শরীর থেকে এনগেজ স্পেল ডিওড্রেন্ট ফর ওম্যান পারফিউমের ঘ্রাণ ভেসে আসছে। যেই পারফিউম টা সচরাচর মেয়েরা ব্যবহার করে থাকে। এর মানে তুমি কোনো নারীর ঘনিষ্ঠ হয়েছিলে?’

–‘হয়তো হয়েছিলাম, কিন্তু কেন এসব জানতে চাইছো সেটা বলো?’

–‘আকাশ কেন জানতে চাইছি মানে? তুমি আর আমি একে অপরের সাথে সম্পর্কে আছি। আমি তোমার থেকে জানবো না তো কে জানবে?’

–‘ওহ আচ্ছা এই কথা? তাহলে আমি কেন তোমার বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে এড়িয়ে যাও? আমার বেলায় কেন এতো লুকোচুরি?’

–‘কি লুকোচুরি করেছি আকাশ আমি?’

–‘প্রভা আল্লাহ আমাকে অন্ধ বানায় নি। আমি না সব কিছুই দেখতে পাই। হাতে মদের বোতল নিয়ে অপরিচিত কারোর সঙ্গে নিষিদ্ধ নগরীর পথে ছুটে চলা আমারো চোখে বাঁধে।’

প্রভা আকাশের কথা শুনে কিছুটা ঘাবড়ে যায়। কারন সে সত্যিই মদের বোতল নিয়ে অন্য একটা পরপুরুষের সাথে সেখানে গিয়েছিল। কিন্তু সে এই কথা আকাশকে কখনোই বলতে পারবে না। আর এই কারনেই সে আকাশের পল্লীতে যাওয়ার বিষয় নিয়ে তাকে খোলাখুলি প্রশ্ন করতে পারছে না। প্রভা কিছু সময়ের মাঝেই নিজেকে সামলে নিয়ে কিছু না জানার ভঙ্গিমায় আকাশকে বলে,

–‘মা…মা… মানে কি আকাশ?’

–‘তুমি কি সব উল্টো পাল্টা কথা বলছো? কিসের মদের বোতল আর কিসের অপরিচিত কারোর সাথে নিষিদ্ধ নগরীতে যাওয়া?

–‘প্রভা আমায় গোমরাহ করার চেষ্টা করিও না।’

–‘আকাশ তুমি আমায় খুলে না বললে আমি তোমার কথা বুঝবো কি করে?’

–‘ক্ষমাপ্রার্থী আমি তোমায় কিছু খুলে বলতে পারবো না।’

–‘কেন আকাশ?’

–‘কারন যে অলরেডি সব কিছুই জানে তাকে নতুন করে বলার কিছুই দেখি না। আর তাছাড়া আমি এসব বলে কষ্টের বোঝা আরো বাড়াতে চাইনা।’

–‘ঠিক আছে আমাকে তোমার কিছুই বলতে হবে না। তবে একটা কথা মাথায় রেখো, তুমি আমায় ছেড়ে অন্য কারোর কাছে গেলে তোমায় আমি খুন করে ফেলবো। কারন তোমাকে আমি অন্য কোনো নারীর সঙ্গে দেখতে পারবো না।’

–‘প্রভা তুমি সৎ থাকলে তোমার সাথে অসৎ কিছু হবে না। তবে যদি তুমি অসৎ কিছু করো, তাহলে তোমার সব কিছুই হারাতে হবে। এবার আমি বাসায় প্রবেশ করবো। আমার অনেক টায়ার্ড লাগছে। তুমি এখন এখান থেকে চলে যাও।’

–‘হ্যাঁ আমি চলে যাবো, কিন্তু যাওয়ার আগে তোমার মায়ের সাথে একবার দেখা করে যাই।’

–‘নাহ এমম ফর্মালিটিস এর দরকার নেই। তুমি এখন চলে গেলেই আমি খুশি হবো।’

–‘ঠিক আছে আমি চলে যাচ্ছি। তুমি যেটাতে খুশি হবে আমি সেটা হাসি মুখেই মেনে নিব। নিজের খেয়াল রেখো।’

এরপর প্রভা চলে যায়। প্রভা চলে যাওয়ার পর আকাশ ও বাড়িতে প্রবেশ করে। আকাশের বাসার লোক সবাই আজকে বেশ খুশি। কারন তাদের ছেলে আজকে নতুন জীবনে পা রেখেছে। বেশ ভালো মন্দ রান্না করেছে আজ আকাশের মা। কিন্তু আকাশের মা জানেন না, যে আকাশ বাহির থেকে ভোজন করে এসেছে। আকাশ বাড়িতে আসতেই আকাশের মা টেবিলে খাবার সাজাতে শুরু করে। ঘড়ির কাটা তিনটার ছক পেরিয়ে গেছে আরো বহু আগেই, কিন্তু আকাশের জন্য এতো সময় সবাই না খেয়েই বসে ছিল। আকাশের একটা ছোট্ট বোন আছে মিলি, সেও আকাশ আসবার অপেক্ষায় না খেয়ে বসে ছিল। আকাশ বাড়িতে আসতেই সবার তড়িঘড়ি লেগে যায় খাবারের জন্য। পরিবারের সদস্যদের এমন আহ্লাদিত চেহারা দেখে সে সেটাকে অটুট রাখবে বলে আবারো সবার সাথে খাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সবার মান রক্ষা করে হালকা-পাতলা খেয়ে খাবারের টেবিল ছেড়ে নিজের রুমে চলে আসে। রুমে এসে বিছানায় গা এলিয়ে দেয়। আকাশের মা’ও কিছু সময় পর আকাশের রুমে আসে। রুমে আসার পর আকাশের হাতে অফিসের ডকুমেন্টস গুলো ধরিয়ে দিয়ে বলে,

–‘এই যে তোর আমানত। তোর বাবা এটা আমায় দিয়ে বলছে তুই আজ দুপুরে বাড়ি ফিরে আসলে এটা যেনো আমি তোকে বুঝিয়ে দেই। নে তোর আমানত তোকে বুঝিয়ে দিলাম। এবার মন দিয়ে তোর বাবার অফিস টাকে আগলে নিয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হ।’

–‘মা দোয়া করো আমার জন্য। আমি যাতে বাবার এই প্রতিষ্ঠান টাকে আরো বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি।’

–‘অবশ্যই বাবা! দোয়া করি তুই তোর বাবার প্রতিষ্ঠান টাকে আরে বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যা। আর শোন তোকে একটা কথা বলার ছিল,

–‘কি কথা মা?’

–‘পড়ালেখা যা হয়েছে হয়েছে, এবার বিয়েটা করে নে। তোর তো পছন্দ আছে যতটুকু শুনলাম বা জানলাম, আমার মতে এবার বিয়েটা করে নে।’

–‘মা সবে মাত্র বাবার কাজকর্মে হাত দিয়েছি। আরো কিছুদিন যাক পরে এসব নিয়ে ভাবা যাবে। আর তাছাড়া আমার পছন্দ আছে ঠিকই, কিন্তু তার বিষয়ে পুরোপুরি না জানা অব্দি আমি বিয়ো করবো না।’

–‘জানার আর কি বাকি আছে? তোরা তো একে অপরের সাথে রিলেশন করছিস বছর পেরিয়ে গেল। এতোদিনেও কি তোরা একে অপরের বিষয়ে পুরোপুরি জানিস নি?’

–‘না মা জেনেছি, কিন্তু……

–‘কিন্তু কি?’

–‘নাহ মা কিছু না। তোমরা আমাকে আর কিছুদিন সময় দাও। তারপর বিয়েসাদী নিয়ে ভাবা যাবে।’

–‘ঠিক আছে সময় দিলাম, তবে জলদিই ডিসিশন নিবি কিন্তু।’

–‘হুম।’

–‘আচ্ছা এবার তুই রেস্ট কর আমি নিজের রুমে গেলাম।’

–‘আচ্ছা।’

আকাশের সাথে কথাবার্তা বলে আকাশের মা আকাশের রুম থেকে বেরিয়ে নিজের রুমে চলে যায়। “এদিকে আকাশ তার মা রুম থেকে বেরোতেই অফিসের ডকুমেন্টস গুলো বিছানার একপাশে রেখে বালিশে মাথা গুঁজে শুয়ে পড়ে।
এরপর একাকী শুয়ে দিশাকে নিয়ে কল্পনা করতে আরম্ভ করে। দিশার চিরল দাঁতের হাসি, ভীত চেহারা, ঠোঁটকাটা স্বভাব, আকর্ষনীয় দেহ, আর মায়াবী চোখ সবই যেন তাকে চুম্বকের মতো আকর্ষণ করছে। মন বলছে ছুটে আবার তার কাছে চলে যেতে। ছুটে গিয়ে দিশার মাথা বুকে চেপে ধরে চুলে বিলি কাটতে কাটতে নিজের সব সুখ-দুঃখের গল্প শোনাতে। কিন্তু পরক্ষণেই হুট করে তার মস্তিষ্ক বাজে চিন্তা চলে আসে। দিশা যতোই অসাধারন ব্যক্তিত্বের অধিকারী হোক না কেনো সে এক অন্ধকার গলির বাসিন্দা, সভ্য সমাজের গায়ে সে ছিটকে পড়া নোংড়া কাঁদা ছাড়া কিছুই নয়। তাকে সভ্য সমাজের মানুষ ভোগ করতে পারে, ব্যবহার করতে পারে কিন্তু নিজেদের মাঝে জায়গা দিতে পারে না। এসব ভাবতেই মন ও মস্তিষ্কের দ্বন্দ্বে নিজেকে বড্ড অসহায় লাগে আকাশের। এছাড়া অন্যদিকে আবার প্রভা নামক কেউ একজন রয়েছে তার জীবনে। আকাশ বেশ চিন্তায় পড়ে যায় দু’জনকে নিয়ে। পুরো মাথা জ্যাম হয়ে আছে আকাশের। কাকে নিয়ে সে সিরিয়াস হবে সেটাই সে বুঝে উঠছে পারছে না! দু’জনের দু’রকম সমস্যা। আকাশ প্রভাকে এতোটা ভালোবাসার পরেও সে অন্যে লোকের সাথে পল্লীতে গিয়ে সময় কাটাচ্ছে। অপরদিকে দিশা একটা প্রস্টিটিউট। মানুষ বুঝবে না তার ভিতরে যে সুন্দর একটা মন আছে। মানুষ তার সিলমোহর অনুযায়ী তাকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে চলে যাবে। আকাশ তাকে এনে এই সভ্য সমাজের মাঝে কি করে খাপ খাওয়াবে সেটাই আকাশ বুঝে উঠতে পারছে না! মস্তিষ্কে এসব নিয়ে অতিরিক্ত প্রেশার দিতেই আকাশের মাথা পেইন করতে শুরু করে। তাই সে চিন্তা-ভাবনাকে ক্ষান্ত করে এই অসময়েই ঘুমিয়ে পড়ে।

অন্যদিকে দিশাও একটা রুমের মধ্যে শুয়ে বুকে একটা বালিশ জড়িয়ে ধরে আকাশের কথা কল্পনা করতে থাকে। কল্পনার এক পর্যায়ে সে নিজে নিজে বলে উঠে,

–‘আচ্ছা সব গাছই তো পাখিদের ডাকে, কিন্তু পাখিরা সব গাছে বসে না। পাখিরা বোঝে কোন গাছ তাকে ছায়া দেবে, কোন গাছ তাকে ফল দেবে, বসার জন্য শাখাপ্রশাখা দেবে। কিন্তু মানুষ মানুষ পাখির থেকেও বোকা কেন! এই যে মানুষটা, সে আমার মধ্যে কি পেয়েছে! আমি তো দুনিয়ার সব চাইতে নোংরা বস্তির লোক। দুনিয়ায় এতো সুন্দর সুন্দর রমণী থাকতেও কেন সে আমার মধ্যে নিজেকে খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা করছে! সে তো পারে বিছানায় আমার পিঠ ঠেকিয়ে নিজের চাহিদা পূরণ করতে। সে তো পারে আমার দেহের প্রতিটা অঙ্গের গভীর ভাবে স্বাদ নিতে। সে তো পারে আমাকে দিয়ে বাকি আট-দশটা পুরুষদের মতন নিজের শরীরের খোরাক মিটাতে। কিন্তু কেন সে এমন করে না! চায় টা কি লোকটা আমার মাঝে! সে কি বুঝেনা আমি সতিত্ব হারা নারী। সে কি জানেনা আমি নিজের সর্বত্র হারিয়ে ফেলছি। তাকে দেওয়ার মতন নতুন করে আর কোনো কিছুই আমার মাঝে নেই। আমায় সে আপন করে নিলে সব দিকেই ঠকবে। এতো কিছুর পরেও সে আমার মধ্যে কি খুঁজে বেড়াচ্ছে উপর ওয়ালাই ভালো বলতে পারবেন! আর আমিও জানিনা আমার জীবনে কি ঘটতে চলেছে। তবে মানুষটা যদি আমায় নিজের করে নিয়ে এতো বড় সারপ্রাইজ দেয়, তাহলে আমিও মানুষ টাকে একটা সারপ্রাইজ দিব। আর প্রচুর ভালোবাসবো মানুষটাকে। মানুষটা যখন সারাদিন খাটাখাটুনি করে বাড়ি ফিরবে, তখন মানুষটার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে মানুষটার নামে উন্মুক্ত করে দিব। মানুষটা যখন ক্লান্তি নিয়ে বিছানায় শুয়ে থাকবে, তখন শরীরের কাপড় অগোছালো করে মানুষটার পাশে গিয়ে চুপটি করে শুয়ে মানুষটাকে প্রলোভন দেখাবো। যাতে করে মানুষটা আমায় নিজেই কাছে টেনে নিয়ে তার শরীরে বহন করা ক্লান্তির কিছুটা ভাগ আমায় দিয়ে দেয়। মানুষটা যখন খুব বেশি রেগে থাকবে, তখন মানুষটার কাছে গিয়ে জোরপূর্বক তার একটা হাত আমার কোমরে রেখে তার চোখের দিকে মায়াভরা চাহনিতে তাকিয়ে থাকবো। যাতে করে তার সমস্ত রাগ আমার মায়াভরা চাহনি দেখেই হারিয়ে যায়। এই বিশাল ভুবনকে রাঙ্গিয়ে দিতে ভোর সকালে যখন আকাশে সূর্য উদিত হবে, তখন মানুষটার আগে ঘুম থেকে উঠে তার জন্য চা বানিয়ে এনে চুপচাপ বিছানার সামনে দাঁড়িয়ে থাকবো। যখনি মানুষটা ঘুম থেকে উঠে চায়ের কাপ দেখে সেটাকে এগিয়ে নিতে চাইবে, তখনি চায়ের কাপ সরিয়ে নিয়ে আমার উষ্কখুষ্ক ঠোঁট জোড়া মানুষটার সামনে এগিয়ে দিয়ে বলবো, এই যে মহাশয়, চায়ের কাপ ততক্ষণ মিলবে না যতক্ষণ না আপনি আমার উষ্কখুষ্ক ঠোঁট জোড়া ভিজিয়ে দিচ্ছেন। এছাড়া আরো সারা রাত মানুষটাকে নিজের বুকে নিয়ে ঘুমবো। এক কথায় আমার রাজ্যের সমস্ত ভালোবাসা আমি মানুষটাকে বিলিয়ে দিব।’

দিশা আনমনে এসব নিয়ে বকবক করতে করতে বকবক থামিয়ে দিয়ে হুট করে সেও আকাশের মতন ঘুমিয়ে পড়ে। দু’জনেই ঘুমের রাজ্যে হারিয়ে গেছে। রাতের বাজে নয়টা। ফোনের শব্দে আকাশের ঘুম ভেঙ্গে যায়। আকাশ ঘুম থেকে উঠে ঘোলাটে চোখ নিয়ে বিছানার একপাশে রাখা ফোনটা হাতে তুলে নেয়। ফোনে কেউ একজন মেইল করেছে। আকাশ ফোনটা হাতে নেওয়ার পর কি মেইল এসেছে সেটা দেখার জন্য মেইল বক্স ওপেন করে। মেইল বক্স ওপেন করতেই দিশার সিক্রেট কিছু ছবি তার সামনে অপ্রত্যাশিত ভাবে ভেসে উঠে। ছবি গুলো দেখার পর আকাশের ঘোলাটে চোখ জোড়া বড় বড় হয়ে যায়…..

চলবে….

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে