#গল্প_পোকা_কবিতা_লিখন_প্রতিযোগীতা
কবিতা: কাঠপেন্সিল
কবি: ফাবিহা ফেরদৌস
বৃক্ষকাষ্ঠ দ্বারা মনুষ্যপ্রজাতির তীক্ষ্ণমেধায় ,
যান্ত্রিক কলের আবিষ্কার কাঠপেন্সিল ।
আকার তাহার গোলাকার , তবে খানিকটা লম্বা ।
ভিতরে লুকায়িত কালোশিষ ।
সাদা পাতায় দাগ কাটতে এর জুড়ি মেলা ভার ,
সমান্তরাল , এঁকেবেঁকে , চক্রাকারে দাগ কাটতে
এর ব্যবহার ।
ব্যবহারকারীর অভিলাষ প্রকাশিত হয় এর দ্বারা ,
কখনো আপন হতে,কখনো প্ররোচনায়,
কখনো অযথাই কারণ ছাড়া ।
দাগ কাটা পর সাদা কাগজ না থাকে আর সাদা ,
যেমন সাদা নেই নিশিরাজ স্বয়ং চন্দ্রাদাদা ।
সুন্দর বস্তু মাত্রই দাগযুক্ত।
কিন্তু কাঠপেন্সিলের বিপরীতে রাবার ,
যা করতে পারে কাগজকে দাগ মুক্ত।
রাবার তো মনুষ্যপ্রজাতিরই তীক্ষ্ণমেধায় আরেক
দৃষ্টান্ত
উৎপত্তি তাহার বৃক্ষকোষ হতে , কর্ম তাহার মুছে
ফেলা ।
জন্মগত কলহ হলেও একে অপরের পরিপূরক ।
বৃক্ষকোষ বিনা বৃক্ষকাষ্ঠের উৎপত্তি কল্পনার
অতীত !
কাঠপেন্সিল দাগ না কাটলে রাবারের গুন না যায় বোঝা
রাবারের গুন বুঝতে হলে কাঠপেন্সিলকে দাগ
কাটতে হবে সোজা ।
আগুনে পুড়ে যেমন খাঁটি হয় সোনা ,
মনুষ্য কর্মই কাঠপেন্সিলের আঁচড়ে মনোভাবের
প্রতিচ্ছবি বোনা ।
ভালো প্রতিচ্ছবি গুলো কখোনো নেই হেয় ,
আর মন্দগুলো মুছে ফেলাই শ্রেয় ।
মন্দ প্রতিচ্ছবিতে সময় করতে নেই ব্যয়
মনুষ্যঅন্তর যখন সাদাকাগজেরই ন্যায় ।