কুহেলিকা পর্ব-০৪

0
960

#কুহেলিকা (পর্ব-৪)
#লেখক_আকাশ_মাহমুদ

আকাশ দিশাকে নিয়ে কিছুটা পথ অগ্রসর হওয়ার পর কেউ একজন আকাশ আর দিশার সামনে এসে দাঁড়ায়। আকাশ তাদের সামনে দাঁড়ানো মানুষটার দিকে দৃষ্টিপাত করতেই চমকে উঠে! কারন তার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষটা তার খুব পুরোনো বন্ধু। যার নাম হচ্ছে সুমন। ব্যস্ততার কারনে একে অপরের সাথে বেশ অনেকদিন ধরে কথাবার্তা হয় না। তাই আকাশ সুমনকে পার্কের সামনে দেখতে পেয়ে চমকে উঠে! অপরদিকে সুমন ও আকাশদের দিকে অবাক করা দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। একে অপরের দিকে কিছুটা সময় তাকিয়ে থাকার পর আকাশ নিজেকে স্বাভাবিক করে নিয়ে সুমনকে বলে,

–‘কিরে তুই এখানে কি করছিস?’

–‘আরেহ ঘুরতে এসেছিলাম। কিন্তু তুই এখানে কি করছিস? আর তোর সঙ্গে মেয়েটা কে?’

–‘আরেহ আমিও দিশাকে নিয়ে ঘুরতে এসেছি। আর দিশা হচ্ছে আমার খুব কাছের একজন মানুষ।’

–‘আকাশ তোর কাছের মানুষ মানে বুঝলাম না ঠিক! তুই কি এই মেয়েকে চিনিস? বা এই মেয়ে সম্পর্কে জানিস?’

–‘হুম আমি এই মেয়েকে চিনি এবং তার সম্পর্কেও জানি।’

–‘আকাশ তোর কথা আমার বিশ্বাস হচ্ছে না। কারন তুই যদি এই মেয়েকে সত্যিই চিনতি তাহলে ওর সাথে এভাবে ঘুরে বেড়াতি না। তুই কি জানিস এই মেয়ে কি করে?’

আকাশ সুমনের কথা শুনে দিশা সম্পর্কে জেনেও সুমনকে ভুল উত্তর দেয়,

–‘হুম জানি সে একটা কোম্পানিতে জব করে। কিন্তু কেন বল তো?’

–‘আকাশ তুই যেটা জানিস সেটা পুরোটাই ভুয়া। মেয়েটা একটা প্রস্টিটিউট। লজ্জাহীন ভাবে তোকে সত্যিটা বলছি। আমি নিজের শারীরিক চাহিদা মিটাতে মাঝেমধ্যে নিষিদ্ধ নগরীতে বিচরণ করি।
আমি সেখানে এই মেয়েকে দেখেছি। দ্যাখ আমার বিষয়টা ভিন্ন। আমি নিজে খারাপ তাই মেয়েটাকে নিয়ে বেশি কিছু বলার অধিকার রাখি না। তবে তুই কেন ওকে নিয়ে ঘুরাফেরা করছিস? তুই তো এমন না। আজ পর্যন্ত তোর মধ্যে কোনোদিন কোনো অসৎ আচরণ দেখিনি। তুই বরাবরের মতোই ভালো পথ ধরে হেঁটেছিস। কিন্তু আজ এই মেয়েকে তোর সাথে দেখে আমার মাথা উলট-পালট হয়ে যাচ্ছে।’

–‘যাক আমায় নিয়ে পজিটিভ চিন্তা-ভাবনা করিস এটাই আমার জন্য অনেক। তবে বন্ধু তোকে একটা জিনিস আজ খোলামেলা বলি। আসলে দুনিয়ায় ভালো হলে দাম নাই রে। প্রেমিকা পুষে রেখে তাকে বিয়ের পর হালাল ভাবে স্পর্শ করার চিন্তা মাথায় রাখাটা আমার মতে নেহায়েত বোকামী। কারন কিছু কিছু নারী তোর সততাকে কাপুরুষত্ব মনে করবে। তারা ভাববে তোর কাছে মেশিন নেই। তারা ভাববে তুই শারীরিক দিক থেকে পুরোপুরি সুস্থ না। তাই অধিকতর দেখা যায় মেয়েরা প্রেমিক ছেড়ে অন্য পুরুষের সাথে লীলায় মগ্ন হয়। আমার বেলায় ও সেম হয়েছে রে। তাই আমি দিশাকে নিয়ে এখানে এসেছি।’

–‘মানে কি আকাশ একটু ক্লিয়ার করে বল।’

–‘মানে হলো আমি কাউকে ভালোবেসে ঠকেছি বলতে পারিস। আমি সততা দিয়ে রিলেশন করেছি, কিন্তু সে সেটাকে হয়তো আমার দূর্বলতা ভেবে পরপুরুষের স্পর্শ গিয়েছে। তাই আমি এই মেয়ের সঙ্গে কিছু সময় কাটাতে এসেছি। তবে তুই চিন্তা করিস না। আমি দিশাকে এখানে খারাপ কোনো উদ্দেশ্যে নিয়ে আসিনি। আমি ওকে নিয়ে এসেছি কিছুটা সময় কাটাতে ওর সাথে। আমি ওকে নিয়ে এসেছি মনের ভিতরে যেই পাহাড় সমান বোঝা চেপেছে সেটাকে কমাতে।’

–‘কিন্তু বন্ধু এই মেয়ের চরিত্রের কারনে তো মানুষ তোর দিকে আঙ্গুল তুলবে। তখন তোর কষ্টের বোঝা আরো দ্বিগুণ হবে।’

–‘সুমন চুপসে যা। ওর সামনে দাঁড়িয়ে তুই এসব কথাবার্তা বলাটা ঠিক হচ্ছে না। কারন মানুষ যতো যাই করুক না কেন, সেটা তার সম্মুখে দাঁড়িয়ে নিন্দনীয় ভাবে অন্য কাউকে বললে অবশ্যই দোষ করা মানুষটার খারাপ লাগবে। তাই তুই অনুগ্রহ করে এসব কথাবার্তা বন্ধ কর। আর ওকে নিয়ে কে কি বলে সেটা আমি দেখে নিব। আমায় বলুক তাতে আমার আপত্তি নেই। তবে আমার সামনে কেউ দিশাকে কিছু বললে তার অবস্থা নাজেহাল করে দিব।’

–‘ঠিক আছে বন্ধু আমি চুপ হয়ে গেলাম। আর তোর যা ভালো লাগে তুই তাই কর।’

–‘ধন্যবাদ।’

–‘আচ্ছা দোস্ত এখন আমি চললাম। তুই নিজের আর দিশার খেয়াল রাখিস।’

–‘হুম।’

এরপর সুমন চলে যায়। সুমন চলে যাওয়ার পর আকাশ দিশাকে তার সঙ্গে সামনে অগ্রসর হতে বলে, কিন্তু দিশা সামনে অগ্রসর না হয়ে মুখ মলিন করে দাঁড়িয়ে থাকে। আকাশ দিশার চেহারার ধাঁচধরন দেখে বুঝে নেয় সুমনের কথায় দিশার উপরে এফেক্ট পড়েছে। তাই আকাশ দিশাকে বলে,

–‘দিশা তুমি ওর কথা এতোটা কানে নিও না। সে এমনিতেই এসব বলে গেছে।’

–‘দেখুন সে এমনিতে বলুক আর যাই বলুক না কেন, কথাগুলো কিন্তু সত্যি ছিল। তিনি নিজের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করে আঁধার নগরীতে প্রবেশ করে। আর আপনি নিজের বিপদ ডেকে আনার জন্য আমায় এখানে নিয়ে এসেছেন। কখন হুট করে কোথা থেকে কেউ এসে আপনাকে আমার জন্য এটা সেটা শুনিয়ে যাবে না সেটার কোন নিশ্চয়তা নেই।’

–‘দিশা আমায় কে কি বলবে সেসব নিয়ে আমার এতো মাথাব্যথা নেই। আর সুমন সুস্থ-স্বাভাবিক পরিবেশ ছেড়ে আঁধার নগরীতে গিয়ে অসামাজিক ভাবে নারীর নেশার মেতে উঠে। সে নিজের সুরক্ষা নিশ্চিত করে আঁধারেই নিজের কাজ চালিয়ে যায়। তার বেলায় কোনো সমস্যা হয় না। আর আমি তোমায় নিয়ে মেতে না উঠে সেই অসামাজিক পরিবেশ থেকে তোমায় বের করে সঙ্গে নিয়ে ঘুরতে এসেছি এতে মানুষের আপত্তি হবে কেন?’

–‘কারন সেটা আঁধার নগরী। সেখানে কে গেলো কে আসলো দেখবার মতন মানুষ খুবই কম। তাই তার বেলাতে তেমন কোনে সমস্যা নেই। তবে আপনার ক্ষেত্রে অনেক সমস্যা রয়েছে। আপনি আঁধার নগরীর এক নষ্টাকে নিয়ে সামাজিক পরিবেশে ঘুরাঘুরি করলে মানুষ অবশ্যই আপনাকে এটা সেটা বলবে।’

–‘দিশা মুখ সামলে কথা বলো। আমি কিন্তু তোমায় আগেও বলেছি, যে নিজেকে বাজে ভাবে উপস্থাপনা করবে না আমার সামনে। কিন্তু তুমি আবারো সেটা করেছো।’

–‘ক্ষমাপ্রার্থী আমার ভুল হয়ে গেছে। আমি আর আগামীতে এমনটা কখনোই বলবো না। কিন্তু সুমন নামক লোকটার তো সত্যি বলেন?’

–‘তার কথা সত্যি হলেও আমার কাছে সেসবের কোনো মূল্য নেই। সে নিজেই কতো ভালো তার প্রমাণ দিয়ে গেছে। আর তাছাড়া আমি যাকেই সঙ্গে নিয়ে ঘুরাফেরা করি না কেন আমি সৎ থাকলেই হয়েছে। তুমি খামোখা এতো টেনশন নিও না। কেউ কিছু বললে সেটা তখন দেখা যাবে।’

–‘আপনি সত্যিই একরোখা একটা মানুষ। যেটা বুঝেন তো বুঝেন এই। আপনি যেটা বলেন বা ভাবেন সেটাই সঠিক। আপনার কথা বা চিন্তা-ভাবনাকে কখনো কেউ পিছনে ফেলতে পারবে না।’

–‘হুম আমি একরোখা। এবার দিশা মনি আপনি আমার সঙ্গে চলেন।

দিশা আকাশের মুখে দিশা মনি ডাকটা শুনতেই দৌড়ে আকাশের কাছে গিয়ে তার হাতের খাঁজে হাত ঢুকিয়ে দিয়ে চেপে ধরে। দিশা খুশিতে আত্মহারা আকাশের মুখে এমন দিশা মনি নামটা শুনে। তার মলিন চেহারাটা আকাশের এক নাম ডাকেই গায়েব হয়ে গিয়েছে। আর গায়েব হবে নাই বা কেন, এর আগে দিশাকে কখনো কেউ এতো সুন্দর করে দিশা মনি বলে ডাকেনি। আজ প্রথম কেউ তাকে এভাবে ডেকেছে। তাই সে খুশিতে আত্মহারা হয়ে আকাশের কাছে গিয়ে নিজেকে আকাশের কাছে শপে দেয়। আকাশ ও আপন মনে দিশার হাতের খাঁজে আঙ্গুল ঢুকিয়ে দিশার হাত মুঠো করে ধরে। এরপর দু’জন হাঁটতে হাঁটতে পার্কের ভিতরে প্রবেশ করে। পার্কের ভিতরের প্রবেশ করে দু’জনে একটা ফাঁকা বেঞ্চের উপরে গিয়ে বসে। আকাশ আর দিশা বেঞ্চে বসে শুরুতে দু’জনে স্বাভাবিক ভাবে কথাবার্তা বলতে আরম্ভ করে, কিন্তু কথা বলার এক পর্যায়ে আকাশ দিশার কোলে মাথা রেখে বেঞ্চের উপরেই শুয়ে পড়ে। আকাশের এমন আচরণে দিশা পুরো শকট হয়ে গিয়েছে! সে নিজেকে স্বাভাবিক রেখে এতোটা সময় আকাশের সাথে যেটুকু কথা বলেছে এখন সেটাও বলতে পারছে না। আকাশের এমন অদ্ভুৎ আচরণ দেখে তার গায়ের পশম দাঁড়িয়ে গেছে। থরথর করে কাঁপতে আরম্ভ করেছে দিশা। দিশার এমন কাঁপা-কাঁপি দেখে আকাশ দিশার কোলে মাথা রেখেই বলে উঠে,

–‘একটু তো রোমান্টিক হও। তোমার কোলে মাথা রেখেছি কই তুমি আমার চুল ধরে একটু স্পর্শ করবা তা না, তুমি কাঁপা-কাঁপি করতে শুরু করেছো।’

–‘আসলে আমার সাথে এর আগে কখনো এমনটা হয়নি। তাই কেমন যেনো নার্ভাস লাগছে।’

–‘দিশা নার্ভাস লাগলে হবে না। সবেমাত্র শুরু করেছি। সামনে আরো কতো কি করি তা উপর ওয়ালাই ভালো জানেন।’

–‘কি করবেন আপনি?’

–‘সেটা সময় হলেই দেখতে পাবে। এখন তুমি আগে আমার চুলে হাত বুলিয়ে দিতে দিতে গল্প শোনাও।’

–‘আমি তো কোনো গল্প জানি না।’

–‘গল্প না জানলে নিজের জীবন কাহিনীটাই শোনাও।’

–‘আচ্ছা।’

দিশা আকাশের কথা মতন নিজেকে স্বাভাবিক করে নিয়ে আকাশের চুলে হাত বুলাতে বুলাতে নিজের জীবন কাহিনী শোনাতে আরম্ভ করে,

–‘জানেন আমার জীবনটা সেই জন্মের পর থেকেই নড়ক হয়ে আছে। আমার মায়ের বিয়ের কিছুদিন পর আমার বাবা নাকি আমার মা’কে অন্ধকার নগরীরে বিক্রি করে দিয়ে চলে গেছে। মানুষটার নাকি অনেক টাকার লোভ ছিল। সারাদিন কাজকর্ম ফেলে রেখে লোকদের সাথে জুয়া খেলতো। ভিটা সম্পত্তি সব কিছুই এই জুয়া খেলে খেলে শেষ করেছে। মায়ের প্রতি তার কোনো খেয়াল ছিল না। তার জীবনে যেনো জুয়া খেলাটাই আসল কাজ ছিল। মা প্রথম প্রথম এসব সহ্য করে নিতো। কিন্তু একটা মানুষের আর সহ্য ক্ষমতা কতো থাকে। না দেয় কাপড়-চোপড়, না করে বাসার কোনো বাজার সদাই। মা এসব নিয়ে নাকি একদিন বাবার সাথে বেশ রেগে যায়। বাবাও মায়ের উপরে চেতাচেতি করে। চেতাচেতি করার এক পর্যায়ে বাবা মা’কে বেশ মারধর করে। সেই জালিম লোকটা মা’কে মেরে আধমরা করে সেভাবেই গাড়িতে তুলে এনে পল্লীতে বিক্রি করে দেয়। তখন মা চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা। মায়ের গর্ভে আমার অস্তিত্বের প্রতিক্রিয়া প্রায় তখন ত্রিশ শতাংশ হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু সেই জালিম লোকটা আমার মায়ের উপরে একটুও রহম করেনি। নির্দয় ভাবে আমার মা’কে পল্লীতে বিক্রি করে দিয়ে চলে গেছে। বাবার এমন নির্দয় আচরণে মায়ের মনে এতোটা কষ্ট জমে, যে মা রাগ করে এই পল্লীতেই থেকে যায়। আর এই পল্লীতে থেকেই মা আমায় প্রসব করে। জানেন আমার বয়স যখন তেরো, তখন থেকেই আমি মনে মনে কল্পনা করতাম আমি এই পল্লী থেকে বেরিয়ে সুন্দর একটা জীবনযাপন করবো। আমারো একটা মনের মানুষ হবে। যে কিনা আমার বাবার মতন জালিম না হয়ে মাটির মতন একটা মানুষ হবে। আমায় ভালোবেসে সেই মানুষটা আমায় সব সময় আগলে রাখবে। আমার মা’ও এটা চাইতো। পল্লীর মাজেদা খালা মা’কে অনেকবার বলেছে আমায় কাজে লাগিয়ে দিতে। কিন্তু তিনি এক কথায় বলে তিনার মেয়ের শরীরে তিনি এই পল্লীর দূষিত বাতাস লাগতে দিবে না। মা বেশ কয় বছর পল্লীতে থাকায় মায়ের একটা পাওয়ার ছিল এই পল্লীতে। যার কারনে মায়ের কথার উপরে মাজেদা খালা আর কথা বলেনি। মা আমায় বলেছিল এই বছর আমায় একটা ভালো ছেলের হাতে তুলে দিয়ে পল্লীর দূষিত বাতাস থেকে আমায় মুক্ত করবে। কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস বছর শেষ হয়ে নতুন বছর আসার আগেই মা দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করেছে। মা মারা যাওয়ার পর আমি চেয়েছিলাম এই পল্লী থেকে বেরিয়ে অন্য কোথাও চলে যাবো। কিন্তু যাবো তো যাবো কোথায়। বাহিরের পরিবেশ তো এর চাইতেও আরো নোংরা। এই নগরীতে শরীরের বস্ত্র খোলা হলেও প্রাণের নিশ্চয়তা আছে, কিন্তু বাহিরের মুক্ত পরিবেশে তো ভোগ করার পাশাপাশি মানুষকে মেরেও ফেলে। আর তাছাড়া মায়ের হাজারো সৃতি রয়েছে এই পল্লীতে। তাই আমিও নিজের সত্যিত্বকে বিসর্জন দিয়ে পতিতার সিলমোহর লাগিয়ে নিয়েছি নিজের শরীরে। আমার ছোট কালের সমস্ত স্বপ্ন আধুরা রয়ে গেছে। আমি জানি সেসব শুধু স্বপ্নই ছিল। সেসব কোনোদিন আর বাস্তব হবে না।

দিশা আকাশকে নিজের জীবন কাহিনী শোনাতে শোনাতে চোখের পানি ছেড়ে দেয়। অপরদিকে আকাশ দিশার চোখের পানি দেখার পাশাপাশি তার ভিতরের অবস্থাটাও উপলব্ধি করতে পারে। তাই সে দিশাকে শান্ত করতে দিশার কোলে শোয়া অবস্থাতেই দিশার পেট থেকে আলতো করে শাড়ীর কিছুটা অংশ সরিয়ে তার পেটের পরতে মুখ ডুবিয়ে দেয়। আকাশের এমন আচরণে দিশার কান্না থেমে গিয়ে তার মধ্যে ঐশ্বর্যের নৈষাক্ততা এসে হানা দিয়েছে। দিশা পুরো উন্মাদ হয়ে গিয়েছে। তার ইচ্ছে করছে আকাশকে গিলে খেয়ে নিতে। সে নিজেকে আর সামলে রাখতে না পেরে আকাশের চুল গুলো শক্ত করে চেপে ধরে আকাশের মুখমন্ডল তার পেটের পরতের সাথে ঠেসে ধরে। এরপর আকাশকে বলে,

–‘আপনি আমার মধ্যে কি পেয়েছেন বলেন তো?
আপনি আমার উপরে আক্রমণ করে কেন আমায় আপনার প্রতি এভাবে দূর্বল করছেন?’

দিশার কথার উত্তরে আকাশ খুব জোরে একটা শ্বাস নিয়ে দিশাকে বলে উঠে,

–‘আমি জানিনা……

চলবে…..

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে